ফুলেল বহ্ণি
স্কুলে পড়তে বাসে করে বাড়ি ফেরার সময়ে ফেব্রুয়ারি মাসে আমার প্রিয় খেলা ছিল শিমুল গাছ গোনা। যে কোন জার্নিতে আমার গল্প-গুজবে আগ্রহ বরাবর কম। হয় সাথে থাকা বই পড়ি নাহলে কয়েক দশকে স্ব-উদ্ভাবিত ‘জার্নি বাই বাস-ট্রেইন গেইম’ আছে আমার বেশ কিছু, আগ্রহী গেমারের সংখ্যা ভেদে সেগুলো মডিফাই হতে থাকে। সে সময়ে ২০-২৫টা পাতাহীন লাল-লাল শিমুলের মাথা গুনতাম প্রতিদিন। মাঝেমাঝেই দুই-চারটা এদিক সেদিক হতো হিসেবে। পরদিন আবার গুনতাম। নিজেকে তখন ‘বলাই’ মনে হত।
কয়দিন ধরে প্রচণ্ড গরম। অভিযোগ করছি না। গেল কয় বছরের তুলনায় এবার মনে হচ্ছে স্বর্গে আছি, বৈশাখের আগে থেকেই অনিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে, ভ্যাপসা গরমটা পড়েছে এই সপ্তাহে, এই তো মাত্র কয়দিন হল। তাও সহনীয়, ৩৬ থেকে ৪৬-এ লাফ দেয়নি এখনো। তবে লাফ দিতে বেশি দেরি নাও থাকতে পারে হয়তো! দিনের বেলায় দাবদাহে গায়ের চামড়া ঝলসে যাচ্ছে। আবার পথের উপরে কোন ঝাঁকড়া গাছের নিচে দাঁড়ালেই সিগ্নিফিকেন্ট তাপমাত্রার পার্থক্য, বিস্ময়কর ব্যাপার!
আচ্ছা আমাদের দেশে গরমটা ঠিক কবে থেকে পড়তে শুরু করে যেন... আমার মনে হয় একটু হের-ফের থাকলেও এটা ফেব্রুয়ারির শেষের দিকেই হবে, ঠিক যখন লাল-লাল শিমুলে চারিদিক ছেয়ে যেতে থাকে, যেটা আসলে বসন্তকাল। ছোট থেকে শুনছি বসন্তই ঋতুর রাজা, ফুল আর নতুন কচি পাতা মানেই বসন্ত। কিন্তু শহুরে বসন্তে ফুল-টুল আমি দেখি না তেমনটা, যেমনটা দেখি গ্রীষ্মে।
ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার আগে আমি কখনো গ্রীষ্মকে ভালোমতন খেয়াল করে দেখিনি, মানে ঠিক শব্দটা হবে 'অবলোকন' করা। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ স্কুলের দুপুর বেলা, ছুটির দিনে বা অলস বিকালে লোডশেডিং-এ গল্পের বই নিয়ে ঠাণ্ডা বারান্দায় বসে থাকা, বা বনবন করে ফুল স্পিডে ফ্যান চললেও গরমে ঘামতে থাকা আমাদের এই শহর, এইসব আছে স্মৃতিতে, খালি গ্রীষ্মের প্রকৃতি খেয়াল করা হয়নি ভালো করে।
ফার্স্ট ইয়ারে গ্রীষ্ম আসবে বলে ঘোষণা দিচ্ছে, ঠিক এমন সময়ে, মার্চে আমাদের বিজ্ঞান ভবনের সামনের কৃষ্ণচূড়া গাছ ভরে গেল ফুলে ফুলে...
সেইবার খেয়াল করলাম রাবিতে যেদিকে তাকানো যায় খালি ফুল আর ফুল। বিশাল বিশাল পুরানো সব গাছ, রঙিন হয়ে আছে। এতদিন মনে হয় ফুল বলতে খালি বাগানে মাটির কাছে তাকাতাম বলেই গ্রীষ্মকে অত রুক্ষ লাগতো। এবার মন ভরাল বৃক্ষেরা।
হলদেগুলো রাধাচূড়া, আর ঐ যে বেগুনি, জংলা দেখতে বড় বড় পাতার মাঝে থোকা থোকা, ওগুলোকে নাকি বলে জারুল। হলদে রাধাচূড়ারা অডিটোরিয়ামের সামনে পথের উপরে ঝরে থাকে। ঝাড়-ঝাঁটা হবার আগেই সক্কাল সক্কাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাসে পৌঁছে গেলে দেখা যায় হলুদ কার্পেট।
বিজ্ঞান ভবগুলোর আশেপাশে ছড়ানো ছিটানো বিশাল বিশাল কড়ই গাছগুলোতে ফুল আসা শুরু হতো মধ্য এপ্রিলে।
দেখতে অনেকটা টবে লাগানো ‘ভেলভেট’ এর মতই। আমাকে খালি রং তুলির ব্রাশের কথা মনে পড়িয়ে দিত... কলেজের পরে যেগুলো ছুঁয়ে দেখার সময় হারিয়ে ফেললাম স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায়... এখনো আছে কোন ড্রয়ারে সযত্নে তোলা।
এ বছরই মার্চের দিকে বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর ‘বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়াম’ দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম জার্মান এক প্রফেসরকে কলিগদের সাথে। সেখানে নাম না জানা এই ফুলগুলো ঝাঁপিয়ে ফুটে ছিল। ইউনিভার্সিটিতে রোকেয়া হলের সামনে থেকে একবার এগুলোই তুলে এনেছিলাম ছবি আঁকার আচমকা খেয়ালে।
তাপসী রাবেয়া হলের চত্বরে ঘাস ফুল হয় রকমারি। অবশ্য বর্ষা শুরু হলে ঘাস ফুলে ছেয়ে যেত পুরা ক্যাম্পাসই।
আরও গরম পড়লে মোটামুটি অযত্নেই বাড়ে এগুলোও
লাইব্রেরির পেছনের আমবাগান ছাত্রদলগুলোর ক্যাম্প ছিল। আমরা যারা বিজ্ঞান ভবনে ল্যাব আর রিলেটেড কোর্সের চাপে চিড়ে-চ্যাপ্টা হতাম, খেয়াল খবর রাখতাম না অত। যারা হলে থাকতো তারা কিন্তু আমাদের মতন অগা ছিল না। একদিন শেখাল কে যেন, এইখানে বোসো না, দলের ক্যাম্প, দেখনি এইখান থেকেই সব মিছিলগুলো বেরুয়!
নাহ্ দেখিনি, অধিকাংশ সময়েই মিছিল বা কোন গণ্ডগোলে ভাংচুর হয়ে, বাস-টাস বন্ধ হবার পরে, বাড়ি ফেরার সময়ে জানতাম ঘটনা। রবীন্দ্র কলাভবনের দিকে আমবাগান দ্রুত অশান্ত হত, প্রশাসন ভবন, লাইব্রেরী, ভিসির আবাসিক বাড়ির সামনে। আমরা বিজ্ঞান ভবনের ফার্মের-মুরগিরা টেরই পেতাম না তেমন উত্তাপ। অবশ্য আমাদের বেলায় ইউনিভার্সিটি তিনবার অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ হলেও খুন-জখমের এরাটা তার আগের দশকে ছিল। তবে যারা রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিল, তারা ল্যাবে আসতো না, মিছিলের সামনে থাকতো, শুনেছি, খেয়াল করা হয়নি।
সেদিন দুপুর রোদে হলদে হয়ে আসা স্থলপদ্মদের ছবি তুললাম কিছু। আর সাদা, লাল পাতাবাহারের।
ইদানীং কাজে কোন ব্রেক পেলেই ক্যামেরা বের করে খুটখাট ছবি তুলি। ম্যাক্রো মোড টেস্ট করি বুনোফুলের উপরে, আমার সবে ধন নীলমণি পয়েন্ট এন্ড শুট দিয়ে। আমার এই অদ্ভুত আচরণ দেখে দেখে অনেকেই অভ্যস্ত হয়ে গেছে, কিছুটা প্রশ্রয়ও দেয় মনে হয় ছোট-বড় সবাই, বোধ হয় ভাবে, থাকগে, মাথা আউলা বলে কথা... !
একজনের জন্যে অপেক্ষা করতে করতে এগুলো তুললাম সেদিন -
আমরা বলতাম বুড়োর চুল, ইংরেজিতে বুঝি বলে ‘থিসল্’।
গতবছর এইরকম সময়ে আচমকা শেয়ালকাঁটার সন্ধান পেলাম এক আবাসিক এলাকায়। প্রাইমারিতে থাকতে স্কুলের পেছনের জঙ্গল থেকে দস্যু টাইপের ছেলেমেয়েরা কাঁটা তুলে এনে ক্লাসের মাঝখানে অন্যদের মাথা তাক করে টার্গেট প্র্যাক্টিস করতো, চুলে আটকে যেত কাঁটাআলা ফল। অন্যদের কাছে চেয়ে-চিন্তে দুই-চারটা পাওয়া যেত কি যেত না, ভারি শখ ছিল নিজেও কিছু তুলে আনবো একদিন, কিন্তু ঐ ভয়াবহ জঙ্গলে ঢোকা হয়নি খুব একটা, সাপ-খোপের চেয়েও ময়লা-আবর্জনাই বেশি রিপালসিভ ছিল!
ইউনিভার্সিটিতে প্যারিস রোডের ধার ধরে বড় বড় ছাতার মতন গাছগুলোর নিচে জবার ঝোপ। রক্তজবা, পাঁচ পাপড়ির জবা, ঝুমকো জবা, সাদা জবা ...
আমরা ক্লাসের পরে, ল্যাব শুরু হবার আগের ১৫ মিনিটের ব্রেকে মানিকের সিঙ্গারা খেতাম, অধিকাংশ সময়েই বসার জায়গা জুটত না। লাইব্রেরির বারান্দায় গ্রুপে অংক করতো জুনিয়র স্টুডেন্টরা, টিউটরিং, ম্যাথের সিনিয়র স্টুডেন্টদের কাছে। আমি কখনোই গ্রুপে পড়ালেখা করতে পারিনা। যেকোন রকমের কোচিং আমার দুই চোখের বিষ।
তবে সেকেন্ড ইয়ারে আরআই আমাদের মাথা খারাপ করে দিচ্ছিল প্যাঁচালো সব ফিডব্যাক অ্যানালিসিস দিয়ে দিয়ে। মনে হয় কিছুটা নির্মম আনন্দ পেতেন আমাদের মাথাব্ল্যাংকহয়েযাওয়া চেহারাগুলো দেখে! শেষে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের সিনিয়র এক ভাইয়ের কাছে মাস খানেক টিউটরিং নিলাম আমরা কয়জন। স্রেফ ভীতিটা দূর করে সহজে বুঝিয়ে দিলেন ক্যাম্নে কী। তাও বিশেষ করে আমি কম পেইন দেই নাই তাকে। এই কোর্সটা যে জঘন্য, আমার কোন আগ্রহই নাই ফিডব্যাক নিয়ে, উঠতে-বসতে সেটা বুঝিয়ে দিতে কসুর রাখতাম না, যেন জোর করে আজব সব হোমওয়ার্ক চাপানোর দোষ আসলে তাঁরই। ডিপার্টমেন্টের খুব কম বড় ভাই-বোনদেরকে শ্রদ্ধা বা পছন্দ করতাম মনে হয়, বা তাদেরও কম জনই খুশি মনে সময় দিতেন, হাতে গোনা কয়জনের এই একজন ছিলেন। নিজে পরীক্ষা দিতেন না নিয়মিত, নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোতেই আনন্দ ছিল, তাঁর রকমারি প্রজেক্টের ঠ্যালায় শিক্ষকরাও কম ভুগতেন না মনে হয়। রেজাল্ট যত বাজেই হোক, কাজ জানতেন, মেধাবী ছিলেন প্রচণ্ড রকমের। একবার টিউটরিং এর সময়ে চশমার মাঝখান থেকে ভেঙে গেছে, চশমা দিয়ে এসছেন দোকানে, প্রায় কিছুই দেখছেন না চোখে, তাও এসছেন আমাদের জন্যে গ্রীষ্মের খাড়া দুপুরে। যোগাযোগ ছিল না পাশ করে যাবার পরে। খবরটা পাওয়ার পর থেকেই ঘুরে ফিরে খালি মনে হচ্ছে, সামান্য ধন্যবাদটুকুও দেয়া হয়নি কখনো খুব সাধারণ, কিন্তু অসাধারণ এই মানুষটাকে... কয়দিন আগে জানলাম, গত মাসের শেষ সপ্তাহে স্বেচ্ছায় চলে গেছেন... কিই যে অভিমান ছিল পৃথিবী আর জীবনের কাছে, কে জানে ... ...
স্কুলে থাকতে ইউনিভার্সিটির জুবেরী হাউসের মাঠের ধার ঘেঁষে লাগানো সোনালু গাছগুলো পিচ্চি ছিল। এখন তারা বড় হয়ে গেছে। এই গাছটা আমার ভীষণরকম প্রিয়, সোনালি হলুদ থোকা থোকা ফুলের জন্যে। লম্বা লম্বা লাঠির মতন ফল হয় বলে বাঁদরলাঠি এই গাছের আরেকটা জনপ্রিয় নাম। আমার কখনো নিজের বড় বাগান থাকলে তাতে কৃষ্ণচূড়া আর সোনালু অবশ্যই থাকবে!
এবার অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, জারুলের ছবি তোলা হল না কোথাও... কিন্তু চেরি ফুলের মতন গোলাপি ফুল হয় আরেকরকম বড় বড় গাছে, সেগুলোর কিছু ছবি তুললাম কোন রকমে। ভালো আসেনি আসলে অধিকাংশ ছবিই... ফোকাসের সমস্যা বা অসম্ভব রোদে ঝলসে গেছে।
রাবি আবার ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে, প্রতিবছরের মতই, আফসোস ক্যাম্পাসে তার সেই প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীগুলো আর নেই... নতুনেরা আছে... তারা চলে গেলে আরো নতুনেরা আসবে... গ্রীষ্মের বৃক্ষেরা তখনো কি আগলে রাখবে নবীনদেরকে তাপদাহ থেকে, প্রশান্তি দেবে কি ব্যস্ততার মাঝে...
মন্তব্য
সুন্দর।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
সামনাসামনি আরো বেশি সুন্দর!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দারুণ ছবি...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ফুলের দেশ মনে হচ্ছে। কোন দেশ এটা?
আরেব্বাস!! পোস্ট দিতে না দিতেই প্রপ্রেমিক'দার মন্তব্য! <এক পাক নেচে নেবার ইমো>
শিমুল, শেয়ালকাঁটা, পিচি-বেগুনী ফুল বাদে ছবির প্রায় সবগুলোই রাবি ক্যাম্পাসেই তোলা, সেখানে যে আরো কত রকমের গাছ আছে! বোটানিকাল গার্ডেনে তো আবার এমনি এমনি প্রবেশাধিকার নেই। মাধবীলতাটা আমার ঘরের লাগোয়া বারান্দা থেকে তোলা।
ঐ ছোট-বড় বেগুনি ফুলগুলোর নাম জানাতে পারবেন ভাইয়া?
আর আসলেই, আমাদের দেশটা এত অসাধারণ, ছোট ছোট জিনিসও মুগ্ধ করে দিতে পারে, এই তীব্র দাবদাহেও....!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
প্রথমটা মনে হয় verbena হতে পারে, পরেরটা মনে হয় cosmos, তার তার পরেরটা petunia; দেখি পিপিদা কি বলেন।
কসমস কোন্টারে কও?! ঐটা সিম্পল ঘাস ফুল! কাছ থেকে ম্যাক্রো-তে ছবি তোলায় অমন লাগছে।
পরের বেগুনি-নীল গুলো সসম্ভবত Petunia, শিওর না, কিন্তু প্রথমটার নাম জানি না।
ও, আর 'বটল-ব্রাশ' নামটা মনে করিয়ে দেবার জন্যে তোমাকে বিশেষ ধন্যবাদ, কিছুতেই মনে পড়ছিল না।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আচ্ছা, wild flowers টা প্রায় শিওর মনে হয় কসমস।
আর ঘাস ফুল টা... আচ্ছা, আরেকটু পষ্ট কোনো শট নেই? কোনো দেশি ঘাসের তো অমন ফুল হয় বলে দেখিনি... আসলে এই ছবিটার কসমসটার মত লাগছে খানিকটা...
আবার ফ্লিকারে ঘাস ফুলের অন্য যে ছবিটা, যেটায় দূরের ফুলগুলো পষ্ট এসেছে, সেগুলো তো portuleca, এটাও কি একই ফুল ছিল?
আমার ওই কমেন্টটা আপডেট করলাম, করতেই দেখি এর ফাঁকে তোমার মন্তব্য চলে এসেছে পুরোনো লেখাটার উপর! ওখানে ইউফোর্বিয়া নিয়ে কথাটা দেখো।
এই ঘাস ফুলের নাম portuleca?
'রক্তমাখা জামা ছিলো হয়ে গেছে ফুল.. চোখ দুটি মেঘে মেঘে ব্যথিত বকুল''
দুটো একই ফুল, তফাৎটা ফটু কোয়ালিটিতে
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই portuleca কি তিথীডোরের আঁকা নাকি!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চমৎকার ফোটো-এডিটিং!
কৌস্তুভদা ঠিক ধরেছেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খাইসে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হয় আমার নেটওয়ার্কের দোষ নাইলে সচলের কিছু, লগ-ইন করলেই পেইজগুলো হাওয়া হতে শুরু করে, মন্তব্য হতে লাগে অনন্তকাল, আর খানিক আগে দেখি বিনা অপরাধে আমাকে লগ-আউট করে দিয়েছে!
যাই হোক! আচ্ছা, এইটা তো দেখা যায় একটা দলছুট কসমসই! হয়তো শীতে ওর সাথীদের সাথে ছিল, এখন বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্য বুনো ফুলের সাথে মিলে যাওয়ায় আমি খেয়াল করিনি। আমি ভাবছিলাম তুমি দুই বেগুনি-নীলের মাঝের হালকা নীলটাকে কসমস বলছিলে! ফ্লিকারে ঠিক করে দিচ্ছি।
ঘাস ফুল যেগুলো, সেগুলোর ভালো ছবি পাচ্ছি না। ওদের ছবি তুলবার সময়েই আমার ক্যামেরা কী যেন ঘাপলাবাজি শুরু করেছিল। তবে এটা portuleca নয়, (আমি অবশ্য ওদেরকে নাইন'ও'ক্লক নামে চিনতাম)। এগুলো ঘাস ফুলই, পাতা নাইন ও'ক্লকের মতন না, সাদাসিধে ঘাসের মতই। বর্ষায় যেগুলো ঝেঁপে হয়, নানান রঙের। ছোট্ট ছোট্ট ফুল কাছ থেকে নাইন'ও'ক্লকের পাপড়ির মতনই লাগছে বটে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
একদিন দুপুরবেলা সব খাতা-টাতা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বেরিয়ে পড়ো, ঘাসফুলের ছবি তুলে এনে দেখাও।
গুগলে nine-o-clock flower দিয়ে সার্চ দিলে কিছু (হাইব্রিড, ডবল-পাপড়িওয়ালা) পর্টুলেকারই ছবি আসছে। তুমি ওই নামে কাকে ডাকো, ফটুক তুলে দেখাও দিকি...
এইখানেই মুশকিল হয়েছে, এই ছবি দুইটাই এক বছর আগের। তবে ঘাস ও ঘাসফুলের মাঝে portuleca ছিল, এইটা হতে পারে।
ও, আর মাধবীলতার ছবিটার ফোকাস ঠিক না থাকার কারণ মৃদু-মন্দ হাওয়ায় লতা-পাতারা দুলছিলেন...
আর খুঁজে দেখলাম কড়ই আর বটল-ব্রাশ এক নয়, কড়ই অনেক বিশাল ছড়ানো ডাল-পালার বৃক্ষ। কলেজের (ক্লাশ ইলেভেন-টুয়েলভ) বোটানি বই বের করে নামটা ঝালাই করলাম, আলবিজিয়া (Albizzia procera), এই যে উইকিতে - http://en.wikipedia.org/wiki/Albizia
আর এইযে, আমার তোলা বিশাল গাছের ছবি এইখানে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আরে, কড়ই তো আমাদের শিরীষ গাছ! সেই দাড়িদাদুর গান আছে না, "প্রাঙ্গণে মোর শিরীষশাখায়..."
আর শিমুল হল cotton tree...
আরে, এই কটন ট্রি নামটা কিছুতেই মনে করতে পারছিলাম না। ধন্যবাদ।
আর হুঁ, আলবিজিয়ার নানান প্রজাতি, ফুলগুলোও আলাদা আলাদা রঙ আর ধরনের, শিরীষও আলবিজিয়া।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জটিল। আচ্ছা আপনি শ্যামলী নিসর্গ বইটা পরেছেন? বা কুরচি তোমার লাগি? ভাগ্যিস দ্বিজেন শর্মা কবিতা লিখেন না। আধুনিক কবিরা নির্ঘাৎ চটে যেত।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
না ভাই, পড়িনি। কত বই যে পড়া বাকি...
নোট করে রাখছি, পেলে পড়বো তাহলে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ফাটায় দিছেন। একেবারে যাকে বলে ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে...
আপনার কাছে ক্যাম্পাসের ভালো ম্যাপ আছে? তাহলে ফুল গাছগুলোর (অন্তত বৃক্ষজাতীয়) একটা তালিকা তৈরি করে ম্যাপে চিহ্নিত করে রাখতে পারেন। পরে কাজে দিবে। কর্তৃপক্ষ বেআইনীভাবে গাছ কাটলে চট করে টের পাওয়া যাবে।
বট গাছ আছে ক্যাম্পাসে? খুঁজে দেখে জানাবেন? ছবিতে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সর্বনাশ! আমি তো ভয়ে ছবি টবির পোস্ট দেই না, সচল ফটুরেদের সামনে লইজ্জা লাগে বলে... হে হে...
তা ছবিতে যদি জাঝা দেনই, তাহলে বলতে হয়, ঝাঁঝাঁ রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে থেকে ছবি তোলা সার্থক!
ক্যাম্পাসের ম্যাপ আমার কাছে নেই, তবে গুগল আর্থে বেশ ভালো বোঝা যায় সবটুকুই। গাছের হিসাব কর্তৃপক্ষের কাছে আছে সম্ভবত, আর এখনো অবৈধ কর্তনের মতন নির্দয় কর্তৃপক্ষ আসেনি, বরং গাছের বেশ ভালোই যত্ন-আত্তি করা হয় মনে হয়। প্রায় ৩০৪ হেক্টর এরিয়ায় আম বাগান আছে, লিচু গাছ আছে, এগুলো সম্ভবত ইজারা দেয়া হয়। ধানী ও ফসলের জমিও আছে, আমরা পড়তে কৃষি অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীরা সেখানে ট্রাক্টরে হাল চাষ করতো! আসলে রাবি ক্যাম্পাস এত সবুজ, যে ভেতরে ঢুকলেই বাইরের সাথে তাপমাত্রার বেশ ভালো একটা পার্থক্য অনুভূতিতে ধরা পড়ে।
আর বট গাছও আছে বৈকি! ইন ফ্যাক্ট বট-গাছের নিচে আমাদের স্যারদের একটা জমাটি আড্ডা বসে সেইইইই ধরেন গিয়ে বছর কুড়ি ধরে! ইদানীং আবার সেখানে আমাদেরকেও মাঝে মাঝে চা-সিগ্রেট খেতে ডাকা দেয়া হয়!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আরিব্বাস!
আমার খুব্বালো লেগেছে বটলব্রাশের ছবিটা আর কোলাজে মাধবীলতার ছবিটা। ওদুটোর বড় ভার্শন মিলবে?
p.s. ফ্লিকারে ঢুকে বড় ভার্শন দেখলাম। বটলব্রাশ-টা আসলেই চমৎকার এসেছে। ওটাকেই কি কড়ই বল? আর বড়ই কাকে কয়? মাধবীলতাটায় সামান্য ফোকাস-কম।
যেটাকে ক্যাকটাস বলেছ সেটা আসলে ইউফোর্বিয়া - http://en.wikipedia.org/wiki/Euphorbia_milii
ছবিতে ক্লিকালেই আমার ফ্লিকার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে হে কৌদা, সেইখেনে কোলাজেরগুলো সহ অন্যান্য সব ছবিই আপ করে দিয়েছি। আরো বড় চেলে তোমাকে মেইল করে দিতে পারি।
আর নাও!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ইউফোর্বিয়া!! ঠিকাছে! ঠিক্কর্লাম! আর এতো দেখি সেইইইই মাদাগাস্কার থেকে এসেছে হে! অবশ্য টবে শখের গাছ হিসেবেই পেয়েছি।
P.S: 'বড়ই' (উচ্চারণ - বোড়ই) হলো কুল!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অভিজ্ঞরা বলেন, পাঠক অনাত্মীয় হওয়া বাঞ্জনীয়। তানাহলে লেখকের লেখনীর প্রশংসা অথবা তিরস্কার, দু'টোতেই খাঁদ থেকে যায়। ছবিগূলোর জন্য নিখাঁদ প্রশংসা রইলো, লেখাটার জন্যও।
আহা! তাই বুঝি?!
মন্তব্য করাতে পেরেছি মানে কিছু ক্রেডিট নিঃসন্দেহে আছে তাইলে!
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যার নাম শেয়ালকাঁটা, তার ফুলটা এমন সুন্দর হবে ভাবা যায়?
একদম মন ভালো করা ঝকঝকে পোস্ট।
তোমার ছবি তোলাও খুব ভালো হচ্ছে, দারুণ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
শেয়ালকাঁটার ফুল আমি সেবারই প্রথম দেখলাম, আর আমার ঠিক এই কথাটাই মনে হয়েছিল!
ছবি তোলার ব্যাপারে ফিসফিস করে বলি, কয়েকশ' তুললে তো দশটা ভালো হওয়া উচিত কী বলো?
অনেক ধন্যবাদ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
(যত দূর জানি) তৃতীয় ছবির ফুলের নাম 'মে ফ্লাওয়ার,' প্রতি বছর ফুটত আমার টবে। এ বছর ফাঁকি দিয়েছে।
ঝকঝকে সব ছবিতে ৫ তারা!
রাবি কাম্পাসে একবার যেতেই হবে দেখছি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মুহাহাহাহাহ! এইখানেই ধরা!
এই দেখ টবে লাগানো আসল ভেলভেট (এই নামেই ডাকে মনে হয় এইটাকে, জানি না ঠিক), অনেক কাছ থেকে ঐ ছোট ফুলগুলোর ছবি তোলায় অমন লাগছে।
মে'ফ্লাওয়ারের ছবি দেয়া উচিত ছিল, তুলবো ভেবেওছিলাম। এবার বড় বড় বলের মতন ফুটেওছিল মেলা। কিন্তু আমার অলসতায় আর তোলা হয়নি! কিন্তু গুগলে May Flower লিখে সার্চ দিলে অন্য ফুল বের হচ্ছে, দেখেছ? আমরা যেটাকে মে'ফ্লাওয়ার বলি, সেটার আরেকটা নাম 'বল লিলি'। এই যে, গুগলের ইমেজ সার্চ থেকে -
আচ্ছা, ধন্যবাদ দিতে ভুলে গেছিলাম। অনেক
আর রাবি ক্যাম্পাস দেখার মতই কিন্তু!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই বল লিলি আমাদের বাসায় এক সারি দিয়ে হত। কি দুর্দান্ত যে লাগত!
বল লিলি গাছের গোড়া বা মূলটা দেখেছ কখনো খেয়াল করে? একদম বড় সাইজের পেঁয়াজের মতন! আমি ছোটবেলায় একবার বাগানে এমনি এমনিই পেঁয়াজ হয়েছে ভেবে, খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলে এনেছিলাম উত্তেজিত হয়ে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হ্যাঁ, ওগুলোও তো bulb... তবে বেশিরভাগ লিলিরই মূলটা সাদাটে হয়, প্যাঁজের মত বেগুনি না...
রাইট! তুমি তো বেশ ভালো ফুল-বিশেষজ্ঞ হে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
প্রথম দুই প্যারা বাদ্দিয়ে শুরুর দিকে মনে হচ্ছিলো ওয়েদার ফোরকাস্ট পড়ছি! এটা অবশ্য ভালো দিক, সমালোচনা না।
জার্নি বাই ট্রেনে একটা খেলা আছে, ফালু-কোকো খেলা। আবিষ্কারক, আমাদের ময়না ভাই। চুরিদারী করে তিনিই সব খেলায় ফালু হয়ে যান। আমি হই কোকো। লুলছিব্বাই, বদ্দা আর বলাই'দা (এবং বলাইনী) মাঝের স্থানগুলো আলোকিত করেন। অনেকদিন ফালু-কোকো খেলা হয় না, মাত্রই মনে পড়লো!
তিন নাম্বার ছবিটা দেখে মনে হলো, কান চুলকানোর জন্য এই মডেলের কিছু হলে দারুণ হবে!
সর্বোপরি, পুরো রাজ-শাহীনামা পড়তে গিয়ে যেটা মনে হচ্ছিলো সেটা আসলে একটা গান। "এই সুন্দর ফল, সুন্দর ফুল, মিঠা নদীর পানি; খোদা তোমার মেহেরবানী!" তবে, গানটা হালে পানি পায়নি কারণ আপনার লেখায় ফুল থাকলেও ফল আর নদীর কোনো বালাই নাই। তাই আপনারে কইষ্যা মাইনাস, গানটা ফুলফিল না করার ষড়যন্ত্রের কারণে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুদাই বসে না থেকে, ফালু-কোকো খেলার আয়োজন নেন, শুনছি জার্মান দেশে নাকি রোদ-টোদ উঠছে, পিকনিকের আদর্শ ওয়েদার, আর সাথে এইবেলা টিম-মেইট আর বাড়ানো যায় নাকি, সেই খোঁজও লাগান!
মুশকিল হলো আপনার মতন গান মাথায় নিয়ে লিখতে বসি না, যে কারণে গান ফুল-ফিল হয় নাই। তবে ইনশা-আল্লাহ আগামী পর্বগুলাতে ফল আর নদী নিয়ে কিছু কচকচ করা যাবে। কিন্তু তার আগে একটু দেখেন তো, রাইন থেকে পদ্মায় কিছু পানি আনানোর ব্যবস্থা-ট্যবস্থা নেয়া যায় কিনা... পানি ছাড়া কি নদীর বালু নিয়া নদী পোস্ট দিব?
আর 'সম-আলোচনা'য় -র চাটনি নেন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
খেলার নিয়ম-কানুন জানানো যাবে?
আপনি কী আমাদের মানে, বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে পড়তেন? কোন ব্যাচ? আমিও ঐ স্কুলেরই ছাত্র
আমার পাঁচটা স্কুলের অন্যতম রাবিস্কুল, হুম।
আমি আতিফদের ব্যাচ। ফ্লিকারে এইটা কি আপনি?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দুর্দান্ত একটা লেখা! একেবারে আগুনধরানো যাকে বলে ছবিগুলোও খুব চমৎকার এসেছে। আর সবচে' বড় ব্যপার হলো অনেকগুলো ফুলের নাম জানলাম
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লেখাটি পড়ে মনে হলো শাহবাগের সবকটি ফুলের দোকান থেকে বেছে বেছে ফুলের শব্দ কিম্বা শব্দের ফুল তুলে নিয়ে একটা বিশাল ও অনিন্দ্য ফুলের তোড়া তৈরি করেছে কেউ। উপহার পেয়েছি আমরা সকলে।
শিমুল ফুল দেখলেই মনে হয় অভিশাপের তোড়ে আমার মস্তক যদি শতধা বিদীর্ণ হয় তবে যেন তা এমনই রক্তিম হয়ে ফোটে। হয়ত শিমুল নয়তো কৃষ্ণচূড়া।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কৃষ্ণচূড়া নিয়ে আমার ছোটবেলা থেকে অনেক স্মৃতি, গ্রেটার রোডে লাল-কমলা ফুল আর সবুজ পাতার ছাতার নিচে আলো-ছায়ার খেলায় রিকশা যাত্রা...
আপনাকে চমৎকার সব মন্তব্যের জন্যে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দুর্দান্ত পোস্ট।
যাকে বলে 'যেমন নাকে মুখে তেমনি বুকে পিঠে' টাইপ!!
লেখার সাথে ছবিগুলো মিলে পোস্টটাকে সুখপাঠ্য করে তুলেছে। আপনে পয়েন্টেন্ডশুট দিয়েই ফাডায়ালাইতেছেন! জলদি ডিয়েসেলার খরিদ করেন।
তাপ্পর ডিয়েসেলার তাক করতে গিয়েই আমার মতো ফটোগ্রাফি মূর্খ অক্কা পাক! ছি ছি দ্রোহী'দা, এই ছিল আপনার মনে...!
কিন্তু আপনার প্রশংসা পেয়ে তো পুরাই এই অবস্থা -
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ফুলগুলো কী কোমল-সুন্দর-স্বর্গীয়!!!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ছবি এবং লেখায় চমৎকার একটি পোস্ট। মনটা খুব ভালো হয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আসমা আপু।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অসম্ভব ভালো লাগলো। আমি ছবিগুলো আগে দেখে নিলাম, পড়লাম পরে। খুবই ভালো লেগেছে।
আমি কখনো বাগান করলে কৃষ্ণচূড়া আর দোলনচাঁপা থাকবে।
হ্যাঁ, কৃষ্ণচূড়া মাস্ট! অনেকখানি জায়গা লাগবে অবশ্য। দেখি, ইদানীং তো অনেক খাল, লেক, নদী অবৈধ ভরাট হচ্ছে, জমি দখল নেব ভাবছি... পার্টনারশিপে আগ্রহ থাকলে আওয়াজ দিয়েন।
আপনাকে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মারাত্মক।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ফুল প্রদর্শনিতে আইসা বিয়াপুক আনন্দ লাভ করিলাম। মাশা-আল্লাহ ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ভাইরে, কখনো ছবি-টবি দিব ভাবলে আমিতো মাথার চুল ছেঁড়া শুরু করি তোমাদের ভয়ে...
সেখানে ফটুরেকেই আনন্দ দিতে পারলে মন ফুরফুরা হয়ে যায় একদম! থেঙ্কু, থেঙ্কু।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দুর্দান্ত...ছবি আর লেখা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।
আচ্ছা, শিমুলের ইংরেজী নাম কী হবে জানলে জানিয়েন তো। আর ঐ শেষের গোলাপী ফুলের গাছটাও চিনতে পারছি না।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সারাদিনে তৃতীয়বারের মত ছবিগুলো দেখলাম এখন। অসাধারন!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লেখা ছবি ভালো লেগেছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমি যাদের ছবি হাঁ করে দেখতে থাকি, আর লেখাও হাঁ করে পড়তে থাকি, তাঁরা যখন বলেন আমার ছবি বা লেখা ভালো লেগেছে, আমার সত্যি সত্যি লাফালাফি করতে ইচ্ছা করে। থ্যাংক ইউ মুস্তাফিজ ভাই।
এই ছবিগুলোর অধিকাংশই প্রখর রোদে তোলা, আর অনেক ছবিই দেখলাম ঝলসে গেছে। দ্রোহীদা কিন্তু একারণেই আমাকে একবার বলেছিলেন প্রখর রোদে ছবি না তুলতে চেষ্টা করতে। আমার আসলে সুযোগ পেয়ে হঠাৎ করে তোলা সব ছবি তো, সময় নিয়ে গিয়ে ছবি তোলার জন্যেই তোলার সুযোগ তেমন হয় না। কিন্তু ছবির কম্পোজিশন বা অন্যকিছু নিয়ে কোন পয়েন্টার্স যদি মনে করেন দেয়া দরকার, জানালে অসম্ভব খুশি হব।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এখানে সম্ভব না। কোনদিন দেখা হলে জ্ঞান দান করা যাবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার মন্তব্য পড়ে হঠাৎ মনে হলো, আর কোনদিনো দেখা হবে না...
রাজশাহী আসেন আম শেষ হবার আগেই!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জটিল! কঠ্ঠিন! চরম!!!
একদমই সরল, তরল বা পরম না বলছেন?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কেনো জানি ফুলগুলো দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে!
ক্যামেরা অনুপাতে আপনি তো দারুণ ছবি তুলেন।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
হে হে হে, ভাত খান। ভাতের উপরে কিছু আছে দুনিয়ায়?
থ্যাংক ইউ আশরাফ ভাই।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি আসলে ভাইয়া এখনো পড়ছি, নাইনে কেবল। আপনি এস.এস.সি. কোন ব্যাচের? তাহলে নিশ্চয়ই চিনতে পারবো। আর আমার আসল নাম মুহিত হাসান, এই নামেই টুকটাক লিখি।
ওহ্, তাহলে তো অনেক জুনিয়র। আমি এসসেসি নিরানব্বই। সচলায়তনে স্বাগতম।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি নিরানব্বই মাস্টার্স
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
সালাম বড়ভাই!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অনেক দিন পর গ্রীষ্মের রাবি দেখলাম।মনটা উদাস হয়ে গেলো।মানিকের সিঙ্গারা,রুহুল ভাইয়ের দোকানের চা, মিজানের দোকানের আড্ডা, ১ম বিজ্ঞান ভবনের পাশের কালাইরুটি!!কত কিছু মনে পড়ে গেল।
আআআহাহাহাহাহা, কালাই রুটি! ভালো কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন রাসেল ভাই। এইটা নিয়ে একটা পর্ব দেবার ইচ্ছা আছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
১. শিমুল
২. রেইনট্রি
৩. এতো ক্লোজ আপ যে বুঝতে পারলাম না
৪. পেটুনিয়া
৫. পর্তুলাকা
৬. হলিহক অথবা মর্নিং গ্লোরী (ঠিক নিশ্চিত না)
৭. বুঝতে পারলাম না
৮. স্থলপদ্ম
৯. মুসেন্ডা
১০. ডানের উপরের কোনায় কসমস, বাকিগুলো বোঝা যায়নি
১১. থিসলের ছোটো জাত, আমাদের স্থানীয় নাম “ফুঁ যা”
১২. ঘাগড়া
১৩. রক্তজবা
১৪. সোনালু/অমলতাস/বাঁদরলাঠি
১৫. ক্যাসিয়া (ক্যাসিয়া নডেসা)
১৬. বাম থেকে ডানে শিমুল-রেইন ট্রি- সোনালু- মাধবীলতা
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় একটি তথ্য। বেশিরভাগ বাঙালী হলুদ রঙা যে ফুলটাকে রাধাচূড়া নামে জানে সেটার আসল নাম পেল্টোফোরাম। আসল রাধাচূড়া যেটা সেটাকে কৃষ্ণচূড়ার ছোট ও কমলা ভার্সান মনে করে। রাধাচূড়ার ছবি এখানে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ পাণ্ডবদা।
৩. টবে লাগানো একটা ছোট ফুলের ক্লোজ-আপ, তিথীডোরের মন্তব্যের জবাবে টব-সহ গাছটার একটা ছবি দিয়েছি, আর ছবিতে ক্লিক করলে ফ্লিকারে বড়টা দেখা যাবে। এটার আসল নাম জানি না, তবে বুনোহাঁস জানিয়েছিল 'ভেলভেট' নামে ডাকা হয় লোকালি।
৪. নাম বের করতে পারিনি, ইদানীং সর্বত্র খুব দেখছি বাগানের ডেকোরেশনে ব্যবহার হচ্ছে, নানান বর্ণের একঝাঁক ফুটে থাকে, পিটুনিয়ার থেকে অনেক ক্ষুদ্রাকৃতির আর গাছ গুলোও ক্ষুদে।
৫. হলিহক অথবা মর্নিং গ্লোরী হতে পারে। নাইন ও'ক্লককে মর্নিং গ্লোরীও বলি, উইকি আর গুগল ঘেঁটে মনে হল আসলে সেগুলো পর্তুলেকারই প্রজাতি হবে।
৬. গুগল কাকা বলছে পিটুনিয়া (ফ্লিকারে নাম চেঞ্জ করে দিয়েছি)।
৭. ইউফোর্বিয়া যেমনটা কৌস্তুভ বলেছে।
১২. শেয়ালকাঁটাই তাহলে ঘাগড়া... ইন্টারেস্টিং।
১৪. সোনালুর সায়েন্টিফিক নাম Cassia fistula, ফ্লিকারে দিয়েছি।
১৫. এটাও আরেক প্রজাতির ক্যাসিয়া তাহলে? পাতা কিন্তু সোনালু থেকে আলাদা ধরনের, বরং কড়ই বা রেইন্ট্রি বলছেন যেটাকে ওটার সাথে মিল আছে। রাবি আর রুয়েট জুড়ে এই গাছ বেশ কিছু আছে, কিন্তু নাম জানি না।
সবগুলো ছবিই ক্লিক করলে ফ্লিকারে বড় আকারে দেখতে পারবেন।
রাধাচূড়া কিন্তু আমিও ছোট আর কমলা কৃষ্ণচূড়াকেই জানতাম, কিন্তু ছোট ছোট, ঝিরিঝিরি হলুদ-টাকেই সবাই ঐ নামে ডাকে দেখে এখন হলুদটা চেনাতে হলে আমি সেটাকেই রাধাচূড়া বলি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনি কী ভাইয়া তাহলে উদয়দার(উদয় শংকর বিশ্বাস),অণু(তারেক অণু) ভাইয়ের ব্যাচে?
অনু ভাইরা আমাদের থেকে বেশ ক'বছরের সিনিয়র।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মন্তব্য লাফাং___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভালো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আচ্ছা, এই খরতাপেও আমাদের সেই বারোমাসী শিউলির একটা ছবি তুলেছি আজকে সকালে, ভাবলাম এটা শেয়ার করা উচিত!
স্পর্শ-এরও একটা বারোমাসী শিউলির গল্প ছিল এইখানে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভালো লাগলো...
nawarid nur saba
ধন্যবাদ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রাবি রাবি !!!- অণু
ঠিক ঠিক !!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রাবি রাবি রাবি রাবি !!!!!! - কল্যাণ
স্থলপদ্ম বাদে সবগুলোই স্বচক্ষে দেখেছি। রাজশাহীতেই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নতুন মন্তব্য করুন