ভাবছিলাম একটা কবিতা লিখব আজ ব্লগে কিন্তু বিগত দিন দুয়েক ধরে একটা ব্যাপার দেহমনে কাপুনি ধরিয়েছে। বিগত রাত নিদ্রাহীন কেটেছে। সকালে ম্যাকীয়াভেলী পড়ে অনেক টুকু শান্ত এবং আরো বেশী নিরাশায় হাবুডুবু খেতে লাগলাম। গতপরশুর পত্রিকায় একটা খবর পড়লাম। শিরোনাম ছিল "বোবা লোকের পেঠে আস্ত দুইটা বোতল"। ঘঠনার বিস্তৃতি হচ্ছে ৪০ বছর বয়সী এক বোবা লোক তাকে কে অথবা কারা ধরে পায়ুপথে দুইটা বোতল ঢুকিয়ে দিয়েছে। তার মধ্যে একটা ফেন্সিডিলের বোতল। লোকটি সকালে বেরিয়েছিল ঘর থেকে আর যখন ঘরে ফিরে আসে তখন বাড়ীর লোকজন দেখে যে বোবা আর্তনাদ করে কান্নাকাটি করছে আর তার পায়ুপথ দিয়ে রক্ত পড়ছে। তার পেঠ ফুলে আছে। বাড়ীর লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং এক্স রে ও অপারেশনের পর তার পেঠে দুইটা বোতলের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ডাক্তারের মতে সে ভাগ্যবান বেচে গেছে। এরকম মামলায় কেউ বাচেনা। লু স্যুন বলে এক চীনা লেখক ছিল যে কিনা জাপানে ডাক্তারী পড়তে গিয়েছিল। একদিন সে দেখল একটা খবর চিত্রে কয়েকজন চীনা মিলে একজন জাপানীকে হত্যা করছে। সে সিদ্ধান্ত করল এ জাতির জন্য শারীরিক চিকিতসার কোনো দরকার নাই। একমাত্র দরকার মানসীক চিকিতসা। আর সে ডাক্তারী ছেড়ে দিয়েছিল আর শুরু করেছিল সাহিত্য চর্চা। মননের চিকিতসাই ছিল যার আরাধ্য। শিরোনামে আমি ইচ্ছে করে জাত শব্দটা উল্লেখ করলাম। আমি জাতির কথা বলতে পারতাম। কিন্তু আমি আজো এ ব্যাপারে ঐক্যমত নই যে আসলে বাংলাদেশীরা সকলে মিলে এক জাত কিনা। ম্যাকীয়াভেলী তার ডিসকোর্সেস বইতে লিখছেন। মানুষ সম্পুর্ণ র্স্বাথপর নিষ্টুর ও কর্তৃত্বপ্রধান মানসিকতার এক পশু। অনৈতিকতা এবং অবৈধ পন্থাই যার একমাত্র আরাধ্য। শুদ্ধ কথায় শয়তানই যার দেবতা। যে অপরাধের কথা আমি উল্লেখ করলাম এটাই একমাত্র ঘঠনা নয় এরকম আরও বহু ইস্যু ঘঠে চলেছে এদেশে। কিছুদিন আগে দেখা গেল যে এক স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করে ৮ খন্ড বিভক্ত করে আমের ঝুড়িতে ফেলে চলে গেছে। এই প্রতিবন্ধী এই নারী এ সব শিশুরা দুর্বল এটাই কি তাদের অপরাধ। একমাত্র শক্তিতেই কি তারা হেরে যায়। শুধো কি শক্তিমান বলে এসব লোকজন এই অপরাধ সংগঠিত করতে পারছে। এখানে এসে রাষ্ট্রের সাথে মানুষের সম্পর্কর কথা উঠানো যায়। বাংলাদেশ কতটুকু রাষ্ট্র এ বিষয়ে সন্দেহ প্রশ্ন করতে টয়েনবির উদ্বৃতি দেবার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না। ভলতেয়ারের কথা ধরে বলা যায় প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টা অথবা যারা সব সময় ক্ষমতায় থাকে খালেদা জিয়ার হাওয়া ভবন আর শেখ হাসিনার সুধাসদনই একমাত্র বাংলাদেশ। বাকীটা শুধো ক্ষেত খামার। ডিসকোর্সেস এ ম্যাকীয়াভেলী আরো বলছেন যারা ক্ষমতায় থাকে যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় থাকায় তাদের রাজনীতি। গণমানুষের চিন্তা কখনোই তারা করে না। গণমানুষের চিন্তা করলে আর যাই হোক রাজনীতি সম্ভব না। গণমানুষ একটা ধুয়া মাত্র। যাই হোক আমার মনে হয় কোন অপরাধই শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত নয় তথাকথিত রাষ্ট্রীয় অবকাঠমোর ই প্রতিফলন মাত্র। এদেশের রাজনীতি মুল্যবোধ কখনোকি ছিল? এই খন্ড বিখন্ড জাতের মধ্যে তাহলে কি রূপে তা বিরাজ করবে??
মন্তব্য
নিজের মনে হতাশার প্রতিফলন দেখতে পেলাম আপনার মধ্যেও!
আশা বাদী কিছু লোক চাই। চাই আশার আলো...
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কিছু বলার ভাষা নেই।
-------------------------------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মানুষের জন্য ঘৃনা
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
জাতির রক্ত শুদ্ধ হতে মনে হয় আরো কয়েক প্রজন্ম ধরে রক্তশোধন প্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে। তবেই যদি কিছু একটা হয়।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নতুন মন্তব্য করুন