মেইন গেট থেকে দৌড়ে এসে মূল বাড়ির সামনের বারান্দা থেকে ডানে টার্নিং নিয়েই পানির পাম্পের ঘর থেকে মূল বাড়িতে ঢুকবার অন্য দরজাটার সামনে থমকে যায় রানু। শুক্কুরবারের দিন, বেলা বারোটা ছুঁইছুঁই। বরফ-পানি খেলা চলছে পুরোদমে। অন্য সময়ে ব্যাপারটা বাড়ির সামনের উঠানেই সীমাবদ্ধ রাখতে হয়, নানু মোটেই এতগুলো বাঁদরের সারা বাড়ি হুড়াহুড়ি করে এটা সেটা ভেঙে, তছনছ করে তাঁর ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দেয়া পছন্দ করেন না। তাতে যে ছোট মর্কটেরা খুব একটা থেমে থাকে তা নয়, তবে তাঁর বাজখাঁই ধমককে ভয় পায় বৈকি।
নতুন নতুন খেলা উদ্ভাবনে রানুর জুড়ি নাই। পুরানো খেলাই মডিফায়েড হয়ে যায় রানুর কাছে, ফি-দিন নতুন কিছু। আসলে অন্যরা অতটা অভিযোগ না আনলেও এক জিনিস একই ভাবে খেলতে থাকলে ভারি একঘেয়ে লাগে তার। আর অন্যেরা অত বুঝেই বা কী, পিচ্চি তো সব! রানু বড় হিসেবে ওদের লিডার। আজকে নানু বাড়িতে নাই, সকালে কোথায় বেড়িয়ে গেছে, দুপুরে খাবারের আগে চলে আসবে নিশ্চয়ই।
আদেশ-নিষেধ আসার আগেই তাই বরফ-পানির নিয়ম পালটে দেয় রানু, সামনের গেইট হলো ডাঙা, আর বাড়ির পেছনের উঠানে গরুর ঘর হলো আরেকটা ডাঙা, আর বাড়ির বামে গ্যারেজ ঘরের গেটে তিন নম্বর ডাঙা। ঘরের ভেতরে ডাঙা রাখা হয় নাই। ছোট হলেও রানুর নিজেরও হুঁশ আছে, বসবার ঘরের ভেতর দিয়ে দৌড়ে যেতে গিয়ে কিছু ভেঙে ফেললে গালমন্দের সাথে মারও জুটতে পারে দুই-চারটা, তাছাড়া ছোটরা ব্যথাও পেতে পারে। হিসেব কষে দেখেছে বাঁয়ে গ্যারাজঘরের মাঝ দিয়ে, আর ডানে পাম্পঘর দিয়ে বাড়িতে ঢোকার আরেকটা যে দরজা, দুইটা দিয়ে পেছনের উঠানে চলে যাওয়া যায় বাড়িটাকে ঠিক মধ্যেখানে রেখে।
তবে পেছনের উঠানে গিয়ে হুটোপুটি করলেও মাইর জোটার সম্ভাবনা আছে। আজকে ছুটির দিন, মায়েরা কেউ না কেউ রান্নাঘর আর উঠানে কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত। ওরা গিয়ে ছোটাছুটি করতে গেলেই গালমন্দ জুটছে বেশ। তা জুটুক, এইটুকু না হলে খেলে মজা নাই, ভাবে রানু।
আগে প্রায় প্রতিদিনই এসব চলতো, মানে হুটোপুটি। সকালে যদি কোনোদিন হুট করে চলে আসতো ওরা, তো সবাই ঘিরে ধরতো, আজকে কী খেলা হবে প্ল্যান হতো। ইদানীং মজাটা কমে গেছে। আগে শুধু রানুই ইশকুলে পড়তো, এখন বিনু, মিনু আর টুকুও ইশকুল যাওয়া শুরু করেছে। তাকে আগে আরো বেশি সমীহ করতো সব, এই ইশকুলের ব্যাপারটা নিয়ে, হাজার হলেও ওদের থেকে আরো তাও দুই বছর আগে থেকে ইশকুলে যায় রানু। কিন্তু এখন ওরাও ইশকুল যায়, সকালটা তাই মরা মরা থাকে। একদিন নিজের ইশকুল ফাঁকি দিয়ে রানু ঘ্যানঘ্যান করলো অনেক, মাকে ধরে পড়লো, নানুবাড়ি যাবে, খেলতে ইচ্ছা করছে। মা কিন্তু বোঝালো যে গিয়ে লাভ নাই, বুবুন আর মিঠুন বাদে ওরা কেউ থাকবে না। রানু তাও জেদ ধরে থাকলো, শেষে এসে দেখে মা-ই ঠিক। একা একা রান্নাঘরে নানীর পাশে বসে ডাল বাগাড় দেয়া দেখলো শেষে।
আজকে বেশ অনেকদিন পরে আসা হয়েছে নানুবাড়ি, যখন সবাই আবার একসাথে বাড়িতে আছে। মানে রানুর হিসেবে কয়েক যুগ মনে হচ্ছে, পাম্পঘরে দাঁড়িয়ে ভাবে রানু। চোর হয়েছে মিঠুন। পিচ্চি হলে কী হবে, দারুণ ছুটতে পারে, অন্তত রানুর থেকে ভালো ছোটে! সারাদিন ছুটে ছুটে লিকপিকে একদম, যা খায় সবটুকু ওর লম্বা হতে আর ছুটুনিতেই বেরিয়ে যায়, শরীরে কিছুই লাগে না। বুবুনটা এখনো একটু ছোট, ও হলো 'দুধভাত'। কিন্তু এখনি চলে আসলো বলে মিঠুনটা, ওর খুদে ব্রেইনে ঠিকই অ্যানালিসিস করে জানে রানুপুই সবচেয়ে খারাপ ছোটে, ওকে ধরাই সহজ বেশি। মনে পড়তেই সাবধানে পাম্পঘরের দরজার আড়াল হয় রানু। কিন্তু রানু এখানে এসে থমকে আছে কেন?
পাম্পঘরটা ভালো লাগে রানুর, সেটা ঠিক। এটার প্রতি তার একটা অন্যরকম আকর্ষণ আছে। পাম্পঘর থেকে যে দরজা দিয়ে বাড়ির ভেতরে যেতে হয়, সেটা কাঠের দুই পাল্লার ভারী পুরানো দরজা। এটা দিয়ে ঢুকে একটা টানা প্যাসেজ বাড়ির একদম শেষ মাথায় চলে গেছে, ঐ মাথায় আরেকটা ভারী দরজা, এরকমই কাঠের দুই পাল্লার, পেছনের উঠানে খোলে সেটা।
ঐ মাথার দরজাটা খোলা, উঠানের আলোতে দরজার চৌকাঠে দাঁড়ানো গরুর ঘরের কাজের মাজেদমামাকে দেখাচ্ছে একটা কালো মামদোভূতের মতো। কী যেন বলছে রান্নাঘরে থাকা নানীকে, এখান থেকে শোনা যাচ্ছে না।
বাড়িটা বেশ পুরনো, মা-রা যখন হাই স্কুলে উঠেনি সেই তখনকার বানানো। বাড়িটার দেয়ালগুলো পুরু, একঘরের আওয়াজ অন্যঘরে পাওয়া যায় না।
আর এই প্যাসেজটা ভারি অন্ধকার... সোঁদা... কেমন যেন শুনশান...
মাজেদমামা দরজায় না দাঁড়ালেও উঠানের ঝকমকে রোদ গহীন প্যাসেজের ভেতরের অন্ধকারকে দূর করতে পারতো না। প্যাসেজের দুইপাশে আছে মোট ছয়টা দরজা। পাম্পঘর থেকে ঢুকলে হাতের ডানে পড়ে পুরানো আমলের মোজাইক করা দুইটা বিশাল বাথরুম। এই দরজা দু'টো বন্ধই থাকে সাধারণত। হাতের বামে পড়ে বাড়ির মূল ঘরগুলোর একটার বন্ধ দরজা। এই বাথরুম দু’টো যেন বাড়ি থেকে আলাদা, ঐ ঘরগুলোর দরজা খুলে প্যাসেজের অন্যপাশের এই মোজাইক বাথরুমে আসতে হয়।
মোজাইক জিনিসটা ভালো লাগে না রানুর। আগে আরো বিচ্ছিরি লাগতো, বুঝতো না ঐ সাদা-কালো-ধূসর পোকার মতো জিনিসগুলো কী। কিন্তু এখন জানে, ওগুলো পাথরের কুচি, ঘষে ঘষে যত্ন নিয়ে অমন মেঝে গড়েছে কারিগরেরা। তবুও এই দুই বাথরুমের মেঝে বিচ্ছিরি লাগে ওর, পুরানো, কলের কাছের পানি টিপটিপ করে পড়ে শ্যাওলা জমা, যে কালো আর পীত-সবুজ শ্যাওলারা বহু ডলে মাজলেও যায় না, যেন বাড়িটার অস্তিত্বের একটা অংশ তারা।
ঐপাশের বাথরুমটা আরো অদ্ভুত! সেখানে একটা চেয়ারের মতন দেখতে হাই কমোড আছে!
এর পরে প্যাসেজের বাকি অর্ধেক। এই অংশটা অতটা ভয়ের না। পাম্পঘরের দিকের অংশে যেমন ভয় পেয়ে জোরে চিৎকার দিলেও কেউ শুনতে পেয়ে আসতে আসতে অক্কা পাবার চান্স আছে, এপাশে তেমন না। বেশ আলোটালো আছে, আর এখানে সবসময়ে চট করে কাওকে না কাওকে পাওয়া যায়। ডানে পড়ে আনাজের ঘর, মানে স্টোররুম। স্টোররুমের আগে, প্যাসেজের মাঝখানে নতুন একটা লোহার দরজা লাগানো হয়েছে, সেটা বেজায় ভারী। দিনের বেলায় হাট করে খোলা থাকলেও রাতে ঘুমাবার আগে এটা লাগিয়ে দেয়া হয় উঠান আর পাম্পঘরের দরজার সাথে সাথে, প্যাসেজটাকে দুইটা আলাদা অংশে ভাগ করে দেয় তখন দরজাটা।
স্টোররুমের পরে বাম হাতে পড়ে খাবার ঘরের দরজা, আর তার বরাবর ডানে রান্নাঘর। খাবার ঘরটা বাড়ির প্রায় মাঝখানে, সেখান থেকে বসবার ঘর, আর বাড়ির অন্যান্য ঘরে চলে যাওয়া যায় একলাফে। আর রান্নাঘর মানেই নানী না হলে বাড়ির অনেকদিনের পুরানো কাজের লোক ষাটোর্ধ্ব তারারমা-নানী। আর রান্নাঘরের কাছেই প্যাসেজের শেষমাথার উঠানের দরজাটা, তার বাইরে রোদ, আলো-হাওয়া, গরুর ঘর, মুরগির ঘর, বড়ই গাছ, বড়ই গাছ ঘেঁষে এদিক দিয়ে গ্যারাজের মাথায় পৌঁছুনো যাবে সেই দোতলায় উঠবার একটা সিঁড়ি।
কিন্তু মুশকিল হল প্যাসেজের এই আঁধার-আঁধার আদ্ধেকটা নিয়েই...
পাম্পঘরের দরজায় আরেকবার উঁকি দেয় রানু। মাজেদমামা সরে গেছে উঠানের দরজা থেকে। কারো আর আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। ভয়ভয় লাগে রানুর। একটু রাগও লাগে নিজের উপরে... তখনি ছুট লাগাতে হতো, যখন দেখতে পাচ্ছিলো অন্য কাওকে ঐপাশে! ধুর! এখন তো উঠানের দরজাটা ঐপাশে রোদ নিয়ে ঠাট্টা করার মতো নিষ্ঠুরভাবে হাসছে যেন,
“কী রে! আসবি? চলে আয়, দেখি তোর কত সাহস! তুইই না এই গলি বাতলে দিলি অন্যদেরকে? আজকের নির্ধারিত পথ?”
রানু পৌঁছানোর আগেই টুকু এইদিক দিয়ে দৌড়ে চলে গেছে। রাগ হয় টুকুর উপরও। থামলেই পারতো খানিকক্ষণ! কিন্তু থামবেই বা কেন, থামলে তো ওকে ধরে ফেলবে মিঠুন, তখন সে 'বরফ' হয়ে যাবে না? আর ওকে আসলে থামতে বলেওনি রানু। কী করে বলে... মানে ওর যে ভয় করে, সেটা কি লিডার হিসেবে টুকুকে বলা যায় নাকি, মুহূর্তে সবাইকে জানিয়ে দেবেনা! ওকে আর কেউ গুরু মানবে তখন?! ছোট ভাই-বোনদের কাছে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাবে...!
পাম্পঘরে একা একা দাঁড়িয়ে থাকে রানু... পাম্পঘরটা অবশ্য ওর প্রিয় জায়গা। যেহেতু এটা মূল বাড়ির কিছুই না, জাস্ট ঢোকার রাস্তায় একটা শেড মতন, পরে তৈরি করা, তাই কেউই এইখানে বেশিক্ষণ সময় কাটায় না, আবার একা একা থাকতেও দেয় না এখানে কেউ তাদেরকে তেমন একটা। ফলে এই ঘরটা নিয়ে একটা আগ্রহ রানুর বরাবরই। বড় দোতলা বাড়িটায় পানি তোলার জন্যে দুইটা রিজার্ভার আছে, মাটির ওপরেই, সিমেন্টের বড় বড় দুইটা ট্যাংক। সেই ট্যাংকগুলো রানুর মাথার থেকে অনেক উঁচু। ট্যাংকের মাথায় গোল গোল ঢাকনা আছে, আংটা আলা। সেগুলো দেখলে রানুর মনে হয় বিদেশী সিনেমার সাবমেরিনের খোলে ঢুকবার ঢাকনা। ট্যাংকের ভেতরের অবস্থা দেখার জন্যে গায়ে সিমেন্টে গেঁথে তৈরি লোহার মই বেয়ে উঠতে হয়, অবিকল সাবমেরিন! ঐটা বেয়ে পুরোটা উঠতে পারে না রানু। তবে আশেপাশে কেউ না থাকলেই চেষ্টা করে। কিন্তু এখন তো অত সময় নেই। মিঠুন এই এলো বলে...
মনে মনে নিজেকে সাহস যোগায় রানু, যুক্তি সাজায় নিজে নিজেই নিজেকে শান্ত করতে...
সে না স্কুলে পড়ে? মিঠুন এখনো স্কুলেই ভর্তি হয় নাই!
এত ভীতু হলে চলে! দেরি হয়ে যাচ্ছে, কে জানে মিঠুন কাকে কাকে ছুঁয়ে 'বরফ' বানিয়ে ফেলেছে, বরফদেরকে আবার 'পানি' বানাতে হবে...
অন্ধকার তো কী হয়েছে, খানিক আগেই টুকুটা দৌড়ে যায়নি? অবশ্য ওরা এ বাড়িতেই থাকে সবসময়ে, দিনে প্রায় পঁচিশবার এই গলি দিয়ে দৌড়ে যায়... কিন্তু তাতে কী? রানু পারে না নাকি!
এইতো... একটা টানা-দৌড়...
কতক্ষণ লাগবে অর্ধেক গলি যেতে? এইইইই, পাঁচ সেকেন্ড...
পাঁচ সেকেন্ড কতক্ষণ? এক-থেকে পাঁচ গুনতে যতক্ষণ, তার চেয়ে একটু বেশি... আচ্ছা, ধীরে ধীরে গুনবে নাহয়...
রেডি... সেট... গোওওও...
ছুট, ছুট, ছুট...
মনে মনে গুণে রানু –
এক.
দুই.. দুই বাথরুমের মাঝে এখন..
তিন... এইতো পৌঁছে গেছে...
চার.... আর একটু....
দুম!
স্টোররুমের কাছে পৌঁছুতেই প্যাসেজের মাঝখানের দরজাটা কে ঠেলে দিয়েছে ওর মুখের উপরে! ছুটে আসা রানু স্কিড করে থামে, একটুর জন্যে নাকটা ভোঁতা হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়... ঝুপ করে রাতের অন্ধকার নেমে আসা প্যাসেজে পুরা পাথরের মূর্তির মতো জমে যায় ও...
ঘটনাটা কী হলো বুঝতে কিছুক্ষণ লাগে রানুর...
কে লাগালো দরজাটা এই দিন-দুপুরে?!
টুকু?
টুকু কি জানে ভয় পায় ও অন্ধকার গলিটাকে? বলেছিলো কখনো? কেন লাগালো? আজকের খেলায় ওর প্রস্তাবিত নিয়ম মানা হয়নি বলে?
নাকি এটা মিঠুন? ধরে ফেলেছে তাকে?
বিনু বা মিনু নয়, খুব বেশি শান্ত ওরা দুইজন। কিছু একটা বদমাইশি বুদ্ধি এলে সেটা কার্যকর করতে সবসময়ে রানুর ডান হাত আর বাম হাত হলো টুকু আর মিঠুন।
কিন্তু এই অসীম নিস্তব্ধ অন্ধকারে এখন কী করে উদ্ধার পাবে রানু?!
ঘোর আতঙ্ক নিয়ে ধীরে ধীরে পেছনে ঘাড় ঘুরায় রানু... পাম্পঘরের দরজাটা ভীষণ দূরে মনে হয়... আর ওদিকে তো রৌদ্রজ্জ্বল উঠান নেই, দরজার কাছটায় অন্ধকার যেন আরো জমাট বাঁধা...
পাম্পঘর থেকে পাশের বাড়ির সাথে যাতায়াতের একটা টিনের দরজা আছে, পাঁচিলের গায়ে, সেজখালার সাথে মাঝে মাঝে গিয়েছে সে ঐ দরজা দিয়ে। দুইবাড়ির বাউন্ডারি ওয়ালের মাঝের সরু গলিটা স্যাঁতসেঁতে, আর দুইপাশে পাঁচিল খুব উঁচু রানুর তুলনায়, মাথার উপর দিয়ে হালকা হালকা আকাশ দেখা যায়, নিচেটা অন্ধকার... সেখানে কিছু পাগলা কুকুর বা থান্ডারক্যাটস-এর মামরা-র মতন অদ্ভুত কোন প্রাণী থাকা বিচিত্র নয়! প্রতিবার খালার হাত শক্ত করে আঁকড়ে থেকেছে যাবার সময়ে... রানু ভাবার চেষ্টা করে আজকে দরজাটা লাগানো ছিলো কিনা...
কিন্তু তারও আগেই... বাথরুম দু’টো... সেখানে মেঝেতে কালো-সাদা পোকার মতো মোজাইক, আর কলের কাছে দেয়ালে গাঢ়সবুজশ্যাওলা...
এত কিছু চিন্তা খেলে যায় তার মাথায়, সবই এক পলকে...
ভয়ে হিম হয়ে আসে রানু...
নিমিষের মাঝে ঘুরেই জোরে একটা ঠেলা দেয় সে মস্ত লোহার দরজাটায়, তাকে অবাক করে দিয়ে খুলে যায় পাল্লা! কিন্তু একটু আগেই যে রানু ঠেলা দিলো... খুললো না যে তখন! রানু যে ঘটাং করে লোহার হুড়কো আটকে দেবার আওয়াজও পেলো মনে হয়?
নাকি সেসবই তার কল্পনা ছিল...
কিন্তু এসব যখন ভাবছে ততক্ষণে রানু কিন্তু সেখানে নেই, ছুটে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রান্নাঘরে খড়ির চুলার পাড়ে পিঁড়িতে বসে থাকা নানীর পিঠ জড়িয়ে। কী সুন্দর আলো এখানে! রান্নাঘরের ভেন্টিলেটরের নকশি-কাটা ডিজাইনের আলো-ছায়া পড়েছে নানীর কাঁচা-পাকা চুলে, উনুনের আঁচে সামান্য লালচে টকটকে ফর্সা মুখের আধখানায়..
সামনের জানালা দিয়ে মা-কে দেখা যাচ্ছে, উঠানের কাপড়নাড়া দড়ি ধরে হাসিমুখে কথা বলছে ছোট খালার সাথে কী নিয়ে জানি...
আহ্! কী চমৎকার ঘ্রাণ নানীর হাতের রান্নার...
খানিক চমকে গেলেও নাতি-নাতনীদের এহেন আচমকা কার্যক্রমে নানী অভ্যস্ত। ডান হাতে খুন্তি ধরে রেখে বাঁ-হাতে পিঠ ধরে ঝুলে থাকা বাঁদরটাকে আগলে ধরেন তিনি... প্রচণ্ড রোদে ছোটাছুটি করা বিচ্ছুটার সারা মাথা ঘামে ভেজা, ভেজা মুখে, চোখের উপরে এসে পড়েছে কয়েকগাছি ভেজা চুল, অনুভব করেন পিঠের সাথে লেগে থাকা ছোট্ট শরীরের ভেতরে দুপ-দুপ করে বাড়ি খাচ্ছে পাঁজড়ার ভেতরের ছোট্ট হৃদপিণ্ডটা ...
মাথা ঘুরিয়ে রানুর ঘামে ভেজা ছোট্ট মুখটা নিজের গালে ঠেকিয়ে হাসতে হাসতে বললেন,
“কী রে, পণ্ডিত!”
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
শুভ কেক্কুক দিবস দ্রোহী'দা!
২৩ মে, ২০১১
বাংলাদেশ সময় - রাত ১১:৩০
মন্তব্য
আবারো জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। আপনি যে টাইম জোনেই থাকুন না কেন, আমি ২৩ মে দুপুর ৩:২০-এ বসে আছি। সুতরাং আমার শুভেচ্ছা পুরোপুরি জায়েজ।
আর লেখা নিয়ে কী বলব? ভালো হয়েছে সেটা আপনিও জানেন, আমিও জানি।
বাহ! লেখা ভালো হয়েছে না মন্দ, সেটা কেউ না বললে আমি জানবো কী করে?!
ধন্যবাদ আপনাকে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দ্রোহী ভাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আর গল্পটা নিয়ে কোনই কথা নাই!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঠিকাছে। শুভ জন্মদিন জানাইলাম। যা দিনকাল পড়ছে বিভিন্ন কারণে বড় ভাইদের অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা জানাইতে জানাইতে কাহিল!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হুম...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমার ধারণা দুইন্যার সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো বাবুদের জন্য কিছু লেখা। প্রতিটা লাইনে, প্রতিটা শব্দের প্রতি আলাদাভাবে যত্নবান হতে হয়। প্রতিটা লাইন লেখার পর পড়ে দেখতে হয় একজন পাঁচ বছর বয়সী বাবু এই লাইনটা ঠিকভাবে আত্মস্থঃ করতে সক্ষম হবে কী-না! যদি মনেহয় উঁহু, এই লাইন বুঝতে হলে বাবুকে তার ছোটখালার মুঠোফোন কথোপকথনে বাগড়া বাঁধাতে হবে, তাইলে লাইনটা আবার নতুন করে লেখাটাই ভালো।
এইসব আগড়ুম বাগড়ুম কেনো বললাম? বললাম, এইজন্য যে গল্পটার ট্যাগে পিচ্চিতোষ লেখা আছে। পিচ্চিতোষ ট্যাগ থাকলেই যে এটা বাবুদের জন্য লেখা গল্প হবে, এমনটা না-ই হতে পারে। কিন্তু ধরে নিলাম আরকি! আর লিখেছেন তো এক বুইড়াভামদুর্নীতিবাজ বাবুর জন্মদিনকে সামনে রেখে। তাই এইটা বাবুদের জন্যই লেখা।
তো, যা বলছিলাম— এই গল্পে গল্পের তুলনায় বর্ণনা বেশি। গল্পে বর্ণনা থাকতেই পারে, গঠনা সেইটা না। গঠনা হলো, এই বর্ণনাগুলো এতোই ঘিরিঙ্গি মার্কা যে একজন বাবু তো বাবু, আমার বুইরা মাথাই বনবন করে ঘোরা শুরু করেছিলো। বর্ণনাগুলো একজন বাবুর এন্টেনায় ধরা খাওয়ার মতো মনে হয়নি, অন্তত আমার কাছে।
বাবুদের এন্টেনায় ধরা খাওয়ানোর জন্য বাক্যগুলোকে আরও ভাঙতে হতো, হয়তো। নতুবা একসঙ্গে এতোগুলো বর্ণনার লাইন না রেখে লাইনগুলো ভেঙে ভেঙে কয়েকটা প্যারা করে দিলেও হতো। প্যারা ছোট হলেও মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব। কিন্তু এই গল্পে যেটা হয়েছে, বর্ণনাও এসেছে অনেক এবং সেগুলো একটার সাথে আরেকটা মিশে গিয়ে পুরা ঘুলঘুলিয়া তৈরী করতে সফলভাবে সক্ষম হয়েছে, একজন বাবুর ক্ষেত্রে।
একজন প্রকৃত বাবু এই গল্পটা পড়ে আরাম পাবে না, মজাও পাবে না। বুইড়াভামদুর্নীতিবাজমেম্বর বাবু পেতে পারেন বটে!
একজন নাদান পাঠকের পাঠ-প্রতিক্রিয়া জানালাম। কিছু মনে করবেন না নিশ্চয়ই। দিনশেষে আমি তো পাঠকই, আপনের সাথে ক্ষেতের আল নিয়ে কাইজ্যা করা প্রতিবেশী তো আর না! হে হে হে
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ছোটদের জন্যে কিছু লেখা আসলেই সবচেয়ে কঠিন। তবে ছোটদের জন্যেই এই গল্পটা লেখা, সেই ধারণা কি ট্যাগে 'পিচ্চিতোষ' লেখা দেখেই বলছেন? আমি কিন্তু কোন বয়স-সীমা বেঁধে দেইনি। আপনি নিজেও অবশ্য বলেছেন, এই ট্যাগ থাকলেও যে তা বাচ্চাদের জন্যেই হবে, তা নাও হতে পারে। আমার নিজের কথা বললে 'পিচ্চিতোষ' ট্যাগটা আমার মনে হয়না ঠিক 'ছোটদের জন্যে' রেফার করে।
এই লেখাটায় কোন 'গল্প' টল্প ট্যাগ দেবার ইচ্ছাও আমার ছিল না। কিন্তু পূর্ব-অভিজ্ঞতা বলে, অনেকেই কিছু একটা ট্যাগের ভেতরে দেখতে চান লেখাগুলোকে। আর এই লেখাটায় ছোটরা এসেছে অনিবার্যভাবে, ভাবছিলাম কিন্তু ছেলেবেলার কথা, গেল দুই দিন ধরে, ফুটনোটে লেখাও আছে, আর ট্যাগে তাই 'ছেলেবেলা'ও আছে।
লেখাটা পোস্ট করার সময়ে শুধু ব্লগরব্লগর রাখতে চাচ্ছিলাম। আবার ওদিকে দ্রোহী-দার জন্মদিনের উদ্দেশ্যে লেখা যখন, তখন শুধু ঐ কারণেই একটা ভুল ধারণার সৃষ্টি হতে পারে, লেখাটা আসলে কী তা নিয়ে...!
'পিচ্চিদের নিয়ে গল্প' বা এমন কিছু ট্যাগ দিতে পারলে ভালো হতো, হয়তো 'পিচ্চি-পাচ্চা' টার্মটা ব্যবহার করলে হয় কিন্তু সেটাও ঠিক আমি যেমনটা ভাবছি, বা 'আমার মতো' হচ্ছে না। আপনি ছোটদের কিছু লিখলে যেমন লিখবেন 'বাবুতোষ' সেরকম আরকি ব্যাপারটা। ঐ শব্দটা আপনার। আমাকেও নিজের মতো একটা শব্দ উদ্ভাবন করতে হবে, খালি এখনো খুঁজে পাইনি মনমতো শব্দটা।
'গল্প' টার্মটার আমার নিজের ডেফিনিশন আছে, সেটাও গতানুগতিক সংজ্ঞায় মিলবে না, খুব সাধারণভাবে বললে, আমার কাছে যেকোন টুকরো, টুকরো ঘটনাই গল্প। কিন্তু কচকচে তর্কে যাবার ইচ্ছা নাই সাহিত্যের রুপ-রেখা নিয়ে। এই 'গল্প'টায় ছোটরা আছে ঠিকই, কিন্তু এটা আমি ছোটদের জন্যেই শুধু লিখি নাই। লেখার সময়েই আমি জানি, 'খুদে ব্রেইনে অ্যানালিসিস' জাতীয় টার্ম একটা সাড়ে পাঁচ বছরের বাচ্চা নাও বুঝতে পারে, বা ওভাবে ভাববে না হয়তো সে নিজেও।
কিন্তু আসলেই কি আপনার মনে হয় ছোটরা অত বোকা? আমার তো মনে হয় একটা পিচ্চি, যে পড়তে পছন্দ করে, (সব পিচ্চি না মাইন্ড ইউ, অনেকেই একদমই বইটই পড়ে না, বা গল্প শুনতেও আগ্রহী না, আমার বর্ণিল ভাগ্নে-ভাগ্নী সমাহার দেখেই বলছি আমি)... সে এইটা পড়ে কিছুই বুঝবে না তা হতে পারে না।
আপনার মনে হয়েছে বর্ণনা বেশি এসেছে... আমার বক্তব্য হলো, হুম, না হলে বুঝবে কী করে যে গলিটা কেমন ছিল, অন্ধকার আর ভয় ধরানো, ওই বড় বড় বন্ধ দরজা গুলো আর তার আড়ালের ভয়গুলো?
আর আমি ছোট ছোট করে বাক্য দিয়ে বর্ণনা দেই না আসলে, মানে ওটা ঠিক হয় না আমাকে দিয়ে। একেকজনের লেখা একেক রকম। আমি এভাবেই লিখি, বড় বড় বাক্যে, যেভাবে আমার মনে হয় যে আমার মতো করে বলা হলো।
এটা হতেই পারে লেখক হিসেবে আমার ব্যর্থতা যে আমি পাঠককে মানে আপনাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিতে পারিনি, ক্যাম্নে কী। কিন্তু কতজনকে বুঝাতে পারছি, আর কতজনকে না, সেটাও একটা ব্যাপার। দেখা যাক, কী দাঁড়ায়। সব কিছু কিন্তু সব্বার ভালো লাগতেই হবে এমনটা নয়।
তবে আপনি বলছেন বর্ণনাগুলো এতই ঘিরিঙ্গি যে বাবুদের মাথা ঘুরে যাবে কারণ আপনারটা বন বন করে ঘুরছিলো! সে কী! ছোটদেরকে এত ছোট করে কেন দেখছেন কে, তাও আবার আপনি বলেন তো রঙিন ভাই!
আমার অভিজ্ঞতা বলে বাচ্চাদের চিন্তাভাবনা আমাদের থেকে অনেক বেশি স্বচ্ছ, আর সরল। তারা কিন্তু অনেক জটিল বিষয় খুব সহজেই ধরতে পারে। ছোটদের কল্পনাশক্তিও দুর্দান্ত! আমার মনে হয় আমরা যতই ‘বড়’ হই, এই স্বচ্ছতা, সরলতা, আর কল্পনাশক্তি খুইয়ে চলি।
রানুর নানুবাড়িটা আসলেই এই রকম, ঐ মেইন গেইট থেকে সামনে সোজা মূল বাড়ি, বাড়িটার ডানে গেলে পাম্পঘর, আর বামে গ্যারাজঘর। আর পাম্পঘর থেকে সেই ভয়ের টানা লম্বা প্যাসেজে ঢোকার রাস্তা, আর পেছনে একটা উঠান, যেখানে গোয়াল, ইত্যাদি। এখন এইটা যদি এইভাবেই না বলি, তাহলে তো গল্পটার ভিত্তিটাই থাকে না! তাছাড়া পিচ্চিরা বুঝবে কী করে, যে কোন্ দিক দিয়ে দৌড়ে গেলে পেছনের উঠানের ডাঙায় পোঁছানো যাবে! আচ্ছা, এমন কি হতে পারে যে আপনি আসলে অস্থির হয়ে ছিলেন পড়বার সময়ে, ধৈর্য্য না থাকায় কোন্ পথে কী তা খেয়াল রাখতে পারেননি... উমমম, বা আপনি নিজে যেহেতু অনেকদিন ধরে পুরো বাড়ি চড়কি ঘুরে বরফ-পানি খেলেননি, তাই আসলে ব্যাপারটা ধরতে পারেননি চট করে... কিন্তু তাহলেই কোন পিচ্চিই কল্পনায় বুঝতে পারবে না এমনটা বলে দেয়া কি দুনিয়ার সব পিচ্চিদের প্রতি অবিচার না?
আরো একটা ব্যাপার বলি... কিছু কিছু জিনিস ছোটদেরকে সব সময়ে বুঝতে হয় না, সেটা মনে থেকে যেতে হয়, নিজে নিজে খুঁজে নিতে হয় অর্থটা, সবটা পড়ে একবারে বুঝে গেলে, বাচ্চারা আর নতুন কী শিখবে?
কেমন, বলি? রানুর গল্পের শেষটা দেখেছেন? ওখানে কে, কী ভাবছে বলেন তো? গল্পটা কি শুধুই রানুর একার? সাড়ে পাঁচের রানু কি বোঝে ওর ছুটোছুটি করে হাঁপিয়ে যাওয়া ঘামে ভেজা চুল, আর হৃদপিণ্ডের ধ্বকধ্বক আওয়াজ নানীমার কাছে কেমন অনুভূতির? কেন এক হাতে নানী তাকে জড়িয়ে ধরে নিজের কাজ বাদ দিয়ে ঐ উক্তিটা করে? কী মনে হয়?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
বলতে ভুলে গিয়েছিলাম... গল্পটার টাইমলাইন ধরতে পেরেছেন কি? খুব সাটল্ একটা হিন্ট দেয়া আছে... হয়তো সময়কাল ধরতে পারলে, রানুর নানুবাড়ির অবস্থানটা কী রকম হতে পারে তার একটা ধারণা পাওয়া যায়। এমনিতে রানুর নানুবাড়ি ধরে নেন কোন এক মফস্বলে, রানু তো আর বড় শহর আর মফস্বলের পার্থক্য জানে না, তাই তার চিন্তায় ঐটা আসেনি, কিন্তু যে সময়ের কথা বলছি, সে সময়ে এরকম একটা বাড়িতে একই সাথে গরুর ঘর আর গ্যারাজ থাকা বিচিত্র নয়।
আর বাই দ্যা ওয়ে, বড় বাড়িতে ঘুরপাক খেয়ে হারিয়ে যাওয়া যেতে পারে বলেই হয়তো রানুর অত বেশি ভীতি ঐ টানা গলিটা নিয়ে?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ দিতে ভুলে গিয়েছিলাম তখন! (কিছু মনে করবো ক্যান! আর আশাকরি আমিও কাইজ্যা করি নাই! )
ঠিক যেটা মনে হয়েছে, সব সময়ে সেই অনেস্ট মন্তব্য করবার জন্যে ধন্যবাদ রঙিন ভাই।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দ্রোহীদা কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
গল্প ভাল লেগেছে কিন্তু বাড়িটার বর্ণনা একটু কঠিন লেগেছে,
এই লাইনগুলি খুব পছন্দ হল। আর কুমির কুমির আর বরফ-পানি এই দুইটা খেলা কি একসাথে মিলে গেল আপু?
বরফ-পানি তে আমরা ডাঙা রাখতাম না
বরফ-পানি তে ডাঙার বদলে কী রাখতাম, এইটা কিছুতেই মনে করতে পারলাম না যে!!
তবে গল্পের খাতিরে বলি, রানু কিন্তু খালি খেলা মডিফাই করে...!
বাড়িটার বর্ণনা আমি এর চেয়ে সহজে আর দিতে পারলাম না আসলে... ইচ্ছা ছিল সাথে একটা ছবি এঁকে দেই, অনেকটা বাড়ির নকশা মতন, গুপ্তধন-গুপ্তধন খেলতাম আমরা এক সময়ে, তখন যেমন করা হতো, কিন্ত পরে আর ইচ্ছা হল না...
ধন্যবাদ তোমাকে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লম্ফা গফ ... তয় দ্রোহীদাকে জন্মদিনের ব্যাকডেটেড শুভেচ্ছা
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
কিন্তু, গল্পটা পড়ে বললে?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তোমার একটা রিসেন্ট পোস্টের মন্তব্যে বলেছ না, পুরানো লেখা ঝেড়ে ফেলা বা ঐ জাতীয় কিছু...? ঐ রকম আরকি কিছুটা, মাথা থেকে এটা বের করে না দিলে চলছিল না...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পড়লাম। ভাল লেগেছে। 'পিচ্চিতোষ গল্প' ট্যাগ সাধারনত আমাকে বিকর্ষণ করে
ধন্যবাদ নৈষাদ'দা।
ট্যাগ হটালাম। ওটা সেই মাঝরাত থেকেই জ্বালাতন করছে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা পৌছে যাক............ গল্পে ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মহামান্য দ্রোহীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।
গল্প নিয়ে আমার মন্তব্য হলো, তুমি দেখাতে চাইছিলে একটা ছোট মানুষের পৃথিবীর ভয়গুলো, সেটা সুন্দর ফুটেছে শেষে এসে। কিন্তু গল্প তোমার স্মৃতিতে ভারাক্রান্ত কিছুটা। লেখা-লিখি তো একটা এক্সপ্লোরেশন এর মতো, যখন লিখতে থাকি আমরা নিজের মনের অলি-গলিতে হাটতে থাকি, তাই ডিটেইল যোগ করা থেকে সবসময় নিজেকে আটকানো যায় না হয়তো।
গল্প আমার ভালো লেগেছে, কিন্তু তুমি যদি আরো চিন্তা করো, তাহলে এই গল্পের এসেন্স আরো ডিস্টিল্ড করে প্রকাশ করতে পারবে। এটা তাড়াহুড়োর সব কাজের ক্ষেত্রেই হয়, সেটা সুগন্ধি হলেও বডি-স্প্রের মতো হয়, পারফিউম এর মতো হয় না।
এহ! কত আজাইরা কথা যে বললাম! আমি দেখি বিরাট জ্ঞানী!!
তাতে কি, তুমি বলেছ বেশি করে ঝেড়ে কাশতে, তাই আমিও বেশি বেশি করে বলে দিলাম।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
মাত্র 'কিছুটা'...!
চিন্তা কেন, আমি চেষ্টাই করি নাই, তাও স্বেচ্ছায়! ইন ফ্যাক্ট নামগুলোকেও একদম ঐগুলোই রাখার ইচ্ছাটা শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্তে পাল্টানো, (তাও একটা নাম একদম হুবহু রেখে দিয়েছি)।
বাড়িটার বর্ণনা আমার পরিবর্তনের ইচ্ছা এই জন্যেই নাই, কারণ এটা লেখার সময়ে কোন 'নতুন' জিনিস লিখতে চাই নাই, শুধু যা 'ছিল' ঘটনা/ব্যক্তি/অবস্থা তাই বলতে চেয়েছি।
আর মন্তব্যটা পছন্দ হয়েছে! এভাবে ঝেড়ে কাশলে ভালো লাগে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গোটা বাড়িটার একটা লে-আউট প্ল্যান এঁকে গল্পের সাথে জুড়ে দাও। নয়তো কোথায় কী সেটা বুঝতে আমার সমস্যা হচ্ছে। তুমি লে-আউট প্ল্যান আঁকতে না পারলে দুর্নীতিবাজ মেম্বরকে দিয়ে আঁকিয়ে নাও।
বরফ-পানিতে ডাঙা বলে কিছু নেই, সেখানে ডাঙা যোগ করে মডিফিকেশন সম্ভব না। কুমীর-কুমীরে ডাঙা আছে। মাংস চোর খেলায় দুই প্রান্তে যার যার দলের ডাঙা আছে। তবে এই সবগুলো খেলায় স্পর্শ করার ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বরফ-পানিতে মডিফিকেশন সম্ভব তো পাণ্ডব'দা। আমরা নিজেরাই করতাম মনে হচ্ছে। ডাঙ্গা রাখা হতো কিছু আলসে, ডরপোক এবং দুধভাতের জন্য। তারা উত্তেজনার চোটে বরফ হতে চাইতো না, কোনোমতে দৌঁড়ে গিয়ে সেই ডাঙ্গার বসে বাকীদের বরফ হওয়া দেখতো। একইভাবে পুকুরে নেমে ছোঁয়াছুঁয়ি'তেও (এটা বরফ পানির ওয়াটার ভার্সন) পুকুরের ঘাট'কে ডাঙ্গা রাখা হতো। ওটা হলো সেইফ হাউস, কারুরই কোনো হাদুমপাদুম চলতো না ওখানে। যে চোর সে নিজেও টায়ার্ড হলে গেলে ঘাটে এসে বাকিদের সঙ্গে আলাপ জমায়ে দিত। আর এই গল্পে রানুকে তো পরিচয়ই করিয়ে দেয়া হয়েছে খেলা-মডিফায়ার হিসেবে। তাই তারপক্ষে বরফ পানিতেও ডাঙ্গা রাখা অসম্ভব কিছু না।
জিগজ্যাক্টলি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বেশ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গল্পের সাথে জুড়তে মন চাইলো না, বরং এখানে দিলাম, এবার দেখেন তো, কিছুটা বুঝতে পারার কথা...
লাল-দরজা গুলো বন্ধ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
রানু চিকিন বানান ভুল করেছে, স্কুলে মন দিচ্ছে না ঠিকমতো...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লাফাং
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চমৎকার একটি ভয়ের গল্প। চরিত্র চিত্রন খুবই সুন্দর হয়েছে। ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দ্রোহী ভাইকে পোষ্ট ফ্যাক্টো হ্যাপি বাড্ডে! লেখক হিসেবে দ্রোহী আমার কতোটা প্রিয় বা অপ্রিয় তা ঢ্যাড়া পিটিয়ে বলতে চাই না। তবে একটা কথা বলতেই হবে, দ্রোহীর সারল্য আমাকে সদাসর্বদা মুগ্ধ করে।
এইসব উপমা পড়লে মনে হতাশা ভর করে। মনে হয় কলমের নিবটা ভেঙে লেখালেখি চুলোয় দিয়ে দিই। আপনারা এত্তো হৃদয়ছোঁয়া লেখার শক্তি পান কোই?!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভালো লেগেছে গল্পটা, আমার কাছে মনে হইলো ছোটমানুষদের সাইকোলজিটা দারুণভাবেই ধরা পড়েছে। বিশেষ করে সাবমেরিনের ব্যপার্টা আমার কাছে দুর্ধর্ষ মনে হইছে- ওইরকম একটা ইমাজিনারি সাবমেরিন আমারো ছিলো কি না
আর গল্পটার টাইমলাইন মিড এইটিজ থেকে আর্লি নাইনটিজ হলে গোয়ালঘর আর গ্যারাজ একসাথে থাকতেই পারে। আর সেইটা হতে পারে এই ঢাকা শহরেই! আমার জন্ম আর ছোটবেলা মোহাম্মদপুরের একটা বাসায়, বড় রাস্তার খুব কাছেই, সেখানে দুইটা গ্যারাজ, গরুর ঘর ছাড়াও পেছনে প্রায় দশ কাঠার মতো খোলা জায়গা, দুইটা আমগাছ, তিনটে কাঠাল আর গোটাদশেক নারকেল আর পেয়ারা গাছ ছিলো। একটা গ্যারাজ আবার মুদির দোকান হিসেবে ভাড়া দেয়া হইছিলো, পেছনে দরজা থাকার সুবাদে সেইটার শেলফের জিনিসপত্রগুলোকে আমি নিজের বলেই মনে করতাম।
আর শুভ জন্মদিন দ্রোহী'দা!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
থেঙ্কুশ ওডিন্দা!
টাইমলাইন ঠিক আছে। ঢাকায় আমি যে দু'টো বাসায় ছোটবেলায় থেকেছি, তার একটায় গোয়ালঘর, কুকুর-বেড়াল, মুরগি, গ্যারাজ, আম-কাঁঠাল গাছ তো বটেই, রাজহাঁসও ছিল! এই পাখিগুলো যখন ডানা ঝাপটে গাঁ-গাঁ আওয়াজ করে তেড়ে আসে, তখন বড়ই ভীতিকর!
মুদির দোকানের জিনিস নিজের মনে করতা পড়ে হাসলাম অনেকক্ষণ!
একটা ব্যাপার আছে, এই গল্পটায়, যেটা সবারই চোখ এড়িয়ে গেছে কিনা বুঝছি না... গল্পটায় রানুর ভয়-এর কথা থাকলেও আসল ব্যাপারটা কিন্তু অন্যখানে... রানু তার ভয়কে সামনাসামনি ফেইস করে আতঙ্ককে জয় করে, সে কিন্তু স্থবিরও হয়ে যায় নাই, আবার পিছুও ফিরে যায় নাই।
ছোটদের দুনিয়াটা নানান অদ্ভুত খেয়ালে ভর্তি, সেখানে পানির ট্যাংকি সাবমেরিন হতে পারে, আবার মোজাইকের মেঝে হতে পারে ভীতিকর পোকার ঝাঁক... কিন্তু মজার ব্যাপারটা হলো আমরা বড়রা যত কম তথাকথিত অমূলক ভয় পাই, তত বেশিই নিজেদের ভয়কে মোকাবিলা করার সাহস হারাই!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রাজহাঁস!!! আই হেইট দিজ ফ্লাইটলেস অ্যাবোমিনেশানস! চিন্তা করো ব্যপারটা! একটা পিচ্চি যাইতেছিলো রাস্তা দিয়া, ইটিং নুনমরিচ মাখানো আমড়া অ্যান্ড মাইন্ডিং হিজ ওউন বিজনেস, কতগুলা সন্ত্রাসী তথাকথিত রাজহাঁসের দল একেবারে বিনা উষ্কানিতে ওর ওপর হামলা করে বসলো! এই রাজহাস প্রজাতিটারেই দুনিয়া থেকে বিলুপ্ত করে দেয়া উচিত। দেখি অনুজীব অনার্যকে হায়ার করতে হবে এভিয়ান ফ্লু'র জন্য একটা রাজহাঁস স্পেসিফিক স্ট্রেইনের ভাইরাস ডেভেলপ করানো যায় কি না,
আর আমিওতো ভেবেছি যে গল্পের মূল ব্যপারই এইটা- ভয়কে জয় করার ব্যপারটা। বাচ্চাদের ইমাজিনেশান খুব আজব একটা জিনিস, বড়রা ব্যপারটা ঠিকতো অনুধাবনও করতে পারেনা। আর বড় হওয়ার সাথে সাথে মনে হয় আসলে অনুধাবন করার ক্ষমতাটাও নষ্ট হয়ে যায়। আর এইজন্যেই আমরা ভয়ও বেশি পাই
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
খালি পিচ্চি কেন? এক রাজহাঁসকে একবার সাদা মনে কুশল জিজ্ঞেস করতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে আমার মত বুড়ো ধাড়িকেও দৌড়াতে হয়েছিলো - কারো প্রতি সামান্যতম সম্মানবোধ নেই এই ফ্লাইটলেস অ্যাবোমিনেশানগুলোর। বাই দ্য ওয়ে, পাখি হলেও ওই বস্তু ঠোকরায় না, কামড়ায়। এবং ওর কামড় না খেলে বোঝানো যাবে না ওটা কি জিনিস!
ঠিক, তবে বিলুপ্তির জন্য রাজহাঁস স্পেসিফিক স্ট্রেইনের এভিয়ান ফ্লু ভাইরাস ব্যবহার না করে ওভেন, রোস্টের মশলা আর ডাইনিং টেবিলের একটা কম্বিনেশান ব্যবহার করলে ভালো হয়।
একটা রেসিপি না দিলে তো ভালো বোঝা যাচ্ছে না... !
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কীইস্যে??
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এবং শুভ জন্মদিন দ্রোহীদা
গল্প ভাল্লাগছে... দ্রোহীদারে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি পুরাটা দুইবার পড়েছি। দুইবারই মাঝামাঝি জায়গায় খেই হারিয়ে ফেলেছি। আমারই মনযোগজনিত সমস্যা। তবে যেটুকু ঠিকঠাক পড়েছি, ভালো লেগেছে। দ্রোহী আব্বা-ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা আবারও।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সত্যি বলতে কি আমি পিচ্চিগুলার পেছনে ছুটতে ছুটতে হয়রান হয়ে গেছি তার উপর গল্পের ধারায় ডরাইছি। পিচ্চিপাচ্চিকালে যদি এইরাম গল্প আসে বড়বেলায় না জানি কি.........
দ্রোহীদারে আবারো শুভেচ্ছা!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমি কি কখনো বলেছি, যে আপনার এই যে একটা পিচ্চি মানুষের হাতের মুঠোয় ধরে রাখা কিছু একটা, যা অনেকটা বুড়ো মানুষের লাঠির মতন, 'নীড় সন্ধানী' এই ছবিটা আমার খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই লেখাটা যে কী সুন্দর ! ঝপ্ করে আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়িয়ে দিল
লেখাটা সার্থকতা পেল এতেই...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দারুণ লেখা।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা....
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
অনেক ধন্যবাদ
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রোমাঞ্চকর ও দারুণ
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চমৎকার শিশুতোষ গল্প!
উৎসর্গ আমার নামে আর গল্পের মূল চরিত্রে আমার বড় বোন কেনু কেনু কেনু?
বড় বোনের নাম ছোট বোনের নামকে গুপন করতে ব্যবহার করা হয়েছে যে, তাই...!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন