জীবন তাকে ভালোবাসেনি, মৃত্যুও করে গেছে শুধুই উপেক্ষা। তাই সে অনাহুতের মতোই এই নগরীর পথে পথে ফেরী করে গেছে তার দুর্বিষহ জীবনের দিনলিপি।
আজ রেলষ্টেশনে তা কাল ফ্লাইওভারের নীচের আস্তনা কিংবা পরশু রেলওয়ে কলোনির পাশের বস্তি এভাবেই প্রতিনিয়ত তার ছুটে চলা। এ যেন এক নির্ধারিত নিয়তি- সে যেন এক বিরতীহীন দুরপাল্লার বাস।
কখনো মুঠে বয়ে, কখনো রিক্সা ঠেলে, কখনো হাত সাফাই করে, লাথি-গুঁতো খেয়ে নেড়ি কুত্তার মতো বেঁচে থাকা তার।
আজ পত্রিকার শেষ পাতায় তার ছবি এসেছে, দু'হাতে অসম্ভব ভারী ব্যাগ বোঝাই করে বহু কষ্টে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে সে। ছবির নীচে বাহারি ক্যাপশন- "জীবনের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত শৈশব"। ছবিটি জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছে। জমকালো অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফার সাহেবকে পুরষ্কার দেয়া হবে আগামী মাসে। অসহায় শিশুদের কষ্টগুলোকে ক্যামেরায় বন্দী করার জন্য ভুরি ভুরি প্রশংসায় ভাসিয়েছে শিল্পের পূজারীরা।
অথচ কেউ জানলো না ফটোসেশন শেষে এই হারামজাদা ফটোগ্রাফারই এক মণ ওজনের ব্যাগ তুলে দিয়েছিলো ওই শিশুটির কাঁধে।
আমরা সবাই ছবি দেখি, ছবির শেষটা দেখি না।
মন্তব্য
সব দেখলে কি গণতন্ত্র চাষবাদ হয়?
-তারাইলাম ।
মুখ খারাপ হইয়া আসতেছে... কিন্তু খারাপ করার উপায় নাই। এরম ফটোগ্রাফার গুলারে কাপড় খুইল্লা ফটো তুইল্লা প্রদর্শনী করা উচিৎ এই ক্যাপশন দিয়া "দরিদ্রদের দারিদ্রতায় নিষ্পেশিত হওয়ার ঘটনায় কতিপয় ফটোগ্রাফের প্রতিবাদ স্বরুপ বস্ত্রহীন ধর্মঘট।"
----------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
একটা সাইন দিতে গিয়ে থমকে গেলাম, লেখাটা ভালো লাগলেও এই সাইনটা এখানে লেখার বিষয়বস্তুর পুনরাবৃত্তিই করবে বোধহয়। কেন আর লেখককে শুধুশুধু কষ্ট দেয়া?
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
মনটা খারাপ করে দিলেন ক্যানো? তবে খারাপ না হলে মানুষ হিসেবে বেচে যে আছি এটাই তো ভুলে যাবো। ধন্যবাদ ঝরাপাতা ধন্যবাদ।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
বলার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না!
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
খুব মন খারাপ করে দেয়া লেখা ঝরাপাতা,
আসলেই তো ঘটনার পেছনে কি ঘটছে তা আমরা কখনোই দেখিনা।
--------------------------------------------------------
এমন লেখার জন্য পাঁচ তারা না দিয়ে উপায় কি!
হুমম।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ সবাইকে।
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন