আনাড়ির মুগডাল ভর্তা

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি
লিখেছেন যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৫/২০১১ - ২:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবাই বাড়িতে যা আছে তাই দিয়ে দ্রুত রন্ধন বিষয়ক পোস্ট দিচ্ছে, আমারও একটু আগ্রহ হল রেসিপি ব্যাপারটা ক্যাম্নে কী একটু ট্রাই করতে। কয়দিন আগে এক বন্ধুর অনুরোধে তাকে একটা রেসিপি লিখে দিয়েছিলাম, তাতে আবার জরুরি দুই তিনটা উপকরণ লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম, তো আবার পুনঃ মেইল করে জানালাম যে, ভাইরে, এইটা এইটা না দিলে কিন্তু কোন লাভ নাই। তো সেটা ছিল জীবনের দ্বিতীয় রেসিপি লিখন, প্রথমটা লিখেছিলাম ক্লাস সেভেনের গার্হস্থ্য পরীক্ষায় এবং তা ছিল ব্যাপক জটিল একটি রেসিপি – ‘সালাদ’!!

যাই হোক আজকের রেসিপিও সেইইই রকম জটিল। না না, ভয়ের কিছু নাই, ‘জটিল’ মানেই কমপ্লেক্স না। আমার সর্বদাই মনে হয় আমরা বড়ই সৃষ্টিশীল আমাদের ভাষার নানাবিধ প্রয়োগের ব্যাপারে। 'জটিল' শব্দের আরও কতো অর্থ হয় দেখেন - এক ‘জটিল’ মানেই হতে পারে দারুণ, ফাটাফাটি, বিচ্ছিরি... ইয়ে, না মানে এই রেসিপিটা বিচ্ছিরি না। এই রেসিপিলচোনায় ‘জটিল’-এর প্রয়োগ হল ধনাত্মক অর্থে, ঋণাত্মক কিছু নেই এখানে। আসলে উপকরণগুলো চেনা থাকলেই এটা করে ফেলতে পারা যাবে এই আধা ঘণ্টার মাঝেই। আচ্ছা, বাদ দেন ভাষালোচনা, ঐটা ভাষাবিদদের জন্যেই তোলা থাক, আমার আর ঘেঁটে কাজ নাই, এমনিতেও রান্নাটান্না পারি না, বরং রেসিপিতেও ঘোঁট পেকে যেতে পারে! খাইছে

ঘণ্টাখানেক আগে রাতের খাবার খেতে গিয়ে আবিষ্কার হল তরকারি তেমন কিছু নাই। যখন এইরকম ঘটনা ঘটবে, মানে তৈরি তেমন কিছু থাকবে না ঘরে অথবা বাজার নেই, তখনই মাথায় আসবে ‘ভর্তা’। ভর্তা জিনিসটা অন্যতম ‘জান বাঁচানো’ রেসিপি। এতে লাগে কয়েকটা কমন জিনিস, আর বাকি যেটা প্রধান উপাদান হবে, মানে যার নামে ভর্তার নামকরণ হবে, সেটা আপনার রান্নাঘর আর ফ্রিজে পড়ে থাকা প্রায় যে কোন জিনিস হতে পারে, এইটাই সুবিধা। এ মূহুর্তে খুঁজে পাওয়া গেল কয়েক মুঠ মুগ ডাল। কাজেই আজকের রেসিপি হল – মুগডাল ভর্তা

যা যা নিয়ে মাঠে.. থুক্কু, রান্নাঘরে নামবেন –

দুই মুঠ মুগ ডাল (২-৩ জনের জন্যে। আর একই ভর্তা মসুর ডালেও করা যাবে, একই ভাবে)

একটা পেঁয়াজ (হলুদ, বেগুনি, সাদা, লাল যে রকম খুশি নিতে পারেন, কোন অসুবিধা নাই। সাইজ হবে যাকে বলা হয় মাঝারি, আর আপ্নের বড়-মাঝারি-ছোট পেঁয়াজের বিন্দুমাত্র ধারণা না থাকলে আপনার মুঠির মাঝে এঁটে যায়, এমন একটা পেঁয়াজ নিন)।

একটা রসুনের ২-৩ কোয়া

২টা কাঁচা মরিচ (ঝাল-প্রীতি না থাকলে অবশ্যই ১টার বেশি নিয়েন না)

ধনেপাতা (এইটা যেকোন ভর্তার খুব চমৎকার একটা উপকরণ, ধনেপাতা কুচি বা গোটাই ধুয়ে দিলে সুন্দর ঘ্রাণ হয়, আর ভিটামিনও আছে। কিন্তু আজকে বাড়িতে না থাকায় দেয়া হয়নি)।

লবণ (এটা আসলেই যার যার স্বাদমতো, তবে আপনার আবারো ধারণা সম্পর্কে তেমন কোন আইডিয়া না থাকলে তিন আঙুলের সমপরিমাণ এক চিমটি দিয়ে শুরু করা ভালো)।

সরিষার তেল, দুটি পাকা বেল... ইয়ে মানে শুধু ২ চা-চামচ পরিমাণ সরিষার তেল হলেই চলবে, পরেরটুকু ছেলেবেলায় পড়া ছড়ার অংশ হিসেবে লিখে ফেলেছি... খাইছে

এইতো এসবই, আর, আর... দাঁড়ান দেখে নেই, কিছু ছুটে গেল কিনা... অ্যাম্‌... উমমম্‌...
হুম, আর লাগবে একটা রান্নাঘর – হে হে হে, জাস্ট কিডিং, আসলে একটা চুলা হলেই চলবে, আর সব কিছু মাখাবার জন্যে একটা পরিস্কার বাটি, আস্ত রান্নাঘরের প্রয়োজন নাই।

ক্যাম্নে কী

প্রথমে চুল বান্ধেন টাইট করে। জী, ঠিক পড়েছেন, চুল বান্ধেন, ইদানীং ছেলেদের চুলের দাপট মেয়েদের থেকে বেশি, আর জানেন তো যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন, কাজেই টাইট করে চুল বেঁধে ফেলুন, এভাবে কাজের সময়ে চোখের মধ্যে চুল ঢুকে ডিশটাব দিতারবেনা, যারা চুলের ঝরঝরানি রোগে-শোকে ভুগছেন তাঁরা পরবর্তীতে ভর্তার মাঝে আপনার প্রিয় কেশ আবিষ্কার করবেন না।

এবার হাত ধৌত করুন। এইটা খুবই জরুরি কাজ, একদম হেলাফেলা করবেন না, যেকোনো ভর্তা তৈরিতে আপনার হাত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম! আর আপনার যদি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বালাই না থাকে, মানে আপনি যদি এই কর্মটি কী করে সুসম্পন্ন করতে হয় সে ব্যাপারে পুরাই অজ্ঞ হন তাইলে আপনার কর্তব্য এইখানে একবার ঢুঁ মেরে আসা।

অথবা এই ছবিটা একটু দেখে নিন –

এইবার ডাল নিয়ে তাতে দেড় কাপ পানি দিয়ে চুলায় চাপিয়ে ঢেকে দিন, (যদি দেশে থাকেন আর খোলা ডাল কিনে থাকেন তবে প্রথমে হালকা করে পানিতে ধুয়ে ফেলা ভালো, যাতে ধুলো-ময়লা কিছু থাকলে তা ওই ধোয়ার পানির সাথে চলে যায়)। চুলার আঁচ মাঝারি রাখেন, যাতে করে টগবগিয়ে সব পানি ফুটে শেষ হয়ে গেলেও আপনার ডাল সেদ্ধ হয়নি, এমন না হয়।

যতক্ষণ ডাল সেদ্ধ হচ্ছে ততক্ষণের কাজ হল পেঁয়াজ, মরিচ, রসুনকে কুচি করে ফেলা। মরিচ আর রসুন যত মিহি কুচি করতারেন তত ভালো।

মোটামুটি ১৫ মিনিটের মাঝেই ডাল সেদ্ধ হয়ে যাবার কথা। খেয়াল রাখতে ডাল যেন একদম গলে ক্যাতক্যাতা না হয়ে যায়, মানে ল্যাটকা হবেনা, বরং বেশ ঝুরঝুরে কিন্তু আঠালো (স্টিকি) একটা ভাব থাকবে, আর কিছু ডাল বেশ গোটা গোটা দানাদানা হয়ে থাকবে এমন হলে টেক্সচারটা চমৎকার হবে। প্রয়োজনে সেদ্ধের সময়ে পানির পরিমাণ এবং চুলার আঁচ কমা-বাড়া করে নিতে পারেন। গলে ক্যাতক্যাতা হয়ে গেলে যে পুরাই অখাদ্য হয়ে যাবে তা নয়, তবে দেখতে শুনতে এবং চাখতে আমার রেসিপির মতো হবে না এই আরকি। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন ডাল পুড়ে না যায়, সেক্ষেত্রে, ইয়াপ, খেতে অখাদ্য হয়ে যাবার সম্ভাবনা ব্যাপক। দেঁতো হাসি

এবার সেদ্ধ ডাল একটা পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে তাতে কুচানো পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, ধনেপাতা আর সরিষার তেল ঢালুন। সব কিছুই প্রথমে কম কম করে দেয়াই ভালো। পরে যদি আপনার মনে হয় বাকিটাও দিয়ে দেয়া যায় তবে দিয়ে দেবেন। খেয়াল করেন আমি ডাল সেদ্ধের সময়ে লবণ দিতে বলি নাই। তখনো দিতে পারতেন, তবে যেটা হয় যে, লবণ দিয়ে দিলে ডাল সেদ্ধ হতে সময় বেশি লাগবে, আর আপনার যদি পানির মাপের আন্দাজ না জানা থাকে, তবে পানি কমা-বাড়া করার সময়ে লবণও কমে-বেড়ে যেতে পারে। বরং এখন, এই যে বাটিতে সব কিছু নিলেন, এবার এর সাথে লবণ দিন। ঐ যে বললাম, আপনার নিজের স্বাদ অথবা লবণের মাপ, কোনটাই না জানলে, তিন আঙুলের এক চিমটি মাপটা দিয়ে শুরু করুন।

এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ – জামার হাতাটা কনুই পর্যন্ত গুটান, দিয়ে বাটির মাঝে বিসমিল্লাহ বলে হাত চালান করে দেন, এবার সবকিছুকে খালি হাতে আচ্ছা মতো চটকান, একদম লজ্জা করবেন না। চটকানো হলে লবণ টেশ করে দেখেন, সাথে সাথে ঝালও টেশ হয়ে যাবে। যদি মনে হয়, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, লবণ, সরিষার তেল কোনকিছু কম পড়েছে, এই সময়ে তা দিয়ে দিতে পারেন, সাথে আরেকবার চটকান দিতে ভুলবেন না।

ব্যস! হয়ে গেল মুগ-ডাল ভর্তা। এখন গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের উপরে গাওয়া ঘি নিয়ে বসে পড়েন খেতে। দেঁতো হাসি

MugDaal Bhorta

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: প্রস্তুতকৃত পদের সকল প্রশংসার দাবিদার রেসিপি প্রদানকারী। তবে প্রস্তুত পরবর্তী সকল দায়ভার রাঁধুনির, কোন রকম হাসপাতাল, ঔষধ বা ডাক্তার ডাকার জন্যে কোনমতেই রেসিপি প্রদানকারীকে দায়ী করা যাবে না।

ছবি সূত্র


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বানায়ে খাওয়াতে হবে হে... এসব ভুং ভাঙে চলবে না

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কেউ মানা কর্সে আপ্নারে আসতে? চলে আসবেন বাড়িতে। আর আপনি কিন্তু গরুর মাংস রাঁধবেন, ঐটা ভুইলেন না!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

রু (অতিথি)  এর ছবি

আপনার বাসায় তাহলে আমার এই মুগডাল ভর্তা খাওয়ার দাওয়াত থাকল, কি বলেন।
অফটপিকঃ স্কুলে গার্হস্থ্য কেন পড়ানো হয় এইটা আমি বুঝিনা।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ঠিকাছে তাইলে, ভর্তাই খাবেন তো শুধু, অসুবিধা নাই। শয়তানী হাসি

অট: গার্হস্থ্য পড়ানো হয় যাতে একটা বিষয় অন্তত পরীক্ষার আগের রাতে না পড়েও পরীক্ষা দিয়ে উৎরে যাওয়া যায়, অন্যান্য সব বিষয় তো পরীক্ষার আগের রাতে পড়েই পার পেয়েছি! দেঁতো হাসি
আমি অবশ্য বুঝি না পরীক্ষা কেন দিতে হয়। মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

রু (অতিথি)  এর ছবি

ভর্তা স্পেশাল ডিশ হিসাবে থাকবে। অনুষঙ্গ হিসাবে পোলাও, কোর্মা, জর্দা, টিকিয়া, বোরহানি এগুলো তো থাকছেই।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ঐগুলো আমার কম্মো না, তার জন্যে দিফিও আর কৌস্তুভকে ডাকা লাগবে! সাথে চিংড়ির রেসিপির জন্যে অপছন্দনীয় আর টিউলিপকে! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

আমি আবার কী করলাম? নাহয় এট্টু খেতেই ভালোবাসি, তার জন্য এভাবে ভরা বাজারমেঁ মুন্নাকে বদনাম করা?

কৌস্তুভ এর ছবি

ডুপ্লি

বিবাগিনী এর ছবি

ভর্তা মোটেও আনাড়ি মার্কা হয়নি চলুক
গার্হস্থ্যের কথা ভেবে এখোনো গাত্রদাহ হয় রেগে টং আমি বিদ্রোহ করে কৃষি পড়েছিলাম সেভেন থেকে।প্রথমে বাকি মেয়েরা রাজি হয়নি কিন্তু পরে সবাই যোগ দিল।এস এস সি তেও কৃষিই নিয়েছিলাম খাইছে মর তুই গার্হস্থ্য!

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আমাদের স্কুলে মেয়েরা নিচু ক্লাসে গার্হস্থ্য ছাড়া নিতে পারতো না, নাইনে গিয়ে কৃষি নেয়া যেত, ফোর্থ সাবজেক্ট হিসেবে।
আমারো একই রকম অনুভূতি ছিল, কিন্তু পরে দেখলাম বেচারা ছেলেগুলোকে অনেক বেশি পড়তে হতো কৃষিতে পাশ করার জন্যে, মুরগি পালনের নিয়ম কানুন টু গরুর খাবারের পুষ্টি নিয়ে গো+এষণা করতো ওরা পরীক্ষার আগের রাতে। মন খারাপ সে হিসেবে আমরা গিয়ে হ্যান ত্যান বানিয়ে সালাদের রেসিপি (!) লিখে দিলেও পাশ মার্ক উঠে যেত! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

বিবাগিনী এর ছবি

তা ঠিক বলেছেন অবশ্য! বয়সটা ছিল নিয়ম না মানার বয়স তাই হয়ত কষ্ট হলেও পড়েছি কৃষি!

ওহ ধইন্যাপাতা দেখে মনে পড়ল। ধইন্যাপাতা একদম কুচিকুচি ঘুচিঘচি করে সরিষার তেল,লবন, পিঁয়াজ কুচি আর ইচ্ছামত কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে ডলা চটকানি মাখানি দিয়ে গরম ভাতে দিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন।আমার খুব প্রিয়! খাইছে

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ধনেপাতা ভর্তা! আরেকটা রেসিপি! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আহহা, প্রাণ বাঁচানো রেসিপি দেঁতো হাসি

এইটা আজকেই খাবো। হিসেব কষে দেখলাম বেশি কিছু কিনতে হবে না, খালি পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, মুগডাল আর সরিষার তেলটা কিনলেই হয়ে যাবে - লবণ স্টকে আছে। গার্নিশ হিসেবে সবুজ পাতাযুক্ত প্লেট নেই, তবে মনে হয় একটা লেটুস পাতাকে কেটে নিয়ে পাশে বসিয়ে দিলে দিব্যি কাজ চলবে। খেয়ে জানাবো কেমন লাগলো।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এই রেসিপিটা এত সহজ বলেই লিখতে ইচ্ছা করলো। বাইরে থাকা বন্ধুরা, চাকুরিজীবী আমার পরিচিতজনেরা এবং আমি নিজেও খালি অভিযোগ করি, ঘরে অমুক জিনিস নাই তমুক জিনিস নাই, কী করে রাঁধবো। সেই দিক থেকে এটা খুবই সিম্পল ব্যাপার।

আর আমি ধনেপাতা দেবার কথা লিখতে ভুলে গেছিলাম, হিমু ভাইয়ে্র সাথে কথা বলার সময়ে মনে পড়লো। ধনেপাতা দিলে, সুন্দর ঘ্রাণ হবে, বাকি আর সবকিছু ইচ্ছামতো যোগ করতে পারেন।

অবশ্যই খেয়ে জানান, আদৌ রেসিপি পড়ে কী ভাবে কী করতে হবে কিছুটা বোঝা গেছে কিনা। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

ব্যস! দ্রব্যাদি কিনে এনেছি...এইবার কষে একটা ঘুম দিয়ে রাতে উঠে বানিয়ে খাবো। হতচ্ছাড়া সূর্যটা ইদানিং সাড়ে আটটায় ডোবে!

অপছন্দনীয় এর ছবি

সকল প্রশংসার দাবীদার রেসিপি প্রস্তুতকারী... দেঁতো হাসি

বাসায় ফিরতে দেরী হয়ে গেছিলো, বাইরে বৃষ্টি - ঘুমটাও একটুখানি জব্বর হয়েছিলো, উঠে দেখি এগারোটা বাজে - আর রান্নার সময় নেই। কাজেই এই মুগডাল ভর্তা এবং 'প্যাঁক চয়' সেদ্ধ...দিব্যি খেলাম...এইবার আবার ঘুমাই গিয়ে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হক মওলা! দেঁতো হাসি
(যাক! আপ্নে যে খেয়ে দেয়ে এখনো বেঁচে আছেন...!) হো হো হো

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এইযে 'মন্তব্য লাফাং' শুরু হইসে! রেগে টং

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তিথীডোর এর ছবি

আচ্ছা, মন্তব্যগুলো কি জাম্প কেডস পড়ে নাকি? অ্যাঁ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হইতারে কিন্তু! চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আয়নামতি1 এর ছবি

'পড়ে' হবে না 'পরে' হবে তিথীডোর খাইছে

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সর্বনাশ! বানানের রানীর ভুল ধরে ফেলেছেন দেখি! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

হাসিব এর ছবি

লবন আগে দিলে সেদ্ধ দেরিতে হয় - এই তথ্যটার বৈজ্ঞানিক ভিত্তিটা কী?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কইতারিনা। এইটা ব্যবহারিক সমাধান। আর আম্মা ভালো জানবে।

আপ্নে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি খুঁজে পাইলে জানায়েন, আপাতত মুগডাল বাড়িতে থাকলে এইটা করে দেখেন। ঘি আছে বাড়িত? গরম ভাতের উপ্রে ঘি দিয়ে এইটা খাবার নিয়ম। দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

হিমু এর ছবি

খাবার লবণ পানিতে দিলে দ্রবণের বাষ্পচাপ পানির তুলনায় কমে যায়। তখন ঐ দ্রবণকে স্ফূটনাঙ্কে নিতে গেলে বেশি তাপ লাগে। যেহেতু রান্নার সময় তাপের সরবরাহ হার কনস্ট্যান্ট, কাজেই স্ফূটনাঙ্কে যেতে সময় লাগবে একটু বেশি।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

লবণ দিলে বাষ্পচাপ কমে যায় নাকি? জানতাম না তো! ব্রেশ ব্রেশ। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সাফি এর ছবি

ঘনত্ব বাড়ে তাই তাপ বেশী লাগে, কিন্তু চাপ তো কমেনা বরং বাড়ে মনে হয়। P(V=m/D)=nRT তাহলে চাপ আর ঘনত্ব তো সমানুপাতিক আসে।

হিমু এর ছবি

এই সূত্র তো আইডিয়াল গ্যাসের জন্য। দ্রবণের জন্য তো এটা খাটবে না। দ্রবণের বাষ্পচাপের জন্য রাউল্টের সূত্র খাটাতে হবে।

সাফি এর ছবি

রাউল্টের নামই তো ভুইলা গেছি

হিমু এর ছবি

হ, এইসব বদখদ লোকজন আমাদের যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলি পয়মাল কর্ছে। এদের নাম যত দ্রুত ভোলা যায় ততই ভালো। এই পাপিষ্ঠ ফ্যাসিবাদী হাসিবই যত নষ্টের গোড়া। খালি বিজ্ঞান খোঁজে সবকিছুতে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চলুক

(রাউল্ট জানি কেডায়? চিন্তিত খাইছে )

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

লুল্ছিব্বাইরে ধরে 'ইয়েলো পেজেস' এর পাতায় তুলে দেই চল, বৈজ্ঞানিকভাবে।

দ্রোহী এর ছবি

"ইয়ে লোপেজ" [জেনিফার লোপেজের মত করে পড়তে হবে। আবিষ্কারক: হাঁটু]

দ্রোহী এর ছবি

এইসব পোস্ট অবিবাহিত প্রবাসী যুবকদের জন্য।

নৈষাদ এর ছবি

অ্যাঁ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সংগ্রামী সাথী ও বন্ধুগণ, রন্ধনকর্ম বিষয়ে ময়নার কোনো সূত্রের কথা মেনে কাউকে উপদেশ দিয়েন না। এই সেদিন, ময়নার বলা এক পদ্ধতি বয়ান করছিলাম বুক চিতিয়ে, আর তারপর মাইর খেতে নিছিলাম!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

মন্তব্য লাফাং

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সাফি এর ছবি

আমার মতন যাগো ঘি সহ্য হয়না, তাগোর জন্য কি উপায় এইটা কননাই আপা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপ্নে ল্যাক্টোজ ইন্টলারেন্ট নাকি?! ধুরো, আপ্নেতো তাইলে দুইন্যার বেবাক ভালো-মন্দ খাওনের থিকা বঞ্চিত! তবে বৈদ্যাশে শুঞ্ছি ফ্যাটলেস কী, কী সব স্বাদ-বর্ণ-গন্ধহীন জিনিস্পাতি পাওয়া যায়, ঐ যে দেখেন, রঙীন ভাই ঐ সব খেয়েই বেঁচে-বর্তে আছে তো, বলেছে একটার নাম।

তবে ভর্তা তৈরিতে তো ঘি লাগবে না, ঐটা গরম ভাতের উপরে দিয়ে ভর্তা-খাওনের নিয়ম আরকি। আপ্নে ঐটা বাদেই খান না হয়, টেশ একটু কম লাগবে, কী আর করা...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দুনিয়ায় রেসিপি তো একটাই। সেটা নিয়ে এতো এতো লেখা, বই কেনো লেখা হয় কে জানে!

প্রথমে পেঁয়াজ তেল দিয়া লাড়তে হবে। তারপর আলু, তরকারী যা চান দিবেন। মসলা হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন, জিরা, ধনিয়া - মানে যা মন চায় দিতে থাকেন। মনের সুখে লাড়া শেষে মাছ, মাংস বা যেটা মন চায় দিয়ে দেন। আরো লাড়তে থাকেন। তারপর ঝপাৎ করে পানি ঢেলে কিছুক্ষণ সিদ্ধ হইতে দেন। ব্যাস খেল খতম!!!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চলুক দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তিথীডোর এর ছবি

প্রথমে পেঁয়াজ তেল দিয়া লাড়তে হবে। তারপর আলু, তরকারী যা চান দিবেন। মসলা হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন, জিরা, ধনিয়া - মানে যা মন চায় দিতে থাকেন। মনের সুখে লাড়া শেষে মাছ, মাংস বা যেটা মন চায় দিয়ে দেন। আরো লাড়তে থাকেন। তারপর ঝপাৎ করে পানি ঢেলে কিছুক্ষণ সিদ্ধ হইতে দেন। ব্যাস খেল খতম!!!

হো হো হো

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অপছন্দনীয় এর ছবি

এই হচ্ছে গিয়ে আসল গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ!

কৌস্তুভ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি মামু রক্স!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

রেসিপি নিয়া কথা পরে হবে, আগে ভুল ধইরা লই।

এসোভুলধরিলম্বরএকঃ যাগো রান্নাঘর আর ফ্রিজে অপারেশন ক্লিনচিরুনী চালিয়েও কোনো কিছু বের করা যায় না, তাদের ক্ষেত্রে বিকল্প কিছু বলা হয় নাই আলোচ্য কোবতেয়। অতএব, মাইনাস।

এসোভুলধরিলম্বরদুইঃ কোবি এখানে পেঁয়াজের দৈর্ঘ, প্রস্থ, উচ্চতা নিয়ে বিশেষ জ্ঞান প্রদান করলেও রসুনের ক্ষেত্রে পুরাই ফুলের জলসায় নিরব মেরে গেছেন। অথচ আমরা জানি রসুনের আছে জাতি-বেজাতি সব রকমের আয়তন। সেগুলা বয়ান করা হয় নাই বলে খাড়ার উপ্রে মাইনাস।

এসোভুলধরিলম্বরতিনঃ সরিষার তেলের মার্কা নিয়েও কিছু বলা হয় নাই। প্রাপ্তিস্থানের ক্ষেত্রেও কোবি রহস্যজনক কারণে বাকহারা। অথচ আমরা জানি বাজারে হরেক রকমের সরিষার তেল পাওয়া যায়। তীরমার্কা, ধনুক মার্কা, ছিলা মার্কা, কিলা মার্কা, বিলা মার্কা, রাঁধুনী, কাঁদুনী— এতো মার্কার ভীড়ে আনাড়ি ভর্তাবাজ কী করে আসল সরিষার তেল চিনে নিবে এই ব্যাপারে কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয় নাই বলে কইষ্যা মাইনাস।

এসোভুলধরিলম্বরচারঃ আসল যুদ্ধে না নামার আগেই নাদান ভর্তাবাজকে দিয়ে চুল বান্ধা, হাত ধৌতকরণ প্রভৃতি আনপ্রোডাক্টিভ কাজ করিয়ে নিয়ে তারপর চুলা জ্বালানোর কারণে কোবিকে হলুদমাইনাস। বলি, ভর্তাবানানোর আগে ভর্তাবাজকে দিয়ে আরেকবার হাত ধোয়ানীর যে সিস্টেম লস [যথাঃ পানি বাবদ খরচা, সাবান বাবদ খরচা] সেইটা কি কোবি দিবেন? ভর্তাবাজকে আনাড়ি পেয়ে হাদুমপাদুম করার কারণে আরও একদফা কড়া ডোজের মাইনাস।

এসোভুলধরিলম্বরপাঁচঃ মুগডাল সেদ্ধ হতে পনেরো মিনিট লাগার কথা কোবি বলেছেন, কিন্তু চুলার আঁচের কথা বলেন নাই। বলি, কোন আঁচে দিলে পনেরো মিনিটে ডাল সেদ্ধ হবে, সেইটা হিসাব করে বের করতে তো নাদান ভর্তাবাজের তিন-পনেরো-পাঁচচল্লিশ মিনিট লেগে যাবে! তারওপর পেঁয়াজ-কাঁচুমরিচ-এটাসেটা কাটাকুটি করতে পাঁচ মিনিট লাগার কথা বড়জোর, বাকি দশ মিনিট ভর্তাবাজ কী করবে সেই ব্যাপারে কোনো কিছু বলা নাই বলে কী করতে হবে সেটা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সুতরাং, লাগাও দলে দলে মাইনাস।

এসোভুলধরিলম্বরছয়ঃ জামার হাতা কনুই পর্যন্ত গুটানোর মানে কী? সবাই কি কোবির মতো ঝগড়াটে নাকি? তাছাড়া এইখানে কোবির বর্ণবাদী পরিচয়ও মেলে। যারা হাতা ছাড়া স‌্যান্ডো গেঞ্জি পরে চটকানিতে নামতে চান, তাঁদেরকে পত্রপাঠ সাইড লাইনের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আলোচ্য অংশে। বর্ণবাদকে না বলুন, অতএব, বিনা হিসাবে মাইনাস।

এসোভুলধরিলম্বরশেষঃ মশকারী করেন, না? গাওয়া ঘি! ফাইজকামি করেন আমাগো লগে? আমরা কি সাভারের ডেইরি ফার্ম এলাকায় থাকি? আপনেরে আগামি তিন হিজরী সন গুনে গুনে মাইনাস মারা হবে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ভুল্ধরিযুক্তিখণ্ডনলম্বরএকঃ যাদের রান্নাঘর আর ফিরিজে কিছুই নাই তাদেরকে বাজার যেতে হপে, বিকল্প নাই। আর অন্য কিছু থাকলে সেটাকে চটকায়ে ভর্তা বানায়ে ফেলতে হবে, কইছি না, ভর্তার সব জিনিস কমন, খালি যেইটারে চটকাবেন ঐটার নামে ভর্তার নাম হয়ে যাবে। এখন আপ্নে তেলাপোকা পাইলে ঐটাও চটকায়ে দেখতারেন। শয়তানী হাসি

ভুল্ধরিযুক্তিখণ্ডনলম্বরদুইঃ রসুন স্বাস্থের জন্যে ভালা, কাজেই রসুনের সাইজ যাই হোক দুই কোয়া কুচাইবেন। তারপর মন দিয়া আবার রেসিপি পড়েন, সব কিছু অল্প অল্প কইরা দিতে কইছি, টেশ কইরে দেখপেন, লাগলে পরে আরো দিবেন, পুরাটাই এক লগে দিবেন ক্যা?

ভুল্ধরিযুক্তিখণ্ডনলম্বরচার চুল বান্ধার কথা কী আর সাধে কইছি? মুস্তাফিজ ভাইরে দেখেন নাই, আরও কেশ বিলাসি সচল-সচলা যে আছেন আমি শিউর সেই ব্যাপারে। আর হাত ধোওনের কথা খাস আপ্নের মতো পাবলিকের লাইগা... ক্যান, তা আর বিস্তারিত এইখানে না কই, আপ্নের মান-ইজ্জত মানে আমাদেরই রঙীন ভাইয়ের মান-ইজ্জত।

ভুল্ধরিযুক্তিখণ্ডনলম্বরপাঁচঃ হই মিয়া! কইছি না আঁচের কথা? মাঝারি আঁচে ১৫ মিনিট। তারপরো আপ্নের সমস্যা হইলে পানি-আঁচ কমা-বাড়া করতে থাকতে উপদেশ দিছি। আগেই ভুল ধরার জন্যে রেডি থাকলে তো সব ডিস্কার্সিভ আলোচনাই করপেন, গ্র্যাণ্ড ন্যারেটিভের কানের পাশ দিয়া...

ভুল্ধরিযুক্তিখণ্ডনলম্বরছয়ঃ স্যান্ডো গেঞ্জি পইরা রান্ধে আপ্নের বাবুইল্যা। তা বাবুইল্যাকে দিয়েই যদি রান্ধাবেন তাইলে তো আপ্নে মহাসুখে আছেন, ব্লগে আর রেসিপি পড়তে আসছেন ক্যা?

ভুল্ধরিযুক্তিখণ্ডনলম্বরদুইয়ারশেষঃ হ, সরিষার তৈলও তো মার্কা মারা হইলে হপে না, ঐটাও খাঁটি কলুর খাঁটি গরুর টানা খাঁটি ঘানির থেকে টাটকা হওন লাগপে। গাওয়া ঘি-এর মতোই। এর জন্যে বৈদ্যাশে থাকলে ছৈলত ন। দ্যাশে আইসা আওয়াজ দিয়েন, তারপর দেখবানে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

দিফিও-1 এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ভর্তা দারুণ জিনিস, আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, বাঙ্গালীদের আসলে পেঁয়াজ মরিচ খাওয়ার একটা ছুতা দরকার হয়, তাই ভর্তা আবিষ্কার চাল্লু হাতের কাছে যা থাকে ঐটারে কচলায়া পেঁয়াজমরিচসইষ্যারতেল মাখলেই ইয়াম!!

আর ধূগো আপনে ঘি নাই দেইখা হাহুতাশ করতেছেন? আপনে ঘি পছন্দ করেন, তাইলে সাহস কইরা বইলাই ফেলি--মাখন থিকা মোটামুটি সহজেই দেশী স্টাইল ঘি বানানো সম্ভব, আমি মাঝে মাঝেই বানাই। দেঁতো হাসি

অনেকে দেখছি কাঁচা রসুন সহ্য করতে পারেনা, তাদের জন্য রসুনটা একটু মজিয়ে নেই---একটা ছোট ফ্রাইপ্যানে ২ ফোঁটা তেল দিয়ে তাতে খুব ঢিমা আঁচে রাসুন দিয়ে ঢেকে দেই, একপাশ কালচে হলে উল্টিয়ে দেই। একটু নরম হলে কেটে ভর্তায় দেই।

কৌস্তুভ এর ছবি

ভাও ন্যান ক্যানো? জলদি ঘিনির্মাণ (বিনির্মাণ না খবর্দার) আলোচনা করেন! দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বাঙ্গালীদের আসলে পেঁয়াজ মরিচ খাওয়ার একটা ছুতা দরকার হয়, তাই ভর্তা আবিষ্কার চাল্লু, হাতের কাছে যা থাকে ঐটারে কচলায়া পেঁয়াজমরিচসইষ্যারতেল মাখলেই ইয়াম

খুবই সত্য কথা!

আমার নিজের অবশ্য কাঁচা পেঁয়াজ খুবই বাজে লাগে, ডিম ভাজিতে কখনোই পেঁয়াজ দেই না। দেঁতো হাসি
তবে কিছু জিনিস আছে আসলেই পেঁয়াজ ছাড়া চলে না, যেমন নানান রকম ভর্তা। আমি যেকোন রান্নাতেই পেঁয়াজ/রসুন সবই পারলে একটু লালচে করে নেই, তবে ভর্তায় কাঁচা ব্যবহার না করলে ভর্তার আসল স্বাদটা তৈরি হয়না। আপনার পদ্ধতিটা মনে রাখবো।

আর ঘি বানানোর পদ্ধতি দিন শিগ্‌গির!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

হাততালি দলে দলে মাইনাস দিলাম!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সত্যই দেখি সবতে মাইনাছ দিতেছে! অ্যাঁ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

কৈ, তখন আমি ভুটাইনাইতো! ধুগোদার অন্য মুরিদানরা ঐ ভুট দিসে মনয়। ঐ এহন গিয়া আমি -৫ দাগাইলাম... খাইছে

কৌস্তুভ এর ছবি

রেসিপিতে উত্তম জাঝা! । আর আমি এতই ভাল ছেলে, যে দেখা হলে এইটা বানিয়ে খাওয়াবার দাবিও করছি না। তখন তো 'পোলাও, কোর্মা, জর্দা, টিকিয়া, বোরহানি' এইসব খেতে চাইব... শয়তানী হাসি

অপছন্দনীয় এর ছবি

ঠিক কথা, আপনি-ই রাঁধবেন - একটু যদি দয়া করে দাওয়াতটা ফরোয়ার্ড করতেন তো আমরাও একটু খেয়েদেয়ে নিজেদের বিশেষজ্ঞ মতামত জানাতে পারি হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সেটাই। কৌদা আমার জন্যে চক্কেট নিয়ে আসবে, তাপ্পর 'পোলাও, কোর্মা, জর্দা, টিকিয়া, বোরহানি' সব বানিয়ে খাওয়াবে, বিনিময়ে আমি শহর ঘুরিয়ে দেখাতেও পারি, নির্ভর করছে খাবারের স্বাদ কেমন হয়েছে, আর তারপরের দিবানিদ্রাটা উত্তম হয়েছে কিনা... দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

দুইজনাই ব্রহ্মশাপে ভষ্ম হৈয়া যাইবা, এই কৈয়া দিলাম...

কৌস্তুভ এর ছবি

এট্টা কথা কও তো - ভর্তা, ভুনা, সালুন - এইসব শব্দগুলো হরহামেশাই শুনি এখানে, সেগুলোর অর্থ কী? পঃবঙ্গীয় বাংলায় অনুবাদ না হলে তো ধরতে পারছি না...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

(ক) ভর্তা = mashed বলা যায়, তবে এই রেসিপিটা ফলো করলে যে বস্তুটা তৈরি হবে সে রকম চেহারার জিনিশ।
(খ) ভুনা = মাছ, মাংস বা সেদ্ধ ডিমকে পেঁয়াজ-শুকনো লঙ্কাবাটা-আদাবাটা-রশুনবাটা-ধনেবাটা-জিরের গুঁড়ো-তেল-অল্প জল দিয়ে কষানো। বাটা'র বদলে গুঁড়ো দিলেও চলবে। কোন সবজী দেয়া চলবে না, ঝোল-ঝোল হওয়া চলবেনা। একে কষা বা তেল-কষা বলতে পারেন।
(গ) সালুন = প্রধানতঃ মাছের ঝোল। এই ঝোলে আলু ও অন্যান্য মওসুমী সবজী থাকবে। কেউ কেউ বলার সুবিধার্থে যে কোন curry-কেও সালুন বলেন। তবে ভুনা, ভর্তা বা নিরামিষের চচ্চড়িকে সালুন বলা বিধেয় নয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দিফিও-1 এর ছবি

ভাল বলেছেন। সালুন অবশ্য মাছ ছাড়াও ব্যবহার হতে দেখি, "মুরগীর সালুন" প্রায়ই শুনি। সেই হিসেবে আমার ধারণা ছিল সালুন মানে প্রচুর ঝোলওয়ালা কারি।

কৌস্তুভ এর ছবি

এইরকম আর কী কী খটমট শব্দ আছে খাদ্যবস্তুর তালিকায়, বলে ফ্যালেন তো!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমিও 'সালুন' বলতে প্রচুর ঝোলওয়ালা তরকারি বুঝি। তবে আমাদের রাজশাহীতে সালুন কথাটা তেমন বলে না মনে হয়।

ভুনা মানে পাণ্ডবদা যেমন বললেন তাতো বটেই। তবে ওটাকে 'কষানো' বেশি বলে মনে হয়, কোনরকম সবজি ছাড়া, ঝোল নাই, এমন।
ভুনা আসলে কোন কিছুকে ভুনতে ভুনতে যেটা তৈরি হয়। মানে ঝোলতো থাকবেই না, বরং চুলোর আঁচে, কড়াইতে বা পাত্রে মাংসকে (মাছ কি আদৌ ভুনা হয়?! চিন্তিত ) নাড়তে থাকতে হবে, শুকিয়ে মাংস কড়াইতে লেগে লেগে যেতে থাকবে, পুড়ে যাবে খানিক, কালো হয়ে যাবে, ঐটা হলো মাংস ভুনা।

আরেকটা হয় - চচ্চড়ি। এটাও অনেকটা কষানো মতো, তবে এটা হলো মাছের। সবজি নাই, বা শুধু চিকন করে কাটা আলু দিয়ে ছোট মাছের চচ্চড়ি। ঝোল শুকিয়ে একদম মাখা মাখা করে ফেলতে হবে।

আমার একটা প্রশ্ন আছে, তোমরা 'সুক্তো' কাকে বলো, বলতো? এইটা আমি বুঝতে পারি না।
আর 'কচুরি'টা কি পুরি? মানে ডালের পুর যদি লুচির মতো করে তার ভেতরে ভরে, আবার লুচির মতো বেলে ফেলা হয় আমরা তাকে বলি ডালপুরি। আলু সেদ্ধর পুর ভরে লুচির মতো বেললে হয় আলুপুরি। কিন্তু কচুরি কি সেরকম, মানে ডালপুরি, আলুপুরি বা ঐ সব পুরি জাতীয়? নাকি ওটা বড়ার মতো? যেমন আমরা সবজির বড়া করি, উপরে ময়দা/আটার কভার থাকে একটা, (অথবা স্রেফ আটা গোলায় চুবিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় ডুবো তেলে), মানে যাকে পূর্ব-এশিয়ায় বলে টেম্পোরা, বা ডাম্পলিং, সেরকম?

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

তেম্পুরা'র আইডিয়া ঠিকাছে। এটা অনেকটা আমাদের দেশের বেগুনির মতো। তবে বেগুনের বদলে হাবিজাবিকত্তোকিছুজানি ব্যবহার করে। কিন্তু ডাম্পলিং তো অন্য জিনিস। সিঙ্গারার আদলে বানানো কিমা করা মাংস বা সব্জির প্যাকেট, ময়দার পাতলা আস্তরণ দিয়ে বানানো। বাষ্পে সেদ্ধ করা হয়।

আর সুক্তো হলো সাফির পথ্য। হে হে হে

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হ, তো? ডাম্পলিং বলতে মাংস/সবজির পুর ভরা ময়দা/আটার প্যাকেটই তো মিন করছি। যেমন কুশলি পিঠা করি না আমরা, নারকেলের পুর দিলে মিষ্টি হয়, আর সবজি দিয়ে ঝাল ঝাল করা যায়। ডাম্পলিং ভাপে সেদ্ধ, পানিতে সেদ্ধ, ভাজা, সুপে ভাসা সব রকমই হইতারে। সব সময়ে ভাপে সেদ্ধ হবে তা না।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ডাম্পলিং নামটাই তো এসেছে ভাপে সেদ্ধ হওয়ার সিস্টেম থেকে। আর যে প্যাকেট তেলে ভাজা হয় ওটার নামও বদলে গিয়ে হয়ে যায় 'গিয়োজা'; এটাও পূর্ব এশিয়ান খাবার।

কৌস্তুভ মোমো'র কথা বললো তো। ওটা আসলে ডাম্পলিং না ঠিক। খানিকটা আমাদের দেশীয় সমোচা'র মতো। একটু মশলাযুক্ত। ডাম্পলিং পুরাই চাঙ্কু।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ডাম্পলিং - http://en.wikipedia.org/wiki/Dumpling
মোমো - http://en.wikipedia.org/wiki/Momo_%28food%29

ঠিকাছে!

এইবার পেট পুরে ভাত খেয়ে ঘুম দেন।

এত ডাম্পলিং, মোমো শুনে আর দেখে এদিকে এই মাঝরাতে পুরাই মোমো-ডাম্পলিং ড্যান্সিং শুরু হয়ে গেল আমার পেটের মধ্যে !! মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আরেকটু লাফানোর ব্যবস্থা করি?

ল্যাটকা খিচুড়ি রানতাছি এখন। অন্য খিচুড়ির মতো এই জিনিসও মোটামুটি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছি। এই জিনিস দুইন্যাতে আর কোথাও খেতে পাবেন না। পটল তোলার পরে পারবেন, বেহেশতে। দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হ! আমিও লুডুস খাচ্ছি। চাইনিজ কাপেরগুলান, গরম পানি ঢেলে দিলেই ব্যস হয়ে গেল! আর কিছুই করা লাগে না, খালি ঠ্যাঙের উপর ঠাং তুলে নাচাবেন, আর লুডুস খাবেন!

কিন্তু খ্রান, বেহেশতে আপনার ল্যাটকা খিচুরি মিলবে কী করে? আপ্নে বেহেশতে যাবার টিকেট পেয়েছেন নাকি? প্লট বুকিং পেয়ে গেছেন? আর আমিও তাইলে বেহেশতেই যচ্ছি? কনফার্ম?? চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হ্যোট্! কই খাজা বাবা ধুগোর দরবারের ল্যাটকা খিচুড়ি আর কই চাঙ্কুদের স্বাদ-বর্ণ-গন্ধহীন কাপলুডুস। মানিজ্জত সব শ্যাষ কইরা দিলো! ছ্যাঁহ্...

বালাই ষাট, আগি বেহেশতে যামু ক্যান? আর গেলেও রান্ধুম ক্যান? খালি মনে মনে ভাবুম, ব্যস ল্যাটকা হাজির! তয় আসল মজা হইলো নরকে। বিশেষ করে যেই প্লটের আশেপাশে খাজাবাবা ধুগোর দরবার বসবে। দিনরাইত চব্বিশ ঘন্টা খালি শিলা কি জাওয়ানী'র লাইভ ধিনাকধিন শুনতে পাবেন। চোখ টিপি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ওয়াস্তাগফিরুল্লা, আমি 'শিলা' কি জাওয়ানী দেখে-শুনে কী করুম! অ্যাঁ
শৈল থাকবে নাকি সেটা কইতারেন... চাল্লু

কিন্তু আপ্নে নরকে থাকলে ল্যাটকা খিচুরিটা বেহেশতে যাবে কী করে এইটাই চিন্তার ব্যাপার...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আরে, শিলা কি জওয়ানী তো একটা সিম্বলিক শট! আসল জিনিস হলো মুজ্রাহ্! চোখ টিপি

টাইটানিক দেখছেন না? পার্টি কী জিনিস সেটা দেখতে হলে নিচের লোয়ার ডেকে যেতে হয়, আপার ডেকের ফার্স্ট ক্লাসে কি আর পার্টি হয়? চোখ টিপি

রু (অতিথি)  এর ছবি

কিছু মনে না করলে একটা কথা জিজ্ঞেস করতাম। শুনেছিলাম আপনি ভালো হওয়ার রাহে আছেন। আপনার এইম অভ আফটারলাইফ দেখে তো কেমন কেমন লাগে!

দিফিও-১ এর ছবি

আপনের খিচুরীর পোস্ট আছে নাকি, পাইলাম না তো! না দিয়া থাকলে দিয়া দেন, বাংলার কালিনারী শিল্প (রান্না শিল্প বললে মনে হয় ঘরোয়া ঘরোয়া) সমৃদ্ধ হউক।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এগুলা স্বপ্নে পাওয়া সিক্রেট রেসিপি বস। জনসন্মুখে কওন ওস্তাদের নিষেধ আছে। দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কিন্তু তাইলে ক্যাম্নে হবে? আপ্নে তো আর এই জনমে দেশে আসবেন না, কাজেই আপ্নের খিচুরি পিথিমীতেও খেতে পাবো, আবার ধরেন নরকে না গিয়ে কোনক্রমে বেহেশতে চলে গেলে, বেহেশতের বাবুর্চি্দেরকেও তো এইটার রেসিপি জানতে হবে... মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

পাগল মন এর ছবি

ধুগোদা, রেসিপিটা ইমেইল করে পাঠায়ে দেন আমারে, আমি ঈমানে কইতাছি কাউরে কমু না, খালি আমি রাইন্ধা খামু। চোখ টিপি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

@ পাগল মনঃ খালি আমাকে একটু মেইলটা ফরওয়ার্ড কইরেন চোখ টিপি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আর সুক্তো হলো সাফির পথ্য। হে হে হে

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

শুক্তো তো নানারকম সবজি-আনাজ (তার মধ্যে কিছু তেতো সবজি যেমন উচ্ছে, করলা ইত্যাদি থাকা জরুরি) দিয়ে তৈরি একটা তরকারি মত। আমাদের বাড়িতে ঝোল ঝোল হয়, কেউ একটু শুকনো পছন্দ করে। তরকারিতে মসলা খুবই কম, হলুদ বাদ, একটু ফোড়ন দেয়। এইখানে কিছু ছবি আর একটা রেসিপি আছে।

সুক্তো খেতে আমি প্রচণ্ডই ভালোবাসি। এখানে ছাতারমাথা উচ্ছে করলা কিছুই পাওয়া যায় না, তাই নিজে করতে পারি না... বছরে কবে একবার দেশে ফিরে গিয়ে খেতে পাব সেই আশায় বসে থাকি...

হ্যাঁ, পুরিকেই আমরা কচুরি বলি। মটরশুঁটির কচুরি, হিংয়ের কচুরি। খাস্তা কচুরি অবশ্য খানিকটা অন্য জিনিস।

টেম্পুরাটা ধুগোদা ঠিকই বলেছে, আমাদের বেগুনির মত, ঠিক বড়া নয়। আর ডাম্পলিং তো অন্য জিনিস - চিনে/তিব্বতি রেস্তরাঁয় মোমো খেয়েছ তো? সেই জিনিস।

রু (অতিথি)  এর ছবি

এখানে ছাতারমাথা উচ্ছে করলা কিছুই পাওয়া যায় না, তাই নিজে করতে পারি না...

এইটা কি শুনালেন? আপনি কোন দেশে থাকেন? আপনার আশেপাশে কোন চিঙ্কি পিঙ্কি দোকান নাই (h mart, c mart, lotte, grand mart...)? অন্তত তিন দেশী বিটার মেলন পাওয়ার কথা।

কৌস্তুভ এর ছবি

না ছ্যার। মন খারাপ
আশপাশের কোনো দোকানে তো মেলেনা। দূরের কিছু চিনা দোকানেও দেখিনি। তবে সামার আসছে, এখন দূরের বড় সবজিবাজারে দেখব একবার...

অপছন্দনীয় এর ছবি

কিঞ্চিৎ অফটপিকঃ মনে পড়ালেন তো - কচুরি চার প্রকার, হিঙে কচুরি, খাস্তা কচুরি, নিমকি আর জিবেগজা... দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

দেঁতো হাসি আর বলুন দিকি, কচু কয় প্রকার?

অপছন্দনীয় এর ছবি

অনেক প্রকার যথা মানকচু, ওলকচু, কান্দাকচু, পানিকচু, শঙ্খকচু ইত্যাদি...

কিন্তু এর মধ্যে আবার কচু নিয়ে এলেন কেন? কচু অতি অসার জিনিস, কচু খেলে গলা কুটকুট করে, কচুপোড়া খাও বললে মানুষ চটে যায়...

কৌস্তুভ এর ছবি

হো হো হো

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ওরেএএএএ! হো হো হো

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

পাগল মন এর ছবি

কচু অতি অসার জিনিস, কচু খেলে গলা কুটকুট করে, কচুপোড়া খাও বললে মানুষ চটে যায়

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আমি কচু খাইনা। হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

তিথীডোর এর ছবি

আমি ভোজনরসিক নই, খাওয়া -দাওয়া নিয়ে ছুৎমার্গের কারণে কিঞ্চিৎ বদনামও আছে.. মন খারাপ
আড্ডায় মজা পেলাম।

'সুকুমার'কে মনে করিয়ে দেয়ায় ধন্যবাদ! দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

অ, এই জন্যেই তাইলে আগে ডালভর্তা নিয়ে মন্তব্য না করে মন্তব্যের কেডস নিয়ে গবেষণা... হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

অ, তেতো সবজির ঝোল হলো সুক্তো? আমি কিনা এটাকে না জানি কী চমৎকার খাবার ভাবতাম এতদিন! মন খারাপ
তবে করলা কিন্তু আমার ভালো লাগে, ঝোল ঝোলটা নাকি বেশি উপকারি, কিন্তু ঐটা খেতে পচা, আমার শুকনো ভাজি ভালো লাগে। দেঁতো হাসি

ডাম্পলিং চিনি তো, আর বললাম যে, টেকনিকালি ডাম্পলিং সেদ্ধ, ভাজা সব রকমই হতে পারে, পুর ভরা প্যাকেট হলেই তা ডাম্পলিং। একেক রকমের একেক নাম থাকতে পারে অবশ্য, মোমো বোধ হয় সেদ্ধটাকেই বলে শুধু।

কিন্তু প্রশ্নটা ছিলো 'কচুরি' কী? তাহলে কী দাঁড়ালো? কচুরি হলো পুরি (যেটায় পুর ভরার পরে বেলে লুচির মত চ্যাপ্টা-গোল করে নিয়ে তেলে ভেজে মুচমুচে খেয়ে ফেলতে হয়! হাসি

ইয়ে, কিন্তু 'হিং' কী? খাইছে

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

মন্তব্য লাফাচ্ছে খালি।
যাই হোক, তোমার দেয়া রেসিপিতে দেখলাম। সুক্তো আসলে মিক্সড সবজি, কম ঝাল, বুঝলাম। অনেকটা আমরা যাকে 'নিরামিষ' বলি, খালি হলুদ, পেঁয়াজ, রসুন নেই। আর তেতো সবজি সাধারণত আলাদাই রান্না করা হয়, মিক্সড সবজিতে দেই না। কিন্তু এখানে দুধ ব্যবহার করেছে, এটা কি সব সময়েই দেয়া হয়?
রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে আমারো সুক্তো পছন্দ হবে... হাসি

হিং বলতে আমি জানি গুঁড়ো পাউডারের মতো মশলা একরকম। এইটা তো নিশ্চয়ই 'পুর' হিসেবে ভরে দেয় না কচুরিতে, নাকি? ময়দার খামির (dough) করার সময়ে ছিটিয়ে নেয় মনে হয়? স্বাদ কেমন হয়?

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

না মনে হয়। তবে দুধ দিলে অনেক রান্নাই তো খেতে ভালো হয়। নারকেলের দুধও দেওয়া যায় বদলে।

ডালপুরির পুরের মধ্যেই খানিকটা হিং দেওয়া হয়। আর মনে হয় মশলার সামান্য এদিকওদিক হলেও হতে পারে। হিংয়ের গন্ধটাই আর কি...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমাদের এখানে ব্যাপার আছে, নারকেল বা নারকেলের দুধ যেমন অনেক অঞ্চলে ব্যবহার করে না একদম। যেমন আমার সিরাজগঞ্জের বন্ধুরা বলে, সেখানে রান্নার মাঝে নারকেল একেবারেই নো, নো। আমরাও করি না নিত্যদিনের রান্নায়।
এমনিতে নিরামিষে দুধ বা নারকেলের দুধ ব্যবহার করে দেখিনি কখনো।

আচ্ছা, উইকিতে দেখলাম ডাম্পলিংকে ভাপে সেদ্ধ করার পরে ভেজে নেয়া মোমোও হতে পারে।

আর বেশ তবে, এই হিং-এর কচুরির যে গপ্পো ছোট থেকে শিখে আসলুম কচুরির শ্রেণীবিভাগে, সেইটা তুমি অবশ্যই খাওয়াচ্ছ আমাকে। দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমাদের এদিকে শিং মাছকে অনেকে 'হিং' মাছ বলে। তাই হঠাৎ ভাবছিলাম, একটা পুরির ভেতর জলজ‌্ব্যান্ত একটা হিং মাছ পুরে দিলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াবে! পুরিতে কামড় দিলে হিং মাছ কামড়কারীর (কারিনীও হতে পারেন) মুখে কাঁটা ফুটিয়ে দিবে না? চিন্তিত

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ওয়াক! আমি এমনিতেই শিঙ্গি মাছ ভালু পাই না ... মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

দিলই নাহয়, কাঁটার ভয়ে কি আর সুখাদ্য না খেয়ে থাকা যায়? এই আমার কথাই ধরুন না, সেই ছোট্টবেলা থেকে ইলিশের কাঁটা গলায় বাধিয়ে কতবার যে প্রতিজ্ঞা করলাম আর জীবনেও ইলিশ ছোঁব না - কিন্তু সামনে দোপেঁয়াজি এসে পড়লে আর কি-ই বা করার থাকে? মন খারাপ

(অফটপিকঃ শিং মাছের কাঁটা কতখানি উপভোগ্য সেটা আঙুলে খেয়ে দেখেছি - একবার খেলেই...)

পাগল মন এর ছবি

পুরির মধ্যে শিং মাছ চিন্তা করেই হাসি পাচ্ছে। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অপছন্দনীয় এর ছবি

হিং এক ধরণের ধরনের মসলা। ইংরেজী Asafoetida - এখানে দেখুন

অনেকে আছেন ভাজাভুজি খেয়ে সহ্য করতে পারেন না। এই ক্ষেত্রে খুব সামান্য হিং মিশিয়ে ভাজলে মোটামুটি ভালো ফল পাওয়া যায়।

(এক্সট্রাঃ ধরন ধরন ধরন। হাঁসাপাপু দেখার আগে নিজেই দেখেছি বলে বাঁচোয়া)

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আচ্ছা...

'ধরণ' ধরন-এ লাইক্সদিস! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

সুক্তো কখন খেতে হবে তারও কি নিয়ম আছে? ফেলুদা টিনটোরেটোর যীশু না কোনটাতে যেন কার পরিচয় আন্দাজ করেছিলো সুক্তো উল্টোপাল্টা খেতে দেখে!

এখানে উচ্ছে পাওয়া যায়, কিনিনি কখনো। যে দেশে কাঁচামরিচ চিবিয়ে খেলে মিষ্টি লাগে, চায়ে চিনি দিলে মনে হয় লবণ বেশি হয়ে গেছে, আর লবণ চাখলে কি যে মনে হয় জানি না, সেখানে উচ্ছে কিনে আশাভঙ্গের বেদনা পেতে ইচ্ছে করলো না।

ফাহিম হাসান এর ছবি

এরে ভাই, আপনাদের আলোচনা দেখে একেবারে ঘাবড়ে গেলাম। আমি তো নুডুলস শেদ্ধ করে তার মাঝে সব ফেলে ঘুঁটা দিয়ে দেই। চিংড়িটা এ কয়দিনে বশ করে ফেলছি। মাঝে একবার গরু মাংশ কিনলাম। প্রবীণ গরু সিদ্ধ হতে নারাজ। এখন আপনাদের তের রকম ব্যঞ্জনের চৌদ্দ রকম প্রস্তুতি দেখে বড় বেদনা পেলুম।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আরে লুডুস হলো একটা খুবই ভালো খাবার। অথবা ধরেন খিচুরি, ঐ যে উপরে রঙীন ভাই রানতেছে শুনলাম...
আর গরুর গোশতের ব্যাপারে বস হলেন নজরুল ভাই, তার নাকি মন টন খারাপ হলে তিনি বাজার থেকে মাংস কিনে এনে রান্নাঘরে ঢুকে যান!! তবে আমি খেয়ে গ্যারান্টি দিচ্ছি, এই জিনিস আসলেই দুর্দান্ত হয়। ওকে ধরেন, একদিন ওর রেসিপিটা আমাদেরকে দিক।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

প্রবীণ গরু সিদ্ধ হতে নারাজ।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অপছন্দনীয় এর ছবি

অতি মৃদু আঁচে ঢাকনা দিয়ে কয়েকঘন্টা বসিয়ে রাখুন। মাংস মাখনের মত নরম হয়ে যাবে। ম্যারিনেট করার সময় ভিনেগার / সয়া সস এবং সমস্যা না থাকলে কুকিং ওয়াইন ব্যবহার করুন, মাখন ডালের মত নরম হবে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কাচা পেপে কিনতে পারলে ছোট চৌকো টুকরো করে দিয়ে দিতে হবে, ভালো সেদ্ধ তো হবেই, সাথে ঝোলও ঘন আর টেস্টি হবে। হাসি

আরেকটা জিনিস আছে, প্রেসার কুকার, খুবই কাজের জিনিস, ভাত-ডাল টু কেক-পুডিং সবই বানানো যায়!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

পাগল মন এর ছবি

প্রেসার কুকার এবার কিনে আনতে চেয়েছিলাম একটা, কিন্তু ভুলে আনা হয়নি। মাংস কম সময়ে সিদ্ধ করার জন্য এটা মনে হয় মাস্ট?

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বাষ্পচাপ বেড়ে যাওয়ায় পানির স্ফুটনাঙ্কও বেড়ে যায়, তাই দ্রবণের পানি যেহেতু ফুটে নিঃশেষ হতে সময় বেশি নেবে, ততক্ষণে যেটা রান্না হচ্ছে সেটা সেদ্ধ হয়ে যাবে। এভাবেই সেদ্ধ হবার সময়টা কমে যায়।

প্রেশার কুকার আসলে মাস্ট না, সহজ হয়ে যায় কাজটা এই যা। আমি খেতে যতই পছন্দ করি না কেন, রান্নার পেছনে সময় যত কম ব্যয় করা যায় ততোই খুশি হই। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

পাগল মন এর ছবি

ফাহিম ভাই, আপনার ওখানে ভীল (বাচ্চা গরু) এর মাংস পাওয়া যায় না? সেগুলো একটু তাড়াটাড়ি সেদ্ধ হয় (তবুও এক থেকে দেড় ঘন্টা লাগে)।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

@ পছন্দনীয় ভাই: অল্প আঁচ মানে কি? চুলার তাপমাত্রা কত থাকবে?

@ পাগল মন: ভালো বলেছেন। সুপার স্টোরে দেখতে হবে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

অল্প আঁচ মানে যে আঁচে চুলার উপরে হাত চেপে ধরলে ঠিক আট সেকেন্ড পরে চেঁচিয়ে উঠবেন। যদি ইলেক্ট্রিক চুলা হয়ে থাকে তাহলে ডায়ালটাকে আট ভাগ করে দুই বা তিন নম্বরে অল্প আঁচ পাবেন।

সুপারস্টোরে ভীল পাওয়া যায়, তবে দামখানাও তেমনি। আমি টিউলিপ-প্রদত্ত পদ্ধতিতে প্রবীণ গরুকেই নরম বানিয়ে খাই।

ইয়ে, নামের আগে একটা 'অ' ছিলো... দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপ্নের নামের আগের 'অ' কৌস্তুভ আকিকা করে বাদ্দিছে। দেঁতো হাসি

কিন্তু এইরকম মাপজোকের 'অল্প আঁচ' এর আগে শুনি নাই! ডরাইলাম!!

টিউলিপের প্রবীণ গরু নরম বানানোর পদ্ধতিটা কী ছিল? চিন্তিত
তবে আদার রস খুব ভালো ম্যারিনেট করতে পারে। এইটা মাখিয়ে রেখে দিলে সেদ্ধ ভালো হবার কথা। আর কাঁচা পেঁপের কথা তো বললামই মনে হয়।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

টিউলিপ-প্রদত্ত পদ্ধতি এখানে

কিন্তু আকিকায় খাওয়া দাওয়া হয়, কৌস্তুভ আমাকে না খাইয়ে আমার আকিকা দিলো মানে?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

শসা-গাজর কেটেকুটে নিজেই খেয়ে ফেলেছে। দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

রেগে টং নিজে খেয়েদেয়ে আমার আকিকা দেয়া! রেগে টং ইচ্ছে করছে...

পাগল মন এর ছবি

আমি একবার করলা কিনে ভাজি করার চেষ্টা করেছিলাম, তিতার জন্য সেটা শেষ পর্যন্ত খেতে পারিনি। মন খারাপ তারপরে থেকে কান ধরছি আর না।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অপছন্দনীয় এর ছবি

মানে আপনি বলছেন এখানকার করলা তেতো হয়? তাহলে তো কিনতেই হচ্ছে দেঁতো হাসি

পাগল মন এর ছবি

আমি ইন্ডিয়ান এক দোকান থেকে কিনেছিলাম, একেতো তিতা আর আমি পারিনা রান্না করতে। দুয়ে মিলে অখাদ্য হয়েছিল। মন খারাপ

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আরেহ বাহ্‌! আমি সারাদিন দৌড়ে বেড়ালাম, এদিকে আমার হয়ে পাণ্ডবদা দেখি চমৎকার শ্রেণীবৈষম্য করে ফেলেছেন! এর একটাই অর্থ হয়, আপনি রন্ধনজ্ঞানী!! কবে দাওয়াত দিচ্ছেন বলেন তো! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

পড়ুয়া এর ছবি

এতদিন বিপদে পড়লে মসুর ডালের ভর্তা দিয়ে রক্ষা পেতাম। এবার আরেকটা রক্ষাকারী পাওয়া গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আরে মসুর ডালের ভর্তার মতোই তো এটা। দুই রকম ডাল দিয়েই হয়। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

রান্নাঘর্না বিষয়ক লেখাকেও যে কত সুস্বাদু করা যায়, এই পোষ্টের লেখা আর মন্তব্য তা প্রমান করলো। ভাগ্যিস হাসলে পয়সা দিতে হয় না। ভর্তা দীর্ঘজীবি হোক। ভর্তাবাজও। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

দেঁতো হাসি ভর্তা পাঠকও দীর্ঘজীবি হোক, ভর্তাখাদকও! দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

রানা মেহের এর ছবি

আম্মা তো দেখতাম রান্না ডাল দিয়েও ভর্তা করে ফেলতো।
কীভাবে করতো তা অবশ‌্য জানিনা মন খারাপ

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

পানি শুকিয়ে ফেলতে হবে রানাপু। তারপর ঐ ভর্তার সব কমন উপকরণ দিয়ে মাখানো, এবার আর লবণ দেয়া লাগবে না। দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

শোনো বলি দিদি, ঘনঘনই এইরকম পোস্ট দিবা, বুঝছ? ভালো আড্ডা জমে... দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হ? হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

যাযাপুকে একটা অফটপিক প্রশ্ন:
আপনি কিভাবে মন্তব্যের নীচে দাগ দিয়ে " ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।" - এইটা লিখেন? প্রতিবার নিশ্চয় লিখেন না? এইটা আমি কিভাবে করবো? এর সাথে অনেকেই লিংক জুড়ে দেয়। কিভাবে সেট করা সম্ভব?

অপছন্দনীয় এর ছবি

এবং আরেকখানা প্রশ্ন, পোস্টের নির্দিষ্ট কমেন্টে লিংক করা যায় নাকি?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হুঁ যায়।

এইভাবে করবেন -

১. প্রথমে যে কমেন্টটা নির্দেশ করতে চান, সেটার 'জবাব' লেখার উপরে রাইট ক্লিক করে Copy Link Location এ ক্লিক করুন। যেমন আপনার এই মন্তব্যটার লিংক হলো - http://www.sachalayatan.com/comment/reply/38778/412512

২. শেষের এই বোল্ড করা সংখ্যাটাই আপনার মন্তব্য নম্বর - 412512

৩. আর তার আগের 38778 সংখ্যাটা আমার পোস্টের নম্বর।

৪. এবার মন্তব্যের পুরো লিংকটা দাঁড়াবে এমন - http://www.sachalayatan.com/jajaborbackpacker/38778#comment-412512 । এখানে ক্লিক করে Open in new tab/window করে দেখেন, ঠিক আপনার মন্তব্যের অংশেই এই লিংকটা নিয়ে যাবে।

এনজয়! হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ... খালি "কপি লিংক লোকেশন"এর বদলে "সংযোগ ঠিকানা এইরূপে অনুলিপি করুন" চেপে কাজ হয়ে গেছে। আমার ব্রাউজার আবার বাংলায় কিনা, মাঝে মাঝে এমন সব বাংলা শেখায় যেগুলো কোনকালে শোনা তো দূরের কথা, কল্পনাও করিনি।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

মন্তব্য পচুর লাফাং মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ওহ, আর শুধু http://www.sachalayatan.com/comment/reply/38778/412512 তে ক্লিক করলে, ঐ মন্তব্যের জবাব লিখতে পারবেন, পুরো পোস্টে মন্তব্যটা কোথায় তা খুঁজে বের করে নির্দিষ্ট করে দেবে না।
দুইটাই ট্রাই করে দেখেন। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

নিজের প্রোফাইলে দেখুন সেটিংসএ সিগনেচার সেটিংস আছে। ওই যেখানে নিজের নামটাম লিখেছেন সেখানে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ওরে ভাই, এই কথা? এতো সিগ্নেচার, আপনার অ্যাকাউন্টে গিয়ে সেট করে নিতে পারবেন, তখন সব মন্তব্যে অটো চলে আসবে, বার বার লেখা লাগবে না।

অ্যাকাউন্ট > সম্পাদনা ট্যাব > সিগ্নেচার সেটিংস > যা লিখতে চান

লিংক তো দিয়ে দেখিনি, তবে [url=যে লিংক জুড়তে চান, কমা, স্পেস বাদে, সেটা]মাঝে আপনার সিগনেচার[/url] করলেই হয়ে যাবার কথা মনে হয়।

ট্রাই করে দেখেন, এটিবি! হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

১০০ নং মন্তব্য করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আচ্ছা মুগডালের ইংরেজি কী?

অপছন্দনীয় এর ছবি

এখানে Mung Daal লেখা থাকে দেখেছি, ইংরেজী জানি না।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হায় হায়! এইটা কী করলেন! অ্যাজ আ রুল আমি শতাধিক মন্তব্যের কোন পোস্টে আর ঢুকি না, সেখানে হয় মন্তব্যকারীদের মাঝে কাইজ্যা (অবশ্যই ফ্রেইন্ডলি) লেগে গেছে ধরে নিতে হয়, নাইলে যা বলার সব বলা হয়ে গেছে, এখন মন্তব্য রিপিট হচ্ছে ধরে নেই... এখন তো তাহলে আমি আর নিজের পোস্টে নিজেই ঢুকতে পারবো না... ওঁয়া ওঁয়া

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ধুর মিয়া, এমন জমজমাট আড্ডা চলছে এর মাঝে ঢুকবনে না মানে? বাই দ্য ওয়ে - মুগডালের ইংরেজিটা তো বললেন না।

দেখি নীচে সিগ্নেচার আসছে কীনা।

ফাহিম হাসান এর ছবি

কই দাগ আসে নাই তো মন খারাপ ওঁয়া ওঁয়া

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আরে দাগটা নিজেকে দিয়ে নেয়া লাগবে তো!

ডালকে তো ডালই বলে মনে হয়। খুঁজে দেখলাম উইকির ডালের লিস্টে মনে হচ্ছে Mung Dal বলেছে। আর এখানে চমৎকার Moong Daal দিয়ে Yellow Daal রান্নার একটা রেসিপি পাওয়া গেল! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

যাযাপুকে ধইন্যা আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ধইন্যার জন্যে পাল্টা ধইন্যা। কিন্তু দাগ দিলেন না? চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

আরে, তুমার পোস্ট তো সেই গুহ্যতত্ত্ব পোস্টের মত দুইশ কমেন্টের দিকে ধায় দেখি! অভিনন্দন অভিনন্দন!

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

চমৎকার আড্ডা!!! মেঘলা দিনে ভর্তা, শুক্তো, ভুনা, সালূণ, পূরি, পিঠা, খিচুরি দেশিয় নানা রকমের রান্নার রেসিপি, গল্প খুব খুব ভালো লাগলো!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমার নিজের এবং আড্ডার সবার পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি মনে হয় তৃতীয় সচলা যে এই রান্নার পোস্টে আলাপ করলেন, সচলদেরই আগ্রহ বেশি দেখি রান্না-বান্নায়! হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

এই নিন আপনার মুগডাল ভর্তায় আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চাল্লু

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

থ্যাংক্যু যাযাপু, বাড়ি গিয়ে এটা ট্রাই করতে হবে। মশুর ডাল ভর্তা আমার খুবই প্রিয়। কিন্তু মুগডাল ভর্তার কথা কখোনো ভাবা হয়নি। হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

মসুর ডালে অনেকের গ্যাস হয়, মুগডালেরটা আসলে একইভাবেই করা, তবে স্বাদটা ভিন্নরকম হয়।
বানিয়ে, খেয়ে বেঁচে-বর্তে থাকলেন কিনা জানিয়েন। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

পাগল মন এর ছবি

মুগ ডাল ভর্তা কখনো খেয়েছি বলে মনে পরে না। দেশে থাকতে মা মসুর ডালের ভর্তা করত তবে সেটা হয়ত দুএকদিনের বাসি রান্না ডাল দিয়ে।
আপনার রেসিপি আর সেটা পরিবেশনের পদ্ধতিটা বেশ লাগল।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

মাঝখানে একদিন ইউটিউব দেখে টেরিয়াকি চিকেন রান্না করেছিলাম। মুরগিটাকে সয়া সস, লবণ দিয়ে আধ ঘন্টা ম্যারিনেট করলাম। তারপর চুলায় সামান্য তেল দিয়ে হাল্কা করে ভাঁজলাম। কিছুক্ষণ পর তিন চামচ পানি ঢেলে দিলাম আর বাজার থেকে কিনে আ।না টেরিয়াকি সস ঢেলে দিলাম - হয়ে গেল টেরিয়াকি চিকেন।

Teriyaki Chicken

অপছন্দনীয় এর ছবি

মনে পড়িয়ে দিলেন, আমি একবার রুট বিয়ার বানানোর রেসিপি খুঁজছিলাম। খুঁজে একখানা পেলাম, সেটা বললো, "পানি নাও, চিনি দাও, লবণ দাও, আরো কি কি সব দাও, আর সবশেষে আমার তৈরী রুট বিয়ার কনসেনট্রেট ঢেলে দাও"...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হো হো হো

'জিঞ্জার এল্‌' কী ভাবে ঘরে যা আছে তাই দিয়েই বানানো যায় কেউ জানেন নাকি? মানে আদা, চিনি, পানি জাতীয় পরিচিত জিনিস ছাড়াও দোকানে গিয়ে কোন আজগুবি নামের নতুন জিনিস খোঁজ দ্য সার্চ করতে চাই না!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনার না রেসিপি পোস্ট করার কথা ছিল? দেঁতো হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

রেসিপি জানিনা তো, ক্যাম্নে দিব?? ওঁয়া ওঁয়া

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সয়া সস মনে হয় শুধু স্বাদের জন্যে বাবহৃত হয়, ম্যারিনেশনে (মানে মাংস সেদ্ধ হতে) ওটার তেমন কোন ভূমিকা নেই। কিন্তু এখানে টেরিয়াকি সস পাই কই! চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

একা একা জেনে কী করবেন? আমাদেরকেও জানান দেন বরং।

আর বাই দ্য ওয়ে, কী এক মুগডাল ভর্তা ঝুলতেছে নীড়ে, আপনারা সবাই পোস্ট দেন তাত্তাড়ি, তাইলে আমিও দুইটা ফটোব্লগ দিতারি।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপ্নের মাকড়শা ও পিঁপড়ার পোস্ট কই? রেগে টং

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আরে দিব, মাকড়শার ছবি ভালো আসে নাই। পিঁপড়া আসছে মোটামুটি।
কিন্তু এই পোস্ট তো হটেই না নীড় থেকে! মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

@ যাযাপু: জানতাম না তো! আমি ইউটিউব এ যেই ভিডিওটা দেখেছিলাম ঐটাতে বলা ছিল। টেরিয়াকি সস বানাতেও অবশ্য সয়া থাকে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

যাযাপু, কৌস্তুভ আর পছন্দনীয় ভাইরে উৎসর্গ করে দিলুম আমার আনাড়ি হাতের রান্না-

chinese vegetable

সব সব্জি ছোট করে কেটে একটু লবণ দিয়ে মাখাতে হবে। অল্প একটু রাইস ভিনেগার ঢেলে দিন। প্যানে হাল্কা করে তেল গরম করুন। সবকিছু প্যানে ছেড়ে দিয়ে নেড়ে চেড়ে দিন। একটা চিকেন স্টক পানিতে গুলিয়ে দিতে পারেন। সাথে চিংড়ি মাছও দিতে পারেন।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি কিন্তু সবজি, এরকম হালকা সঁত্যে সবজি খুবই ভালু পাই। আমার এখন আসলেই ক্ষুধা লেগে গেল! মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

ইয়ে, উৎসর্গটা তো আমাকেও করতে পারতেন মন খারাপ খালি নামের আগে একটা 'অ'আছে বলে বাদ দিয়ে দিলেন? মন খারাপ

পাগল মন এর ছবি

"অপছন্দনীয়" ভাই আপনার নামের "অ"তো কৌস্তুভদা আর যাযাপু কুরবানী দিসে তাই এখন থেকে আপনি পছন্দনীয় হয়ে গেসেন। দুঃখ কইরেন না। দেঁতো হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

কৌস্তুভ এর ছবি

হ। পছন্দনীয় ভাই, খানা-পিনাও হবে, বস্টন চলে আসেন। আপনার শসা-কচু-আন শহরে যেমন প্রবীণ বীফ আর রবারসম চিংড়ি খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন, সেসব ছেড়েছুড়ে চলে আসেন, আকিকার খাওয়াদাওয়া খাইয়ে দিমু।

কৌস্তুভ এর ছবি

আরে বাহ, এ তো সবজি দিয়ে হোলি! অনেকদিন মিক্সড ভেজ রান্না করা হয়নি, করতে হবে...

আপনার "প্রবীণ গরু সিদ্ধ হতে নারাজ" ইমেজারিটা এখনও আমার চোখে লেগে আছে। যেন পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, একটা শিঙওয়ালা বৃদ্ধ গরু একটা বড় ডেকচির মধ্যে একহাঁটু জলে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে মাথা নাড়ছে আর বলছে, বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যাগ্র মাংস... দেঁতো হাসি

পাগল মন এর ছবি

আমার বউ কয়েকদিন আগে তন্দুরী চিকেন রান্না করেছিল, সেটা এখনও তাড়িয়ে তাড়িয়ে খাচ্ছি। দেঁতো হাসি
ছবি তুলতে মনে ছিল না তাই আপনাদের আরেকটু হিংসায়িত করতে পারলাম না। চোখ টিপি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

দময়ন্তী এর ছবি

বাপ্পো কত্ত রান্নাবান্না৷ ঘিয়ের বদলে আচারের তেল দিয়ে খেয়ে দেখবেন, ব্যপক লাগে৷

এবারে বইমেলায় আমি একটা বই কিনলাম, সে নাকি বাংলা ভাষায় প্রথম রান্নার বই৷ নাম হল 'পাকরাজেশ্বর ও ব্যঞ্জনরত্নাকর'৷ আহা তার রেসিপি পড়লেই পাঞ্জুরিতে তিড়িতঙ্ক লেগে যায়৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অপছন্দনীয় এর ছবি

পাকরাজেশ্বর ও ব্যঞ্জনরত্নাকর

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

দিফিও-1 এর ছবি

"বাংলা ভাষায় প্রথম রান্নার বই" শুনে মনে পড়ল, আগেকার দিনের যত রান্নার বই বা রান্না বিষয়ক লেখা পড়েছি, সেগুলো পড়ে "তব্দা" খেয়ে গেছি। ৬০ কি ৭০ বছর আগের লেখা পড়লে বোঝা যায়, তার থেকে কত ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে আজকালকার রান্নায়।

প্রথম আলোর কোন এক ঈদ সংখ্যায় সুফিয়া কামালের তরুণকালের রান্নাবান্নার কথা পড়েছিলাম--এক কেজি রুই মাছ রান্না করতে আধা কেজি তেল দেয়া, সব রান্নায়ই মূলত ঘি ব্যবহার করা, মুরগীর সাবডেগ রান্না করতে সারা রাত চুলার পাশে বসে থাকা আর সকালের দিকে ডেগচি নামানো---মাথা ঘুরানোর মত ব্যাপার স্যাপার।

পাগল মন এর ছবি

ভাই আপনে রান্নবান্না বিষয়ক ডিগ্রী নিচ্ছেন নাকি? ঈদ সংখ্যায় কেন রান্নার কথা পড়বেন? চিন্তিত

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

দিফিও-1 এর ছবি

কেনো ভাই, ঈদ সংখ্যায় রান্নাবান্না থাকা মানা নাকি দেঁতো হাসি যেটা পড়েছিলাম, সেটা ছিল সুফিয়া কামালের স্মৃতিচারণ, খুব সম্ভব ক্যাসেটে ধারণ করে আরেকজন অনুলিখন করেছিলেন।

ওহ আপনি হয়ত বলতে চাইছেন বাকীগুলো রেখে ঐটাই কেন পড়লাম, তাই কি? তা বাকিগুলাও পড়েছিলাম বটে, কিন্তু এই স্মৃতিচারণটা বেশ ইউনিক মনে হয়েছিল, আর দশটা পত্রিকার গতানুগতিক ধারার ইন্টারনেট-থেকে-মেরে-দিয়ে-রেসিপি-ছাপানো টাইপ ছিল না, তাই হয়ত মনে আছে হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

@দিফিও-1 আধা কেজি তেল !!!!

ঈদ সংখ্যাটা থেকে আরো কিছু রেসিপি তুলে দেন দিকি ...

দিফিও-1 এর ছবি

হাহাহা, ওগুলো খাওয়া দূরে থাক, পড়লেই কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে, এমন অবস্থা খাইছে নেটে কি প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যা পাওয়া যায়? তাইলে একটা সার্চ দিতাম চিন্তিত

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আরে হ! আচারের তেল দিয়ে খেতেও মজা!

দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

একখানি পুস্তক-সমালোচনা লেখেন এখানে। সমালোচনা কে সমালোচনা, রেসিপি কে রেসিপি। লিখতেই হবে, দাবি রইল।

আয়নামতি1 এর ছবি

মজার মজার সব মন্তব্য পড়তে গিয়ে আমি ভুলেই গেছি পোষ্টটা কী নিয়ে লেখা! ভাগ্যিস উপরের পাতায় চোখ গেল... খাইছে একদিন ভর্তাপার্টি করেন আপু, দাওয়াত দিতে ভুলিয়েন না যেন দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

দেঁতো হাসি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।