৩.
২০০৫ ছিল খুব বেশি দুর্যোগপ্রবণ একটি বছর। বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন ১০ বছরের একটি ‘হাইটেনড হারিকেন সিজনে’ প্রবেশ করছি আমরা। দক্ষিণ ফ্লোরিডা অল্প সময়েই বেশ কিছু হারিকেন সামলালো, ক্যারিবীয় উপত্যকা ঝুম বর্ষনে ডুবে গেল, ব্যাঙের ছাতার মত এদিক-ওদিকে গজাতে থাকলো ট্রপিকাল ডিপ্রেশন। এদেশে ইংরেজি বর্ণমালার একেকটি অক্ষর ধরে ধরে হারিকেনের নামকরণ হয়। কোন হারিকেন যদি বেশি ঝুট-ঝামেলা করে, তাহলে সেই নামটি ত্যাজ্য করে দেওয়া হয় চিরকালের জন্য। দ্বিতীয় কোন অ্যান্ড্রু বা আইভান আসবে না, বছর গড়ালে দ্বিতীয় বার কেউ মনে করবে না সেই দুঃসময়ের কথা। সেবারে ২৬টি বর্ণ দিয়ে নামকরণ করেও কুলানো যায়নি। আলফা-বেটা-গামা-ডেল্টা-এপসাইলন-জিটা পার হয়ে শেষ অবধি শেষ হয়েছিল সেই বছরের হারিকেন-নামা। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতি করেছিল ডেনিস, এমিলি, ক্যাটরিনা, রিটা, আর উইলমা।
ডেনিস ল্যান্ডফল করেছিল ফ্লোরিডায়। বড় হারিকেন দেখে অভ্যস্ত ফ্লোরিডাবাসীদের জন্যও একটু বেশিই ছিল ডেনিস। হারিকেন ডেনিসের মত ঘূর্ণিঝড় অনেক বছর আসেনি। সে কী সমারোহ তাকে বরণ করে নিতে! কেউ ‘হারিকেন হান্টারে’ চড়ে হারিকেনের দিকে ধেয়ে যায়, কেউ আবহাওয়া-বেলুনে চড়ে হারিকেনের উপর দিয়ে উড়ে যায়, কেউ উদ্দাম ঢেউয়ে বিপুল উৎসাহে সার্ফিং করে, কেউ ক্যাম্পিং গিয়ার নিয়ে সমুদ্রের আরো কাছে যায়। সিএনএন-এর অ্যান্ডারসন কুপার তো ‘হারিকেনের সাথে বসবাস’ নামে বই লিখতে বাকি রাখলেন শুধু। বৃষ্টিতে ভিজে, বাতাসে পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি বেঁকে, হাতের কাছে দুম্বা-খাম্বা সব আঁকড়ে ধরে দিবা-রাত্র রিপোর্ট করে গেলেন। এক পর্যায়ে এই লোকের দুঃসাহসে মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না। শেষ পর্যন্ত এই পাগলামো থামলো প্রকৃতিরই এক রুক্ষ ধমকে যেন। সমুদ্রপাড়ের একটি বিশাল বিলবোর্ড কাগজের মত ছিড়ে উড়ে এল রিপোর্টারদের দিকে। আশ্রয় দেওয়া হোটেলের চিমনি খসে পড়লো। নিকটবর্তী একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ছাদ উড়ে গেল। সেবারের মত এই ধমকে মিডিয়া-সার্কাস কিছুটা কমলো। এত বড় একটি হারিকেনের পর সবার আফসোস ছিল। প্রতি বছরই দুই-একটা সেলিব্রিটি হারিকেন হয়। এবারেরটা বেশি আগে হয়ে গেল, ধ্যাত!
স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণ ও প্রকাশের আদি-অকৃত্রিম পথ হল ইচ্ছাপূরণ। ছয়দিনের মাথায় মূর্তিমান গজব হয়ে নেমে এসেছিল হারিকেন এমিলি। ল্যান্ডফলের কিছু আগে ক্যাটেগরি-৪ হয়ে এলেও কিছু সময়ের জন্য ক্যাটেগরি-৫ (সর্বোচ্চ) ছিল এমিলি। ইউকাটান পেনিনসুলার উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি সাধন করে গিয়েছিল। পুরো আমেরিকার মত আমিও বিকৃত সুখে হাসছিলাম। বড় ধাক্কাগুলো কখনো আমাদের গায়ে লাগবে না। ওগুলো বুকে নেবার জন্য বাহামা দীপপুঞ্জ, কিউবা, আর মেক্সিকো আছে। এরপর বেশ অনেক দিনের শান্তি। শুধু সপ্তাহে সপ্তাহে আকাশ গরম বাতাস ছাড়ে, পানি সেই বাতাসে ফুঁসে ফুঁসে ওঠে, আর আমরা নরম-কোমল সব নাম দিয়ে দেই এই হারিকেনগুলোকে। ফ্র্যাঙ্কলিন, গার্ট, হার্ভি, আইরিন, হোজে। এভাবে করেই অগাস্ট মাস চলে এল।
উপেক্ষায় নারী ভয়ংকর। কত বেশি ভয়ংকর, তা শিখিয়ে দিয়ে গেল হারিকেন ক্যাটরিনা। নারী-পুরুষ অদল-বদল করে রাখা নামগুলোর তালিকায় পরবর্তী হারিকেন ছিল ক্যাটরিনা। ডেনিসের পথ অনুসরণ করেই এসেছিল ক্যাটরিনাও। ফ্লোরিডায় আছড়ে পড়বার সময় পর্যন্ত এটি ছিল ক্যাটেগরি-১ হারিকেন। কেন যেন কেউ পাত্তা দিচ্ছিল না। আরো একটি নখর-দন্তহীন হারিকেন বলে উড়িয়ে দিচ্ছিল। এদিকে বিশেষজ্ঞরা চিৎকার করে যাচ্ছিলেন এই হারিকেন শেষ হয়েও শেষ না হওয়ার ভয় দেখিয়ে। বলছিলেন অগাস্ট মাসের গরমে মেক্সিকান উপসাগর অনেক বেশি ভয়ংকর। এর উপর দিকের অতি-উষ্ণ পানি ও বাতাস যেকোন হারিকেনের জন্য মৃতসঞ্জীবনী। বলছিলেন যে ডেনিসের চেয়ে একটু পশ্চিমমুখী এই হারিকেনের গতিপথ। কেউ শুনলো না। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই উপেক্ষার দাম কড়ায়-গন্ডায় মিটিয়ে দিয়ে গেল ক্যাটরিনা।
৪.
‘দ্য বিগ ওয়ান’ যে আসবে, সেটা জানা ছিল অনেক বছর ধরেই। দক্ষিন-পূর্ব লুইজিয়ানার উপর দিয়ে বড় হারিকেন এলেও তেমন ক্ষতি করতে পারেনি গত একশ’ বছরে। এই আত্মতৃপ্তিতেই সবাই মনের সুখে দক্ষিণের সোয়াম্পল্যান্ডগুলো উজাড় করে ফেলছিল। সুন্দরবনের ম্যাগ্রোভের মত দেখতে সোয়াম্পগুলো স্পঞ্জের মত হারিকেনের তীব্রতা শুষে নেয়। সোয়াম্পে পানি থাকলেও কম পরিমাণে থাকে, পানির মাঝেই সারি সারি গাছ থাকে, আর থাকে ভুরি ভুরি কুমির। এখানে হারিকেনকে কাছে ডাকার মত পানি থাকলেও শক্তি ধরে রাখার মত গভীরতা নেই, চাইলেই গাছের গোড়ার মাটি উপরে ফেলার উপায় নেই, আর এমন এক প্রাণির বসবাস যার জল-ডাঙা সমান। এক কথায় হারিকেনের বিপরীতে প্রকৃতির রক্ষণব্যুহ হল সোয়াম্প। ক্যাটরিনা ধেয়ে আসছিল ঠিক সেই দিকেই।
ব্যাটন রুজে আমরা তখন ঠিক হারিকেনের গতিপথে বসে আছি। সে-বছরের মে মাস থেকে আমার মা ও ছোট ভাই আমার সাথে ছিল। মা তখনও কাজ পায়নি, ভাই মাত্র হাইস্কুল শুরু করলো, বাবা দেশে। মা-কে বলি হারিকেনের কথা, দেখাই মাত্র শ’পাঁচেক মাইল দূরে আছে ক্যাটরিনা। মা বলে, ঢাকা-চট্টগ্রামের চেয়ে কত বেশি দূর, আদৌ কি এই হারিকেন নিয়ে এত দূরে বসে চিন্তিত হওয়ার কিছু আছে, ইত্যাদি। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। একটু দম নিয়ে জানাই এই যে এটি ক্যাটেগরি-৫ হারিকেন, সবচেয়ে শক্তিশালী। পাশ থেকে ভাই বলে এরকম কত সাইক্লোন হরদম আঘাত করে বাংলাদেশে, মিডিয়ার লাফালাফিতে এত ভয় যেন না পাই। আমি মনে করি ঠিক এক বছর আগে ফ্লোরিডায় হারিকেন আইভান আঘাত করার কথা। সেই হারিকেনের জন্য তিন স্টেট পশ্চিমে আমাদের ক্লাস বন্ধ ছিল ৩ দিনের জন্য। হারিকেন পূর্ব দিকে ঘুরে যাওয়ায় পুরো বছরের শ্রেষ্ঠ দিন ছিল সেই দিনটি, কিন্তু মাস খানেক পর পেনসাকোলা বিচে গিয়ে দেখেছিলাম সাগরের বুকে সেই হারিকেনের ক্ষত।সাধারণ অবস্থায় স্ফটিকস্বচ্ছ পানির জন্য বিখ্যাত পেনসাকোলার বিচগুলো সব বন্ধ ছিল রিকনস্ট্রাকশনের জন্য। আরো কিছুদূর এগিয়ে ডেস্টিন বিচে নেমেছিলাম আমরা। সাগরতীরের মাটি যেন খাবলে খাবলে তুলে ফেলেছিল কেউ।এতদিন পরও পানি ছিল কাদায় ভরা। এদিক-ওদিক ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসচিহ্ন তো আছেই। আইভান ছিল ক্যাটেগরি-৪ হারিকেন।
ব্যাটন রুজ একটু উঁচু এবং ইনল্যান্ড দেখে ভয় ছিল কম। উত্তেজনা আর আশঙ্কা ছিল নিউ অর্লিয়েন্সকে নিয়ে। অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বড়, জনবহুল, এবং অর্থ উপার্জনকারী শহর নিয়ে চিন্তা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আরো বেশি চিন্তার কারণ ছিল শহরটির নির্মাণশৈলি। আমেরিকার অন্যতম পুরনো শহর হিসেবে এর দুর্নাম ছিল। ফরাসিরা প্রথম নিউ অর্লিয়েন্সে আখড়া গড়ার সময় ‘ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার’ নামে একটি জায়গায়। শুধু এটুকুই ছিল উঁচু জমি। বাকি সব সমুদ্র-সমতলের নিচে। কালের বিবর্তনে শহর ছড়িয়ে পড়ে। বন্দর-নগরী হওয়ায় হরেক রকম মানুষের ভিড়ে অনেক আগোছালো হয়ে যায় শহর। জাহাজ থেকে লাফানো মানুষগুলো ঝড়ের চিন্তায় দূরে থাকার বদলে প্রতি বিন্দু ফাঁকা জমিতে আবাস গড়ে তোলে। পানি থেকে বাঁচার জন্য সবদিকে বাঁধ তুলে শহরটাকে দেখতে গামলার মত করে ফেলা হল। আমাদের দেশে যাকে বেড়ি-বাঁধ বলে, লেভি নাম দিকে তারই আশ্রয়ে ছড়িয়ে পড়লো নিউ অর্লিয়েন্স শহর।
উত্তর গোলার্ধের হারিকেনগুলোর পূর্বদিকে ঝড়ের ঝাপটা বেশি থাকে। একারণেই হারিকেন ব্যাটন রুজের দিকে এলেও উপর-মহলে আশঙ্কা নিউ অর্লিয়েন্সকে নিয়েই বেশি ছিল। বিকেল নাগাদ সবাই মিলে ওয়ালমার্ট গেলাম। পুরো শহর যেন ভেঙে পড়েছিল। চিরাচরিত আইলগুলো ছেড়ে সবাই হামলে পড়ছিল পানি, শুকনো খাবার, আর মোমবাতির সারিতে। যুদ্ধ করে ছয় গ্যালন পানি পেলাম, শুকনো খাবার বলতে কিছু পেলাম না, বাধ্য হয়ে সুগন্ধী মোম কিনলাম কিছু। ভিড় ঠেলে ঘরে ফিরে চৌবাচ্চায় পানি ভরলাম। খালাকে দিয়ে চট্টগ্রামে চাচার বাসায় ফোন করানো হল। জানতে চাওয়া হল সাইক্লোনের প্রস্তুতি নিয়ে। ফোন লাইন ধসে পড়বে, এই অবধারিত সত্য মেনে নিয়ে একাদিক্রমে ফোন করলাম সব আত্মীয়দের। এভাবে অন্ধকার নেমে আসলো।
মা রান্নার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলো এর মাঝেই। গরম ভাত, মুরগির মাংস, ছোট মাছ ভাজি, আর ডাল। আমি আতকে উঠে বললাম ইলেকট্রিসিটি চলে যাওয়ার ভয়ের কথা। নিবৃত্ত করা গেল না পুরোটা, তবে একটু সীমিত করা গেল। এর মধ্যেই রাত নামলো। কেমন যেন নিস্তব্ধতা চারিদিকে। সন্ধ্যার পর একজন দু’জন করে ফোন করে বললেন তারা শহর ছাড়ছেন। বাবা ঢাকা থেকে ফোন করে বললো আমরাও সাথে যাবো কিনা। বললাম গ্যাস স্টেশনে তেল নেই, থাকলেও দাম তিনগুণ। হারিকেনের আগের দিন থেকে ইন্টারস্টেটগুলোতে কাউন্টার-ফ্লো চালু করে দেওয়া হয়েছিল। তবু সব গাড়ি থেমে আছে রাস্তায়। পথে অনেক মানুষ, অনেক বেশি আতঙ্কিত আর বেপরোয়া মানুষ। বারান্দায় সরে গিয়ে গলা নামিয়ে বললাম টেনশন না করতে। ঠান্ডা গলায় বললাম, সময়টা ভাল না। এমন অবস্থায় আছি যে এখান থেকে সরে কোন দিকে যেতে পারবো না। উত্তরে যেতে হলে মিসিসিপি-মুখী হতে হবে। ওদিকের পথ বন্ধ হয়ে আছে কাউন্টার-ফ্লোতে। পশ্চিমে সরে হিউস্টন যাওয়া যায়, কিন্তু ঐ শহর এর মধ্যেই ভরে গেছে। এসময় গাড়িতে আটকা পড়ার চেয়ে ঘরে থাকা ভাল। কিছু না হোক ক্যাম্পাসের কোন দালানে আশ্রয় নিতে পারবো। জীবনের গল্প লেখার জন্য কোন বই যথেষ্ট বড় নয়। জীবন থেকে পালাবার জন্য কোন রাস্তাই যথেষ্ট চওড়া নয়।
পরিস্থিতির শীতলতা স্বীকার করে নিয়ে যথাসম্ভব উষ্ণ গলায় বাবাকে বিদায় জানালাম। বললাম অস্থির লাগলেও বেশি বেশি ফোন না করতে, মা অযথা দুশ্চিন্তা করবে তাই। ভাইকে বললাম পেঁয়াজ কাটতে।মাকে বললাম মাংস হলে খুব মন্দ হয় না, শুধু যেন এক বেলায় শেষ করার মত খাওয়া হয়। দু’জন রান্নাঘরে যাবার পর ট্র্যাভেল ব্যাগে সবার পাসপোর্ট-ভিসা-চেকবুক-ক্রেডিট কার্ড-ছবি ব্যাগে ভরলাম। বিছানা ছেড়ে টেলিভিশনের সামনে চাদর পেতে শুলাম। মা-ভাইকে ঘুমাতে পাঠিয়ে রাত জেগে কাটিয়ে দিলাম। বাবা অনেক রাতে আরেকবার ফোন করলো। বললো সিএনএন-এ দেখছে হারিকেন ধেয়ে আসার খবর। বললাম, আমিও দেখছি। কিছুক্ষণ পরেই দেখলাম এলএসইউ ক্যাম্পাসে প্রফেসরদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। তারও কিছুক্ষণ পর দেখলাম অ্যান্ডারসন কুপার আই-টেন ব্রিজের নিচে। বাবাকে জানিয়ে দিলাম পরের কথাবার্তা নাহয় সিএনএন-এই হবে।
আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা হিসেব করে হারিকেন আঘাত হানার সময় বলেছিলেন সকাল সাতটা। ঠিক পাঁচটায় সবদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে গেল। ফোন নেই, পানি নেই, আলো নেই। কান পাতলে শুনি শুধু এক জোড়া নাক আর একটি বুকের আওয়াজ।
(চলবে)
মন্তব্য
দুর্যোগের ঘনঘটা ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
লেখাটা আমার ধারণার চেয়ে অনেক বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে। আগাম দুঃখিত সবার কাছে। খেই হারিয়ে না ফেললে বা আলসেমিতে না ধরলেই হল। আগের পর্বের কিছু প্রশ্নের জবাব দেবো বলেছিলাম এই পর্বে। হয়ে উঠলো না। পরের পর্বগুলোয় দেবার ইচ্ছা থাকলো।
চলুক চলুক!
হাঁটুপানির জলদস্যু
ইচ্ছা আছে, চেষ্টা সবসময় থাকে, তবে হয়ে না ওঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি। পুরো দিন কাজ, তারপর ঈদের অনুষ্ঠান। ভেবেছিলাম কিছুটা তুলে দিলে একটা তাগিদ থাকবে দ্রুত শেষ করার। এখন তো ফেঁসে গেলাম মনে হচ্ছে।
পড়তেছি, মজা পাইতেছি ... কাজেই লেখা বন্ধ কইরো না খবরদার ...
অপেক্ষায় থেকে আসলেই খেই হারিয়েছি। সবগুলো শেষ করেন, একটানা পড়বো।
বাকিটা কই???? :@
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
অ্যাসাইনমেন্টের চাপে বাকিটা চ্যাপ্টা হয়ে গেছে! দেখি, ফুলিয়ে বড় করতে পারি কিনা কিছুদিনের মধ্যে।
তাড়া তাড়ি দ্যান পরের পর্ব।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
হ! তুই কইসস যদিও মেইলে যে দিবি।
নতুন মন্তব্য করুন