হাউন্ড অফ দ্য হোমলেস - ৪

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি
লিখেছেন ইশতিয়াক রউফ (তারিখ: শনি, ০৮/০৯/২০০৭ - ১২:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তিনটি শহরের কাহিনী। এ টেল অফ থ্রি সিটিজ। টাস্কেগি (অ্যালাবামা), ডাল্টন (জর্জিয়া), আর মরিসটাউন (টেনেসি)। যাত্রাপথে এই তিনটি শহর ঘুরে আরো একটি পুরনো প্রশ্নের পার্শ্বিক জবাব পেলাম। বোধ হবার পর থেকেই আমি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মানুষ। আরো অনেকের মত আমিও সাম্রাজ্যবিরোধিতা ও অন্ধ আমেরিকাবিদ্বেষ মিলিয়ে ফেলতাম। এদেশের মানুষের সাথে মিশে এবং এর ইতিহাস জেনে সেই ভুল ভেঙেছে আমার অনেক আগেই। তবে একটা ব্যাপার মিলাতে পারতাম না। এত আলোকিত যেই দেশ, যেই দেশ এব্রাহাম লিংকনকে নির্বাচিত করেছে, সেই দেশ কোন আক্কেলে জর্জ বুশকে নির্বাচন এবং পুনর্নিবাচন করতে পারলো? কোন প্ররোচনা থেকে মানুষ লাল বাক্সে ভোট দেয়? কেন দিনদিন এই দেশটা উগ্র আর অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছে? কেন আমেরিকা আলিঙ্গন করছে ধর্মযুদ্ধের সময়ের মানসিকতা, কেন আধুনিক না হয়ে ক্রিশ্চিয়ান হচ্ছে?

জবাবে যাবার আগে শহরগুলোর বিবরণ দেই একটু। মন্টগোমারি (অ্যালাবামা) থেকে গিয়েছিলাম অ্যাটলান্টায় (জর্জিয়া)। সেখানে গ্রে হাউন্ডের হাবে বসে থাকলাম ঘন্টা চারেক। যাবার পথে দুজন যাত্রী নামানোর জন্য বাস ঢুঁ মেরেছিল টাস্কেগি নামক এক শহরে। ইন্টারস্টেট ছেড়ে ছোট এক পথ ধরেছিল বাস। ভাবলাম শর্টকাট হবে কোন। রাস্তার পাশে খামার আর কিছু ঘরবাড়ি, এই হল শহর টাস্কেগি। কোন বাস স্টপেজ চোখে পড়ছিল না সামনে। আচমকা বামে মোড় নিয়ে ঢুকে গেলাম একটা গ্যাস স্টেশনের পেছনে। পার্কিং লটে লোক নামলো। অন্ধকার নামি নামি করছে তখন। আশেপাশে কোন আলো নেই। দূরে কিছু বাড়ি, তাতেও শুধু পোর্চে আলো জ্বলছে। ফ্র্যাঞ্চাইজ নেই কোন আশেপাশে। ম্যাকডোনাল্ডস পর্যন্ত দেখলাম না একটা। শুধু এবং শুধুই যেন রাত্রিযাপনের স্থান একটা। অনেক ঘোড়া দেখা যাচ্ছিল টিলার উপরের বাড়িগুলোয়। পাশ থেকে পুরুজিত বললো, এরকম নিরালা পেলে ওর কিছু চাই না। আমি বললাম, অন্তত কিছুদিন পরপর শহর চাই আমার নিজেকে রিচার্জ করে নেবার জন্য। রোমান্টিকতা আর প্রগতির তর্কের ফাঁকে দুজনেই একমত হলাম, এই শহর শুধু থাকবার জন্য, আর কোন উদ্দেশ্য নেই এর। এজন্যই এমন জনমানবহীন, নিস্তব্ধ। মানুষ এখানে শুধু ঘুমাতে আসে। এর না আছে নিজের আলো, না বাইরের জগতের আলো।

টাস্কেগি হয়ে এগুলাম অ্যাটলান্টার পথে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টার পথ। পুরো যাত্রায় এই প্রথম শহরের মাঝে ঢুকলাম। যাত্রা শুরুর আগে বলে দেওয়া হয়েছিল যেন সাবধানে থাকি, একা কোথাও চলে না যাই। অবাক হয়েছিলাম, কাষ্ঠ হেসেছিলাম। টাস্কেগির মত দুচারটে শহর পেরিয়ে ভয় ধরে গিয়েছিল মনের মধ্যে। স্বাভাবিক কারণেই অ্যাটলান্টা ছিল একটা বিশাল স্বস্তি। প্রিয় শহরে আবার আসার আনন্দও ছিল সাথে। কিন্তু সব মাটি করে দিল মালপত্র টানাটানির কষ্ট। ডজন খানেক পোটলা-পাটলি নিয়ে কোন রকমে ঢুকলাম বিশাল হাবে। আশ্চর্ক হয়ে গেলাম জনারণ্যে। মুডটা আবারো একটু খারাপ হয়ে গেল।

অল্পের মধ্যে বেশ গোছানো ছিল হাবটা। বড় বড় রাউটের জন্য আলাদা দরজা ছিল। অনেকটা জায়গা ছেড়ে দেওয়া ছিল অপেক্ষমান যাত্রীদের জন্য। তবে ভীড় ছিল প্রচন্ড, এবং অধিকাংশ যাত্রীই যথারীতি কালো অথবা ভাগ্যাহত। ফলস্বরূপ বীভৎস রকম নোংরা ছিল ফ্লোর আর টয়লেটগুলো, এলোপাতারি দাঁড়িয়ে ছিল সবাই, আর পানি খাওয়ার একমাত্র ফাউন্টেনটাও ছিল ভাঙা। এরই মাঝে একজন দিনমজুর কিসিমের সাদা লোক টান হয়ে ঘুমিয়েছিল। কী নিবিড়, নিশ্চিন্ত ঘুম। হিংসা হচ্ছিল খুব। জীবনে যার কিছু নাই, স্বজাতির দিকে তাকালের যার খেদ ছাড়া আর কোন অনুভূতি হবার কথা না, সেই লোকটা আক্ষরিক অর্থেই ধূলার পালঙ্কে কত শান্তির ঘুম দিচ্ছে, আর আমি হতভাগা আছে-নাইয়ের হিসাব মিলাচ্ছি বসে বসে। যৎসামান্য যা পেয়েছি জীবনে, তার বিনিময়ে দাম অনেক বেশি ফেললাম মনে হয় ভাবনার জটিলতা নামক এই অভিশাপটায়।

লুইজিয়ানা থেকে মিসিসিপি, অ্যালাবামা, জর্জিয়া, টেনেসি হয়ে ভার্জিনিয়া আসার এই এক হাজার মাইল যাত্রায় সবচেয়ে বড় বিস্ময় ছিল একটাও আইপড না দেখা। মাত্র বছর কয়েকে এক কোটিরও বেশি আইপড বিক্রি হয়েছে আমেরিকায়। তারুণ্য আর প্রগতির প্রতীক হয়ে উঠেছে ছোট ছোট মিডিয়া প্লেয়ারগুলো। এই যাত্রার আগ পর্যন্ত আমি কখনো খুব বেশি সময় আইপড বা অন্য কোন টেক গ্যাজেট না দেখে থাকিনি। এতগুলো মানুষ দেখলাম, কারো একটা আইপড নেই। শুধু একজন লোক পরম যত্নে আঁকড়ে ধরে ছিল একটা এফএম ট্রান্সমিটার। আমেরিকায় থেকে এরকমটা অবিশ্বাস্য ঠেকছিল। অ্যাটলান্টায় বাসে অপেক্ষমান অবস্থায় পাশ ফিরে দেখি এক লোক কানে সিডি প্লেয়ার গুঁজে ঢুলে ঢুলে নাচছে। ব্যাকরণহীন, বিচিত্র সব অঙ্গভঙ্গি করছিল। বাসশুদ্ধ মানুষ চেয়ে চেয়ে দেখছিল, মন্তব্য ছুঁড়ছিল নিজেদের মধ্যে। আনন্দের ঝাপটায় মুছে গেল সবটুকু টেনশন আবারো।

অনেক ঘন্টা দেরির পর বাস ছাড়লো। অন্ধকার বাসে উকিঝুঁকি মেরে দেখছিলাম রাতের অ্যাটলান্টা। বিকেলে বাস কেমন যেন চুপচাপ ছিল। ঘুমানোর জন্য উদ্গ্রীব ছিল সবাই। রাতটা একদম উলটো। একের পর এক ইয়ার্কি-ঠাট্টার মধ্যে দিয়ে বেশ কেটে যাচ্ছিল সময়। কিন্তু ঘন্টাখানেকের মধ্যেই আবার একটা লম্বা বিরতি। ডাল্টন শহরের সাথে পরিচয় সেখানেই। রাতের আঁধারে ডাল্টনের যেটুকু দেখলাম, তাতে একে মনে হল যেন টাস্কেগির ঠিক বিপরীত। চুক্তিভিত্তিক শহর জাতীয় একটা বিদঘুটে চিন্তা মনে এল। বিশাল যাত্রাবিরতির পর মাত্র ঘন্টাখানেক পথ চলেই আবার ঘন্টাব্যাপী বিরতি, একটু অবাক তো হতেই হয়। গ্রে হাউন্ড স্টেশনে উচ্চমূল্যের কারণে পেট ভরতে পারিনি। আগডুম-বাগডুম বাদ দিয়ে তাই ঢুকে পড়লাম নিকটস্থ দোকানে। ঢুকবার সাথে সাথেই পরিষ্কার হল এই যাত্রাবিরতির উদ্দেশ্য। ডাল্টনের বিরতিটা ছিল চুক্তিভিত্তিক। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনটি গ্রে হাউন্ড বাস আর চারটি কন্টেইনার ট্রাক এসে ভিড়লো দোকানের পাশে। একই ছাদের নিচে সেখানে হরেক রকম দোকান। প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্র্যাঞ্চাইজগুলো ব্যাবসার খাতিরে একজোট হয়ে দোকান দিয়েছে। গ্রে হাউন্ডের মত কোম্পানিগুলোর সাথে লভ্যাংশ ভাগ করে নিয়ে সকলেই আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। ডাল্টন শহর হিসেবে টাস্কেগির মত বিচ্ছিন্ন না। এখানে প্রতিদিন শত শত লোকের আনাগোনা হয়। সমস্যা অন্য জায়গায়। পথিকের মনের মাত্রা একই ধাঁচের হওয়ায় নানা মন আসলেও নানা মত আসে না ডাল্টনে। আমাদের মত ভিন্ন উৎস ও চিন্তার মানুষদের সাথে তার মিথস্ক্রিয়া শুধু সাবওয়ের চার টাকা আটাত্তর পয়সা বা ম্যাকডোনাল্ডসের চার টাকা পঁচিশ পয়সায় সীমিত।

ডাল্টন থেকে নক্সভিল হয়ে থামলাম টেনেসির মরিসটাউনে। ভীড় এড়ানোর জন্য বাসগুলো বড় শহর এড়িয়ে চলে। এরই মাঝে আমেরিকার প্রত্যাশিত চাকচিক্যের ছটা দেখা গেল রাতের নক্সভিলে। নক্সভিল পেরিয়ে মরিসটাউনে এলাম ভোরের দিকে। লম্বা সফরের ক্লান্তি তখন শরীরের ভাজে ভাজে ডাক দিচ্ছে। মরিসটাউন দেখেই মনে হল এ যেন শহরের ছায়া। দেশের মত ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান দেখলাম কিছু। ডাউনটাউনের অধিকাংশ দোকানের কাঁচ ভাঙা, ভেতরে পায়াভাঙা চেয়ার-টেবিল ধূলায় ঢাকা। একের পর এক পুরনো গাড়ির লট দেখে একটু অবাক হলাম। পুরো শহরের জীবিকা শুধু এটাই। পুরনো গাড়ি কেনাবেচা এবং মেশিন শপে গাড়ি সারাই করা। পাহাড় আর খোলা জায়গাগুলোয় আবাদী জমি ছিল কিছু। একটা কমিউনিটি কলেজ দেখা গেল বহু দূরে। একটা ডিপার্টমেন্টাল দোকানের বাইরে কোকাকোলার বিজ্ঞাপন। আধা লিটারের চারটি কোক দশ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। স্পেশাল ডিল! অন্য শহরগুলোয় এটুকুই কিনতাম মাত্র দুই ডলারে। আমাদের দিকে চেয়ে ছিল শহরের বাসিন্দারা, আর আমরা ভাবছিলাম অভিবাসীদের জীবন কেমন হবে এরকম শহরে।

এই শহরগুলোর প্রতিটিই চূড়ান্ত রকম রিপাবলিকান। গোঁড়া, ধর্মান্ধ, অবিশ্বাসী, কিঞ্চিত বর্ণবিদ্বেষী, এবং অসহিষ্ণু। একের পর এক নির্বাচনে লাল দল জয়ী হয়ে চলেছে শুধু এই ছোট শহরগুলোর ভোটেই। এদের বড় চাকরি নেই। এখানে কোন মিল-কারখানা নেই। নেই বাইরের জগতের সাথে পরিচয়ও। টিভিতে এরা দেখে শুধু ফক্স নিউজ। এদের পক্ষে ভিন্ন বর্ণ, ভিন্ন রক্তকে দোষী বলে মেনে নেওয়া খুব সহজ। এদের কাছে এসে এই কথাই বলে রাজনীতিকরা। এতেও যদি কাজ না হয়, তাহলে ইশ্বর ও তার গুণধর পুত্রের নাম বেঁচে ফতোয়াবাজি করে দেওয়া হয়। অব্যর্থ ওষুধ। কখনো এরা বলে যে খ্রীস্টানদের উচিত মুসলমানদের ‘আউট-ফ্যানাটিসাইজ’ করা। কখনো বলে বাইবেলে বলা আছে ইহুদিদের স্বার্থরক্ষা খ্রীস্টানদের ধর্মীয় দায়িত্ব। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পরের কথা বাদই দিলাম। এখন তো মুসলিম বা মুসলমান না হয়ে ইসলামিস্ট হয়ে গেছি আমরা। প্রতিটি মুসলমানই যেন ওসামা বিন লাদেন। এই হল আমেরিকার ভিতরের লাল পৃথিবী। দোষ দিতাম এদের অনেক। শহরগুলোর বিচ্ছিন্ন অবস্থা দেখে মনে হল, এদের আদৌ কতটুকু দোষ দেওয়া যায় এরকম চিন্তার জন্য। কী দরকার এত যন্ত্রনা করার... ঘুম দেই। উটের মত নাহয় বালিতে মাথা গুঁজে প্রলয় কাটিয়ে দেওয়ার অক্ষম চেষ্টা করি।


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

শেষটা একটু hurried. আবারো সফরে বের হবার আগে প্রায়-সমাপ্ত লেখাটা আপলোড করেই গেলাম। পরে ঘষে-মেজে দেবো নে।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

ইশ মিয়া, তোমার লেখার হাত আসলেই অসম্ভব রকমের ভাল ... আগেও বোধহয় বলছি, আবার বললাম ...

খুব ভাল লাগছে পইড়া ...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

জিতছি তাহলে। থ্যাংক্স। সমস্যা আমার অন্য জায়গায়। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াচ্ছি আমি। আসল কাজের বেলায় ঠনঠন, ব্লগে ভ্রমণকাহিণী লিখে বেড়াচ্ছি। আমার ডিগ্রি যে কোন চুলায় উঠবে এভাবে চললে... খাইছে

বায়েজীদ এর ছবি

চমৎকার পর্যবেক্ষণ। প্রিয় পোস্টের তালিকাতে যোগ করে রাখলাম লেখাটা।

বৃহত্তর পাঠক শ্রেণীর জন্য লেখাটাকে কোন পত্রিকাতে পাঠাতে পারেন। এ ধরণের তথ্য অধিকাংশ বাংলাদেশীরই অজানা।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ। মাথায় রাখবো। অনেক কিছু লেখার ছিল আরো। শেষটায় হয়তো কিছু সংযোজন করতে পারি পরে। আর দুই-একটা পর্ব বাকি। তার পরে ভেবে দেখবো।

রানা মেহের এর ছবি

বিষন্ন চমতকার লেখা

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ধন্যবাদ। ইন্টারেস্টিং মন্তব্য।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অসাধারন পর্যবেক্ষন। আগে কালে মানুষ বলত জ্ঞান আহরনের জন্য দেশভ্রমনে বের হও। আপনার ঘটনা আর নিজের অভিজ্ঞতা দুটোই এই নোশনকে আরো অনেক শক্ত করে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ধন্যবাদ, sm3. আমার মত হল, লিখতে হলে এক ধরনের detachment লাগে। দেশ থেকে দূরে আসলে এটা এমনি এমনি পাওয়া যায়। যেই জায়গা আর সময়গুলোর কথা লেখা, সেখানে আমি দেশের মত মিশে যেতে পারলে কিছুই টের পেতাম না। পর্যবেক্ষন ব্যাপারটা বাতাসের মত। সর্বময়, কিন্তু নিরাকার। মূল্যহীন, আবার অমূল্য। মাঝেমধ্যে মনে হয়, এর জন্য যেই দামটুকু দিচ্ছি, তা খুব বেশি হয়ে গেল না তো?

অয়ন এর ছবি

ভালো লাগলো খুব। রানা মেহেরের সাথে একমত। কেমন একটা বিষন্নতা।

পুরুজিত এর ছবি

ফেরার পথে আমি ফিরেছিলাম একা, কোন এক অজানা কারণে গ্রেহাউন্ড থেকে তুলে দিল আরেক কোম্পানির বাসে, তারপর মিসিসিপির মাঝ দিয়ে অগস্ত্য যাত্রা। কম করে হলেও ১৫টা শহরে থেমেছিল, এক মিসিসিপিতেই। বেটন রুজের রোড সাইন দেখে যত আনন্দ পেয়েছিলাম, দেশে কাচপুর ব্রিজ দেখেও অত আনন্দ পেতাম না স্কুল থেকে ফেরার পথে।
আবার মিসিসিপি যাবো বোধহয়, নতুন রুমমেট ফ্রি টিকেট দিচ্ছে, এল এস ইউ র সাথে ওল মিস এর খেলা দেখার জন্যে, একদম নাকি বেঞ্চে নিয়ে যাবে, সে আবার ফুটবল টিমের ট্রেনার !!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কঠিন!! এই কথা তো আগে বল নাই! ফিরতি পথেরটা সচলেই পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। চোখ টিপি

খেলা কেমন দেখলা? আমি তো নিউ ইয়র্ক গিয়ে দেখলাম খেলা। এখানে নিজেকে টাইগার বলে পরিচয় দিয়ে ফেললে মার খাওয়ার ভয় আছে এখন।

সিরাত এর ছবি

এই লেখা আগে পাঁচ পায় নাই কেমনে?

আমার প্রথম 'প্রিয় পোস্টে যুক্ত' লেখা। আর কি কমু। উফফফ!!!

এরকম আরো লেখ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।