নির্বাচনের পর ব্যবসার অবস্থা একবারে কাইত। কারখানায় মাল জমে গেছে কয়েক লাখ ট্যাকার। সারাক্ষণ চিন্তায় আছি, শ্রমিকের বেতন কিভাবে ম্যানেজ করা যায়। এর মধ্যেই উটকো ঝামেলা শুরু হয়ে গেল। জুটের জন্য এলাকারই তিনগ্রুপ অলরেডি মহড়া দিয়ে গ্যাছে কারখানাতে। একবারও ওদের সাথে দেখা হওয়ার সুযোগ হয়নি। বন্ধু-পার্টনারই বরাবর সাক্ষাত করেছে। আজকে ঢাকা থেকে ফিরেই অফিসে বসা মাত্রই ওনাদের একগ্রুপের আগমন। কথাবার্তা বেশি সুবিধাজনক ভাবে শেষ হলো না। ওরা বেশ ধমকের সুরেই জানিয়ে গেল আমার কারখানার জুট ওদেরই দিতে হবে! মজার ব্যাপার হলো যারা এভাবে বলে গেল তারা আমার এলাকারই এবং এদের অধিকাংশই তাদের শৈশবে ক্ষণকালের তরে হলেও আমার কাধে চড়েছে। আর ওরাই কি না আজকে!?!? ওহ! ভোট দিলাম ইচ্ছে মত, আর এখন জুট বিক্রি করতে হবে ওদের কথা মতন?
মন্তব্য
আমি এটা চিন্তায় রেখেই ঈদের আগে সব এক্সেস ফেব্রিক বেঁচে দিয়েছি , আর জুট ক্লিয়ার করেছি ইলেকশনের আগের দিন ।
আমার স্টোরেজ ক্ষমতা ভালো , ২ মাসের জুট রাখতে পারি।
তাই বর্তমানে নিশ্চিত । আমাদেরও ৩ গ্রুপ গজিয়েছে । দেখি কারা টিকে থাকে , জুট তাদের হাতেই দেব ।
আমিও নির্বাচনের আগে জুট ক্লিয়ার করেছি। ঘরে জুট না থাকলে ওদের উৎপাত একেবারেই অসহনীয়। অপরিচিত হলেও একটা কথা ছিল।
হুমম।
সব দাবি মেনে নিলে কোনো সংঘাত হয় না কারো সাথে....
এই তরিকা মেনে প্যান্টের বোতামও যদি ছিঁড়ে যাবার দাবি তোলে
তখন পাশের কাউকে ডাক দিয়ে বলতে হয়- একটা দড়ি আন
বইন্দা রাখি হালারে আইজ
কিছুক্ষণ আগে আরেক বন্ধুর মারফত নিশ্চিত হলাম আগামীকাল সকালেই নাকি আরেক গ্রুপের সাথে মোলাকাত করতে হবে, তাদের দাবিও শুনতে হবে। কিন্তু সবার দাবি মানবো কেমনে....?
নিরাশ হতে মন চায় না। তবু বুকটা বারবার কেঁপে উঠে। তবে কি এই জনমে বাঙালী মানুষ হবে না?
অন্যায় আব্দারের কখনই নতি শিকার করবেন না, সেই মত একটা উপায় বেছে নিতে হবে ।
কিন্তু এই রাষ্ট্রের হাতে কি এমন কোন কার্যকর উপায় আছে বা উপায় থাকলেও তার প্রয়োগ আছে?
অবাক হবার কিছু নেই। গত কিছু দিন যারা পরিবর্তন পরিবর্তন করে আশার আকাশে উড়েছিলেন এখন তাদের মাটিতে নামা শুরু হয়েছে। কী করে ভাবতে পারেন যে "সোনার ছেলেরা" রাতারাতি "মানুষ" হয়ে যাবে? পরিবর্তনটা আনার চেষ্টা করতে হবে উপর-কাঠামোতে না, অবকাঠামোতে। দরকার রাষ্ট্রের মূল চরিত্রটা পরিবর্তনের চেষ্টা করার।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
যথার্থ বলেছেন।
আজকে এক পার্টিতে আলাপ হলো রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দা থানা সদরের কলেজের প্রিন্সিপালের সাথে ।
ভদ্রলোক জানালেন , আগে ছাত্রদল আসতো ভর্তির তালিকা নিয়ে ।
এবারে এসেছে ছাত্রলীগ ।
না, এতে ভদ্রলোক বেশি আশ্চর্য হননি , আশ্চর্য হয়েছেন এটা জেনে যে এদের দাবী এক চামচ বেশি । " ভর্তি করতে হবে , এবং ভর্তির টাকা এরা দেবে না , এটা ম্যানেজ করতে হবে কলেজকে ।"
উনি বহু আশা নিয়ে এমপি সাহেবকে ফোন করেছিলেন , এমপি সাহেব বলেছেন - দেখেন কী করা যায় । কিছুমিছু নিয়ে বাকীটা মাপ করে দিন ।
আমাদের বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সোনার ছেলেরা যে ভাবে এগুচ্ছে তাতে ম্যানেজ করার বাকি কাজ কারবারও হয়ত একসময় তাদের হাতে চলে যাবে!!!
লাগাম টেনে ধরার এখনই সময়।
লাগাম ছাড়ারা লাগাম ধরবে ক্যামতে?
নতুন মন্তব্য করুন