খুব ছোটবেলার কথা। যখন মায়ের কাছে গল্প শুনতে চাইতাম, একটা গল্প তিনি প্রায়ই বলতেন। আসলে ঠিক গল্প নয়, কিন্তু তাঁর বলার ভঙ্গিতে সেটা আমার কাছে তখন গল্পই মনে হতো।
এক দেশে ছিলো এক দু:খিনী মা। তার ছিলো একটি মাত্র ছেলে। ত্রিভুবনে তার আপন বলতে আর কেউ ছিলো না। সেই দু:খিনী মা'র স্বপ্ন ছিলো- ছেলে একদিন অনেক বড় হবে, মানুষের মতো মানুষ হবে, মায়ের সব কষ্ট ঘুচিয়ে দেবে। ছেলেটা ভালবাসতো ফুল, পাখি, নদী, আর ঘাসফড়িঙ। তার স্বপ্ন ছিলো সে পাখির মতো আকাশে উড়বে, আকাশই হবে তার ঠিকানা। মাকে যখনই এ কথা বলতো, মা হেসে বলতেন- ধুর পাগল ছেলে, মানুষ কি কখনো উড়তে পারে নাকি। কিন্তু ছেলেটার মনে ছিলো ওড়ার দুর্বার বাসনা। দিন গেলো, মাস গেলো, বছর গেলো। সেই ছেলেটা অনেক বড় হয়ে গেলো। একদিন ছেলেটা মাকে এসে প্রণাম করে বললো- মা, আমি এখন থেকে প্রতিদিন আকাশে উড়বো কারণ আমি এখন একজন বৈমানিক। মায়ের দু'চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো সেদিন, ছেলেকে তিনি বুকে টেনে নিয়ে বললেন- সারাজীবন যেন লক্ষ্যের প্রতি এমনই একাগ্রতা আর নিষ্ঠা থাকে এই প্রার্থনাই করি বাবা।
তখন বোঝার মতো বয়েস হয়নি যে এটা কোন গল্প নয়। তাঁর মনের কথাগুলোকেই তিনি গল্পের মধ্যে দিয়ে আমার মনে গেঁথে দিতে চেয়েছেন। এখন বুঝি। তবে গল্পের সেই ছেলেটির মতো আমি হতে পারিনি। ছেলেটি আকাশ ছুঁতে চেয়েছিলো, আমি চেয়েছি নিতে মাটির সোঁদা গন্ধ। তাই আকাশ অধিকারের বদলে আমি ফিরে আসছি সেই মাটির কাছে, ফুল-পাখি-সবুজের কাছে, আমার নদীর কাছে, আমার ভালোবাসার বাংলাদেশের কাছে।
প্লিজ মা, তুমি রাগ করো না।
মন্তব্য
নদী গুলো শুকিয়ে যায় দিনের পর দিন, ফুল-পাখি সবুজ অ্যান্টিক হয় সময়ের সাথে, মাটি ফেটে চৌচির; কিংবা বাংলা ভাইয়ের বোমার অবশিষ্ট ধবংস।
কি হলো মাটির কাছে এসে! কষ্ট!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
যথার্থ বলেছেন।
কি হলো মাটির কাছে এসে! কষ্ট!
তবুও কেউ কেউ মাটিকে মা ভেবে এখনো আজানুলম্বিত হয়ে করে প্রণাম।
_______________________________________
পোড়াতে পোড়াতে ছাই, ওড়াতে ওড়াতে চলে যাই . . .
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
আকাশ ছোঁয়ার দরকারটা কী!
আমার তো মাটির কাছাকাছি থাকতে বড্ড ভাল্লাগে, ঘাসের উপরে মাথা রেখে, নদীর গান শুনতে শুনতে।
------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
মানুষ আসলে এক ধরনের গাছ-ই।
বেশিদূর যেতে পারে না সে,
যদিও যায়, মন পড়ে থাকে...
অদ্ভুত!
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
সৌরভ,
আমারো ঠিক তাই।
যূথচারী,
সত্যিই শেকড়ের টান ছিন্ন হওয়ার নয়। ছিন্ন করতে পারলে হয়তো অনেক কিছুই সহজ হয়ে যেত।
_______________________________________
পোড়াতে পোড়াতে ছাই, ওড়াতে ওড়াতে চলে যাই . . .
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
মন ছুঁয়ে যায়
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সেই স্বপ্নচক্র!
ধন্যবাদ আলবাব ভাই।
ঘাসফড়িঙের চোখে সবুজের স্বপ্নের মতোই আরিফ ভাই।
_______________________________________
পোড়াতে পোড়াতে ছাই, ওড়াতে ওড়াতে চলে যাই . . .
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
আমিও আসছি, আমিও মাটির কাছেই ফিরবো, ফিরবো মায়ের আঁচলে। সবাইকে দিয়ে আকাশ ছোঁয়ার মতো সবকিছু হয়না, এটা হয়তো মা বুঝবেন!
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সত্যি গোধু বস? এরকম যদি সবাইকে একসাথে পাওয়া যেত কি দারুনই না হতো। কখন ফিরছেন? আমি সেপ্টেম্বরে। কনফুও মনে হয় ফিরছেন শিগগির।
_______________________________________
পোড়াতে পোড়াতে ছাই, ওড়াতে ওড়াতে চলে যাই . . .
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন