আজ শায়নের বিয়ে!
বিয়েটা শায়নের মতে হচ্ছে না আবার অমতেও হচ্ছে না। মূলত: পরিস্থিতির চাপেই সে বাধ্য হয়েছে সবকিছু মেনে নিতে। একের পর এক ঘটনাগুলো দমকা হাওয়ার মতো এসে তার জীবনের সবকিছু উলট-পালট করে দিয়ে গেছে। সবার চোখে চরম ঘৃণার পাত্র হয়ে আছে ও। বিশ্বাসঘাতকতার অপবাদ দিয়ে লোপাও চিরতরে দূরে সরে গেছে। হয়তো এজন্যই বলে ‘নিয়তির লিখন, না যায় খন্ডন’। অবশ্য খন্ডানোর খুব একটা চেষ্টাও করেনি শায়ন। ভবিতব্যকে স্বীকার করে নিয়েছে সে।
ঘটনার শুরু আরো সপ্তাহ তিনেক আগে। অফিস থেকে ফিরে এসে দেখে ড্রয়িং রুমে ছোট খাটো একটা সভার মতো। মা, বাবা, ছোট ফুপী, চাচী সবাই মুখ গম্ভীর করে বসে আছে। শায়ন জুতোর ফিতে খুলতে খুলতে জিজ্ঞেস করে, ‘কি ব্যাপার? সবাই এরকম গম্ভীর হয়ে বসে আছো কেন? চাচী, ফুপী তোমরা কখন এলে?’ চাচী কোন জবাব দিলো না। ফুপী খুব ক্ষীণস্বরে বললো, ‘এই তো একটু আগে। তুই ফ্রেশ হয়ে নে, তোর সাথে কিছু কথা আছে’। ‘খুব সিরিয়াস কিছু মনে হচ্ছে! ঠিক আছে আমি এখনই ফ্রেশ হয়ে আসছি।’ বলেই শায়ন তার কামরার দিকে পা বাড়ায়। ফ্রেশরুম থেকে বের হয়েই দেখে ফুপী তার জন্য অপেক্ষা করছে।
- ‘আরে, তুমি আবার এখানে এলে কেন? আমিই তো ড্রয়িংরুমেই যাচ্ছিলাম।’
: শায়ন, তোর সাথে আমার খুব জরুরী কিছু কথা আছে। আমি জানি না তোকে কথাগুলো ঠিক কিভাবে বলবো।
- কি হলো ফুপী! আজ এতো ভূমিকা করে কথা বলছো কেন? এতো সংকোচ করার কারণই বা কি!
: শায়ন, আমাকে তোর চাচীই আজ ফোন করে আসতে বলেছে। তোর সাথে শর্মীর ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলার জন্য।
- শর্মী!! শর্মী আসছে নাকি, কই দেখিনি তো!!
: হ্যাঁ, ও তোর স্টাডি রুমে আছে।
- ও আচ্ছা। কিন্তু শর্মীর ব্যাপারে কি বলতে চাইছো? সামনেই তো ওর ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা। নাকি চাচী এর মধ্যেই ওর বিয়ে-টিয়ে ঠিক করে ফেলেছে?
: হুম ব্যাপারটা সেরকমই। শর্মীর বিয়ে ঠিক করা হয়ে গেছে।
- কি! চাচীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে! এখন অনার্স-মাস্টার্স করার আগে কেউ মেয়েকে বিয়ে দেয় নাকি? চাচী এখনো সে পুরনো যুগে পড়ে আছে। চাচীকে বোঝাতে হবে। তুমি চিন্তা করো না, আমি চাচীকে রাজি করাবো যাতে এখনই শর্মীর বিয়ের ব্যাপারে একদম না ভাবে।
: শায়ন সেটা সম্ভব না। আমরা সবাই শর্মীর বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং তোর সাথেই ওর বিয়ে হবে।
- ‘কি! অসম্ভব! আমার সাথে বিয়ে!’ চিৎকার করে ওঠে শায়ন।
: কেন? এখন অসম্ভব কেন? ঘটনা ঘটানোর সময় হুঁশ ছিলো না।
- ‘ঘটনা! কিসের ঘটনা!’ কিছুই বুঝতে পারে না শায়ন। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ফুপীর দিকে।
: এখন একেবারে আকাশ থেকে পড়া হচ্ছে, না! যা তুই করেছিস, তার ফল এখন সবাইকে ভোগ করতে হচ্ছে। সবার মাথা হেঁট করে দিয়েছিস তুই।
- ফুপী, হেঁয়ালি রাখো। স্পষ্ট করে বলো, আমি কি এমন অপরাধ করেছি যার জন্য তোমাদের সবাইকে ছোট হতে হচ্ছে?
: এমন ভাব করছিস যেন কিছুই জানিস না। শায়ন, তোর কৃতকর্মের ফল এখন শর্মীর শরীরে। ওর গর্ভে তোরই সন্তান।
- ‘অসম্ভব! এ কিছুতেই হতে পারে না’! বিস্ময়ে হতবাক হয়ে ফুপীর দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে শায়ন। তার মুখে আর কোন কথা ফোটে না।
: এখন আর অস্বীকার করে লাভ নেই। তখন বুঝতে পারিনি, এখন বুঝতে পারছি মেয়েটা ভর্তি পরীক্ষার কোচিং করতে এসে তিন মাসের মাথায় বাড়ি ফিরে গিয়েছিল কেন? যাহোক, এখন সবাই জানার আগে ব্যাপারটা আমাদেরই মিটমাট করতে হবে। এছাড়া আর কোন পথ নেই।
শায়ন এখনো সম্মোহিতের মতো বসে আছে। ফুপী তার রুম ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। সে কিছুই চিন্তা করতে পারছে না। শর্মী, যাকে সে বোন হিসেবেই দেখেছে সবসময় তাকে নিয়েই এমন অপবাদ! ভাবা যায়! কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। বিরাট একটা ভুল! এমন কি হতে পারে না, শর্মী যখন কোচিং করতে এসেছিলো, সেখানে কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। কিংবা কেউ জোর করে তার সাথে এমন কিছু করেছে যা সে মুখ ফুটে কাউকে বলতে পারছে না। গোড়া থেকে সবকিছু আরেকবার মনে করার চেষ্টা করে শায়ন।
শর্মী, ওর দূর সম্পর্কের চাচাতো বোন। চাচা মারা গেছেন বছর পাঁচেক আগে। শর্মীকে নিয়ে চাচী থাকেন গ্রামের বাড়িতে। জায়গা-জমি আর পেনশনের টাকায় সচ্ছলভাবেই দুজনের চলে যায়। এ বছর, ও জিপিএ ফাইভ পেয়ে এইচ.এস.সি পাশ করেছে। চাচার ইচ্ছে ছিলো মেয়েকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করানোর। চাচী কথাটা মাকে জানাতেই মা বলেছিলো, ‘আপা তুমি একটুও চিন্তা করোনা, ও আমাদের এখানে থেকেই পড়াশোনা করবে’। এরপর শর্মী এসে বাসায় উঠলো। শায়নের স্টাডি রুমে ওর থাকার ব্যবস্থা করা হলো। কোথায় যেন কোচিং-এ ভর্তিও হয়েছিল। কিন্তু তিন মাসের মাথায় হঠাৎ একদিন বললো, ‘গ্রামের বাড়ি যাবে। মাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে’। মা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলো। বললো, ‘তুমি কেন যাবে? আপাকে খবর দিই, উনি এসে কয়েকটা দিন আমাদের সাথে থেকে যাক’। কিন্তু মেয়েটা কোন কথাই শুনলো না। সেদিনই টিকেট কেটে গ্রামের বাড়ি চলে গেল। কয়েকদিন পরে মা চাচীর কাছে ফোন করে জানতে চেয়েছিলো ‘শর্মী কখন আসবে? ওর কোন অসুবিধা হচ্ছিল কিনা?’ চাচী জানালো, ‘ও এখনই ঢাকায় ফিরবে না বলছে, আরো কিছু দিন নাকি গ্রামেই থাকবে।’ শর্মী আর ফিরেনি। প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় পরে আজ সে এসেছে উদ্ভট এক দাবী নিয়ে। শায়ন নিশ্চিত কেউ শর্মীকে ধোঁকা দিয়েছে যার কথা সে কাউকে বলতে পারছে না। শর্মীর সাথে কথা বলা প্রয়োজন। একান্তে কথা বলতে হবে, তা নাহলে মেয়েটা সবকিছু খুলে বলতে পারবে না। কাল সকালেই ও শর্মীর মুখোমুখি হবে।
অজস্র এলোমেলো চিন্তা এসে ভিড় করে শায়নের মাথায়। শর্মীর সাথে এমন প্রতারণা করলো কে? শর্মীই বা প্রতিবাদ করছে না কেন? লোপার কথা মনে পড়ে তার। লোপা কি শায়নকে বিশ্বাস করবে? তার পাশে এসে দাঁড়াবে এ সময়? অফিসের কর্মব্যস্ত দিনশেষে এমন স্নায়ুচাপেই হয়তো একসময় এলিয়ে পড়ে শরীর। তন্দ্রা লেগে আসে চোখে। ঘুম ভাঙ্গতেই দেখে ঘড়িতে প্রায় সাড়ে বারোটা। কি আশ্চর্য! আজ কেউ তাকে খেতেও ডাকেনি। অন্যদিন ফুপী যাওয়ার সময় তার ঘরে আসে, আজ আসেনি। এই প্রথম নিজেকে নিদারুন নি:সঙ্গ মনে হয়। কোন কবি যেন বলেছিলো- “মানুষ বড় একা!”
আরো কিছুক্ষণ চুপচাপ শুয়ে থাকে সে। বেশ পিপাসা পেয়েছে। টেবিলের দিকে হাত বাড়ায় সে। উপৃর করা গ্লাসটা সোজা করে নিয়ে জগ থেকে পানি ঢালে। জগটা আগের জায়গায় রাখতে গিয়েই খেয়াল করে জগের নীচে চাপা ছিলো ছোট্ট একটা চিরকুট। সে যখন ঘুমিয়ে ছিলো কেউ নিশ্চয় এটা রেখে গেছে। ঢকঢক করে পানিটা শেষ করে চিরকুটটা খোলে শায়ন। তাতে লেখা-
“বাবা শায়ন,
আমায় ক্ষমা করিস। যে অপরাধে আজ সবাই তোর দিকে আঙ্গুল তুলছে, তার জন্য আমিই দায়ী। সেদিন তোর মা তোর ফুপীর বাসায় গিয়েছিল। আমি আর শর্মী একা ছিলাম বাসায়। আমার যে কি হয়েছিল জানি না। শয়তান এসে ভর করেছিলো আমার উপর। আমি জানি আমার অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। আমি চিরদিনের জন্য সবাইকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমাকে খোঁজার চেষ্টা করিস না। যা হয় হোক, সবাইকে সত্যিটা জানিয়ে দিস”।
শায়নের সমস্ত পৃথিবী অন্ধকার হয়ে আসে। যে বাবা তার কাছে নীতি আর আদর্শের প্রতিমূর্তি তিনি এমন একটা কাজ করতে পারেন এটা কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু বাবার হাতের লেখা এই চিরকুট! এই লেখা তো শায়নের আজন্ম চেনা। শায়ন মনে মনে তার কর্তব্য ঠিক করে ফেলে। ড্রয়ার খুলে লাইটারটা বের করে। চিরকুটের কোণায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে দেখে কালো কালো অক্ষরগুলোর ছাই হয়ে মেঝেতে ঝরে পড়া। কুড়িয়ে নিয়ে ঝুড়িতে ফেলে দেয় সে।
পরদিন সকালে সবার চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙ্গে। বাবাকে কাথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভাব্য সব জায়গায় খবর নেয়া হয়েছে। মা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয় কুলাঙ্গার ছেলের জন্যই তার বাবা আজ গৃহত্যাগী হয়েছে। শায়ন সব অপবাদ মাথা পেতে নেয়। পুলিশ ষ্টেশনে গিয়ে মিসিং স্টেটমেন্ট লিখিয়ে আসে। এভাবে বেশ কিছু দিন কেটে যায়। এর মধ্যে একদিন শায়নের সাথে শর্মীর কথা হয়। শায়ন শর্মীকে অনুরোধ করে সে যেন কাউকে আসল সত্যিটা না জানায়। সবার কাছে ঘৃণিত হয়ে, সব ভ্রূকুটি সহ্য করে হলেও সে পিতৃ্ঋণ শোধ করতে চায়। এদিকে চাচীও ক্রমাগত তাড়া দিচ্ছে বিয়ের জন্য। মেয়ের এ অবস্থায় আর অপেক্ষা করা সম্ভব না। কোন আড়ম্বর ছাড়া, খুব সাদামাটা ভাবেই আয়োজন করা হয়েছে বিয়ের। আজ শায়ন আর শর্মীর বিয়ে।
শায়ন বিয়ের আসরে বসেছে বর সেজে। একটু পরেই শর্মীর সাথে বিয়ে হয়ে যাবে ওর। লোপার কথা খুব মনে পড়ছে আজ। কনের আসরে লোপার বসার কথা ছিলো। কত কত স্বপ্ন দেখেছিলো দুজন মিলে। এখন লোপার কাছে সে শুধুই একজন প্রতারক, বিশ্বাসঘাতক, মায়ের চোখে কুসন্তান, আত্মীয়-পরিজনের চোখে লম্পট। তাতেও কোন দু:খ নেই। সব ভালোবাসা বিসর্জন দিয়ে হলে্ও সে পিতৃ্ঋণ শোধ করবে। একটু পরেই বিয়ে শুরু হয়ে যাবে, শর্মী ওর স্ত্রী হয়ে যাবে। শর্মীর গর্ভে যে সন্তান, একদিন সে শায়নের পিতৃ-পরিচয়ে বড় হয়ে উঠবে সমাজে। আসল সত্যিটা ওরা দুজন ছাড়া কেউ কোনদিনও জানবে না।
আচ্ছা, এই সত্যিটা ভবিষ্যতে কোন একদিন বড় কোন জটিলতা সৃষ্টি করবে না তো?
বি.দ্র: গল্প লেখার দু:সাহস আমার মোটেও নেই। মাঝে মাঝে একটু আধটু চেষ্টা করি এই আর কি। সচলায়তনের নীড় পাতায় ফাঁকিবাজের দলে নিজের নাম দেখায় চটজলদি লেখাটা নামিয়ে ফেললাম। পাঠক গল্প পড়ে আশাহত হলে ক্ষমা করে দিবেন।
মন্তব্য
আশাহত হইনি। । কিছু কিছু সময় বাবা মায়ের কুকর্ম আর ব্যর্থতার দায় সন্তানের উপর এসে বর্তায়। সে সময়গুলো খুব ভয়াবহ অসহায়, হাত পা বেধে নদীতে ফেলে দেয়ার মত ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...., আমি আসলে গল্পের প্লট নিয়ে আশাহত হওয়ার কথা বলিনি..... আমার গল্প লেখার ভঙ্গিতে আশাহত হওয়ার আশঙ্কা করেছি মাত্র....
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
বুঝেছিলাম এবং গল্প লেখার ভঙ্গিতে আশাহত হইনি এটাই বলতে চেয়েছিলাম। মন্তব্যের পরের অংশটুকু গল্পের প্লট সম্পর্কে ছিল।
থ্যাংক্স... আমার বুঝতে ভুল হয়েছে....
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
ভয়াবহ গল্প!
মন্তব্য নেই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বোঝা গেল, মন্তব্য নেই ও একটা জটিল মন্তব্য হতে পারে.....
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
কি খবর তোমার আনন্দ। দেশে আছ নাকি পিএইচডি করতে অস্ট্রেলিয়া চলে গেছ??
হ্যাঁ দেশেই আছি। চলে যাচ্ছে দিন ....
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
বিরাট জটিলতা সৃষ্টি করার কথা। পিতা অথবা পিতৃব্য শায়নের জন্য দুঃখ হচ্ছে।
চমৎকার গল্প।
..................................................................
#Banshibir.
মন্তব্য খুঁজে পাচ্ছি না।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
"ভলভার" ছবিটার কথা মনে পড়ে গেলো। বাবার কুকর্মের দায়ভার যখন ছেলে বা মেয়েকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়, অসহনীয়।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ.....
ভলভার ছবিটা দেখা হয়নি। মনে হচ্ছে দেখতে হবে এবার।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন