পান্দিওন সব কিছু বুঝতে শেখার পর তার দাদু তাকে ছেড়ে চলে যায় ভিন দেশে মেয়েদের সাথে থাকতে। যাবার বেলায় শুধু এটুকু বলে যায় যে এখন সে পান্দিওনের মৃত বাপের কাছে বলতে পারবে তার দায়িত্ব শেষ। তরুণ গ্রীক ভাস্কর পান্দিওনে র সামনে আর কোনো আশ্রয় থাকেনা একমাত্র গেস্সা ছাড়া। গেসসাকে সে ভালবাসে। গেসসার ভাস্কর্য তৈরীতেই তার মন ঢেলে দেয় তরুণ। কিন্তু সে তৈরী করে হুবহু গেসসার এক কপি। এতে শিল্প কোথায়? চরম শৈল্পিক অতৃপ্তি এসে ভর করে তার ওপর। সব কিছু আছে কি যেন নাই তার শিল্পে। সমাধান দেয় গেসসার বাবা ভাস্কর। তিনি বলেন অভিজ্ঞতাই তার শিল্পকে শিল্পমন্ডিত করতে পারে। তরুণ খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত করে সে বেরিয়ে পড়বে বাকী পৃথিবী ও তার শিল্প দেখবে বলে। কিন্তু আতকে উঠে গেসসা ও তার বাবা মা। বাইরে পৃথিবী বিপদ সঙ্কুল। একদিকে ভয়ংকর ফারাওর রাজ্য অন্যদিকে কালোজাতি আরেকদিকে হাতিজাতির মত ভয়ংকর জাতি। অচেনা দেশের মানুষ পেলে যারা কৃতদাস করে রাখে। হাতির পায়ের নীচে পিষ্ঠ করে হত্যা করে। সব ভয়ের উর্ধ্বে শিল্পীর ক্ষুধা। তরুণ পান্দিওন বেরিয়ে পড়ে সত্য ও সুন্দরকে খুজতে। এরপর ফারাওর লোকজন তাকে ধরে নিয়ে কৃতদাস বানায়। বিদ্রোহ করে পালিয়ে যায় কিন্তু আবার ধরাপড়ে তারপর একে একে বহুবার জীবন বাজি রেখে ফের তার স্বদেশ গ্রীসে ফিরে আসার এ কাহিনি। অদ্ভুদ এক আত্মবিশ্বাস এসে ভর করে বইটা পড়ার পর। ইভান ইয়েমফ্রেমভ মুলত রুশ লেখক। এই বইটি রাদুগা থেকে প্রকাশিত । মুলরুশ থেকে অনুবাদ শুভময় ঘোষ।
মন্তব্য
হায়! রাদুগার বই!!
এই প্রকাশনীটা কি আছে এখনো?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রাদুগার বইগুলো কি অসাধারণ সুন্দর ছিলো! কি যত্নের ছাপ ছিলো। তখন ভয়ংকর উত্সাহ নিয়ে পড়তাম ইস্পাত, মানুষের মত মানুষ, পাহাড় ও স্তেপের আখ্যান, ধলা কুকুর শামলা কান, সার্কাসের ছেলে, মা, পৃথিবীর পাঠশালায়, টেলিস্কোপ কি বলে......। সব হয়তো রাদুগা থেকে নয়, তবু রাদুগা আর ভালো রাশিয়ান বই প্রায় সমার্থক ছিলো আমাদের কাছে। আমাদের ভালো করে বড় না হয়ে উঠতেই সব বদলে গেলো! আর পেতাম না বইগুলো!
নতুন মন্তব্য করুন