২০৬ নাম্বার ট্র্যাকিং পথ আমার সবচেয়ে প্রিয়। আসা-যাওয়া মিলিয়ে সর্বসাকুল্লে আড়াই ঘণ্টার পাহাড়ি মেঠো পথ। গ্রীষ্মকালের উইকএন্ডে ভোর ৫ টায় হন্টন শুরু করলে সকাল ৮ টার আগেই বাসায় ফিরে পরিবারের সাথে একসাথে প্রাতরাশ করার সুযোগ থাকে। শীতকালের প্রেক্ষাপট অবশ্য আলাদা। তুষারাবৃত পর্বতমালায় হেঁটে বেড়ানোর ঝামেলা অনেক। তারপরও তো রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে ঘরে আটকে বসে থাকতে পারিনা। মাফলারটা গলায় জড়িয়ে আর পিঠে ঝোলা চাপিয়ে হেঁটে বেড়াই এক গুচ্ছগ্রাম থেকে আরেক গুচ্ছগ্রামে। পত্রহীন ধুসর বনের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া কাঠুরেদের গমন পথ ধরে এগিয়ে যাই অজানার পথে। সঙ্গী হিসেবে আবির্ভূত হয় নাম না জানা কতশত পাখির দল। গ্রীষ্মের চলার পথের প্রিয় সঙ্গী মারমোত্তার দল তো বেঘোরে ঘুমুচ্ছে পাতালপুরীতে, বসন্তের আগে সে ঘুম ভাঙবে না। কামোসসোর পাল হয়ত লুকিয়ে আছে গহীন পাইনের জঙ্গলে। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করেও প্রকৃতির মাঝে কিচিরমিচির শব্দে যে সরব উপস্থিতি জানিয়ে দেয় পাখির দল তাতেই বিমোহিত হই আমি, হৃদয়ে অনুভব করি বন্ধুত্বের উষ্ণতা।
স্ক্রিচোলো
টুনটুনিই কি বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট পাখি? অনেকের মতে টুনটুনিকে যত চালাক পাখি ভাবা হয় আসলে তা নয়। এরা যেমন চালাক তেমন বোকা। টুনটুনি বিপদ দেখলেই চেঁচামেচি করে। ফলে সহজেই শত্রুর কবলে পড়ে। ইতালিতে যে স্ক্রিচোলোকে(Scricciolo; Eruosian Wren) দেখে আমার বাংলাদেশের টুনটুনি পাখির কথা মনে পড়ে যায় তার ডাক কিন্তু বড্ড সুরেলা। দৈর্ঘ্যে ১০ সে.মি. কিন্তু লেজখানা টুনটুনির মত অত লম্বা নয়। ঝোপঝাড়ের আশেপাশেই সচরাচর দেখতে পাই এদের।
scricciolo in canto.mp3
স্ক্রিচোলোর গান
*******************************************************************************************
রেগোলো
ইউরোপের সবচেয়ে ছোট পাখির নাম Goldcrest যেটিকে আমি ইতালিতে Regolo নামে চিনি। স্ক্রিচোলোর থেকে সামান্য ছোট এই পাখি একই ঝোপে বাসা বানিয়ে থাকে। মাথার শিরে থাকা স্বর্ণালি তিলক আর তীক্ষ্ণ চঁচু ভাল করে দেখতে হলে সুপারজুম করা ছাড়া উপায় নেই। একটা বিষয় আমি বেশ কয়েকবার লক্ষ্য করে দেখেছি যে কীট-পতঙ্গভোজী এই ক্ষুদ্রাকায় পাখি মাটিতে নেমে পোকা ধরবে কিন্তু খাবে গাছের ডালে বসে।
*******************************************************************************************
পেত্তিরসসো ১
পেত্তিরসসো ২
পেত্তিরসসো(pettirosso; robin)খুব সুন্দর গাইতে পারে কিন্তু এঁর শারীরিক সৌন্দর্যই আমাকে বেশি কাছে টানে। উজ্জ্বল কমলা রঙের বক্ষ আর ডাগর কালো দুটি চোখের চাহুনি কেমন যেন এক মায়া জাগিয়ে তুলে। ইতালিয়ান নামের আভিধানিক অর্থ হল ‘লাল বুকের পাখি’। লোককাহিনী অনুযায়ী ক্রুশবিদ্ধ যীশুর মাথায় থাকা কাঁটার মুকুট এই পাখি ঠোঁট দিয়ে খুলতে গিয়ে নিজের বুকটাকেই রক্তে রঞ্জিত করে ফেলে। সারাবছর জুড়েই এদের দেখা মিলে।
**********************************************************************************************
কোরদিরসসো(codirosso; redstart) ইউরোপে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে আসে এপ্রিল মাসে। দেখতে অনেকটা পেত্তিরসসোর মত হলেও শরীরটা কিছুটা লম্বাটে। পুরুষ পাখির মুখ আর পিঠের রঙ ধূসর-কালচে আর গলার নিচ থেকে লেজ পর্যন্ত লালচে-কমলা। স্ত্রী কোরদিরসসোর শরীরের পুরোটাই হাল্কা বাদামি-খয়েরি রঙে রাঙানো।
পুরুষ কোরদিরসসো
স্ত্রী কোরদিরসসো
**********************************************************************************************
Culbianco(wheatear) পরিযায়ী পাখি। শীতের প্রারম্ভেই দলবেঁধে পাড়ি জমিয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে। ছবিতে যে পুরুষ পাখিকে দেখতে পাচ্ছি সেটি গত বৎসর বসন্তে মিলেছিল ১৩০০ মিটার উঁচু পাহাড়ে। পতঙ্গভোজী এই গায়ক পাখি নাকি খুব ভাল উড়তে পারে। অভিযাজন কালে দিনে ২৯০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়ার ক্ষমতা এই ২৬ গ্রাম ওজনের ছোট্ট পাখির আছে।
**********************************************************************************************
চলার পথের সঙ্গী হিসেবে খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বর্ণীল পাখির ইতালিয়ান নাম Cinciallegra(Great Tit)যার একটি সুন্দর অসমীয়া নাম উইকিতে ‘ভদবকলি’ হিসেবে উল্লেখ আছে। প্রায় ৪০ রকমের ডাক আর গান গাইতে পারদর্শী এই পাখি। পতঙ্গভোজি পাখি হিসেবে পরিচিতি থাকলেও সুযোগ পেলে নাবিস্কোর পাউরুটি খেতেও রুচিতে বাঁধে না। অধমের ক্যামেরাতে ধরা খেয়ে কিছুটা বিব্রত হয়েছে বলেই তো মনে হয়।
দেখতে প্রায় একইরকম কিন্তু Cinciarella(Eurasian blue tit) পাখি আকারে সামান্য ছোট। আর ভদবকলির শরীরের যে যে অংশে কালচে রঙ আছে তা এই পাখির শরীরে নীলাভ রঙে রঞ্জিত।
***********************************************************************************************
Codibugnolo(long tailed-tit) সাইজে ভদবকলির মতই ১৫ সে.মি. লম্বা হবে কিন্তু এঁর লেজ অনেক বেশি দীর্ঘ। পুরো শরীরের অর্ধেকের বেশি জুড়ে আছে প্রায় ৮-৯ সে.মি. লম্বা এক পুচ্ছ। মাত্র একটিবারই এদের দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। শুনেছি যে বছর শীতের তীব্রতা বেশি হয় সে বছর ৮০% পাখি অক্কা পায় কিন্তু কপাল ভাল যে এদের দূর্বার প্রজনন ক্ষমতার গুণে পুনরায় সংখ্যাবৃদ্ধি পেতে অসুবিধা হয়না।
************************************************************************************************
মেরলো(merlo; blackbird) পাখির মধ্যেও স্ত্রী আর পুরুষের বর্ণ পার্থক্য খালি চোখেই দৃশ্যমান। স্ত্রী মেরলোর গাত্রবর্ণ যেখানে বাদামী, পুরুষ বেচারা একেবারেই পাতিলের তলা। তারপরও পুরুষ মেরলো তাঁর উজ্জ্বল কমলা-হলুদাভ রঙের দুটি ঠোঁট আর কাজল কালো চোখদুটিকে চক্রাকারে ঘিরে থাকা হলুদ রঙ মিলিয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। সর্বভুক এই পাখির দেখা মিলে সারাবছর।
পুরুষ মেরলো
স্ত্রী মেরলো
*********************************************************************************************
ইতালির পাতি চড়ুই নিয়ে লিখার আগে এদের বাংলাদেশী জ্ঞাতিভাইদের নিয়ে একটু কষ্টের স্মৃতি রোমন্থন করা যাক। ঢাকার বাসায় ফিউজের তার জ্বলে গেলে হাতে হারিকেন আর মই নিয়ে ফিউজের বাক্স খুলে আমাকেই তা জোড়া লাগাতে হতো। বাক্সের ঢাকনা খোলার সাথে সাথে মাটিতে আছড়ে পড়ত চড়ুইর তুলতুলে ছানা নয়ত ছাই রঙের কিছু ডিম। অপরাধবোধে ভুগতে হত সারাটা দিন। ইতালির যে অঞ্চলে আমি থাকি সেখানকার বেশিরভাগ বাড়ির ছাদ টালি দেয়া আর চড়ুইয়ের দল সচরাচর টালি-ছাদের নিচে বাসা বানায়। আকারে আর স্বভাবে দেশী চড়ুই আর ইউরোপের চড়ুইয়ের মাঝে ন্যূনতম পার্থক্য আমার চোখে পড়েনা। মনুষ্য বসতির আশেপাশেই বছরের বারটি মাস কাটিয়ে দেয়।
স্ত্রী চড়ুই
পুরুষ চড়ুই
*********************************************************************************************
এবার পাতি চড়ুইয়ের এক পিসেতুতো ভাইয়ের গল্প বলব। পাখিটির ইংরেজি নাম snowfinch আর ইতালিয়ান ভাষায় fringuello alpino । বাংলা ভাষাতেও অতি চমৎকার একটি নাম আছে যদিও আমি নিশ্চিত ‘তুষার চটক’ নামের এই পাখিটি বাংলাদেশে নেই। আমি নিজেও ইতালিতে দেখেছি শুধুমাত্র একটিবার তাও আবার সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ২,২৬০ মিটার উচ্চতায়। পাতি চড়ুইয়ের স্বগোত্রীয় হলেও তুষার চটকের বিচরনভুমি ১৪০০ মিটার থেকে ৩৫০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত। এটিই সবচেয়ে ছোট আল্পিয় পাখি। মাত্র ২৫ গ্রামের ওইটুকু শরীর নিয়ে কিভাবে আল্পস পর্বতের শীতের তীব্রতা মোকাবিলা করে তা আমার জানা নেই। আমি গিয়েছিলাম গ্রীষ্মের মাঝামাঝিতে ৪ ঘণ্টা ট্র্যাকিং করে ২২০০ মিটার উচ্চতার এক ছোট্ট আল্পিয়-নিবাসে রাত কাটাবো বলে। প্রায় জনমানবশূন্য সেই পাহাড়ি চূড়ায় দেখি তুষার চটকের দল বেশ আমোদে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। গাছগাছালি বিহীন সেই পাথুরে পরিবেশে নিঃসঙ্গ পর্বত অভিযাত্রীকে ক্ষণিক সঙ্গ দেয়ায় এদের জুড়ি নেই।
তুষার চটক ১
তুষার চটক ২
*****************************************************************************************
একটু ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে জানলাম ইতালিকে যে পাখিকে সাদা-নর্তকী (ballerina bianca; White wagtail)হিসেবে ডাকা হয় বাংলায় নাকি তাঁর নাম সাদা খঞ্জন। উপরন্তু এটি আবার লাটভিয়ার জাতীয় পাখি। পতঙ্গভোজি এই পাখির একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়বেই, বিরতিহীন ভাবে এরা লেজ নাড়ায়। ৯-১০ সে.মি. লম্বা এই লেজ নাড়ানোর জ্বালায় ক্যামেরাতে ফটো তুলতেও মুশকিলে পড়তে হয়।
সাদা-নর্তকী ১
সাদা-নর্তকী ২
********************************************************************************************
Dipper (merlo acuaiolo) শালিক সদৃশ জলচর এই পাখি শীতকালেই বেশি চোখে পড়ে। আমার কর্মক্ষেত্রের সীমানা ঘেঁষে যে খরস্রোতা জলধারা বয়ে গেছে সেখানেও দলবেঁধে প্রস্তরখণ্ডের ওপর এদের বসে থাকতে দেখি। কিছু বুঝে উঠার আগেই টুপ করে পানির তলদেশে চলে যায়। প্রবল স্রোত থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েক সেকেন্ড ধরে অনায়াসে পানির নিচে সাঁতার কাটতে আর তলদেশে ডুবুরির মত হেঁটে বেড়াতে পারে। মাছ কিন্তু এরা খায়না, জলজ শূককীট দিয়েই উদরপূর্তি করে ফেলে। নরওয়ের জাতীয় পাখি এই ডুবুরির সারা শরীরটা ধূসর-বাদামী রঙের আর বুকটা সাদা ধবধবে।
ডিপার ১
ডিপার ২
*********************************************************************************************
জলাশয়ের কাছাকাছি ট্র্যাকিং করার সময় আরও কিছু সাধারণ জলাচারি পাখির দেখা সচরাচর মিলে যায়। পানিডাহুক ছোটবেলায় গ্রামের মামাবাড়িতে দেখেছি তবে আকারে সেই প্রজাতি ছিল বেশ ছোট। এখানে জল-মুরগি হিসেবে যে প্রজাতিকে চিনি তা প্রায় ৩০ সে.মি. লম্বা হবে। ঠোঁটের অগ্রভাগ উজ্জ্বল হলুদ আর পিছনের বাকি অংশ লাল রঙের। লতাপাতাযুক্ত জলাভূমির আশেপাশেই বাসা বানিয়ে থাকে এরা। খুব ভাল সাঁতার কাটতে পারে কিন্তু স্থলে হাঁটতে দেখলে কেমন জানি বেখাপ্পা লাগে।
জল-মুরগি
********************************************************************************************
সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় গাঙচিলের বিচরণ স্বাভাবিক হলেও একবার এক দলকে পেয়েছিলাম সাগরের নোনা জল থেকে শত কিলোমিটার দূরে পাহাড় ঘেরা এক আল্পিয় হ্রদে। কর্কশ ডাকে পাড়া মাতানোয় গাঙচিলের জুড়ি নেই।
*********************************************************************************************
এই সিরিজের আগের দুটি পর্ব :
চলার পথের সঙ্গী : মারমোত্তা আল্পিনো (Alpine Marmot)
চলার পথের সঙ্গী : কামোসশো আল্পিনো (the chamois)
(পাদটিকা: হলফ করে বলছি যে আজকের পোস্টে যে গোটা পনের পাখি নিয়ে কিছুমিছু লেখার চেষ্টা করেছি এঁদের সবার নাম আমার হপ্তাখানেক আগেও জানা ছিলনা। তাই তথ্যে ভুলভ্রান্তি অবশ্যই আছে বলে স্বীকার করে নিচ্ছি। ১০-১৫ সে.মি. সাইজের পাখির ভাল ছবি তোলার সামর্থ্যও আমার নেই, ফুজি আর সনির সুপারজুম ক্যামেরা দিয়ে চেষ্টা করেছি মাত্র।)
মন্তব্য
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
ভালো লাগলো!
পক্ষী-বিশারদ নই, অল্প-সল্প যা জানি তাই লিখতে চেয়েছি। সচলায়তনের সর্বচ্চো ৫ মেগাবাইট ফটোর সীমাবদ্ধতার কারণে আরও কিছু ছবি আপলোড করতে পারিনি।
আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম।
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
www.imgur.com এ আপলোড করে লিঙ্ক দিতে পারেন।
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। ইমগুর ট্রাই করে দেখব দরকার পড়লে।
'অতিথি লেখক' হিসেবে বিগত বছরগুলিতে প্রকাশিত গোটা তিরিশেক পোস্ট কিভাবে এক ক্লিকে হাচল একাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারবো সেই তরিকা কি অধমকে জানাতে পারবেন?
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
পাখির কিচির মিচির এখানে যোগ করে দিয়ে ভালো করেছেন।
‘ডাকে পাখি, খোলো আঁখি’ জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। ভোরে কফির সাথে একটুখানি পাখির কিচিরমিচির না শুনলে দিনটা নীরস কাটে।
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
বাহ্! ভাইয়া আপনি দেখি ভালোই পক্ষী প্রেমি। কেমন সুন্দর পাখিসব করে রব!
পিতিমির সব পাখিরাই দেখি একই ভাষায় কথা বলে। আপনার রেকর্ডকৃত পাখির কিচিরমিচির শুনে ভালু পেলেম।
এদিকেও দেখি দারুণ কিছু রংচঙে পাখি। ওদের ফটুক তোলা আমার কম্মো নয় বলে চুপচাপ দেখি শুধু।
পাখির ফটো তুলতে ব্যাপক ধৈর্য্য লাগে, আমার এত ধৈর্য্য নাই বাপু!
খুব ভালো লাগলো আপনার ভ্রমণকালীন সঙ্গিদের পরিচয় আর ফটুক দেখে।
মন্তব্য পড়ে জেনেছিলাম আপনি একাই বাংলাভাষি ওখানে। সেই হিসেবে আপনি আমার চেয়েও নির্ভুল বানান লিখেন ভাইয়া(আমি বানানে সেইরম তালেবর ) ।
সেজন্য গুড! গুড!! তবে 'ভেরিগুড' পাইতে হইলে নীচের টাইপোগুলো জলদি জলদি ঠিক করে নিন
সাকুল্লে- সাকুল্যে
রোদ্রকোজ্জল-রৌদ্রোজ্জ্বল
ধুসর-ধূসর
চাহুনি-চাউনি-চাহনি
তুলে-তোলে
এঁর-এর
সর্বভুক-সর্বভূক
বিচরনভুমি-বিচরণভূমি
সাঁতর-সাঁতার
জলাভুমি-জলাভূমি
------
দুটো বাক্যের মাঝখানের শব্দ আসেনি
১। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে ঘরে আটকে বসে থাকে পারিনা-থাকতে পারিনা।
২। একটা বিশেষ চোখে পড়বেই... - একটা বিশেষ লক্ষণচোখে পড়বেই বিরতিহীন ভাবে এরা লেজ নাড়ায়।
অনেক পাখির নাম জানা হলো কিন্তু! ধন্যবাদ জানুন। ভালু থাকুন।
আপনার বাসার ঠিকানা দেন তাড়াতাড়ি। বাংলা দ্বিতীয় পত্র শিখতে আসব সপ্তাহে একদিন।
বানান বিভ্রাট শুধরে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
এডোয়ার্ডস, ইলিনয় আম্রিকা, স্বপরিবার চলে আসুন ভাইয়া।
তবে আসবার সময় অবশ্যই বাংলা ব্যাকরণ বইটা আনতে ভুলবেন না
বাহ্, দারুণ ঠিকানা! আয়নামতি, এডোয়ার্ডস, ইলিনয় আম্রিকা।
এটা দেখে আমার এক মামার (পাতানো) কথা মনে পড়লো। তাঁকে একবার তাঁর ঠিকানা জিজ্ঞেস করায় বলেছিলেন, রাজশাহী এসে যে কোন রিক্সাওয়ালাকে বললেই সাহেব বাজার পৌঁছে দেবে। ওখানে এসে উপর দিকে তাকালেই আমায় পাবে। ওঁর নাম ছিলো, 'সুর্য'। গত বছরে উনি গত হয়েছেন।
মির্জা গালিবের চৈনিক বন্ধু নাকি চিঠির খামের উপর প্রাপকের ঠিকানা হিসেবে শুধুমাত্র 'গালিব-ভারত' লিখেছিলেন। চিঠিখানা ঠিকমতই পৌঁছেছিল!
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
আপনা সূর্য মামার আত্মার শান্তি কামনা করছি। ভাবনাদা, কথাটা কিন্তু সত্যি বলেছিলেন সূর্যমামা।
রাজশাহীতে এমন রীতিতে আসলেই ঠিক মানুষের বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া খুব সম্ভব।
আমার দাদার বাড়ি রাজশাহী কিনা
ওবামামা আমার বাড়ি চিনে আর আপনারা দেশিভাই হয়ে চিনবেন না কথা হলু নাকি!
খুব সুন্দর।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ধন্যবাদ সাদিয়া!
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
আহা! ছোট্ট ছোট্ট পাখিগুলোর ছবি আর পরিচিতি, সব মিলিয়ে বেশ ভাল লাগলো।
ব্লগ লিখতে গিয়ে সামান্য লেখাপড়াও হয়ে গেছে আমার। সবগুলি পাখির পরিচিতি আমারও জানা ছিলনা। দেখি বসন্তে যদি আফ্রিকা থেকে কিছু নতুন পাখি বেড়াতে আসে তবে দ্বিতীয় কিস্তি লিখার চিন্তাভাবনা করা যাবে।
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
চমৎকার। যেমন সুন্দর ছবি, তেমন সুন্দর বর্ণনা। সামনের পোস্টে আরও বেশি ছবি ও বর্ণনা আশা করছি ভাইয়া।
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
ধনবাদ জানবেন ভাইয়া। ভাল থাকুন, সাথে থাকুন।
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
চমৎকার উপভোগ করা গেল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ!
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
দেবদ্যুতি
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
পাখিদের প্রতি আপনার যে ভালবাসা কাজেই পাখিদের নিয়ে আপনার স্বর্গ রচিত হোক।
-----------
রাধাকান্ত
ধন্যবাদ।
পাখির ডাকে ঘুম ভাঙার নিশ্চয়তা থাকলে নরকে যেতেও দ্বিধা থাকবে না আমার!
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
নতুন মন্তব্য করুন