[বয়স ট্যাগ করতে গিয়েও করছি না কারণ পাঠকের পড়বার ব্যাপারে লেখক হিসেবে নাক গলাতে ইচ্ছা করছে না। বরং সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দেয়া যায় যে, হৃদরোগ থাকলে বা অসুস্থ হলে এটা পড়া থেকে বিরত থাকতে পারেন, সৎকার সংক্রান্ত বর্ণনা আছে।]
মাঝবয়সী তুলকু একমনে নিজের কাজ করে যাচ্ছিল। তেঞ্চো ঘন্টাখানেক আগে নিচ থেকে আরেকটা দলকে উঠতে দেখেছে, তারা পৌঁছে যাবে আর কিছুক্ষণের মাঝেই। খানিক দূরে উবু হয়ে বসে একমনে তার কাজ দেখছিল প্রায় দেড়শ মাইল দূরের সিচুয়ানের গ্রাম থেকে আসা তরুণ আর তার বছর দশেকের ছেলেটা।
তেঞ্চো মৃতদেহের থেকে টুকরো করে নেয়া হাড়কে গুঁড়া করছে হাতুড়ি পিটিয়ে। ওর বয়স বেশি নয়, তাও বছর তিনেক ধরে তুলকুর শিষ্য হিসেবে কাজ করছে। গুঁড়া হলে তার সাথে সাম্পা মিশিয়ে ডাকবে ও শকুনের দলকে। মৃতদেহের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না এক সময়ে।
আপাতত শকুনগুলো মাথার অনেকটা উপরে গোল হয়ে চক্কর কাটছে।
দূরদেশ থেকে যে ছেলেটা এসেছে, বেশ গরিব বোঝা যায়। হয়তো সহায় সম্বল যা ছিল বাবার সৎকারেই অনেকটা বেরিয়ে গেছে এতদূর পথ আসতে গিয়ে। তুলকু আলাপে জেনেছে তরুণের বৌয়ের বাচ্চা হবে, তাই সে গ্রামেই থেকে গিয়েছে, আত্মীয় আর তেমন কেউ নেই যারা সাথে আসতে পারতো, তাই গ্রামবাসীদেরই কয়জন এসেছে। বাপ অসুস্থ ছিল বেশ, মারা যাবার আগে থেকেই তাই পুনঃজন্মের সুবিধার্থে ওরা বাপকে ‘মুক্তি বই’ থেকে পড়ে শোনাচ্ছিল পালা করে। মৃত্যুর পরও দুইদিন ধরে আত্মার ঊর্ধ্বগমনের এই প্রস্তুতি নিয়ে, তারপর মৃতদেহকে পরিচ্ছন্ন করে, পরিস্কার সাদা কাপড়ে মুড়ে রওনা দিয়েছে সৎকারভূমির উদ্দেশ্যে, নিকটস্থ অপর ভূমি আরও মাইল চল্লিশেক দূরে হওয়ায় তুলকুদের এখানেই আসা সাব্যস্ত করেছে।
বছর পাঁচেক আগে এক ফ্যাকাসে চামড়ার পশ্চিমা সাংবাদিক এসেছিল, ‘ঝাতর’ দেখতে। সাথে এক দেশী গাইড ছিল, যে পথ দেখিয়ে ওদের সৎকারভূমিতে নিয়ে এসেছিল, ভাঙা ভাঙা ম্যান্ডারিনে অনুবাদ করে দিচ্ছিল তুলকুর জবাব। সাংবাদিকের সাথে আবার বিশেষ অনুমতিও ছিল কিছু ছবি তোলার। সরাসরি মৃতদেহ থেকে মাংস ছাড়ানোর পদ্ধতির ছবি অবশ্য তোলার অনুমতি পায়নি। তুলকুর ব্যাপারটা পছন্দ না, এসব ছবি টবি তুললে মৃতের আত্মার বিবর্তন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়।
ওদিকে ভোরের কুয়াশায় বাবার পাশে বসে দাদার মৃতদেহকে ছোট ছোট কুড়াল দিয়ে টুকরো টুকরো করা দেখছিলো দশ বছরের লোসাং। চুল ফেলে দিয়েছিল আগেই। চামড়া ছিলে ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বের করে টুকরো টুকরো করছিল দুইজন। আর সবশেষে হাড় থেকে মাংস ছাড়িয়েছে, লম্বা ধারালো ছুরি দিয়ে। জানে পদ্ধতিগুলো সে, শুনেছে বাবার কাছে আগেই। বাবা আর দাদা যেবার দাদীকে নিয়ে এসেছিল লোসাং বেশ ছোট ছিল তখন, ওকে সাথে নেয়া হয়নি এতটা দূরত্ব পেরুতে পারবে না দেখে।
ভিনদেশীরা সহজে ওদের এই অতি সাধারণ কিন্তু কার্যকর সৎকার পদ্ধতিটা বুঝতে পারে না আসলে, ভাবছিল তুলকু। সেই সাংবাদিক অবশ্য বেশ পড়াশোনা করে এসেছিল, বুঝতে পারছিল তুলকু। ওকে অনেক অদ্ভুত প্রশ্ন করছিলো তাও। ছোট থেকে পাশের মন্দির আর এই সৎকারভূমিতে আছে তুলকু। ঝাতর ওদের কাছে যতটা না সৎকার তার চেয়ে বেশি পবিত্র একটা ধর্মীয় রীতি। তাছাড়া ঝাতরের সময়ে মৃতদেহ ছেড়ে মৃতব্যক্তির আত্মা চলে গেছে আকাশের অনেক উঁচুতে, যেখান থেকে মৃত্যুর ৪৯ দিনের মাঝে পুনঃজন্ম হবে তার কৃতকর্মের হিসাব অনুসারে, এই বিশ্বাসের কারণে তিব্বতীরা নিকটজনের মৃত্যুতে শোকের মাতম তোলার চাইতে বরং এইরকম সৎকারের মাধ্যমে তার পরলোক যাত্রা আরামের করে তুলতে সচেষ্ট থাকে। আত্মীয়, নিকটজনেরা উপস্থিত থাকে, অংশ নেয়। ঝাতর-এ পরিবারের সদস্যরা ছাড়া আর কেউ থাকে না সাধারণত, পরিবারের লোকজনদের ঝাতর তদারকি করতে উৎসাহিত করা হয়, যাতে মৃত্যু সম্পর্কে ভ্রান্তি, ভয় সব দূর হয়।
আসলে মৃত্যু কীই বা এমন, এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থার পরিবর্তনই তো, সাংবাদিকের প্রশ্নের উওরে বলেছিল তুলকু।
সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলো তাকে, শকুনই কেন? তাদেরকে যত্ন আত্তি করে খাওয়ানোই বা কেন?
শকুনের রূপে আসলে 'দাকিনি' ওরা, স্বর্গ-নর্তকী, জানিয়েছিল তুলকু, যারা পুনঃজন্মের পূর্ববর্তী ধাপে হয় আত্মার পথপ্রদর্শক, পুনঃজন্মের আগে আকাশের সর্বোচ্চস্তরে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
তিব্বতের অধিকাংশ অঞ্চলই পাথুরে, রুক্ষ, গাছও নেই তেমন আর তাই মৃতদেহ পোড়ানোর জন্যে পর্যাপ্ত কাঠের অভাব। সেইরকম সৎকারের সুযোগ অনেক বড়লোক, আর অনেক সম্মানিত পুরোহিতেরা ছাড়া পান না। মাটি খুঁড়ে কবর দেবার পদ্ধতির কথা জিজ্ঞেস করছিলো সেই সাংবাদিক, শুনে হেসে ফেলেছিল তুলকু, এই রুক্ষ পাথুরে ভূমিতে মাটি কই! তাও আবার যা বরফের আচ্ছাদনে পাথরের চেয়েও শক্ত হয়ে থাকে বছরের বেশিরভাগটা সময় জুড়ে!
তুলকুর দৈনিক আয় জিজ্ঞেস করেছিল সে... হিসেব করে বের করেছিল মৃতদেহ প্রতি প্রায় পাঁচ ডলার পায় সে। দিনে প্রায় ১০টা মৃতদেহ সৎকার করে তুলকু শুনে চমকে গিয়েছিল লোকটা।
যত্তসব অবান্তর প্রশ্ন!
মাথা ঝাড়ে তুলকু।
এতক্ষণ হাড়ের গুঁড়ো আর অন্যান্য নরম অঙ্গের টুকরো খেতে ব্যস্ত থাকা শকুনেরা এগিয়ে আসে এবার সবশেষে ভালো মাংসের টুকরো খেয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে উড়ে যেতে।
আরও আধা ঘন্টা পরে একদৃষ্টে বাবা আর ছেলে তাকিয়ে থাকে ঘুরে ঘুরে উড়ে যেতে থাকা প্রায় পঞ্চাশটা শকুনের দিকে, মৃতের আত্মাকে পথদেখিয়ে যারা নিয়ে যাবে মধ্যবর্তী জগতে...
মন্তব্য
বেশ ইন্টারেস্টিং! তবে হার্ডের তাত্ত্বিক ব্যামোওয়ালা পাবলিকের না পড়াই ভালো। ঐরকম একটা সাইনবোর্ড টাঙ্গায়া দেন উপরে!
তিব্বত (এই উচ্চারণ করে পরিচিত কিছু তিব্বতীদের কাছে মার খাবার যোগাড় হয়েছিলো। ওরা বলে টিবেট, আর নিজেদেরকে বলে টিবেটিয়ান।) নিয়ে মারাত্মক ফ্যাসিনেশন আছে আমার। যষ্ঠিনির্ভর হওয়ার আগে একবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। ওদের বিয়েও কিন্তু বেশ চমকপ্রদ। সেদিন এক বিয়েতে গেছিলাম। পুরাই ব্যাপক অবস্থা!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সাইনবোর্ড টাঙিয়েছিতো!!
তিব্বতীরাও 'টিবেট' উচ্চারণ করে? ওরা তো 'ত' বেশ ভালো উচ্চারণ করতে পারার কথা, পশ্চিমাদের মতন 'ট' হবার কথা নয়... 'তিবেত'? মনের ইচ্ছা মনে পুষে রেখে লাভ নাই আসলে, ভূটান, তিব্বত, হিমালয়, সবের জন্যেই দ্রুত বেরিয়ে পড়াই উত্তম, কী আছে জী-বনে!
বিয়ের অনুষ্ঠান কেমন হয় লিখে ফেলেন, ধুসর-রঙিন কিছু সচলায়তনে দেখি না অনেকদিন হলো। কালকেই লিখে ফেলেন না হয়, শুভদিন আছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সেটাই তো বললাম, তিব্বতীরাও স্বয়ং 'ত' আর দুই 'ব' লাগিয়ে নিজেদের দেশের নাম উচ্চারণ করে না। এটা খুব সম্ভবত কেবল আমরাই করি, কোহিনূরের তিব্বত স্নো/পাউডারের গুণে গুণান্বিত হয়ে।
তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান কেমন হয়, এইটা নিয়ে আমি লিখুম ক্যান! আমি কি বিবাহিত? আপনে মুফতি মেম্বর সাবেরে ধরেন। কাইলকা শুভ দিন ক্যামনে? মেম্বর কি দ্বিতীয় পক্ষের নিকাহ্ করতে রওনা দিছে নাকি?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুম, 'তিব্বত' আমরাই বলি মনে হয়, যেমন চীনারা বাংলাদেশকে বলে 'মঞ্জালা'।
আজকে কেন বিশেষ দিবস সেটা আপনি যেমন ভালো জানেন, আমিও জানি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই রীতিটা সম্পর্কে জানতাম আগেই- প্রথমবার পড়ে একটু ভ্যাবাচাকা খেয়ে গিয়েছিলাম। তিব্বতিদের মৃত্যু সম্পর্কিত চিন্তা ভাবনা জানার জন্য বেশ ভালো বই হচ্ছে (যেটার লিঙ্ক আপনি দিয়েছেন)- Tibetian book of the dead. এই বইটা আমি দার্জিলিং এর অক্সফোর্ড বুক শপে দাঁড়িয়ে অনেকটা পড়ে ফেলেছিলাম, বেশ ইন্টারেস্টিং বই।
লেখাটা ভালো লাগলো, তথ্যবহুল। তবে অনুবাদটা একটু আড়ষ্ট লাগলো, সম্ভবত ইংরেজি থেকে কিছু অংশ অনুবাদের সময় মূলানুগ থাকার কারণে এমন মনে হচ্ছে। তিব্বত নিয়ে আরো লেখা আসুক।
অলমিতি বিস্তারেণ
আহা! বইটা নেই? থাকলে ধার নিতাম ...
অনুবাদ...? মনে হয় রিচুয়াল আর পরলোক নিয়ে অংশগুলোর কথা বলছো? তুলকু ভাবছে সাংবাদিকের সাথে তার কী কী আলাপ হয়েছিল, তার কথায় তাই একটা ফর্মাল বা অফিশিয়াল ভাব রাখার চেষ্টা করেছি। অবজারভেশনের জন্যে ধন্যবাদ।
হুম, আসুক। সবজান্তার দেখা অবশ্য হিমালয় বা তিব্বত ছাড়া পাওয়াই যায় না, সবজান্তা নিজেই এমন লেখা আনতে পারে কিন্তু, শুনেছি সে সম্প্রতি আবারও হিমালয় দর্শন করে এসেছে...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হুম...
হুঁ...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জিনিসটা আগেই শুনেছিলাম, ইন্টারেস্টিং। সেটা বিশদেই উপস্থাপনা করা হয়েছে। কিন্তু লেখাটা ঠিক গল্প হয়ে উঠল কি না সে নিয়ে একটু অস্বস্তি...
তুলকু, তেঞ্চোরা কাল্পনিক সৎকারকর্মী, ঘটনাটা পুরোটাই কল্পনা করা, তাই গল্প।
আবার এটা মাঝবয়সী স্কাই বারিয়াল কর্মী তুলকুর প্রাত্যহিক জীবনের অংশ, আর দশ বছরের লোসাং এর জীবনে প্রথমবারের মতন কোন এক সকালে সৎকারকার্যে অংশগ্রহণ, তাই এটা তাদের গল্প।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঠিক সেভাবে বলতে চাই নি। এটা একটা দারুণ তথ্যবহুল লেখা, কিন্তু একটা দারুণ গল্প বলে মনে হয় নি...
ওহ্! হুম... তিথীর উত্তরে বলেছি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হুম
ধন্যবাদ পড়বার জন্যে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পার্শীদের মধ্যে একসময় এই রীতি ছিলো জানতাম, যা এখন ইরান সরকার নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তিব্বতিদের ব্যাপারে জানা ছিলো না, এখন আপনার এই লেখা পড়ে জানলাম। আমাদের মতো আধুনিকদের কাছে বীভৎস মনে হলেও, এ সব রীতি-নীতি তো মানুষেরই আদিম ইতিহাসের স্মারক। আমরা যদি যথেষ্ট পেছনের দিকে তাকাই, তাহলে হয়তো দেখবো মানুষের প্রতিটি গোত্রের মধ্যেই এ জাতীয় রীতি-নীতি একসময় ছিলো।
আপনার লেখাটি পড়ে, এক প্রিয় লেখকের কিছু কবিতাময় উক্তি মনে পড়ে গেলো:
পারসি'রা তাদের মৃতদেহকে বয়ে নিয়ে গিয়ে স্কাই টাওয়ারে রেখে আসত, সেখানে শকুনেরা দেহগুলি খেত। কিন্তু মৃতদেহকে কেটেকুটে এভাবে প্রসেস করার চল তাদের মধ্যে ছিল না বলেই জানি। মুজতবা আলীর একটা লেখায় এর মর্মস্পর্শী বর্ণনা আছে।
পারসি বা Zoroastrian সম্প্রদায়ে 'টাওয়ার অফ সাইলেন্সে' মৃতদেহ রেখে আসবার এই শত শত বছরের পুরানো পদ্ধতি প্রচলিত ছিল। এ ব্যাপারে বিশেষ জানা নেই, তবে আমি পড়েছি যে গ্রেটার ইরানে মূলত জনবসতি থেকে দূরে পাহাড়ের উপরে এই টাওয়ার বা Dakhma-গুলো স্থাপিত ছিল। পরে শহরসমূহের প্রসারের সাথে সাথে সেগুলো শহরসীমার ভেতরে চলে আসে, যেটা সমস্যা সৃষ্টি করে। ধীরে ধীরে তাঁদের নিজেদের মাঝেই অনেকে এই পদ্ধতিকে পুরানো মনে করে তা থেকে সরে আসেন, এবং তেহরানের অদূরে আলাদাভাবে কবরস্থান তৈরি করা হয়। orthodox Zoroastrian-রা ১৯৭০ পর্যন্ত একটা dakhma ব্যবহার করতেন, তারপর সবরকমের dakhma আইন করে বন্ধ করে দেয়া হয়।
তিব্বতী বৌদ্ধরা 'স্কাই বারিয়াল' করে আসছে প্রায় হাজার বছর ধরে। সম্ভবত পারসি-দের অনেক আগেই, কারণ উইকি বলছে টাওয়ারের সর্বপ্রথম ডকুমেন্টেড ব্যবহার জানা যায় ষোড়োশ খৃষ্টাব্দে, আর স্কাই বারিয়ালের তথ্য পাওয়া যায় দ্বাদশ শতাব্দির দিকেও।
তিব্বতীদের পদ্ধতি কিন্তু পারসি সম্প্রদায়ের থেকে অনেক ভিন্ন এবং মৃতের আত্মা বা মৃতদেহ নিয়ে চিন্তাভাবনাও।
‘বীভৎস’ শব্দটা আমি ব্যববার করতে রাজি নই ঠিক, কারণ প্রথমবার জেনে শকিং লাগলেও পরবর্তীতে আমার কাছে মনে হয়েছে সাধারণ তিব্বতীরা এই পদ্ধতি অবলম্বন করার যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহী কারণ আছে, পাথুরে শক্ত ভূমি, পর্যাপ্ত কাঠের অভাব... আর পরিবেশবাদীরা আবার এও বলেছেন, এই পদ্ধতি তাদের ঐ স্থানের জন্যে উপযুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব।
তাছাড়া আমাদের কাছে যা ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছে, একজন তিব্বতী ছোট থেকে সেটাকে সাধারণভাবে গ্রহণ করতে শেখে। তাদের কাছে কিন্তু মৃতদেহের গুরুত্ব মৃত্যুর পরে তেমন একটা নেই।
তিব্বতী বা পারসিদের এই সৎকার পদ্ধতিতে কিছু মিল থাকলেও বিশ্বাস এবং মূল আচারে পার্থক্য আছে। আর পারসিরা পুনঃজন্মে বিশ্বাস করে কিনা সে ব্যাপারে ঠিক জানি না। তবে দুইক্ষেত্রেই একটা মিল হলো সৎকারের এই পদ্ধতিগুলোকে মৃতের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যম হিসেবে ধরা হয়।
আসলে আমাদের এই আধুনিক পৃথিবীতেই একই সাথে নানান বিশ্বাস, আচার, সামাজিক রীতি-নীতি পাশাপাশি সহাবস্থান করছে। যা এক সম্প্রদায়ের কাছে আশ্চর্যজনক, তাইই অন্যের কাছে দৈনন্দিন জীবনের অংশ। ভেতরে কিন্তু আমরা একই রকমের মানুষ, পৃথিবীতে জীবনযাপনে বাহ্যিক নানান পার্থক্যমাত্র।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সুন্দর বলেছেন কৌস্তুভ'দা এবং যাযাবর ব্যাকপ্যাকার। আরো অনেক কিছু জানলাম। এই বিষয়টি খুবই ফ্যাসিনেটিং।
পারসি'দের বিশ্বাসের দিকটা কিছুটা উঠে এসেছে রবার্ট উইনস্টেনের 'দ্য স্টোরি অব গড' ডকুমেন্টারিতেও।
এখানে যাদের কথা আছে ওরা কি পারসিক ? কোথায় যেন শুনেছিলাম ওরা এভাবে সৎকার করে, তবে এত বিশদ জানতাম না। কদিন আগে আরেকটা খবর শুনেছিলাম যে, ভারত সরকার শকুন এর সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন। এখন গরু এবং অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণীকে মোটা তাজা করতে নানান ওষুধপত্র খাওয়ান হয়, এগুলো শকুনদের জন্য বিপজ্জনক। সেইসব প্রাণীর মংস খেয়ে শকুনেরা মারা যাচ্ছে। এতে এই ধর্মীয়দের সৎকার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
উপমহাদেশের শতকরা ৯৯ ভাগ শকুন ইতিমধ্যেই মারা গেছে, গরুর মাংস প্রয়োগকৃত সেই ঔষধের মাধ্যমে তাদের কিডনি অকেজো হয়ে পড়ত, এখন সে ওষুধ ভারতে নিষিদ্ধ, কিন্তু বাংলাদেশে ব্যবহার হচ্ছে।
facebook
এখানে যাদের গল্প তারা তো তিব্বতী। পারসিকদের সৎকার খানিকটা আলাদা, উপরের কমেন্টেই লিখলাম।
শকুনেরা স্ক্যাভেঞ্জিং-এর কাজটা ভালো ভাবে করে পরিবেশ পরিষ্কার রাখে, তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার চিন্তায় ভারত সরকার তাদের অবলুপ্তি নিয়ে চিন্তিত। আর এমনিতেই যে কোনো প্রজাতির অবলুপ্তিই উদ্বেগজনক। শকুনের অবলুপ্তিতে পারসিদের সৎকারের ব্যাঘাত ঘটবে ঠিকই, তবে সেটা পরিবেশবাদীদের বা সরকারের প্রধান মোটিভ নয়, যেহেতু ভারতে তাদের সংখ্যা বেশ কম...
পারসি বা Zoroastrian সম্প্রদায়ে মৃতদেহকে অপবিত্র মনে করা হয়, এবং মাটি বা আগুনকে দূষিত যাতে না করতে পারে তার জন্যে টাওয়ার অফ সাইলেন্স-এ রেখে আসা হয়, যেখানে মৃতদেহ রোদ-বৃষ্টির পাশাপাশি শিকারী পাখি, মূলত শকুনের খাদ্যে পরিণত হয়। তিব্বতে মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাঝে স্কাই বারিয়াল পদ্ধতি প্রচলিত। দুই রীতির পদ্ধতিতে পার্থক্য আছে, যেমনটা উপরের মন্তব্যে বলছিলাম।
Zoroastrianism সম্পর্কে বিস্তারিত পড়া নেই আসলে, তবে যতদূর জানি পারসিদের প্রচলিত ধারণায় 'ডেমন' বা দুষ্ট-আত্মা মৃতদেহে প্রবেশ করে সবকিছু কনটামিনেট করে ফেলে। আর টাওয়ারগুলো এমনভাবে প্রস্তুত ছিল যেন, রোদ, বৃষ্টি, হাওয়া, শিকারী পাখির মাধ্যমে মৃতদেহ দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যায়। টাওয়ারে প্রবেশের অনুমতি নির্দিষ্ট সৎকারকারী কর্মীদের ছাড়া আর কারও ছিল না। টাওয়ারের সর্বোচ্চ স্তরে বা ছাদে তিনটি রিং-এর মাঝে, বহিঃস্থ রিং-এ পুরুষদের মৃতদেহ রাখা হতো, মধ্যবর্তী রিং-এ নারীদেরকে, আর ভেতরের রিং-এ শিশুদেরকে। রোদ-হাওয়ায় হাড় প্রায় ব্লিচড ক্লিন হয়ে গেলে একসময়ে সেগুলো মাঝের ossuary pit-এ ট্রান্সফার করা হতো, এক্সময়ে সেটাও চুন আর রোদে-জলে ধুয়ে গুঁড়ো হয়ে বিলীন হয়ে যেত তারপর একসময়ে কয়লা আর বালির ফিল্ট্রেশন দিয়ে বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে সাগরে চলে যেত।
ইরানে এই dakhma গুলো আইন করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে ভারতে চলে আসা পারসিদের ভেতরে এই পদ্ধতি নিয়ে যতদূর জানি বিভিন্ন মত কাজ করে; মিক্সড ম্যারেজ, অ্যাথেইজম, টাওয়ারের ব্যবহারের যৌক্তিকতা ইত্যাদি থেকে সৃষ্ট বিতর্কও আছে। ভারতের টাওয়ারগুলো শহরের মাঝে হলেও সাধারণত বাগান দিয়ে ঘেরা আইসোলেটেড হয়ে থাকে। আর আপনি যেমনটা বললেন, শিকারী পাখি, যেমন শকুনের সংখ্যা বিংশ শতাব্দীতে আশঙ্কাজনক হারে কমে এসছে বিষক্রিয়া্র কারণে। তাছাড়াও শহরাঞ্চলের প্রসার, জনসংখ্যা বৃদ্ধিও কারণ। উইকিপিডিয়ার আর্টিকেলে দেখলাম বলছে যে ভারতীয় পারসিরা শকুনের কৃত্রিম প্রজনন এবং মৃতদেহ ডিকম্পোজিশনের জন্যে বড় বড় আয়নাকে "solar concentrators" হিসেবে ব্যবহার ইত্যাদি ট্রাই করছেন। কিন্তু এগুলো রৌদ্রজ্বল দিন ছাড়া কাজের নয় বলে, অনেকে আবার মৃতদেহ কবরও দিয়ে থাকেন।
তিব্বতে কিন্তু আরও কিছু সৎকার পদ্ধতি প্রচলিত আছে। যেমন –
স্কাই বারিয়ালের টেকনিকেও স্থানভেদে পার্থক্য আছে পড়েছি। কোথাও কোথাও শিশু বা রোগাক্রান্তদেরকে এই পদ্ধতিতে সৎকার করা হয় না। মৃত্যুর তিনদিন পরে মৃতদেহকে পরিস্কার করা হয়, সাদা কাপড়ে মুড়ে স্কাই বারিয়ালের আগে ভ্রূণের অনুরূপ আদলে পুনঃসজ্জা করা হয়। অনেক সময়ে শকুনদেরকে একসাথেই বিভিন্ন অংশ খেতে দেয়া হয়, কখনো কখনো আগে হাড়, সফট অর্গানস ফিড করার পরে ভালো মাংস দেয়া হয়, যাতে খাবার পরে শকুনেরা উড়ে চলে যায়। অনেক তিব্বতী, বহু দূর পথ মাড়িয়ে, পাহাড়-পর্বত অতিক্রম করে বারিয়াল গ্রাউন্ডে পৌঁছান। এই পদ্ধতি সময় আর ব্যয় সাপেক্ষও যাদের পক্ষে বারিয়াল গ্রাউন্ডে আসা সম্ভব না, বা সঙ্গতি নেই, তারা অনেক সময় উঁচু পাহাড়ের উপরে পাথরের চাতালে মৃতদেহ রেখে আসেন।
তবে পুরো প্রক্রিয়াটাই মৃতদের জন্যে সম্মানজনক আর পুনঃজন্মে সহায়ক একরকমের রিচুয়াল মনে করা হয়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জানতাম কিছু, আরো জানলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই ব্যাপারে একটু নিজের বিজ্ঞাপন দিয়ে যাই। আগ্রহী পাঠক এটা পড়ে দেখতে পারেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
জটিল!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভালো লাগল, মনে হচ্ছে তিব্বতের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঝটপট কয়েকটা ফিচার লিখে ফেলি
facebook
ধন্যবাদ।
আর লিখে ফেলেন! তিব্বতের পাঠকের অভাব হবে না আমার জানামতে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লেখাটা ইন্টারেস্টিং, তবে ইয়ে.. গল্প হিসেবে একটু কম সাবলীল মনে হয়েছে।
তিব্বতে টিনটিন বইটা আবার পড়তে ইচ্ছে করছে এক্ষুণি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুম... গল্পটা আরও ঘষামাজা করার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু মনে হলো যেই কথাটুকু বলতে চাইছিলাম তা বলা হয়ে গেছে, তাই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে পোস্ট করে দিলাম, পরে কখনো দেখবো না হয় আবার।
টিনটিন পড়তে ইচ্ছ হলে বসে থাকার কোন মানে নেই, শুরু করে দেয়া উচিত।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভয় লাগলো (ইমো পেলাম না খুঁজে)।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাহ্ রে, 'নোটিস' দিয়ে রাখলাম দিলাম যে!
প্রথম জানায় চমকপ্রদ নিঃসন্দেহে... কিছুটা রিপালসিভও হয়তো... তবে ঘটনা সত্য, এবং অতি স্বাভাবিক নিয়মেই প্রচলিত।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অনেক কিছু জানলাম পোস্ট এবং মন্তব্য পড়ে, যাযাদি!!!! তিব্বতীদের নিয়ে ইন্টারেস্টিং আরো লেখা চাই..........
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ ঈষৎ। তিব্বত নিয়ে আরও লেখা আমিও চাই... আশা করি আরও যাঁরা ভালো জানেন হিমালয় আর তিব্বত নিয়ে, তাঁরা নিয়মিত লেখা দেবেন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঠিক বলেছেন আপু।
_____________________
Give Her Freedom!
খালি পেটে ভয় পেতে রাজী নই দিদি। ভরপেট খেয়ে লেখাটা পড়ে যাবো। আপাতত শুভেচ্ছা নাও
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লেখা ভালো লেগেছে, তবে গল্প নিয়ে কৌস্তুভের বলা কথাই মনে আসলো। জিনিসটা সম্পর্কে এক/দুই লাইনে জানতাম, বিশদ জেনে ভালো লাগলো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঠিক একটানে পড়ার মত গল্প/লেখা এইটা না, বাক্যগুলো বেশ ওজনদার, ঠাস-বুনোটের। অনেকক্ষণ সময় নিয়ে পড়লাম। রেফারেন্সগুলো গুগল করার ইচ্ছেটাকে উসকে দিল। ফ্যাকাসে চামড়ার পশ্চিমা সাংবাদিকদের প্রসঙ্গটা দারুণভাবে টেনেছেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অনেক ধন্যবাদ ফাহিম। গল্পটা এ ব্যাপারে আরও জানবার আগ্রহ জন্মাতে পেরেছে জেনেছে ভালো লাগলো। এই বিষয়ে পড়বার পরে আমি একটা বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম বাবার সাথে, আর পরে ফেসবুকে, যেখানে ওডিনদা, সবজান্তা, আরও কয়েকজন আলাপ করেছিলাম।
তখনই লেখার ইচ্ছা ছিল, একজন সৎকারকর্মীর গল্প, দিনে যে প্রায় ১০-১৫টা মৃতদেহের স্কাই বারিয়ালে অংশ নেয়, মৃতদেহ প্রতি যে ৫ ডলার করে পায়... কেমন সেই মানুষের জীবনটা? বাইরের দুনিয়ার মানুষ কেমন করে দেখে তাকে? সে নিজে কী ভাবে? এটা স্রেফ তার প্রফেশন, যেমনটা আমি ভাবি আমার প্রফেশন নিয়ে বা আরেকজন ভাবে তারটা নিয়ে? এই প্রশ্নগুলো ঘুরছিলো মাথার ভেতরে...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভয়ে হাত, পা.....
শকুনে খেয়ে ফেললে
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
তাহলে আর কী! খেল খতম পয়সা হজম!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বাপ্রে কেমন ধারার সৎকার পদ্ধতি! পারসিকদের সম্পর্কে খানিকটা জানতাম। তিব্বতের সৎকার সম্পর্কে বিশদভাবে জানলাম। সত্যিটা বলি, পড়তে গিয়ে গা ঘুলিয়ে উঠলেও চমকপ্রদ বলেই পুরোটা শেষ করতে পেরেছি।
পোস্টদাতাকে এ জন্য অভিনন্দন
কত রকমের বৈচিত্র আমাদের এই একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতেই, তাই না? সবকিছু সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানি না, আগ্রহও পাই না অন্যের রীত-নীতি জানবার, সে কারণেই সহজভাবে নিতেও শিখি না তাদেরকে, সম্মান দেখাই না তাদের সামাজিকতাকে, ভয় পাই, বিরক্ত হই, গাঁজাখুঁড়ি বাজে কাস্টমস বলে অপবাদ দেই...।
অথচ ঘুরে ফিরে সবাই মানুষ। সবাই হাসি, কাঁদি, আনন্দ-কষ্ট সবারই একই রকমের।
জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ - একই সাইকেলে, একই জীবন যাপন করি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দারুন লেগেছে, সুখপাঠ্য। এই সৎকার পদ্ধতিটা সম্পর্কে জানতাম না। ধন্যবাদ যাযাপু।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনাকেও ধন্যবাদ রাস্ম'দা। কিন্তু দেশে ফিরে মনে হচ্ছে আগের চেয়েও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কাজের ফাঁকে নিয়মিত বিরতিতে লেখাও পাবো আশা রাখছি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ব্যাস্ততা তো সবসময় থাকবেই। একটু আলস্য অবশ্য আছে। গত বরিবার থাইল্যাণ্ড থেকে ফিরেই একগাদা কাজের চাপ। আবার এই রবিবার শ্রীলঙ্কা যাচ্ছি প্রায় দুই সপ্তাহের জন্যে। এদিকে ঘাড়ে পড়েছে একটা সিনিয়র পজিশনের সিভি শর্টলিস্টিং এর দায়িত্ব, গতকাল পর্যন্ত পাওয়া ১০০ সিভি নিয়ে বসেছি।
তবে আজ একটা পোস্ট দিলাম, একটা দীর্ঘ রগড় গল্প। মডারেশন পেরোলে হয়তো শীগগিরই পেয়ে যাবেন। আর যদি দেখেন, গালি দেবেন না কিন্তু। কিছু রাজশাহীর সংলাপ আছে এবং অজস্র ভূলে ভরা। আমি রাজশাহীর ভাষায় তেমন ভালো না।
ভালো থাকবেন আপু।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনেক ধন্যবাদ কল্পলোকের দেশের ব্যাকপ্যাকারকে! তিব্বত নিয়ে মারাত্মক রকম আগ্রহ কাজ করে, একবার অনেক চেষ্টা করেও যেতে পারিনি ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা,
তিব্বত যামুই যামু, খ্রান!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি দুর্বল চিত্তের মানুষ। তাই কুন্দুন দেখা হয়ে ওঠে নি এখনও। তবে "হিউম্যান প্ল্যানেট" দেখতে গিয়ে স্কাই বারিয়াল সম্পর্কে কিছুটা ধারণা হয়েছে!
নতুন মন্তব্য করুন