১.
কৃষ্ণচূড়ার রং ফিকে হয়ে এলে জমাট বাঁধে গাঢ় অন্ধকার। পৃথিবীটার ব্যাস কমতে কমতে বিন্দুতে পরিণত হতে থাকে ক্রমশ:। সময়ের আলিঙ্গনে ঝরে পরে স্বপ্নের পালক। আমি সম্মোহিতের মতো চেয়ে থাকি নিষ্পলক। প্রচন্ড কৌতুহলের প্রপঞ্চে জড়িয়ে তবুও জেগে রই আধো আলো- আধো অন্ধকারে।
২.
কেমন আছো তুমি? অতীতের দৃশ্যপটগুলোকে হাতড়ে স্মৃতির মানসপটে সজীব করার অপপ্রয়াস নাই বা করলে! দ্যাখো- হৃদ্যতার অন্তরালে সময়ের কিছু বর্ণহীণ পৃষ্ঠা। আর কি চমৎকার করেই না আমরা তাতে লিখে চলেছি গল্প-উপন্যাস-কবিতা, কত ছবিই না এঁকে চলেছেন ফিদা হোসেন তন্বী শরীরের। সত্যি করে বলো তো- ছাইরঙা আকাশটাই কি কখনো কখনো জীবনের জলছবি হয়ে ওঠে না?
৩.
অশরীরী কল্পনার মায়াবী সৌধ বিনির্মাণে বেশ ভুলচুক হয়ে যায়। ভোরের আলোয় যাযাবর চোখে ধরা দেয় অনেক অপ্রিয় সত্য। মন বোঝে না মনের কথা। নিজের চেয়ে দীর্ঘ নিজের ছায়াটাই একসময় ভ্রুকুটি করে ওঠে। তবুও জীবন মানেই তো স্বপ্নভরা রঙিন ফানুস।
৪.
কল্পনার রাজ্য থেকে হঠাৎ পিছলে পড়ি জাগতিক ভ্যাবাচ্যাকায়। পুড়ছে সময়, পাকস্থলির অলিতে গলিতে বিদ্রোহ। সাধগুলোকে গিফট পেপারে মুড়ে নেমে আসি বাস্তবের রাস্তায়। পেছনে পড়ে থাকে কৃষ্ণচূড়ার রং কল্পনার সৌধ, স্বপ্নের ফানুস। শুধু বুকে লেপ্টে থাকে ভালোবাসার কস্টিউম।
×× এইটা একটা পুরানো লেখা। জিফরান খালেদের কবিতা পড়তে পড়তে এটারে কেন জানি কবিতা কবিতা মনে হইলো, তাই পোস্টাইলাম। আর অবিরাম মুগ্ধতার উৎস কবি জিফরান খালেদকেই উৎসর্গ করলাম এই আবঝাব স্বপ্নবিলাসী হৃদকথন।
মন্তব্য
এটা 'কবিতা কবিতা' না... কবিতা-ই... চমতকার লাগলো...
আমার প্রসঙ্গটুকু হাল্কা অস্বস্তি তৈয়ার করলো... কিন্তু, অস্বস্তি সত্ত্বেও আপনারে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ বস।
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
বাহ! কবিতা আবার কবিতা নয়। চমত্কার।
.................................................................
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
ধন্যবাদ মনজুরাউল ভাই।
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
ভিন্ন স্বাদের। ভাল লাগলো খুবই। আমার মত পদ্যমূর্খ্য মানুষকেও ছুঁয়ে গেল।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
পদ্যমূর্খ!! আপনার জন্যই মনে হয় গদ্য স্টাইলে লেখা। প্রবাসের কথোপকথন এখনো শুরু করতে পারিনি।
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
- বস, এইটা একটা জটিল হৈছে। কোবতে বুঝি না। গদ্য হিসাবেই বলি, দারুণ হৈছে, আগ্গুন।![চলুক চলুক](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/yes.gif)
ইয়া হাবিবি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আগ্গুন!!! খাইসে কয়লা হইয়া যামু না তো!
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
ডায়রী লেখার মতো হয়েছে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হয়তো বা!
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
অদ্ভুত সুন্দর। অদ্ভুত ভাল লাগা....
অদ্ভুত ভালোলাগার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা।
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
গদ্যময় পদ্য অথবা পদ্যময় গদ্য।
কোন বিশেষণ দেবো?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
দুটোই তো ভালো লাগছে। গদ্যময় পদ্য বিশেষণটা না হয় আপনার লেখার জন্য বরাদ্দ থাকুক। আপনার প্রতিটি লেখাই বিষাদময় কাব্য হয়ে ওঠে।
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন