১০. জাওয়ানি জানেমান হাসিন দিলরুবা
আমার উপর সবচেয়ে প্রভাব ফেলা মানুষগুলোর একজন হলেন আমার এক সময়কার রুমমেট শোভন ভাই। আপন ছোট ভাইয়ের মত করেই আমাকে আগলে রাখতেন। গ্র্যাজুয়েট স্কুলে আসবার পরও অর্থ ও উপদেশ দিয়ে সাহায্য করেছেন অনেক। ছবি আঁকা, ছবি তোলা, প্রোগ্রামিং, আর গান শোনা নিয়ে মেতে থাকা এই চাপা মানুষটি ছিলেন প্রবাসে আমার প্রথম রুমমেট। দিনে ঘুমাতেন, রাতে জাগতেন; একেবারে আমার মতই। মিল বলতে এটুকুই।
অল্প বয়সেই অসামান্য রকম ব্যাক্তিত্ববান ও স্থিতধী এই মানুষটি তাঁর জীবনের ১৭ বছর কাটিয়েছিলেন উগান্ডায়, বাবার চাকরিসূত্রে। লুইজিয়ানা স্টেটে আসবার আগে সেখানেই কোন এক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রথমবার সে-গল্প যখন শুনতে বসি, তখন নামের পর একটি অদ্ভুত বিশেষণ শুনি – হাবা ডাবা ফ্রিকা। আমি ও আরেক সঙ্গী একটু বেকুবের মত তাকিয়ে থেকে আবার জিজ্ঞেস করলাম। দ্বিতীয়বারে বুঝলাম, তিনি বলছিলেন যে তাঁর সেই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে হার্ভার্ড অফ আফ্রিকা বলা হয়। শুদ্ধ ব্রিটিশ উচ্চারণের সাথে কিঞ্চিৎ গর্ব মিলে হাবা ডাবা হয়ে গিয়েছিল।
যাক সে-কথা। উল্টা সমস্যাও হত কোন কোন দিন। প্রবাসে বড় হওয়ার সুবাদে স্বাভাবিক ভাবেই বাংলায় কিছুটা কমজোরী ছিলেন। ভুলে ভুলে আক্ষরিক অনুবাদ করে গিটার বাজানোকে গিটার খেলা বলে বসেছিলেন একবার। আমি কঠিন কোন বাংলা বললেই ফিক করে হেসে বলতেন যে এটা তাঁর জন্য জি-আর-ই বাংলা হয়ে গেছে।
তিন বেডরুমের বাসায় বিপরীত মেরুর এই দুই মানুষ থাকতাম পাশাপাশি দুই ঘরে। আমি তখনও রান্নাবান্না শিখিনি কিছুই। ওটমিল বিস্কুট আর র্যামেন নুডুলস খেয়ে বাঁচি। রান্নায় হাতে-খড়ি হয় দুই রুমমেটের কাছেই। একজন ছিলেন মুরগিবিশারদ, আরেকজন ছিলেন নিত্য-নতুন গবেষণায় উৎসাহী। সপ্তাহের ৬ দিন ভাগাভাগি করে দেওয়া ছিল সবার ঘাড়ে। বাকি দিনটি ওয়াইল্ড কার্ড, সেদিন যে যার মত কিছু একটা খেয়ে নেবে। সব বাজার এক সাথেই হত, রান্নার খরচও ভাগ হত। খরচ কমানোর জন্য ওয়ালমার্ট থেকে ৬টি আস্ত মুরগির প্যাকেট কিনে আনতাম। টার্কির কাছাকাছি আকারের এই মুরগিগুলোর থিকথিকে চর্বি ফেলতেই কেটে যেত ঘন্টা খানেক। এরপর চলতো খাবারের ‘বরকত’ বাড়াতে বিপুল পরিমাণ আলু ও সবজি সহযোগে রান্না করা। মাঝের সময়টায় চলতো ডার্ট খেলা আর আড্ডাবাজি।
আড্ডার বিষয়বস্তু প্রায়ই আধ্যাত্মিক দিকে গড়াতো। এর পেছনে কিছুটা ভূমিকা ছিল ক্যাম্পাসের একটি গলির। স্টুডেন্ট ইউনিয়নের ঠিক পাশের রাস্তাটার নাম ছিল ফ্রি-স্পিচ অ্যালি। ওখানে দাঁড়িয়ে যেকোন কিছু বলা যেত। রক্তদান কর্মসূচী, সশস্ত্র বাহিনীর রিক্রুটমেন্ট, পথনাট্য, স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি, পোস্টার বিক্রি, ইত্যাদি মিলিয়ে খুব প্রাণচঞ্চল ছিল মাত্র ৫০ গজের রাস্তাটুকু। এসব ছাপিয়ে যেত দু’জন ধর্মযাজকের পাল্টা-পাল্টি তর্ক। একজন বাইবেল হাতে কেঁদে করে বলতেন লর্ড অ্যান্ড সেভিয়র যীশু’র কথা। ঠিক বিপরীতে দাঁড়িয়ে আরেকজন কুর’আন হাতে বলতেন যাবতীয় নাসারাপন্থা থেকে ফিরে না এলে জাহান্নামের আগুনে জ্বলার কথা। দু’টি ধর্মের মধ্যে মিল অনেক, অমিল খুব কম। তবু দু’জনই ব্যস্ত থাকতেন অমিলগুলো ব্যাখ্যার পরিবর্তে মিলগুলো নিজের দিকে টানতে। এ-নিয়ে প্রায় দিনই উচ্চকিত কণ্ঠে ঝগড়া দেখতাম আমোদের সাথে। কেউ তালি দিতো, কেউ বিরক্ত হতো, কেউ দেখেও না দেখার ভান করতো।
নিকলসন ড্রাইভের সে-বাসায় ছিল গুঁড়িগুঁড়ি তেলাপোকার ভিড়। শোভন ভাইয়ের ভাষায়, একটু বেখেয়াল হলেই মনে হবে যেন বাসার মেঝেটা দৌঁড়াচ্ছে। আমাদের দু’পাশের দুই অ্যাপার্টমেন্টে ছিল চীনা আর কোরিয়ান বাসিন্দা। তারা বলতে গেলে তেলাপোকার চাষ করতো। আমরা যেন ছিলাম দুই তেলাপোকা ক্ষেতের মাঝের আইল। দেশে যেভাবে ঘুমের মধ্যে গালে চড় কষে মশা মারতাম, তেমনি ঠুস-ঠাস তেলাপোকা মারতাম ঘুমের ঘোরেই। দু’তিন মাস অন্তর বাসা ফগিং করতে দিয়ে বের হয়ে যেতাম। ঘন্টা ছয়েক পর এসে কয়েক কেজি তেলাপোকা ফেলতাম। আহা, এরপরের কিছুদিন আমাদের সুখ দেখে কে!
এলোমেলো সেই বাসায় আমার নিয়মিত কাজগুলোর একটি ছিল গভীর রাতে রবীন্দ্রসংগীত ছেড়ে ঘর সাফ করা। ঘর ঝাড় দিচ্ছি, মুছছি, জামা-জুতা গুছিয়ে রাখছি, আর পেছনে বাজছে ঠাকুরের গান। কিছুটা বাধ্য হয়েই তাই আমার রুমমেটদের ঘুম-পাড়ানি গানগুলো শুনতে হত। ‘দেবে আর নেবে, মেলাবে-মিলিবে’ তত্ত্ব অনুযায়ী আমাকেও কিছু গ্রহণ করতে হয়েছিল। অন্য রুমমেট ছিলেন ইংরেজি ব্যান্ডের গানের ভক্ত। তাঁর গাড়িতে শুনতে শুনতে এক সময় ডুরান ডুরান আর ড্রিম থিয়েটারের ভক্ত হয়ে যাই। অন্যদিকে শোভন ভাই ছিলেন ট্রান্স, যন্ত্রসংগীত, আর পুরনো হিন্দি গানের ভক্ত।
প্রথম দিকে দু’জনের জন্যেই ব্যাপারটা খুব যন্ত্রণার ছিল। আমার তরফ থেকে শোভন ভাইয়ের জন্য বাড়তি যন্ত্রণা ছিল আমার রান্না। আমার রান্নার দিনে শোভন ভাই টিভি ছেড়ে আয়রন শেফ বা ফুড নেটওয়ার্ক সহযোগে রাতের খাওয়া খেতেন। হাতে খাবার, আর টিভি’তে অপলক দৃষ্টি। উদ্দেশ্য সহজ, আমার রান্না অখাদ্য ভুলে থাকা, চিবাতে থাকা বস্তুকে টিভিতে দেখানো স্পেশাল ডিশ বলে মনকে প্রবোধ দেওয়া। এরপর একটা সময় দেখলাম আমার রান্নার দিনগুলোয় বাকিদের মিটিং থাকে, কনফারেন্স থাকে, বাইরে খেয়ে আসতে হয়। ঘরে খাবার না থাকলে কখনও কখনও রুমমেটরা মিলে খেতে যেতাম মাইল দুয়েক দূরের এক টাকো বেল-এ। বাজারের জন্য যেতাম মাইল সাতেক দূরের এক ওয়ালমার্টে। একদিন অন্য রুমমেট এটুকুর জন্য তেলের দাম চেয়ে বসলেন। সেই থেকে টাকো বেল বাদ দিয়ে বাড়ির পাশের বার্গার কিং-এ থিতু হতে হল।
উপযাজক হয়ে গুরুদেবের গানের সাথে পরিচয় করানোর পাশাপাশি আমাকেও পরিচিত হতে হয়েছিল কিছু আউট-অফ-সিলেবাস গানের সাথে। শুরুতেই ছিল অনেক রকম ট্রান্স। টিয়েস্টো, আরমিন ভ্যান ব্যুরেন, পল ভ্যান ডাইক, রবার্ট মাইলস, প্রমুখের সাথে পরিচয় হয় এই সময়টাতেই। ট্রান্সের কিছু মৌলিক চরিত্রের সাথে তখনই পরিচয় হয়। প্রথম দিকে খুব নির্বিষ কিছু টুংটাং শোনানো হয়। এই সময়টুকু রান্নার আগের ম্যারিনেশন বলা যায়। দেড় থেকে দুই মিনিটের মাথায় যেন জেট প্লেনের মত টেক-অফ করে গান। এরপর কাজ বলতে শুধু মিনিট পাঁচেক ধরে ফ্রি-স্টাইল লাফালাফি। কোনো গান পছন্দ হলে রুমমেটরা ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে একই সাথে সে-গান ছাড়তাম, যাতে বাসার প্রতিটি কোণা থেকে সমান ভাবে গান শোনা যায়। ড্রাইভিং-এ বের হলে তো কথাই নেই। ঝামেলা বলতে ছিল এত দ্রুত গানের মাঝেও গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ইদানীং বলিউডের গানে প্রায়ই প্রাচ্যীয় এক ধরনের ট্রান্স দেখতে পাই। মূল ট্রান্সগুলোর কিছু কিছু চেনা থাকায় অনেক গান শুনলেই ফিক করে হাসি বের হয়ে আসে মূল ট্রান্সের সুর মনে পড়ে যাওয়ায়। অন্যান্য দিকে বিশুদ্ধবাদী হলেও এই ‘আধুনিক’ ঘরানার সংগীত নিয়ে আমার উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। ট্রান্স হলো অনায়াসে শুনে যাওয়ার মত গান। অনেক ক্ষেত্রেই গানের কোন কথা না থাকায় সারাক্ষণ ট্রান্স ছেড়ে রেখে ঘরের কাজ করা যায়। রান্নার সময় বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ নেই; নেই বলেই ‘কোন রাতের পাখি গায় একাকী’ শুনবার অবকাশও নেই। ট্রান্স তাই আমাকে জয় করে নিয়েছিল খুব সহজে।
তুলনায় অনেক বেশি কঠিন ছিল আমার ভেতর হিন্দি গানের প্রতি অনুরাগ জাগানো। বহু তরিকা অনুসরণ করেও এদিকে কোন সাফল্য মিলছিলো না। উথাল-পাথাল রকম ভাল কিছু না হলে আমি হিন্দি গান কানে তুলতে নারাজ। অন্যদিকে আমার রুমমেটও নাছোড়বান্দা। শেষে একদিন কৌশলে আমাকে বললেন যে হিন্দি ছবিতে সে-যুগেই কিছু ট্রান্সীয় উপাদান ছিল। খুব বিখ্যাত এক ক্যাবারে গানের কথা বললেন, বললেন সে-আমলে এমন গান কতটা আধুনিক ও বিতর্কিত ছিল। গানটি ছিল জাওয়ানি জানেমান হাসিন দিলরুবা। গানের শুরুর কথাগুলো শুনে আজও হাসি, একেবারে শুরুর বাজনাটুকু শুনে মজা পাই, আর আশা’র কণ্ঠের গুণে গানটা বাধ্য হয়েই শেষ করি। গানটা শুনলেই সেই সময়ের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের কথা মনে পড়ে যায়। সেই ক’দিনে শিখেছিলাম, মিলগুলোর উপর দখলদারিত্ব কায়েম করার বদলে তাকে কাজে লাগিয়ে অমিলগুলো দূর করার প্রয়াস মানুষকে অনেক সহজে উদার করতে পারে।
সহনশীলতার সাথে পরিচিত করানোতেই হয়তো আমি হিন্দি-বিদ্বেষী থেকে কিছুটা নেমে এসে স্রেফ হিন্দি-বিমুখে পরিণত হয়েছি। আজও নিজের পছন্দের বাংলা-ইংরেজি-ট্রান্সই শুনি, তবে অস্বস্তির ভাষাটিতে ভালো কিছু পেলে তা শ্রদ্ধার সাথেই শুনি; আগের মত ভেগে যাই না। আমার রুমমেটও প্রচুর বাংলা গান শোনেন, হাতে সময় থাকলে রবীন্দ্রসংগীতও চেষ্টা করে দেখেন। অবস্থান হয়তো কারোই নড়েনি, কিন্তু দূরত্ব কমেছে।
সেই দুই ধর্মযাজক কিন্তু আজও নিয়ম করে তর্ক করে।
[ইউটিউবে সেই গান...]
পুরনো পর্বসমূহঃ
৯. আমি বাংলায় গান গাই
৮. রক ইউ লাইক আ হারিকেন
৭. ওবলাডি ওবলাডা
৬. মিস লংকা
৫. আমি আশিক, তুমি প্রিয়া
৪. নায়ে বাদাম তুইলা দে ভাই
৩. আজ আমার শূন্য ঘরে আসিলো সুন্দর
২. খরবায়ু বয় বেগে
১. সে যে বসে আছে একা একা
মন্তব্য
খুবই ভালো লাগলো...
ধন্যবাদ রইলো। কথা হল, ভোলা ভায়ার লেখা কোথায়? সেই যে গুপি-বাঘা শুরু করলেন, সেটাও তো ঠিকঠাক শেষ করলেন না!
হা হা হা মনে হয় পচিশ বছর আগে ফিরে গেছি। আহা আমার খুব সাধের গান ছিল স্কুলে পড়ার সময়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনাদের প্রজন্মের মিলা বলে কথা!
নেমকহালালের আসল গান তো ঐটা....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
গান দেখেই মুভি ছেড়েছিলাম... মাঝপথে ঘুমিয়ে পড়ায় বাদ দিতে হয়েছিল।
এইটা শুইনা ঘুমাইছিলা?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
গান তো ইউটিউবে প্লেলিস্ট ধরে সব দেখে ফেলেছিলাম অনেক আগেই!
গানের কোরিওগ্রাফি পছন্দ হইসে
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
বুঝছি, আপনারে মিলা,র গান শুনাইতে হইবো
...........................
Every Picture Tells a Story
গান তো সেই কবে থেকেই শুনছি... স্টেজের কাছাকাছি থেকে (কিংবা দূর থেকে টেলিফোটো লেন্সে) গান দেখাবেন কিনা বলেন! মুরুব্বি কেউ সাথে থাকলে বাপের ঝাড়িটা খাওয়ার চান্স কম একটু।
@ Yahoo! Video
দেখেন
...........................
Every Picture Tells a Story
ইয়ে মানে... থাক, বাকি আবদার সাক্ষাতেই করবো।
আরও দারুণ একটা পেয়েছিলাম। মেটাল গানের সাথে মিলা। ভিডিওটা হাতের কাছে নেই। দুর্দান্ত ছিল।
আহাহা তখনকার "অমিতাবচ্চন' ! বললে হবে?
আর হ্যাঁ ছোটবেলায় আমার বাপু শশী কাপুরকেও দারুণ লাগত৷
-------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আমার তো তখন একেবারেই গ্যাঁদা বয়স। ডায়াপারও ছেড়েছি কিনা সন্দেহ আছে। তবে আরেকটু বড় হয়ে মামা-চাচাদের দেখাদেখি মিঠুন আর অমিতাবচ্চনরে ভালো পাইতাম আমিও।
বরাবরের মতো এবারো মুগ্ধ লেখা পড়ে
এই গানটা আমাদের ছোটবেলার অনেক হিট গানের একটা। কত যে নাচানাটি করেছি এই গানের সাথে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
নাচের অভিজ্ঞতা নেই, তবে এই সময়টার গানগুলোর সাথে আরও অনেক রকম অভিজ্ঞতা/স্মৃতি জড়িয়ে আছে। দেখি, পরে কোন সময় লিখবো নে সেই কাহিনী।
আপাতত অন্য রকমের গানও শুনে দেখুন একটা।
রবার্ট মাইলস -- চিলড্রেন
দুর্দান্ত লেখা। খুব...খুব ভাল লাগল।
যাক, কম দুঃখের কোন গানবন্দীও ভাল লাগলো তাহলে তোমার...
আরে, তেলাপোকা নিয়ে তোমার দুর্দশা আর কষ্টের জন্যই না লেখাটা এত ভাল লাগল!
ইশতি, লেখাতে দশ লক্ষ তারা!
খালি গানের শিরোনামে 'হাসিন' হবে না---'হাসিনা' হবে!! এট্টু খিয়াল কইরা---
অনিকেত'দা, 'হাসিনা' না, 'হাসিন'ই হবে
তাই নাকি মিয়া?? গানটা শুনে মনে হচ্ছিল আশা 'হাসিনা' 'হাসিনা' করছেন---
ভাল কথা, আশা ভোঁসলে আউয়া-me-লীগে যোগ দিলেন কবে??
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ছে মহঃ রফির গাওয়া আরেক আওয়ামী লীগের গান--' ও হাসিনা জুলফ ওয়ালী'-----
শুধু তাই নয় বলিউডের স্বীকৃত ভাঁড় গোবিন্দ একটা ছবিতে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে নায়িকা কে তাড়া করতে করতে গেয়েছিল ' হাসিনা মান যায়েগী'----
বলিউডের এহেন আওয়ামী লীগ প্রীতির কারণ কী?---জাতি জানতে চায়
একই সাথে হিন্দি গানে খালেদাকে অন্তর্ভুক্ত না করার এই হীন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র পেতিবাদ ও দিক্কার জানাই----
এখানে গানের কথাগুলো দেখতে পারেন। অথবা এখানে।
হা হা হা। ভাল জিনিস ধরেছেন তো! ঠিক! বলিউডের এই অতিরিক্ত হাসিনা-প্রীতি এবং অতি মাত্রায় খালেদা-উপেক্ষার তেবরো পেতিবাদ ও দিক্কার জানাই
সব কথাবার্তা তো অতন্দ্র আর অনিকেত-এর মধ্যেই শেষ। আমি সাধারণ মানুষ এর মধ্যে না ঢুকি আর। অনিকেত দা'কে ধন্যবাদ রইলো অনেক।
খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে, বলিউডের এই হাসিনা-প্রীতির পেছনে আওয়ামী লীগের সম্মানী দিয়ে সম্মান অর্জনের কোন দুরভিসন্ধি লুকিয়ে আছে কিনা।
- বলিউডের লোকজনের মধ্যে বিপুল পরিমানে জাকের পার্টি প্রীতিও লক্ষ্যনীয়। প্রায়শঃই গানে, ডায়লগে গোলাপ ফুলের মহিমা প্রকাশ করে। "তুমহারি গুলাবি গুলাবি হোটোমে হাম লোগ 'কিছু একটা' কর বেঠেঙ্গে"!
এরশাদচাচু প্রতিবাদে নামতেই পারেন, লাঙ্গল নিয়া কেনো বলিউডি গানগুন হয় না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভিসিআরে লুকিয়ে অনেকবারই এ গানটা দেখেছি।
আজমীর সেদিন বলছিল ভিসিআরে নাকি ওরা "দিলওয়ালে দুলহানিয়া" খুব চালাচালি করতো। আন্টিরা অবাক হতেন ছেলেগুলো এই সিনেমাটা এত পছন্দ করে দেখে। আহারে, ছেলেগুলো কত অনুভূতিপ্রবণ...
ভাই, আপনি আসলেই গুরু...
ব্যাপক মজাক পাইলাম- বিশেষত তেউলাচ্যুয়ার কাহিনী পইড়া...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
চুরারে চুয়া বানায় দিলেন? ইন্দুরে কামড়াইলে তো ঐ বাসায় থাকতামই না! ও-বাসায় এত বেশি তেলাপোকা ছিল যে ডাল বাগার দিতে গেলে মাংসে তেলাপোকা ঢুকে যেতো। কী যে যন্ত্রণায় ছিলাম...
ভাল লাগল এই সিরিজের অন্য গুলোর মতই
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
থেংকু, থেংকু!
অনেক দেরিতে মন্তব্য করছি, কিন্তু মন্তব্য না করে উপায় নেই। আহা পারভীন ববি!! পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দরী মহিলা! উনি নেচে নেচে ধারাপাত পড়লেও মূর্চ্ছা যাবো, আর এখানে তো আশা ভোঁসলে এমন অসাধারণ গানটা গেয়ে দিলেন।
বড় ভালা পাইলাম রে ভাই!
মজা লাগে যখন এই গানগুলো অন্যের জীবনের কোন বিশেষ ফ্রিকোয়েন্সির সাথে মিলে যায়... বিশেষ করে পুরনো গানগুলোর বেলায়...
ওরে শালে! লেখা যা লিখছস, তার পরে গানটা না শুইনা উপায় থাকে?
শুনলাম, বেশ ভালই লাগলো। হিন্দি গানে আমারও তোর মত অবস্থা, সাধারণত ভাল লাগে না! সুতরাং এই ভাল লাগাটা কিছু একটা!
লেখাটার মধ্যে দারুন কিছু হিউমার এলিমেন্ট ছিল! দুইবার জোরে হাসলাম।
লিখতে থাক এইভাবে, দোস্ত।
হাস্যরস পেলি কোথায় রে আবার? নাহ, নিজের লেখা নিজেরই পড়ে দেখতে হবে।
আমি হিন্দি/উর্দুতে একেবারে মূর্খ। ব্যাপার না, উপযুক্ত 'রুমমেট' পেলে আধুনিক হইতে কয়দিন!
গুল্লি লেখছ মিয়া!!!
রান্নাবান্না কিন্তু রেডি!
ভাবি নাকি অধমের জন্য দই না কী একটা এই প্রথম রাঁধলেন। আমি বলেছি আগে যেন তিনি নিজেই চেখে দেখেন। লাড্ডু খাওয়ার আগে দই খেয়ে মরলে চলে?
আমি খানিকটা চেখেছি। বিচারের ভার অবশ্য তোমার হাতে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আরে জোরসে হাসেন...
- আসেন আকু চাচুর মতো (বিদিশার) বুকে বুক মিলাইয়া আমরা 'কাম-আনডান' শুনি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো দাদা দেখি আমার কাঁধের উপর বসে ছিলেন! "কাম আনডান" প্রথম শুনি কিন্তু ওয়ালমার্ট যাওয়ার সময়ই। রুমমেটের গাড়িতেই ডুরান ডুরানের সাথে পরিচয়।
ডুরান ডুরানের সাথে আমার প্রথম পরিচয় মনে হয় ২০০৩/৪ এ। দ্য সেইন্ট সিনেমা দেখে, 'আউট অভ মাই মাইন্ড' গান শুনে।
এত্তগুলা দারুণ ছিল এই সিরিজটা!
আহ, পুরানা সচলগুলো সব গায়েব হৈয়া গেসে এক্কেবারে! কিছু হৈলো!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন