কতদূরে যাবে?
মৃত্যু মানেই কি
চিরতরে চলে যাওয়া?
না, তা নয়। বরং-
তার চেয়ে বেশি ফিরে আসা বার বার।
তুমিই তো গেয়েছিলে ইলেকট্রার গান,
নিহত জনক এ্যাগামেননকে শুনিয়েছিলে
আগামীর বিশ্বাস, হাওয়ার নীলিমায়
জ্বলন্ত মেঘের মতো উড়িয়েছিলে আসাদের শার্ট,
মৌলবাদীর শিশ্নসমাবেশে জ্বালিয়েছিলে
দ্রোহের দীপক রাগ- সেই রাগিনি আজ
শত বীণার ঝংকার হয়ে রাজপথ পেরিয়ে
ব্যারিকেড ডিঙিয়ে পৌঁছে গেছে বস্তিবাসী ফুল্লরার ঘুপচি-ঘরে।
অগনন হৃদয়ের অবারিত প্রেম শুধু তোমারই জন্যে,
চিরভাস্বর তুমি মানসপটে চিরকাল।
হে কালজয়ী কবি,
কালের ঈগল-
আমি নিশ্চিত, তুমি ফিরে আসবেই-
অভ্রভেদী আলোকডানার বিস্তারে
আমাদের স্মরণে বার বার,
চেতনার জ্বলজ্বলে রাঙা পোস্টার হয়ে।
_________________________
গতবছর কবির প্রয়াণের পরে লেখা কবিতা। পরে বাংলালাইভের আই.পত্রিকায় ছাপা হয়েছিলো। সাথে ছিলো কনফুসিয়াসের দারুন এক লেখা। এই ঠিকানায় ক্লিক করুন পড়তে চাইলে।
কবির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
মন্তব্য
তাঁর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা ।
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নিঃসন্দেহে সৃাধীনতাউত্তর বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি
"কালের ঈগল"টা চমৎকার শব্দচয়ন
ঝরাপাতা, আগেও মনে হয় কমেন্ট করেছিলাম ,,, আপনার কাব্যপ্রতিভা অনবদ্য ,, মুগ্ধতা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ধন্যবাদ হাসান ভাই আর বাদশাহ ভাইকে। তবে আমার কনফুর লেখাটা অসাধারণ মনে হয়। গভীর আবেগ জড়িয়ে আছে ওর লেখার প্রতিটা শব্দে।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন