অপেক্ষা
একটা মেইল আসবে সেই অপেক্ষা করছি এক সপ্তাহ হলো। অনেকদিন পরপর এরকম অপেক্ষা করি, মেইল, মেসেজ, ফোন, সম্মুখ বার্তা, এরকম কিছুর। কখনো কখনো ভালো খবর আসে,.. কখনো কখনো অন্য একটা সিদ্ধান্ত বা অনুসিদ্ধান্ত নেবার মতো এক টুকরা খবর আসতে অনন্তকাল কেটে যায়।
তবু এক এক সময়ে দমবন্ধ হয়ে আসবে, মনে হবে যে, “কেন? দুনিয়া ভর্তি এত এত নীচ, হীন মানুষ থাকতে সবাইকে মাতিয়ে রাখা, জীবনকে উপভোগ করতে পারা, এত প্রাণস্পৃহাধারী অনেক কমবয়সী কাওকে কেন শাস্তি পেতে হবে?”, তখনো চুপ করে দাঁত পিষে ভান ধরে থাকো কিছু জানো না, কিছু হয় নাই। সব ঠিকঠাক। তুমি ছাড়া তোমার আশেপাশের আর কেউ বুঝবে না, কী হবে পাগলটা চলে গেলে, কিছু যায় আসে না আর কারও। আর চলে গেলে তোমার ভেতরের একটা বড় অংশ যে ফাঁকা হয়ে যাবে, সেটাও কারও জন্যেই কোন ব্যাপার না।
কাজেই চুপ করে অপেক্ষা করো, আবার কখনো যদি একটা মেইল আসে, একটা মেসেজ, একটা কমেন্ট যেটা পড়ে অবস্থা যতই সঙ্গিন হোক না কেন, হাসতে হাসতেই দম আটকে যাবে।
মাঝেমাঝে মনে হয় চিৎকার করে বলি, চাই না তোর সাথে যোগাযোগ রাখতে পাগলী, দরকার নাই আমার তোকে! তুই চলে যা যেদিকে খুশি... খালি আমাকে ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিয়ে যা, তুই পৃথিবীর যেখানেই থাক, সুস্থ থাকবি!
অভাব
ইদানীং এভাবে খুব কম জনই শুভেচ্ছা জানায়... শুভেচ্ছা বার্তাগুলোতে আন্তরিকতা কমে গেছে... সব কেমন জলো জলো, গৎবাঁধা... জন্মদিনের শুভেচ্ছা, বন্ধুত্বের শুভেচ্ছা, ঈদের শুভেচ্ছা... কেউ বলে না, “খুশি থাক, আনন্দে থাক, কষ্ট পাস না কখনো।“
ছোটবেলায় বড়রা বলতো, “অনেক বড় হও।“ এখন আর কেউ মাথায় হাত রেখে এইটা বলে না। বলবে কী! এমনিতেই কি কম বড় হয়েছি! এতটা হয়তো তারাও তখন আশা করেনি।
এখন আর সবাই আন্তরিকভাবে গুড উইশেস দেয়ই বা কীভাবে, সবাই নিজেদের সমস্যায় জর্জরিত, বেচারারা... খারাপই লাগে। নিজের কথা দুই চারজন বন্ধুবান্ধবকে বলতে গেলে তাদের সমস্যাও শোনা লাগে... শুভাশিস চাইতে গিয়ে লজ্জা পেয়ে নিজেই বলি, “চিন্তা করিস না, সব সমাধান হবে, তুই পারবি।“
শুধু বাবা-মা ছাড়া এটুকু মনে হয় এখন আর কেউ ভাবে না আমার জন্যে, আলাদা করে... ভাবতে ভয় পায় হয়তো, কে জানে, তাদের শেয়ারের ভালোটুকুও যদি আর কেউ পেয়ে যায়? দুনিয়াতে শুভাশিসের বড় আকাল যে!
আলিঙ্গন
ইদানীং বারবার সিঁড়ি দেখি স্বপ্নে... ঘুরেফিরে সিঁড়ি... কখনো সেটা একটা জাহাজের ডেকে, তো কখনো সেটা কোন এক বহুতল ভবনের অফিসের খাঁজে। বাড়ির সিঁড়ি, কর্মক্ষেত্রের সিঁড়ি, সিনেমার সিঁড়ি, কল্পনার সিঁড়ি সব মিলেমিশে যায়। খোয়াবনামা নিয়ে আগ্রহ কম ছিলো আগে, তাও কৌতূহল হলো এবার। আন্তর্জালে খুঁজে দেখলাম জ্ঞানী-গুণী খোয়াব-কারিগরেরা বলেছেন, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে এসে এ বস্তু বারে বারে দর্শন হতে পারে।
“বটে!” বললাম মনে মনে। বাঁক তো চারিদিকেই... চিরকালই! সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি বলে মনে তো হয়না, তবে সমস্যা কোথায়?
নিশাচর আমি, সেদিন দেড় ঘণ্টাও ঘুমাইনি, ভোরবেলায় হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে ঘুম ভেঙে গেল। ঘুম ভাঙার আগেও কাঁদছিলাম বুঝতে পারলাম। যে মানুষটা ছোটবেলার আদরের অনেকখানি জুড়ে, নিজের সামর্থ্য থাকালীন অকাতরে আশ্রয়হীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সাধারণকে বিস্মিত করা তেজস্বিনী, বাহান্নতে কুমুদিনী কলেজের প্রাচীর টপকে মিছিলে অংশ নেয়া, নিজের পাঁচটা মেয়েকে সুশিক্ষিত করে বড় করা সেই নানীকে যখনই দেখি, শুধু তার মৃত্যুর আগের অসুস্থ মানুষটাই সামনে আসে... বহুদিন পরে ছোটবেলার হাসিখুশি অনেক অনেক ভালোবাসা সঞ্চিত মানুষটাকে দেখে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম ঘুমের কল্প-রাজ্যেও, মনে হচ্ছিলো পুরোটাই ছোটবেলার কোন স্মৃতি...
কিন্তু আমি তো জানতাম আমি ছাড়া আর কেউ দেখছে না তোমাকে...
তোমার চেহারাটা এত স্পষ্ট করে মনে ছিলো আমার?! ... কত গল্প শোনার ছিলো, কত কথা জানার ছিলো... আচ্ছা, আমার সিঁড়িগুলোর অর্থ বলতে পারবে তুমি? হাসছিলে কেন শুধু শুধু? আর ঐ পিচ্চি মেয়েটা, কাকে কোলে নিয়ে রেখেছিলে সারাক্ষণ?
অনির্বাণ
মুরাোকামির উপন্যাসটায় সাপোরোতে এক হোটেলের অন্ধকার করিডরে আটকা পড়া নায়কের কথা পড়তে গিয়ে ভবিষ্যৎ সাপোরো বাসিন্দার কথা মনে পড়ে গেল। আমার ইচ্ছা করছে তার সাথে ঘুরে ঘুরে ঐ তুমুল ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষাকারী জুতো, জামার শপিং করে দেই, দুইজনে বসে আর একবার চা-সিঙ্গারা খাই ছাত্রজীবনের মতো।
কিন্তু চলে যাবার আগে নানান কাজে তার ব্যস্ততা শেষ হয় না।
ক্লাস থ্রি-এর ভর্তি পরীক্ষা দেবার সময়ে আমার পেছনের বেঞ্চে বসে থাকা গম্ভীর মেয়েটার গাড়ির শেইপের পেন্সিল বক্সের দিকে আমার যতটা আগ্রহ ছিলও, ভর্তি পরীক্ষার খাতার দিকে অতটা মনোযোগী হতে পারলে ভালো হতো হয়তো। কিন্তু তখন কে জানতো, স্কুল-কলেজ এমনকি ইউনিভার্সিটির গণ্ডি পেরিয়েও আমাদের একসাথেই নিবাস হবে এতদিনও! সবথেকে বেশি হাতাহাতি, মাইরপিট করেও, এতদিনেও পাশাপাশি ডেস্কেই বসে আছি দু’জনে! তবে বেশি দিন নয়... যাযাবর ব্যাকপ্যাকারের ট্রেন স্টেশনে বসে থাকার পার্টনারশিপ নিজেদের শহরে ফিরেই ঘুচেছিল... আর সপ্তাহ খানেকের মাঝেই বাকিটাও...
আমার মনে হয় বলা হবে না কিছু মুখে, বরং যাবার দিনে তোকে একটা মেইল করা যেতে পারে, সার রিয়াল একটা উপন্যাসের সাথে এক লাইনের বার্তা – I will miss you...
বা লিখবো না হয়তো কিছুই...
ভালো থাকিস বন্ধু, দেখা হবে...
অস্তিত্ব
মায়ামমতা কম বলে অপবাদ দেয় আমার দুর্জনেরা। কথাটা খানিকটা সত্য, ফেলে আসা কোন জায়গার বা কিছুর জন্যেই সেভাবে অনুভব করি না মনে হয়... কিছু কিছু জিনিস তো মনে থাকেই, নতুন জায়গায় পুরনো কিছু অভ্যাস, কিছু ব্যাপার টিকে থাকলে ভালো হতো মনে হয়... একটু চিনচিনে অনুভূতি যে হয় না তা সবাইকে বুঝতে দিতে নারাজ আমি, আমার একটা রাফ এন্ড টাফ ভাব আছে না! কিন্তু তাও এবার বাড়িটা ছেড়ে যেতে যেন কষ্ট বেশি হলো... হিসেব করে দেখলাম ঘুরে ফিরে দফায় দফায় প্রায় সতের-আঠারো বছর কেটে গেছে ঐ বাগানে, ঝোপে, পুকুর পাড়ে, বারান্দার গ্রিলে... রাস্তার মানুষ আর বাগানের পোকামাকড় দেখে।
আজকে রাতেও বলছিলাম একখানে কেমন সেখানে আঠারো রকমের ফলের গাছ ছিলো, আর ভাবছিলাম কেমন সেখানে কাঠঠোকরা আর বক দেখা যেত পুকুর পাড়ের গাছের ডালে, আর বর্ষার দিনে কেমন একটা-দু’টো শুঁয়োপোকা আচানক এসে টেবিলে বসে থাকা নিরীহ আমার হাতে পায়ে লেগে গিয়ে বিশ্রী অবস্থা হতো...
এই বাসাটায় কতজনের কত স্মৃতি... এই বাসাটা কতবার ছেড়ে গিয়েছি... আবার ফিরেছি... কিন্তু এবার আর তো ফিরে আসা হবে না সেভাবে... নিজের অস্তিত্বের একটা টুকরো একটু একটু করে হারিয়ে যাবে এবার চিরতরে...
সচলায়তনে লিখতে শুরু করার একদম প্রথম দিকে একবার গাছ-পাখি-কথা লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম একটা মন্তব্যে... অস্তিত্ব হারিয়ে যাবার আগে তা করে ফেললে ভালো হতো...
অনুরণন
ইদানীং সবথেকে বিরক্ত লাগছে নিজের কথা কাওকে বোঝাতে, এফোর্টটুকু দিতেই কষ্ট হচ্ছে। ভাবনাচিন্তাগুলো বড় হবার সাথে সাথে জট পাকিয়ে যাচ্ছে, নাকি আমিই কথা বলার আর্ট ভুলে যাচ্ছি বুঝতে পারছি না। তবে সম্ভবত সমস্যাটা অন্যখানে, সবাই নিজের চিন্তাটাকেই প্রাধান্য দিতে দিতে অন্য যে কেউ আলাদা কিছু বললেই ক্ষেপে যাচ্ছি আমরা। সহনশীলতা কমছে সুস্থিরভাবে। এমনটা ভেবেই কিছুদিন ধরে চেষ্টা করছি, ধৈর্য ধরে রাখতে। কেউ বারবার ভুল বুঝলেও, কথার অর্থ পেঁচিয়ে ফেললেও আরকবার চেষ্টা করে দেখতে। প্যাঁচানো দুনিয়াতে হয়তো আমরা সবাই না চাইতেও প্যাঁচ খেয়ে গেছি কোনভাবে।
এমনিতেই আমার ভাবনাচিন্তা আধ-পাগলা বলে বিশ্বাস পরিচিত মহলে, গুরুজনেরা আমাকে এখনো বড়দের মতো হতে উপদেশ দিয়ে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে। আমিও গোঁ ধরে আছি, আমি আমার মতোই থাকবো। বেশ ভালো একটা স্নায়বিক যুদ্ধ চলছে যা হোক।
খালি দুই-চারজন বন্ধুবান্ধবকে মাঝেমাঝে ঘ্যান ঘ্যান করে বলে ফেলি, “ক্লান্ত লাগছে রে ভাই! আর ভালো লাগছে না একই জিনিস বারবার পুনরাবৃত্তি করতে।“
মনে হয় তারাও আমার পুনরাবৃত্তিতে ত্যক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমার জ্ঞানী ভাব ধরে থাকা সহনীয় নাই আর।
শুধু আমার ভেতরের অস্থিরতাটুকু বেড়েই যাচ্ছে, বেড়েই যাচ্ছে... সেগুলো কমাবার কোন উপায় খুঁজে পাওয়া মুশকিল হচ্ছে আরও দিনকে দিন। এটাই হয়তো বড় হয়ে যাওয়া।
ছোটবেলায় যে কোন সমস্যাতে দৌড়ে বাবা-মার কাছে আশ্রয় নেয়া যেত নির্ভার ভাবে। আমার অদ্ভুত সব আচরণ আর ভাবনাগুলোকে বাক্সে বন্দী করে আমাকে আর দশজনের মতো বানিয়ে ফেলতে ব্যস্ত অন্যদেরকে এড়িয়ে এখনও দৌড়ে আশ্রয় নেয়া যায় সেখানে নির্ভয়ে, আমার দোষ-ত্রুটি ভুলে গিয়ে আমাকে আগলে রাখবে সেভাবেই। কিন্তু কোথায় যেন ফ্রিকোয়েন্সি আলাদা হয়ে গেছে, মাঝেমাঝেই তারাও বোঝে না... রেজোন্যান্স হয় না আর চুপ করে থাকলেও। এটাকেই হয়তো জেনারেশন গ্যাপ বলে।
বারবার করে নিজের কথা আর কাজের ব্যাখ্যা দিতে আর ভালো লাগে না। বারবার পুনরাবৃত্তি করতে ইচ্ছা করে না। বলতে ইচ্ছা করে না, "ভাইসব, যা বলতেছি সিন্সিয়ারলি বলতেছি... যা শুনতেছেন, ইহাই সরলভাবে গ্রহণ করুন! সত্যই কোন প্যাঁচ নাই, কোন দ্ব্যর্থকতা নাই কথার মধ্যে!"
খুব ইচ্ছা করে কেউ সেরকম থাকুক, চুপ করে থাকলেও যার সাথে সুরের অনুরণন হবে...
মন্তব্য
হুম আমার ও এমনি হয় আজকাল, চাইলে ও অনেক কিছুই মাকে বলতে পারিনা, অনেক অভিযোগ গলায় থাক্তেই গিলে ফেলি, অনেক কান্না ঠোঁট চেপে ধরে স্তব্ধ করে দিই। মন খারাপের পালে আপনি আবার বাতাস দিলেনগো যাযাদি।
মন খারাপ করিয়ে দেবার ইচ্ছা নিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম না। মাস কয়েক ধরেই অস্থিরতা যাচ্ছে, টুকিটাকি নানান ব্যাপারে... ব্লগরব্লগর করতে ইচ্ছা করছিলো, আবার মুড ছিলো না। ঘুমাবার উদ্দেশ্যে চোখ বুঁজে মিন্ডির গানটা শুনছিলাম লুপে ফেলে, ঘুম আসতে গিয়ে চোখ ভিজে গেল হুদাই। মনে হলো ভাবনাগুলো গুছিয়ে ফেললে অস্থিরতা খানিক কমে যাবে হয়তো...
গান শোনেন, গানটা সুন্দর।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
facebook
সক্কাল সক্কাল এত মন ভার করা লেখা পড়া ঠিক হয় নি, একদম নয়...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অথবা আমারই লেখা ঠিক হয় নাই।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যখন সময় থমকে দাঁড়ায়...
ভালো লাগা বিষণ্ন কথামালায়।
-টোকাই।
বিষণ্ণ কথামালাই যে কেন আমাদের ঘুরেফিরে ভালো লাগে এইটাই আমি বুঝি না...
নেন একটা গান শোনেন, আজকে আবার এইটার লুপে আছি -
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হয়তো তার মাঝেই নিত্য বসবাস বলে সে অনেক আপন আমাদের।
গানটা দারুণ।
খুব ভাল্লাগছে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপনারা ঘুরে যাবার পর থেকে আজকে আট মাস হলো চরম বোরিং সময় কাটছে। সেরকমভাবে আড্ডাবাজিই হয় নাই আর শহরে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আর আড্ডার কথা বলো না। এই আড্ডার জন্যে বাপ আমারে চড় দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছিলো আর একটু হলে। তাও ভর সন্ধ্যা বেলায় মাত্র নয়টা বাজে, আবার তখন সদ্য ইন্টারমিডিয়েট পাশ করছি, বেশ ভাব নিয়ে বিড়ি টিড়ি খাই। কি অপমান!!!
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
গুড। এইতো দিগন্তে রূপোলীরেখা দেখা যাচ্ছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি তো কই কাঁটা-কুটা কিসস্যু দেখি না!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সব ঠিক হয়ে যাবে রে পাগলা। ঠিক হতেই হবে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন