সকালটা যে পরিমাণ হাসি আনন্দ আর ঘটনাবহুল ছিল তার প্রেক্ষিতে গরম আর ঝাঁ চকচকে রোদ্দুরটা ঠিক মানানসই ছিল না তা বলা যায় না হয়ত। শীতের মিঠে রোদ বাদে এমনিতে কি রৌদ্র কারো ভালো লাগে? সেতো গরম আর আর কেমন ঝলসানো না? আর বিশেষত বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে ঘামে ভিজে চটচটে ভ্যাপসা একদম! অবশ্য তাতে কিচ্ছু যায় আসে না যদি কিছু জিনিস সাথে থাকে, যেমন- ছুটির দিন, গাড়ি ভর্তি আলাপ করবার মতোন কিছু মানুষ, দুষ্টু কিন্তু বুদ্ধিমান কিছু কাচ্চাবাচ্চা, আর খুব সুন্দর হারিয়ে যাবার মতোন পথঘাট।
আমাদের সাথে এর সবকটাই ছিল সেদিন। আমাদের মাইক্রোবাসে ছোটদের মাঝে বাবাই আর পলাশ, আর মাঝারিদের মাঝে অনিন্দ্য, মনামী, দুষ্টবালিকা আর আমি। আর ওদিকে বড়দের মাঝে ছিলেন আমাদের প্রিয় অপু ভাই, আর তুলি আপু। সত্যি বলতে কি, অপু ভাইকে আমার বেশ পছন্দ। চমৎকার একজন সংগঠক তিনি আর আমার আবঝাব কথাগুলো মন দিয়ে শুনে খুব মজার উত্তর করতে পারেন বা আরো শত গুণাবলি আছে নিশ্চয়ই যেগুলো আমার চেয়ে অনেক বেশি ভালো বলতে পারবে আর সবাই যাঁরা তাঁকে বহুদিন ধরে আরো ভালোভাবে চেনেন, কিন্তু সিলেট সচলদের মাঝে যিনি আমাকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছেন তিনদিনের ঝটিকা সফরে তিনি হলেন মিতভাষী সদা হাস্যোজ্জ্বল তুলি আপু, অপু ভাইয়ের পার্ফেক্ট পার্টনার ইন ক্রাইম। 
জাফলং যাবার পথে শ্রীপুরের কাছে, হাইওয়েতে জৈন্তার রাজাদের পান্থশালার একটা অংশ পরে। মতান্তরে এটা রানী জৈন্তেশ্বরীর গোসলখানার অংশ। অপু ভাই বলছিলেন জৈন্তা ছিল প্রাচীণ নারী রাজ্য। আমার ইতিহাস জানা নেই, সন তারিখ মনে থাকে না একেবারেই, কাজেই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। কিন্তু যে ব্যাপারটা আকর্ষণ করেছিল তা হল, পুরাকীর্তি বাঁচিয়ে হাইওয়েকে নিয়ে যাবার ব্যাপারটা। এই একই জিনিস দেখেছি বেইজিং-এর কাছে মিং সম্রাটদের সমাধি যাবার পথে, চীনারাও এমন ভাবে পুরাকীর্তি বাঁচিয়ে রাস্তা নিয়ে গেছে।
সারি ঘাটে আমাদের গাড়ি যখন পৌঁছুল তখন বেলা বেশ হয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য সারি বেয়ে লালাখাল পৌঁছুন। আর সেখানেই দিনটা কাটান। কিন্তু শ্রীপুর যাবার কারণে দেরি হয়ে যাওয়ায় নূপুরাপু মৃদুভাষায় বকাঝকাটা যা দিলেন মনে হয় পুরোটাই অপু ভাইয়ের উপর দিয়ে গেল, আমি আসলে খেয়াল করিনি ভালো, কারণ প্রায় হাঁ করেই তখন সারি নদী দেখছিলাম।
কিন্তু দুপুর রোদে দাঁড়িয়ে ঠিক নদী তীরের দৃশ্য উপভোগের অবস্থা ছিল না, তাছাড়া ঘাটে দেখবারো তেমন কিছু নেই, নৌকা নিয়ে নদীতে চলে যাওয়াই ভালো।
সমুদ্র আর পাহাড় এই দুইয়ের মাঝে কোনটা বাছতে হলে আমি মনে হয় সমুদ্রই বেছে নেব। তবে পাহাড় ভালো লাগে ঢের আর তা অস্বীকার করতে পারি না। সবচেয়ে মারাত্মক মনে হয় দুইয়ের কম্বিনেশন একসাথে। ছেলেবেলায় একবার পারস্য উপসাগরের তীরে খাড়া গ্রানাইটের পাহাড় আর নিচে সবুজ সাগর এসে আছড়ে পড়ছে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্তু সাগরের পাড়ে তো আর বড় হইনি, জানি না নোনা হাওয়ায় বছরের পর বছর থাকতে কেমন লাগে, বা হাওয়ার গতিবিধি দেখে ঝড় নির্ণয়। আবার পাহাড়ি মানুষও নই, অত কঠোর পরিশ্রমী, বা অনেক দম নেই আমার, পাহাড় ভেঙে প্রতিনিয়ত ওঠানামার অভ্যাস নেই। একটা বড় অংশ কেটেছে প্রায় মরে যাওয়া একদা প্রমত্তা এক নদী তীরের ছোট এক শহরে। সমতলের মানুষ আমি, তাই ঘুরে ফিরে নদীপ্রীতিটা অনেকখানি।
আমাদের মনে হয় নদীর প্রতি একটা পারিবারিক টান আছে! বছরে অন্তত দুইবার ঘুরে ফিরে নৌকা ভ্রমণ হয়ে যায়। বর্ষা আসলেই তাই মনটা আনচান করে নদী-নৌকা ভেবে। তবে সাধারণত সবার ছুটি মেলে বছরের শেষে, আর শীতের নৌকা ভ্রমণই বেশি হয়েছে আজতক। গেল বছরের শেষে গিয়ে সোমেশ্বরী টেনেছিল, আর এ বছরের শুরুতে ময়মসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতের রুগ্ন কিন্তু ঝকঝকে পানির পুরাতন ব্রহ্মপুত্র। তবে এবারের বর্ষায় নদী ভ্রমণ হয় নাই। ভালো লাগছিল তাই সকালে সিলেট পৌঁছে সারি নদীতে ঘোরা হবে শুনেই, আর সারি দেখে এমনিতেই মুগ্ধ হয়ে পড়ছিলাম।
পাহাড়ি নদী সারি, বয়ে আনা পাথর আর মাছ হলো আশেপাশের মানুষের জীবিকার উৎস। জেলে নৌকার চেয়ে অবশ্য বালু আর নুড়ি বোঝাই নৌকাই বেশি ছিল।
আমরা ছই আলা একটা ইঞ্জিন নৌকায় উঠে পড়ি। নৌকায় ব্যালান্স করে বসাটা জরুরি, বিশেষ করে সাথে সাঁতার না জানা মানুষ থাকলে, আর বাচ্চারা। আমাদের সাথে দুইই ছিল। পেছনে ভেতরে ইঞ্জিনের কাছে চলে গেলাম আমি, পলাশ, অনিন্দ্য, মনামী,বা
লিকা। মাঝে ছিলেন অপুভাই অ্যান্ড কোং, টিপুভাই অ্যাণ্ড কোং, আর সামনে নূপুরাপু অ্যাণ্ড কোং। মুশকিল হল নৌকাটার ছই নিচু খানিকটা, আর আমরা কয়েকজন আবার বেশ লম্বা। ঘাড় নিচু করে রাখতে হচ্ছিল সামান্য, পরে অন্য দিকে বসে দেখি সেদিকটা খানিকটা ভালো অবস্থা। কিন্তু এতে করে নৌকা ভ্রমণের মজা কমেনি কিছুই, আর নদী নিজেই যেখানে অপরূপা সেখানে এগুলো তেমন কোন ব্যাপার না।
দেখলাম স্বচ্ছ জল, নীল, 
সবুজ, মেঘের ছায়া ফেলা, গাঢ়, গম্ভীর… তাতে হাত ডুবোতে ভাল লাগে, ইচ্ছা করে আকন্ঠ ডুবে থাকি। পানি জায়গায় জায়গায় বেশ কমে এসেছে, চোরা গুপ্ত গভীর এলাকা অবশ্য থাকতে পারে, পাহাড় থেকে বয়ে নিয়ে আসা পাথর নদী থেকে অপরিকলিপ্তভাবে তুলে ফেলে যেমনটা জাফলং-এ করে ফেলেছি আমরা, ডুবে গেছে পরিচিত দামাল ছেলেরা অজান্তে অসাবধানে…
শীত পড়ে নাই, মধ্য অক্টোবরের ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুর, কিন্তু সারি আর বর্ষার প্রমত্তা নেই। আছে শান্ত গম্ভীর ভাব, আর পাড়ের চকচকে রোদে ধোয়া পাহাড়ি গা ঘেঁষা ছোট ছোট গ্রাম, চা-বাগানের অংশ, তার বুকে পাথর আর বালিতে বোঝাই নৌকো, কিছু জেলে নৌকো, ঘুরতে আসা মানুষ নেই তেমন। নদীর পানি স্বচ্ছ, আর সবুজ, মাঝে মাঝে তা নীল, হাওয়ার ঢেউ খেলানো।
এই রিসোর্টটা দেখলাম নদী থেকেই, মনে হল জাফলং-এর রাস্তা থেকে কোন একটা অফ্ রোড ধরে এখানে পৌঁছুতে হয়, কাদের রিসোর্ট বা জায়গাটার নাম ঠিককরে বলতে পারছি না।
টিপু ভাই সকালেই স্টেশন থেকে বাড়ি যাবার পথে গাড়িতে গল্প করেছিলেন, কৈশোর থেকেই কেমন তারা বন্ধুরা ক্যাম্পিং করতে দল বেঁধে চলে আসতেন লালাখাল। এখন আবার সেই গল্প উঠল। অপু ভাই পপ কুইজ ধরা শুরু করলেন – কইঞ্চেন দেহি স্টাইলে। বলতে হবে বাংলাদেশের কোন্ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়? প্রশ্নের জবাবেই যেন রোদ রোদ আকাশে কালো কালো মেঘ জমে ঝির ঝির বৃষ্টি নামল। আবার খানিক পরেই মেঘের আড়াল থেকে হাসি দিল সূর্য্য। সারির সেই বৃষ্টিই কিন্তু এই তিনদিনের ভ্রমণের একমাত্র বৃষ্টি ছিল।
দূর্গাপূজোর দশমীর ছুটি থাকায় মনে হয় পাড়ের মানুষেরো সংখ্যা কিছু কমই লাগল। একখানে সপরিবারে দৈনন্দিন কাজ সম্পন্নরত পুরো একটা পরিবারকে পেলাম। তিনটি ভাইবোন, বাবা-মা। সুখী পরিবার।
চোখে পড়ল তীরের ছায়াতরু মাঝে লুকিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্রামগুলোর অংশবিশেষ। আবাসের স্পর্শ মিলল বাঁশঝাড়ের আড়ে বাঁধা খালি নৌকোয়...
ভেসে আসা পূজোর পুষ্পাঞ্জলিতে...
আর একখানে চোখে পড়লেন এঁরা! সাত জন ক্ষুদে নৌবিদদের একটা দল, বেড়াতে বেরুচ্ছেন নিজেরা নিজেরাই! 
দেখলাম আকাশ, দূর পাহাড়, পেলাম হু হু প্রাণ জুরানো ঠান্ডা বাতাসের শীতল পরশ।
দমবন্ধ করা কাজের চাপে মাঝে মাঝে স্বচ্ছন্দে নিজেকে গুঁজে দিতে ভালো লাগে জীবনের আর অনেক ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে। কিন্তু এবার কাজ থেকে পালানোটাও জরুরি ছিল! অনেকদিন ধরে মনটাও পালাই পালাই করছিল। চমৎকার ছুটির দিনটা তাই ভারি ভালো লাগছিল সবারই। আমাদের নৌকায় ছোট-বড় মিলিয়ে আমরা চৌদ্দজন মেতেছিলাম গল্প কথা হাসির ফুল্লোড়ে। কিন্তু আনমনে আর একটু খেয়াল করে দেখতেই চোখে পড়ল, সারির ঝকঝকে, চকমকে জলে হাত ডুবিয়ে, সারিবদ্ধ আমরা কজন শহুরে আসলে হাসছি আত্মমগ্ন হাসি ... স্বাধীনতার হাসি ... মুক্তির হাসি ...
[ সারি-তেই প্রায় শ'দেড়েক ছবি তুলেছি দেখলাম, তার থেকে বেছে কিছু দিতে অনেক দেরি হয়ে গেল। তাও লালাখালের গল্প লেখা হলো না, আশা করছি সেই কিস্তি দ্রুতই আসবে। কেউ যদি আমাদের এই দুধর্ষ দুর্দান্ত সিলেট সফরের পুরোটার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পড়তে আগ্রহী হন তবে তার কিছুটা স্বাদ হয়ত পাবেন এইখানে।
সব ছবিই আমার Canon IXUS 950 IS দিয়ে তোলা।
জলে হাত ডুবোনো ছবিতে নিধির হাত ধরে আছে দুবা। ]
মন্তব্য
ভালোই তবে একটু বড় হয়ে গেছে বলে মনে হইতেছে।
আমি মেঘের দলে আছি, আমি ঘাসের দলে আছি
অলস সময়
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ছবি আর লেখা দু-ই চমৎকার লেগেছে আর আপনাদের হিংসাও হচ্ছে খুব।
পাগল মন
আপনাকে
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চমৎকার বর্ণনা। বৃষ্টির ছবিটা তো মারাত্মক! এটা দিয়েই তো ব্যানার করেছিলেন মনে হয়!
রাণী জৈন্তেশ্বরীর গোসলখানাটা দেখে একটু টাইম মেশিনে ভ্রমন করে ফেললাম। দেখলাম, আমি ঘোড়ায় চড়া 'ভিলেন'। টগবগ করে ছুটিয়ে চলেছি ডিরেক্টরের 'এ্যাকশন'-এর তোয়াক্কা না করেই রাণীকে উঠিয়ে আমার আস্তানায় নিয়ে আসতে। বাদ এশা বিশাল নাচাগানার আয়োজন আছে সেখানে। কিন্তু গোসলখানার কাছে পৌঁছে ঘোড়া থেকে নেমেই শুনি রাণী জৈন্তেশ্বরী মিহি গলায় সুর ভজেন, "আমার ঘুম ভাঙায়া গেলো রে মরার কুকিলা..."! গোসলখানার ফুটা দিয়ে উঁকি মারতে যাবো, অমনি শুনি ডিরেক্টর গলায় তাজ মাইক লাগিয়ে বলে, "কাআআট!"
ব্যাটা দুষ্টু, ফাজিল, পাপিষ্ঠ ডিরেক্টর, কাট বলার আর সময় পাইলো না!
আপনি কি চিন্দেশেও গেছিলেন নাকি! জ্ঞানার্জন করতে?
তুলি ভাবীরে 'মি লাইক্স'। অপু ভাই ওরফে রং নাম্বার বাউল লোকটা চরম ফাউল। খালি অবসর প্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ারের ডর দেখায় কিছু হৈলেই। এই ব্যাটারে একটা মহা সিল মারতে হবে, যাইয়া লই খাড়ান।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি ঠিক জানলে সম্ভাবিলিটি বেশি যে জৈন্তার রানীই আপনার পিছে ঘোড়া নিয়ে তেড়ে গিয়ে কল্লা নামিয়ে দেবার চেষ্টা করত... তবে হুম, ডিরেক্টর নজরুল ভাইয়ের নাকি এই ঈদে ৮খানা নাটক প্রচারিত হবার কথা?
ব্যানারে ব্যবহার করেছিলাম আসলে এটা। তবে বৃষ্টির মাঝে আরো কিছু ছবি আছে, সেগুলো অত ভালো আসেনি।
বর্ণনা আর ছবি ভালো লাগায় অনেক
ছবির লিঙ্কটা একটু এডিট করে দিলাম
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জৈন্তার রানী না গোসলখানায়! অই অবস্থায়ই আমার পিছে ঘোড়া নিয়া দৌড় দিবে?
হে হে হে, তাইলে তো ডাবল মজা! আমার আর কষ্ট কৈরা গোসলখানার ফুটায় চোখ রাখার দরকার নাই।
অই কে আচিস রে, ক্যামেরা রোল কর!!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহেম!!
(কিন্তু, রানীর সাথে রানীর ঘোড়াও স্নান করছিল বুলছেন?
)
আর ঐটা যদি সত্যি রাজার পানশালা হয়ে থাকে তাইলে কিন্তু সাড়ে সর্বনাশ, হইলেও হইতারে দুইটাই একসাথে ছিল!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনার কথায় তো মনে হচ্ছে রানী জৈন্তাশ্বরী পুরা রাজ্য নিয়াই গোসলখানায় গোসল দিতে যায়! পাপিষ্ঠ মহিলা!
যাউকগা, আমার তো আর রাজারে কিংবা পুরা রাজ্যরে দরকার নাই। আমার দরকার রানীরে, আমার আস্তানার জলসাঘরে বাত্তি জ্বালানোর জন্য। বাই দিস টাইম, রাজা মশায় তার ঘোড়াদের সাথে বসে খই খাক।
অই কে আচিস, হাওয়াইয়ান গিটার দে আমারে একটা। 'নাচ জৈন্তাশ্বরী, নাআআচ...'
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুঁ হুঁ এসব আমারে কয়ে লাভ আছে? ঈদের নাট্যকার হলেন গিয়ে নজরুল ভাই। কিন্তু আপনি বাউল ভাইরে সিল মারতে কবে আসতেছেন?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চরম আপত্তিজনক। সারি সারি ছবি, আবার বেয়াকুল করা লেখা, ফাঁকে চীন আর পারস্যের কথাও গুঁজে দিয়েছেন... বলি, এরপর ঈর্ষায় নায়কের বৃদ্ধ বাবার মত আমি হার্টফেল করলে ইনছুরান্স কোম্পানীর মামলা সামলাইতে পারবেন? এই ন্যান, এমনি করেই ঠাডা পড়ব -
হুমমমম...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কি সুন্দর ছবি! কি সুন্দর ছবি!
চলো জানুয়ারিতে দার্জিলিং যাই। সিমলায় যাবার প্ল্যান একটা আবছা কানে এসেছে। ধানমন্ডির মন্ডাদ্বয়ের খবর নাও নাও। নাহলে লেজে ধরার আগেই লেজ গায়েব হয়ে যাবে।
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
তাহলেতো পাসপোর্ট বানাইতে হয়রে! মন্ডাদ্বয়কে লেজ লুকাতে মানা কর! আমরা আসিতব্য!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হুম, আইডিয়া খারাপ না, আমি সব সময়েই রাজি। জানুয়ারিতে কি কাঞ্চঞ্জংঘা দেখা যাবে? অফ সিজন না? তবে ভিড় কম থাকবে, আর সেটা জরুরি।
ঈদের পরেই পাসপোর্ট ঠিক করে ফেলা যাক, যাই না যাই ওটা ঠিক রাখা দরকার সবারই।
আর
তোমাকে। 
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দুর্বল নেট, সব ছবি লোড হতে হতেই বাংলা পিরিয়ড শেষিয়ে গ্যালো। এতো এতো ছবি দিলে ভ্রমণের গল্পগুলা শুনবো কবে ??
...পলাশকে ছোট বললে তো সমস্যা, আমরা তো তাহলে কল্কেই পাবো না।
অনেক অনেক ছবির মাঝে ১-৫-৯ আর বৃষ্টির দুটো ছবি খুব ভালো লাগলো।
_________________________________________
সেরিওজা
নেট স্পিডটাই সমস্যারে ভাই, ছবি আপাইতেও কষ্ট হয়েছে। শেষে আজকে আবার নতুন কানেকশন নিলাম আরেকটা, পুরনোটা নেবার ৭ মাসের মাথাতেই। দেখা যাক এটার কী অবস্থা দাঁড়ায়!
ভ্রমণের গল্পতো ছবির ফাঁকে ফাঁকেই গুঁজে দিলাম! আরো চাও?! সবাই পালাবেনি আমার বকাবাজি শুনে!
পলাশকে তো আদর করেই ছোট বলি, অত দ্রুত বড় হয়ে যাওয়া ভালু না, বুঝেছ?
আর ছবি ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। অনেক
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হুমমম! গতকাল পুরানো লেখা ঘাটতে গিয়ে হঠাৎ রাজশাহী ভ্রমন নিয়ে লেখাটা দেখলাম! তখনই মনে হলো সিলেট নিয়েও কি কিছু লেখা যায় কিনা। কিন্তু আমার যা স্বভাব তাতে মনে হয়না এটাও কমপ্লট করবো! মাঝপথে ছেড়ে দেবার ব্যাপারে আজকাল মনে হয় আমাকে কেউ হারাতে পারবেনা! মি চ্যাম্পিয়ন প্রোকাস্টিনেটর!
লেখা ভালাইসে আপু, একটু কবিতা কবিতা গন্ধ প্লাম!
পরেরটা কতো পরে আসবে?
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
রাজশাহী ভ্রমণের লেখাতো সূর্যালোক দেখলোনারে বইন...! ক্যাম্নে কী??!
আশায় আশায় থেকে পরে ভয় খাইলাম, না জানি কী রকম লেগেছিল আমার আতিথ্য, তাই ভদ্রতা করেই আর দাও নাই।
পরেরটা লিখে ছবিও আপিয়ে রেখেছি, এখন নীতিমালা অনুসারে আর সচলায়তন টিম আমাকে আমার ধনী পাঠ সম্পাদক ফিরিয়ে দিলেই চলে আসবে আশা করি।
ইয়ে তোমাকে
দিতে ভুলে গেছিলাম দেখি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দুর্ধর্ষ!
কাকস্য পরিবেদনা
<চোখ কচলে> ফাঁচটা তারা, ফাঁচটা গুরু ইমো, সাথে 'দুধর্ষ' খেতাব, ছবিতে ৭৫ আর লেখায় ২৫ = ১০০?!
"অরে ও বাবুইল্যা, ধনেপাতার চাটনির বোয়ামটা আন এদিকে তাড়াতাড়ি..."
অনেক অনেক
দ্রোহীদা।
আর ইয়ে, দুর্ধর্ষ > দুধর্ষ
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বানানে আমারই ভুল দুর্ধর্ষই ঠিক ছিল! আমি আবার লেখার ভেতরেও এডিট করেছিলাম, ধুরো!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হুঁ হুঁ ... বড় হয়ে আমিও একদিন এমন পোস্ট দিবো!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তুমি যে কোত্থেকে এই ইমোটিকনগুলো খুঁজে পাও!
আর কই বান্দরবনের পোস্ট তো এল না এখনো! তাড়াতাড়ি দাও।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অসম্ভব সুন্দর ছবি । খুউউউউউউউউউব ভাল লাগল ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ভালো লাগাতে পেরে আমি আনন্দিত।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নীতিগত ভাবে তোমার লেখা আর পড়ব না বলেই ঠিক করলাম--
পড়লেই মন খারাপ হয়ে যায়--
এইটা যেহেতু পড়েই ফেলেছি, কী আর করা!
অসম্ভব সুন্দর ছবি, আর তারচেয়েও চমৎকার বর্ণনা---নাহ মনটা আবারো খারাপ হয়ে গেল---
কিন্তু আমি মন খারাপ করে দেবার মতো কী করলাম?!
আর আমি তো ভাবছিলাম আজ কালের মাঝেই লালাখালের গল্পটা পোস্ট করে দেব।
লেখা আর ছবি এত ভালো লেগেছে জেনে আমারো অনেক ভালো লাগল।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বাহ
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গল্প আর ছবি -- দুই'ই সুন্দর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নাহ্, বুনোর কাছ থেকে নাচানাচির ইমোটা কী করে দিতে হয় শিখে নিতেই হবে মনে হচ্ছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দুর্দান্ত!!!!
এইবার সুন্দরবনেরটার অপেক্ষায় থাকলাম।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হা হা হা! আমিও!! <চোখ চকচক করে ওঠার ইমো>
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভাই,
জ্যোৎস্নাকিরণের মতো স্বচ্ছ বর্ণনা আমোদিত করলো!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লোভনীয় সব ছবি!
সবাই ফটোগ্রাফার হয়ে গেলে কেমনে কী...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই জায়গাটার নামই লালাখাল। রিসোর্টটা নাজিমগড় রিসোর্টেরই আরেকটা প্রজেক্ট। এই রিসোর্টের উল্টোদিকের জায়গাটার নাম নিশ্চিন্তপুর।
সারি ব্রিজ পেরিয়ে ডান দিকে একটা রাস্তা নেমে গেছে সে রাস্তা ধরে এখানে সড়ক পথেও আসা যায়, জৈন্তিয়া থেকেও একটা রাস্তা এদিকে আছে, সেই রাস্তা আর সারি ব্রিজের পরের রাস্তা একজায়গায় মিলে রিসোর্টের পাশ দিয়ে গিয়েছে। এখান থেকে ভারতের বর্ডার আধ কিলোমিটারের মতন।
...........................
Every Picture Tells a Story
আরেহ বাহ, আপনার এই মন্তব্যটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ তথ্যগুলোর জন্যে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি সিলেট যাওয়ার প্ল্যান করি আর ফেল মারি বছর বছর। আর এদিকে লোকজন সিলেটের সেইরাম সব জায়গায় ঘুরে আসার ছবি পোষ্ট দেয় রসালো বর্ননা সহকারে। দুনিয়াতে এত অবিচার...........
১ আর ৫ নম্বর ছবি দেখে আবারো উদাস হইলাম। ফ্লিকারে ঢুকবো না ঢুকবো না বলে ঢুঁ মেরে বসলাম। মেঘের সাথে নদীর কিছু একটা আছে ওইখানে। অপূর্ব!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নতুন মন্তব্য করুন