মারকিন মুলুকের লেখকদের ভেতর হেমিংওয়ের একটা আলাদা মাজেজা আছে। তার লেখা এত ঝরঝরে যে প্রতিবার মনে হয় নতুন করে পড়ছি। তার লেখার গভীর নাশকতা দূরন্ত নেশার মত পাঠককে ধরে রাখে। অত্র নভেলের যে সামুদ্রিক আবহ। আমার বিশ্বাস পৃথিবীর আর কোনো লেখক এত সুন্দর করে লিখতে পারেননি বোধয়। বুড়ো সান্তিয়াগো যেন কোন মহাজাগতিক দার্শনিক। তিনি কথা বলেন সমুদ্রের গাঙ্গচিলের সাথে। সান্তিয়াগোর বড়শী গেলা মাছ দেবতা টাইব্যুরনটাকে তার পরম সহোদরের মত মনে হয়। সান্তিয়াগো টাইব্যুরনটাকে দেখে হতবাক হয়ে যায়। তার সোন্দয্য ও সুঠাম দেহ তাকে মোহিত করে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়না বেচারির। টাইব্যুরনের রক্তাক্ত দেহের খোজ পেয়ে দলে দলে হিংস্র সামুদ্রিক মাস্তান হাঙ্গরের দল শুরু করে উতপাত। শেষে হাভানার তীরে তার তরী ভেড়ায় তখন দেখা যায় বিশাল কংকালটার দেহে এক আউন্স মাংশও আর অবশিষ্ট নাই। তবুও সমুদ্রে নেৌকা ভাসানোর দৃঢ় সংকল্প করতে থাকে। হয়তবা ভেঙ্গে না পড়াই মানুষের নিয়তি।
মন্তব্য
আপনার ফাঁকিবাজী পোস্টটাতে বরাবরই আমার একটা আকর্ষণ কাজ করে। বই বিষয়ক বলেই হয়তো। এবং পোস্ট পড়ার পর আপনার মহাফাঁকিটা বুঝতে পেরে ক্ষুব্ধ হই।
এভাবেই কি চলতে থাকবে ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
খুব প্রিয় একটা বইয়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন। অসাধারণ একটা বই...
টম হ্যাঙ্কস-এর ফরেস্ট গাম্প, সুমন কবীরের শেষ বলে কিছু নেই গানটা... আর এই বইটা...
কোথায় যেন খুব শক্তি দেয় ভেতরে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গাম্পের কথা মনে করায়া দিলেন? মিয়া... আপ্নের আসলেই ঝামেলা আসে...
আমার কাসে হেমিংওয়ের লিখার যে শক্তি, ভাষা হিশাবে, সেইটাতে 'ফেয়ারওয়েল টু আর্মস' রে অনেক বেশি শিল্পিত মনে হইসে...
আর, হেমিংওয়ের ভাষা কেমন কাঠ খোট্টা ধরণের... বড় নীরস...
সে যাক... মাশা ভাইরে ধন্যবাদ বই লয়া কথা কওনের জন্যে...
আপনার দেয়া অনেকগুলো ন্যানোরিভিউ এর মধ্যে এই একটা বই পাওয়া গেল যেটা পড়েছি।
খুব প্রিয় একটা বই।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এই কাহিনীর বুড়ার প্রতি আমার অতিরিক্ত একটা ভালোবাসা আছে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
নতুন মন্তব্য করুন