১.
জুয়ারি শরীর জানে না আপোষ
______________________
ছলে-বলে-কৌশলে
হৃদ্যতার শেষ সীমায় পৌঁছুলে
সব নারীই অবগুণ্ঠন খোলে।
সাত্ত্বিক পূজারী পান করে দেহরস,
মাতাল দরিয়ায় জল ভাঙে নিরলস-
জানি ঠিক, উজানেই ডুবে সদা প্রেমের কলস।
২.
বিহঙ্গ
____________________________
বিহঙ্গ-
ওরে বিহঙ্গ মোর।
হাজার ঝড়ের আর্তনাদ ক্ষয়িষ্ণু ডানায় তোর।
পালকে লেগে আছে ধূলি-ভস্ম,বিলুপ্ত সভ্যতার ঘোর।
ওরে বিহঙ্গ, বিহঙ্গ মোর।
কতো আকাশে মেলেছিস তুই, ওই ধূসর ডানা!
কতো রোদ-মেঘ মাখামাখি পালকে চেনা-অচেনা!
কতো চন্দ্রভুক অমাবস্যা জেগেছিলি একা মৃত্যুর শিয়রে!
কতো মরুরাত্রি পেরিয়ে এসেছিস এই বিনিদ্র নগরে!
বিহঙ্গ-
ওরে বিহঙ্গ মোর।
একটি ধূসর পালক কি রেখে যাবি তোর?
যে পালকের ঘ্রাণে তোরই ডানা বেয়ে আসবে নতুন ভোর।
ওরে বিহঙ্গ, বিহঙ্গ মোর।
৩.
স্বেচ্ছাচারী
_______________________________
ক্লান্তিহীন একাকী হেঁটে চলি জরতী সভ্যতার তেজপুঞ্জে।
সেখানে বোমা আর বারুদের গন্ধ,
সেখানে স্বেদাক্ত দীর্ঘশ্বাসের বয়ান,
নিদারুন পরিহাসে বুড়ো ভাম শান্তি খোঁজে স্বস্ত্যয়নে।
অন্ধ মোহপাশ ছিন্ন করে তবুও বেড়ে ওঠে ব্রততি ভাবনারা।
মৃত ভ্রূণ চিৎকার করে চলে অজানা আক্রোশে-
প্রতিশোধ স্পৃহা দুর্বার, অবিচল, স্বেচ্ছাচারী,
এবার নিশ্চিত সময় হয়েছে কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার।
** পুরনো তিনটি কবিতা পোস্ট করলাম হাসান মোরশেদের আগ্রহে।
মন্তব্য
কৃতজ্ঞতা ঝরা ।
এগুলোই চাচ্ছিলাম । তবে আমি জানি আরো আছে
আরো চাই । সবগুলো ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ঠিকাছে বস। আস্তে আস্তে নিয়ে আসবো।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
আরো চাই - - -
সবাই এতো প্রতিভা কেন...
আজকে বুঝতাছি মা কেন কয় "তুই একটা অপদার্থ"...সিঘ...
কঠিন হইছে।
দৃশা
ইয়া মাবুদে ইলাহী খেয়াল করি নাই...
আপনার ভাত দে থুক্কু বার্থ ডে আর আমারটা একই দিনে...
দৃশা
শিমুল,
থ্যাংক্স। আসবে।
দৃশা,
মিরাকল!
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
আরও চাই, আরও...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
অসা ঝরু। মেঘের ভেতর বংধনু দেখলাম। সাদা পালকেরা উড়ে গেল রাখাল বালকের মত।
সচলায়তনে তোমার উপস্থিতি অন্য স্বাদ নিয়ে এসেছে।
ফাটফাটি, নাতিয়ে দিয়েছ পলাশ ফুলের মত।
আরো লেখা চাই। সাবাস।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
কৃতজ্ঞতা আলবাব ভাই ও কারুদা।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
বেশতো!!
ইমরুল হাসান,
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সমালোচকদের আমি সর্বদা স্বাগত জানাই। সমালোচনার ফলেই তো নিজের ভুলভ্রান্তিগুলো শুধরে নিতে পারবো।
১.
সব নারীই অবগুন্ঠন খোলে। প্রেম কিংবা বিয়ে, একসময় ঠিকই অবগুন্ঠন খোলে। প্রেম, বিয়ে সবই কৌশলমাত্র ফ্রয়েডীয় থিয়োরিতে অনুপ্রবেশের।
২. হ্যাঁ কবিতাটা আমারো খুব প্রিয়। তবে এই কবিতাটা লেখার অনুপ্রেরণা আহমদ ছফা "বৃক্ষ,পুষ্প এবং বিহঙ্গ পুরাণ" বইটি।
৩. শব্দগুলি একটু কঠিনই বটে। ওই সময় একটু এক্সপেরিমেন্ট করছিলাম। এর মূলে কিন্তু ছিলো বদ্দা (সুমন চৌধুরী)-র জেনেসিস।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
কর্ণজয়,
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন