আমার আকাশে কয়েকটা ঘুড়ি ছিল
লাটাইয়ের টানে পতপত করে উড়ত লাল নীল ঘুড়িগুলি
মানুষের সমাজে ঘুড়িগুলোই বন্ধু ছিল আমার।
আজ সকালে ঘুড়িগুলো হারিয়ে গেছে
নিমিষে আকাশটা ফাঁকা হয়ে পড়েছে আমার
ঘুড়িহীন আকাশ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি
আকাশও ঘুড়ি না পেয়ে ঝেটাচ্ছে আমায়
ঘুড়িহীন আমি যেন তরঙ্গিত নদীতে বাঁধ হয়ে পড়ে আছি
বাধাগ্রস্ত হচ্ছি , বাধা দিচ্ছি
কেউ কি আছেন
দয়া করে ঘুড়িগুলো খুঁজে দিন ।
মন্তব্য
শুধু আপনার না বোধহয়। আমাদের সবার ঘুড়িগুলা হারায়া গ্যাসে। এখন খোঁজা শুরু করতে হবে। এখনো মনে হয় সময় শেষ হইয়া যায় নাই।
কবিতা ভাল্লাগলো।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
অভ্যাসের বশে নাড়াচাড়া করি নাটাই
কোন বাতাসে যে খোয়া গেছে ঘুড়ি আর কোন রং নিয়ে সে ফুড়ে যেত আকাশ
কিছুই কি এখন মনে পড়ে আর?
আমার ঘুড়িটাও হারিয়ে গেছে। তবে মাত্র নয়দিন আগে। চাইলেও আর তাকে পাবোনা...
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
কারো ঘুড়ি হারায়, কারো হয়ত বা আকাশটাই হারায়......
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কবিতা ভালো লাগলো। সবার ঘুড়ি খোঁজার ব্যাবস্থা করা উচিত। আর সবজান্তা ভাই আস্তো আকাশ আবার কেম্নে হারায়??
আইডিয়াটা ভালো। কিন্তু কবিতাটা ঠিক কবিতা হয় নাই। সাধারন কথা হইছে। ৩ দিলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মাফ করবেন মাহবুব মুর্শেদ আপনার কথাটা ঠিক ধরতে পারলাম না । কবিতা কি ? দৈনান্দিন জীবনের ব্যবহৃত শব্দগুলোই তো যেগুলোর অন্য অর্থ থাকে ,যারা সমষ্টিগতভাবে স্বাভাবিকভাবে যা বলা হয় তাকে অতিক্রম করে , নতুন কিছু ভাবতে শেখায় , নতুন কোন অর্থ প্রকাশ করে । আমার তো মনে এয় এ লেখাটায় তা আছে । তাহলে এটাকে কবিতা বলতে সমস্যাটা কোথায় ?
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
কবিতার এই ডেফিনেশন কে দিলো?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মনমত হল না ভাই ?
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
কোন সৃষ্টিশীল মাধ্যমকে কি ঠিকমতো "ডিফাইন" করা যায়? আমি তো বলিনাই যে আপনার কবিতা "ডিফিনেশন ঠিক মতো ফলো করে নাই"। আমি বলছি, কবিতাটা ঠিক কবিতা হয়ে উঠে নাই। এইটা এখন কেমনে বুঝাই? একটা উদাহরন দেই:
"রিক্সার গদিতে বইসা কান চুলকাইতেছিল এক রিক্সাওয়ালা
জিগাইলাম, ওই যাইবা?
আমারে চটাশ কইরা একটা চড় দিলো!
দেশটা কই যাইতাছে?"
হইল এইটা একটা কবিতা?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার কথাবার্তার ধরনে আহত না হয়ে উপায় থাকছে না । একবার আপনি চিন্তা করুন কি বলছেন ।
"রিক্সার গদিতে বইসা কান চুলকাইতেছিল এক রিক্সাওয়ালা
জিগাইলাম, ওই যাইবা?
আমারে চটাশ কইরা একটা চড় দিলো!
দেশটা কই যাইতাছে?"
হইল এইটা একটা কবিতা?
এইটার কি কোন আলাদা অর্থ আছে । আপনার ব্যবহৃত এই শব্দাবলী কি কোন বিশেষ অর্থ প্রকাশ করছে যা সাধারণ কথ্য ভাষায় বলার চেয়ে আলাদা ।
আপনি যখন একটি কবিতাকে "ঠিক কবিতা হয় নি" বলতে চাইবেন তখন আপনাকে উপযুক্ত মানদন্ড নিয়েই বসতে হবে । আপনি বলেন নাই যে "ডিফিনেশন ঠিক মতো ফলো করে নাই" তাহলে আপনি কিসের উপর ভিত্তি করে বলতে চাইছেন "কবিতাটা ঠিক কবিতা হয়ে উঠে নাই" ?
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
আহত হবার কিছু নাই। আমি আমার যুক্তি দিচ্ছি আপনি আপনারটা দিন। শেষমেষ যার যুক্তি জোরালো হবে তারটা মেনে নেবে পাঠক।
কোন 'রচনা'র অর্থ তো একটা আরোপ করাই যায়। আমি যে উদাহরনটা দিলাম সেটা ডেলিবারেটলী 'র' করা। কিন্তু তারপরেও কি এই কবিতা দেশের অস্থীতিশীল অবস্থা প্রকাশ করে না? কোন বিচারে এটাকে কবিতা না বলবেন? জাস্ট আপনার ফীল থেকে। কিংবা যে অর্থ প্রকাশ করেছে সেটা আপনার কাছে গ্রহনযোগ্য হয় নাই দেখে। তাই তো?
কবিতার ক্ষেত্রে এই ফীলটা খুব জরুরী। আমি ঠিক বুঝিনা কিভাবে এটা আনা যায়। সেকারনে কবিতাই লিখিনা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
১। "আমি গণিতাবিষ্কর্তা , আমার নিজের আবিষ্কৃত
ঘনমূল নির্ণয়ের পদ্ধতিটি বিদ্যালয়ে ঐচ্ছিক গণিতে
অন্তর্ভুক্ত আর পাঠ্য হয়ে গেছে , যেটি
ক্রমে ক্রমে পৃথিবীর সব বিদ্যালয়ে
পাঠ্য হবে । এর ফলে কুড়ি কোটি ছাত্রছাত্রী আমার গনিত
পড়ে যাবে যতদিন পৃথিবীতে মানুষ ও দেবদেবী রবে ।"
মোর্শেদ ভাই আপনার ভাষায় তো এই কয়েকটা লাইনও কোন কবিতা হয়ে ওঠার কথা নয় কারন "কাব্য নেই !" । এতে হয়ত আপনি আলাদা কোন অর্থও ধরতে পারবেন না ,পারবেন কি ? অথচ এটাই কিন্তু বিনয় মজুমদারের শ্রেষ্ঠ কবিতায় একটা কবিতা হিসেবে আছে । কি বলবেন ?
২।"কবিতার ক্ষেত্রে এই ফীলটা খুব জরুরী। আমি ঠিক বুঝিনা কিভাবে এটা আনা যায়। সেকারনে কবিতাই লিখিনা।"
আপনে যখন বোঝেনই না এই ফীলটা কিভাবে আনা যায় তখন অন্যজনের লেখায় "ঠিক কবিতা হয় নি " বলে মন্তব্য করেন কিভাবে ?
কড়া কথা বলা হয়ে থাকলে মাফ করবেন ।
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
১। বিনয় মজুমদার আসল কোথা থেকে? কথা হচ্ছিল আপনার কবিতা ঠিক কবিতা মনে হচ্ছে কিনা। বিনয় মজুমদার বা আর কারো লেখার কথা তো হচ্ছিল না।
আমার কাছে আপনার কবিতা, কিছু অর্থবহ, সাধারন কথার বেশী মনে হয়নি। সেটাই বারবার বলছি।
২। কবিতা লিখতে পারিনা বলেছি। পড়তে পারিনা সেটা বলি নাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার একটা বক্তব্য আছে, একগুচ্ছ শব্দ দিয়ে অন্য অর্থ প্রকাশ করা আছে, কিন্তু কাব্য নাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
যান্ত্রিক ভাই, আপনার এই কবিতাটায় লবণ একটু কম হয়েছে। আগেরগুলি বেশ ভালো লেগেছিলো। পুঁতির মালা ছিঁড়ে গেলে যেমন ঝন ঝন করে ছোট ছোট পুঁতি এদিক সেদিক ছিটকে পড়ে, সেরকম ছিলো ছোট ছোট কবিতাগুলি। এই কবিতাটায় আপনি যে সামষ্টিক অর্থকে অতিক্রম করার কথা বলেছেন, সেটা ঠিক পূর্ণভাবে যেন অতিক্রম করতে পারেনি। পাঠকের আশাভঙ্গ হয়েছে কিছুটা। প্যান্টের কোমর ঢিলা হলে যে অনুভূতিটা হয়, সেরকম হচ্ছে। কোথায় যেন ঠিকমতো স্পর্শ করতে পারেনি আপনার কবিতাটি।
আপনি আমার মন্তব্যে আহত হবেন না। অন্য পাঠকের কাছে হয়তো এ কবিতাকেই এ দশকের সেরা বলে মনে হতে পারে। কবিতার হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় পাঠকহৃদয়ও একটা অংশ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হ্যাঁ হিমু ভাই আপনার কথা মানলাম । সচলায়তন একটা কমিউনিটি । এখানে সবাই একটা পরিবারের মত । একটা মন্তব্য যখন কেউ লিখবে তখন অন্য কেউ যাতে আহত না হয় সে বিষয়টাই সবসময় খেয়াল রাখা উচিত । হ্যাঁ, তাহলে কি এখানে লেখার সমালোচনা হবে না ? অবশ্যই হবে তবে সেটা যথাযুক্ত কারন দেখিয়ে । ঢালাও একটা মন্তব্য করা কি ঠিক ?
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
ঢালাও মন্তব্য করলাম কোথায়? যথাযোগ্য কারন দেখায়ে আমার মতামত জানালাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
যান্ত্রিক ভাই, আসলে মুর্শেদ তো ঢালাও কোন মন্তব্য করেনি। আপনার কবিতা পড়ে ওর মনে হয়েছে, এটা কবিতা হিসেবে ওকে স্পর্শ করতে পারেনি। সেটাই জানিয়েছে।
কবিরা খুব সংবেদনশীল হন। কিন্তু পাঠকরা সব সময় সেই সংবেদনশীলতার সাথে নিজেকে টিউন করতে পারবেন না। ফলে এই কবি ও পাঠকের যোগাযোগ প্রক্রিয়া কখনো কখনো ব্যত্যয় ঘটবে। এটা অনেকটা ট্রাপিজে দড়াবাজদের খেলার মতো। আপনি দোল খেতে খেতে আপনার কবিতাকে ছুঁড়ে দিলেন পাঠকের কাছে। সে-ও দোল খেতে খেতে সেটাকে হাত বাড়িয়ে ধরার চেষ্টা করলো। হাত ফসকে গেলে কবিতাটা মাঠে মারা যাবে। কাকে দোষ দেবেন? কবিকে না পাঠককে?
হাঁটুপানির জলদস্যু
ওরে খাইছে, এতো দেখি আরেক কাঠি সরেস!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হিমু ভাই
১। আপনার কথা পুরোপুরি মানলাম । কয়েকটা পংক্তি মিলে "কবিতা হয়ে ওঠা না হয়ে ওঠা " নিয়ে বিস্তর কাইজা-ফ্যাসাদ করা যাবে , বহু রেফারেন্স টেনে বলা যাবে কোনটা কবিতা আর কোনটা নয় । আরেকটু ঝগড়াঝাটি(!) করার ইচ্ছে ছিল মাহবুব ভাইয়ের সাথে । যাক সেসবে আর যাচ্ছি না । পাঠকরা তাদের কথা বলবেই ,ক্ষেপে লাভ নেই ।
কথাটা ভাল লাগল ।
ঘুমাতে গেলাম । মাহবুব ভাই ভাল থাকবেন ।
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
আমিও তো আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আর একটা ব্যাপার।
"আমি গণিতাবিষ্কর্তা , আমার নিজের আবিষ্কৃত
ঘনমূল নির্ণয়ের পদ্ধতিটি বিদ্যালয়ে ঐচ্ছিক গণিতে
অন্তর্ভুক্ত আর পাঠ্য হয়ে গেছে , যেটি
ক্রমে ক্রমে পৃথিবীর সব বিদ্যালয়ে
পাঠ্য হবে । এর ফলে কুড়ি কোটি ছাত্রছাত্রী আমার গনিত
পড়ে যাবে যতদিন পৃথিবীতে মানুষ ও দেবদেবী রবে ।"
এই কবিতাটা হয়তো বিনয় মজুমদারের শ্রেষ্ঠ কবিতা সংকলনে আছে। কিন্তু শুধু সে কারণেই কি এটি শ্রেষ্ঠ? আমি কিন্তু সংকলকের সাথে এ কবিতাটির ব্যাপারে একমত না-ও হতে পারি। আপনি নিজেই আপনার ব্লগের পাদপঙক্তিটির কথা ভাবুন। মানুষ নিকটে এলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়। এই বাক্যটিই চোখের সামনে এমন একটি ছবি তুলে ধরে, যা আমাদের এই বাক্যের কবিতাগুণ বা মজুমদারের কবিগুণ সম্পর্কে নিঃসন্দেহ করে তোলে। বিনয় মজুমদারের গণিতফেটিশ বা গণিতাচ্ছন্নতা সম্পর্কে মোহগ্রস্ত না হয়েও আমি এই বাক্যটিকে স্তুতিতে ভরিয়ে তুলতে পারি। "এর ফলে কুড়ি কোটি ছাত্রছাত্রী আমার গনিত
পড়ে যাবে যতদিন পৃথিবীতে মানুষ ও দেবদেবী রবে" সম্পর্কে এই একই মুগ্ধতা তো আমার মধ্যে কাজ না-ও করতে পারে। আমি বলতে পারি, এটি কবিতা হয়নি। এই কথা দিয়ে আমি যা বোঝাতে চাইছি, কবিতা হিসেবে এটি আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি।
পৃথিবীর অনেক সঙ্গমেই নারীর অর্গাজম ঘটে না। পুরুষের ঘটে। নারীরা সেগুলোকে, "এটা কোন সঙ্গমই হয়নি" বলে উড়িয়ে দিতে পারেন। পুরুষ তাতে রাজি না-ও হতে পারে। তাই না?
হাঁটুপানির জলদস্যু
এটা মোর্শেদ ভাই শুরুতে পরিষ্কার করলেই কিন্তু ,,,,,,,,,,,,,,,
যাই হোক আমরা ভাল থাকি
ভাল থাকুক আমাদের কবিতারা ।
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
@ হিমু
জট্টিল যুক্তি! মারহাবা!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হিমুর অভিজ্ঞতা প্রসূত মনে হয়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এইটা কোন মন্তব্যই হয় নাই। ২ দিলাম ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
মুর্শেদের মন্তব্যকে আমি পাঠক ঈশ্বরের স্বৈরাচার বলেই ভাবছি । পাঠক বড় স্বাধীন,সার্বভৌম,যা খুশি তাই । তাই যে কবিতা লিখতে একজন কবির হৃদয়ে ক্ষরণ হতে হতে একেবারে 'বেরাছেরা' অবস্থা সেই কবিতাকেই পাঠক বলে বসতে পারেন ' বালছাল' লেখা!
এতে নিশ্চিত কবিমাত্রই আরো আহত হন, কিন্তু কি আর করা- ঐ যে পাঠক ঈশ্বর যিনি ঈশ্বরের মতোই নিষ্ঠুর,করূনাময় ও রহস্যপ্রিয় । রহস্যপ্রিয় এ কারনে , এই একই 'বালছাল' লেখাই হয়তো অন্য পাঠকের কাছে ধরা দেয় শ্রেষ্ঠতম কবিতা হয়ে ।
কবিকে তাই হজম করতেই হবে, বুকে নিয়ে বালির বিষ নিরবে মুক্তো ফলাতে হবে ।
যান্ত্রিক, আপনার কবিতা আমার ভালো লাগলো । ভালো থাকুন ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
"যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে..."
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ এর একটা কথা আছে...
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আলোচনা ভালোই লাগলো। তবে ডিয়ার যান্ত্রিক আপনার এই কবিতাটায় কাব্য মাধুর্য কম ফলে শেষ করার পর তেমন একটা ভালো লাগার অনুভূতি থাকে না। কবিতার পাঠক হিসেবে তাই এটি আমার ভালো নাও লাগতে পারে। হয়ত আপনার সামনের কবিতা আরো ভালো কিছু হবে।
মূর্তালা রামাত
নতুন মন্তব্য করুন