ছবিব্লগ: সার্ডিনিয়া

জিপসি এর ছবি
লিখেছেন জিপসি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৯/০৯/২০১৫ - ৬:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইতালির স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ সার্ডিনিয়া আয়তনে ভূমধ্যসাগরের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। উত্তাল সাগরের মাঝে একটি দ্বীপে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে যাব বলে মানসপটে যে ছবি এঁকে রেখেছিলাম তা সার্ডিনিয়াতে পা রাখা মাত্রই বিলীন হয়ে যায়। কোথায় সেই বালুচরে ছুটে বেড়ানো কাঁকড়ার ঝাঁক? নেই মাইলের পর মাইল সৈকতের কোলঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা আকাশছোঁয়া হোটেলের সারি। এক সপ্তাহের অবকাশযাপনে সার্ডিনিয়া দ্বীপের এক দশমাংশও ঘুরে দেখতে পারিনি তারপরও ক্যামেরার মেমোরি ফুরাতে সময় লাগেনি। অপরূপা সার্ডিনিয়া তাঁর বুনো সৌন্দর্যে মাখা সাগরতীর, পাহাড়ের ঢালে ছেয়ে থাকা ক্যাকটাসের ঝোপ আর কাঁটাযুক্ত লতাগুল্ম দিয়ে আমার মানসপটে এঁকেছে নতুন এক চিত্র।

ম্যাপে খয়েরি রংয়ে চিহ্নিত গাল্লুরা( gallura)লোকালয়টাই শুধু ঘুরে দেখতে পেরেছি এক সপ্তাহে। পোস্টের সব ছবি উত্তর সার্ডিনিয়ার এই এলাকার বিভিন্ন সাগরতীরে আর মাদ্দালেনা দ্বীপপুঞ্জে (archipelago della maddalena) অবস্থানকালে তোলা।


সাত সকালে


নিঃসঙ্গ এক সৈকতে

সার্ডিনিয়ার বেশিরভাগ সৈকতই ওপরের ছবির মত ছোট আকারের, বড়জোরএকশ কদম হাঁটলেই এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে চলে যাওয়া যায়। মাঝখানে হয়ত আছে বড় বড় পাথরের টুকরোর দেয়াল তারপর শুরু আরেকটি সৈকতের। প্রতিটি সৈকতের আলাদা আলাদা নাম আর বৈশিষ্ট্য। কোথাও আছে সাদা ময়দার মত বালুচর, কোথাও মিলবে লাল রঙের নুড়ি পাথর।


টারকোয়েজ অর্থাৎ ফিরোজা রঙয়ের স্বচ্ছ সাগরের পানিতে সাঁতারুর ছায়াও কতটা স্পষ্ট।


বসতিহীন মাদ্দালেনা দীপপুঞ্জেের এক সৈকতে


নীল দরিয়া

একদিন খুব ভোরে হাঁটতে বেড়িয়ে উঠে গিয়েছিলাম পাহাড়ের উপর এক মোবাইল টাওয়ার বেসে। সূর্যোদয়ের জাদুকরী আলোর ছটায় সার্ডিনিয়াকে দেখে থমকে গিয়েছিলাম।


বোন জোরনো (সুপ্রভাত)


ভোরের আলোয়

প্রভাতের আলোয় কর্সিকা দ্বীপকে মনে হচ্ছিল বড্ড কাছের যদিও দুটি দ্বীপের মাঝে আছে ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের উত্তাল সাগর।

ফ্রান্সের কর্সিকা দ্বীপের পর্বতসারি খালি চোখেই দেখা যায় ইতালির সার্ডিনিয়ার সৈকতে দাঁড়িয়ে থেকে।

সড়কপথ আর মেঠোপথের দুপাশ থেকে শুরু করে সাগর সৈকতেও গ্রানাইট পাথরের ছড়াছড়ি। স্ট্যাচু অব লিবার্টির ভিত্তিপ্রস্তরেও নাকি আছে গাল্লুরার গ্রানাইট পাথর।

প্রকৃতির খেয়ালে হাজার বছরের বাতাস আর সাগরের ঢেউয়ের ঝাপটায় সুবিশাল গ্রানাইটের খণ্ডও ক্ষয় হয়ে নিয়েছে বিচিত্র অবয়ব।

সার্ডিনিয়া দ্বীপের মোট আয়তনের মাত্র ১৮ ভাগ সমতলভূমি আর বাদবাকি সব ছোটবড় পাহাড় আর পর্বতে ঢাকা। বৃষ্টিপাত খুব কম হয় বলে ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ সচরাচর চোখে পড়ে। অতি শুষ্কতার কারণে কণ্টকযুক্ত লতাগুল্মের ছোট-মাঝারি ঝোপঝাড় ছাড়া সবুজ তৃণভূমির দেখা পাওয়া দুষ্কর। প্রকৃতির এই রুক্ষতার মাঝেও অন্য রকম এক বুনো সৌন্দর্য চোখে লেগেছে।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগল। বিশেষ করে, সাত সকালের ছবিটি। আর বিচিত্র অবয়বের গ্রানাইট।
খুবই বিদ্ঘুটে লাগতে পারে, তবু করেই ফেলি প্রশ্নটিঃ সার্ডিনিয়া দ্বীপে যখন ছিলেন, তখন মাছ খেয়েছিলেন? যেমন, সার্ডিন মাছ?
।।।।।।।।।।
অনিত্র

জিপসি এর ছবি

'সার্ডিনিয়া' নামের সাথে সার্ডিন মাছের কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়না। ইতালিয়ানরা কিন্তু দ্বীপটিকে ডাকে 'সারদেনিয়া' (sardegna) নামে।
হোটেলে যতবারই মাছের মেন্যু ছিল পেটভরে খেয়েছি। সার্ডিনিয়াতে ১০০% ভেড়ার দুধের পনির পাওয়া যায়। 'পেকোরিনো' নামের সেই ফরমাজ্জো(cheese) খেতে অসাধারণ!

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

জীবনযুদ্ধ এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার জায়গা। যাওয়ার ইচ্ছা থাকল। চলুক

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

জিপসি এর ছবি

ইচ্ছে যখন আছে তখন গাড়ি চালানোটা শিখে ফেলুন, দ্বীপে পাবলিক সার্ভিসের করুন অবস্থা। শুধুমাত্র টুরিস্ট সিজনে হাতেগোনা কিছু বাস সার্ভিস আছে। সবচেয়ে ভাল হয় মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে সার্ডিনিয়া ঘুরে বেড়ালে।

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই ব্লগটা ঠিক আপনার অন্য ব্লগগুলোর মানের সাথে গেলো না। সার্ডিনিয়া নিয়ে প্রায় কিছুই লেখেননি। ছবিব্লগ হলে যে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা বলা যাবে না তা তো নয়। এই ইতালীয়, ফরাসী, হিস্পানী সংস্কৃতির মিশ্রণের দেশের মানুষদের কথা না বললে, তাদের ছবি না দিলে কি হয়!

ছবির মানের ব্যাপারে কিছু বলার জ্ঞান আমার নাই। তবে ছবিগুলো মন খারাপ করে দেবার মতো ভালো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

জিপসি এর ছবি

মানসম্মত হয়নি বলে দুঃখিত। সত্যি বলতে কি সার্ডিনিয়াকে শুধুই দেখেছি, জানতে পারিনি তেমন কিছু। গাড়ি ভাড়া করে গাইড ছাড়াই ম্যাপ হাতে নিয়ে এক সৈকত থেকে আরেক সৈকতে ছুটে বেরিয়েছি সকাল-বিকাল।
হোটেল ব্যাবসার সাথে জড়িত সবাই ইতালির মূল ভূখণ্ডের মানুষ, মাস চারেকের জন্য পয়সা কামাতে দ্বীপে যায় তারপর সবাই অক্টোবরে বাড়ি ফিরে চলে যায়।
শুধুমাত্র একবার কফি খেতে গিয়ে আলাপ হয়েছিল ১০০% সার্ডিনিয়ান মালিকের সাথে। ৪ মাসের টুরিস্ট সিজনে(গ্রীষ্মে) বারে যে বেচাকেনা হয় তা দিয়েই আরামে চলে যায় পুরা বছর। অক্টোবর থেকে মে পর্যন্ত বার ঠিকই খোলা থাকে, গ্রাহক কম থাকে বলে একা একা বসে থেকে সুঁই সুতা দিয়ে হস্তশিল্পের চর্চা করেন।
দক্ষিণ সার্ডিনিয়াতে কিছু বড় শহর আছে কিন্তু সেখানে তো যাওয়া হয়নি।

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

'এই ব্লগটা মানসম্মত হয়নি' আমি অমন কিছু বলিনি। আমি বোঝাতে চেয়েছি, আপনার অন্য ব্লগগুলো আমাদের মনে আপনার লেখার মানের ব্যাপারে যে প্রত্যাশাটা তৈরি করে দিয়েছে এটা সেই মানে পৌঁছাতে পারেনি। ভুল বোঝাবুঝির জন্য দুঃখিত।

গাইড ছাড়া একা একা ছুটতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতাগুলো হয়েছে সে গল্পগুলোর কিছু আমাদের বলতে পারতেন। এই মন্তব্যে না বললে তো জানতে পারতাম না চার মাসের মৌসুমী ব্যবসা করতে মেইনল্যান্ড থেকে লোকজন আসে, আর বাকি বছরটা সারডিনিয়া ঝিমায়। এমন ছোট ছোট গল্পগুলোই বলতে পারেন। সারডিনিয়ার আরও গল্প শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

জিপসি এর ছবি

আরেকটা গল্প আপনাকে বলি, সার্ডিনিয়ার গাল্লুরা এলাকার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে হোটেল ব্যাবসার যেটুকু উন্নতি সাধন হয়েছে তার মুখ্য কারিগর ইসমাইলিয়া সম্প্রদায়ের গুরু আগা খান। ৭০-৮০র দশকে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করেছেন উনি। অলবিয়া এয়ারপোর্টও নাকি হালে কিনে নিয়েছে কাতারের আমির।
দ্বীপের মানুষ মজা করে আমাকে বলেছিল যে নতুন কোন আরব শেখ বিনিয়োগ শুরু করলে আমার মত গরীবের জন্য সার্ডিনিয়ার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

তাহসিন রেজা এর ছবি

ছবি গুলি এতো চমৎকার! লেখা -গুড়- হয়েছে

এই জীবনে কিছুই দেখা হল না। ইতালিয়ার সার্ডিনিয়া তো দূরের কথা দেশেই কোথাও মন মতো ঘোরা হল না। আপনারা যারা ঘোরাঘুরি করেন তাঁদের উপর ব্যাপক হিংসা হিংসা লাগে ওঁয়া ওঁয়া

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

জিপসি এর ছবি

ধন্যবাদ। একটাই তো জীবন আমাদের, বেড়িয়ে পড়ুন ঘুরতে। হাসি

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

শাব্দিক এর ছবি

ছবি দেখে এক্ষনি ব্যাগ গোছাতে মন চায়।
"সাত সকালে" এত সুন্দর!

অটোঃ জিপসিদের নিয়ে কৈশোরবেলায় খুব ফ্যান্টাসি ছিল। আসল জিপসিদের দেখে পুরাই আশাহত।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

জিপসি এর ছবি

'জিপসি' দের নিয়ে অনেক নেতিবাচক মনোভাব ইউরোপে দেখেছি। ওদের ব্যাপারে আমার আগ্রহ অসীম। হয়ত নিজের কিছু ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছুমিছু লিখব ভবিষ্যতে।

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

তিথীডোর এর ছবি

ফ্রান্সের কর্সিকা দ্বীপের পাহাড়ের ছায়ার ঐ ১১ নং ছবিটা অসম্ভব সুন্দর!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

জিপসি এর ছবি

ধন্যবাদ। ইচ্ছে আছে কোন একদিন কর্সিকা দ্বীপে দাঁড়িয়ে সার্ডিনিয়ার পাহাড়ের ছবি তুলব।

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

নজমুল আলবাব এর ছবি

"উত্তাল সাগরের মাঝে একটি দ্বীপে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে যাব বলে মানসপটে যে ছবি এঁকে রেখেছিলাম তা সার্ডিনিয়াতে পা রাখা মাত্রই বিলীন হয়ে যায়। কোথায় সেই বালুচরে ছুটে বেড়ানো কাঁকড়ার ঝাঁক? নেই মাইলের পর মাইল সৈকতের কোলঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা আকাশছোঁয়া হোটেলের সারি।"

শুরুতে এসব বলে অনেক কিছু বলার যে ইঙ্গিত দিলের সেই ইঙ্গিত আর ফুটে বের হলো না। মন খারাপ
পাণ্ডবদা সেটা বলেছেনও। নতুন করে আর বল্লাম না। ছবি দেখে ভালো লাগলো।

জিপসি এর ছবি

আমার কাছে সার্ডিনিয়াকে ঠিক কল্পনার দ্বীপ বলে মনে হয়নি। স্ফটিকের মত স্বচ্ছ সাগরের নোনা জল একদিকে আর ঠিক উল্টো পাশে ১৮০০ মিটার উঁচু পর্বতসারি। তাও আবার অতিশক্ত গ্রানাইট পাথরের বড় বড় টুকরো দিয়ে গঠিত। আমি বাস করি সবুজে ঘেরা এক আল্পিয় উপত্যকায় তাই সার্ডিনিয়াতে 'সবুজ' রঙটাকেই খুব মিস করেছি।
তারপরও সার্ডিনিয়া ভ্রমণ খুব ভাল লেগেছে। রাস্তার দুধারে ক্যাকটাসের বন ছাড়িয়ে গাল্লুরার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরে বেড়াতে এক বুনো মজা পেয়েছি। সেই অনুভুতি আমি আসলেই ভাষায় প্রকাশ করতে পারিনি। সার্ডিনিয়ার রুক্ষ সৌন্দর্য আমি শুধুি দেখেছি, অনুভব করেছি।
ফেরার দিন ভাড়া করা ছোট্ট গাড়িটা ফেরত দিতে গিয়ে কষ্ট পেয়েছি। মনে মনে চাচ্ছিলাম ফ্লাইট যেন আর দুদিনের জন্য ক্যানসেল হয়ে যায় কারন অপরুপা সার্ডিনিয়াকে তো শুধুই দেখলাম, জানতে পারলাম না।

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

জিপসি এর ছবি

হাততালি

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ছবিগুলো দেখে তো ছুট লাগাতে ইচ্ছে করছে এখনি। কিন্তু উপায় নাই। ওদের সৈকতের পানির রং এত স্বচ্ছ হয় কী করে!! ওরকম পানিতে পা ডুবিয়ে সারা বিকেল হেঁটে হেঁটেই কাটিয়ে দেয়া যাবে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

জিপসি এর ছবি

এত স্বচ্ছ সাগরের পানিতে আমি নিজেও কোনদিন নাইতে নামিনি। সার্ডিনিয়াতে মোট দশটি বিভিন্ন লোকালয়ের সৈকতে গিয়েছি, সবখানে জল একশত ভাগ স্বচ্ছ। গলা সমান পানিতে দাঁড়িয়ে থেকেও গোড়ালির চিপায় ছোট ছোট মাছের দলের হুটোপুটি পরিষ্কার দেখতে পেতাম। দেঁতো হাসি

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।