গানের মধ্যে গল্প খুঁজে পাই না আজকাল। সুর আছে, কথা আছে, যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি যন্ত্র আছে, কিন্তু গল্প নেই। কথায় সুর লেগে গান হওয়ার বদলে সুরের বেঁধে দেওয়া দৈর্ঘ্য-প্রস্থের সাথে খাপে খাপ মিলে কথাগুলো বসে থাকে যেন। মন থেকে কিছুটা আবেগ কর্জ করে গানের আবেদন পুরো করতে হয়।
মন যদি সেটুকু সৃজনশীল না হয়, তবে শেষ ভরসা গানের সাথে টোটকা হিসাবে জুড়ে দেওয়া ললনাবহুল দৃশ্যায়ন। আমি দ্বিতীয় কাতারের মানুষ। আণবিক বোমা থেকে মানুষের (পড়ুন বৌয়ের) মন পর্যন্ত কোনো কিছুই বিকট শব্দে মাথার উপর পড়ার আগে বুঝতে পারি না। গানের এই মৌনতা আমার জন্য নিদারুণ কষ্টের।
তবু গান শুনি। প্রবাসের নিভৃতে গানের চাঞ্চল্যের ঘোলেই তো মেটাতে হয় চিরচেনা হট্টগোলের স্বাদ! কিছু গান আনন্দের মুহূর্তে ভালো লাগে, কিছু গান দুঃখের গভীরতায়। কোনো গানই আর আনন্দ-বেদনা তৈরি করে না। ভাষা নির্বিশেষে এই দুরূহ সত্য আমার মতো সংগীতমূর্খকেও কাবু করে ফেলে প্রায়ই। ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। ইদানীং রেডিও ছাড়লেই অ্যাডেল আপামণির বকা শুনতে হয়। রোষের তীব্রতা অনুভব করে ‘রোলিং ইন দ্য ডিপ’ শুনেই ভয় পেতাম, মিউজিক ভিডিও দেখার পর তো রেডিওতে শুনলেই কুলহুয়াল্লা পড়ে বুকে একবার ছ্যাপ-থুথু দেই। যাক সে-কথা। এই প্রজন্মের শিল্পীর গান নিয়ে মন্তব্য করা নিরর্থক। কেন হঠাৎ এদিকে চোখ গেল সেই গল্পে যাই বরং।
দুই সপ্তাহ আগ পর্যন্ত অধমের দিন কাটতো ল্যাবে একা বসে বসে। ঘরে ফিরেও তেমন কিছু করার নেই। বৌ জ্ঞান অন্বেষণে চলে গেছে দূর, বহুদূর। ইউনিভার্সিটি অফ মেহেরজানে তিনি দাঁত মেরামত করা শিখছেন। দিনে প্যান্ডোরা, রাতে নেটফ্লিক্স, এই নিয়েই চলে আমার দিন। নিঃসঙ্গতার মতো কাব্যিক কিছু নেই এর পেছনে, বরং আছে খানদানি এক ব্যাধি। পিনপতন নিরবতা কিংবা উদ্যাম আওয়াজ – এই দুইয়ের যেকোনো একটা প্রয়োজন আমার মুশিকাকৃতি মস্তিষ্ক কার্যক্ষম থাকার জন্য। এর মাঝামাঝি অবস্থায় দুইয়ে দুইয়ে যোগ করতে বললে হয়তো জবাবে বলবো সদরঘাট। এভাবেই প্রায় বছর ছয়েক ধরে অনলাইন রেডিও শুনার পর আমার বোকা মনের শখ হলো একটু অতি-চালাকির।
আমার বৌ প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে গান জানা উদার মানুষ। তিনি ভাষা ও রীতি নির্বিশেষে সব গান শুনেন, এবং আমার মুখে চুনকালি মেখে এক শোনাতেই ইংরেজি গানও বুঝে যান। কী লজ্জা, কী লজ্জা। গুগুল করে গান বুঝতে হয় না, এই বৌয়ের সামনে আমি পতিসুলভ ভাব নেই কী করে? বৌয়ের সামনে মুখ দেখাতে না পারার লজ্জা থেকে পরিত্রাণ পেতে কিছু দিনের জন্য ভান ধরেছিলাম সব বুঝার, লাভ হয়নি। বৌয়ের অনুপস্থিতিতে ভাবলাম একটু জাতে উঠি, পরের দেখায় চমকে দেওয়া যাবে। আধুনিক হওয়ার সুপ্ত বাসনা থেকে রেডিওতে বিভিন্ন টপ-হিট চ্যানেল টিউন করলাম একদিন। মিনিট দশেক পরই কেমন যেন একটা অস্থিরতা গ্রাস করে ফেললো। দেহ চায় সিডাক্সিন, মন চায় উইটনেস প্রোটেকশন! দাঁতে দাঁত এবং কানে আঙুল চেপে শুনতে থাকি, কিন্তু কিছুক্ষণ পর খেয়াল হয় ‘এইট মাইল’ কখন বদলে ‘ভিনসেন্ট’ হয়ে গেছে, ‘বুম বুম পাও’ হয়ে গেছে ‘ঘর ভুলানো সুরে’। এলেমেফেও নামক হাঁড়হারামি ব্যান্ডের অশ্লীল কুঁদাকুঁদি শুরু হলে তো বারান্দায় ঘুরে আসতে হতো কিছুক্ষণের জন্য। সপ্তাহ নাগাদ বাধ্য হয়ে ক্ষান্ত দেই এই অপচেষ্টায়।
(অফটপিকঃ ‘সেক্সি অ্যান্ড আই নো ইট’ নামক কুৎসিত গানটাকে ইউটিউবে বারাকডাবস নামে এক লোক ওবামার মুখে তুলে দিয়েছে বিভিন্ন ভাষণের ক্লিপ ব্যবহার করে। কেউ না দেখে থাকলে তার জন্য এই পোস্ট পড়ার পুরষ্কার... )
মনের অজান্তেই এভাবে বাসি বেলুনের মতো ক্রমশ নেতিয়ে যাওয়া এড়াতে চেষ্টা করছি প্রচুর, লাভ হচ্ছে না খুব একটা। ঢোলা জামা ছেড়ে এক সাইজ ছোট কাপড় পড়া শুরু করলাম, বুকের বদলে কোমরে প্যান্ট পড়া শুরু করলাম, চশমা ছেড়ে লেন্স ধরলাম, চুল তো আগেই বদলেছি। তবু চ্যাংড়া পোলাপান ডাকে আঙ্কেল, এলিমেন্টারি স্কুলে পড়া ছাত্রী ডাকে দাদু, ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া বজ্জাতগুলো ডাকে ওল্ড ম্যান। এই জ্বালা কি বুকে সয়?
এরই মধ্যে হঠাৎ একদিন নড়েচড়ে বসি। ইউটিউবে ঘুরতে ঘুরতে কীভাবে যেন সামনে চলে এলো রাসপুতিন। তারুণ্যের হারানো অস্থিরতা যেন এক ঝলকের জন্য ফেরত এলো। আহা, বনি এম!
বনি এম-এর সাথে আমার সখ্য একান্ত গোপনে। পাঠকেরও নড়েচড়ে বসার প্রয়োজন নেই, নির্দোষ গোপনীয়তার কথা বলছি। ভোঁতা ছবি আর ভারী আওয়াজের বিটিভি আমাকে কিছু চিরন্তন পছন্দের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে – গ্রেগরি পেক, গুলিত-বাস্তেন-রাইকার্ড, মার্ক গ্রেটব্যাচ, রবার্তো ব্যাজিও, লিভারপুল ফুটবল ক্লাব, আন্দ্রে অ্যাগাসি, এবং অতি অবশ্যই বনি এম।
এতকিছু থাকতে বনি এম পছন্দ হওয়ার কারণটা একটু উদ্ভট। বৈচিত্র্য, দ্রুত লয়, হাসিমুখ, ইত্যাদি ছাপিয়ে চোখ আটকে থাকতো ঝাঁকড়া চুলের এক গায়কের নির্লিপ্ত লাফালাফিতে। লোকটা আমার মতো নাচে বলে কথা! পুরষ্কার জিততে দেখেছি, নাকি অনুষ্ঠানে গাইতে দেখেছি সেই সূক্ষ্ণ তথ্য খেয়াল নেই আর। শুধু মনে আছে গানের পুরষ্কারের অনুষ্ঠানে দেখতাম। ভাষা বুঝতাম না, নাম খুঁজে বের করার কোনো তরিকাও জানতাম না। জীবনে তখন গোগোল আছে, গুগুল নেই। কালেভদ্রে শুনতে পেতাম, ভাঙা ভাঙা যেটুকু মনে আছে তাই গুনগুনাতাম, এবং গোসলের সময় ছাদ পর্যন্ত ভিজিয়ে ফেলতাম ববি ফ্যারেলের মতো ব্যাকরণহীন নাচানাচি করে।
গানের শিল্পীদের সাথে পরিচয় আরও কিছু বছর পর। ভূতের গলির বাসায় থাকতাম, তাই বয়স ১২-১৪র বেশি না। ক’দিন আগেই কেনা ক্যাসেট প্লেয়ারে বনি এম চলছিলো। বি সাইডের শেষ গানটা ছিলো রাসপুতিন। এ সাইডের মা বেকার, সানি, হলিডে, ইত্যাদি চলছিলো। ওগুলোই শুনতাম বেশি। ভাত খেতে বসায় রিওয়াইন্ড করা হয়নি। কীভাবে যেন শেষ পর্যন্ত গেল, আবার শুনতে পেলাম রাসপুতিন। সেই প্রথম জানলাম রাসপুতিন বনি এম-এর গান, আরও উল্লাসের সাথে শুনতে শুরু করি গান।
এই ঘটনার কিছুদিন আগেই বাসায় চোরের পদধূলি পড়ে। অনেক কিছুর পাশাপাশি আব্বুর ক্যাসেট প্লেয়ারও নেই হয়ে যায় এক রাতে। কিছুদিন পর এক বিকালে মা হঠাৎ ডেকে বলে, “তোমার বাপের মাথায় ভূত ঢুকসে!” বাবা আমার বিশাল কড়া মানুষ, মায়ের মুখে এই কথা শুনে তাই প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিলো চকির তলা খালি কি না নিশ্চিত হওয়া। একটু পর দেখি আব্বু বাসায় ঢুকছে, কাঁধে বিশাল বাক্সে একটা ক্যাসেট প্লেয়ার। আমার বাবা এবং ছোটো ভাই একই ধাতের মানুষ – মেজাজী এবং শৌখিন। দু’জনেই হাঁড়কেপ্পনের মতো টাকা জমাবে, বাজে খরচ করবে না, কিন্তু পছন্দের কিছু পেলে থলি উজাড় করে সেরাটা কিনবে। “শখের তোলা লাখ টাকা” কথাটা প্রায়ই বলি আমি। গোপন(?) সত্য হলো, আমি বলি নিজের অপচয় আড়াল করতে, আর আমার বাবা-ভাই সত্যিকার অর্থে এই ধারা মেনে চলে।
সেই ক্যাসেট প্লেয়ার আজও আছে। ওটায় বিবিসি বাংলার প্রভাতী অধিবেশন শুনে ঘুম ভেঙেছে অনেক বছর, ওখানেই প্রথম দেখতে পাই রিমোট চাপলে ভলিউমের নব ঘুরতে। এত বয়স হলো, এত প্রযুক্তি দেখলাম, কাজের সূত্রে এত প্রযুক্তি নিয়ে নাড়াচাড়া করলাম, তবু কোনো কিছু সেই সরল মুগ্ধতার স্বাদ দ্বিতীয়বার দিতে পারলো না। মনে পড়ে, এক রাতে মামা বেড়াতে এলে তাকে টেনে নিয়ে গেছিলাম এই রিমোট-চাপলে-নব-ঘুরে দেখানোর জন্য। আহ, শৈশব!
জীবনের তাগিদে অনেক কিছু করি, তবে একটা হাত পিছনে বেঁধে রেখে। নিজেকে মেলে ধরতে পারি না নিজেরই কারণে। ছেলেবেলার স্বতঃস্ফূর্ততা কোনো এক পর্যায়ে হারিয়ে গেছে। চলার পথে বাধা এলেই মনে হয় ভুল করলাম নাকি অল্প বয়সে ঘর ছেড়ে। প্রতিরোধের সম্মুখীন হলে মেনে নেওয়ার মানসিকতা আগে খেলা করে। এমনিতে যেখানে যাই, সেখানেই ব্যাড নিউজ ম্যাগনেটের মতো ঝামেলা এসে হাজির হয়। তার উপর মজ্জার মধ্যে ঢুকে গেছে অন্যকে দোষ দেওয়ার স্বভাব। আমার আশেপাশে বিচিত্র সব দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে, সেই দেখে আমি শুধু পালিয়ে বেড়াই আর পৃথিবীকে দুষি। বৌ বকা দিয়ে বলে বেকুব, মা বকা দিয়ে বলে আমারই কেন শুধু এমন হয়, সুপারভাইজার হতাশ হয়ে বলে, “ইউ হ্যাভ আ ডার্ক এনার্জি অ্যারাউন্ড ইউ!” এরই মাঝে একটু একটু করে বুড়িয়ে যেতে থাকি, খিটখিটে হতে থাকি, আজিমভের অমর বাণির সাথে সঙ্গতি রেখে সহিংসতাকেই অক্ষম এই অধমের শেষ আশ্রয় বলে মেনে নেই।
অথচ চাইলেই তো দুর্ঘটনাগুলো নিয়ে তারিণীখুড়োর মতো গল্প জমাতে পারতাম। গানগুলোও সেখান থেকেই গল্প খুঁজে নিতো হয়তো। মনটা যদি একটু রঙিন থাকতো!
"ও, দোজ রাশানস..."
মন্তব্য
রা রা রাসপুতিন সহ বনিএওম-এর গানগুলো ঝটকায় মনে করিয়ে দিলে ইশতিয়াক।
তবে ফাটাফাটি হচ্ছে ওবামার কণ্ঠে 'আয়েম সেক্সি এন্ড আই নোইট'!
গাড়ি ড্রাইভ করার সময় প্রতিদিন এখানকার রেডিওতে বেশ কয়েকবার গানটা শুনতে হয়।
তোমার লেখাটা স্মৃতিজাগানিয়া।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ওবামার ভিডিওটা তৈরি করা হয়েছে (এরকম আরও দুইটা আছে ঐ চ্যানেলেই) হোয়াইট হাউজের ফ্রি ভিডিও থেকে ক্লিপ নিয়ে। মজার ব্যাপার হলো, অনেক খুঁজেও নাকি "সেক্সি" শব্দটা পাওয়া যায়নি। শেষতক দুই শব্দ কেটে-জুড়ে "সেক্সি" বানানো হয়েছে।
বনি এম এর কিছু গান দারুন
আমার তো প্রায় সব কয়টাই ভালো লাগে!
অসম্ভব সুন্দর একটা গান। প্রায়ই শোনা হয়। রা রা শুনলেই পা নাচতে থাকে আর মাথা ঝাকানো শুরু হয়।
শুধু গান না, রাসপুতিনের ঐতিহাসিক চরিত্রটারও আবেদন অন্য রকম।
বাই দ্যা রিভার্স অব ব্যাবিলন
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আরেকটা।
ওয়ান ওয়ে টিকেট--
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
দুই দিন আগেই অফিস থেকে ফেরার পথে রেডিওতে "মা মা মা মা" শুনে খুশি হয়ে ভলিউম বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আফসোস, ঐটা দেখি লেডি গাগা-র গান! কই 'মা বেকার', কই 'পোকার ফেস'। এমন ধরা খাইসি... :'(
বনি এম জানত কিভাবে গান উপভোগ করতে হয়। মাঝে মাঝেই ইউটিয়্যুবে খুঁজে খুঁজে দেখি এখনও।
শুধু বনি এম না... ক্যারিবিয়ান বাতাস আছে এমন সব ব্যান্ডই কিন্তু গানের মধ্যে দারুণ এনার্জি ঢুকিয়ে দেয়।
পাশবিক এবং প্রিয় সিরিজ (ফুরিয়ার নয়) !!
ফুরিয়ার অপছন্দ নাকি? আমার তো ঐটা ভাত-কাপড় ছিলো কিছু বছর। ভুলে-গুলে শেষ অবশ্য।
বনি এম-এর “রাসপুটিন” আমার একটা প্রিয় গান। বনি এমের গান তথা আমার জীবনে ইংরেজী গান শোনা শুরু হয়েছিল এই গানটা দিয়ে। ক্যাসেটে বনি এমের গান শুনলেও তাদের গান দেখার সুযোগ আসে আরো পড়ে। ১৯৮১ সালের নভেম্বর না ডিসেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে বাটেভি-তে “ডিসকো ইন স্নো” নামে বনি এমের একটা কনসার্ট দেখানো হয়েছিল। তার সাথে “অ্যাবা ইন সুইটজারল্যান্ড” নামে অ্যাবার একটা কনসার্টও দেখানো হয়েছিল। ব্যাস, আমরা সবাই বনি এম আর অ্যাবার ভক্ত হয়ে পড়লাম। বাটেভির “সলিড গোল্ড” দেখতে দেখতে আর রেডিও বাংলাদেশের (তখন এই নাম ছিল) “ঢাকা গ”-এর “ওয়ার্ল্ড মিউজিক” শুনতে শুনতে আমাদের বাংলা আর হিন্দীর বাইরে অন্য ভাষার (মূলতঃ ইংরেজী) গান শোনার মন তৈরি হয়ে যায়। বনি এম আমার এখনো প্রিয়, যদিও গত কয়েক বছরে তাদের গান শুনেছি বলে মনে পড়ে না।
“রাসপুটিন” গানটা নিয়ে আমার একটা বীভৎস স্মৃতি আছে। ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় টিফিন টাইমে ক্লাসরুমে চেঁচিয়ে এই গান গাওয়ার অপরাধে তার পরের পিরিয়ডে শিক্ষক পরিচয়ধারী এক ইতর-জানোয়ার আমাদের কয়েকজনকে কাঠের ভারী ডাস্টার দিয়ে বেদম পিটিয়েছিল। এই ইতরটির নাম খন্দকার শামসুজ্জামান। তার নামটি বলে দিলাম যেন পাঠকরা তার নামটি মনে রাখেন। বেত দিয়ে পিটানো, কানে ধরে ওঠ্বোস, ব্যাঙ বানানোর মত ট্রাডিশনাল শাস্তির বাইরে অতি সামান্য সব কারণে ছাত্রদেরকে সে যেসব বিশেষ কায়দায় শাস্তি দিতো তার কিছুর তালিকা দিলামঃ
১. কাঁধের জয়েন্টে, কনুইয়ের জয়েন্টে, কব্জিতে, আঙুলের গাঁটে কাঠের ভারী ডাস্টার দিয়ে পিটানো (এতে প্রচণ্ড ব্যথার সাথে জোড়াগুলো ফুলে উঠতো)
২. নিচু মোড়ায় বসার মতো করে শূন্যে বসিয়ে রাখা (এতে হাত, হাঁটু, কোমর অবশ হয়ে যেত; সোজা হয়ে দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারা যেত না)
৩. দুই আঙুলের ফাঁকে পেন্সিল ঢুকিয়ে জোরে চাপ দেয়া (এতে প্রচণ্ড ব্যথার সাথে আঙুলগুলো ফুলে উঠতো)
৪. সাইডবার্নের চুল উলটা দিকে জোরে টান মারা (এতে চুল উঠে আসতো, প্রচণ্ড জ্বলুনী হতো)
৫. পেটে জোরে চিমটি কাটা, এতে সামনের দিকে ঝুঁকে আসলে মেরুদণ্ডের হাড়ে কাঠের ভারী ডাস্টার দিয়ে পিটানো (এতে প্রচণ্ড ব্যথার সাথে জোড়াগুলো ফুলে উঠতো)
এর বাবা নাকি যশোহরের কুখ্যাত এক রাজাকার ছিল। সুতরাং দৈহিক নির্যাতনে অভিনব ও পৈশাচিক কায়দাগুলো সে কীভাবে শিখেছে সেটা বোঝা যায়।
আজ এই পোস্টে “রাসপুটিন” গানটার কথা পড়ে সেই বীভৎস স্মৃতি আবার মনে পড়ে গেল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি তো মনে হচ্ছে আপনাদের কাছাকাছি প্রজন্মেরই মানুষ। এই সিরিজেরই কোনো এক পর্বে অ্যাবা নিয়ে লিখতাম। বনি এম-এর পাশাপাশিও ওটাও চিরকালের পছন্দের ব্যান্ড। আমাদের বাসায় কেবল টিভি এসেছে আমার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পর। হয়তো সেকারণেই বিটিভি প্রজন্মের অনেক পছন্দ এত গভীরে ঢুকে আছে।
আমাদের স্কুলেও এমন "শিক্ষক" ছিলো। তাদেরও শাস্তির পন্থা ঠিক এরকই ছিলো। এরা সব মনে হয় একই মাটিতে বানানো! বীভৎস স্মৃতি মনে পড়ে যাওয়ায় দুঃখিত। তবে এটা এমন এক গান, যে শুনেছে তারই কোনো সময়ের সাথে আটকে থাকার কথা।
হা হা - আপনার সাথে হুবহু মিলে গেল! আমারও মনে হয় ঐ নির্বাচনের সময় দেখানো “ডিসকো ইন স্নো” আর “অ্যাবা ইন সুইটজারল্যান্ড”-এর মাধ্যমেই বনি এম আর এ্যাবার সাথে পরিচয় বা ভক্ত হওয়া। "সলিড গোল্ড"-এর কথাও মনে আছে - উপ্সথাপিকার ডায়ান ওয়ারুইক বা ঐরকম কি নাম ছিল না? আর হ্যাঁ, সামিনা আর ফাহমিদা নবীর একসাথে গাওয়া রাসপুটিনের বাংলা ভার্শানের কথা মনে আছে? এটা মনে হয় আরো কিছু পরের কথা যদিও।
****************************************
সামিনা আর ফাহমিদা রাসপুটিনের বাংলা ভার্সন গায়নি। গেয়েছিলো য়্যাবা-র চিকিচিতা গানটি।
গত মাসেও কয়েক লক্ষবার শুনলাম, গাড়িতে ননস্টপ।
চিকিচিতা---
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মন্তব্য আবার লাফাং!___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বনি এম-এর মতো অ্যাবার প্রতি টানও এসেছে বাবার পছন্দের সূত্র ধরে বোধহয়। আমি এখনও প্রচুর শুনি! আমার ভাইও একই রকম গান শুনে (আহা, বেচারা। বয়সের তুলনায় বুড়া গান শুনে বড় হয়েছে।) বনি এম শুনতে শুনতে পছন্দ হলেও অ্যাবার গল্প বাবার কাছে শুনেছি অনেক। সামিনা-ফাহমিদার গলায় বিটিভিতে শুনেছিলাম, আজও খুব স্পষ্ট মনে আছে।
ওরে পাণ্ডবদা, 'রাসপুটিন' ছিল আমারও প্রিয় গান।
তবে ব্যান্ড হিসাবে প্রিয় ছিল অ্যাবা। অ্যাবার একটা পোস্টার ছিল পড়ার ঘরে (নীচে রিটন ভাই চিকিতিতার লিংকটা দিয়েছে)। ফ্যান্টাসি……….
বনি এম-এর গান তাও বাছা যায়, অ্যাবার তো সব গানই পছন্দের!! আজও সুযোগ পেলেই শুনতে বসে যাই। মেরিল স্ট্রিপ + অ্যাবা মিলিয়ে 'মামা মিয়া' আমার দারুণ পছন্দের ছিলো। বৌ দুই চোখে দেখতে পারে না মুভিটা, কিন্তু তার শত বিদ্রূপ সহ্য করেও আমি ওটার গান প্রায়ই শুনি। গায়কী খুব উন্নত না হলেও একটা ভিন্ন রকম আপিল আছে।
ঢাকা গ এর ওয়ার্ল্ড মিউজিকের সাথে আমিও শৈশবের বড় একটা সময় পার করেছি। সেইখানে পরিচিত হওয়া শিল্পীদের সাথে অন্তরঙ্গ হতাম, ঢাকা কলেজের সামনের নিবেদন নামের দোকান থেকে ক্যাসেট কিনে।
আহারে রাসপুতিন! ছোটকালে শুনলেই নাচতাম। এখনো মনে মনে নাচি
তারপর ওয়ান ওয়ে টিকেট, মা বেকার
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সানি, হলিডে, ... কত রকম যে গান আছে এদের! গান যা নিয়েই হোক, সাথে এনার্জির কমতি ছিলো না কখনও!
যদিও সমৃদ্ধ এই স্মৃতিচারনের কাছে আমার স্মৃতির তোলা কয়েক আনাও নয় তবু না বলার লোভ টুকু গরম বিধায় কম্বলের নিচে লুকোবার সুযোগটুকুও নেই।
প্রথম ইংলিশ গান শোনার স্মৃতি বনজোভি । আমার এক বন্ধুর ভাই বাইরে থাকতেন তিনি ফি ফি বছর যখন বেড়াতে আসতেন সাথে করে নিয়ে আসতেন দারুন ছোট ডিকশেনারির মতো মোটা কাভারে ঢাকা ক্যাসেট গুলো। তার মাঝে থেকে বনজোভিকেই মনে আছে সব থেকে বেশি। হয়তো তার প্রিয় শিল্পি ছিলো বলেই বনজোর ক্যাসেটের আধিক্যটাও বেশি থাকতো।
এর পরে একদিন Pink Floyd এর Time গানটির সাথে পরিচয় করান এক বড় ভাই। তিনি এমন করে গানটিকে নিজের মতো ব্যাখ্যা করেন যে আজো যেন দেখতে পাই ফায়ারপ্লেস এর সামনে নিঝহুম হয় মৃদু দুলতে থাকা পাশে চেইনের আগায় ঝোলানো ঘড়ি চলছে টিক টক টিক!
একে একে পরিচয় হয় টেম্পল অব দা কিং, আই ওয়াণ্ট টু ব্রেক ফ্রি ____ এই জাতীয় রক গানের সাথে। সামনে এসে ঝপকরে পরে যায় সান্তানা। কি করে জানি কানের মাঝে ভোলারে কান্তারেরেরেএএএ ___
স্মৃতি তুমি রংধনুর মতো আজো রঙ্গিন, তুমি বেদনার পাশাপাশি চিরদিন
বন জোভির সাথে স্মৃতি নেই কোনো... তবে পিংক ফ্লয়েড এবং কার্লোস সান্তানাকে নিয়ে বলার আছে অনেক গল্প! অন্য কোনোদিন হবে নে...
বনি এমের সাথে সখ্য শৈশব থেকেই। আব্বুর হাত ধরে। ওদের গানের অদ্ভুত মুচমুচে মেজাজটাই টানত আমাকে। তবে অ্যাডেল আপামণিকেও ভালো পাই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অ্যাডেল আপামণিকে আমিও ভালো পাই। তেনার বাহুর জোর এবং কণ্ঠের জোর মোটামুটি সমানে সমান! ক'দিন আগে তো টপ-ফর্টির মধ্যে পাঁচটা গান ছিলো মনে হয় অ্যাডেলের। সব ভালো লাগে না যদিও। 'সামওয়ান লাইক ইউ' শুনলে যেমন চিক্কুর পেরে ভাগতে মন চায়।
আমি বিটিভিতে সলিড গোল্ড দেখতাম। এত্তোটুকুন ছিলাম বুঝতাম না কিছুই, কিন্তু রিদম টানতো। এই গানগুলা এত দিন পরে শুনে অনেক স্মৃতি মনে পড়লো।
আমি কিছু একটা দেখতাম, ঐটার নাম যে "সলিড গোল্ড", তা তো খেয়াল ছিলো না। তবে হ্যাঁ, সেই আমলের গানে 'রিদ্ম' ছিলো অনেক। আমি প্রায়ই সিনাত্রা, জনি ক্যাশ শুনি। শুধু একটা অ্যাকম্পানিমেন্ট নিয়ে ভরাট গলার গান -- এমনটা দেখি না আর। গানের আয়োজন সিম্ফনির আকারের হয়েছে, মান একই রয়ে গেছে।
জনি ক্যাশ আমি এখনো শুনি। কারো কন্ঠ শুনে যদি প্রেমে পড়া যায়, তো ক্যাশের গলা তেমনি।
চমৎকার লাগল লেখাটা।
ধন্যবাদ, ভাইয়া!
চমৎকার লাগলো ।
পুরান সচলরা এইরকম একটু আড়মোড়া ভেঙ্গে মাসে একটা করে লেখা দিলেও তো হয়। সবাই খালি ব্যাস্ততার দোহাই দেয়। আরে এতদিন পার করে এই সহজ ব্যপারটা বুঝে না, এই জীবনে ব্যাস্ততা আর কমবে না দিনকে দিন বাড়বে। তাই চিপায় চুপায় যখনই সুযোগ পাবেন এরকম দুই লাইন করে লিখে লিখে মাসান্তে একটা লেখা নামিয়ে ফেলবেন (একই জ্ঞান দিয়ে লুৎফুল আরেফীন ভাইরে ছাই দিয়ে ধরছিলাম, লেখা আদায়ের জন্য, সেই যে উধাও হইছে আর খবর নাই )।
* সেক্সি অ্যান্ড আই নো ইট রে কুৎসিত গান বলায় মনে ব্যাথা পাইলাম। বড়ই ভালো গান । LMFAO এর কনসার্ট এ গেছিলাম কিছুদিন আগে (সাথে আরেক চীজ Keisha ও ছিল )। ব্যাটারা হেভি জমাইছিল। পাবলিকরে এমন নাচাটাই নাচাইছে।
লুৎফুল আরেফীন ভাইয়ের ওষুধ অন্য। নিজে একটু নিয়মিত হই, তারপর ওনাকে ধরবো নে। পুরানো সচলদের লেখা আমিও মিস করি খুব। ব্যস্ততার কথাটা ঠিক, কমতে দেখলাম এখনও পর্যন্ত। তবে সময়ের সাথে সাথে ব্যস্ততা ম্যানেজ করার ক্ষমতা উন্নততর হয়। আমার নিজের জন্য ক্যারোলাইনার আড়াই বছর খুব ব্লগ-বান্ধব ছিলো না। লিখতে বসলেই মাথায় পেপার, সুপারভাইজার, রিসার্চ ঘুরতো। চাকরিতে ঢুকলাম দুই সপ্তাহ হয়। এখন দিনের দৈর্ঘ্য ১২ ঘন্টা হলেও বাকি সময়টা নিজের। দেখি কতটুকু লিখতে পারি। সময় থাকলেই তো হয় না, মাথা লাগে, লেখার হাত লাগে।
সেক্সি অ্যান্ড আই নো ইট গানটা আমার চরম অপছন্দের। আমার খুব প্রিয় এক বড় ভাই তো আমাকে ত্যাক্ত করার জন্য এই গান শুনলেই ফোন করে শুনতে বাধ্য করেন।
হুইইইইইইইই! কে কোথায় আছিস দেখে যা, ইশতিয়াক আবার 'গানবন্দী জীবন' লিখেছে!!
আজকে স্রেফ তোমার পোস্ট দেখে লগ-ইন করলাম। 'রাসপুতিন' শুনলেই আমার MTV-এর সেই সব গোল্ডেন দিনের কথা মনে পড়ে যায়! কত গান যে শুনেছি, গান শোনার হাতে-খড়ি হয়েছে সে সময়ে। আর ছুটির দিনের সকাল-সন্ধ্যার MTV-Classics ছিলো পুরাতন গানের সাথে পরিচিতির সময়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হে হে... সবাই কত কিছু নিয়ে লিখে, আমার মাথায় আসে না দেখে লিখতে পারি না। তাই হোমগ্রাউন্ডেই ফিরে গেলাম। রাসপুতিন নিয়ে লিখবো লিখবো করছিলাম অনেক দিন ধরেই। পোস্টটা প্রায় ফেসবুকে খেয়ে ফেলেছিলো... কী মনে করে লিখে ফেললাম।
প্রিয় সিরিজ, অনেকদিন পর! ভালো লাগলো খুব।
বনি এম আমার বেশ পছন্দের। মনে আছে, গত বছর কিংবা তার আগের বছর, ধরে ধরে ওদের প্রায় সবগুলো গান নামিয়ে ফেলেছিলাম। তখন বোকা ছিলাম, পুরো অ্যালবাম নামানো যায়, এমন চিন্তা মাথায় আসে নি। উইকিপিডিয়া থেকে অ্যালবামের তথ্য খুঁজে গানের লিস্ট বানাতাম, তারপর একটা একটা করে খুঁজে বের করে ডাউনলোড করতাম। অনেক সময় লেগেছিল।
আমিও ডাউনলোড করতাম। এর পর ইউটিউব, প্যান্ডোরা, স্পটিফাই-এর উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছি। এই লেখাতেই সেগুলো নিয়ে কিছু সিরিয়াস কথা বলতাম, প্রকাশ করার আগে সরিয়ে নিয়েছি। আলাদা করে পোস্ট দিবো নে ক'দিন পর।
বিটিভিতে শোনা ছোটবেলার সবচেয়ে প্রিয় ইংলিশ গান ছিলো বাল্টিমোরার টারজান বয়। বিটিভিতে আর কী ইংলিশ গান শুনছি তা মনেও নাই।
এইটার সাথে পঁচা স্মৃতি জড়িয়ে আছে একটা। পরে কখনও লিখবো রে।
বনি এম আর জন ডেনভার দিয়ে ইংরেজি গান শোনা শুরু। আশির দশকে টিভিতে সলিড গোল্ড নামে একটা মার্কিনি গানের অনুষ্ঠান দেখাতো - ওতে বনিএম প্রায়ই থাকতো।
“ডিসকো ইন স্নো” আর “অ্যাবা ইন সুইটজারল্যান্ড” এর কথা উপরে বলা হয়েছে।
অনেক কিছুই মনে পড়ে গেল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ, ভাইয়া
আহ্ শৈশব।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার প্রিয় গানের কথা শুনতে শুনতে আমার নিজের কিছু প্রিয় পুরনো গল্পওলা গান, শিল্পীর আর দলের কথা মনে পড়ে গেল, বেশির ভাগই মনে হয় ৮০র দশকের তবে আরও পুরনোও আছে -
বনি এম, এ্যাবা-তো আছেই সেই সাথে -- জে জে কেইল (কোকেন), সাইমন এণ্ড গারফোঙ্কেল (ডায়মন্ডস অন দ্য সোল্স অফ হার শুজ, সাউন্ডস অফ সাইলেন্স), এ্যাল স্টুয়ার্ট (অন দ্য বর্ডার, মার্লিন্স টাইম, ইয়ার অফ দ্য ক্যাট, নস্ট্রাডামুস) ক্রিস ডি বার্গ (লেডি ইন রেড-লাইভ, মিসিং ইউ, ক্রুসেডার), সারভাইভর (আই অফ দ্য টাইগার), ডায়ার স্ট্রেইটস ( ব্রাদার্স ইন আর্মস, রাইড এক্রস দ্য রিভার, মানি ফর নাথিং, সুলতান্স অফ সুইং, ওয়াক অফ লাইফ), রবার্ট প্ল্যান্ট (বিগ লগ), কার্পেন্টার্স (টপ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড), এলান পার্সন্স প্রোজেক্ট (টার্ন অফ দ্য ফ্রেন্ডলি কার্ড, ভালচার কালচার, আই ইন দ্য স্কাই, সিরিয়াস), জন ডেনভার (কান্ট্রি রোড্স টেক মি হোম), পল ইয়াং (লাভ অফ দ্য কমন পিপল), পাওয়ার অফ লাভ (জেনিফার রাশ-'৮৪), কেয়ারলেস হুইস্পার (জর্জ মাইকেল), সার্ক্ল ইন দ্য স্যান্ড, ভিনসেন্ট .....
লেডি ইন রেড - ক্রিস ডি বার্গ
লাভ অফ দ্য কমন পিপল - পল ইয়াং
****************************************
আহা, প্রিয় অনেক গানের লিংক দিলেন। বেশ অনেক গুলাই কমন পড়সে...
আরো কিছু যোগ করি - মেন অ্যাট ওয়ার্ক, হল অ্যান্ড ওটস, রেইনবো, মাইকেল জ্যাকসন...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গানময় সুন্দর পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার শৈশব ছিল গানে টইটুম্বুর। আব্বু শুনতেন হরেক ইংরেজী গান, মূলত পপ-ফোক-কান্ট্রী-ডিসকো। আম্মু ব্যাপক নজরুল, রবীন্দ্র ভক্ত। মেজ মামা দুনিয়ার রক আর সাইকেডেলিক শুনতেন, মজেজা ব্যাখা করতেন। আর ছোট মামা দেয় হেভী মেটালে হাতেখড়ি দুড়ুম-দ্রাম দিনরাত গান বাজিয়ে, বাড়িশুদ্ধ সবাইকে আতঙ্কিত করে, সবার মাথা খেয়ে, গানের সাথে সম্পর্ক গাঢ় থেকে আশঙ্কাজনকভাবে গাঢ়তর করে বড় হয়েছি। সমৃদ্ধ শৈশব মনে পড়ে গেল আপনার দারুন লেখাটি পড়ে। - এরকম লেখা আরও আরও চাই।
‘Sexy 'n I know it’ এবং আরও যত পোঙটা গান আছে, সবগুলো আমার প্রিয়। আপনি এ গানটিকে কুৎসিত বললেন? এ গান প্লে না করলে রান্নাবান্নায় আমার জোশ-ই আসে না যে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমি তো লেজেঅবহুমো এরশাদের মতো নরম মনের মানুষ, আমার বেশি ধুম-ধাড়াক্কা গান সয় না। তার উপর ইংরেজিতে দুর্বল। একটু দ্রুত গাইলে বাংলা গানেই গিট্টু লেগে যায়। আর ঐ খাটাশ গানটা আমার নষ্ট মনের নিবিষ্ট প্রতিবেশী কান জোড়াকে অপবিত্র করে দিয়েছে। যারা আমাকে, তারা জানে এইটা কত দুরূহ কাজ।
রাসপুটিন গানটা আমারো পছন্দের ছিলো।
চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে গাইতাম ছোটবেলায়।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন