রাস্তা আজকে তুলনামূলক ফাঁকা তাই দৌড় দেয়া যায় বসুন্ধরা সিটির দিকে, এই ভেবেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পড়িমরি করে বের হয়ে যাই। তাও বেলা পড়ে এসেছে, অনেক্ষণ ধরে অপেক্ষারত নূপুরাপুর সাথে দেখা করতে পৌঁছুতে পৌঁছুতে ৫টা বাজে। সিলেটের টিপু ভাই এদিকে ঢাকা এসেছেন, তাঁর কাছে শুনলাম অপু ভাইও নাকি ঢাকায়, আজকে একবার ফোন দিতে হবে হাতের কাজ সেরে। আমরা অবশ্য দেরি না করে বেরিয়ে যেতে চেষ্টা করি বইমেলার উদ্দেশ্যে। সরকারি ছুটির দিন, বইমেলা উপচে পড়ছে সান্ধ্যকালীন ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়ে।
বালিকা, বুনোরা বইমেলায় ঘোরাফেরা করছিল দুপুর-বিকেল থেকেই। বইমেলায় ঢুকতে না ঢুকতেই বালিকার মেসেজ পেয়েছি, আমি যে বইটা খুঁজছিলাম, কিনেছে আমার জন্যে, এখন দু’জনারই খোঁজ শামসুর রাহমানের ‘স্মৃতির শহর’। সুর বলেছে এই বইটা দারুণ লাগছে পড়তে। কিন্তু তার আগেই দেখা হয় সুর, তুহিন, জিয়েমটি, কবি ড়েক, শাহেনশাহ্ আর সবজান্তার সাথে। ঝাকানাকার টি-শার্ট এসেছে পাঠসূত্র স্টলে। ৪টা কমিকস কিনলে একটা টি-শার্ট ফ্রি, আর ২টা কিনলে একটা পোস্টার। তুহিন তার বিশালাকৃতিক্স সাইজের তুলনায় পিচিইক্স একটা ঝাকানাকা টি-শার্ট ধরে ছবি তোলার পোজ দেয়। জিয়েমটিদের কমিকস ‘ভাক্ষস’ পুনঃমুদ্রণ হয়েছে এই কয়দিন হলো, এবার অফসেট প্রিন্টিং-এ পাওয়া যাচ্ছে, ‘উন্মাদ’ স্টলে। আমাদের জিয়েমটি এই সুযোগে খুব রাশভারী লেখক স্টাইলে অটোগেরাফ দিয়ে বেড়াচ্ছে পরিচিতদেরকে ‘বড় হতে’ বলে!
ভাক্ষস কিনবো, কিন্তু উন্মাদের স্টল বাংলা একাডেমীর সীমানার বাইরে, তাছাড়া খিদে পেয়েছে সবার, চাপুরীচপআইস্ক্রিমের জন্যে তাই বইমেলার দোয়েল চত্ত্বরের দিকের প্রধাণ ফটক দিয়ে সবাই মিলে বেরুচ্ছি, দেখা মৃদুলদার সাথে। আইস্ক্রিমেডুবানোগরমআলুরচপ খেয়ে আমরা চায়ে চুমুক দেই। এদিকে জিয়েমটি কোন্ ফাঁকে হারিয়ে গেছিল, সে ফিরলে জানা যায় মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এসেছেন আজ সন্ধ্যায় বইমেলাতে, তাঁর সাথে ফটোসেশন সেরে এলেন আমাদের ছড়াকার/কার্টুনিস্ট একা একাই!
চা খেয়ে মুখ মুছে আমি আর সুর দৌড়াই নজরুল মঞ্চের দিকে বই হাতে! জাফর ইকবাল একপা মুড়িয়ে বসে আরেক পা শূন্যে দুলিয়ে, অটোগ্রাফ দিচ্ছেন ভক্তবাহিনীকে। সুর অভিভূত, আর আমি দন্ত বিকশিত! আমাদের সাথে গল্প করেন, বালিকার সাথে দেখি তাঁর আগে থেকেই আলাপ, বালিকা আমাদের লেখক পরিচিতি দেয় তাঁর কাছে। পাশ থেকে আগ্রহী একজন আমাকে জিজ্ঞেস করে, কোন্ ব্লগে লেখি আমরা। ছবি তোলা হলে পরে নজরুল মঞ্চের অন্য দিকে আমাদের গ্রুপের কাছে ফিরে যাই আমি, তখনো সব দাঁত বেরিয়ে আছে, ফোন দেই ছোট ভাই-বোনদেরকে ঈর্ষা জাগাতে।
এর পরে টুকিটাকি বই কেনা হয়, যদিও আমিও রণদার মতোই পণ করেছিলাম যে বই কিনবো না আর! ঘুরে ফিরে নজরুল মঞ্চের কাছে আসা হয়, আড্ডানো হয়, আবার বই কেনা হয়, সবজান্তা গাল ফুলায় কবি ড়েক আর নির্জন স্বাক্ষরকে আগের দিন বই কিনে দিয়েছি, আজকে বালিকাকে, সে বাদ পড়েছে তাই নিয়ে। পাণ্ডবদা হাজির হন ঝাকানাকা পোস্টার হাতে ফোরে পড়ুয়া পাণ্ডবজুনিয়রকে নিয়ে। আবার বই কেনা হয়, আবার আড্ডানো, বুনো বাড়ি ফেরে, সুরও। জিয়েমটি আর তুহিন আগেই চলে গেছে। ওডিনদা মেলায় হাজির হয় তার বন্ধুদের সাথে। ‘সময়’-এর স্টলে জাফর ইকবালের একটা পুরোনো বই কেনার সময়ে একটা পিচ্চি কে আমি ভড়কে দেই গম্ভীর মুখে ঝাকানাকা কেনার সদুপদেশ প্রদান করে।
রাত পৌনে ৯টার দিকে সবাইকে বিদায় জানিয়ে মেলা থেকে বেড়িয়ে পড়ি। ভাইবোনেরা মিলে রাতের ঢাকা দেখবো ঠিক করেছি। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের অন্যতম আয়োজক হিসেবে ঢাকা শহর সেজেছে নানান রঙের, হরেক রকমের আলোকসজ্জায়। পিজি হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাত্রা শুরু করে, ফার্মগেট, জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালি ফ্লাইওভার, বনানী, এয়ারপোর্ট রোড হয়ে মীরপুর স্টেডিয়াম - একটা যানজটপূর্ণ রাতের ঢাকা সফর করলাম। মজা লাগলো আলোকিত রাস্তা দেখে। গাড়ি থেকে তোলা, আর জ্যামে গাড়ি যেহেতু খিঁচে খিঁচে এগুয়, ছবিগুলোর অধিকাংশই এসছে ঝাপসা, আউট অফ ফোকাস। তাও আমার নগন্য পয়েন্ট এন্ড শুট দিয়ে তোলা কিছু ছবি উঠছিল মোটামুটি, কিন্তু এয়ারপোর্ট রোডে হোটেল র্যাডিসনের উল্টো দিকে, ৭০ফুট লম্বা ক্রিকেট ব্যাটটায় সাইন করার জন্যে থামার আগেই দেখি ক্যামেরার ব্যাটারির চার্জ শেষ! আসলে আজ রাতে বেরুবো তা আগে থেকে ঠিক করা ছিল না, একেবারেই হঠাৎ করের বইমেলাতে থাকাকালীনই রাতে ঘোরাঘুরির কথা ঠিক করা হলো। ক্যামেরার ব্যাটারি তাই মনে করে চার্জ দিয়ে রাখা হয় নাই।
ঢাকায় মনে হয় যাদেরই গাড়ি আছে, তারাই গত কয়দিন ধরে বেরুচ্ছেন রাতের ঢাকা দেখতে। প্রচণ্ড জ্যাম পুরো পথেই, প্রায় সবই প্রাইভেট গাড়ি, প্রায় সব গাড়িতেই পিচ্চি-পাচ্চা, ছোট-বড় মিলিয়ে বিপুল জনগণ। শাহীন কলেজের কাছে কিছু রেস্টুরেন্ট আছে, ওখানে থেমে দেখা গেল সবগুলোতেই প্রচণ্ড ভিড়, বসবার টেবিল নেই রাত সাড়ে দশটাতেও! পিচি-পিচি পোলাপান অত রাতে বাবা-মা-র সাথে এসেছে আলোকসজ্জা দেখতে, চেয়ার দখল করে খেতে বসেছে সবাই।
ঢাকা তো বটেই, পুরো দেশ জুড়েই সবাই উত্তেজিত, আনন্দিত, জল্পনা-কল্পনারত আগামিকাল সন্ধ্যার বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, ১৯ তারিখ বাংলাদেশ-ভারতের উদ্বোধনী খেলা, ঢাকা-চট্টগ্রামে অনুষ্ঠেয় সবগুলো ম্যাচ, পুরো বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়েই। আর আনন্দ জিনিসটা কিন্তু আসলেই সংক্রামক। ভাবলাম একা কেন, হোক না কিছু ঝাপসা ছবি, ফটুরে সচলেরা দুর্দান্ত সব ছবি দেবেন নিশ্চয়ই পরে, আপাতত সচলায়তনের মাধ্যমে আমিও বিশ্বকাপত্তোজনার রাতের ঢাকার কিছু আনন্দ ভাগাভাগি করি যাঁরা ঢাকার বাইরে আছেন, তাঁদের সবার সাথে।
ঢাকা; ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১১; ভোর ৩:০০টা
পিজি হাসপাতালের কাছে ওভারব্রিজ
পিজি হাসপাতালের সামনে আলপনাঙ্কিত নৌকো
ঢাকা শেরাটন, খেলোয়াড়দের আবাসস্থল
কাওরান বাজারের কাছে বাংলার কিংকং!
এয়ারপোর্ট রোডে হোটেল র্যাডিসনের উল্টো দিকের আলোবৃক্ষ
৭০ ফুট লম্বা ব্যাটে সাইন করবার জন্যে উপচে পরা ভিড় রাত ১২টাতেও!
দাঁড়াবার জায়গা না পেয়ে শেষে পিচ্চি সাইন করছে ব্যাটের কাছেই একটা ফলকে
মীরপুর স্টেডিয়ামের সামনে রাস্তার মাঝের আইল্যান্ডের গাছ থেকে ঝরে পড়ছে 'আলোবর্ষা'। জিনিসটা এত্ত সুন্দর লাগছিল!! ছবিতে কিছুই বোঝা যাচ্ছেনা আসলে!
মন্তব্য
তাও ভালো সচলে এই উপলক্ষে কেউ পোস্ট দিলো। ক্রিকইনফোর রিপোর্ট পড়ার পরে এত ভাল লাগছিল! সেই সাথে দু:খ হচ্ছিল শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর নিম্নমানের রিপোর্ট পড়ে। গতবাঁধা ছকের বাইরে এরা রিপোর্টিং কবে যে শিখবে!
অনেক ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। হাসিব ভাই ছবি দেখার জন্যে যেভাবে ধমকাধমকি করতে শুরু করেছিলেন শেষে ঘুম বাদ দিয়ে এগুলো সব ঠিকঠাক করলাম। কিন্তু এখন দেখি ছবিতে সিগ্নেচার জুড়ে দেবার পরে তা সেভ করতে ভুলে গেছি! আবার নতুন করে সব আপ করে লিঙ্কাতে হবে কোন এক সময়ে!
আপাতত ঘুমাতে যাই, ভিডিওটা দেখে জানিয়েন কী মনে হলো। এটাই প্রথম সম্পাদনাওঊর্ধ্বগমন প্রকল্প।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভিডিওটা দেখে খুব ভালো লাগলো। ঢাকা-- মনেই হয়না। শেষের ফ্রেমটা একটু ধীরে গেলে লেখাগুলো পড়া যেতো।
হুঁ, কিন্তু টাইমিংটা অ্যাডজাস্ট করবার এক্সট্রা এনার্জিতে আর কুলালো না।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এহে...আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, আমার অপর নিক হচ্ছে প্রকৃতিপ্রেমিক-২, মানে দুই নম্বর আরকি!
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হিমু না আপনার আরো সুন্দর একটা নাম দিয়েছিল?
হ্যাঁ, নিসর্গ নাগর, ওইটাতে আবার নিষিদ্ধ প্রেম প্রেম গন্ধ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হায় হায়! এ নেহায়েতই ঘুম চোখে টাইপিং এরর!! আন্তরিকভাবে দুঃখিত পিপিদা!!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রথম মন্তব্যটা আর ভিডিও ক্লিপ রিভিউয়ের জন্যে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ব্যাপার না
ক্রিকইনফোর লেখাটা ভালো লেগে থাকলে বিবিসির এই লেখাটা আরো ভালো লাগবে হয়তো।
মনমাঝি
মনমাঝি
ধন্যবাদ লিংকের জন্য। ইনি অনেক বেশী বিষয় কাভার করছেন এবং লেখায় ব্যক্তিগত স্পর্শ এনেছেন যা অবশ্যই চমৎকার লেগেছে। তবে ক্রিকইনফোরটা একটু বেশী চমৎকার লেগেছে।
ঢাকারে মিসাই, আর যারা এখন ঢাকায় আছে তাদেরকে হিংসাই।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আহারে!
আমার অবশ্য কিছুদিনের জন্যে ঢাকা ভালো লাগে, কিন্তু তারপরে যানজট, ভিড়, আর দূষণে অস্থির হয়ে যাই। এবার বেশ অনেকদিন একটানা থাকা হলো, পালাবার সময় হয়েছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ছবিগুলির জন্য ধন্যবাদ। ঢাকায় থাকলেও কিছুই দেখতে পারি নাই অসুস্থতার কারনে। ছবিগুলি দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো গেল।
মনমাঝি
দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, আর ঢাকায় থাকলে দেখতে পাবেন, চিন্তা নেই।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কি সাংঘাতিক ভালো যে লাগছে ছবি গুলো দেখে!
আপনার প্রো-পিকটা দারুণ মজার।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হাতে সময় নেই তাই সচলে শুধু ঢুঁ মারি, মন্তব্য করি কম। পোস্টটা দারুণ লাগলো। "স্মৃতির শহর" নিয়ে সব কিছুই ভালো লাগে। ছবিগুলোও নস্টলাজিক করে দিল।
ভালো থেক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।
[এবার কিন্তু ঠিক জায়গায় ঠিক জনকে অ্যাড্রেস করেছি।]
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
টাইগারদের মনে প্রাণে ভালোবাসি; কিন্তু যে হাইপ তৈরী করা হয়েছে শেষে না আবার সমস্যা হয়। ওরা খারাপ করলেও ওদের জন্য আগের মতই ভালোবাসা অগ্রীম জমা করে রাখলাম।
সাধ্য মত খেলে যাও, বীরের মতো লড়ে যাও-- জয়-পরাজয় কোন ব্যাপার না।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পিপিদা, এত বছর পরেও অংশগ্রহণই বড় কথা হইলে ক্যামনে কী?
আমাদের খেলোয়াড়দের নিয়ে যেরকম মাতামাতি শুরু হয়েছে তাতে সন্দেহ হচ্ছে সবকিছু না ডুবিয়ে দেয়। তাই আগাম শান্ত্বনা। এরা জিম্বাবুয়ে কিংবা কেনিয়ার সাথে খেললেও জয়ের আগ পর্যন্ত স্বস্তি পাইনা। ধারাবাহিক পারফর্ম করতে না পারার কারণে কিছুটা হতাশা আছে বলতে পারেন। আমার মনে হয় এতদিন ধরে খেললেও বাংলাদেশ এখনো প্রফেশনাল হতে পারেনি। তবে এগুচ্ছে, ধীরে। আরো ৪/৫ বছর পরে বলা যাবে।
আমার মনের কথাটা বললেন। একদিন ভালো খেললেই মনে হয় যেন হাল ছেড়ে দিয়ে ভাবে, বাহ বেশ ভালো খেললাম তো আমরা, পরেরটা এত ভালো না খেললেও চলবে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চিত্রকর্ম সুন্দর হৈছে। পিকাসোত্তর বিশ্বে এমন চিত্রকর্ম আর দেখা যায় নাই। তবে কয়েক জায়গায় মনে হৈছে বাজার থেকে বার্জার পেইন্টের ডিব্বা কিনে এনে সাদা ক্যানভাসে ইয়াআলি বলে ছিটকে দেয়া হৈছে। এইটা অবশ্য ব্যাপার না। বড় চিত্র তথা শিল্পকর্মে এইরম ইট্টুআট্টু ছেদরানো রং থাকবেই।
ভিডিওটা ব্যাপক হৈলেও সাথের সঙ্গীতায়োজন সেরকম হয় নাই। ভিডিওটার সাথে কেমন সঙ্গীতায়োজন হলে দৌড়াতো তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ নিচে আছে। সাথে উপরি হিসাবে আছে আশু রামছাগলটার লিপ্সিং।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে ভাই, পিপিদাকে তাসনীম ভাই বানিয়ে দিচ্ছিলাম আরেকটু হলেই! বোঝেন কী রকম দৌড়ের উপরে আছি! ছবি নিয়ে আমার নিজের আফসোসের শেষ নেই, বেশি ঝাপসা আর পিচ্চি সাইজেরগুলো বোনের ক্যামেরায় তোলা, সেই ক্যামেরায় কী জানি হইছে, খালি দাগদাগ আসে সব কিছু।
পছন্দের ইন্সট্রুমেন্টাল খুঁজতে গিয়ে Enya-র The Magic of the Night বের হলো। আমার কাছে বেশ উপযুক্ত মনে হলো। তবে হ! আশারাফুলের লিপসিঙ্কড মমতাজ বেশ ভালো হইতো কিন্তু!
অনেক আপনাকে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আবার ভালো হৈতো কেমনে? ভিডিওটা দেখেন নাই? আশুর মাথা ঝাঁকানি দেখেন নাই?
এইটা তো দেখছেন। "সামিনাও নাই এ এ, রুমিনাও নাই অ অ, জানডাই আমার বাংলাদেশে, মুই রইছি কাতারে..."
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গানের প্রথম দিকে ঐটা কী ঢেকুরের আওয়াজ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হা হা হা! এটা তো মনে হচ্ছে আপনার থিম সং, কাতারের বদলে জম্মনদেশ লাগাইতে হবে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যাযাবর আপু, দারুন লিখেছেন আর খিঁচেছেন। দূরে বসে শুধু দেখি। আমার অবশ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা দেখা হয়নি তবে অফিসের পাকিস্তানি কলিগরা আজ সকালে খুব প্রশংসা করছিলো উদ্বোধনীর।
আপনার তোলা ছবিগুলোতে বর্ণিল ঢাকাকে খুবই সুন্দর লাগছে। আমাদের সবার মনও যেনো সবসময় এমনই বর্ণিল থাকে। উপলক্ষ থাকুক আর নাইবা থাকুক।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লেখা-ছবি-ভিডিও সবগুলো ভালো লাগলো।
আলো-আলো, এত আলো........................চোখ ধাঁধানো আলো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লেখা ও "আঁকায়"
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গরিলাটা না হইলেও হইতো মনে নয়। আর যেই বেকুবেরা ব্যাটের গায়ে স্প্রে পেইন্টিং করছে ওগোরে ঠাডায় চটকানা মারনের কাম।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
গরিলাটা বিসিসি বা সরকারী সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের অংশ না আসলে, সম্ভবত কোন রেস্টুরেন্টের ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন উদ্যোগ। আমার মজা লাগলো দেখে তাই তোলা।
কিন্তু ব্যাটে লেখা নিয়ে আসলে কিছু বলার নাই, পুরোটাই ইতিমধ্যেই প্রায় দুইদফা সই-স্বাক্ষরের প্রলেপ মেখেছে মনে হলো! আমরা (ফেল্ট-টিপ) সাইন পেন কিনে নিয়ে যেতে পারি নাই তাই অনেক ঘষে ঘষে বলপয়েন্ট দিয়েই চেষ্টা চালালাম, অত সহজে মোটেও লেখা যাচ্ছেনা ওটার গায়ে! কতগুলো ছেলে সাদা পেইন্ট আর ব্রাশ কিনে এনে অন্যদের উপর দিয়েই নিজেদের নাম লিখছিল বড় করে। তবে কিছু ইন্টারেস্টিং নামের স্বাক্ষর পেয়েছি বেশ বড় আকারে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বিসিবি*
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অসাধারণ পোষ্ট। চমৎকার লাগলো এই অভিসারি রাতের মাঝে শলমা আঁকা আলোর কাঁপন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ফাটাফাটি একটা পোস্ট হয়েছে।
অতো ঝামেলার মধ্যেও...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধুর মিয়া! আপনি হুদাই প্রশংসা করতে থাকেন। বড় আপু বলেই খালি ভালু ভালু কথা কবেন্নাকি! ঝেড়ে সমালুচনা করেন দেখি, কিছু উন্নতি হয় নাকি আমার।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গ্রেট
হ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চমৎকার। ছবিগুলো দেখে ভাল লাগলো। আজ প্রথমবারের মতো এই বছরের বইমেলায় গেলাম। তবে ভীড়ের ভয়ে গেছি সকালে। উদ্দেশ্য সফল! আরাম করে বই দেখেছি, কিনেছি। লীলেনদার বইটাও কেনা হলো।
এহ হে! লীলেনদার বইটা কেনা হয় নাই।
আমি আবার উইকডেতে অফিস আওয়ারে বইমেলা ঘুরে আরাম করে বই কিনি সাধারণত। এবারই প্রথম সান্ধ্যআড্ডা করলাম। ব্যাপক মজা হয়েছে!
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালে বইমেলার ভীড় নিয়ে একটা প্রতিবেদন পড়লাম এইখানে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দারুণ দারুণ সব ছবি। প্রাণবন্ত লেখা!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন স্মাইলি টেরাই করি খ্রান! টেশ ওয়ান -
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
টেশ টু -
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি একদমই গাল ফুলাই নি
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বাহ! গাল ফুলবে কেনু? তোমার কি দাঁতে ব্যথা?!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জীবনের নিদারুণ যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখতে দেখতে এই ভুদাই জনম পার হইলো, এই সুন্দর দুনিয়ার সুন্দরতর লালনীল বাত্তি দেখা হইলো না।
পোস্ট দুর্ধষ হইছে
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আরে দেখবে দেখবে! প্রতিদিনই কি আর অ্যাকিলিস-এর গোড়ালি মেরামত করবে নাকি?! অ্যাকিলিসও যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ছুটি নেয় না দুই এক দিন। তুমিও পাবে, তখন দেখে নিও। আপাতৎ ভুডিও দেখ।
ধন্যবাদ হাততালির জন্যে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমার আত্মজীবনীতে আমাকে বই কিনে দেওয়ার এই ঘটনাটা আলাদা গুরুত্ব সহকারে লেখা হবে। বোল্ড অক্ষরে
অলমিতি বিস্তারেণ
খিয়াল কইরা, তারেকের ভবিষ্যতবাণী সত্য হইলে কিন্তু মরণোত্তর বইয়ের জনপ্রিয়তা বেশি হবে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঢাকায় না থেকেও খানিকটা দেখা হয়ে গেল, ধন্যবাদ
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দুর্দান্ত ছবি আর বর্ণনা
-অতীত
ধন্যবাদ আপনাকে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বেশ ভাল। তবে বাস্তবের প্রাণবন্ত ভাবটা ছবিতে একটু ভিন্ন। যে স্বচক্ষে দেখেছে সেই জানে কি দেখেছে !!!!!
______________________________________________________________________
নিশাচর পার্থ
বাস্তবে আসলেই প্রাণের জোয়ার দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে।
অফটপিক: আপনার নিকটা কি 'প্রেমাংশু' হবে, নাকি 'নিশাচর পার্থ'?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন