উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে আসলে আখ্যানের কোনো দরকার নাই। অনেক তুচ্ছ কাহিনী নিয়েও অনেক চমৎকার উপন্যাস হতে পারে। যে কোনো বিষয় নিয়েই একজন উপন্যাসিক তার লেখা শুরু করতে পারেন। তার দরকার সাহস ধৈর্য্য আর একাগ্রতা। ইমরে কারতেশের এ উপন্যাসটি পড়লে মনে হয় এটা আসলে একটি মহাকাব্য। যে অর্থে কামুর'আউট সাইডার' মহাকাব্য। কিংবা দস্তয়েভস্কির'নোটস ফ্রম আন্ডারগ্রাউন্ড' মহাকাব্য। আখ্যান তেমন কিছু না একজন হলোকস্ট তাড়িত লোক যে এই পৃথিবীটাকেই হলোকস্ট মনে করে। এবং তার যাত্রা হয় সবকিছুতে 'না' দিয়ে। এমনকি সে তার প্রেমিকা অথবা বউয়ের কাছে একটা সন্তান জন্মদানে অস্বীকার করে। সে তাকে বলে যে ভয়ংকর জীবন মানুষ যাপন করছে পৃথিবীতে। এতে নিস্পাপ আরেকটি শিশুকে এনে একই যন্ত্রনা ভোগ করার কোনো মানে হয়না। ফলে মেয়েটি তাকে ছেড়ে যায় এবং অনেকগুলো বাচ্ছার মা হয় অন্য স্বামীর কাছে গিয়ে। তার পরও মেয়েটি তার সাথে সম্পর্ক রাখে সে জানে লোকটি বহন করে চলে এক বিষাদের পৃথিবী। পড়তে পড়তে মনে হয় বইটি দর্শনের বই। এক ভয়ংকর পৃথিবী কার্তেশ আমাদের সামনে তুলো ধরে। ঘঠনা হিসাবে হয়ত এটা তেমন কিছু না। কিন্তু কারতেশের ভাষাভঙ্গি। লেখার স্টাইলের কারনে পুরো উপন্যাসটি একটা মহাকাব্যর মাত্রা নিয়ে উপস্থিত। বইটা পড়ার পরও বহু বহু দিন সে মনের ভেতর বাস করে এবং অনেক দিন সেটা আপনার বালিশের পাশে শুয়ে থাকার ক্ষমতা রাখে।
মন্তব্য
যেমন দুই একটা সংলাপ, একটি সুন্দর প্যারার উদ্ধৃতি থাকলে মনে হয় আরেকটু ভালো লাগতো। কোনোদিন এমন বই হাতে আসবো কি না কইতে তো পারি না। লেখার জন্য ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
নতুন মন্তব্য করুন