এইখানে নদী ছিলো, ছিলো করতোয়ার স্বচ্ছ সলিল-দুপুরবেলা বৃন্দাবন মাঝির উদাস কন্ঠের গান-পাঠশালা ছুট ফুলকিশোরীদের দুরন্তপনা। এই খানেই ছড়িয়ে ছিলো বট-অশ্বত্থের মায়াবতী শিকড়- প্রাগৈতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভের মতো তারা সগৌরবে দাঁড়িয়েছিলো আকাশকে আড়াল করে, বহু বহু নাগরিক ক্রুরতাকে উপেক্ষা করে। ঠিক পাদদেশেই ছিলো পরেশ সাধুর আস্তানা, আরো ছিলো সর্পকন্যা বিধুয়ার সাথে হাওয়ায় হাওয়ায় জড়ানো গোপন গভীর প্রণয়।
শুধু একদিন দেখি, সেই নদীটি আর নেই। সে যেন ঠিক নিরন্ন মানুষের শরীরে মুদ্রিত হাড়ের কঙ্কাল মাত্র। সব মায়াপাশ ছিন্ন করে ছায়াময় বৃক্ষটি শুধু রেখে গেছে এক বুক আদিম শূন্যতা। হাওয়ার ধুলো উড়িয়ে আসছে একের পর এক যান্ত্রিক দানব। ইট-পাথরে ক্রমাগত ঢেকে দিয়ে চলেছে সবুজের উপত্যকা। করোটির ভেতর কে যেন বার বার ফিসফিস করে বলছে ..... “মেঘেরা উদ্বাস্তু হও, এখানে থিম পার্ক হবে”।
** সকল প্রশংসা হাসান মোরশেদের । “মেঘেরা উদ্বাস্তু হও, এখানে থিম পার্ক হবে” তাঁর এই লাইনটিই এই লেখাটির অনুপ্রেরণা।
মন্তব্য
সুন্দর
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শেষ চরণটি বাদ দিয়ে আর বার পড়লাম। কই, কবিতার ঐশ্বর্য কমলো বলে তো মনে হলো না। অনেকদিন পর চিত্ররূপময় একটি অসাধারণ লেখা পড়লাম।
রোমেল চৌধুরী
আনন্দ তোমার কি খবর। আছ কই ড্যাফোডিল -এ নাকি বাংলাদেশের বাইরে।
সুন্দর সুন্দর
ভালোলাগলো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই কবিতার শেষ লাইন “মেঘেরা উদ্বাস্তু হও, এখানে থিম পার্ক হবে” -এই নামেই এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে আমার প্রথম বই।
অপরিসীম কৃতজ্ঞতা গুরু হাসান মোরশেদের প্রতি।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন