এ কেমন রূপকথা শোন,
নেই কোন দত্যি দানো।
আছে কুয়াশা আর চন্দ্রকলা,
আছে ভুবন ভরা ভালোবাসা।
দেশের নাম চন্দ্রালোক। পরীর রাজ্য চন্দ্রালোক। রাজ্যে এখন ঘোর দুর্দিন। চন্দ্রালোকের বুড়ি রাজমাতার কথায় চলে রাজা আর রাজ্য। কি জাদুর জালে এমন হয়ে গেল রাজা, কেউ জানে না।
মাস তিনেক আগেও ছিল সব ঠিক ঠাক। রাজ্য জুড়ে আনন্দের ফোয়ারা। আর ক’মাস পরেই রানীর কোল জুড়ে আসবে ফুঁটফুঁটে এক শিশু। গোটা রাজ্যের নতুন উত্তরাধিকার। সে রাজপুত্র হবে নাকি রাজকন্যা, এখনো জানেনা তারা। রাজপরী শিশুর নাম কি হবে, তাই ভেবে পায় না। একরত্তি পরীবাবু, হবে সবার নয়নের ধন। পরী রাজা আর রানী তো রূপে রূপে রূপের সায়র। বাবু যে কত্তো সুন্দর হবে, কেউ ভাবতেই পারছে না। রাজার মনে বেজায় খুশি... রানীর চোখে রাজ্যের হাসি। এমন সুখের দেশ মহাবিশ্ব তন্ন তন্ন করে খোঁজা হলেও কেউ পাবেনা। সেই রাজ্যে... হঠাৎ কি হল, কেউ বুঝে পাচ্ছে না। রাজার চলা ফেরা কেমন যান্ত্রিক মানুষের মত। ঐ যে, মানুষদের পৃথিবীতে রোবট না কি যেন বলে, তেমন। রানীকে দিয়েছে নির্বাসন। শিশুর মুখ দেখতে চায় না রাজা। এই শিশু ভূমিষ্ঠ হলে রাজ্যের নাকি অমঙ্গল হবে। রাজমাতার অনুগত জ্যোতিষ পরীর ভবিষ্যতবানী এ। না ফলে যাবে কোথায়। আর যাই হোক, রাজ্যের তো অমঙ্গল ডেকে আনা যায় না। রানীর ডানা কেটে তাই মানুষের রাজ্যের এক গহীন জঙ্গলে দিয়েছে তাকে নির্বাসন। রাজমাতার যুক্তি, এই শিশু অভিশাপ। তাই এই রাজ্যে তার ঠাঁই হবে না। অমন রানী গেলে আর কি হবে। নতুন রানী আনা যাবে। নাইবা হল রানী সুলেখার মত এতো লক্ষী, নাই বা হল এতো সুন্দরী, রানী রানীই।
রানীর কি অসহায় অবস্থা! জীবনে কোনদিন রাজপ্রাসাদের বাইরে হাঁটেনি। সেই রানী কিনা আজ গহীন বনে একাকিনী। গর্ভে তার রাজ্যের উত্তরাধিকার। রাজমাতার সব ষড়যন্ত্রের পরও, সেই আসল উত্তরাধিকার।একে যেভাবেই হোক বাঁচাতেই হবে তাকে। দুঃখিনী রানীর বুকের ধন। এই গহীন বনে কেউ না জানুক কে সে, তাকে একা হলেও বেঁচে থাকতেই হবে। কতক্ষন ধরে সে হাঁটছে। এক ফোঁটা পানি পর্যন্ত খায়নি। তেষ্টায় বুকটা ফেটে যাচ্ছে। ক্ষুধায়, পিপাসায় রানী টলে পড়ে মাটিতে। আর কিচ্ছু মনে নেই তার। চোখ মেলে দেখে, এক অদ্ভুত কুটিরে সে শুয়ে। মাথার কাছে এক কুৎসিত দর্শন বুড়ো মহিলা। পরনে তার অদ্ভুত পোষাক। এমন তো আগে সে দেখেনি। বুঝতে পারল, এই বুড়িই তাকে এখানে নিয়ে এসেছে। ঘরের কোনে জলের কুঁজো। বুড়ি তো বোঝে না কি চাই সে। সে অবাক চেয়ে আছে রানীর মুখের দিকে। এমন সুন্দর কোন মানুষ হতে পারে, তার বিশ্বাস হতে চায় না। আসলে তো রানীকে এখন মানুষের মতই লাগছে। তার পাখা তো কেটে দিয়েছে রাজমাতা কলাকৌশলে। শেষে রানী যখন হাত বাড়িয়ে জলের কুঁজো দেখালো বুড়ি বুঝল, পানি খাবে সে। বুড়ি ছুটে যায়। বুড়ি এটা আনে, ঐটা আনে। কি দিয়ে এই রমনীর সেবা করবে সে ভেবে না পায়। তার ভাঙ্গা ঘরের চাঁদের আলো হয়ে কে এল হেথায়! এই গহীন বলে কিভাবে এলো সে হায়! বুড়ি তাকে বুকে আগলে রাখে... মন দিয়ে যতন করে। কি মায়ার জালে বাধা পড়ে গেছে দুজনেই দুজনাতে।
অবশেষে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক চাঁদের মত রাজপরী। ছোট হাত ছোট পা, সাথে ছোট দুটো পাখা। বুড়ি বুঝে ফেলে আসলে এটা পরীর বাচ্চা। বুড়ি তো অবাক! ইশারায় ইশারায় রানীকে কেবলি শুধায়। আর বোঝাতে চায় পরীকন্যাকে লুকিয়ে রাখতে হবে। কেউ তাকে দেখে ফেললে সর্বনাশ! আর বাঁচাতে পারবে না তাকে। ভয়ে রানীর বুক কাঁপে। আঁচল দিয়ে আগলে রাখে সে মেয়েকে। সবসময় চোখে চোখে রাখে পরী রাজকন্যা চাঁদের কণাকে। চাঁদের কণা বড় হতে থাকে। তার ডানা একটু একটু করে ঝাপটাতে শুরু করে। মা আর বুড়ি মার কোলে আনন্দে কাটে তার দিন। শুধু বাইরে গেলেই ঝামেলা। মা ডানা নিয়ে তাকে কিছুতেই যেতে দিতে চায় না। ডানা দুটো খুলে রাখতে বলে।বেজায় রাগ হয় তার মায়ের ‘পরে। একদিন রানীকে ফাঁকি দিয়ে চাঁদের কণা উড়াল দেয় আকাশে। আনন্দে সে আত্মহারা। সে ডানা মেলে ওড়ে। তার নিজের ডানা মেলে। এদিক যায় ওদিক যায়... শতদিক ঘুরে আর ঘুরে! একসময় ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ে এক বিশাল মেঘের উপরে। ক্লান্তিতে চাঁদের কণার ঘুম চলে আসে। সে কোথায় আছে, কিভাবে সে খেয়ালে নেই সে। মেঘ ভেসে যায় আপনমনে। সারাদিন ঘুরাফেরা করে সাঁঝের বেলা ঘরে ফেরে মেঘরাজ। মেঘরানী দেখে মেঘরাজের পিঠের উপর এক ফুটফুটে চাঁদ বরণ শিশুপরী। ছোট ছোট পাখা দুখানি। অস্থির হয়ে বলে ওঠে মেঘরানী, “কার বুকের ধন নিয়ে এলে এমন ভাবে?” মেঘরাজ তো অবাক। সারাবেলা যে সে পিঠে করে এই চাঁদের পুত্তুলি নিয়ে ঘুরেছে, তাতো সে জানেই না! এতো হালকা, যেন পাখির পালকের মত ছোট্ট সে শরীরখানি। মেঘরানী বুকে তুলে নেয় চাঁদের কণাকে। ডাকে চন্দ্রকলা বলে। বলে চন্দ্রকলার বাবা মাকে যতদিন না খুঁজে পাই, ততদিন আমার কুয়াশার সাথেই বড় হবে চন্দ্রকলা। মেঘরাজ মেঘরানীর কোলে চন্দ্রকলার সুখের জীবন। আর সাথে আছে খেলার সাথী কুয়াশা, মেঘরাজ আর মেঘরানীর একমাত্র পুত্র। কুয়াশা আর চন্দ্রকলা খেলে আর হাসে। গান গায় আর নাচে। কবিতা বাঁধে আর মিঠে মিঠে ঝগড়া করে। এই আড়ি নেয় আবার পলকে ভাব করে ফেলে। একজনকে ছাড়া আরেকজনের যেন চলেই না।এ যেন সখা সখির খেলা। এদিকে চন্দ্রকলার বাবা মায়েরও খোঁজ পায় না মেঘরাজ মেঘরানী। তারা সুখেই আছে পরীকন্যা চন্দ্রকলা আর কুয়াশাকে নিয়ে। বিকেল বেলায় দুজনে ঘুরতে এর হয় এই মানিকজোড়কে নিয়ে। কুয়াশা আর চন্দ্রকলা দিনে দিনে বড় হয়ে উঠতে থাকে। যেমনি কুয়াশা তেমনি চন্দ্রকলা। কুয়াশার সুকুমার মুখখানি দেখে গর্বে ভরে ওঠে মেঘরাজ মেঘরানীর বুক। তাতে আবার চন্দ্রকলা সোনায় সোহাগা। কুচবরন দীঘল কেশ তার হাটু ছুঁই ছঁই করে। পদ্মকলির মত চোখ দুখানি। টুকটুকে লাল ঠোট তার। মুখে সোনা ঝরা হাসি লেগেই থাকে। মেঘরাজ মেঘরানী ভাবে, আরেকটু বড় হোক দুজনে, দিয়ে দেবে দুজনার বিয়ে। এই চন্দ্রমাসের মাসের পূর্ণিমায় চন্দ্রকলার বয়স হয়ে যাবে পনেরো। যদিও মেঘেরা জানেনা সে কথা। জানে কেবল তার দুঃখিনী মা আর সেই আশ্রয়দাত্রী বুড়ী। এতো বছরেও মায়ের চোখের জল মোছেনি একটু খানি। মাঝে মাঝে চন্দ্রকলা ভাবে কে তার বাবা, কে তার মা? ভাবতে ভাবতে উদাসীন হয়ে যায় মাঝে মাঝে। কুয়াশার দুষ্টুমীতে ঘোর ভাঙ্গে।হাসে কুয়াশা আর চন্দ্রকলা। হাসে চন্দ্রকলা-কুয়াশা।
একদিন, কুয়াশা আর চন্দ্রকলা যায় নদীতে ঘুরতে। ছোট্ট একটা পাল তোলা নৌকা নিয়ে জলে ভাসে তারা। কুয়াশার হাতে বৈঠা। আর চন্দ্রকলা গায় গান। কুয়াশাকে ছুঁয়ে বসে থাকে চন্দ্রকলা। দুজনের চোখে মুখে হাসি আর দুষ্টুমী। হঠাৎ কুয়াশার ঠোটে ঠোট ছুঁয়ে দেয় চন্দ্রকলা। কুয়াশা ভালোলাগায় নিজেকে ছড়িয়ে দেয় আপন স্বত্তায়। বৈঠা ছেড়ে সে এবার পুরো নদী জুড়ে আনে কুয়াশা। চারিদিকে শুধু কুয়াশা আর কুয়াশা। আর কিছুই দেখা যায় না। এদিকে নৌকা দুলতে শুরু করেছে। চন্দ্রকলা চারিদিকে কুয়াশা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায় না।নৌকার দুলুনীতে পানিতে পড়ে যায় সে। বাঁচার জন্য ডানা ঝপটাতে শুরু করে। কুয়াশার সেদিকে নেই খেয়াল একেবারে। সে এখন আনন্দে আত্মহারা। চন্দ্রকলা পানিতে ভেসে অনেক দূরে চলে যায়। তারপর একসময় বাতাসে ভর করে উঠে যায় আকাশে। নিয়তির কি অমোঘ আকর্ষনে সে উড়তে থাকে চাঁদের পানে। কুয়াশা দেখে চন্দ্রকলা নেই। নৌকাখানা শুন্য ভাসে মাঝ নদীতে। কুয়াশা তাকে এদিক খোঁজে ওদিক খোঁজে, কোথাও না পায়।
এদিকে মায়ের চাঁদের কণা পৌছে যায় চাঁদে। চাঁদের মাটিতে পা রাখতেই সবাই অবাক চোখে তাকেই চেয়ে দেখে। এমন সুন্দর পরী তারা এই জন্মে দেখেনি।সবাই তার চারপাশ ঘিরে জটলা করে। চাঁদের কণাও খুবই অবাক। এখানে সবার দুটো করে ডানা আছে। ঠিক তারই মত। তাহলে এই কি তার আসল রাজ্য! সবাই চাঁদের কণাকে নিয়ে যায় রাজার কাছে। বিরহী বুড়ো রাজা। গর্ভবতী স্ত্রীকে নির্বাসন দেয়ার তিন বছর পর মারা যায় রাজমাতা। মৃত্যুর আগে ক্ষমতার সর্বোচ্চ অপব্যবহার করেছে সে। তার মৃত্যুর সাথে সাথেই যাদুর সম্মোহন থেকে মুক্তি পায় রাজা। ছোট্ট শিশুর মত কাঁদতে শুরু করে স্ত্রী-সন্তানের জন্য। কিন্তু কি করবে সে, কোথায় পাবে তাদের।। মাঝে মাঝে রানী সুলেখার ডানা দুটো বুকে জড়িয়ে বসে থাকে রাজা। রাজ্যে সুখ নেই। প্রজারাও রাজার দুঃখে অসুখী।
চাঁদের কণা অবাক চোখে রাজ দরবার দেখে। কি সুন্দর করে সাজানো সব কিছু। এক নারীর ছবির সামনে অবাক তাকিয়ে রয়, কেমন যেন আপন আপন লাগে তার এই নারীকে। এক চোরা মায়ায় ভরে ওঠে মন। রাজা আসে। রাজার বিষন্ন চেহারা দেখেও তার মায়া মায়া লাগে। চোখের দিকে তাকালে মনে হয় সে চোখে কতদিনের বুভুক্ষা। ভালোবাসার তৃষ্ণা। রাজাও অপলক চেয়ে থাকে চাঁদের কণার দিকে। গলার কণ্ঠহারের দিকে চোখ যায় তার। ঠিক এমনি এক কণ্ঠহার ছিল তার রানীর। সন্তানের ভাবী আগমন বার্তা শুনে নিজ হাতে পরিয়ে দিয়েছিল রাজা। রাজ জ্যোতিষকে ডাকে রাজা। শুধায় এই অপরূপ সুন্দরী পরীর পরিচয়। জ্যোতিষী গণনা করে বলে এই হল রাজকুমারী চাঁদের কণা। রাজ্য জুড়ে বেজে ওঠে আনন্দধ্বনি। রাজা তাকে শুধায় মায়ের ঠিকানা। সে বলতে পারে না। রাজা মরিয়া হয়ে শুধায় তার রানীর ঠিকানা। জ্যোতিষ বলে, সে আছে গভীর জঙ্গলে জংলী বুড়ির কুটিরে একাকিনী। রাজকুমারী সেখান থেকে হারিয়ে গিয়েছে চৌদ্দ বছর আগে। চোখের জলে ভাসা রানী সুলেখা। রাজা, মহা সমারোহে নিয়ে আসে রানীকে। রানী তার কন্যাকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। রাজ্যে আবার ফিরে আসে সুখ। পাখিরা গান গায়। কত ফুল ফোঁটে। সরবরে টলটল করে স্বচ্ছ জল। কিন্তু রাজকুমারীর মনে পড়ে কুয়াশার কথা।
কুয়াশার কষ্টে কাঁদে মেঘরাজ মেঘরানী। কোথায় পাবে তারা চন্দ্রকলাকে। তাদের মহাকষ্টের ভারে আসে কালবৈশাখী। পুরো বর্ষা কেঁদে ফেরে তারা। মাঝে মাঝে চাঁদের দিকেও উঁকি মারে তারা। কিন্তু সেখানে তো যেতে পারেনা। তখন চাঁদ ঢেকে যায় মেঘে। শীতকালে কুয়াশার চাঁদরে মুড়ে থাকে প্রকৃতি। চন্দ্রকলার খোঁজ চলে ভুবন জুড়ে। কোথাও পায় না সে চন্দ্রকলাকে। পরী রাজ-রানীও দেখে চাঁদের কণা হাসে না। খায় না। কষ্টে তার চোখে মেঘ ভর করেছে। রাজা রানীর সুধায় কেন তা? চাঁদের কণা বলে তার মনের কথা। বলে মেঘরাজ-মেঘরানীর কোলে বড় হওয়ার কথা। বলে কুয়াশার কথা। পরী রাজ-রানী ঠিক করে তাদের খুঁঝে বের করবে তারা। চাঁদের কণার ষোড়শ জন্ম পূর্ণিমায়, তারা কুয়াশাকে খঁজে পায়। খুঁজে পায় মেঘরাজ মেঘরানীকেও। মহা ধুমধামে চাঁদের কণা আসে কুয়াশার বধূ হয়ে। সুখে থাকে সবাই।
এখনো চাঁদের কণা চন্দ্রালোকে বেড়াতে গেলে, মেঘরাজ মেঘরানী উঁকি মারে চাঁদের বুকে, তাদের পুত্রবধূর খোঁজে। তখন চাঁদ ঢেকে যায় মেঘে। শীতকালে, কুয়াশা তার বধূকে নিয়ে বের হয় বিশ্বভ্রমনে। রাতের বেলা কুয়াশার আলো আঁধারীতে নাচে গায় চাঁদের কণা। প্রকৃতি সে গান শুনে তাদের জন্য মেলে ধরে সুবাসী পুষ্পবন্যা।
[লেখকের কথাঃ স্কুলবেলায় একটা কুইজ কম্পিটিশন জিতে পেয়েছিলাম বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের রূপ কথার বইয়ের সেট। যখনই আমার শিশু মনের ক্ষিদে টের পেয়েছি, পড়েছি ঐ রূপকথা গুলো। ছোটবোনের জন্য কিনেছিলেম ঠাকুরমা’র ঝুলি। সেদিন লীলেন দা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন রূপকথার পিছনের কিছু কথা। বুঝিয়ে দিলেন, আমার শিশুমনের খোরাকে স্লো পয়জনিং হচ্ছে। তাই এবার নিজের মনের ক্ষিদেয় নিজেই লিখতে বসলাম রূপকথা। আর আমার লেখা রূপকথা উৎসর্গ করে দিলাম আমার অনাগত সন্তানদের উদ্দেশ্যে, যারা পৃথিবীতে এসে অবাক বিস্ময়ে এই সুন্দর পৃথিবীর সুন্দর দিকগুলোই সবার আগে জানতে চাইবে।
নিখাদ রূপকথাই লিখতে চেয়েছি। রূপকথা লেখার মত এতো শক্তিশালী কল্পনা শক্তি আমার নেই। নেই কথাকে ছন্দে বাঁধার মোহনীয় ক্ষমতা। তবুও সাহস করে লিখেই ফেললাম। হয়ত লিখব এভাবে আবারো। তবে, আমি অপেক্ষায় আছি এমন সব বাংলা রূপকথার, যা একদিন বিশ্বসাহিত্যের ভান্ডারে ঠাঁই পাবে। হয়ত একদিন কোন চীনে বালিকা অবিষাক্ত বাংলা রূপকথার সুধায় মেতে উঠবে।]
মন্তব্য
বাঃ।খুব ভাল লেগে গেল এই অপরূপকথা।গল্পটি নতুন না হলেও আপনার চিত্রকল্পময় লেখনভঙ্গিমা অত্যন্ত মনগ্রাহী, মনে হ'ল স্বপ্ন স্বপ্ন চীনা বা জাপানী জলছবি দেখছি। আরো লিখুন আপনি।
ধন্যবাদ .
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
খুব ভালো লাগলো আপনার রূপকথা। একটা লিখে থেমে থাকলে হবে না। এরকম আরো লেখা চাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ ভাইয়া, অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই ভালো লাগাটা আমার অনুপ্রেরণা। .
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
- অনেক অনেক সুন্দর করে লিখেছেন আপনার রূপকথা। কিন্তু লীলেন্দার দেখানো স্লো পয়জনিং থেকে বের হতে পারেনি আপনার রূপকথাও। এখানেও গরীব কুটিরের বুড়ি হয় কুৎসিত দর্শন। আর রাজকন্যা হয় অসম্ভব রূপবতী! অনাগত সন্তানদের সুন্দরম পৃথিবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হলে এই পক্ষপাতখানি এড়াতে হবে যেকোনো ভাবে। কীভাবে, আমি জানি না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহা বুড়া বয়সে চেহারা সুরত কি আর জওয়ানির মত থাকে?ও কুটীরের বুড়ীও তার জুয়ানকালে মানে সেই বাবা আদমের আমলে সুন্দরী ছিলো।
আহা, তার এত মায়ামমতা দেখলেন না? ভেতরের রূপটাই আসল, হৃদয়ের রূপ!
গল্প ভালো, তবে কিনা ভিলেন টিলেন এ গল্পেও তো রইলো! পরীরাজ্যের রাজমাতা তো গন্ডগোল করে বৌমাকে ফাঁসালো! একতা কাপুরের সেই শাস বহু কাহিনি!
তবে কিনা এইসব না থাকলে শেষ অবধি আর গল্পই দাঁড়ায় না!
আমি বহুদিন থেকে মালয়েশিয়ার সেই ময়ূরীমেয়েদের রূপকথা খুঁজছি, সাত রাজকুমারী সাত ময়ূরী হয়ে গেছিলো, তাদের রাজ্যের দখলদার নতুন রাজাদের ঘরের ছেলে(সে এসব কথা সব জানতো না) একদিন স্বপ্নে দেখে সে মরে পড়ে আছে আর একটা মেয়ে রাজপুত্রের কলিজাটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে!
খুঁজে আর কোথাও পাই না! আপনাদের কারু কাছে থাকলে লিখে দেবেন প্লীজ।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলি আপু, রাজমাতা কিন্তু অ্যান্টি-বউ না। সে ক্ষমতা লোভী। অনেকটা কালো আর ভালোর মত। এইটুকু না আনতে পারলে আমার ভালো লাগত... কিন্তু কাহিনীতে টুইস্ট আনতে গিয়ে এনেছি। আমার কল্পনার সীমাবদ্ধতা। বা এতোকাল যেমন ধারা পড়ে এসেছি তার প্রভাব থেকে বের হতে পারিনি।
আমিও এই গল্পটা পড়িনি। আমিও জানতে চাই।.
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আরে শাশুড়ীবউয়ের একতাকাপুরীয় কাহিনিগুলোতেও কিন্তু সেই হরেদরে ক্ষমতার লোভই। সবই শেষে সেইখানেই গিয়ে দাঁড়ায় কিনা। এক্সারসাইজিং পাওয়ার!
বাঙালির ঘরে ঘরে শাশুড়ী বউয়ের যে ক্যাচাল থাকতো আগে বেশী আজকাল ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় কিছু কম, সেও কিন্তু সেই ক্ষমতাদখলেরই গল্প। অন্দরমহল- রাজনীতি, অনেকটা সেই প্যালেস-পলিটিক্সের মতন।
আহা গো সেই ময়ূরীমেয়েদের গল্পটা!!! কেউই কি পড়েন নি?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
পড়িনি তবে মনে হয় দেখেছি। চীনের "দাই" জনগোষ্ঠীর রূপকথানির্ভর নৃত্যনাট্ট। পুব এশিয়ার মোটামুটি সব দেশেই এই গল্প খুব জনপ্রিয়। দাইরা বলেল গল্পটা ভারতীয়। আপনি amazon.com থেকে আনিয়ে নিতে পারেন.
আমার লেখার বিষয় ছিল ভুবনময় ভালোবাসা। আমি তিনটা গ্রুপ এনেছি এখানে, পরী(রূপের প্রতিনিধি), মানুষ(মানবতার প্রতিনিধি), মেঘরাজ-কুয়াশা(প্রকৃতির প্রতিনিধি।)
আমি দেখাতে চেয়েছি রাজমাতা অংশটুকু ছাড়াই জগৎ এর সবটুকু ভালোবাসায় ঘেরা।
ভালোবাসার দিক থেকে সবচেয়ে আলোকিত চরিত্র ঐ গরীবের কুটিরের বুড়িই। যে জাত বোঝে না, ভাষা বোঝেনা, দারিদ্র বোঝেনা, শুধু ভালোবেসে যায়।
তারপরও রয়ে যায় স্লো পয়জনটুকু! আমি তো ঐ পয়জন খেয়েই বড় হয়েছি। .
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
দেখি এর পর লিখলে অনাগতদের জন্য আরো পক্ষপাতহীন লেখার চেষ্টা করব। আপনি জায়গা মত হাত দিয়েছেন। অনাগতদের জন্যই যখন লিখছি, তখন নিজেদেরকে একটু ঘষে মেজে নিতেই হবে .
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
স্লো পয়জনিং এর প্রসঙ্গ যখন এলোই তখন রূপকথা বলা বিষয়ক আমার লেখা একটা গল্পের লিঙ্ক এখানে দিয়েই যাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
১।ক্লিশে বিমুক্ত না হলেও গপ্পটা দিব্বি লাগল।
২।আজাইরা মন্তব্যঃ ভাষার ব্যবহার
আপনারা অর্থাৎ বাংলাদেশীরা যখন লেখেন "অনেক অনেক সুন্দর" তখন আমরা অর্থাৎ পশ্চিমা বাঙালীরা ভাবি "অনেক অনেক সুন্দর" যেন হিন্দীর (বহুত বহুত) তর্জমা হ'ল, "খুব" লিখলে সঠিক হ'ত। অথচ দেখুন অনেক হ'ল তৎসম শব্দ আর খুব ফার্সী! আবার আপনারা বলেন "খাবারটা মজার", এটাও হিন্দী "মজেদার খানার" অনুরূপ, খাবার আমাদের "ভাল বা দারুন" লাগলেও মজার লাগে না। এঃ মন্তব্যগুলোগুলো বেজায় "ওরা" "আমরা" মার্কা হয়ে গেল কি? এ কিন্তু আমার নিছক চিন্তাভাবনা musing aloud। কোন নৃতাত্বিক ভাষাবিদ হয়তো কারণ দর্শাতে পারবেন।
রণিতা - "খাবারটা মজার" নিয়ে আপনার/আপনাদের মন্তব্য আমি আগেই কিন্তু শুনে ফেলেছি
ওহ আর আমাদের "আসলেই খুব ভাল" হলো আরেকটা, তাই না?
"আসলেই খুব ভাল"- এঃ একদম ভুলে গেসলাম। ঠিক বলেছেন। আরো বলি? "ঠাঠা"- আপনাদের হাসি আর আমাদের রোদ
ঃ-)
রূপকথায় এই আমার প্রথম চেষ্টা। তাই ক্লিশে থেকে বের হওয়ার কোন চেষ্টাই করিনি। সন্দেহ ছিল নিজের উপর, লিখতে পারব কিনা। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
আপনার musing loudকিন্তু আমার ভালোই লাগল। বাংলা ভাষাটাই ব্যবহারগত কারণে এপার ওপার বা পূর্ব পশ্চিমে কিছু পার্থক্য এসে গেছে। সাহিত্য কিন্তু আমরা সামগ্রিক ভাবেই ধরে রেখেছি। দেশভাগের সাথে সাথে আমরা বাংলা সাহিত্য ভাগ করে ফেলিনি। এইখানে তাই ভাগাভাগি ভাল লাগে না। এইখানে আমরা এইটা বলতে পারি, ফার্সী বা হিন্দি শব্দগুলো বাংলা ভাষায় অতিথি। দীর্ঘদিন অতিথি হয়ে থাকতে থাকতে একদিন সচল হয়ে যায়। ভাষা নদীর মত, বদলাবেই কালের সাথে। তবু যতখানি মৌলিকতা ধরে রাখা যায় ততই ভালো মনে হয় আমার কাছে।.
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
রুপকথা পড়তে কোনকালেই ভাল্লাগতো না, এমনকি ছোট্টবেলাতেও...
ডানাকাটা পরীর মতো রাজকুমারীরা কেবল পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চেপে আসা রাজপুত্তুরের ভরসায় দিন কাটায়! কখন সে আসবে, বন্দিনীকে নিয়ে যাবে উদ্ধার করে... সাত সমুদ্দুর আর তেরো নদী পেরিয়ে!
নিজেকে কেমন অসহায় বানিয়ে দেয় এই গল্পগুলো!!
ভাল্লাগে আপনার লেখার ধরন, বিতিকিচ্ছিরি চলতি বাংলার বালাইবিহীন...
কেমন নরম রোদের গন্ধমাখা, মায়া মায়া!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ব্যতিক্রম আছে। কিরণমালা। সে অরুণ বরুণ ভাইদের উদ্ধার করলো। তবে এরকম ব্যতিক্রম কমই। অরুণ বরুণ কিরণমালার ওরিজিনাল গল্প নাকি সুপ্রাচীন পারস্যের গল্প।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলি আপু দেখি রূপকথা বিশেষজ্ঞ। আপু, আপনিও লিখে ফেলেন না। অনেক সুন্দর হবে তাহলে। লিখতে গেলে বিষয় সম্পর্কে জানাশোনা বেশ কাজে লাগে ।
ধইন্যা পাতা তিথী আপু।
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আমি আপু???
এ্যাঁ এ্যাঁ এ্যাঁ...
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার আপু/ভাইয়া ডাকটা সাধারণ। বড় হলে বলি, আপু_আপনি আর ছোট হলে বলি আপু_তুমি।
নির্ভয়ে বলি। আমারেও আপু বলে ডেকে দেন না। .
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আচ্ছা যারা উড়তে জানে তারা কেন নৌকা নিয়ে জলে ভাসবে?
বর্ণনা সুন্দর। আপনার লেখার পাত্র-পাত্রীদের নামগুলো হয় বাছা-বাছা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
যারা হাটতে জানে তারাও তো শখে নৌকায় চড়ে। শখের মূল্য লাখের চেয়ে বেশী।
আপনি মনে হয় এই প্রথম আমাকে আপনি বললেন। খট করে কানে লাগল।
নাম পছন্দ হওয়াটা আমার লেখার জন্য জরুরী। নাহয় আমি লিখতে পারিনা।
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
অসাধারণ!! আমারও রূপকথা লিখার ইচ্ছে আছে। গল্পটা মেয়েদের শোনাতে হবে।
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
আপু, লিখে ফেলেন। আমার রূপকথা পড়তে খুব ভালো লাগে। ।
গল্প মেয়েদের তো শোনাবেনই, সেইসাথে ওদেরকে আমার আদরটুকুও দেবেন।
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
'একরত্তি পরীবাবু'
'এক চোরা মায়ায় ভরে ওঠে মন'
এই শব্দচয়নগুলো খুব কোমল হয়ে বাজলো ভেতরে।
ভালো লাগলো আপনার চন্দ্রকলার গল্প, রোদ্দুর...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
একরত্তি শব্দের এই ব্যবহারটা আমার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া। আর চোরা মায়া জিনিসটা টের পাই নিজের হৃদয়ে।
আপনার ভালোলাগা আমার ভালো লাগল... .
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
তিথিডোরের মত আমিও ছোটকালে রুপকথার খুব একটা ভক্ত ছিলাম না, ফ্যান্টাসির প্রতি আকর্ষণ আমার বরাবরই কম। সব সবকিছু ভেদ করে আপনার এই রুপকথা খুব দাগ কাটল।
আর বুড়িমাকে কুতসিত বলায় আমি ত খারাপ কিছুর আভাস পাই না। রাণী এসেছিল দূরদেশ থেকে, এক দেশের মানুষ অজানা দেশের অচেনা মানুষ দেখলে তার এমন মনে হতেই পারে। আফ্রিকায় যখন সাদারা যায় তখন কালোরা ওদেরকেও বিদঘুটে ভেবেছিল, চকের মত সাদা হওয়াটা ওদের কাছে আলবিনো হওয়ার থেকে খুব একটা ভাল কিছু মনে হয়নি। এই 'অন্যতা' সর্বজনীন। সমস্যা হল পরীদের মানুষের এবং মানুষের উতকৃষ্ট আদল হিসেবে উপস্থাপন করায়। সেটা থেকে সরে আসতেএই পরিদের সুরত পালটে দিলে কেমন হয়? পরি হয়েও পরি নয় এমন কিছু বানান যায় কি?
ফারাবী
পরীর মত সুন্দর বা ফেরেশ্তার মত ভালো এই টার্মগুলো প্রচলিত হয়ে গেছে। কিন্তু পরী বা ফেরেশ্তা কোনটাই যে মানুষের চেয়ে ভালো না, তা আমাদের মাথায় থাকলেও মনে থাকে না। মানুষ অভ্যাসের দাস কিনা। পরীর সুরত পালটানো যায়। কিন্তু তাতে পরীকে আর কেউ পরী বলবে না। আসলে পরীর অস্তিত্ব তো কেবলি আমাদের মগজে। মানুষের রূপ, শরীর আর বড়সড় দুইটা পাখির মত ডানা... এই হল পরী। এটাকে বদলে ঘোড়ার শরীর দিলে হয়ে যাবে পেগাসাস । কুৎসিত দর্শন করে দিলে পরী হয়ে যাবে ভূত।
কিভাবে বদলাবেন... ?
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
টার্ম ত মানুষই তৈরি করে, আবার মানুষই বদলায়। মানুষকে মানুষের বৈশিষ্ট্যে মহিমান্বিত করা হোক, পরিকে পরির। যে যে যার যার মত সুন্দর। পরি সুন্দর ডানায়, মানুষ সুন্দর হোক মননে। পরিবর্তনটা এখান থেকেই হোক। মানবতাবাদ ত বেশ সুপরিচিত একটা মতবাদ, সেটার মাধ্যম নাহয় আমরা রুপকথাকেও বানাই। রাণী যখন বিতাড়িত হয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং মানুষকে দেখেন, তখন তার মনে যে প্রতিক্রিয়া, বুড়ির মনেই বা ভিন্নতর কিছু কেন হবে? হাতির গজদন্ত বা ময়ূরের পেখম দেখে মানুষ ভীত বা অভিভূত হতে পারে, তাতে কি তাদের পাশ কাটাতে সে দ্বিধান্বিত হয়েছে?
জানি না কিছু দাঁড়াল কিনা। যা মনে হল তাই বলা। তবে যতই বলি, সব কথার শেষ কথা হল- এরকম লেখা আরও চাই।
হুমম। রূপকথার একটা আশ্চর্য স্বাধীনতা আছে। যা বাস্তবে আমরা করতে পারিনা, তাই রূপকথায় সত্যি করে দেয়া যায়। দেখা যাক, এরপর কি করা সম্ভব হয়। ইউটোপিয়া তো বাস্তবে পাওয়া যাবে না, রূপকথায় বানিয়ে ফেলতে দোষ নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে , রূপকথার আদল ধরে রাখা যাবে তো তাতে? জানিনা আমি, পরীক্ষামুলক ভাবে করে দেখা যেতে পারে। --------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আমি এমনিতেই রূপকথার ভক্ত.......নতুন রূপকথা পেলেই পড়ে ফেলি। খুব পছন্দ হয়েছে আপনার রূপকথা।
ধন্যবাদ বইখাতা। এই নিকটা আজই প্রথম দেখলাম।
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
নতুন মন্তব্য করুন