পলেস্তরা খসা আর তিনটে পুরনো নোনা ধরা দালান পেরিয়ে গেলেই জানি ঠিক দেখতে পাবো তোমার ছায়া,
আরো একটু ডানে এগিয়ে গিয়ে গলির মুখে নেড়িটার গা ঘেঁষে দাঁড়ালেই চোখে পড়বে নীচতলার রুমকি ভাবীর দুমকি চালে কোমর দোলানোর ব্যস্ততা,
বায়ের দোতলাটার ঝুল-বারান্দায় নিশিকান্ত বাবুর চায়ের কাপে আয়েশী চুমুকও চোখ এড়াবে না,
ও পাড়ার স্বর্ণা ঠিক একটু পরেই পারফিউমের ভুরভুর গন্ধ তুলে, জনা পাঁচেক ঘুরঘুর ছেলেকে পেছনে ফেলে, অলি-গলি-পাকস্থলীর জোড়া জোড়া কামুক চোখকে উছলে দিয়ে সচেতনভাবে বুক টানটান করে হেঁটে যাবে সামনে দিয়ে।
বেজায় হই-হুল্লোড়ের মাঝেও ফেরীওয়ালার সাথে তোমার মেজোচাচীর বাজঁখাই গলার দর কষাকষিও কানে পৌছাঁবে ঠিক,
ক্রিংক্রিং বেল বাজিয়ে তরুণ হকার ছুটে যাবে খবরের পসরা নিয়ে, বয়েসী পাতার ঝিলিমিলির মাঝে কিশোরী রোদ এসে চুমু খাবে ঠোঁটে।
অথচ, কি আশ্চর্য দেখো, প্রতিদিনের রুটিন ভেংগে আজ পুরো পৃথিবীকে অবহেলা করে আমি সম্মোহিতের মতো ঠাঁই বসে আছি এখানটায় আর দেখছি ছিন্ন-বস্ত্র এক বালিকার ডাস্টবিনের মাঝে উচ্ছিষ্টের অনুসন্ধান।
প্লিজ আমাকে প্রশ্ন করো না, সে আমার বোন হলে কতোক্ষণ আমি নির্বিকার বসে থাকতে পারতাম?
মন্তব্য
ঝরা,
প্রবাসের দিনগুলো নিয়েতো অনেক লেখা হলো । এবার নিজদেশে ফিরে যাওয়ার পরের মুহুর্তগুলো কেমন-এইসব নিয়ে কি লেখা যায়?
----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অবশ্যই লিখব গুরু। পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে পারিনি আর নেট কানেকশন এতো স্লো ইউজ করতে বিরক্ত লাগে।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
দুর্দান্ত।
ভাল্লাগছে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ধন্যবাদ জলিল ভাই।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন