এখন আর অপেক্ষা নয়, সময় এসেছে নিজেদের অবস্থান সারাবিশ্বকে উচ্চ কণ্ঠে জানিয়ে দেবার। সেই লক্ষ্যেই তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে, একত্রিত হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের যথোপযুক্ত শাস্তির দাবীতে শাহবাগ তথা প্রজন্ম চত্বরে। একজন নয়, দুইজন নয়, হাজারে হাজারে, লাখে লাখে মানুষ মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের দাবীতে সোচ্চার। এই আন্দোলন যে কেবল শাহবাগে সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে কানাচে, তেমনি ছড়িয়ে পড়েছে দেশে-বিদেশেও। দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী যেসব বাংলাদেশীরা শাহবাগে গণজাগরণের কেন্দ্রস্থলে গিয়ে গলা ছেড়ে স্লোগান দিতে পারছিল না, "যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই " বা, "জামাত-শিবির-রাজাকার, এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়!" তারা তাদের মনের সেই ইচ্ছা পূরণ করেছে গত ১০ই ফেব্রুয়ারি, রবিবার, রাজধানী সৌলে একত্রিত হয়ে যুদ্ধপরাধ-বিরোধী গণ-আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে।
কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা ১০ই ফেব্রুয়ারি বেলা ২-৩ টায় সৌলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যের সামনে যুদ্ধপরাধবিরোধী স্লোগান লিখিত পোষ্টার হাতে নিয়ে জমায়েত হয় এবং মৌনভাবে অবস্থান করে। এইখানে অবস্থান শেষে আমরা রওনা হই কোরিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্দেশে। বিকাল চারটায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে আমরা একত্রিত হয়ে প্রথমে জাতীয় সংগীত গাই, অতঃপর যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে স্লোগান দেয়া হয়। এরপর কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষে আশরাফ হোসেন রাসেল ভাই স্মারকলিপি পাঠ করে। স্মারকলিপিটি সপ্তাহের প্রথম কর্ম-দিবসে বাংলাদেশ দূতাবাসে জমা দেয়া হয়েছে। ফিরে আসার সময় আমাদের সাথে থাকা প্রত্যেকটি পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ঝুলিয়ে রেখে এসেছি আমরা। এমনকি আট বছর বয়সী শিশু প্রিয়তাও কাদের মোল্লার ফাঁসি চেয়ে নিজের হাতে আঁকা পোস্টার লাগিয়ে এসেছে দূতাবাসের দরজায়।
আমরা যারা দেশ ছেড়ে সুদূর প্রবাসে পড়ে আছি, তাদের মনটা আসলে পড়ে আছে, প্রজন্ম চত্বরে, যেখানে জেগে ওঠা গণ-আন্দোলন মিটিয়ে দিয়েছে এযাবৎ মনের মাঝে বয়ে বেড়ানো সমস্ত খেদ! এই গণ-জাগরণ দেখিয়ে দিয়েছে, বাঙালি জেগে আছে, জেগে ওঠার সময় হলে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে পারে নিজেদের অবস্থান!
মন্তব্য
কোরিয়ায় এক টুকরো শাহবাগ এর খবর জানানোর জন্য অনে ধন্যবাদ। প্রতিবাদ অব্যাহত থাকুক।
ফাহিম হাসানের আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে পোস্টটিতে কয়েকটা ছবি জুড়ে দিয়েন। আর্কাইভ হয়ে থাকবে।
জয় বাংলা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চমৎকার
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমরাও সকল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।
এটা আমাদের সবার জন্য দারুন ব্যাপার ছিল। এক টুকরো শাহবাগ হয়ে গেল। সবচেয়ে ভাল লেগেছে আমরা সবাই যখন বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে সব রাজাকারদের নাম ধরে ধরে তুই রাজাকার তুই রাজাকার স্লোগান দিয়েছি । দূর প্রবাসে হৃদয়ের আশ একটু হলেও মেটাতে পেরেছি।
নতুন মন্তব্য করুন