রাসেলের ' হিস্ট্রি অব ওয়েষ্টার্ন ফিলসফি' পড়ার পর সেন্ট অগাস্তিনের প্রতি দারুণ আগ্রহ জন্মে । তার কনফেসনস ও সিটি অব গড খুজে বেড়াই। মধ্যযুগের অধ্যাপকদের মধ্যে সবচাইতে আলোকিত এই অগাস্তিন। ইশ্বর ও সময় কি! এই প্রশ্নের জবাবে যিনি বলতেন।' যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন তো জানিন না। আর যদি না জিগান তাহলে জানি।' তার বইটা হাতে পাওয়ার পর শারীরিক সুখ অনুভব করি। তার এ বইটা পাওয়ারও একটা শানেনুযুল আছে। মহাত্মা সলিমুল্লাহ খান আর আমি মাঝে মাঝে সন্ধ্যাটা নীলক্ষেতের পুরানো বইয়ের দোকানে দোকানে পুরানো বইয়ের ধুলো ঝেড়ে কাটাই। এমন এক সময়ে তদীয় হাতে একটা প্যাকেট দেহে আমার সন্দেহ জাগে। বস্তু কি? খুলে দেখে বিস্মিত হই। একেবারে খাটি কনফেসনস। তাও আবার গীর্জা সংস্করনের ফটোকপি। সাথে সাথে আমিও একখানা ফটোকপির ফটোকপি করি। রুশোর কনফেশনটা আগেই পড়া ছিল। অগাস্তিনের টা পড়ে মনে হল। এই বইটি রুশো পড়েছিলেন। এবং খুব মনোযোগ দিয়ে। তবে দুইটার বিবর্তনটাও লক্ষ্যনীয়। সেন্ট অগাস্তিনের কনফেশন ইশ্বরের কাছে আর রুশোর কনফেশনটা নিজের কাছে। আমি ভাব বাদ থেকে বস্তুবাদের পরিবর্তনটা বুঝাচ্ছি। অগাস্তিনের ভাষাটা প্রার্থনার মত। তবে খুব বেশি প্রভূ ভক্তিটা পীড়াদায়ক। তবে তার বলার ভঙ্গিটা সৎ, এত বিণীত যে পাঠক সেটা নিজের ভেতর গ্রহন করতে দ্বিধা করেন না। তিনি অকপটে নারীর প্রতি তার তার দুর্দমনীয় লালসার কথা যেমন ব্যক্ত করেছেন, তেমনি সেটা ত্যাগের কথাও। সিসেরো, ফসটাস এবং ম্যনীকিয় দের সাথে তিনি যে তাত্তিক ডিসকোর্স করেন সেটা অসাধারণ। একমাত্র প্লাতোন, এরিস্তেলেস ছাড়া অন্যান্য সব দার্শনিককে তিনি ব্যঙ্গ করেছেন। তার মনে হয়েছেন ইশ্বরবিহীন দর্শন শুধু অধপতিত সাহিত্য ছাড়া আর কিছু নয়। তবে তিনি ইশ্বর সম্পর্কে বা ইশ্বর বিশ্বাসের নতুন কোনো যুক্তি উত্থাপন করেন নাই। সেই গতানুগতিক বিশ্বাস ছাড়া। তবু বইটা পড়লে একটা ঘোর তৈরী হয়। তার বহুখন্ডে আরেক টা বই আছে' দ্যা সিটি অব গড' বইটা পড়ার জন্য খুঁজি। কারো কাছে থাকলে আওয়াজ দিয়েন।
মন্তব্য
বেশ কৌতুহলোদ্দীপক----!
ভাল লাগল, শুভেচ্ছা জানবেন----
দারুণ লেগেছে রিভিউটা!
চলুক!
নতুন মন্তব্য করুন