৯. আমি বাংলায় গান গাই
হারানোর আগ পর্যন্ত নাকি মানুষ তার সবচেয়ে বড় সম্পদকে চেনে না। দেশপ্রেম তেমনই ব্যাপার। দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত খুব কম মানুষই নিজের দেশ, আলো-হাওয়া, মাটি, আর মানুষকে প্রাপ্য সম্মান ও ভালবাসা দিতে পারে। ইংরেজিতে ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’ যাকে বলে, তেমনই এক অনুভূতি কাজ করে সবার মাঝে দেশ নিয়ে। বাইরে এলে সবকিছু মেলে, শুধু আপনজনকে অবহেলা করার এই সুযোগটুকু বাদে। সারা পৃথিবীর সাথে ভদ্রতার প্রতিমূর্তি হলেও আমরা যেমন মায়ের কাছে দুর্বিনিত, আমাদের কাছে দেশও তেমনটাই অবহেলিত।
দেশ মানে স্রেফ একটি ভূখণ্ড না, দেশের অর্থ অনেক বড়। বাঙালিরা মুষ্টিমেয় সেই জাতিগুলোর একটি, যাদের স্বাধিকার আন্দোলন উৎসারিত হয়েছিল নিজস্ব সংস্কৃতিকে তুলে ধরবার মানস থেকে। বাঙালি সংস্কৃতি তাই আমাদের কাছে শুধু ভাবের আদান-প্রদানের মাধ্যম নয়, পরিচয়ের উৎসও। ঠিক-ভুল যেমনটাই হোক না কেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের আগে ধর্মের ভিত্তিতে দেশবিভাগের আন্দোলনও ছিল পরিচয়ের সাথে জড়িত। ফলশ্রুতিতে এই দুই পরিচয়ই কম-বেশি রয়ে গেছে আমাদের মাঝে।
দেশে থাকার সময়টুকুতে আমরা নিজের মন ও মতের মানুষের সাথে মিশে থাকি। নেতৃস্থানীয় কোন অবস্থায় আমরা থাকি না। হাওয়া যেদিকে বয়, সেদিকেই পাল তুলি। কোন বেলায় আশরাফুলের অল্প রানে আউট হওয়া নিয়ে কথা বলি, কোনদিন সংসদে হাসিনা-খালেদার ঝগড়া নিয়ে কথা বলি, কোনদিন হয়তো নতুন কোন নাটকে দেখানো কিম্ভূতকিমাকার ফ্যাশন নিয়ে। বাইরে এলে মূলধারার এই নির্বোধ স্বাভাবিকতা থাকে না। না চাইলেও নেতা গোছের কিছু হয়ে যেতে হয়।
প্রবাসে এলে আমাদের কাজকর্ম দিয়েই যার যার সংস্কৃতির স্বরূপ নিরূপিত হয়। বিশাল পৃথিবীতে আমরা প্রতিটি প্রবাসী যেন ডেকচি থেকে বের করে টিপেটুপে দেখা ভাত। অন্যের ভুলের জন্যও আধাসেদ্ধ থাকার সুযোগ নেই, কারণ একটু এদিক-ওদিক হলেই দোষ পড়বে বাঙালির, ভারতবর্ষের, কিংবা মুসলমানদের। নেতাকে যেমন নিজের আচরণ দিয়ে সবাইকে পথ দেখাতে হয়, তেমনি প্রতিটি প্রবাসীকেও দেশ-ভাষা-ধর্মের স্বার্থে সমঝে চলতে হয়।
এই বাস্তবতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মত ঘটনা হয়েছিল দু’বার। প্রথমবার মাত্র আমেরিকা আসার পরপর, লুইজিয়ানায়। দুপুরে ক্লাস সেরে ঘরে বসে আছি। হঠাৎ ধপধপে সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট, আর হাতে বাইসাইকেল। নাম বলার পর জানতে চাইলো কোন ভাষার শব্দ। বাংলা বলতেই ধরিয়ে দিল প্রভু যীশুর বাণি – বাংলায়। আমার জন্য, আমার ভাষার জন্য আলাদা করে লেখা আসে সবকিছু। বাঙালি পরিচয়ে পরিচিত হতেই আমি স্বচ্ছন্দ বেশি, তাই এই শ্লাঘা অস্বাভাবিক ছিল না। তুলনায় দ্বিতীয় ঘটনাটি তাৎপর্যপূর্ণ বেশি।
রমজান এলেই বাঙালি সমাজ মসজিদ-ভিত্তিক হয়ে যায়। নেকির প্রশ্নে নির্মোহ হয়ে রোজা না রেখে থাকা যায়, কিন্তু বিনামূল্যে ইফতারের ব্যাপারে প্রশ্নে আপোষ নেই। বিকেল হলেই তাই ভিড় করি মসজিদে। মুসলমান ব্রাদারহুডের জয়জয়াকার চারিদিকে। সাধারণত স্টুডেন্ট ইউনিয়নে মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন থেকে ইফতার দেওয়া হয়। গত রোজায় সামনে পড়লো এমন এক ভ্রাতা। জানালেন, তিনি পাকিস্তানি। কথাপ্রসঙ্গে জানলেন, আমি বাংলাদেশের। চূড়ান্ত ধৃষ্টতা দেখিয়ে সেই লোক মিষ্টি হেসে বলে বললো, তুমিও তো তাহলে পাকিস্তানিই। উদ্দেশ্য, আমাকে ভারতীয়দের থেকে আলাদা করে তার সাচ্চা ব্রাদারের সম্মান দেওয়া। বিরক্ত হয়ে বললাম, যদি আমি পূর্বপরিচয়ের সূত্রেই পরিচিত হব, তবে ব্রিটিশ না হয়ে পাকিস্তানি কেন? তুমি মুড়ি দিয়ে ইফতার খাও, আমি গেলাম।
প্রবাসে এসে আচমকা সংখ্যালঘু হয়ে যাওয়াটা একটি বিরাট ধাক্কা দেয় অনেককে। এই ধাক্কা সামলানোর জন্য মানুষ পরিচয় খোঁজে, নিজের একটি স্থান খোঁজে। আমিত্বের ধারণাটির পেছনে স্বকীয়তা যতটা, তার চেয়ে বেশি কাজ করে প্রশ্নাতীত অধিকার। পরিচয় খুঁজবার সময় এলে মানুষ তেমনই কিছু খোঁজে। ধর্ম ও সংস্কৃতি উভয়ই তেমন সুবিধা দেয় মানুষকে। আমি বাঙালি ও মুসলমান, আমার এই দু’টি পরিচয় নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না, কোন ধরনের সামাজিক বাস্তবতা আমার এই পরিচয়গুলোকে হেয় কিংবা খাটো করতে পারবে না।
এ-পর্যায়ে প্রশ্ন জাগে, সংস্কৃতি বা ভাষার পরিচয় বাদ দিয়ে মানুষ ধর্মের দিকে ঝোঁকে কেন। উত্তর খুব সহজ। প্রচার-প্রসারের তুলনামূলক সুবিধা। ভাষার ভিত্তিতে যে-পরিচয়, তা প্রদর্শন করতে হলে গান, আবৃত্তি, নাচ, কিংবা অন্য কোন ধরনের সুকুমারবৃত্তির অধিকারী হতে হবে। ধর্মের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি সহজতর। দু’-দশ মাইল পর পর মসজিদ আছে, সেখানে নিয়মিত জড়ো হওয়া মুসল্লি আছে, আছে হালাল দোকান ও দোয়ার আসর। পরিচয়ের আভিজাত্যও থাকে, পরকালের নিশ্চয়তাও বাড়ে।
প্রবাসের আলো-হাওয়ায় দিনাতিপাত করলেও কম-বেশি প্রত্যেকেই সে-দেশগুলোর সংস্কৃতিকে সমর্থন করেন না। সন্তানদের সবাই গড়ে তুলবার চেষ্টা করেন স্বদেশী রক্ষণশীলতা ও সংযমের সাথে। সে-ক্ষেত্রে সংস্কৃতির শিক্ষা দেওয়া অনেক দুষ্কর, তুলনায় ধর্ম অনেক সহজ। ধর্মের পথ বিস্তারিত ভাবে সংজ্ঞায়িত হওয়াও এর পেছনে ভূমিকা পালন করে।
এভাবে ভাবার ভেতর ক্ষতির কিছু নেই। সাধারণ ভাবে বাইরে এলে সবাই একটি বেশি নামাযি হয়ে যাওয়াতেও ভ্রুকুটি করবার কিছু নেই। নিঃসহায় অবস্থায় মনকে স্থির ও শান্ত রাখতে ধর্মের উপযোগিতা অনস্বীকার্য। আমি আমার মুসলমান পরিচয় নিয়ে আর দশ জনের মতই গর্বিত। তবুও গোল বেধে যায় বাঙালি আর মুসলমান পরিচয় দু’টির মাঝে। আমার মায়ের মত ধর্মভীরু অনেকে খুব নির্বিষ ভাবেই মুসলমান পরিচয়কে বাঙালি পরিচয়ের আগে রাখেন। এভাবে ভাববার অসারতা আমার চোখে প্রকাশ পেয়েছিল উপরে উল্লেখকৃত দ্বিতীয় ঘটনার সময়। শুধু মুসলমান বলেই আমি কোন পাকিস্তানি বা রাজাকারের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে পারবো না। আমার বাঙালি ও বাংলাদেশি পরিচয়গুলো কোথায় যেন পীড়া দেয় আমাকে মনের ভেতর। সেই মর্মবেদনা থেকেই আমি জানতে পারি আমার প্রথম পরিচয় কী।
পরিচয়ের এই দ্বন্দ্বগুলো সাধারণত মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে নিজের মানুষ ও ভূমি থেকে বিচ্যুত হবার পর। এই ধারার বিপরীত একজন মানুষের সাথে আমার পরিচয়ের সৌভাগ্য হয়েছিল অনেক বছর আগে। আমার প্রবাসে আসবার পেছনে মূল চালিকাশক্তি ছিলেন অনেক শ্রদ্ধার নাভেদ ভাই। বিতর্কসংশ্লিষ্ট সবাই তাঁকে এক নামে চেনেন বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হিসেবে। ২০০৩ সালের কথা। নাভেদ ভাইয়ের সাথে ফোনে কথা বলছি ভর্তির বিভিন্ন খুঁটিনাটি নিয়ে। এমন সময় ইটিভি’তে শুরু হল মাহমুদুজ্জামান বাবুর কণ্ঠে বাংলার গান। নাভেদ ভাই বলে উঠলেন, ইশতি একটু ধরো, গানটা শুনে আসি; এই গান শুরু হলে আমি সব ফেলে রেখে একবার গানটা শুনি।
দেশটা ছেড়ে চলে যাবো কিছুদিন পর, এই বাস্তবতা মাথায় তখনই প্রথমবার আঘাত করে। সেই গানটির কারণেই পুরো একটি প্রজন্ম বাংলায় গান গায়, বাংলার গান গায়, বুঝে-শুনে গায়। শুধু আমি নই, কম-বেশি প্রতিটি মানুষেরই জীবন বন্দী হয়ে আছে এই গানের মধ্যে। প্রতুলের অসামান্য মূল গানটির চাইতে অনেকাংশে ভিন্ন হলেও বাবু’র গানটি যেন দাবানলের মত ঘিরে ফেলেছিল সবাইকে। এই গানটি না থাকলে পরিচয়ের যুদ্ধে বাংলা অনেকটাই পিছিয়ে যেত।
বাংলার গানে তাই শুধু জীবন নয়, আমার সম্পূর্ণ অস্তিত্বই বন্দী।
প্রতুলের কণ্ঠে বাংলার গানঃ
|
মাহমুদুজ্জামান বাবু'র বাংলার গানঃ
ফুয়াদের ঝালমুড়ির কৌটায় বাংলার গানঃ
Ami Banglay Gaan Gai - Laboni - Fuad Featuring
৮. রক ইউ লাইক আ হারিকেন
৭. ওবলাডি ওবলাডা
৬. মিস লংকা
৫. আমি আশিক, তুমি প্রিয়া
৪. নায়ে বাদাম তুইলা দে ভাই
৩. আজ আমার শূন্য ঘরে আসিলো সুন্দর
২. খরবায়ু বয় বেগে
১. সে যে বসে আছে একা একা
মন্তব্য
বিষয়টা আসলে খুবই জটিল, তাও চেষ্টা করেছিস বেশ সহজ করে তুলে ধরার, ভালই লাগলো! এ ধরনের আলোচনাও আমার বেশ পছন্দের।
আমি কিছুদিন আগে এরকম একটা আলোচনায় বেশ বিস্তারিতভাবে মন্তব্য দিয়েছি। ওই আলোচনার উপসংহার এসেছে আদি/ অকৃত্রিম বাঙ্গালী আর অকৃত্রিম ইসলামী সংস্কৃতি মূলত বিপরীতধর্মী, তাই এ ধরনের ক্রমকরনের প্রচেষ্টা নিয়মিত হয়, দেশ আগে না ধর্ম আগে।
তবে সবচেয়ে অবাক লাগে যখন দেখি বেশিরভাগ মানুষ কিভাবে দুটোর মাঝামাঝি, বেশ অস্পষ্ট একটি জায়গায় কি সহজে অবস্থান করে। আসলে, উপায়ই বা কি আর, কোনটা ছেড়ে কোনটা রাখবো? দুটোই তো আমাদের পরিচয়ের অংশ।
আসলেই জটিল। এ-নিয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা করে লাভ খুব কম। সাধারণ মানুষের মধ্যে বোধটুকু ছড়িয়ে থাকাটাই সাফল্যের মাণদণ্ড। এমতাবস্থায় অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে পরিচয় জানার কোন বিকল্প নেই। সে-জন্যই নিজের জীবনের এই ছোট ঘটনাগুলোর অবতারণা।
কট্টর যেকোন অবস্থানই বিপরীতের। অধিকাংশ মানুষ এই কট্টর চিন্তাগুলো থেকে সমদূরবর্তী একটি অবস্থায় থাকে। তোর শেষ অনুচ্ছেদের কথাটা তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই "অস্পষ্ট" জায়গাতেও জীবন আছে, এখানেই মুখ্য কাজগুলো হয়ে থাকে। সবার যদি এই উপলব্ধিটুকু থাকতো!
ধর্মের স্থান অন্তরে। সংস্কৃতির সাথে তাই ধর্মের কোন বিরোধ হওয়া উচিত না। নোংরা মনের "শ্লীল" কাজকর্ম যেমন ধর্ম-সংস্কৃতি উভয়ের চোখেই অন্যায়, তেমনি পরিষ্কার মনের খোলামেলা কাজও দুই দিক থেকেই স্বীকৃত। এভাবে দেখলে কিন্তু তেমন তফাৎ নেই এই দুই-এ। ধর্মকে চামড়ার ভেতর থেকে বাইরে নিয়ে এলেই যত ঝামেলা বেঁধে যায়।
হুমম, শেষ করলাম.... একটা ছোট কাহিনী মনে পরলো।
..................................................
উলমে থাকতে এক পাকি অফিসে আমাকে ধাম করে জিজ্ঞেস করলো, উর্দূ বাত করি কি না। সেটাও আবার উর্দূতে।
আমি ইঙরেজীতে বললাম, স্যরি কিছু বললে?
বেচারা একটু দমে গেল। বললো,
ইউ ডোন্ট স্পিক উর্দূ অর হিন্দি?
নো।
বাট মোস্ট আদার অব ইওর কান্ট্রি ডু স্পিক, রাইট?
ফিউ অব দেম ওনলী। নট মোস্ট। এন্ড দ্যাট ইজ প্রোব্যাবলী হিন্দি. নট উর্দূ।
ওয়েল দে আর অলমোস্ট সেইম।
আই সি ... ... মেই বি, নো আইডিয়া, রিয়েলী।
(ছোকরাকে একটু বাজানোর জন্য বললাম)... ... বাই দ্যা ওয়ে, হোয়াট ইজ দ্যা এক্স্যাক্ট লোকেশন অব পাকিস্তান?
(ছোকরা হা করে রইলো খানিকখন) ইউ নো দ্যাট ম্যান, রাইট?!!
(একটু হেসে বললাম) ইউ ওন্ট বিলিভ হাউ পুর মাই জিওগ্রাফী ওয়াজ ইন দ্যা স্কুলস!!
নো, বাট....ফরগেট ইট ... লেটস গো ফর প্রেয়ার।
ও কে।
............................................
কাহিনীটা বলতে ইচ্ছা করলো তাই বললাম।
ভালো থাকেন।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
বলে দারুণ কাজ করেছেন। এখন তো উশখুশ লাগছে এই নাটক কোন ভাবে পুনর্মঞ্চায়ন করতে।
ভারতীয় ও পাকিস্তানিরা ধরেই নেয় যে ছোট দেশ (এবং গ্রহীতা সংস্কৃতি) হিসেবে আমরা তাদের ভাষা জানবো, বুঝবো। এই ভাবটার জন্যই বিরক্তি লাগে। বাংলা হিন্দির যত কাছে, হিন্দিও তো বাংলার ততই কাছে! যদি কেউ ইংরেজি বলতে অসুবিধার জন্য নিজ ভাষায় বলতে চায়, তবে তার কথা আলাদা। অন্যথায় এই অপমানজনক চিন্তার কোন মানে দেখি না।
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিজের ভাষার বাইরে শুধু ইংরেজিটাই ব্যবহার করি। আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি প্রতিষ্ঠিত, তাই তাকেও উপেক্ষা করবার জো নেই, তাই।
আরেফীন ভাইকে স্যালুট।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দারুন খেলে দেখাইছেন ভাই , পিঠ পাইতা আন্তরিক চাপড়ানী নিয়েন।
লেখা পড়তে পড়তে ভাবতেছিলাম ইশতিয়াক রউফ ফ্যান ক্লাব খুলুম , এখন মনে হইতেছে লুত( খন্ড ত লিখতে জানিনা, হাসিবরে অনেক জিগাইছি শিখায়না)ফুল আরেফিন ফ্যান ক্লাব ও অবিলম্বে খোলা দরকার। খালি অনুমতিডা দিয়া দ্যান
ত-এর পর দুই খান ` দিবেন, তাহলেই ৎ হয়ে যাবে।
এখন ফ্যান ক্লাব জাতীয় যেকোন কিছুর খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। ব্যাঙের ছাতার মত ফ্যানের ছাতা গজাচ্ছে সব দিকে। নেই-নেই করেও ইজ্জত যেটুকু আছে, তাও যাবে।
মুজতবা আলীর গল্পের আব্দুর রহমান পানসিরের এক নাগারে কয়েক দিন বরফ পাতের বর্ণনা, সেখানকার স্বাস্হ্যকর পরিবেসের বয়ান শেষে বুক ফুলায়ে বলেছে 'ইনহাস্ত ওযাতনাম - এই আমার জন্মভূমি।' আমরা যে দেশের বাসিন্দাই হই না কেন প্রত্যেকেরই হওয়া উচিত দেশের পরিচয় দিতে আব্দুর রহমানের মত উচ্চশির।
ইসতিয়াককে ধন্যবাদ, সুন্দর পোষ্টের জন্য
কথাটা আমার এক দাদা'র মুখে শুনেছিলাম। তিনি বলেছিলেন উক্তিটি চার্চিলের। অনেকটা এরকম -- "মাই কান্ট্রি, গুড অর ব্যাড। মাই মাদার ব্রেস্ট অর আনব্রেস্ট।"
ভুল হলে ধরিয়ে দিয়েন কেউ, সঠিক উক্তিটি জানবার আগ্রহ অনেক দিনের।
অনেক গল্পের শেষে আপনার লেখায় দেশপ্রেমের অনেক কিছুই যেমন পেলাম, তেমনি প্রথম গানের শিল্পী যে 'প্রতুল' ছিলেন এটাও জানা হয়ে গেল। "গানবন্দী জীবন"-সিরিজের নতুন কোন লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
প্রতুলের অসামান্য কিছু গান আছে। খুঁজলে ইস্নিপ্সে পাবেন। ঠান্ডা গলায় গাওয়া গানগুলোর মাঝে কী অসীম শক্তি! মানুষের মুক্তির জন্য কী দুর্দমনীয় ডাক!
প্রতুলের আমিও দারুণ ভক্ত। তার গানগুলো আমাকে জীবনের অনেক কঠিন সময়ে শক্তি যুগিয়েছে। অনেক দিন পর আজ আবার শুনতে হবে তার গানগুলো।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমিও প্রতুলের গান থেকে শক্তি নিয়েছি একটা সময়। আলু-বেচো ছোলা বেচো, একদা এক রামছাগল, স্লোগান, লং মার্চ... আগুন ধরানো একেকটা গান যেন।
আমার কাছে প্রতুলেই গানটাই বেশি ভালো লাগে। শুনলে তারটাই শুনি। যদিও এই গানটার সাথে পরিচয় করিয়ে দিছে বাবু-ই। আর পুরো আলোচনায়
ধন্যবাদ, পান্থ দা। প্রতুলের গানটাই আমারও অনেক প্রিয়। আড়ম্বর কম, কিন্তু গভীরতা ও আবেগ বেশি। আর, অনেক বেশি শান্ত এক অনুভূতি কাজ করে। পেছনের বাদ্যযন্ত্রের জন্য আবেগ বেড়ে ওঠে না, কণ্ঠের হাহাকারটাই যথেষ্ট। তবে হ্যাঁ, পরিচিতির পেছনে বাবু'র গানটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ওহ হো, লেখার ব্যাপারে বলতে ভুলে গেছি।
তবে বলেই বা কি লাভ? এটা তো জানা কথাই যে ইশতিয়াক রউফ যা লিখবে তাই উপাদেয় হবে। লেখার হাতটা তো দেখতে হবে!
চামে একটু তেল মেরে দিলাম
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
তেল তো মারলেন বুঝলাম, এবার দুর্বল অবস্থার সুযোগ নিয়েন না কইলাম।
নাহ, আমি ইশতি ভাইয়ের লেখার সত্যি বিশাল ভক্ত হয়ে যাচ্ছি...।
খুবই ভালো লাগলো...লুত্ফুল আরেফীনের মন্তব্যটাও !!!!
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
দেখো কারবার... লোকে খেতে পায় না, আরেকজন ব্লগ পড়ে পড়ে সাইজে বড় হচ্ছে। পুরো বাংলাদেশকে তাহলে ব্লগ পড়ানো উচিত।
ধন্যবাদ ইশতিয়াক ভাই । এখন থেকে মনের সুখে ঘোৎ ঘোৎকরতে পারব। খন্ড- ত এর রহস্য অবশেষে সমাধান হইল।
"শেরশাহ অশ্বের ডাকের প্রচলন করেন"-এর মত এখন থেকে "ইশতিয়াক রউফ ত-কে খণ্ডিত করেন" লেখা হোক তাহলে পাঠ্যে।
- শেরশাহ'র আগে তাইলে অশ্বরা ডাকতো কীভাবে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অ্যাবসোলিউটলি...খালি একবার ক্ষমতায় গিয়া শিক্ষামন্ত্রীর গদিটা নিতে দেন...আন্নেরে রাষ্ট্রীয় খেতাবে ( গোবরে পদ্মভূষন) ভুষিত করা হবে!
সবাই ভাল ভাল মন্তব্য করেছে দেখে আমি আর মন্তব্য করলাম না। কারণ, আমি আসলে তোমার কিছু কথা নিয়ে প্রতিবাদ করব ভেবেছিলাম। কিন্তু সবাই যেখানে ভাল ভাল কথা বলেছে, সেখানে কি দরকার এসব প্রতিবাদ করে - এই ভেবে প্রতিবাদের কথাগুলা লেখা থেকে বিরত থাকলাম।
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
স্বভাব যায় না ম'লে... বলে ফেল ঝটপট...!
দুর্দান্তিস্! খুব ভাল লাগল।
ধন্যবাদান্তিস্!
ইশতি,
চমৎকার লেখা।খুউব ভালো লেগেছে!!
আপনার মনমরা ভাব কেটে থাকলেই খুশি।
'আমি বাংলায় গান গাই'- বিদেশের মাটিতে পা দেবার পর বুঝলাম বিজ্ঞানের ভাষায় এখানকার আকাশ বাতাস হয়ত বাংলাদেশের আকাশ বাতাস থেকে আলাদা নয় কিন্তু এক মুহূর্তের জন্য এতে মন ভরেনি। মনে হয়েছে দেশের মাটি, বাতাস কত আলাদা; কতটা 'আমার'। এখানে আসার আগে মনে হত দেশপ্রেম কেমন কেতাবি শব্দ। এখন বোধহয় মানেটা বুঝি, বলা উচিত অনুভব করি। যখনি দেশের কথা মনে হয়েছে গুনগুন করেছি - আমি বাংলায় গান গাই। আশেপাশে ফাকা থাকলে গলা ছেড়েই গেয়ে উঠেছি মাঝে মধ্যে। তাই এই পোস্টের শিরোনাম থেকে পড়ে দেখার লোভ সামলাতে পারিনি।
ভাই ইশতিয়াক, আপনার লেখায় নিজেদের পরিচয়ের ভেতরের দ্বন্দ্বময় দিকগুলোকে তুলে ধরেছেন। চমৎকার! বোধকরি বাঙালি মুসলমানদের ক্ষেত্রে এই ধরনের cognitive dissonance বিরল নয়। তবে এই দ্বন্দ্বময় বোঝাপরার প্রক্রিয়ায় নিজেকে ঠিক কোথায় দেখছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। একটা বিষয়ে আপনার সাথে দ্বিমত পোষন করছি। ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি যাই হোক তা যখন মানুষে মানুষে বিভেদের কারন হয়ে দাঁড়ায়, জাতিগত ভাবে কাউকে ঘৃনা করার পথে এগিয়ে দেয় তখন মনে হয় কোথাও কিছু একটা ভুল হচ্ছে।
ধন্যবাদ এই লেখার জন্য।
এই দ্বন্দ্বে আমি নিজেকে যেই পরিচয়গুলোয় দেখি, তার ক্রম হল হল বাংলাদেশি-বাঙালি-মুসলিম। বাঙালি ও বাংলাদেশিকে আলাদা করে দেখি না আমি, কারণ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের পেছনে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ভূমিকা ব্যাপক। তবুও বঙ্গ বিভক্ত ভাবে স্বাধীন হওয়া এবং বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতি মানুষের বসবাসের বাস্তবতার কারণে বাংলাদেশি আগে, বাঙালি পরে।
স্বপ্ন থেকে তৃষ্ণামোচন পর্যন্ত সবটুকু বাংলায়, তাই ধর্ম কখনও ভাষার মত স্বাভাবিকতা পায় না। শুধু তাই নয়, ধর্মান্তর সম্ভব হলেও ভাষান্তর সম্ভব না। এসব কারণেই আমি ভাষাগত পরিচয়কে ধর্মগত পরিচয়ের আগে রাখি। মূল সুর এটাই।
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-লিঙ্গ ইত্যাদি বিচারে মানুষকে "প্রোফাইলিং" করা খুবই স্বাভাবিক। একজন নারী, শ্বেতাঙ্গ, ইংরেজ, কিংবা হিন্দু আমার চেয়ে ভিন্ন। তাঁর অবশ্যই একটি অনন্য পরিচয় আছে। এই পরিচয়ের ভিন্নতা একটি স্বাভাবিক বাস্তবতা। আমার আপত্তি শুধু কারও পরিচয় বা প্রোফাইলের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বৈষম্য করায়।
অনন্যসাধারণ গান। প্রাণ ভরে যায় প্রতুলেরটা শুনলে। তাঁর "হাহাকার" উচ্চারণে পরিপার্শ্ব প্লাবিত হয়ে যায়।
বাবুও কিন্তু বেশ গেয়েছেন। যদিও "ছ"-অক্ষরটির উচ্চারণ তাঁর মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ। এই ভার্শনটিই অবশ্য আমার প্রথমে শোনা।
ফুয়াদের ঝালমুড়ির কৌটার কথা শুনে যতোটা গাত্রদাহী হবে ভেবেছিলাম, তা কিন্তু হয়নি
পাকিস্তানিকে মুড়ি খেতে বলার জন্য ইশতির জন্য রহিয়াছে
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
একদম মনের কথাটা বলেছেন। অন্য রকম একটা আবেগ কাজ করে প্রতুলের কণ্ঠে শুনলে।
আমি বাবু'কে ধন্যবাদ ও স্বীকৃতি দেই গানটিকে এই প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য।
আর ফুয়াদের কাছেও আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা এই গানটিকে নষ্ট না করার জন্য। আমার কাছেও বেশ লেগেছে এই গায়কীটা।
আমি তো তেমন কিছুই করিনি। এখানকার এক বড় ভাই তাঁর হোটেল থেকে পাকিস্তানি এক লোককে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই লোক এসে কথাবার্তা উর্দুতে চালাচ্ছিল, এবং আশা করছিল যে এভাবেই কেটে যাবে সবটা।
গানটি প্রচারে বাবুর অবদান অনস্বীকার্য। তবে গানটি যে তাঁর নিজের নয়, প্রতুলের, তা প্রকাশে ও প্রচারে তিনি স্পষ্টতই অনীহ, সে কথা অনেকবার পড়েছি, শুনেছি। খুব খারাপ লাগে তাঁর এই হীন আচরণে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এ গানের শিল্পী লাবনীর দুটো গান অনলাইনে পেয়েছিলাম ২০০৫ এ। "ভাবছি একাকী", "মুক্ত হাওয়ায়"। এরপরেও অনেক খুঁজেও তার আর গান পাইনি। পরে পেয়েছি 'আমি বাংলায় গান গাই'।
শুনেছি শিল্পী আমেরিকায় থাকেন, সেখানেই রেকর্ড হয়েছে ঐ দুটো গান।
ইশতি না শুনলে শুনতে পারেন-
"ভাবছি একাকী"
আগে শুনিনি, শুনতে মন্দ লাগলো না। তবে, মানে, গায়িকার নিবাস কোথায়, দেখতে কেমন, ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক তথ্য না থাকায় পুরোপুরি উপভোগ করতে পারলাম না।
- এই ভদ্রমহিলার গান দুইটা শুনি প্রায় বছর চারেক আগে। দুম করে সেই সময়টা ফিরে আসার আগেই গানটা চালিয়ে বন্ধ করে দিলাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রথমেই ইশতিকে ধন্যবাদ একটি বিশ্লেষণধর্মী লেখার জন্য।
আমি নিজেও লক্ষ্য করেছি যে আমরা বাইরে এসে একটা পরিচয়হীনতায় ভুগী। দেশে থাকতে বাঙ্গালী না বাংলাদেশী সেটা নিয়ে বিতর্ক হত আর এখানে আমরা বাঙ্গালী না মুসলমান তা নিয়ে বিতর্ক হয়। আর তাই পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান করা উচিৎ কি না উচিৎ তা নিয়ে মতবিরোধ হয়, ঈদ আর পুজার অনুষ্ঠান একসাথে করলে সমাজ ভেঙ্গে যাবার উপক্রম হয়, এমনকি এই প্রবাসে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলা শিক্ষাদানের চাইতে আরবী শিক্ষাদানের প্রতি বেশী নজর দেয়া হয়।
আমার নিজস্ব মতামত হচ্ছে ধর্ম এবং সংস্কৃতি দু'টি ভিন্ন জিনিস। একটি আমার বিশ্বাস আরেকটি আমার চলা-ফেরা, খাওয়া-দাওয়া, মান-অভিমান, আবেগ, আনন্দ, দুঃখ-বেদনা, সর্বোপরি আমার পূর্নাংগ জীবনযাপন । তাই একটিকে আরেকটির প্রতিদ্বন্দী না ভেবে দুটোকেই দুটি ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে সংঘাত কমে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এটাই সব কথার শেষ কথা। তবে, জীবনবিধান হিসেবে ধর্মকে ধারণ করায় এটি অনেকের কাছে পৃথক একটি সংস্কৃতির রূপ নিয়ে ফেলে। ঝামেলাটা এখানেই।
অতি অতি ভালো লেখা।
তবে পাকি আর ভারতীয়দের ভাষা নিয়ে যন্ত্রনার পেছনে কিন্তু
অনেক বাঙালি ভাইবেরাদরও দায়ী যারা
মনের আনন্দে হিন্দি চালিয়ে যেতে ভালোবাসেন।
সত্যি বলতে কি
প্রতুলের গান শোনার পর বাবুর টা ভালোই লাগেনি।
তবে চুড়ান্ত মেজাজ খারাপ হয়েছিল
সাদি মোহাম্মদের কন্ঠে এই গানটাকে নষ্ট হতে দেখে
লেখা চলতে থাকুক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ভুলেই গেছিলাম সাদী মোহাম্মদের কণ্ঠে এই গানটির কথা। ভাগ্যিস ভুলে গিয়েছিলাম!
হিন্দি জানাটা এক প্রকার উচ্চতর স্টেটাস এখন। আধুনিক যুগের আধুনিক মানুষেরা অনেক স্মার্ট হয়ে যান হিন্দিতে কথা বলে। দুঃখজনক হলেও দেখতে হয়, সইতে হয়। আমি পুরাতন বলে জগৎ আধুনিক (বা উত্তরাধুনিক!) হবে না কেন?
আমি মনে হয় বুড়ো হয়ে গেছি।
ফুয়াদ-মুয়াদদের কেন জানি খুব একটা গ্রহন করতে পারি না!
বয়স যেমনই হোক, রুচির কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও এক্ষেত্রে আপনার দলেই নাম লেখাতে হল।
এই সিরিজের অন্য সব লেখার মতই দুর্দান্ত।
গানটা ইটিভিতেই প্রথম শুনসিলাম। সম্ভবত ক্লাস নাইনে বা এইটে। আমার খুব কম গানই প্রথম শোনাতে ভালো লেগে যায়। এইটা সেই সংখ্যালঘু গানগুলার মধ্যে একটা।
একটু অপ্রস্তুত হলেও আশ্চর্য হইনি যখন গানটা প্রথমবার শোনার পর আবিস্কার করলাম চোখটা কেমন যেন ভেজা ভেজা লাগছে।
---------------------------------
তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
- সেইরকম একটা গান। লেখাটাও সেইরকম, আর সিরিজটাতো ফাটাইন্যা। চলুক বস।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
স্বপ্নাহতঃ বাইরে এসে গানটা শুনে দেখুন, বুঝবেন 'হৃদয় নিংড়ানো' কথাটা কত বেশি আক্ষরিক।
ধূগো দাদাঃ ধন্যবাদ, ব্রাদার (এইটা ধর্মের ভাই না, কুকর্মের ভাই )। অশ্বের ডাক যদি এই প্রি-খণ্ড-ত আকারের হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো এমনটা ছিল -- "আমার নাম অশ্ব, আমি পারস্যের বন্ধু, আমি এসেছি ক-শাখায় তোমাদের কিছু গান শোনাতে। এ-গান শুধু গান নয়, এ আমার ডাকও কিন্তু!"
নতুন মন্তব্য করুন