ফ্রাসোয়া মোরিয়াকের উপন্যাস।। ডেজার্ট অব লভ

জাহেদ সরওয়ার এর ছবি
লিখেছেন জাহেদ সরওয়ার (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৪/২০০৯ - ১:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পিতাপুত্র একই নারীর প্রেমে পড়েছে। এরকম উপন্যাস খুব বেশি নাই বিশ্ব সাহিত্যে। ফরাসি উপন্যাসিক ফ্রাসোয়া মোরিয়াকের এই উপন্যাসটি এই ধরনের একটি সফল উপন্যাস বলা যায়। মোরিয়াককে ক্যাথলিক উপন্যাসিক ও বলা হয়। মোরিয়াক নিজেকে ক্যাথলিক বলে দাবি করে থাকে। উপন্যাস লেখার আগে নাকি তিনি বেশ কিছুক্ষন বাইবেল পড়েন একটানা। এ উপন্যাসে নায়িকা মারিয়া ক্রস মসিয়ে ভিক্তর লারুসেলের রক্ষিতা। তার ছেলের অসুখ হলে ডাক পড়ে শহরের জাদরেল ডাক্তার মসিয়ে কোরেজের। ছেলেটাকে অবশ্য শেষ পর্যন্ত বাচাতে পারেনা ডাক্তার। ফলে মাঝে মাঝে মারিয়াকে দেখতে আসতেন ডাক্তার। মারিয়া ছিল অদ্ভুদ রূপসী আর সাক্ষাত প্রেম দেবী যেন। ধীরে ধীরে কোরেজ প্রেমে পড়ে মারিয়ার। মারিয়ার দিক দিয়ে অবশ্য ব্যাপারটা অন্য রকম। ডাক্তার আসলে সমাজে তার সম্মান বাড়ে এই তার পাওয়া। এমনিতে সে মনে মনে বিরক্ত হয়। কেননা ততদিনে স্পস্ট হয়ে যায় কেন ডাক্তার ঘনঘন তার কাছে আসে। ইতিমধ্যে মারিয়ার সাথে পরিচয় হয় ডাক্তারের ছেলে রেমন্ডের ঘঠনা মোড় নেয় অন্য দিকে। রেমন্ড স্কুলের ছাত্র। টগবগে রক্ত। একদিন মারিয়াকে বিছানায় টানলে তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয় মারিয়া। রেমন্ডের জীবনে এটা ছিল প্রথম ব্যর্থতা কোনো নারীর কাছে। রেমন্ড বুঝতে পারে তার পিতা কেন এত অসুখি। রেমন্ড বোর্দো ছেড়ে পাড়ি জমায় পারিতে। এদিকে লারুসেল মারিয়া ক্রসকে বিয়ে করে পারিতে নিয়ে যায়। লারুসেল অসুস্থ হয়ে পড়লে মারিয়া চিঠি লিখে ডাক্তারকে নিয়ে যায় পারিতে। এক অদ্ভুদ সম্মোহনী শক্তি আছে এ উপন্যাসে। শেষে ডাক্তার এবং রেমন্ড দুজনই বুঝতে পারে না পাওয়াটাই প্রেম।


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

মাশা,
বই পড়ার অভ্যেস আমাদের যখন কমতে কমতে স্রেফ পড়ার বইতে এসে ঠেকেছে তখন আপনার পোস্টগুলো দেখে খুব ভালো লাগে। লেখা পড়ে আরো ভালো লাগতো যদি কাহিনীসূত্রের সাথে বইটার কিছু ইতিহাস, লেখককে নিয়ে কিছু কথা, বা চেনা সমালোচকদের বক্তব্য ইত্যাদি যোগ হতো। আরো লিখুন, তাতেও যদি আমাদের পঠনঅভ্যেসের উন্নতি হয় তো কাজের কাজ হবে।

জাহেদ সরওয়ার এর ছবি

মুলত পাঠক
চেষ্টা করা হবে।

*********************************************

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।