ছোটবেলায় প্রথম পূজো দেখার স্মৃতি আব্বার হাত ধরে, রাজশাহী শহর থেকে আধা ঘণ্টার দূরত্বে, পুঠিয়ায়। দুর্গাপূজোর ছুটিতে বাসে চড়ে পুঠিয়ার রাজবাড়ি দেখতে গিয়ে পুজামণ্ডপও ঘুরে দেখা হয়েছিলো, সেটা মনে হয় ক্লাস থ্রি বা ফোরে। তার আগে ঢাকায় থাকতে এ সুযোগ হয়নি। এরপরে শহরের অলিতে গলিতে ঢাক-বাদ্য আর মণ্ডপের আলোকচ্ছটা দেখেছি বহুবার।
প্রায় এক দশকের বেশি সময় ঘুরে ঘুরে পূজো দেখা হয়নি। ২০১১-তে ঠিক করে রেখেছিলাম প্রতিমা তৈরি দেখতে হবে। ঘুরতে ঘুরতে হাজির হয়ে গেলাম গণকপাড়ার বৈষ্ণব সভার দোরে, ভেতরে কারিগরেরা তখন মহাব্যস্ত।
প্রধান কারিগরের নাম মনে নেই, কিন্তু তিনি এসেছিলেন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের দিক থেকে। ওদিকে অন্য কারিগরদের কেউ ব্যস্ত দেবীর চোখ-মুখ আঁকতে, তো কেউ ব্যস্ত রঙ করতে।
প্রতিমা গড়া দেখা হলেও সে বছর পূজো দেখার সুযোগ হলো না। গত বছর সেই শখ মেটানো হলো একেবারে সপ্তমী-বিজয়া দশমীর দিন পর্যন্ত দফায় দফায় ঘুরে। শুরু করেছিলাম ঘোড়ামারা পোস্ট অফিসের উল্টোদিকে জোড়া শিব মন্দিরের তৈরি করা পূজো-মণ্ডপ থেকে। জোড়া শিব মন্দির নিয়ে আলাদা করে কোন একসময়ে লিখতে হবে, মজার আর চমৎকার কিছু অভিজ্ঞতা আছে এখানে।
পুজা দেখতে আসা পিচ্চিরা পোস্ট-অফিসের সামনে দাঁড়ানো ভ্রাম্যমান ডাকঘর গাড়িটা ঘিরে বরফ-পানি খেলায় মত্ত।
পোস্ট অফিসের সামনের রাস্তা ধরে এগুলেই রাজশাহী শহরে প্রায় অর্ধশত বছর ধরে রথের মেলার রথ রাখে যেখানে, সেই রথবাড়ি-তে। বাড়ির সামনের অংশ, গ্যারাজ মতো, সেখানে রথটা থাকে সারাবছর। রথ-কে আড়াল করে সামিয়ানার ঘের দিয়ে সাজানো হয়েছে চমৎকার প্যান্ডেল। রথবাড়ির আয়োজন এতই বিশাল যে দেখি উল্টাদিকের 'উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য' মহোদয়ের বাড়ির ভেতরেও তার অংশবিশেষ প্রবেশ করেছে।
আমদের কৌতূহল দেখে বিমল সরকার বাবু নিজেই এসে আপ্যায়ন করলেন। দেখলাম উঠানে পাতা টানা টেবিল গোছানো হচ্ছে। জানালেন সেদিন খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা ছিলো সকলের। যেই আসুক না কেন অতিথি, যে ধর্মেরই সকল সময়ে অবারিত দ্বার। কথাপ্রসঙ্গে বললেন, “সার্বজনীন দুর্গোৎসব”, মানে সকলের সাথে মিলে-মিশে যে উৎসব। আমরা সবাই যদি যার যার উৎসবের মাধ্যমে সবাইকে না জানি, সমাদর না করি, কেমন করে অহিংসার বাণী ছড়াবে? আলোচনা আরও আগাতো, কিন্তু আমাদেরকে বিদায় জানাতে হলো সময় স্বল্পতার কারণে, তখনো অনেক টো টো করা বাকি।
খানিক এগিয়ে বোয়ালিয়া থানার পাশে যেখানে মোড়ের উপরে রাজশাহী ব্যাংকিং ও ট্রেডিং করপোরেশনের শত বছরের পুরানো লাল দালানটা এখনো দাঁড়িয়ে, তার পাশেই ট্রাক-মালিক সমিতির অফিসেও দেখি বড় আয়োজন। ভেতরে দেখা গেলো মণ্ডপের প্যান্ডেলে আছে ‘আরতি প্রতিযোগিতা’-র বিজ্ঞাপন। আর ফটকের উপরে শ্রী রামকৃষ্ণ আর তার অনুসারী স্বামী বিবেকানন্দের ছবিও।
বড় রাস্তায় মানে সাহেব বাজারের রাস্তায় বেরিয়ে, আলুপট্টির দিকে যেতে ‘রীঁ বরদা কালিমাতা মন্দির’-এর রাস্তা হয়ে কুমারপাড়ার ভেতর দিয়ে এবার চললাম সোজা নদীর ধারে। এখন সেখানে নজরুলের নামে চমৎকার একটা খোলা মঞ্চ হয়েছে। পৌঁছে দেখি মহা ভিড়। নদীর হাওয়া, পূজো, আর মেলার মতো রকমারি পণ্য।
সনাতন ধর্ম সংঘ-এর প্যান্ডেলে বড় করে পোস্টার ঝোলানো – “বিশ্ব শান্তি কল্পে সার্বজনীন শারদীয়া দুর্গোৎসব”। 'ফুদ্কীপাড়া' নামের যে একটা পাড়া আছে, সেটাও জানা হলো! পরে একবার কুমারপাড়ার ভেতরের অলিগলি দিয়ে (পুরোই গোলকধাঁধা, বাড়ি-ঘরের ফাঁক দিয়ে এত সরু সে সব গলি, যে রিকশাও ঢোকে না! রাজশাহীর পুরানো এলাকাগুলো আমাকে প্রায়ই পুরান ঢাকার কথা মনে করিয়ে দেয়), গিয়েছিলাম মনস-পূজো দেখতে। প্রায় রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও, শুরু হতে দেরি হওয়ায় সেবার আর দেখা হয়নি, কিন্তু আতিথেয়তায় কমতি হয়নি, অত রাতে অপরিচিত লোকের বাড়ি হাজির হয়ে গেছি বলে। আমাদের ছোট্ট এই শহরের মানুষগুলোর আয় রোজগার কম হলেও, তাদের মনগুলো বড় বড়।
তো নদীর ধারে বড় বড় প্যান্ডেলের পাশে ওখানে দেখি বিশাল বিশাল হাঁড়িতে রান্না হয়েই যাচ্ছে! প্রসাদ – খিচুড়ি। আরতি প্রতিযোগিতার নোটিস এখানেও সাঁটা ছিলো।
দশভূজা দেবী দুর্গার সাথে দুর্গাপুজায় আরও উপস্থিত থাকেন দেবীর দুইপাশে তার ছেলেমেয়েরা - প্যাঁচার সাথে দেবী লক্ষ্মী, ইঁদুরসহ গণেশঠাকুর, আর রাজহাঁসে চেপে সরস্বতী, ময়ূরবাহন কার্তিক।
তারপরে আলুপট্টির দিকে নদীর ধারে কালী মন্দিরের কাছে যাবার পথে দেখলাম - কসমস। ব্যতিক্রমী ছিলো একরঙের আয়োজন। এবছর কসমস-এর আয়োজনে সেই হিসেবে অতটা নতুনত্ব ছিলো না যেন।
এ বছর ছুটিই মিলছিলো না। আজকে না কালকে করতে করতে বিজয়া দশমী চলে আসলো। অনেক ইচ্ছা ছিলো এবার কুমারীপুজা দেখবো, সময় মিললো না। আজকে দুপুরে যখন আকাশ অন্ধকার করে বৃষ্টি নামছে, যা আছে কপালে ভেবে একটা আওয়াজ দিলাম, যদি কেউ হাজির হয় ভেবে। সাড়া দিয়ে শেষ পর্যন্ত হাতে রইলো পেন্সিল! আবার ঘোড়ামারা পোস্ট অফিস থেকেই শুরু।
তবে বৃষ্টি ভেজার বদলে বরং বৃষ্টির কারণেই ভিড় পাতলা, রাস্তা একদম ফাঁকা পেলাম। ছবিতে এটা বরেন্দ্র গোষ্ঠীর আয়োজন।
উৎসব, তা বৈদেশী হোক আর স্বদেশী, তার মূল লক্ষ্য আনন্দ বলেই জেনেছি। সে আনন্দ সকলের মাঝে বিলিয়েই বাড়ে। উৎসব তা যে দেশী যে রীতিরই হোক না কেন, তার অধিকাংশেরই আবার সূত্রপাত মানুষের কোনো না কোনো ধর্মীয় রীতিকে অবলম্বন করে। উৎসবের আয়োজন, খাদ্যতালিকা টু পোশাক ইতিহাসে ধরে রেখেছে কোন অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক পরিবর্তন। উৎসবে অংশ নেয়ার তাই দরকার আছে। সেটাই শিখেছি ছোট থেকে। এবার তাই এই ব্যানারের একদম উপরের লেখাটা মন কেড়েছে। শুধু আমি বুঝলেই যে চলবে না, শেখানোর, জানানোর দায়িত্বটা যে সকলেরই তা হয়ত আমরা খেয়ালই করি না।
গতবারও বিজয়া দশমীর দিন সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চের কাছে নদীর ধারে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও কাছে থেকে বিসর্জন দেখতে পারিনি। ভিড় ছিলো, সরু রাস্তায় রিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়ে ওয়ান-ওয়ে করে দিয়েও সমস্যা হচ্ছিল। এবার সন্ধ্যার মাঝে বিসর্জন সম্পন্ন হবার কথা থাকায় আর আবহাওয়া বিরূপ হওয়ায় আমাদের ভাগ্য বরং ভালোই মনে হলো। বিসর্জন দেখে একেবারে নদীর পানি ছুঁয়ে ফিরলাম।
আলুপট্টির কালী মন্দিরের দিকে হেঁটে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা নামলো। ঝড়ো হাওয়ার সাথে রঙিন মেঘের আকাশ, আর নদী।
অক্টোবর আমার প্রিয় মাস, নভেম্বর আর ডিসেম্বরও। তবে শরৎ-হেমন্ত আমার প্রিয় ঋতু। বিকালের ঠাণ্ডা হাওয়া, দুপুরের মিঠে রোদ। নীল আকাশ আর পেঁজা তুলোর মতো সাদা ছড়ানো মেঘ। আর উৎসবের আমেজ শহর জুড়ে। এবার পুজার দাওয়াত পাইনি, যদি আশা আছে ছুটি শেষে বন্ধুরা ফিরলে কিছু খাইদাই হবে। কিন্তু অক্টোবরেই যদি ঈদও পড়ে, তো মহা আনন্দেরই সময় বটে! সকলকে উৎসবমুখর শুভেচ্ছা।
Created with Admarket's flickrSLiDR.
মন্তব্য
রাজশাহীতে তো বেশ পূজো হয়। শুভেচ্ছা জানবেন।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
হুঁ, বছর জুড়েই নানা রকমের পূজো চলতে থাকে। কুমারপাড়ার দিকে বিশেষ করে খোঁজ রাখলেই দেখা যায় কিছু না কিছু হচ্ছেই। শুধু রাজশাহী না, পুঠিয়া, নাটোর, আশেপাশের অন্যান্য জেলাশহর দিয়ে বেশ জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব হয়। চলে আসুন একবার।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এবার আমারো খুব ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পুজা দেখার সময় বের করতে পারি নি।
সম্ভবত ২০০২ সালে দূর্গা পুজার সময় কলকাতায় ছিলাম, সেবার দেখেছিলাম কলকাতার পুজা! সে এক এলাহী ব্যাপার! একেক দিন গিয়েছিলাম কলকাতার একেকটা দিকে, দেখেছি মন্ডপ নির্মানে মুন্সিয়ানা আর কল্পনা শক্তির ব্যবহার, লোকে লোকারণ্য, প্রতিদিন সন্ধ্যায় মন্ডপে বিশাল সাংস্কৃতিক আয়োজন, সবশেষে বিসর্জন। সে স্মৃতি কখনই ভুলবার নয়!
-এস এম নিয়াজ মাওলা
আমার পশ্চিমবঙ্গের পূজো দেখার শখ আছে। দেখা যাক, কখনো হয়ে যাবে হয়তো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পূজো যা দেখার সবই দেখেছি রাতের বেলায়, ভীড়ের মধ্যে এক মন্ডপ থেকে আরেক মন্ডপে ছোটাছুটি করে নানান রকম লাইটিং দেখা
তবে, আপনার দেয়া লেখা শেষের স্লাইড শোতে কিছুই দেখাচ্ছে না
শুভেচ্ছা
স্লাইড শো'র জন্যে মনে হয় আপনাকে ফ্ল্যাশ প্লেয়ার আপডেট করতে হবে। তবে অসুবিধা নাই, যে কোন একটা ছবিতে ক্লিক করলেই সেটা আমার ফ্লিকার একাউন্টে নিয়ে যাবে, সেখান থেকে পুরো Durga Puja, Rajshahi সেটটাই পেয়ে যাবেন দেখার জন্যে।
সচলায়তনে আপনার প্রথম পোস্টটা চমৎকার হয়েছে। আপনাকেও শুভেচ্ছা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বাহ, চমৎকার। এই পোস্টের বরাতে রাজশাহীর পূজামণ্ডপগুলোর কিছুটা হলেও ঘুরে দেখা হয়ে গেল। ভালো লাগল অনেক। উৎসবের এই সময়টাতে সব ধর্মালম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ছোট থেকেই অক্টোবরে পূজোর হইচই দেখে আসছি। পূজো দেখতে বের হওয়া না হলেও আব্বু আগে একবার অন্তত সাহেব বাজার এলাকা দিয়ে ঘুরিয়ে আনতো অন্তত শহরজুড়ে আয়োজন যেন চোখে পড়ে সে জন্যে। আগে তো স্কুলও ছুটি হতো বেশ কয়েকদিনের জন্যে, এখনকার কথা জানি না। জমানো গল্পের বই পড়ার অলস দুপুরের কথা মনে পড়ে আমার পূজার ছুটি আসলেই।
গত কয়েকবছর ধরে তোলা ছবিগুলো জমে যাচ্ছিলো, পোস্ট দিচ্ছি, দিবো করে হয়ে উঠছিলো না। কালকে বিসর্জনও দেখতে পেলাম, মনে হলো প্রতিমা গড়া থেকে শুরু করে বেশ ভালো একটা টাইমলাইন দাঁড়িয়েছে। ফ্লিকারে প্রায় ৫০টার মতো ছবি আপলোড করেছি, কিন্তু আরও আছে।
ঈদ মোবারক তোমাকে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দিয়ে ফেলেন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ব্রেশ ব্রেশ ! পূজা এবার ভালই কাটালাম, ছবি দিতেছি --
facebook
তাত্তাড়ি দাও।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
প্রতিমা বানানোর ছবি দেখে অনেককাল আগের স্মৃতিরা ভীড় করে এল।
লেখার সাথে ছবি মিলে ভাল লাগল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ছবিগুলো খুব সুন্দর। আমরা যারা দেশের বাইরে থাকি তাদের কাছে এইসব ছবি একটুকরো বাংলাদেশের মতন লাগে!
ছোট বেলায় আব্বুর সাথে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা দেখত যেতাম আগে। আপনার লেখায় সেই স্মৃতি মনে আসলো।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার সফলতা যদি অর্জন করে থাকি, তবে পোস্টটা সার্থক হয়েছে বলতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অনেক বছর হলো মন্ডপে যাওয়া হয়না আগের মতো। একটা সময় ছিলো শহরের সবগুলো মন্ডপে সন্ধ্যা থেকে ঘুরে বেড়াতাম বন্ধুদের সাথে। এমনও দিন গেছে দূরে কোন গ্রামে ও গিয়েছি সারারাত নেচেছি আর পান করেছি। সেই দিনগুলো মনে পড়ে গেলো আপনার লিখা পড়ে আর ছবিগুলো দেখে। এখনো আমার এলাকায় ব্যাপক আকারে উৎসব হয়, এখনো মানুষের ঢল হয়। শুধু আমি যেতে পারিনা সেইসব ঢলে।
এখন আমি নিজ শহরে পরবাসী। আগের সেই বন্ধুরা নেই, তাই আগের মতো আর সেই ঘুরে বেড়ানো ও নেই। আর রাজশাহী আমার শৈশবের শহর, কৈশোরের শহর। রাজশাহীর প্রতি আমার অন্যরকম ভালোলাগা আছে, ভালোবাসা আছে। অনেক বছর যাওয়া হয়নি, আপনার ছবিগুলো দেখে আবার যেন ফিরে গেলাম সেই দিনগুলোতে যা ডাকে আমায় প্রতিনিয়ত। ভালোথাকুক রাজশাহী, ভালোথাকুক সব বাঙালি সকল উৎসবে একত্না হয়ে।
মাসুদ সজীব
পুরনো বন্ধুদেরকে আমিও খুব মিস করলাম এবার ...
ভালো থাকুক বিশ্ববাসী।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ছবি তুলতে বের হব ভেবেছিলাম। আজ-না-কাল করতে করতে শেষ। পোস্ট ভালো হয়েছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পড়তে পড়তে ছোটবেলা থেকে দুর্গোৎসবের স্মৃতিগুলো ভেসে উঠলো মানসপটে। লেখা ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বাহ, রাজশাহীতে তো বেশ সুন্দর পূজো হয়!ছবিগুলো খুব সুন্দর!
পূজো শেষ তবু যেতে মন চাইছে খুব, ওদিকটায় যাওয়া হয়ে ওঠেনি।
গান্ধর্বী
সবাই তো বলে শহরটা পরিষ্কার, ছিমছাম, শান্ত। ভালো লাগবে মনে হয়। চলে আসুন সময় করে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অনেক ধন্যবাদ ইচ্ছে আছে, সুযোগের অপেক্ষায় আছি।
গান্ধর্বী
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রাস্সাহি মিসাই
...........................
Every Picture Tells a Story
'রাশ্শাঈ'
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
‘রীঁ মানে কী?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এটা আমারও জানার ইচ্ছা, একদিন থেমে জিজ্ঞেস করতে হবে দেখি। হতে পারে সংস্কৃত কোন শব্দ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হা, পুজা টা সার্বজনীন।
অফটপিক: মন্তব্য করলে শেষে নাম/নিক দিয়েন, কার মন্তব্য পেলাম জানতে ভালো লাগে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এবার পূজোয় ছিলাম রাজশাহীতে। আপনার সাথে দেখা হয়ে গেলে তো ভালোই হতো!
____________________________
তাই তো! ঘুরবার সময়ে দলভারী হতো একটু।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন