ডিজিটাল বাংলাদেশঃ ৩-২ [দেশজ আন্তর্জাল -- শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োগ]

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি
লিখেছেন ইশতিয়াক রউফ (তারিখ: শুক্র, ১৬/১০/২০০৯ - ১:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


১ - ভিশন ২০২১
২ - জাতীয় পরিচয়পত্র
৩ - ১ দেশজ আন্তর্জাল -- কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োগ

দেশজ আন্তর্জালঃ শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োগ

শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সকল পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রধান সমস্যাগুলো নিম্নরূপঃ

  • মানসম্মত শিক্ষকের অভাব,
  • পাঠ্যপুস্তকের নিম্নমান,
  • বয়সভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যর্থতা,
  • শিক্ষানীতির রাজনীতিকীকরণ।

এই সমস্যাগুলোর কিছু অবকাঠামোগত এবং কিছু নীতিগত। দেশজ আন্তর্জাল ব্যবহার করে অধিকাংশ অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান সম্ভব। রাজনীতির চরিত্রের কারণে বাংলাদেশে সরকার বদলের সাথে সাথে আগের আমলের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করে দেওয়া হয়। এই অপচর্চার প্রভাব শিক্ষাক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতিকর। তবুও শিক্ষাব্যবস্থার উপর এই খড়্গ নেমে আসার কারণ হলো, একটি জাতির ভবিষ্যৎ চরিত্র গঠনে শিক্ষার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

বিদ্যালয়ে বাংলা বর্ণমালা শেখানো হবে, নাকি আরবি বা ইংরেজি, তা নীতিগত ব্যাপার। যেই বর্ণমালাই শেখানো হোক না কেন, তা ছাত্রছাত্রীরা শ্লেটে লিখে লিখবে, নাকি কম্পিউটারে, তা অবকাঠামোগত ব্যাপার। ক্ষমতায় যারাই থাকুক, নীতি যেমনই হোক, দেশের প্রয়োজনে শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়নের গতি অপরিবর্তিত থাকা উচিত। সে-কারণেই প্রাথমিক ভাবে আলোচনা করা হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিষয়ে। পরবর্তীতে নীতিগত দিকেও সম্ভাব্য প্রভাব আলোচনা করা হবে।

শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়নে দেশজ আন্তর্জাল
অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের জন্য গণমাধ্যমে নামমাত্র কিছু অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় সময়ে সময়ে। এই জড়ভরতসম অথর্ব প্রচারণার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে আমাদের উচিত শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য সংকলনের পদক্ষেপ নেওয়া। প্রকল্পের সফলতা নিশ্চিত করতে প্রথমেই কিছু ব্যাপার স্পষ্ট করা প্রয়োজন।

  • এই সংকলনের উদ্দেশ্য কী হবে,
  • এর সুবিধাভোগী কারা হবেন,
  • বিদ্যমান ব্যবস্থার আপেক্ষিকে এর অবস্থান কোথায় হবে।

উপর্যুক্ত প্রশ্নগুলোর জবাবের মধ্য দিয়েই আলোকপাত হবে সম্ভাব্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপর।

সংকলনের উদ্দেশ্যঃ
বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের এক বছরের জন্য একটি শ্রেণীতে পড়াশুনা করতে হয়। পাঠক্রম অনুযায়ী প্রতি বছরান্তে যে-পরিমান শিক্ষা দান করা হয়ে থাকে, তার দার্শনিক রূপ নির্ণীত হয় শিক্ষানীতিতে। শিক্ষানীতি অপরিবর্তিত রেখে গাঠনিক বিন্যাসের সময় এই তথ্য ও নির্দেশনাগুলো বিশ্লিষ্ট, উন্মুক্ত, ও বিস্তারিত অবস্থায় থাকলে তা খুব সহজেই অনেকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, কাঠের আসবাব বানানো শেখার জন্য কারিগরী বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া, কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করতে শেখার জন্য মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার চেয়ে বিষয়ভিত্তিক তথ্য ও পাঠ সহায়িকা সহজতর। অতএব, তথ্য সংকলনের পেছনে মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত শিক্ষাব্যবস্থাকে ক্ষুদ্রাংশ বা ক্লাস্টারে বিশ্লিষ্ট করা, যাতে বিদ্যা অর্জনের জন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া বাধ্যতামূলক না হয়। এটি এই সংকলনের পেছনের প্রথম উদ্দেশ্য।

পাঠক্রমের বিকেন্দ্রীকরণ করা হলে পৃথক ভাবে এর অংশগুলোর উন্নয়ন সহজ। অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিস্তারও সহজ এবং মানসম্মত করে তোলা সম্ভব এই পন্থায়। বর্তমানে একজন প্রবাসী পেশাজীবির পক্ষে চাইলেই নিজ বিষয়ে বিদ্যমান তথ্যভাণ্ডারের উন্নতিতে ভূমিকা রাখা সম্ভব নয়। অর্জিত জ্ঞান বিতরণের জন্য তাঁর কাছে একটাই পথ আছে – প্রবাসের সফল ও স্বচ্ছল জীবন ছেড়ে দেশে ফিরে নামমাত্র বেতনে শিক্ষকতা করা। কাজের স্বাধীনতা, গবেষণার সুযোগ, সামাজিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা, উন্নত জীবনমান, অপত্যস্নেহ, ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে প্রবাসী পেশাজীবিদের দেশে ফেরা হয়ে ওঠে না। দেশের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা থাকলেও ব্যক্তিজীবনে এই প্রতিবন্ধকতাগুলো অনস্বীকার্য। প্রবাসীদের কাছ থেকে এই সম্ভাব্য সহায়তার সদ্ব্যবহার হতে পারে এই সংকলনের পেছনে দ্বিতীয় উদ্দেশ্য।

উদ্দেশ্য দু’টি সফল ভাবে পূরণ করা গেলে তার প্রত্যক্ষ সুফল দেখা যাবে দেশের ভবিষ্যৎ রূপায়ণে।

সংকলনের সুবিধাভোগীঃ
প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, কোনো কাজ একবার ঠিক ভাবে করলেই তা বারবার সঠিক ফলাফল দেওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়। সঠিকতা নিরূপণে বাড়তি সময় দিতে না হওয়ায় কোনো ধারণার সহজ ও সুলভ প্রসারে প্রযুক্তির ভূমিকা অতুলনীয়। এ-কারণে প্রযুক্তির আলোকে সংস্কারকৃত শিক্ষাব্যবস্থার কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরী যা প্রযুক্তির এই সুবিধাজনক দিকটির সদ্ব্যবহার করে।।

প্রথমত, শিক্ষা ব্যবস্থাকে হতে হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শুরুতেই কিছুটা বাড়তি কষ্ট করে একটি কার্যকর পদ্ধতি দাঁড় করাতে হবে যা পরবর্তীতে মানুষ অনায়াসে নিজের কাজে লাগাতে পারবে।

দ্বিতীয়ত, এই শিক্ষাব্যবস্থাকে হতে হবে সর্বজনের জন্য প্রযোজ্য। সার্বজনীনতা নিশ্চিত করতে ভালো-মন্দ নির্বিশেষে সবার সব চাহিদাকে হিসেবে নিতে হবে।

মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে মৌসুমী অনুষ্ঠান নয়, প্রতিটি পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ের উপর থাকতে হবে বিস্তারিত পাঠ-সহায়িকা। সরকারী ভাবেই বিস্তারিত পাঠ-সহায়িকা থাকলে নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষ অংশটুকু ছাত্র-ছাত্রীরা খুঁজে নিতে পারবে। পাশাপাশি কমে আসা উচিত গাইডবুক নামক ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব।

গাইডবই ও কোচিং সেন্টারের প্রসার শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ‘ক্ষতিকর’, তা আজ সাধারণ জ্ঞানের অংশ। তবে, এই সংস্কৃতি একটি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থার একটি কার্যকর নিরূপক। শিক্ষার্থীদের এই ব্যাপক চাহিদা ইঙ্গিত করে যে সরকারী কার্যক্রমে তাদের চাহিদাপূরণ হচ্ছে না। সরকারের তরফ থেকেও একক ভাবে এই চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।

এমতাবস্থায় সরকার একটি উন্মুক্ত অবকাঠামো তৈরি করতে পারে যেখানে উইকি কিংবা প্রচলিত ওপেন-সোর্স মডেলের মতো করেই পাঠ্যপুস্তক তৈরি হবে। ব্যবসায়ীরা সেই তৈরি পাঠ্যপুস্তক নিজেদের মতো করে মুদ্রণ করে মুনাফা করতে পারবেন। এই পন্থায় প্রত্যেকেই নিজস্ব আগ্রহের অংশটুকুতে অধিকতর মনোনিবেশ করতে পারবেন। প্রকাশকের কাছে যেমন মুনাফার তুলনায় পুস্তকের মান গৌন, তেমনি একজন শিক্ষাবিদের কাছে শিক্ষার মানের তুলনায় আর্থিক মুনাফা গৌন। উন্মুক্ত কাঠামো তৈরি করা গেলে একজন ভূতত্ত্ববিদ যেমন বিক্রি-বাট্টার চিন্তা না করে পাঠ্যপুস্তকের একটি বিশেষ অনুচ্ছেদ আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে পুনর্লিখন করে দিতে পারবেন, তেমনি একজন প্রকাশক নির্দিষ্ট তারিখের পর একটি তৈরি বই মুদ্রণ করে নিজের ব্যবসা এগিয়ে নিতে পারবেন।

বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় এত বড় জটের একটি বড় কারণ হলো প্রত্যেককেই বাধ্যতামূলক ভাবে সর্ববিদ্যাবিশারদ হতে হওয়া। এই বাস্তবতা পরিবর্তনের প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে উল্লেখকৃত নীতিগত সিদ্ধান্তটুকু।

বিদ্যমান ব্যবস্থার আপেক্ষিকে এর অবস্থানঃ
অনেক কম মাত্রায় হলেও ভালো শিক্ষকের অভাবটি পাশ্চাত্যেও অনুভূত হয়। এর সমাধান হিসেবে গুণী শিক্ষকদের ক্লাসগুলো একযোগে প্রচারিত হয় বিভিন্ন ক্যাম্পাসে। ভার্জিনিয়ায় বসে যে-লেকচার দেওয়া হয়, তা ওয়াশিংটন ডিসি থেকে স্যান ডিয়েগো পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা দেখতে পারেন। যেখানে সুযোগ আছে, সেখানে হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যবহার করে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, অন্যত্র রেকর্ড করা রাখা হয় শিক্ষার্থীদের জন্য। এমন মডেল বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে শিক্ষক চাইলেও তাঁর ছাত্রদের উন্নত শিক্ষা দিতে পারছেন না, সেখানে প্রযুক্তি খুব সহজেই সমাধান এনে দিতে পারে। লোকাল নেটওয়ার্কে খুব সহজেই এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়। এর ফলে দেশজ আন্তর্জাল গড়ে তোলার প্রত্যক্ষ ও প্রাথমিক সুফলভোগী হতে পারে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। বহির্বিশ্ব থেকেও এতে খুব সহজে বিনিয়োগ ও রসদ যোগানো সম্ভব হবে।

প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার সময় বয়স্ক শিক্ষার ব্যাপারেও ধারণা সংশোধন করতে হবে। বর্তমানে বয়স্ক শিক্ষা বলতে আমরা বুঝি টিভির পর্দায় রহিম ভাইকে অ-আ-ক-খ শেখানো। মানুষকে সাক্ষর করেই শিক্ষিত বলে দাবি করার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের। অদূর ভবিষ্যতে প্রায় প্রতিটি ঘরেই একটি করে কম্পিউটার থাকবে। মোবাইল কম্পিউটারের সূত্রে ইন্টারনেট সুবিধাও থাকবে কম-বেশি। এই সুযোগটুকু মানুষের ক্ষমতা এক ধাক্কায় অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। আচমকা বেড়ে যাওয়া এই ক্ষমতাটুকুকে কাজে না লাগালে তা এক পর্যায়ে ছিনতাই হয়ে যাবে আন্তর্জালের কুৎসিত দিকটির হাতে।

এই দর্শন মাথায় রেখে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এমন ভাবে সাজাতে হবে যাতে প্রতিটি মানুষ বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, ইতিহাস, ইত্যাদি নিয়ে ধারণা পেতে পারে। শুধুমাত্র বর্ণমালা মানুষকে শিক্ষিত করে না। বর্ণমালা আবিষ্কারের আগেও শিক্ষিত, সংবেদনশীল মানুষ ছিল। দেশব্যাপী তথ্যগুলো মানুষের জন্য প্রস্তুত করা গেলে অনেক নিরক্ষর ব্যাক্তিও শিক্ষার আলো পাবেন, ধীরে কিন্তু নিশ্চিত ভাবে আমাদের সমাজ থেকে দূর হবে অসারতা। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম লক্ষ্য হতে হবে আধুনিক চিন্তার উদার মানুষ গড়ে তোলা। নীতিগত ভাবে এই দিকটি স্পষ্ট হওয়াই যথেষ্ট নয়। সংগঠিত উগ্রবাদী প্রয়াসের কাছে সুনীতি অনেক ক্ষেত্রেই পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়। মুক্তবুদ্ধির প্রসারের কাজটি তাই অনেক আগ্রাসী ভাবে করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা রূপায়নের সময় এই বিষয়টি মাথায় রেখে কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অংশে শিকড় গেড়ে বসা কুসংস্কার আর কূপমণ্ডুকতা থেকে বের হয়ে আসবার জন্য গ্রন্থাগার গড়ে তুলতে হবে, মানুষকে মুক্তচিন্তার স্বাদ দিতে হবে। কাজটি কঠিন, কারণ সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক বাস্তবতার দরুণ গ্রন্থাগারে যাওয়ার সংস্কৃতি ক্ষয়িষ্ণু। ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারের ধারণাকে তাই ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করতে হবে অনলাইন গ্রন্থাগারে।

শিক্ষক ক্লাসে যা পড়াবেন, তা যথাযথ নির্দেশনা সহ প্রস্তুত করে রাখা যায় তাঁর জন্য। বছর-ওয়ারি হিসেবের পরিবর্তে সপ্তাহ-ওয়ারি ভাবে সাজানো যায় শিক্ষার উপাদানগুলো। প্রতিটি বিষয়ে প্রতিটি ক্লাসের জন্য এমন ৪০টি ক্লাস লেকচার তৈরি রাখা যায়। এক্ষেত্রে পাশ্চাত্যে প্রচলিত আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থাগুলো থেকে অনুবাদ করে সহায়িকা তৈরি করা যায়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দিয়ে বিভিন্ন রকম অ্যানিমেশন ও লেকচার স্লাইড তৈরি করানো যায়। সরকারের দিকনির্দেশনা থাকলে এই ঘর-গোছানো কাজগুলো খুব সহজেই সমাধা করা সম্ভব। এই শিক্ষার পাশাপাশি থাকবে দেশ, জাতি, ভাষা, ও ইতিহাস বিষয়ক অনেক বিষয়াদি, যা মানুষকে সচেতন করবে তার নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে।

ছবিঃ "পথের রাজকন্যা" (প্রিন্সেস অফ দ্য স্ট্রিটস) -- শোভন নাজমুস

(চলবে)


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মৃদুল ভাই ক্রমাগত উৎপাত না করলে লেখায় হাত দেওয়া হয় না।
স্বাধীন ভাই অনেক দিন পর দেশচিন্তা নিয়ে কিছু লেখা না লিখলে এই সিরিজটার কথা আবার মনে পড়ে না।
নুহিন দেশ নিয়ে কী ভাবছি জিজ্ঞেস না করলে যাবতীয় আলস্য আর সংকোচ ঝেড়ে লেখাটা প্রকাশ করা হয় না।

এলোমেলো অবস্থায়ই প্রকাশিত। ত্রুটি মার্জনার অনুরোধ রইলো।

রিপন এর ছবি

খুব তথ্যমূলক প্রবন্ধ।

স্বাধীন এর ছবি

অবশেষে ইশতির সময় হল। আমার পরের পর্বটিও শিক্ষা নিয়ে। কিন্তু লেখাটি পড়ে আছে কাগজে। কিছুটা ব্যস্ত পারিবারিক ঝামেলায়। এই সপ্তাহে কাগজ থেকে ডিজিটালে রূপান্তর করে ফেলবো। সেখানেই যা বলার বলবো। এখানে আর কিছু যোগ করলাম না। শুধু হতাশা একটিই, করা সম্ভবতো অনেক কিছুই। কিন্তু করবে টা কে? আমার প্রধান চিন্তা কি করা যায় সেটা নয়, কিভাবে করা যায় সেটা। এই দিকটিও চিন্তায় রেখো।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমারও "পারিবারিক" কারণে সময় একটু কম, জানেনই তো। খাইছে

বাস্তবায়নের চিন্তা আমার মাথায়ও ঘোরে। তা নিয়ে লিখিনি প্রথমত দেশের বাইরে অনেক দিন ধরে, তাই। দ্বিতীয়ত, একটা নীতিমালা দাঁড়িয়ে গেলে তার আলোকে যে-কেউ বাস্তবায়ন করতে পারেন। ভরসা তাই অন্যের উপরেও রেখেছি বলতে পারেন।

সচল জাহিদ এর ছবি

ইশতির এই ভিশন ২০২১ এর আলোকে লেখা সিরিজটি চলতে থাকুক আর সেই সাথে স্বাধীন ভাইয়ের দেশ চিন্তা সিরিজটিও। ইশতির লেখার এই ভিশন ২০২১ আওয়ামীলিগের নির্বাচনী ইশতিহারের অংশ। মজার তথ্য হলো নাগরিক কমিটি ২০০৬ এর উদ্যোগে আর সিপিডির ব্যানারে বাংলাদেশ ভিশন ২০২১ নামে একটি বই বেরিয়েছিল ২০০৭ এ যার ইংরেজী কপি আন্তর্জালে পাওয়া যায়। আমি এর ভাবানুবাদ করার চেষ্টা করছি । ২০২১ সালের মধ্যে মোট আটটি উদ্দেশ্য পূরণের জন্য বাংলাদেশকে কিভাবে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ তার নির্দেশনা আছে এই বইয়ে। আশা করি কিছুটা এগোলে সচলে নিয়মিত দিব।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

জানতাম না যে এই নিয়ে আগেও লিখে ফেলেছেন কেউ। পণ্ডশ্রম হয়ে না যায়, সেটাই ভয়। ব্যাপার না। আমার চিন্তাগুলো আমার মতো করে লিখে যাই, পরে মিলিয়ে নেওয়া যাবে। খাইছে

সচল জাহিদ এর ছবি

ইশতি আরে না না তোমার লেখাত হলো তোমার ধ্যান-ধারণা প্রসূত। এই লিঙ্কটা থেকে ডাওনলোড করে নাও সিপিডির লেখা বইটি তাহলেই আসল ঘটনা বুঝতে পারবে।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

স্বাধীন এর ছবি

এটা কিছুটা দুঃখ জনক লাগছে আমার কাছে। তাঁরা তাঁদের রিপোর্টটি কি শুধুমাত্র বিদেশীদের জন্যই লিখেছে? তিন বছর হয়ে গেল রিপোর্টটি প্রকাশের, কিন্তু বাংলা অনুবাদ তাঁরা দেয়নি। ধরে নেওয়া যায় যে, সেটা নিয়ে তাঁদের মাথা ব্যাথাও নেই। যা হোক, পরে পড়বো। আপাতত নিজের চিন্তাগুলো লিখে নেই। আর তুমি যদি অনুবাদ শুরু করো তাহলে সেখানেই পড়বো :)।

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

সিপিডি প্রথমত সংকলন সাধারনত ইংরেজিতেই করে থাকে। তবে কোন কোন প্রকাশনার জন্য তারা বাংলা অনুবাদ করে থাকে। সেই অর্থে অনুবাদে তাদের মাথাব্যথা নেই এটা পুরোপুরি ঠিক নয়। কিন্তু অনুবাদের জন্য অর্থায়ন একটা বিষয়, আবার টেকনিকার বিষয়ে ভাল অনুবাদক পাওয়াও একটা সমস্যা। আর যারা এই সব রিপোর্ট লিখে থাকেন তাদের অনেকেই ইংরেজিতে লেখায় অভ্যস্ত; এটাও একটা কারন হতে পারে।

স্নিগ্ধা এর ছবি

বহু বছর আগে সি পি ডি তে কাজ করেছিলাম অল্প কিছুদিনের জন্য, তখনও যদ্দুর মনে পড়ে রিপোর্ট টিপোর্ট ইংরেজীতেই হতো। আমার নিজেরও ধারণা অর্থ এবং যথাযথ অনুবাদ না হওয়ার ঝুঁকির কারণেই বোধহয় বাংলা ভার্সনগুলো করা হয় না।

হাসিব এর ছবি

। ইশতির লেখার এই ভিশন ২০২১ আওয়ামীলিগের নির্বাচনী ইশতিহারের অংশ। মজার তথ্য হলো নাগরিক কমিটি ২০০৬ এর উদ্যোগে আর সিপিডির ব্যানারে বাংলাদেশ ভিশন ২০২১ নামে একটি বই বেরিয়েছিল ২০০৭ এ যার ইংরেজী কপি আন্তর্জালে পাওয়া যায়। আমি এর ভাবানুবাদ করার চেষ্টা করছি ।

তো কি দাড়াইলো শেষ পর্যন্ত ? রাজনৈতিক দলের ইশতেহার পড়তে আমরা সচলে আসবো ?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

উহুহু... ভুল বোঝাবুঝি লেগে যাওয়ার আগে আমি একটু নাক ঢুকাই।

এটা কোনো ইশতেহার না। যেমনটা প্রথম পর্বে বলেছিলাম, এবারের নির্বাচনের আগে "ভিশন ২০২১" ও "ডিজিটাল বাংলাদেশ" কথা দু'টা খুব বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। কৌতূহল থেকেই আওয়ামী লীগের ইশতেহার খুলেছিলাম। সেখানে দেখলাম কিছুই নেই বলতে গেলে।

মানুষ তো মেঠো বক্তব্যের জের ধরে "ডিজিটাল বাংলাদেশ" এর স্বপ্ন দেখা শুরু করে দেবে/দিয়েছে, অথচ এর পেছনে কোনো নীতিমালা নেই এখনও। সে-কারণেই নিজের ভাবনাগুলো গুছিয়ে লেখার চেষ্টা এটা।

একেবারেই কোনো রকম রাজনৈতিক অভিলাষ বা সংশ্রব নেই এই লেখায়। সেভাবে কেউ দেখে থাকলে ভুল বুঝবেন। আগেও একটা সিরিজ লিখেছিলাম "নিজস্ব ধাঁচের গণতন্ত্র" নামে। সেটার পেছনে ট্রিগার ছিলো মইন ইউ আহমেদের মুখে এই কথাটার অতিব্যবহার। এটার পেছনে ট্রিগার হলো বিনা প্রস্তুতিতে "ডিজিটাল বাংলাদেশ"-এর অতিব্যবহার।

বোঝাতে পারলাম? হাসি

হাসিব এর ছবি
সচল জাহিদ এর ছবি

ইশতির সাথে আমিও যোগ করি কিছু,

২০০৬ সালে নাগরিক কমিটি গঠিত হয় দেশের বিভিন্ন সেক্টরের বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে। তারা সবাই মিলে সিপিডির ব্যানারে একটি বাংলাদেশ ভিশন ২০২১ প্রণয়ন করে ২০০৭ এর আগষ্টে। গত নির্বাচনের আগে তারা দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে এই দলিল হস্তান্তর করে। আওয়ামিলীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ব্যবহৃত 'ভিশন ২০২১' এই দলিল থেকেই প্রাপ্ত বলে আমার ব্যক্তিগত ধারণা। এইখানে এটি পাবেন।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

আমি [অতিথি] এর ছবি

মজার ব্যাপার হল, আমাদের নীতি যথেষ্ট আছে। কেবল বাস্তবায়নের অভাব।
নীতি বানানোর জন্য অনেকেই কাজ করছেন, কেবল কাজ করছেন না তা বাস্তবায়নের জন্য। আশা করছি, নীতি বানানোর পাশাপাশি কেউ কেউ তা বাস্তবায়নের জন্যও এগিয়ে আসবেন।
কী কী করা উচিত তা আমরা অনেকেই জানি, শুধু করা হচ্ছে না মন খারাপ

নীতি বানানোর ব্যাপারটা রাষ্ট্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানুষের জন্য রেখে দিয়ে বাকিরা আমরা সেটার বাস্তবায়নে লেগে যেতে পারিনা? নতুন নীতিমালা প্রস্তাবের চেয়ে বর্তমান নীতির বাস্তবায়ন নিয়ে কিছু কথাবার্তা হলে ভালো হয়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

নীতি আছে, তবে সেই নীতিতে দুর্বলতাও আছে অনেক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নীতিগুলো অন্ধ অনুকরণের দোষে দুষ্ট।

এর বাইরে এসে যাঁরা নীতি নিয়ে কাজ করেছেন, তাঁরা তাঁদের কাজ মূলত একটি এলিট শ্রেণীতেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন। আমজনতার তাতে কোনো প্রবেশাধিকার নেই, নীতিকে আমজনতার বোধগম্য করে তোলার কোনো প্রয়াসও তাতে নেই।

বাস্তবায়নের প্রসঙ্গে পূর্ণ সহমত। তবে, আমি মনে করি প্রাথমিক অবস্থায় সাধারণ মানুষকে একটু ভিন্ন ধরনের স্বপ্ন দেখতে অভ্যস্ত করাটাও জরুরী।

মামুন হক এর ছবি

অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আলোচনা । আমার মনে হয় যত বেশি সম্ভব পাঠকদের কাছে পৌছে দেয়া উচিত। ইশতি তোমার এই লেখাগুলোকে কোন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করার ব্যাপারটা ভেবে দেখতে পারো।

লীন এর ছবি

একমত

______________________________________
স্বপ্নবাজ

______________________________________
লীন

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ধন্যবাদ, তবে দ্বিমত পোষন করি আমি। জাতীয় দৈনিকে ছাপবে না এগুলো, ছাপার যোগ্যও নয়। আগোছালো, বিক্ষিপ্ত কিছু ব্যক্তিগত চিন্তা এগুলো। জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হতে হলে লেখাকে আরও অনেক খুঁটিনাটি যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হওয়া উচিত।

বর্ষা এর ছবি

অভি, অনেক ভালো ভালো পয়েন্ট এসেছে এই লেখায়। যেমন-'প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দিয়ে বিভিন্ন রকম অ্যানিমেশন ও লেকচার স্লাইড তৈরি করানো যায়। ' হাউজ অফ ভ্লান্টিয়ারের নাম শুনেছো কি? ( আমি একটা লেখা লিখবো ভেবেছি এদের উপর )। প্রবাসী বাঙ্গালী আর দেশী ছাত্ররা মিলে এই কাজ শুরু করে দিয়েছে।

তুমি কি পরের পর্ব লিখছো এর উপর? মাদ্রাসা, ইংরেজী এবং বাংলা মাধ্যমের মান একই পর্যায়ে আনাটাও অনেক জরুরী। একটু এই বিষয়টায় আলোকপাত করলে বেশ হয়।

দেশে ডিভিডি বানিয়ে বানিয়ে ফিজিক্স এবং রসায়নের নানা চ্যাপ্টার এর সহজ ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।

ইতিহাস বইগুলো ফেলে দিয়ে নতুন করে লেখা উচিত। আর নৈতিকতা নামে একটা কোর্স যুক্ত করে দর্শন আর নীতিশাস্ত্র সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা উচিত।

তোমার যুক্তিগুলো বরাবরের মতো ভালো হয়েছে। "আমারও "পারিবারিক" কারণে সময় একটু কম''----ভালু পেলাম!!!

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হাউজ অফ ভলান্টিয়ার-এর ব্যাপারে এই প্রথম শুনলাম। ঘেঁটে দেখবো নে।

একাধিক মাধ্যম, ইত্যাদি নিয়ে পরে লিখবো। সেগুলো শিক্ষানীতির ব্যাপার। আমি শুধু মোটা দাগে কিছু প্রাযুক্তিক উন্নয়নের কথা বলতে চেয়েছি। এই অংশটুকুর মূল সুর হলোঃ

১) সব কিছু মডিউল হিসেবে তৈরি করা হোক, যাতে প্রতিটি মডিউল আলাদা ভাবে উন্নয়ন করতে পারি। যেমন, অনলাইনে কোর্স লেকচার দেওয়া থাকলে আমি খুব সহজেই টেলিকম বিষয়ক কিছু স্লাইডে কিছু সংযোজন করে দিতে পারি। সেই স্লাইড পরবর্তীতে যেকোন ভার্সিটিতে পড়ানো সম্ভব।

২) পাঠ্যপুস্তকগুলো উইকি-র মতো করে তৈরি হোক। এতে করে মুদ্রণ প্রমাদ কমবে, মানও উন্নয়ন হবে।

৩) রিমোট লেকচারের প্রচলন করা হোক।

পরিবার বড় খতরনাক। সে এলোমেলো লেখা ভালু পায় না। ঝাড়ি খাইসি। খাইছে

অবাঞ্ছিত এর ছবি

পুরো পড়ালেখার সিস্টেমই ঢেলে সাজানো উচিত। মুখস্ত করার অসুস্থ প্রতিযোগিতার অবসান করে দরকার জ্ঞান ও ধারণাকে স্বচ্ছ করা।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এই দিকে কিছুটা আলোকপাত ছিলো খসড়ায়, কিন্তু প্রকাশের আগে মুছে দিয়েছিলাম। এটুকু লিখে জমিয়ে রাখা ছিলো অনেক আগে। অসমাপ্ত ভাবনার সুতাগুলো খুঁজে পাচ্ছিলাম না আর, তাই মুছে দেওয়াই শ্রেয় মনে হলো।

আমি মনে করি পরীক্ষা হওয়া উচিত উন্মুক সময়ের। সময়ের সীমাবদ্ধতার মধ্যে সেরা ফলাফল বের করার জন্য অনেক কিছুকেই মুখস্ত করে 'সেকেন্ড নেচার'-এ পরিণত করতে হয় আমাদের। সময় উন্মুক্ত হলে একটু চিন্তার অবকাশ থাকে। ভাবনা-জাগানিয়া প্রশ্ন এবং উন্মুক্ত সময় দেওয়া হলে আমার মতে ঠিক দিকে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এর বাইরে অনেক কিছুই করা সম্ভব। এ-ব্যাপারে অনেকে (বিশেষত মনে পড়ছে গৌতম দা'র কথা) আলোকপাত করেছেন সম্ভবত। এই অংশে সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার দিকে তাকানো হয়নি। চলমান পদক্ষেপগুলোর বাইরে আর কী ধরনের অবকাঠামোগত কাজ করা যায়, তা নিয়েই একটু বলবার চেষ্টা করেছি শুধু। শিক্ষানীতি কী হবে এবং কেন, তা নিয়ে পরে লেখার ইচ্ছা আছে।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

লেখা গুলোকে এলোমেলো ব্যাক্তিগত চিন্তা মানতে আমি নারাজ। খুবি প্রয়োজনীয় একটি ব্যাপার আপনি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। তবে হ্যাঁ, বাস্তবায়নের ব্যাপারে কিন্তু আমরা যারা এই দেশে পড়ে আছি তাদেরই পদেক্ষেপ নিতে হবে। সেটা কতোটা সুন্দর ও যুক্তিপূর্ণ ভাবে সরকারের শিক্ষানীতি ও বাস্তবায়ন কার্যক্রমের সাথে জড়িত বিভাগে পৌঁছে দেয়া যায়, তার উপর এর মূল বিষ্য নির্ভর করছে।

এটা খুব ভালো লাগে, সচলে এলে বিভিন্ন স্বাদের লেখা পড়তে পারা যায়। ইশতি ভায়া, চালিয়ে যান। পরো সিরিজ শেষ হলে Print করবো আশা করি।

-------------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মূল দায়িত্ব যাঁরা দেশে আছেন তাঁদেরই। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধতাটা সামর্থ্যের নয়, বিশ্বাসের। হাতুড়ি দিয়ে পাথর ভাঙতে জানে অনেকেই, কিন্তু তা দিয়ে দালান গড়া আলাদা ব্যাপার। নীতিমালা দালান বানানোর পথ বাতলে দেয়। নির্দেশনা থাকলে মানুষ নিজেই ঠিক কাজটা করে নেবে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হুম... এইসব বলে কী লাভ?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

লাভ আছে, নজু ভাই। সময় গেলে বোঝা যাবে। কাজ অনেকেই করে, কিন্তু গুছিয়ে না করায় ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আচ্ছা প্রসঙ্গতঃ মনে আসলো, আমাদের দেশে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কি উপায়ে ডিসট্যান্স লার্নিং প্রোগ্রাম চালায়? তারা কি আন্তর্জালকে ব্যবহার করে? উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের অন্যান্য সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোও কি ই-লার্নিং প্রোগ্রামের দিকে অগ্রসর হতে পারে? এতে করে যে বিপুল পরিমান শিক্ষার্থী সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিবছর, তাদের কোনোভাবে সংস্থান করা সম্ভব?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এভাবেই করা যায়/উচিত/সম্ভব। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেলটা আমার খুব পছন্দের। যেই ক্লাস্টার করার কথা বলছিলাম, তা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে অনেক আগে থেকেই করা ছিলো।

বর্ষা এর ছবি

ধুগো ব্যাপারটি একদমই দেশী স্টাইলে হয়----পোস্টাল সার্ভিস দিয়ে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

শুভ [অতিথি] এর ছবি

ইশতি ভাইয়া, জরুরি প্রয়োজনে আপনার মেইল অ্যাড্রেসটা লাগবে। দয়া করে মেইল করুন eletter.shuvo অ্যাট জিমেইল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।