আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দেওয়া রায়ে সরকারের কোনো হাত নেই, তবুও কেন আওয়ামী লীগের এত সমালোচনা করা হয় -- এই প্রশ্ন লীগ-ঘেঁষা যেকোনো মানুষের। তারা আরও বলে থাকেন, জামায়াতের হাতে নিহত-আহত হয়েছেন শুধুই ছাত্রলীগের কর্মীরা, তাই কোনো আঁতাতের অভিযোগ তাদের কাছে বিস্ময়কর। সবশেষে তারা জানতে চান আওয়ামী লীগকে কেন বিচার শুরু করার জন্য বাহবা দেওয়া হয় না।
প্রথমত, সরকারী দলের সমর্থকদের উপলব্ধি করা প্রয়োজন যে যেকোনো বিষয়ে সমালোচনার প্রথম তীর ক্ষমতাসীনের দিকে নিক্ষিপ্ত হবে। বিচারপতির দেওয়া রায় হলো সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার অন্তিম ধাপ। তার আগে আইন প্রণয়ন, তথ্য সংগ্রহ, তদন্ত, মামলা পরিচালনা, কৌসুঁলী নিয়োগ, সাক্ষীর সুরক্ষা, ইত্যাদির উপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ থাকে সরকারের হাতে। তারা যদি সেই কাজে গাফিলতি করেন, তাহলে প্রকাশ্য অপরাধও শাস্তি এড়াতে পারে।
কাদের মোল্লার রায় হওয়ার বহু আগেই আপিলে অসমতার কথা বলা হয়েছিলো, সরকার সেই মতামত গ্রাহ্য করেনি। শাহবাগ আন্দোলনের দাবির মুখে আপিলের আইন সংশোধন হয়েছে, কিন্তু আপিল নিষ্পত্তির কোনো আবশ্যিকতা রাখা হয়নি। কাদের মোল্লার মামলায় 'অধিনায়কের দায়' অন্তর্ভুক্ত হয়নি বলে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। গোলাম আজমের মামলায় সর্বাধিনায়ক হয়েও একই পরিণতি হয়েছে।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের সাথে আওয়ামী লীগের সখ্য, যেকোনো কৌশলে বিএনপি থেকে জামায়াতকে পৃথক করার চেষ্টা, হেফাজতকে সংসদে আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, ইত্যাদির কানাঘুঁষা শোনা গেছে। বাচ্চু রাজাকারকে সবার চোখের সামনে থেকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। গোলাম আজমের মামলার আগে গওহর রিজভি এবং সালমান এফ রহমানের সাথে জামায়াতের ব্যারিস্টার রাজ্জাকের গোপন বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয়েছে। সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর সাফাই সাক্ষী দিতেও যাচ্ছেন এই সালমান এফ রহমান।
এই পরিস্থিতিতে আমজনতার অবস্থান থেকে মনে হচ্ছে গত চার বছর ধরে 'সাঈদী বনাম আওয়ামী লীগ' আইনী লড়াই হয়েছে। জামায়াত তাদের সর্বশক্তি (আইনী এবং সন্ত্রাসী) নিয়োগ করে সাঈদী রাজাকারকে বাঁচাতে। আওয়ামী লীগও ঠিক সেই জায়গাতেই জামায়াতকে টাইট দেওয়ার কাজ করেছে। এগুলো শুধুই অন্ধকারে ঢিল এবং অলস জল্পনা বলে উড়িয়ে দেওয়া যায়। আমাদের ক্ষোভের মূল স্থানও সেখানে না।
রায় আদালত দিলেও এই রায়কে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে। রায়ের পর আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া ছিলো নিরবতা কিংবা সন্তুষ্টির। সাংবাদিক সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন তিনি সন্তুষ্ট, আইন মন্ত্রী বলেছেন দেশবাসীর প্রত্যাশা পূর্ণ হয়েছে, আইন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন এই রায়ে অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। দল হিসাবে আওয়ামী লীগ এখনও কোনো বিবৃতি দেয়নি। এই হাস্যকর এবং অগ্রহণযোগ্য অবস্থানই সকল ক্ষোভের মূল।
স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগের এতটুকু হ্যাডম নেই গোলাম আজমের রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার, এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করার, এতে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়নি সেই কথা বলার। প্রায় ২০ ঘন্টা হতে চললো, কোনো মন্ত্রী-এমপি-শীর্ষনেতা রাস্তায় নেমে বলতে পারলেন না এই রায় স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এবং অগণিত মুক্তিযোদ্ধার বুকে কুঠারাঘাত।
বঙ্গবন্ধু সামরিক জান্তার রক্তচক্ষুর সামনে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান-আমেরিকা-চীন-মধ্যপ্রাচ্যের ভ্রূকুটি উপেক্ষা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর কন্যা এবং তাঁর দল আজ একটু অসন্তোষ প্রকাশ করতে ভয় পান। বড় নেতা বাদ দিলাম, আওয়ামী-ঘনিষ্ঠ কোনো খুচরা নেতা-কর্মীও জোরে আওয়াজ তুলছেন না, তাকিয়ে আছেন শীর্ষ নেতৃত্ব কী ঠিক করেন সেই অপেক্ষায়। ঠিক যেমন কাদের মোল্লার রায়ের পর কয়েকদিন লেগেছিলো তাদের প্রতিবাদী হতে।
ইতিপূর্বে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জামায়াতের অপপ্রচার, বাংলাদেশ নিয়ে বেগম জিয়ার অপপ্রচার, কিংবা হেফাজতের মিথ্যাচার নিয়েও আওয়ামী লীগ সময়মত কোনো মতামত দিতে পারেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়ে সংসদে বক্তব্য রেখেছেন, কিন্তু সেটা সময় চলে যাওয়ার অনেক পর। ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা যাচ্ছে তো যাচ্ছেই।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রসঙ্গের জবাব তুলনায় অনেক সংক্ষিপ্ত। গত চার বছর বছর ধরে যাবতীয় লুটপাট করেছে ছাত্রলীগ। আমজনতা হয় চাঁদাবাজির শিকার হয়েছে, নয়তো বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করতে গিয়ে হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন। যাঁরা বিচারের জন্য কাজ করে এসেছেন, ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগ তাঁদের পাশে কখনই ছিলো না, বরং আওয়ামী লীগের অপকর্মের ভার তাঁদের বহন করতে হয়েছে।
শেষ প্রসঙ্গ এবার। আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনে প্রায় ২৭০টি আসনে জয়ী হয়েছিলো। দল হিসাবে আওয়ামী লীগ এই বিপুল সমর্থনের যোগ্য না। তেমন কোনো জনহিতৈষী কাজের পুরষ্কার হিসাবে এই বিপুল বিজয় আসেনি। আজ যারা যুদ্ধাপরাধীদের শুধু বিচারের সম্মুখীন করার কারণেই বাহবা চাইছেন, তাদের স্মরণ করা উচিত যে ১০০ আসন জয়ের অযোগ্য একটা দলকে প্রায় ২৭০টি আসন দিয়ে জনগণ আগাম পুরষ্কৃত করেছিলো। এত বড় বিজয়ের পর তারা যেই খেল দেখাচ্ছেন, হয়তো ১৫০ আসনে জয়ী বিএনপি-কে চাপের মধ্যে রেখেও সেটুকুই সুফল পাওয়া যেত। অতএব, নির্লজ্জের মতো সাধুবাদ চাইবার আগে দ্বিতীয় বার ভাববেন দয়া করে।
মন্তব্য
লেখা যথাযথ লেগেছে। কিন্তু যাদের কাছে পৌঁছান দরকার তাদের কাছে কি পৌঁছাবে? আর পৌঁছালেও তারা কি উপলব্ধি করবে? তবু আশা রাখা যাক, তাদের কাছে পোঁছবে এবং তারা কিছুটা হলেও উপলব্ধি করবে।
- একলহমা
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
খুব ভালো পোস্ট।
বাস্তব কথা কইলেন ভাই ।
- ইভান
উষ্টা মারি কম্প্রমাইজের রাজনীতিতে||
সহমত প্রকাশ করছি লেখকের সাথে।
শেখ হাসিনারা রায়ে সন্তুষ্ট।
বরাহশিরোমনির খাওয়াদাওয়া-
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এখন থেকে তার জন্য তৃতীয় শ্রেণী’র বন্দি’র সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা। এতো খাবারের তেলেসমাতি সেক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা নয় কোনভাবেই। এইসব দেখছে কে?
এই মহাপূন্যবানটি রোজা রাখে না! নাকি সেখানেও বয়সের দোহাই?
সল্পজ্ঞানে যতটুকু জানি, অপরাধী হিসেবে আটক অথবা বিচারকাজ চলাকালীন সময়ে বা শাস্তি হয়ে যাওয়ার পর কোন পর্যায়েই কাউকে ফরমায়েশি আলাদা খাবার সরবরাহ করা হয় না । এমনকি জেলের নির্ধারিত খাবার সরবরাহকারীর কাছ থেকে শুধুমাত্র দুপুরের খাবার কেনা যায় তাও সবার জন্য নির্ধারিত কয়েকটি মেনু । এর কারণ হচ্ছে, অপরাধী যেই হোক না কেন আইনের চোখে অর্থাৎ রাষ্ট্রের কাছে সবাই সমান । ইনি এতটাই পূন্যবান যে এর বেলাতে সব উল্টে যাবে!
মৃত্যুদণ্ড দেবার ক্ষেত্রে বডি ফিটনেস কবে থেকে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে?
বডি ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য যে পরিমাণ খাবার-দাবারের আয়োজন করা হয়েছে গত কয়েকটা মাস তা বিস্ময়কর; বাংলাদেশে আর কোন বন্দির জন্য এই পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা এর আগে দেয়া হয়েছে কি? মনে হয় না।
সাপ্তাহিক একতায় গোলামের রায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে করা বিশেষ পাতায় এই কমেন্টটি দিতে চাই।
স্বয়ম
সহমত।
যে ট্রাইবুনাল এইরকম ফালতু,জঘন্ন রায় দেয় সেই ট্রাইবুনাল ধুয়ে কি পানি খামু নাকি??!!!
-------------------------------
সুবোধ অবোধ
হ্যাটস অফ
প্রতিটি কথার সাথে সহমত।
মন্তব্য বাদ দিলাম।
সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী, আইন মন্ত্রী এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী যখন বলে ফেলে, রায়ে তারা সন্তুষ্ট, তখন প্রসিকিউশন ঠিক কতোটা আন্তরিকতার সাথে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গিয়ে আপিল করবে?
আজ যদি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায়ে কর্নেল ফারুক বা কর্নেল রশিদকে বয়স বা গুপ্তকেশের দৈর্ঘ্য বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ড রহিত করে অন্য কোনো দণ্ড দেওয়া হতো, শেখ হাসিনা কি সংসদে দাঁড়িয়ে গলা উঁচু করে বলতে পারতেন, ঐ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট? নাকি অন্যের বাপ খুন হইলে সেইটা কোনো বিষয় না?
------------------------------
সুবোধ অবোধ
বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে কি এই জামাত কোনভাবে জড়িত ছিল না? এরা কি কোনভাবে জড়িত ছিল না চার জাতীয় নেতা হত্যার সাথে? শেখ হাসিনা আজ ভাবছেন-ই বা কিভাবে যে আজকের আপোষে তারা সবাই জামাতের হাত থেকে পুরোপুরি ছাড়া পেয়ে গেছেন?
কত সহজে আপোষ করে ফেলে সবাই!
অতএব, নির্লজ্জের মতো সাধুবাদ চাইবার আগে দ্বিতীয় বার ভাববেন দয়া করে।![চলুক চলুক](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/yes.gif)
আজকে সারাদিন "আমি সন্তুষ্ট, আমি সন্তুষ্ট" এই কথাটা মাথার মধ্যে ঢুকে গেছে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সাপ্তাহিক একতায় গোলামের রায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে করা বিশেষ পাতায় এই কমেন্টটি দিতে চাই।
স্বয়ম
সহমত![চলুক চলুক](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/yes.gif)
শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ জামাতের সাথে আপোষ করেচে; বিশাল টাকা খেয়েচে; এটা বলবার মতো সাহস তো আপনাদেরও হলো না!
ঠারেঠোরে নানান গীত গাইলেন, তবু সাহস করে 'আওয়ামী লীগ মিরজাফর' এই কথাটা বলচেন না!
আফসোস, এই আপনাদেরকেই ২য় মুক্তিযোদ্ধা মনে করে শাহবাগে গেচিলো মানুষ!
টাকা খেয়েছে, আপোষ করেছে ইত্যাদি কথা প্রমাণ ছাড়া ইনফরমালি ফেইসবুকে বলা যেতে পারে, বন্ধু বান্ধবের সাথে আলোচোনা করা যেতে পারে, কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া একটা লেখায় প্রকাশ করলে সেইটা কোনো গুরুত্ত্ববহন করে না ।
আমার তো মনে হয় এইলেখায় ভিন্নভাষায় আওয়ামী লীগের বিশ্বাসঘাতকতার কথাই বলা হয়েছে। একেবারে আপনার ভাষায় বলতে হবে এমন কোন কথা নাই। আপনি আপনার মত নিয়ে নিজের ভাষায় নিজেই একটা লেখা দিন না?
মোটের উপর আপনার মন্তব্যের টোনটা ভালো লাগে নাই।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
কাদের মোল্লার আপীল এখন কোথায় আছে?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি আসলে হন্য হয়ে এই লিস্টই খুজছিলাম ... মুরুবীকে কত কষ্ট করে বাইরের খাবার খেতে হচ্ছে ?! আসুন আমরা সবাই নিজ দায়িত্বে তাঁর জন্য স্বহস্তে রেঁধে এই বুজুর্গুর প্রতি '৭১ এর ঔদ্ধত্বের কাফ্ফারা দেই .. বাপ-চাচাদের সীমা লঙ্ঘনের বিনীত মাফ চাই !! আর প্রতিদিন একটা করে আওয়ামী ছাগল পাঠাই তার হাত-পা টেপার জন্য , তার ওজুর পানি বদলানোর জন্য ।
এই জায়গাটাতেই খুব অসহায় লাগে! কি সরকারীদলের কি বিরোধীদলের কেউ মুখটি খুললেন না। আপনাদের মধ্যে নাকি অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা??? কাকও কাকের মাংস খায় না। কিন্তু আপনারা সহযোদ্ধাদের মুখেই শুধু কালি লেপে দিলেন না তৈরি করলেন ন্যাক্কারজনক উদাহরণ। অন্ততঃ এই মানসিক দীনতা সম্পন্ন মানুষ(!)গুলোর মুখ থেকে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি নিয়ে আর কোন বড় বড় বুলি শুনতে রাজী নই। আপনাদের মুখে থু থু ছিটিয়ে নিজের গলা শুকাতেও রাজী নই। ইতিহাসের আস্তাকুড়ই হোক আপনাদের স্হায়ী ঠিকানা।
রাজনীতি সবই রাজনীতিরে ভাই।
পূর্ণ সহমত
- মুকুল
'হয়তো ১৫০ আসনে জয়ী বিএনপি-কে চাপের মধ্যে রেখেও সেটুকুই সুফল পাওয়া যেত।'...জী আমরা চাপ দিলে বিএনপি মানে জামাত হয়ত নিজেরাই নিজেদের বিচার করত...হয়ত গু-আজমের রায় গু-আজম নিজেই বিএনপি-জামাতের অফিসে বসে লিখত...
-আমিই নেংটা ছেলে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইসরাত
বিচার শুরু করা দূরে থাক আন্য যে কোনে একটা দলের নাম বলবেন যারা নীতি গত ভাবে স্বীকার করে যে এ অন্যায়ের বিচার হওয়া প্রয়োজন ?
বাবুনগরীদের উত্থান কেন হল এ সরকারের আমলে ?বিচারের সাথে ইসলাম ডুবার সম্পরক কি? কেন এই সরকারকে নাস্তিক আক্ষা দেয়া হয় , সিটি নিবাচন গুলোতে ভরাডুবিতে যেটা প্রধান ভূমিকা পালন করেছে !!!
আমরা জনগন সরকারকে কতটুকু সহযোগিতা করেছি !! কেউ অপপ্রচার চালাবে আর আমরা তা বিশ্বাস করব !!আসলে দেশের প্রকৃত শিক্ষিতের হার কত ??? নাম লিখতে পারলেই ???
খুব ভালো কথা আদালত বিচার করবে আর দায় পড়বে শেখ হাসিনার উপরে-কারাদন্ড হইলে শেখ হাসিনার দোষ আর ফাসী হইলে ন্যায় বিচার। ফর ক্রায়িং আউট লাউড বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার" টাইপ চিন্তা ভাবনা কারন কি? তবে এ লাইনটা জোশ হইসে- বি এন পি ১৫০ আসনে জয়ী করলে রায় অন্য রকম হতো"// অফটপিক আলু পত্রিকায় শিকাগো থেকে মন্চের পান্জাবী নেতাদের জন্য সাড়ে চার লাখ টাকা দেয়া একা রউফের নাম আছে-আপনেই কি সে ব্যাক্তি?
ভাল হইসে।।।
গোলাম আজমের রায়ে হাসিনা সন্তুষ্ট , কিন্তু ম্যাংগো পিপল সান্তুষ্ট নয়।
হিমেল খালেদ
নতুন মন্তব্য করুন