গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে চলছে গ্র্যাজুয়েশনের ধামাকা। এবারে লেখাপড়ার পাট চুকালো খুব ঘনিষ্ঠ ও সক্রিয় কিছু ছাত্র-ছাত্রী। প্রতিদিন এয়ারপোর্টে যাচ্ছি, অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদায় জানাচ্ছি কোন না কোন পুরনো বন্ধুকে।
বিশেষ দিবসগুলো বাদ দিলে গ্র্যাজুয়েশন হল বছরের সবচেয়ে উৎসবমুখর সময়। বহু দূর থেকে এসে ঘুরে যান অনেক প্রিয় মানুষ, অনেকদিন পর রাতভর আড্ডাবাজি চলে। এমনই একজন ছিল রিদওয়ান কাইয়ুম। রিদওয়ান চাপাচাপি শুরু করে কিছু একটা করার জন্য। উদ্দেশ্য খুব সহজ, লোকজনকে কিছু বিনোদন দেওয়া। সেই ইচ্ছা থেকেই দু'দিনের প্রয়াসে তৈরি হয় "ইতি"। রচনা আর নির্দেশনা ছিল মাহমুদ হারুনের। মূল চালিকা ছিল আজমীর।
তুলে দিলাম ভিডিওটি। যথারীতি, যেকোন মন্তব্য/সমালোচনা জানিয়ে যাওয়ার অনুরোধ রইলো।
ফেসবুকে আপলোড করা অখণ্ড ভিডিওঃ
ইউটিউবে ৪ খণ্ডে আপলোড করা ভিডিওঃ
প্রথম খণ্ড
দ্বিতীয় খণ্ড
তৃতীয় খণ্ডঃ
চতুর্থ খণ্ডঃ
মন্তব্য
রচনা এবং নির্দেশনায় মাহমুদ ভাইয়ের নাম দেখে দেখার প্রবল ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু কচ্ছপগতির ইন্টারনেটের কারণে আর দেখা সম্ভব হলো না...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
খোমাখাতার কল্যাণে ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছি! রিদওয়ান এক্কেরে ফাডাইয়ালাইছে!!!!!!!!!!
হায় রে ইন্টারনেটের স্পিড! কেউ দেখতে না পারলে চলে?
যমজ ভাইদের/বোনদের দৃশ্য জোড়া দিছিলা কী সফটঅয়্যার দিয়া?
প্রিমিয়ার
শেষের নাচটা যা জব্বর হইছে!
আজমীর যাচ্ছে কোথায়?
নাচটা রিদওয়ান-আফসানা'র যৌথ তাৎক্ষণিক চিন্তার ফসল। বাকি কেরামতি সব আজমীরের বের করা। পাগলা এখন বলে গ্র্যাজুয়েশন শেষ, দেশে যাবে গিয়ে। আছে আর মাত্র কয়েকটা দিন বোধহয়।
আয় হায়! যাচ্ছে কবে?
খুব সম্ভব ২৭ তারিখ। দৈবদুর্বিপাক হলে ১ তারিখ পর্যন্ত পেছানোর সম্ভাবনা আছে, তবে খুব ক্ষীণ।
ফাটাফাটি একদম!!
শম্বুকগতির নেট দিয়ে ভিডিও দেখা হইলে জানাব অবশ্যই কেমন লাগল।
আইজু-ফখরু না হতে পারি, অপেক্ষায় কিন্তু আছি ঠিকই...
গরীবের দুঃখের কথা বলি। পাক্কা ঘন্টা তিনেক সময় ব্যয় করে আট মিনিটের একটু বেশি বাফার করার পর নেট কানেকশন গেল ছুটে। সমস্যার কারণে বাকিটা বাফার করা সম্ভব হয়নি। তাই পুরোটা দেখতে পারলাম না। আরব দেশের ভাইজান যখন আম্রিকান ভাইজানের সাথে ভেতরে 'গোপন পরীক্ষা' করতে যান, সেই পর্যন্তই দেখসি। বাকিটা দেখতে হবে এখন।
যে পর্যন্ত দেখলাম, বেশ ভাল্লাগসে। বিশেষ করে অ্যাকসেন্ট। ভাইজান আর আপামনি দুইজনই দুর্দান্ত আম্রিকান অ্যাকসেন্ট দেখাইসেন এইখানে। বাসস্টপের ফাইজলামিটাও ভাল্লাগসে।
আশা করি আজ রাতের মধ্যেই বাকি অংশ দেখা শেষ করতে পারবই পারব
মারহাবা, মারহাবা। তাহলে মোটামুটি চুম্বক অংশ দেখা শেষ। বাকিটা বাংলা সিনেমা। একটু নাচা-গানা আছে এরপর।
এটা তো চরম রে ভাই। হাসতেই আছি। সবাই ভালো করেছে, তার মধ্যে ছেলে দুজনের অভিনয় বেশী ভালো লাগলো।
ছেলেদুটো কিন্তু একই ছেলে। রিদওয়ানের এই এক অঙ্গে যে কত রূপ, তা দেখিয়ে শেষ করা যাবে না। সময়ের অভাবে এটুকুতেই সীমিত রাখতে হল এবার। নয়তো আরও কিছুটা টানা যেত।
একই ছেলে? বলেন কী? এতো তাহলে কামেল ছেলে!
রিদওয়ান ভাই রকস।
মারহাবা ! মারহাবা !!
ওয়াল্লাহি! ওয়াল্লাহি!!
অতিশয় চমৎকার প্রোডাকশন। আপনারা এই বিদেশে বসে কি করছেন খামাখা? দেশে গিয়ে প্যাকেজ নাটক তৈরী করা শুরু করে দেন। সিরিয়াসলি বলছি!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
হেহ হেহ... অনেক ধন্যবাদ এই সাধুবাদের জন্য।
আজমীর অবসর সময়ে গুঁতাগুঁতি করতে গিয়ে যমজ দৃশ্য বানিয়েছিল একটা। সেই থেকেই মাহমুদের মাথায় ছিল এটা নিয়ে কিছু করার কথা। এরপর এসে হাজির হল রিদওয়ান নামক অলরাউন্ডার। এই তিন প্রতিভার সমন্বয় হল এই নাটক।
মাহমুদ এক সময় দেশে যাবে, জানি। আশা রাখি ওর নাটক বানানোর ঝোঁকটা তখনও থাকবে। আজমীর তো আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই দেশে থাকবে। একাধারে চিত্রগ্রাহক আর সম্পাদক এই বান্দা দেশে চলে যাওয়ায় এটাই শেষ প্রযোজনা আমাদের। এই দু'জন দেশে চলে গেলে হয়তো রিদওয়ানকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া ব্যাপার না। অতএব, আশা রাখতে দোষ কী?
নতুন মন্তব্য করুন