পিপুল বাড়ি ফিরে হাত না লাগিয়ে লাথি দিয়ে পাক মারে স্কুলের জুতোজোড়া। ওর ইচ্ছা হয় জুতো ছুটে চলে যাক যেদিকে খুশি, কিন্তু ঠকাস করে গিয়ে দরজায় বাড়ি খেতেই ভয় পায় একটু। একা একা রাগ দেখিয়ে জুতো ছোঁড়া সহজ, কিন্তু সেটা বাড়ির মূল দরজায় জুতোর র্যাকের কাছ থেকে ছুটে গিয়ে ডাইনিং রুমে ঢুকে পড়লে সমস্যা! মা দেখলেই ক্ষেপে যাবে, ধমকা ধমকি শুরু হবে আবার। তাছাড়া এখন বাজে বিকাল সাড়ে চারটা, বাবা নিশ্চয়ই অফিস থেকে বাড়ি চলে এসেছে, বিশ্রাম নিচ্ছে ডাইনিং রুম লাগোয়া বসবার ঘরে, টিভি ছাড়া আছে নিশ্চয়ই আর খবরের কাগজটাও থাকার কথা তার সামনে।
খানিক আগেই ছুঁড়ে ফেলা জুতো জোড়া তুলে এনে ঠিক জায়গায় সাজিয়ে রাখে আবার পিপুল। একটু রাগ দেখাবারো জো নেই কোথাও! এই যে সে কালকে থেকে বাড়ির কারো সাথে কথা না বলে আছে, কেউ দেখেছে খেয়াল করে? কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে ব্যাপারটার?
সকালে মা টিফিনে কী ভরে দিয়েছে দেখেনি পিপুল চেয়েও। মাও রোজকার মতন কী চায় ও, সেটা আলাদা করে জিজ্ঞেস করেনি, মিতুলকে নিয়েই ব্যস্ত ছিল। পিচ্চিটা দিন দিন পাজি হচ্ছে! একা একা খায় ঠিকই এখন, কিন্তু ইদানীং নতুন একটা খেলা শিখেছে, মুখে খাবার নিয়ে উগড়ে ফেলে দেয়, মা হাঁহাঁ করে তেড়ে যায়, এইটায় তার ভারি আনন্দ হয়, খলবল করে হেসে, টেবিলের নিচে ঢুকে যায়। তারপর সবাই মিলে তাকে টেনে বের করা লাগে। যত্তোসব!
কালকে স্কুলেও মেজাজ খারাপ ছিল। রাতুলটা বদের আঁঠি একটা, ওর অংক বইতে একটা বিচ্ছিরি স্টিকার মেরে দিয়েছে, ওকে লুকিয়ে। জানে যে তার জিনিসে হাত দেয়া সে অপছন্দ করে, যত্ন করে নিজের ব্যাগ আর বইপত্র আগলে রাখে। অংকের মলয় স্যার বোর্ডে অংক করাবার আগে প্রতিদিন একজনের থেকে বই চেয়ে নেন নিয়ম করে। কালকে ওর টার্ন ছিল। ইচ্ছা করে এই কাণ্ড করেছে রাতুলটা। গত সপ্তাহে টিফিন টাইমে ফুটবল খেলার সময়ে ওর গোল আটকে দেয়ার শোধ তুলেছে।
মাথায় রক্ত চড়ে গিয়েছিল পিপুলের। দুম করে একটা ঘুষি লাগিয়ে দিয়েছিল ক্লাসের মাঝেই। অন্যপাশে বসা মেয়েরা আঁতকে উঠে আরো দূরে সরে গেল ছেলেদের থেকে, আর খুব বিচ্ছিরি একটা অপরাধ করেছে এমনভাবে ওর দিকে তাকিয়ে নিজেদের মাঝে ফিসফিস করতে থাকলো। তারপরের ঘটনা হেডস্যার পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে পিপুল ছাত্র ভালো, আর এমনিতে শান্তও, আর রাতুলের প্রায়ই শাস্তি পাবার রেকর্ড আছে, তাই শেষতক স্রেফ বাসায় ফোনে জানানো পর্যন্তই থেকেছে ব্যাপারটা।
অথচ কালকে বিকেলে ওদের শিশু-পার্কে যাবার কথা ছিল! নতুন একটা কাপ-পিরিচের রাইড এসেছে, বাবা বলেছিল ওটায় চড়া হবে! কিসের কী! বাড়ি ফিরে জুটলো মায়ের বকা।
বাবা খুব গম্ভীর মুখ করে বললো, “তোমার কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না পিপুল।“
পিপুল শুধু বলতে গিয়েছিল, “কিন্তু দোষ তো রাতুলের!”
বাবা এতে আরো গম্ভীর হয়ে গেল, “কেউ খারাপ করলেই তোমাকেও তার মতোই আচরণ করতে হবে এটা কি তুমি আমাদের কাছ থেকে শিখেছ?”
তারপর উঠে যেতে যেতে আর একবার ফিরে বললো, “অন্যকে দোষারোপের আগে নিজেকে শোধরাতে হবে, এটা সব সময়ে মনে রেখ পিপুল।“
সন্ধ্যায় একবার মিনমিন করে পিপুল আগামিকালকে শিশু-পার্ক যাওয়া যাবে কিনা কথাটা তুলতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কেউ ওর কথার শুনতেই পেলো না যেন। মিতুল কেমন মুখ দিয়ে বাবল তৈরি করে, হা হা করে হেসে কুটি কুটি হচ্ছে নিজে নিজেই, তাই নিয়ে বাবা-মা মগ্ন হয়ে রইল।
তারপর থেকেই কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে পিপুল। কী দরকার? কেউ তো ওর জন্যে কেয়ার করে না। কেউ ওর পছন্দ-অপছন্দ দেখে না। জুতো জোড়া ঠিক জায়গায় রাখতে রাখতে চোখ ফেটে পানি আসতে চায় পিপুলের।
“দরজায় কে?” ভেতর থেকে মায়ের ডাক ভেসে আসতেই ধড়মড় করে চোখ মুছে ঠিক হবার চেষ্টা করে পিপুল। নিশ্চিত জুতো ছিটকে দরজায় লাগার আওয়াজ পেয়ে বকা দেবে! এখন কিছুতেই নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করা যাবে না!
তাড়াতাড়ি ব্যাগ কাঁধে, যেন কিছুই হয়নি এমন ভাব করে ঘরে ঢোকে পিপুল। মা রান্নাঘর থেকে ডালপুরি ভেজে নিয়ে ডাইনিং-এ ঢোকে। বাবা টিভির সামনে, কাগজ নিয়ে। মিতুলটা ঘুমাচ্ছে মনে হয়।
ডালপুরি পিপুলের ভীষণ প্রিয়! দেখেই জিভে জল আসে। কিন্তু তাতে কী! ডালপুরি বাবারও প্রিয়, পিচ্চি মিতুলেরও প্রিয়! সে না দেখার ভান করে নিজের ঘরের দিকে চলে যেতে থাকে।
মাও ওর দিকে না ফিরেই বলেন, “হাত-মুখ ধুয়ে খেতে এস সবাই।“
পিপুল উত্তর না দিয়ে ঘরে ঢুকে যায়, হাত-মুখ ধুতে ধুতে একবার ভাবে যাবে না খেতে, বলবে খিদে নেই তার। তারপর মুখ মুছতে মুছতে টের পায় প্রচণ্ড খিদে আসলে পেটে।
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে একটা। তারপর ধীর পায়ে ডাইনিং-এর দিকে যায়। চেয়ার টেনে বসে পড়ে বাবার পাশে।
মিতুলটারো ঘুম ভেঙেছে, মায়ের কোলে চড়ে মুখ ধুচ্ছে ডাইনিং-এর বেসিনে। এবার মা আর মিতুল এসে বসে টেবিলে। ডালপুরির কোনা ভেঙে মুখে পুরে পিপুল, বাবা চিলি সসটা ওর দিকে এগিয়ে দেয়। নেবেনা নেবেনা করেও নেয় পিপুল। ওর মনে হয়, তাহলে বোধ হয় বাবা-মা ভুলে যায়নি ওর কথা!
গরম গরম মুচমুচে ডালপুরি গলে যেতে থাকে ওর মুখের ভেতরে, আনমনে ভাবে, কিন্তু ও যে তাদের সাথে কথা বলছে না, সেটা কি খেয়াল করেছে?
বাবা-মা জরুরি বিষয়ে আলাপ করে। পিপুল একা একাই খায়।
খেতে খেতে আজকে স্কুলের কথা ভাবে, অদিতি সব সময়ে পেন্সিল শার্পনার আনতে ভুলে যায়, অন্য সময়ে ওর থেকে ধার নেয়, আজকে শিষ ভেঙে গেলেও ওর থেকে নেয় নাই। আর সব মেয়েরাই কেমন চোখ বড় বড় করে দেখছিল ওর দিকে। আর পাজি রাতুলটা সবার চোখ এড়িয়ে ওকে ঠিকই ভেঙচি কাটছিল বারবার। সকালে ক্লাসের আগে ফার্স্ট বয় রওনক ওর পিঠ চাপড়ে সাব্বাশ বলতে এসেছিল, রাতুলের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার জন্যে, কিন্তু বাহ্বাটা মোটেও ভাল লাগেনি ওর। রওনক নিজে কখনো রাতুলের নাম লেখারো সাহস পায় না শাস্তির লিস্টে। ভীতুর ডিম একটা। তবে পিপুলেরও উচিত হয়নি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে রাতুলকে ঘুষি মারা। এমন বড় কিছু ঘটনা ছিল না যে মারামারি করতে হবে। তারচেয়ে সুমন আর আরিফের সাথে আলোচনা করে একটা বুদ্ধি বের করতে হবে রাতুলকে শায়েস্তা করার জন্যে। ক্লাসের সবাই ওর অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
কিন্তু আজকে স্কুলে একটা চমৎকার ঘটনা ঘটেছে, বাংলার সুমনা ম্যাডাম ওর লেখা ‘সংকল্প’ কবিতার ভাবার্থটা দারুণ হয়েছে বলে প্রশংসা করেছেন সবার সামনে। এটা মনে পড়তেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে পিপুল। বাবা-মাকে আরেকটু হলেই বলেই ফেলছিল প্রায়, কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নেয়, মিতুলের কীর্তি দেখে হাসছে দুজনেই।
ধুর! রাগ লাগে পিপুলের।
আজকে খুবই মালটোভা খেতে ইচ্ছা করছিল। মন খারাপ থাকলে মা তাকে মালটোভা বানিয়ে দেয়। অন্য সময়ে হলে সে নিজেই তাক থেকে পেড়ে আনতো, মা বানিয়ে দিত, আর ততক্ষণে চামচ ঢুকিয়ে এমনি এমনি কিছুটা খেয়ে নিত সে। ওতে বারণ করে না মা, খালি শুকনো চামচ ঢোকাতে হবে এটা মানতে হয়। একবার মায়ের পেছনে দেয়ালের তাকে চিনি আর বিস্কুটের বয়ামের মাঝে রাখা মালটোভার বয়ামটার দিকে দেখলেও, মুখে কিছুই আবদার করে না।
মনটা খারাপ লাগে। এই যে ও কারো সাথে কথা বলছে না কালকে থেকে, কেউ খেয়ালও করছে না ব্যাপারটা। নিজেকে কেমন যেন অদৃশ্য মনে হয়, গুরুত্বহীন মনে হয়।
টেবিল ছেড়ে উঠে নিজের ঘরের দিকে চলে যাবার সময়ে মা ডাকে –
“পিপুল -”
দরজার কাছে থমকে দাঁড়ায় পিপুল।
“মালটোভা খাবি?”
ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায় পিপুল, মাথাটা এক দিকে কাত করে লক্ষ্মী ছেলের মতো বলে, “হুঁ”।
তারপর আস্তে আস্তে ফিরে আসে টেবিলে। বাবা মুচকি হেসে তার পাশের চেয়ারটা এগিয়ে দেন ওর বসার জন্যে।
প্রিয় বড় ভাই, নতুন বাবা মাহবুব মুর্শেদ আর বন্ধু অভিমানী লিংকিন পার্ক অতন্দ্র প্রহরীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
অমিত আহমেদকে ধন্যবাদ ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেবার জন্যে।
লিংকিন পার্ক নামকরণ কৃতিত্ব জিএমটি।
মন্তব্য
পিপুল ও মিতুলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
খাড়ান, আর কয়টা দিন! তারপর আপনার পোনায় কী কী করে, কত মাল্টোভায় কত মিল্কশেক বানায় দেইখেন!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পিপুল ও মিতুলকে জন্মদিনের মাল্টোভা মার্কা শুভেচ্ছা।
...........................
Every Picture Tells a Story
আচ্ছা, পিপুল আর মিতুল কেডা?
তবে তাদেরকেও শুভেচ্ছা!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পিচ্চিদের গপ্পো, তার উপর আবার চমত্কার লেখা, খুব খুব ভাল লাগল পড়ে!
পিচ্চি যারা এ গপ্পো পড়বে ওরাও নিশ্চিত পড়তে পড়তে ভাববে, "আমার কথা এরা জানল কীভাবে?!"
এমন আরো আরো গল্প পাবার আশায় রইলাম
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আসলে এইটা কিন্তু ছোটবেলারই গল্প, সবারই পিপুলের মতো এইরকম কাছাকাছি কিছু ঘটনা আছে মনে হয়! আর বাবা-মারা যে কী! ঠিকই সব বুঝে যায় ক্যাম্নে ক্যাম্নে যানি!
অনেক অনেক
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
উভয়কেই শুভ জন্মদিন। এখন একটা কথা কই।
খিদা লাগছে। কেক খামু
অলস সময়
কেউ আর কেক্কুকের কথা কয় না রে ভাই... জালেম দুইন্যা...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চমৎকার গল্প! এবং অসংখ্য ধন্যবাদ!
পাপুন্তুস আরেকটু বড় হোক ভাইয়া, ইশকুল টিশকুল যাওয়া শুরু করুক, তারপর টের পাবেন ইমোশোনাল ব্ল্যাকমেইলিং কত মজার খেলা!
পাপুন্তুসকে নিয়ে আপনার আর আপুর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গল্প খুবই চমৎকার!
মালটোভা হরলিক্স বুস্ট প্লাস সাথে কোন দুধজাতীয় এবং স্বাস্থ্যকর জিনিসই আমার পছন্দ না (তাই পিচ্চিকালেই নিজেকে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট বলে ঘোষণা দিছিলাম ) তবে এই মানুষ দুইজনকে আমার খুবই পছন্দ
মুর্শেদ ভাই আর লিঙ্ক-ইন-পার্ক, দুইজনকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা! আর চকলেটমিল্কশেক এর ওপরে একটু আইসক্রিম ভাসানো থাকলে আমি অবশ্য আপত্তি করিনা, এই কথাটা আপনারা একটু খেয়াল রাইখেন। দরকার হলে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখাতে পারি যে আমার ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স নাই,
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধনেপাতা ওডিনদা। এই দুইজন আমারো খুবই পছন্দের মানুষ।
তবে আমি কিন্তু এখনো এমনি এমনিই খাই!!
আর ধরো গিয়ে চকলেটমিল্কশেক এর ওপরে একটু আইসক্রিম ভাসানো থাকলে, আমি মানে খুবই পছন্দ করি! (হিন্ট! হিন্ট!)
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ওদেরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। চমত্কার লেখা। ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
'মুর্শেদ ভাই এবং প্রহরী'দাকে জম্মদিনে শুভ কামান!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পয়দাদিবসের শুভেচ্ছা উভয়কে
এস এম মাহবুব মুর্শেদ ও অতন্দ্র প্রহরী,
আপনার দুজনের জন্মদিন শুভ হোক!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল পিপুল ও মিতুলের জন্য।
(সেই দিন আর নেই... লোকজন কেক্কুকের কথা বলে না আর...)
আহা... কেক্কুক... আইসক্রিম হলেও চলে অবশ্য...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দুই খোকাকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা... খেলনাপাতি কিছু উপহার দেওয়া যায় কিনা ভাবতেছি...
গল্প নিয়ে কিছুই কয় না দেখি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আরে! গপ্প মিট্টি হইছে গো!
হ, তাইলে ঠিকাছে। তবে দেরি করে বলায় তোমার কাছে আরো কিছু চক্কেট পাওনা হলো আরকি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মুর্শেদ ভাই এবং অপ্র'দা রে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বুড়ো পিপুলদের বড় করে শুভেচ্ছা জানালাম।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল।
চমৎকার গল্প। শৈশব দৃশ্যমান হল।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বুড়ো বয়েসে খোকাটে হওয়ার মওকা তো রোজ রোজ আসেনা
শুভ জন্মদিন খোকাবাবুদ্বয়!!
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
চমৎকার লেখা। ফিরে গেলাম সেই স্কুলবেলার দিনগুলোতে।
বড় হওয়ার কষ্ট অনেক। জটিলতায় যে ভরে যায় প্রতি মুহূর্ত। কিন্তু আনন্দ রয়ে যায় স্মৃতিতে- এক গ্লাস মাল্টোভার। আমার মনে আছে, কি যেন হয়ে ছিল এক বিকেলে, ভীষণ মন খারাপ- মা তখন পরোটা বানিয়ে দিল, সুজি দিয়ে খাবার জন্য। আমার অনন্দ আর কে দেখে। হয়ত জীবনে এরপর আরো অনেক ভাল খাওয়া জুটেছে, কিন্তু মনে আছে সেদিনের সেই আনন্দ।
অলস শনিবার দুপুরে আবার মনটা খারাপ হয়ে গেল। মনে হলো, বড় হওয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না।
অনেক ধন্যবাদ।
আর সেটাই, বড় হয়ে যাওয়া মানেই চিন্তাভাবনায় অহেতুক অনেক বেশি জটিলতা, এই জন্যেই বড় হয়ে যাবার কোন প্রয়োজন নাই! আমি তো সে কারণেই বড় হতে চাই না কক্ষণো! You are only as young as your heart is!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা
কেক্কুক খাওয়ার বিষয়টা কী হবে?
গল্প চমৎকার হইছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মালটোভা ভালু পাই। গল্প মালটোভায়িত হয়েছে।
বাঘুর বাবা আর প্রহরী ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নাও নাও ধোঁয়া ওঠা মালটোভা খাও!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আরে নাম দেখে আমি তো ভাবলাম মলোটভ ককটেলের মতন কোনো বোমাটোমা বুঝি
খুব ভালো হয়েছে লেখা, খাঁটি পিচ্চিতোষ।
দুইজনকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। থালাভরা ফুলকো লুচি, ঝাল ঝাল ঘুগনি আর জামবাটি ভরা পায়েস লন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনাকেও অনেক অনেক বাবুতোষ ধন্যবাদ আমার পক্ষ থেকে তুলিরেখাপু!!
কিন্তু অসময়ে এগুলো কী শোনালেন!! আয় হায়!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কী মিষ্টি একটা গল্প।
মন ভালো হয়ে যায় এরকম গল্প পড়লে।
লোকজনের জন্মদিন ভাগ্য দেখে ঈর্ষা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আসলে ব্যাপার কী রানাপু, এই মুর্শেদ ভাই নাকি অল্প কিছু চক্কেটে টক্কেট পাঠিয়েছিলেন দেশে, তা ছোট বোনের কথা যেন নেক্সটবার ভুলেটুলে না যান এই জন্যেই মানে... হে হে। আর অপ্রটা খালি পাস্তা খেয়ে বেড়াচ্ছে শুনছি ইদানীং! তাই ওকে একটু মনে করিয়ে দেয়া আরকি! তাছাড়া গরমের দিন মানে আইসক্রিম সিজন চলে এসেছে... বুঝতেই পারছেন, নিজের সুইট টুথের জানান দিলাম আরকি এট্টু...
তা আপনার বাঢঢেটা জানি কবে? দেশে আসছেন তো নাকি সামনে? অবশ্য অসুবিধা নেই, ইনবক্সে জানিয়ে প্রপার ইন্সেন্টিভ দিলেই কিন্তু... হে হে হে...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমারও!
ইনবক্সে মেসেজ রাইখা, কিউতে খাড়ান!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তোমার লেখাটা তো দারূণ!
চাইল্ড সাইকোলজি খুবই ভালো বোঝো তুমি।
মাহবুম মুর্শেদ আর অতন্দ্র প্রহরীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অনেক ধন্যবাদ রিটন ভাই!
আসলে মুর্শেদ ভাই আর অপ্রর জন্যে কী ধরনের লেখা পোস্ট যায় ভাবছিলাম অনেক্ষণ ধরে, কিন্তু কিছুই স্থির করতে পারছিলাম না। এমন সময়ে অমিত আহমেদের সাথে কথার ফাঁকে, ছোটবেলায় বাবা-মার সাথে অভিমান আর চকলেট ড্রিংকের কাহিনি কমন পড়লো। তো চটপট লিখে ফেললাম নিজেদেরই গল্প!
আপনাকে আবারো
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গল্পের থীম বুঝতে একদম শেষে এসে ব্রেক কষতে হলো।
মাহবুব মুর্শেদ আর অতন্দ্র প্রহরীকে জর্মদিনের যৌথ শুভেচ্ছা।
মালটোভা আমারো প্রিয় ছিল। তবে শুকনা। গুড়া গুড়া মালটোভা খাতার ছিড়ে নেয়া পৃষ্টায় নিয়ে খাটের কোনায় গিয়ে চুপি চুপি খাওয়া।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ইয়ে, কিন্তু বোঝা যাচ্ছে কী ... ?
আমিতো বললামই, আমি এখনো এমনি এমনি খাই!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
"পিপুল - মালটোভা খাবি" শেষটা আসলেই চমৎকার হয়েছে, শুরু থেকেই অবশ্য গল্পটা দারুণ ছিল..... গল্প যতই ছোট হোক গল্পের শ্রী না থাকলে তা একটানে শেষ করা যায় না বা শেষ করলও কাহিনীটাকে ঠিক অনুভব করা যায় না, এক্ষেত্রে তা খুব ভালোভাবেই পারা গেছে। সুন্দর সৃষ্টিকর্মের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ (নাকি সাধুবাদ) আর গল্পটা যাদের জন্যে লেখা তাদেরকেও আমার পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
ইয়ে, আমি তো আসলে গল্প-টল্প লিখতে পারি না, 'গল্প' লেখার বদলে 'গল্প করছি' এরকম ভাব আরকি...! প্রশংসার জন্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গল্পটা এ্যাত্ত সুন্দর হইছে বলার না!
শুভ জন্মদিন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভালো লেগেছে জেনেই আনন্দ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
শুভ জন্মদিন দুই অগ্রজ ব্লগার!
অট- বিডিয়ারের গল্পভাগ্য দেখছি ইর্ষনীয়। প্রতি জন্মদিনে দেখছি একটা করে গল্প উপহার পায়।
কী কাণ্ড! এইটা পড়া হয়েছিল না!
তবে অপ্রের বালিকাভাগ্য ঈর্ষনীয় হয়ে উঠেছে মনে হয় আসলে তার এসএমএস প্রীতির জন্যে, বলা হয় না, কমিউনিকেশনই আসল! সব সময়ে দেখবেন মোবাইলে কুটকুট করে কাওকে না কাওকে ক্ষুদেবার্তা পাঠাচ্ছে, আল্লাহ জানে কয়জন বালিকার নম্বর আছে ওর ফোনবুকে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মুর্শেদ ভাই ও প্রহরী ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
লেখাটা খুউউউউউউউউউউউউউউউউউব ভালো লেগেছে।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
শান্তদা!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গল্প সুন্দর হয়েছে...
জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
মাহবুব মুর্শেদ ও অতন্দ্র প্রহরীকে জন্মদিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছা৷
গন্পটা ভারী মিত্তি৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
থেঙ্কু!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ব্লগের পাতায় বহুদিন পরে এরকম ওয়েল-রিটেন একটা গল্প পড়লাম, একসময় অমিত আহমেদের গল্পগুলো পড়ে এরকম শান্তি পেতাম।
খুব ভাল হয়েছে।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লেখাটি দারুণ হয়েছে! সাবলিল বর্ণনা। এবং বাস্তব। অনেক শিশুতোষ গল্পে যে জোর করে "গল্পটি বাচ্চাদের নিয়ে/জন্য" জানান দেয়ার চেষ্টা দেখতে পাই - সেটি একেবারেই অনুপস্থিত।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এমন আরো শিশুতোষ গল্প লিখবে বলে আশা করি।
প্রহরী ও এসএম৩ ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
খ্রাও, আরো লিখতেছি! (কম্পুতে শান দেয়ার ইমো)
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গল্প চমৎকার।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভাইয়াদেরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। গল্পটা খুউব ভালো লেগেছে
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দুইজনের আবার একই জন্মদিন হয় নাকি?
যাযাপুর লেখা নিয়ে নতুন করে আর কি বলবো, বরাবরের মতোই ইয়ে! হঠাৎ করেই অনেকদিন পর ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়ে গেলো। ১৯৭৭ সালে আমাদের সবথেকে ছোট্ট ভাইটা হওয়ার পর আমি আর মেঝো ভাই ওটাকে খুবই আদর করতাম। কিন্তু যেইনা আম্মা ওকে নিয়ে খাওয়াতো, ঘুম পাড়াতো, আমাদের খুব হিংসে হতো। এবছর আমাদের মেঝো ভাইএর বউএর বাচ্চা হবে। দেখা যাক রাফিন তখন কি করে!
বাড্ডে বয়েজ মাহবুব এণ্ড প্রহরীকে অনেক শুভকামনা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সিবলিং রাইভালরি কাঁচা-মিঠা জিনিস... আমি দেখেছি ছোট বাচ্চারা অনেকেই দুষ্টুমি কমিয়ে দিয়ে অনেক রেসপনসিবল হতে শেখে ছোট ভাইবোন এলে, তাদের অনেক টেক কেয়ার করে, বাবা-মাকেও সাহায্য করতে শেখে। রাহিনের নতুন ভাইবোনের জন্যে শুভ কামান।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মন্তব্য লাফাং-এর খ্যাতা পুড়ি___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আরে বাহ! সুন্দর গল্প!
শুভ জন্মদিন অপ্র, শুভ জন্মদিন মুর্শেদ ভাই
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সাথে একটা ফিরি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আহা! কতোদিন হাতের তালুতে করে চুরি করে মালটোভা খাই না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুম... একটা কাজ করতারেন, একটা মালটোভার বয়াম কিনেন, তারপর নিজেরটা নিজেই চুরি করে খেয়ে ফেলেন!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পিচ্চিতোষ গল্প হিসেবে চমৎকার হয়েছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন