মনজুর এলাহীর বাগানে,
ছায়াচ্ছন্ন সন্ধ্যায় বসেছিলাম আমরা
কয়েকজন। কথা হ'লো, অনেক ধরনের
কেউ বললেন বঙ্গবন্ধুর কথা,
সেই প্রসঙ্গে নিহত এ্যালেন্দে এবং
চিলিতে সামরিক উত্থানের ইতিহাসও
উল্লেখ করলেন কেউ কেউ। বলা বাহুল্য
ইরাক ইরানের কথাও উঠলো। ক্যাস্ট্রোর পর
কিউবার অনিশ্চিত ভবিষ্যত
বিশ্বব্যাপী অসৎ বণিকদের দাপট,
এবং বাংলার বিপন্ন মানুষ
নিরন্ন আজীবন- এইসব কথা বলাবলি
করলাম আমরা কাজুবাদাম আর
কফি খেতে খেতে। ক্রমশ রাত্রি নেমে এলো
কালো বেড়ালের মতো নি:শব্দ পায়ে।
টেবিল চেয়ারগুলো ঘিরে জোনাকিরা
জ্বলতে লাগলো - যেন চিরকালটা এরকম
জ্বলতে থাকবে তারা। আমরা উঠে গেলাম
ডিনার টেবিলে।
মনজুর এলাহী আবার বললেন: বন্দুকের নলই
শক্তির উৎস। রক্তপাত ছাড়া শ্রেণীসাম্য প্রতিষ্ঠা
অসম্ভব, অনায়াসে কেউ শ্রেণীস্বার্থ ছেড়ে দেয় না।
আমি খোলা জানালা থেকে দেখলাম
মনজুর এলাহীর গোটা বাগান
জোনাকিরা দখল করে নিয়েছে-
বিনা যুদ্ধে, বিনা রক্তপাতে।
×× "আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও" বইয়ের ষষ্ঠ কবিতা।
মন্তব্য
এই কবিতাটি "কালি ও কলম"-এ প্রকাশিত হয়েছে বেশ আগেই। আপনি কবিতাটি এখানে পোস্ট করলেন কেন বুঝতে পারলাম না। কোন বিশেষ প্রসঙ্গে বা উদ্দেশ্যে কবিতাটি এখানে পোস্ট করা হয়ে থাকলে শুরুতে বা ফুটনোটে আপনার বক্তব্য থাকা উচিত ছিল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কোন বিশেষ প্রসঙ্গে বা উদ্দেশ্যে কবিতাটি এখানে পোস্ট করেছেন- সে ঝরাপাতা জানেন ।
তবে আমি নিজে ও মাঝেমাঝে ভালো লাগা কবিতা নিজের ব্লগে তুলে রাখি । এর জন্য আলাদা ভূমিকা বা ফুটনোট সবসময় জরুরী মনে হয়নি, মনে হয়না । উচিত, অনুচিত তো বহুদূর ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নিজের ব্লগে তো নিজের পছন্দের জিনিষ আমি তুলে রাখতেই পারি। সে জন্য কোন কৈফিয়তের দরকার হয় না। তবে ব্যাপারটা পাবলিক ব্লগে হলেই এমন প্রশ্ন উঠতে পারে। সে যাক গে, সত্যটা কী তা ঝরাপাতা জানেন। তার ইচ্ছে হলে উত্তর দেবেন, না ইচ্ছে হলে না-ই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ট্যাগে সমসাময়িক লেখা ছিলো। ধরে নিন ওটাই ফুটনোট।
নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন