নাদিন গার্দিমারকে মনে হয় আর পরিচয় করিয়ে দেবার দরকার নাই। 1991 সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়াতে সে মুটামুটি সবার কাছে পরিচিত। বর্ণবাদ বিরোধী লেখক হিসাবে তার নাম ডাক আছে। মনে হয় তার পাঠকদের কাছে তার সবচাইতে বেশী আবেদন হচ্ছে তার কাব্যিক ভাষার কারণে। এ উপন্যাসে ম্যাক্স সুবিধাভোগী শেতাঙ্গ পরিবার থেকে আসা। যার কৈশোর সুলভ বিদ্রোহকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছিল তার পিতা মাতা। তারা তখনও অবাক হয়নি যখন গরীব ঘরের মেয়ে এলিজাবেথ লিজকে সে বিয়ে করে ঘরে তোলে। যার বয়ানে এ উপন্যাস লিখিত। যে কিন ম্যক্সকে বুঝতেই পারতনা। কিন্তু যখন ম্যাক্স বোমা ফাটাতে গিয়ে ধরা পড়ে। তখন তার পরিবারের টনক নড়ে। পরিবারের হস্তক্ষেপে সে রাজসাক্ষী হয়ে খালাস পায়। কিন্তু সে তার বিবেকের দংশনের কাছে হেরে যায় ফলে একদিন সে তার চলন্ত গাড়ীটা চালিয়ে দেয় সমুদ্রের ভেতরে। এর পর লিজ আহত হয়না কারণ ইতিমধ্যে তারা আলাদা হয়ে গেছে। এক তরুন আইন জীবির সাথে ফ্লার্ট করে সে। তার জীবনে ফের আসে ম্যাক্সের বন্ধুরা। এবং সে লিজ কখনো উগ্র বিপ্লববাদকে সমর্থন করতো না। তার কাধে এসে পড়ে এমন এক দায়িত্ব। বিদেশ থেকে আসা অর্থ তার ঠাম্মার একাউন্টের মাধ্যমে তাকে নিরাপদ করতে হবে। আর এদিকে তার নিরাপত্তা নিয়ে টানাহেচড়া সর্বোপরি অসাধারণ কাব্যময় এ উপন্যাসে গর্দিমারের অন্যান্য উপন্যাসের মতই মানবের সংগঠন সুলভ মানবিকতার প্রতি যে দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আছে সে সব। আশা করছি সবার ভাল লাগবে।
মন্তব্য
আশা করি এতদিনে অনুবাদ বাইর হইসে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
বইয়ের রিভিউয়ের সাথে প্রাপ্তিস্থান ও মূল্য উল্লেখ করলে সুবিধা হয়।
নতুন মন্তব্য করুন