প্রতারিত আমরা প্রতিনিয়ত হচ্ছি, কেউবা ট্রেনের টিকেট কিনতে, কুরিয়ারে টাকা পাঠাতে, গ্রামীন ফোনের ভৌতিক ইন্টারনেট বিলে, সিএনজি ওলার হাতে, ঘরে-বাহিরে সব জায়গায়। আমরা মুখ বুঝে সহ্য করি, ভদ্রতার খাতিরে অনেক কিছুই মাফ করে দেই, ঝগড়া বা ঝামেলায় যেতে চাইনা। আমিও নির্বিরোধী মানুষ, আমার শরীরে কেউ পাড়া না দেয়া পর্যন্ত কারো সাথে লাগি না। আর যদি লাগি তবে সেক্ষেত্রে আমার চেয়ে বেশী লাগা মানুষ খুব কম আছে। আমার জেদ প্রচন্ড। আমি এরকম একটি ঘটনার বর্ণনা এখানে দেব।
২০০৫ সালের শীতের এক রাতে আমার বন্ধু ফাহিম আমাকে জানালো তাকে কিছু ডিভিডি পাঠাতে। সে তখন সুইজারল্যান্ডে। আমি সুন্দর করে ডিভিডি গুলো প্যাকেট করলাম। অতঃপর পাঠানোর জন্য প্রথমেই মাথায় এলো DHL. আমি এর আগে কখনো বাহিরে কিছু পাঠাইনি, কেমন খরচ আসবে আমার কোন ধারনা ছিলনা। তাই DHL অফিসে গিয়ে যখন জানলাম চার হাজার টাকার মত পড়বে, আমি হতাশ হলাম, এতো বেশী হবে আমি আসলে ভাবি নাই। যাইহোক আমার মুখ দেখে DHL এর লোকটা বুঝল আমি এতো টাকা খরচের পক্ষপাতি নই। তিনি বললেন আপনি এক কাজ করেন, কন্টিনেণ্টাল বা সুন্দরবনে দেখেন, ওরা কম নিবে, যেহেতু DHL বিদেশী কোম্পানী। তার বুদ্ধিমত আমি গেলাম কণ্টিনেণ্টালে, সেখানে বললো চব্বিশো টাকার মত পড়বে। এটাও আমার জন্য অনেক বেশী, তাই ভাবলাম সুন্দরবনে যাই। উনি বললেন সুন্দরবন, কন্টিনেণ্টাল সব একই। আমি যদি খুব কমে পাঠাতে চাই, এবং আমার যদি কোন তাড়া না থাকে তাহলে আমি ডাক বিভাগের পোষ্টাল মাধ্যমে পাঠাতে পারি। তাতে অনেক সাশ্রয় হবে। তার কথা আমার পছন্দ হলো। সেদিন আর পোষ্ট অফিস যাওয়া হলো না।
দুদিন পরে গেলাম ঢাকা জি.পি.ও তে আমার ডিভিডি পোষ্ট করতে। অফিস টাইমে সময় বের করতে না পারায় সন্ধ্যায় গেলাম সেখানে অফিসের গাড়ি নিয়ে। সন্ধ্যাবেলায়ও জি.পি.ও তে বেশ কর্মচাঞ্চল্য। আমি ভেতরে ঢুকতে না ঢুকতেই এক লোক আমাকে টেনে নিয়ে বললো আপনার কিছু পাঠাবেন? আমি বললাম জ্বি,ভাই আমি ডিভিডি পোষ্টালে পাঠাবো, আমাকে কি করতে হবে? বললো কিছুই করতে হবেনা, আপনি কষ্ট করে এখানে এসেছেন এটাই যথেষ্ট, বাকিটা আমরা এখানে আছি, আমরাই করে দিবো। আমি জিজ্ঞেস করলাম আপনি কি ডাক বিভাগের কর্মচারী? উনি বললেন জ্বী, আমি সে রকমই কাজ করি। আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে হাত ধরে টেনে একটা টেবিলের সামনে বসালেন, আর নিজে বসলেন অন্য পাশটায়। ত্বরিত গতিতে আমার প্যাকেটের উপরে ব্লু কালারের একটা ফর্ম লাগালেন এবং নিজে নিজেই কষ্ট করে প্যাকেটের গায়ে লেখা ঠিকানা ঐ ফর্মে কপি করলেন। আমি ডাক বিভাগের সেবায় তখন চমৎকৃত, অসাধারণ! আমাদের দেশের সরকারী সেবা নিয়ে মা্নুষের অভিযোগের অন্ত নাই, অথচ ডাক বিভাগ এর ব্যতিক্রম। মনে মনে তারিফ করলাম ডাক বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের, নিশ্চয়ই ভদ্রলোক অনেক সৎ এবং পরিশ্রম করে ডাক বিভাগকে এই পর্যায়ে উন্নিত করেছেন। কাজ শেষ করে আমার সাহায্যকারী ভদ্রলোক বললেন এইবার টাকা দেন। আমি বললাম কিসের টাকা? উনি বললেন সার্ভিস চার্জ আর পোষ্ট করার টাকা। আমি বললাম পোষ্ট করার চার্জ বুঝলাম কিন্তু সার্ভিস চার্জ কিসের? উনি বললেন, এই যে আমি কষ্ট করে আপনাকে নিয়ে এসে বসে বসে ফর্ম ফিলাপ করে দিলাম, এড্রেস লিখলাম, তার জন্য টাকা লাগবে না? আমি বললাম, এটার জন্য আবার টাকা?!! আপনি এমনি এমনি করে দিয়েছেন না? উনি হেসে বললেন, ভাই আপনি কোন দেশ থেকে এসেছেন? এই দেশে মাগনা কি কিছু হয়? হাগতে-মুততেও পয়সা লাগে, দেন আমারে দুইশ টা টাকা দেন। আমার চোখ তখন কপালে! দুইশ টাকা!! মাত্র দুইলাইন লেখার জন্য দুইশ টাকা? আপনাকে কি আমি বলেছিলাম, আমারে লিখে দেওয়ার জন্য? আপনাকে কে বলেছিল লিখতে? যান মিয়া ফুটেন, আপনাকে আমি এক আনা ও দেবো না বলে আমি টান দিয়ে ফর্মটা ছিঁড়ে তার হাতে দিয়ে হন হন করে হেঁটে আসলাম। সে আমার পিছনে পিছনে আসতে লাগল। বললো ভাই, দুইশ লাগবে না, আপনি আমারে তাইলে বিশ টাকা দেন, আমি আপনাকে লাইন ডিঙ্গিয়ে পোষ্ট করার ব্যবস্থা করে দিবো। আমি তার দিকে ফিরে কটমট চোখে তাকিয়ে বললাম, আপনি আমার পিছনে পিছনে আসবেন না, বিপদে পড়বেন। সে বললো আপনি কি বিপদে ফেলবেন আমারে? আপনি কি পুলিশে চাকুরি করেন নাকি? আমি বললাম আমি একজন সরকারী কর্মকর্তা, বাহিরে গিয়ে দেখে আসেন আমি কি গাড়ীতে আসছি, তাহলে বুঝবেন আমি কি করি। সে সত্যি সত্যি বাহিরে গিয়ে আমার জলপাই কালারের জীপ এবং ইউনিফরম পড়া ড্রাইভারকে দেখে এসে বললো লাগবেনা আপনার টাকা দেয়া, বলে চলে গেল।
যাইহোক, এইবার নিজেই লাইনে দাঁড়ালাম। সেই সন্ধ্যায় অনেক লম্বা লাইন। এক লোককে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হলাম এই লাইনে দাঁড়ালে পোষ্টাল কুরিয়ারে জিনিস বাহিরে পাঠানো যাবে। অনেকক্ষন পরে লাইনের সামনে আসলাম। কাউণ্টারে কাঁচের গ্লাসের অপর পার্শ্বে বসা এক মহিলা, মাথায় হিজাব। জিজ্ঞেস করলেন কোথায় কি পাঠাব, আমি সবিস্তরে বললাম। গ্লাসের নিচের অংশে অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি ফাঁক দিয়ে উনি প্যাকেটটা নিলেন, ওজন মাপলেন, তারপরে ফ্রাংকিং মেশিনের ভেতর দিয়ে একটান মেরে প্যাকেটের গায়ে সীল মেরে দিলেন। আমি কত টাকা হয়েছে জিজ্ঞেস করতে বললেন চৌদ্দশ টাকা। আমি পকেট থেকে ৩ টা পাঁচ শত টাকার নোট বের করে উনাকে দিলাম। উনি কোন ভাংতি না দিয়ে পুরা টাকা রেখে দিলেন। আমি বললাম, আমার টাকা? উনি বললেন, ভাই, আমরা কষ্ট করি আমাদের কিছু দিবেন না? আমি বললাম, আপনি ৫০ টাকা রেখে বাকি ৫০ টাকা আমাকে দিয়ে দেন। উনি ৫০ টাকা আমাকে ফেরত দিলেন। হঠাৎ কি মনে করতে আমি ফ্রাংকিং মেশিনের উপরে লেখা টাকার ৩টা অংক দেখলাম, আমার সন্দেহ হতেই আমি মহিলা কে বললাম, ম্যাডাম আমি প্যাকেটটা একটু দেখতে চাই। উনি বললেন যে প্যাকেটটায় সীল পরে গেছে, এটা আর দেখা যাবেনা। আমি বললাম, এড্রেসটায় একটু ভুল হয়েছে, ঠিক করতে চাই। উনি গ্লাসের এক কোনা দিয়ে হাত দিয়ে ফ্রাংকিং মেশিনে বসানো টাকার অংকটাকে আড়াল করে আমাকে এড্রেস ঠিক করতে দিলেন। আমি একটান দিয়ে প্যাকেটটা গ্লাসের বাহিরে নিয়ে আসলাম। ফ্রাংকিং মেশিনে সীল মারা পরিস্কারভাবে লেখা সাতশত বারো টাকা। আমার ধাঁই করে মাথায় রক্ত চড়ে গেলো। মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এটা কি করলেন? আমার কাছ থেকে চৌদ্দশ টাকা কোন সাহসে নিলেন? এই দুই নাম্বারী কেন করলেন? মহিলা একটু ও লজ্জা বা ভয় না পেয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবেই হেসে হেসে বললেন, এটা আমাদের সার্ভিস চার্জ। আমরা এই যে সন্ধ্যাবেলা, স্বামী-সংসার ফেলে আপনাদের সার্ভিস দিচ্ছি তার একটা চার্জ আছেনা? আমি বললাম, চার্জ আছে না মানে? আপনি যদি অতিরিক্ত ডিউটি করেন সেক্ষেত্রে সরকার আপনাকে ওভারটাইম দেবে, আপনারা সাধারন মানুষের কাছ থেকে কেন টাকা আদায় করবেন? আর এই চার্জ কি আপনার ইচ্ছেমত যতটাকা খুশি তত টাকা? আমি খুশি হয়ে আপনাকে কিছু টাকা দিতে পারি কিন্তু আপনি আমার পোষ্ট করার সমান টাকা আমাকে না বলে নিয়ে গেছেন এটা কি ধরনের কথা? মহিলা সাথে সাথে উত্তর দিল, সরকার আমাদের যে ওভারটাইম দেয়, তা এতো অল্প যে তাতে আমাদের পোষায় না, তাই বাধ্য হয়ে চার্জ নিতে হয়। আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম মহিলার কথা শুনে। আমি সাথে সাথে তাকে বললাম, আপনি আমার টাকা ফেরত দিন এবং সবার সামনে হাতজ়োড় করে আমার কাছে মাফ চান। অন্যথায় আপনাকে আমি আজ থানার ভাত খাওয়াবো। আমার কথায় মহিলা কোন কর্নপাতই করলো না, উল্টো দুই-চারজন আমাকে উপদেশ দিলো এখান থেকে চলে যান, এদের সাথে ভেজাল করে নিজেই ভেজালে পড়বেন। আমার মনে হলো এইবার আমার নিজের পরিচয় দেয়া দরকার তাহলে হয়তো মহিলা ভয় পাবে। আমি মহিলাকে বললাম, দেখুন, আমি চাইলে অনেক কিছু করতে পারি, কিন্তু তাতে আপনি অনেক বিপদে পড়বেন, আমার পরিচয় জানা থাকলে আপনি এতো কিছু করার সাহস পেতেন না। উনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি করেন? আমি বললাম, আমি সেনাবাহিনীর একজন অফিসার, আমার র্যাংেক ক্যাপ্টেন। উনি শুনে তাচ্ছিল্য টাইপের হাসি দিয়ে বললেন, যান আপনি কি করবেন করেন গিয়া। উপরে আমার স্যার আছেন, পারলে স্যারের কাছে বিচার দেন গিয়া।
আমার মেজাজ এইবার অত্যাধিক খারাপ হয়ে গেল। মহিলার দুঃসাহস আমার সকল কল্পনা অতিক্রম করেছে। আমি চিন্তা করছিলাম যে সাধারণ মানুষ কত অসহায় এইসব মানুষদের কাছে। কার কাছে বিচার দিবে, কে করবে বিচার? আমি ঠিক করলাম, আমি আমার সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে এই মহিলাকে একটা উচিৎ শিক্ষা দেব।
মাথা ঠান্ডা করে প্ল্যান করলাম কিভাবে কি করবো। তিনটা প্ল্যান ঠিক করলাম, একটা প্ল্যান মিস গেলে আরেকটা চালাবো। প্রথমে আমি এর উর্দ্বতন কর্মকর্তার কাছে দু’তলায় গেলাম। সন্ধ্যাবেলার অফিসে উনিই সিনিয়র অফিসার। তার কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে নালিশ করলাম। তিনি আমার পরিচয় পেয়ে পিয়নকে চা আনতে বললেন এবং ধীরে সুস্থ্যে পুরো ঘটনা শুনলেন। শুনে বললেন, ভাই আপনি যে অভিযোগ করছেন, তা অতি মারাত্বক। এই ধরনের অভিযোগ মুখে দিলে হবেনা, লিখিত দিতে হবে। যেহেতু একজন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে আপনি গুরুতর অভিযোগ করছেন, ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত আদালত গঠিত হবে। তারপর ইনভেস্টিগেশনে যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি দেয়া হবে। আর না হলে কিছু করা যাবেনা। আমি তাকে বললাম, ভাই আমি এইসব প্রসিডিউর জানি, সরকারি বিধিমালা ১৯৭৯ এবং ১৯৮৫ আমার মুখস্ত। আমি আপনাকে পরে প্রসিডিউর অনুযায়ী লিখিত অভিযোগ করবো, তখন আপনি ঐ প্রসিডিউরে যাবেন। কিন্তু এখন আপনি আমার সাথে নিচে চলেন এবং ওখানে অনেক মানুষ দেখেছে উনি আমার সাথে কি করেছে, আমার টাকা চুরি করেছে, আমি হাতে-নাতে তাকে ধরেছি। আপনি নিচে গেলে উনি আমার টাকা ফেরত দিয়ে দিবে। উনি আমার কথায় অপারগতা প্রকাশ করলেন। বললেন, এই অবস্থায় উর্দ্বতন ডাক কর্মকর্তার অনুমতি ব্যাতিত তিনি এই কাজে যেতে পারবেন না। আমি তাকে বললাম, আপনি উর্দ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নেন, নিয়ে আমার সাথে নিচে চলেন। উনি বললেন স্যার তো এখন বাসায়। আমি বললাম আপনি বাসায় ফোন করেন, ল্যান্ডফোনে না পেলে আমার মোবাইল থেকে ফোন করেন, এই নিন বলে আমার মোবাইল দিলাম। ভদ্রলোক অনিচ্ছা স্বত্বেও বাসায় ফোন করলেন, ওপাশ থেকে কি শুনে বললেন, স্যার তো বাসায় নেই, বাহিরে পরে ফোন করতে বলেছেন। আমি তাকে বললাম, আপনি আমার পরিচয় দিয়েছেন? দেন, আমি কথা বলব আপনার স্যারের সাথে। আমি আমার মোবাইল থেকে উনার স্যারকে ফোন দিলাম। হ্যালো বলতেই, সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় দিলাম এবং সংক্ষেপে ঘটনার বিবরণ দিলাম, উনার কথা শুনে মনে হলো ব্যাপারটা উনি খুব সিরিয়াসলি নেননি। বললেন, কালকে অফিসে এসে উনার সাথে দেখা করে কথা বলতে।
আমি বুঝলাম এদের কাছ থেকে আমি তাৎক্ষনিক কোন সাহায্য পাবোনা। আমার দ্বিতীয় প্ল্যান কাজে লাগাতে হবে।
আমার মোবাইলে জরুরী সব নাম্বার ষ্টোর করা থাকে, শান্তিকালীন সময়ে আমি নাম্বার গুলো জোগাড় করে মোবাইলে সেভ করে রাখি আর যুদ্ধকালীন সময়ে কাজে লাগাই। ফোন দিলাম ঢাকা মেট্রোপলিটোন পুলিশের মতিঝিল অঞ্চলের উপ-পুলিশ কমিশনারকে, তাকে আমার পরিচয় দিয়ে বললাম আমি একজন ছিনতাইকারী জি.পি.ও তে হাতে নাতে ধরেছি, তাড়াতাড়ি টহল দল পাঠান। ছোট্ট এই মিথ্যা বলতে হলো তাড়াতাড়ি পেট্রল যেন আসে এই কারনে। উনি বললেন এখনি পাঠাচ্ছি। ফোন রেখে এইবার র্যাবে ফোন দিলাম। এটা আমার ব্যাক-আপ ফোর্স, যদি পুলিশ না আসে তাহলে এদের কাজে লাগাবো প্লাস যদি মহিলা তার সহকর্মীদের নিয়ে কোন গ্যাঞ্জাম পাকাতে চায়, র্যাব-পুলিশ উভয় বাহিনী থাকলে সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করা সহজ হবে। এছাড়া ক্যান্টনমেণ্টে মিলিটারী পুলিশকে ও জানিয়ে রাখলাম, যাতে কোন অঘটন ঘটলে তারা আসতে পারে। এইবার আমার খেলা শুরু। আমি অপেক্ষায় থাকলাম, কখন মতিঝিল থানার টহল দল আসে। কিছুক্ষনের মধ্যে পুলিশের একজন এএসআই দল-বল সহ চলে আসলেন। এসে আমাকে খোঁজ করতেই আমি এগিয়ে গেলাম, পরিচয় দিলাম এবং কঠিন একটা স্যালুট নিলাম। উনাকে পরিস্থিতি বর্ণনা করলাম। উনি সব শুনে বললেন, স্যার আমি আপনার টাকা উদ্ধার করে দিচ্ছি, তবে এই মহিলাকে থানা হাজতে নেয়ার কোন প্রয়োজন নাই আমার মনেহয়। আমি তাকে বললাম, আমার টাকা উদ্ধারের প্রয়োজন নাই। আমি এই মহিলাকে আজকে থানা-হাজতে দেখতে চাই, এটাই আমার একমাত্র চাওয়া। উনি রাজি হচ্ছেন না দেখে আমি তাকে বললাম, এসআই সাহেব, আপনার কাছে এটি অতি সামান্য ঘটনা মনে হতে পারে, তবে আমার কাছে অনেক। আমি এই সামান্য ঘটনার জন্য যদি এতটুকু যেতে পারি, আপনার ঐ মহিলার প্রতি সহানুভূতির জন্য আমি পুলিশ কমিশনার, আইজি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত যেতে পারব, তবে আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো। আপনি আমার কথা শুনেন, না হলে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন কথা না শুনার কারনে।
ইতিমধ্যে আমাদের চারপাশে ভীড় জমে গেছে। অনেকে লাইন ভেঙ্গে কৌতুহলী হয়ে উঁকি-ঝুকি দিচ্ছে কি হচ্ছে এখানে। মহিলাকে দেখলাম কাউণ্টার ছেড়ে উপরের তলায় অফিসারের রুমের দিকে যেতে। এর মধ্যে র্যাবের একটা দল ও চলে আসলো। আবার আমার ড্রাইভার ও চলে আসায় এখানে তিন বাহিনীর মোটামুটি একটা সম্মিলিত দল হয়ে গেল।র্যাব-পুলিশের আনা গোনা দেখে পোষ্ট অফিসের সকল কাজকর্ম তখন বন্ধ হয়ে গেছে, সবাই এখানে ভীড় জমিয়েছে।
যারা ঘটনা প্রথম থেকে দেখেছেন তারা সবাই বাকিদের বলছেন এবং সবাই এদের শাস্তি দাবি করছেন। এক মধ্য-বয়সী ভদ্রলোক বললেন, এদের দুর্নীতিতে সবাই অতিষ্ট। সাধারন মানুষ কার কাছে বিচার চেয়ে পায়না। তাই এরা কাউকে পাত্তাও দেয়না। আজ যেহেতু আপনার সাথে লেগেছে একজনকে হলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে এই অফিসের বাকি সবাই সোজা হয়ে যায়। আমি বললাম, আমি এই মহিলাকে আজ পুলিশের হাতে তুলে দিব।
আমার এই কথা শেষ হওয়া মাত্র, ঐ মহিলা কোথা থেকে প্রায় উড়ে এসে আমার পায়ের উপরে ঝাঁপিয়ে পরলেন। চিৎকার করে কান্নাকাটি করতে থাকলেন। বললেন তার ভুল হয়ে গেছে, তিনি বুঝতে পারেননি। তার স্বামী সংসার এবং ছোট বাচ্চা আছে যদি তাকে জেলে যেতে হয় তবে তাকে আত্নহত্যা করতে হবে। উনি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছেন এবং উনি ভুল বুঝতে পেরেছেন। আমার নিশ্চয় তার মতো একটি বোন আছে, সে বোনের কথা স্মরন করে তাকে মাফ করে দিতে। তার কথায় আমার বিন্দুমাত্র মন গললো না। আমি জানি এই সব কথার স্ক্রিপ্ট তারা শান্তিকালীন সময়ে রেডী করে রাখে আর যুদ্ধকালীন সময়ে আউড়ে যায়।
যাইহোক এএসআই সাহেবকে অভিযোগ লিখতে বলতে উনার চোখ যেন ছল ছল মনে হল, বললেন স্যার, দেখেন কিছু করতে পারেন কিনা, গরিব মানুষ তার উপর মহিলা। আমি বললাম উনি মোটেও গরিব না। আমার বেতনকে ত্রিশ দিয়ে ভাগ দিলে তিনশ টাকা আসে আর উনার ৫ মিনিটে আয় সাড়ে সাতশ টাকা, উনি আমার চেয়ে বড়লোক। আমার এই কথা শুনে মহিলা আরো জোরে হু হু করে কেঁদে কেঁদে উঠলেন। এই অবস্থায় পাবলিক সেণ্টিমেন্ট দেখলাম মহিলার প্রতি। সবার বক্তব্য মহিলা মানুষ থানায় নেয়া ঠিক হবেনা, উনি যা অপমানিত হওয়ার তা ইতিমধ্যে হয়েছেন, তার উচিৎ শিক্ষা হয়ে গেছে।
এর মধ্যে দুইতলায় দেখা করা ঐ উর্দ্বতন কর্মকর্তা সাড়ে সাতশ টাকা আমার হাতে দিয়ে বললেন, ব্যাপারটা অনেক দূর গড়িয়েছে, এব্যাপারে ডিজি আপনার সাথে কথা বলবেন এবং এর একটি বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।আপাততঃ মহিলাকে যেন মাফ করে দেই। অতঃপর সবার অনুরোধে মহিলাকে মাফ করে দিলাম এবং স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী রেখে দিলাম তার স্বাক্ষরসহ।
পরে এটা নিয়ে আর কিছু হয়নি, কারন ২ দিন পর পত্রিকায় দেখলাম ডাক বিভাগের মহাপরিচালক নিজে একটি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন, চট্রগ্রামে ডাক বিভাগের যে অফিসিয়াল বাংলো ছিল তা তিনি পারমানেণ্টলি তার এক আত্বীয়কে ভাড়া দিয়েছেন এবং সেই টাকা তিনি নিজেই মেরে দিয়েছেন-এরকম খবর প্রথম আলোতে এসেছিল। এছাড়া আরো বহু অভিযোগ। আমার আর এদের কাছে বিচার চাইতে রুচি হয়নি।
মন্তব্য
তাহলে বোঝেন সাধারণ মানুষের কী অবস্থা।
সেটাই মনে মনে ভাবছিলাম।
আমিও...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমিও...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
যুবরাজের অসাধারণত্বে চমৎকৃত হইলাম
অফিস টাইমের বাইরে সরকারী গাড়ি ব্যবহার করার বিচারটা তাহলে কার কাছে চাওয়া উচিত তাই ভাবছি
অমিত, ধন্যবাদ পয়েণ্টটা খেয়াল করার জন্য। আমি সেদিন আমিনিটিতে গিয়েছিলাম। আমরা সপ্তাহে একদিন ছয়ঘন্টার জন্য ব্যক্তিগত কাজে গাড়ি ব্যবহার করতে পারি। যত কিলোমিটার গাড়ি চলবে তত কিলোমিটারের মুল্য পরিশোধ করতে হবে মাস শেষে TR এর মাধ্যমে। গাড়ি কত কিলোমিটার চললো, সেটা বের হওয়ার সময় এমপি গেটে নোট করার থাকে, আবার ভেতরে আসার পরে এমপি সেটা চেক করে। এমপি তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছে কিনা এটা দেখার জন্য গেটের পাশে সিভিল ড্রেসে কিছু লোক বসে থাকে, এরা গোয়েন্দা বা ইনফরমার। আপনি খেয়াল করবেন বাহিরে সেনা গাড়ি গুলো চললে সামনে একটা আমিনিটি বোর্ড ঝুলে। এর মানে ঐ ব্যাক্তি ব্যাক্তিগত কাজে বাহির হয়েছেন এবং তাকে এই জন্য পেমেণ্ট করতে হবে। আমি ইচ্ছে থাকলেও আমিনিটি ছাড়া বের হতে পারবনা অফিস টাইমের পড়ে, কারন এমপি আমার গাড়ি বাহিরে যেতে দিবেনা। আর সাধারণ সৈনিক এবং তাদের পরিবারের জন্য নিয়ম হলো তারা মাসে একবার ফ্রি আমিনিটিতে যেতে পারে অর্থাৎ এর জন্য সরকারকে কোন টাকা দিতে হবেনা।
আপনাদের আরেকটা জিনিস জানানো দরকার, আর্মি্তে লেঃ কর্নেল হওয়ার আগ পর্যন্ত অফিসে যাওয়া-আসার জন্য কেউ গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেনা, শুধুমাত্র অফিসার কমান্ডিং মেজর না হলে। বাকি যত মেজর, ক্যাপ্টেন, লেঃ আছে তাদের জন্য সম্পুর্ণ নিষেধ। শুধুমাত্র বৃষ্টির দিন এবং হাসপাতালে যাওয়া আসা ব্যতিত।
এছাড়া সপ্তাহে একদিন ভেহিকেল লে অফ ডে পালন করা হয়। ঐদিন কেউ ইমার্জেন্সি ব্যতিত গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেনা। সেদিন সকল গাড়ির মেণ্টেনেন্স করা হয়, যে কারনে বছরের পর বছর গাড়ি গুলো ভালো থাকে।
আমার দেয়া তথ্যগুলো ঠিক আছে কিনা তা সেনাবাহিনীতে কর্মরত আপনার যেকোন বন্ধু বা আত্বীয়ের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন।
---------------------------------------------------------------------------- হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
ধন্যবাদ তথ্যগুলোর জন্য।যাচাই করার দরকার নেই। ভুল হলে কেউ না কেউ এসে বলবেই।
আপনি কি আমাকে একটি তথ্য দিতে পারবেন ? বাংলাদেশ আর্মির অফিশিয়াল দায়িত্ব কি ? আমি আর্মির ওয়েবসাইটে একটু চোখ বুলালাম।সেরকম কিছু চোখে পড়লোনা।
আমি যখন আর্মি হই নাই এবং সাধারন একজন ছাত্র ছিলাম আমার প্রশ্ন ছিল এরা করে কি? এদের তো কোন কাজে দেখি না, কারন পুলিশ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত এবং আমরা সেটা স্বচক্ষে দেখতে পারি। এদের কাজটা কি?
এদের প্রধান কাজ ট্রেনিং। এরা সারাটা বছর ধরে ৫ টা সাইকেলে (প্রতি সাইকেল ২ মাস) ব্যাটালিয়ন, ব্রিগেড, ডিভিশন পর্যায়ে ট্রেনিং করে থাকে। এই ট্রেনিং নিয়া সারা মাস পরে থাকে। এই ট্রেনিং এ যা শিখানো হয় তা প্র্যাকটিক্যালি গ্রাউন্ডে বছরে অবশিষ্ট ২ টা মাসে দেখা হয় তারা কি শিখল। একটি হলো গ্রীষ্মকালীন এক্সসাসাইজ অন্যটি হল শীতকালিন এক্সসাসাইজ। এই ট্রেনিংটাই প্রতিটি দেশের আর্মির শান্তিকালীন কাজ। এছাড়া দূর্যোগকালীন ট্রেনিং ও নিতে হয়, যেমন ভুমিকম্পের পরে উদ্ধার অভিযানের জন্য আগাম প্রস্তুতি।
এছাড়া সরকার থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেয়া হয়, যেমন এই মুহুর্তে বান্দরবনের সবচেয়ে দূর্গম পাহাড়ী রাস্তা রুমা থেকে আলিকদম, বাঘাইহাট- সাজেক প্রকল্প , মেরিন ড্রাইভ প্রকল্প, বিভিন্ন স্থানে বেড়ী বাধ নির্মাণ, দুস্থদের জন্য আশ্রায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ইত্যাদী সারা বছর ব্যাপী চলতে থাকে। এর বাইরে অসংখ্য সংস্থাতে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হয়।
---------------------------------------------------------------------------- হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
খুব কাজের উত্তর। (হাত উঁচা)
প্র্যাকটিক্যাল গ্রাউন্ড জিনিসটা একটু বুঝায়া বলেন প্লিজ। এক্সারসাইজের বাইরে জাতিসংঘ শান্তিমিশনও কি এর অন্তর্ভূক্ত? নাকি যুদ্ধ পরিস্থিতি সিমুলেট করা হয়?
Rankভেদে কি ট্রেনিং পরিবর্তিত হয়? যেমন, একজন কর্নেলের জন্য যে ট্রেনিং, একজন ক্যাপ্টেনের জন্যও কি একই ট্রেনিং?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
যুবরাজের হয়ে উত্তর দেই। ভুল হলে যুবরাজ ঠিক করে দিবেন আশা করি।
আর্মীতে একজন সার্জ়েন্টকে তার সেকশন সমন্ধে জানলে চলে, কারণ তার দায়িত্ব সেকশন লেভেলে। একজন ওয়ারেণ্ট অফিসার জানবে প্লাটুন, ক্যাপ্টেন/ মেজর কোম্পানী, লেঃ কর্নেল ব্যাটালিয়ান, কর্ণেল/ ব্রিগেডিয়ার ব্রিগেড এবং তার উপরে। যার যে রাংক অনুযায়ী দায়িত্ব তাকে ততটুকু জানলে চলে। ট্রেনিং চালাতে ম্যানুয়াল অব কোয়ালিফিকেশন অনুসরণ করা হয়। সুতরাং কোন ভাবেই একজন ক্যাপ্টেন কে যা জানতে হয় তার চেয়ে অনেক বেশি জানতে হয় একজন কর্ণেল্কে। এটার সাথে তাদের প্রমোশোনের ও সম্পর্ক। ঐ গুলো তে পাশ না করলে সে উচ্চতর পদে পদোন্নতি পাবেনা। এক্ষেত্রে খালেদা-হাসিনা কারো তদ্বিরে কোন কাজ হবেনা। ঐটুকু জ্ঞান তাকে অর্জন করার পর কে প্রমোশন পাবে তা ঠিক হয়।
জাতিসংঘ শান্তিমিশন ট্রেনিং এর অন্তর্গত বিষয় নয়। এটা সরকারের সাথে জাতিসংঘের চুক্তি মোতাবেক হয়ে থাকে। আর্মির প্রায় প্রতিটি ক্যান্টনমেণ্টে স্কুল আছে, এই সব স্কুলে সারা বছর কোর্স চলতে থাকে, যেখানে বিভিন্ন সামরিক, সমরাস্ত্র, আন্তর্জাতিক বিষয়ে পড়ানো হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের আর্মি থেকেও প্রতি বছর প্রায় অর্ধসহস্রাধিক ছাত্র এতে পড়তে আসে, রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট,ভারত, পাকিস্থান, চীন সব দেশের ছাত্র অফিসার এই স্কুল গুলোতে ট্রেনিং নিতে আসে।
জেদী হবার সাথে সততার কোন সম্পর্ক নাই বোধ হয়.......না?
সঠিক, আপনি যেভাবে দেখবেন, গ্লাসে অর্ধেক পানি ও দেখতে পারেন অথবা অর্ধেক খালি ও দেখতে পারেন, যেভাবে দেখবেন তার উপরে। আপনি এখানে জেদ দেখেছেন অন্য কেউ অন্য কিছু দেখতে পারেন।
---------------------------------------------------------------------------- হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
(মডারেটরদের প্রতিঃ আমি একজন নিবন্ধিত সদস্য, কিন্তু ওনার ক্ষমতার জোর বা প্রতিশোধ স্পৃহা দেখে নিজের নামে মন্তব্য করার সাহস না পেয়ে বোরখার আশ্রয় নিলাম)
যুবরাজ ভাই আপনার কাছে আমার কয়েকটা প্রশ্ন আছে।
১) আপনি যে বিধি মোতাবেক লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন না, এর পেছনে কারণ কি?
২) একজন সাধারণ নাগরিকের মত থানায় যেয়ে অভিযোগ দায়ের করলেন না, এর পেছনে কারণ কি?
৩) একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিজের পরিচিতি বা ক্ষমতার পূর্ণ সদ্ববহার করাকে কি ক্ষমতার অপব্যবহার মনে করেন?
ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার নিয়ে ইতমধ্যে একজন মন্তব্য করেছেন, আমার প্রশ্ন হল যে ১০টাকা চুরি করে আর যে ১০,০০০ টাকা চুরি করে তাদের মাঝে পার্থক্য কি শুধু মাত্র সুযোগের?
আপনার নিজেকে আত্বগোপন করার স্পৃহা দেখে শ্রদ্ধা হারালাম, কাপুরুষ এবং ভিতু মানুষকে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে অপছন্দ করি। যাইহোক, আপনি নির্ভয়ে পরের বার আপনার নামসহ মন্তব্য করুন, আপনার সাহসী মন্তব্যকে সকলে সুন্দর ভাবে গ্রহন করবেন। আপনার সর্বশেষ প্রশ্নের উত্তর আমি উপরে দিয়ে দিয়েছি।
প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই, আমি যে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেইনি সেটা আপনাকে কে বললো? আমি সরকারি বিধিমালা ১৯৭৯ অনুযায়ী তার উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তিনি যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় তার ও উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তিনি ও যথাযথ গুরুত্ব না দেয়ায় আমি আইন-শৃংখলা বাহিনীর শরনাপন্ন হয়েছি । সর্বশেষ অফিসিয়াল শৃংখলা ভঙ্গের জন্য বিধি মোতাবেক সবচেয়ে জরুরী প্রাথমিক কাজ অভিযুক্তের স্বাক্ষর যুক্ত জবানবন্দী নিয়েছি। অতঃপর যার কাছে বিচার চাইবো সেই সর্বোচ্চ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দেখে অভি্যোগ করার আর উৎসাহ পাইনি। আমার ক্ষেত্রে থাকলে আপনিও তাই করতেন। একজন সাধারন নাগরিকের যে কর্তব্য আমি তাই করেছি। আমি এত কিছু করার পরও আপনার কেন মনে হলো যে আমি বিধি মোতাবেক যাইনি?
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে, আপনি লেখাটা আবার পড়ুন মন দিয়ে তাহলে বুঝতে পারবেন ঘটনাটা।
তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে, ক্ষমতার ব্যবহার করেছি, অপব্যবহার করিনি বলে মনে করি, যেহেতু সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অসৎ কর্মচারীকে পুলিশের হাতে দিতে চেয়েছি।
আপনার বক্তব্য পড়ে মনে হলো আপনি ব্যপারটাকে ঠিক পছন্দ করতে পারেননি, এটার কারণটা কি আমি আর্মি অফিসার এই জন্য? আমার অপরাধ টা আরেকটু বুঝিয়ে বললে ভালো হত।
---------------------------------------------------------------------------- হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
আপনি নিজেই বলেছেন এখানে।
আপনার মূখ্য উদ্দেশ্য তা ছিল বলে মনে হয়নি নিচের প্যারাটা পড়ে -
লিখিত অভিযোগ করা কেন জরুরী বলি। আপনি যেহেতু নিজেই স্বীকার করেছেন আপনি একজন মিথ্যেবাদি - নিজের সুবিধে আদায়ের জন্য পুলিশের কাছেও মিথ্যে বলতে পারেন, সুতরাং লিখিত অভিযোগ ছাড়া আপনার অভিযোগের কোন বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
গাড়ির ব্যাপারে বলি। সেনানিবাস থেকে জিপিও যাওয়া আসা নিদেনপক্ষে ৩ ঘন্টার ব্যপার। এত ঘটনা ঘটানো, পুলিশ আনানো, র্যাব আনানো, দীর্ঘ্যক্ষন লাইনে দাঁড়ানো ধরে নিলাম আরো তিন ঘন্টার। সেই হিসেবে ৬ ঘন্টা পার। তাহলে ২দিন আগে ডিএইচএল অফিসে যাওয়ার হিসেব থাকেনা। তাও ধরেই নিলাম আপনি সপ্তাহে ৬ঘন্টাই ব্যবহার করেন গাড়ি। প্রশ্ন হল - ৬ ঘন্টা অতিক্রম করে গেলে কি হয়?
আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিব দয়া করে নিজের আইডি ব্যবহার করে কথা বলুন। আমি জানি আমি কতটুকু সৎ বা অসৎ।
---------------------------------------------------------------------------- হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
উত্তর দেন ভাই। পোস্টের প্রেক্ষিতে আপনার পেশা যেমন মূখ্য না, মন্তব্যকারীর পরিচয়ও এক্ষেত্রে মূখ্য না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মন্তব্য নিজ নামে কর্তে ভয় পাওয়ার কী আছে বুঝলাম না।
আর উনি ভয় পাইতেছেন পাক, আপনার উত্তর কর্তে তো কোনো অসুবিধা থাকার কথা নয়।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
উত্তর দেই তাহলেঃ
নিচ থেকে শুরু করলাম, আপনার প্রশ্ন ছিল গাড়ীর কোন অপব্যবহার করেছি কিনা, জ্বী না, করিনি। আমি ছয় ঘন্টা সময়কালের মধ্যে এই সমস্ত কার্যক্রম শেষ করে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে "গাড়ী ইন" করেছি, আর নাহলে আমাকে জবাবদিহি করতে হত। এখন কি ভাবে ছয় ঘন্টায় কখন আমি পৌছুলাম, কখন লাইনে দাড়ালাম, তার পর এত কিছু করলাম, ঘড়ি ধরে আমি তা বলতে পারবো না ভাই, তবে আমার " ইন " এবং "আউট" টাইম ছয় ঘণ্টার মধ্যে ছিল এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আর না হলে এমপি রিপোর্ট আমার নামে পরের দিন সকালে চলে আসত।
আপনার আরেকটা এনকুয়ারী ছিলো আমি DHL অফিসে কিভাবে গেলাম? সহজ উত্তর সিএনজি। এখন আপনি দয়া করে সিএনজিতে উঠার ভাড়া কোথায় পেলাম এই জাতীয় প্রশ্ন করবেন না, বি্রক্ত বোধ করব।
লিখিত অভিযোগ কেন সাথে সাথে করলাম নাঃ ধরুন আপনার ছোট বেলার একটা ঘটনা। আপনারা পিঠাপিঠি ভাই-বোন, ঝগড়া করেন সারাদিন। আপনার বাবা নিয়ম করে দিয়েছেন যদি কেউ অন্যায় করে তবে সে মায়ের কাছে বিচার দিবে এবং মা বিধিমত বাবার কাছে বিচার দিবেন, বাবা শাস্তি দিবেন। এখানে বাবা বলতে "উর্দ্বতন কর্মকর্তা" আর মা হলেন "লিখিত অভিযোগ"। যে দিন বাবা ঘরে নেই সেদিন তো আপনি মাকে বলবেনই, কিন্তু বাবা নিজে যদি ঘরে উপস্থিত থাকেন তখন মায়ের কাছে না গিয়ে সরাসরি বিচার তো বাবার কাছেই চাইবেন, কারণ উনিই শেষ পর্যন্ত আপনার বোনের বিচারটা করে দিবেন। এ এক্ষেত্রে আমার সেই চিন্তা কাজ করেছে।
কেন মিথ্যা বলে পুলিশ আনলেনঃ আমি তো সত্যি বলেছি, তবে ঘুড়িয়ে বলেছি, কেন বলেছি, সেটার কারন ব্যাখ্যা করছি। আমি এর আগে বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশের সাহায্য পেয়েছি। তবে তাদের একটাই অসুবিধা, তারা ত্বরিৎ গতিতে আসে না, আসে তখনি যখন তারা শুনে হাতে-নাতে কিছু পাওয়া গেছে। আমি ঐ কথা না বললেও পুলিশ আসত, কোন সন্দেহ নেই আমার, তবে মহিলা যে 'চোর' এ ব্যাপারে আপনার আশাকরি কোন দ্বিমত নাই। 'চোর' এর জায়গায় ছিনতাই কারী বলায় পুলিশ অন্তত আধাঘন্টা আগে এসেছে এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন, আর একজন উপ-কমিশনারকে ঐ সময়ে বিস্তারিত পুরো বিবরণ কতটুকুই বা মোবাইলে বোঝানো যেত? আমি শর্টকার্ট করেছি, আমার বিচার-বুদ্ধি বিবেচনা মাথায় রেখে, আপনি এই মুহুর্তে এটা কে বড় দেখছেন আর আমার মাথায় ছিল আমাকে ক্যান্টনমেণ্টে তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে এবং এই ঘটনার একটা সুরাহা করে যেতে। অন্যথায় পরের দিন এই স্বাক্ষী গুলো পেতাম না এবং পরের দিন তারা পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দিতে পারত, তাই আপাত দৃষ্টিতে আপনার কাছে এটা "ভয়াবহ" অপরাধ মনে হলেও পরিস্থিতি আমার সময়ের লিমিটেশন বিচার করে আমি ঠিক কাজই করেছি। এর পর ও আপনি যদি আমার ভুল ধরেন, তবে আপনাকে অনুরোধ করবো সরকারি কর্মকর্তা কারো সাথে কথা বলতে, যে এই পরিস্থিতিতে এটা কত বড় অন্যায়।
" একজন ক্ষমতাহীন ভিরু কাপুরুষ হিসেবে হয়তো ক্ষমতাবানের প্রতি ঈর্ষা। "
--- আমার কিছু বলার নেই। আপনি নিজেই বলে দিয়েছেন।
টাকার জন্য আমি এতসব করেছিঃ ভুল। পুলিশ ইন্সপেক্টর এসে আমাকে টাকা উদ্বার করে দিতে চেয়েছিলেন আমি বলেছি আমার টাকার দরকার নাই। আমি তার শাস্তি চাই। আর প্রথমে উর্ধতন কর্মকর্তাকে বলছি "আমি হাতে-নাতে তাকে ধরেছি। আপনি নিচে গেলে উনি আমার টাকা ফেরত দিয়ে দিবে। " আমি টাকার জন্য না, ভদ্রলোক যদি নিচে যেতেন, ভদ্রমহিলা টাকা বের করা মাত্র টেকনিক্যালি বিপদে পড়ে যেতেন, তার শাস্তি অবধারিত ভাবে নিশ্চিত হয়ে যেত, কারণ প্রকারন্তরে তিনি তার অপরাধ উর্দ্বতনের সামনে স্বীকার করে ফেলতেন যা পর্বরতীতে তদন্ত হলে মহিলার বিপক্ষে যেত।
লিখিত অভিযোগ কেন করি নাই, এর উত্তর একবার দিয়ে দিয়েছি। ভালো থাকুন।
----------------------------------------------------------------------------
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
79 আর 85 বিধিমালায় আপনি কি এটা করতে পারেন? মানে এক্তিয়ার আছে কিনা? প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মচারিকে গ্রেফতার করার আগে তার উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতির দরকার হয় বলে জানতাম।
সিলেটে পাসপোর্টের ডিডিকে একবার পুলিশ/প্রশাসন মিলে গ্রেফতার করেছিল কোন অনুমতি ছাড়াই। ড্রয়ারভর্তি টাকাও নাকি উদ্ধার করেছিল। পরে উল্টো মাফ চেয়েছে।
আপনার বক্তব্যের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ব্যাখ্যা করবেন কি? যুক্তি সহ?
---------------------------------------------------------------------------- হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
আপনার নাম-ঠিকুজি গোপন করার মত কোন কিছুই দেখলাম না।
আর্মির দুর্নীতি ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ইতিহাস সর্বজনবিদিত। সচলের বেশির ভাগ সদস্যেরই সেনাবাহিনী প্রীতি নেই। যুবরাজ যেটা করেছেন সেটা কারো কারো কাছে হয়ত ক্ষমতার অপব্যবহার মনে হয়েছে, কিছু মন্তব্যে তাই মনে হয়। আপনারও হয়ত তাই মনে হয়েছে, দয়া করে মেরুদন্ড শক্ত করে কথা বলুন। নাম গোপনের বিষয়টি ভালো ঠেকেনি, বাকিরা কিন্তু নিজের নামেই বলেছে।
একটু সাহসী হলেও দোষ নেই। একটা কবিতা আছে না, চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য...একটা ব্লগের থিমও শুনেছি এই লাইনগুলো। সেই ব্লগে ভীতু দেখতে ভালো লাগেনা।
আমি আশা করব ভীতুদের এই মন্তব্যগুলো মডুর ছাঁকনিতে আটকা পড়বে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার নাম গোপন রাখায় আপনার আপত্তি মেনে নিলাম। কিন্তু বক্তব্যে কি কোন আপত্তি আছে?
এখানে ব্যক্তিগত ভাললাগা বা মন্দ লাগার কোন বিষয় নেই। সেনাবাহিনীর সদস্য না হলে ওনার আচরণ কি এরকম হত বলে আপনি/লেখক মনে করেন? এই পার্থক্যকেই মন্তব্যে তুলে ধরতে চেয়েছি। রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার হেঁটে যাওয়া দম্পতির কাবিন দেখতে চাওয়ার সাথে এই ব্লগের লেখার কোন পার্থক্য চোখে পড়েনি বলেই ক্ষমতার কথা তুলেছি।
মডারেটরদের প্রতি উদ্ধৃত অংশটি সক পাপেটিং এর অভিযোগে না পড়ার খাতিরে করা - লেখকের উদ্দেশ্যে করা নয়।
আমি আপনার বক্তব্য নিয়ে কিছু বলিনি, এই বক্তব্যটাই নিজের নামের আসা উচিত ছিল। এই গোপন করার আইডিয়া ভালো লাগেনি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই
কিছু মনে করবেন না প্লিজ। সচলের প্রচুর নিক ছদ্মনাম। 'যুবরাজ' নিকটাও ছদ্মনাম। ধুগো, দ্রোহী, প্রকৃতি প্রেমিক, থাবা বাবা আরো কয়েক ডজন হবে। আর বাকীরা আছে নিজ নামে, যেমন আপনি, আমি। যারা নিজ নাম-পরিচয় গোপন রেখেছে সচলয়াতন কর্তৃপক্ষ কোনদিন তাদের কাছে জানতে চায়নি আপনার নাম ধাম কী। জানা থাকলেও সেটার গোপনীয়তা রক্ষা করার নীতিও আছে সচয়াতন কর্তৃপক্ষের।
এখন একজন যদি নিজের নাম বা নিক গোপন করে কোন মন্তব্য করে সেটা কেন আপত্তিকর লাগবে? নাম-নিক গোপন করে মন্তব্য করা কি সচলের কোন নীতিমালা ভঙ্গ করে? পোস্টের লেখক সামরিক বাহিনীতে কাজ করে, তার ক্ষমতার দাপটের একটা উদাহরণ তিনি এ পোস্টে দিয়েছেন। পেপার-পত্রিকায় দেখেছি, আরো অনেক কর্মকতা অতীতে তাদের ক্ষমতার ধার দেখিয়েছেন। এখন কেউ যদি প্রাণ সংশয়ে ভুগে নিক গোপন করে সেটা কেন অগ্রহণযোগ্য হবে?
ছদ্মনাম আর নিক গোপন এক নয়। নিক গোপন করলে একটা সুযোগ থাকে নিজের নিক নিয়ে গোপনে করা মন্তব্যের সমর্থনে আরেকটা মন্তব্য দেওয়া।
আপত্তিকর লাগেনি, বিরক্তিকর লেগেছে। প্রত্যেকেই নিজের নিক বা নাম নিয়ে মন্তব্য করছে। সেখানে নিক গোপন করাটা জুজুর ভয় মনে হয়েছে।
জানি না, তবে মনে হয় পড়েছিলাম যে যাদের নিবন্ধিত একাউন্ট আছে, তারা যেন সেই একাউন্ট থেকেই মন্তব্য করেন। এটা না করলে সক-পাপেটিং একটা সুযোগ থেকেই যাচ্ছে।
প্রাণ সংশয়ের খুব বিরাট সম্ভবনা দেখছি না। অন্তত গোটা পাঁচেক সচল ওনার লেখাতে ক্ষমতার দাপট নিয়ে আপত্তি করেছেন, নিজের নাম বা নিক নিয়েই। যুবরাজ কাউকে মারবে না বলে মনে হয়।
আর যুবরাজ যদি ব্লগের মন্তব্যে ক্ষেপে গিয়ে কাউকে হত্যা করে তবে সেজন্য আইন আছে, আদালত আছে, ৩০২/৩০৫ ধারা আছে, আপনিই তো নীচে বললেন আইন মেনে সমস্যার সমাধান করতে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সচলের মডুরা কমেন্ট ছাড়ার সময় নিশ্চয় পড়ে দেখেন সেটা নীতিমালার মধ্যে পড়ে কিনা।
আপনার দৃষ্টি তো সবার দৃষ্টি না। আপনার মনে হওয়াও সবার মনে হওয়া না। আপনি বোধহয় জানেন না সামরিক বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হলে আইনি প্রতিকারের সুযোগ সীমিত। সাধারণত প্রতিটি অপারেশনের আগে/পরে ইনডেমনিটি দেয়া হয়। মরে গেলে তো প্রতিকার পাবার পথ থাকে না।
ব্যক্তিগতভাবে নিয়েন না।
আমি ব্যক্তিগতভাবে নেই নি। কিন্তু সহসচলের প্রতি আপনার ভীতি দুঃখজনক, কিছুটা অপমানকরও বটে। নীতিমালার ভেতরে পড়লে কোন অসুবিধা নেই, মডুরা বুঝেই ছেড়েছে নিশ্চয়।
আমি দুঃখিত এটা দেখে যে, আপনি এই সামান্য ব্যাপারে প্রাণসংশয়ের কথা ভাবছেন। বরাহদের নির্মমতায় বহু প্রাণ ঝরে যাচ্ছে, সচলে লেখাও আসছে সেই বিষয়ে, তাহলে ওদের কুর্কীতি নিয়ে ব্লগ লেখা ও মন্তব্য করা উচিত বেনামীতে। ওরাওতো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই আছে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পড়ে ফেলেছেন! অস্বস্তিতে আছি, ভাবছিলাম মুছে দেব। বেশী কথা বলে ফেলেছি, মার্জনা করবেন। একটা লিংক রেখে যাই।
অস্বস্তির কিছু নেই ভাই।
ছাত্রদের গোলাগুলিতেও নিরীহ মানুষ মারা গেছে, আপনি সেজন্য সব ছাত্রদের দোষী করতে পারেন না। তেমনি আর্মি সকল কর্মের জন্য সবাইকে দায়ী করা যায় না। সব শ্রেণী ও পেশার মানুষের মধ্যে আপনি ভালো যেমনি পাবেন, তেমনি খারাপও পাবেন।
লিঙ্কটার জন্য ধন্যবাদ, আমি এই ব্লগটা পড়েছি কয়েকদিন আগে। খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। এটা নিয়ে ওনাদের হাইকোর্ট রিট করা উচিত। মানবাধিকার বিষয়ক রিট সেনা আইনের আওতায় পড়তে পারে না, ওনারাও আইনের উর্ধ্বে নন। ব্যাপারটার ব্যাপক মিডিয়া কভারেজও দরকার।
অনেক অফটপিক আলোচনা হয়ে গেল দেখে দুঃখপ্রকাশ করছি।
ভালো থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাছাড়া, নিবন্ধিত সদস্য হয়েও সেই নাম ব্যবহার না করে অন্য নামের আশ্রয় নিয়ে মন্তব্য করা মানে সচলায়তনের শ্লোগানের প্রতি পরিষ্কার অশ্রদ্ধা দেখানো। আপনার মন্তব্যে আপত্তি জানালাম। আর আপনি যদি একজন সম্মানিত পূর্ণ সচল হয়ে থাকেন, তাহলে মডুদের অনুরোধ করবো আপনার সচলত্ব বিবেচনা করতে। সচলায়তনের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস রেখেই আপনি একজন সচল। এর অন্যথা হলে আপনি সচলত্ব ধারণ করার যোগ্যতা রাখেন কি-না সেটা মডুদের বিবেচনা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ডাকবিভাগ সম্ভবতঃ বাংলাদেশে সবচেয়ে অবহেলিত সরকারী প্রতিষ্ঠান। দুটো সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা যোগ করি-
১.
কদিন আগে আমার এক বন্ধুর পাঠানো পার্সেল আনতে গিয়েছিলাম জিপিওতে। এ কাউন্টার ওই কাউন্টার ঘুরে, পার্সেল খুজতে বলা হলো যেই ঘরটিতে, সেই প্রাচীণ জরাজীর্ন ঘরটিতে যখন আমি ঢুকলাম, আমার সামনে হুট করে যেন উনিশ শতক হাজির হলো।
জেল খানার মতো গরাদ দেয়া একটা ঘর। টিমটিমে একটা হলুদ বাল্ব ছাদ থেকে ঝুলছে। সেই ঘরে যে আসবাবগুলো আছে সেগুলোর একটাও এই শতকের মনে হলো না। এই ঘরের দেয়াল, দরোজা, ঘুলঘুলি, মরচে ধরা আলমীরা সবই অতি প্রাচীণ। এখানে ওখানে স্তুপ করে রাখা জিনিসপত্র। চুড়ান্ত বিশৃংখল অবস্থা। সেই আধো অন্ধকার ঘরে মালামালের স্তুপের মধ্যে একজনকে দেখা গেল কাজ করতে দেখা গেল।
অবস্থা দেখে আমি শংকিত, আমার প্যাকেজটা আসলেই এসে পৌছেছে তো? জিজ্ঞেস করলাম, আমার প্যাকেজ ছিল একটা। সাধারণতঃ এরকম অফিসগুলোতে খরখরে শব্দে জবাব আসে, পরে আসেন, ব্যস্ত আছি। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সহাস্য মুখে তরুনটি বললো, আপনি বসুন আমি দেখছি। অবাক হতে হলো। পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমার প্যাকেজ খুঁজে বের করে কাগজপত্রে সই নিয়ে বললো, শেষ। আমি কাস্টম ডিউটির সাড়ে ছশ টাকা মিটিয়ে দিয়ে ৫০ টাকা টিপস দিতে, সে ফেরত দিতে চাইলো, আমি তবু তার হাতে দিয়ে হাসিমুখে বেরিয়ে এলাম। আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না এরকম বিশৃংখলার মধ্যে প্যাকেজটা ঠিক ঠিক আমার হাতে এসে পড়লো? মানে কোথাও একটা সিস্টেম এখনো কাজ করছে, নইলে থুবড়ে পড়তো প্রতিষ্ঠানটি।
২.
আরেকদিন বন্ধুর কাছে বই পাঠাবো বলে গেলাম জিপিও কাউন্টারে। পার্সেল লেখা কাউন্টারে পেছনের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই কতো লাগবে বইগুলা পাঠাতে, কয়দিন লাগবে?
চুড়ান্ত বিরক্তির একটা চাহনী দিয়ে সে বললো, "৫০০ গ্রাম ১২৫০ টাকা, পৌছতে কদিন লাগবে জানি না, একমাসও লাগতে পারে, দুইমাসও......" কথা শুনে মনে হলো, নাও পৌঁছাতে পারে। তার করার কিছু নাই। বলার ধরনে মনে হলো আমি বাজে একটা প্রস্তাব নিয়ে গেছি তার কাছে। সে ওতে আগ্রহী নয়। আমি পরে ফেডেক্সেই পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই।
দুটো উদাহরণ দিয়ে অনেক কিছু বোঝা যাবে না। কিন্তু এটা পরিষ্কার যে সব প্রতিষ্ঠানেই ভালোমন্দ আছে। ডাকবিভাগ দুর্নীতির দিক থেকে সম্ভবতঃ বাংলাদেশে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া প্রতিষ্টান। তবু যেসব টুকুন দুর্নীতি হয় তার মধ্যে আপনি একটা জলন্ত প্রমাণ দিলেন। এটি অবশ্যই নিন্দনীয় কাজ। আপনি ক্ষমতাবান বলে মহিলাকে শায়েস্তা করতে পেরেছেন। সাধারণ কেউ পারতো না।
তারপরও বলতে হয়, এদের দুর্নীতি হয় শয়ে, পিডিবি, কাস্টমস, ট্যাক্স ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে হয় কোটিতে। শোনা যায় সেনাবাহিনীতে সেটা হয় শত কোটিতে এবং সর্বোচ্চ শৃংখলা ও সততার সাথে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বিদেশে এসে দেখেছি প্রায় সব কাজেই ডাক বিভাগের মাধ্যমে হয় এমনকি মুভি রেন্টালও। অথচ দেশে থাকতে নিয়মিত মেইল বক্স চেক করাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম
"সেনাবাহিনীতে সেটা হয় শত কোটিতে এবং সর্বোচ্চ শৃংখলতা ও সততার সাথে।"
সেনাবাহিনীকে ডিফেণ্ড করা এই লেখার উদ্দেশ্য ছিলনা। বারবার প্রসংগ সেনাবাহিনীতে চলে এসেছে। প্রতিটি কর্মচারী তার নিজের কার্যক্ষেত্রকে ভালোবাসে এবং তাই হওয়া স্বাভাবিক। একজন গ্রামীণ ফোনের এম্পলয়ী তার প্রতিষ্টানকে ভালোবাসে যদিও গ্রাহক হিসেবে আমাদের অভিযোগের অন্ত নেই। সে হিসাবে আমি আমার প্রতিষ্টানকেও ভালবাসি। বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি আছে, সে হিসাবে সেনাবাহিনী ধবধবে সাদা এটা মনে করা ভুল হবে। নিশ্চয়ই আছে। কোথাও না কোথাও আছে, থাকাটাই স্বাভাবিক। ক'দিন আগে একজন সেনাবাহিনী সদস্য ফেন্সিডিলের বোতল সহ ধরা পরলেন এবং সামরিক আদালতে তার বিচার হলো। সমগ্র বাহিনী লজ্বায় মাথা নত করলো। এরকম ঘটনা আছে, তবে আমি আমার এক যুগের চাকুরিতে অন্যায় কে বা ঘুষ, দুর্নীতি কে প্রাতিষ্টানিক ভাবে উৎসাহ দেয়া হয়েছে বা ঘটনা জানার পর ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই এমন একটা ঘটনা ঘটে নাই। এখানে আমি সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে বলছি, সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে সাফাই গেয়ে নয়, সচলের একজন সদস্য হিসেবে বলছি।
---------------------------------------------------------------------------- হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
ডাক বিভাগ নিয়ে অভিজ্ঞতা অম্লমধুর আমাদেরো। বইমেলার খাতিরে নিয়মিতই বই দেশে বিদেশে পাঠানো লাগে। বাস্তব অভিজ্ঞতা হল, রেল, বিআরটিসির মত ডকবিভাগও সরকারের প্রচন্ড অবহেলিত বিভাগ। এতো অনিয়মের মধ্যেও আমাদের দুই-তিন বছরে হয়তো একটা প্যাকেট হারায়। কদিন আগে এটা ফেরত আসল,
বই পাঠিয়েছিলাম চিলিতে, প্রাপককে না পেয়ে সেই চিলি থেকে আবার ফিরে এসেছে আমাদের বাড়িতে।
তবে জিপিও সম্পর্কে আমাদেরো অভিজ্ঞতা সুখকর না। প্লাস সাধারণ এয়ারমেইলের খরচ এখন আন্তর্জাতিক হিসেবেও অনেক বেশী। নিউমার্কেট সেই তুলনায় বেশ ফ্রেন্ডলী
যুবরাজ ভাইয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক একটা সত্য ঘটনা শেয়ার করি। ২০০৭ এর শুরুর দিকের ঘটনা। আমি তখন ঢাকার নিকটস্থ এক জেলা শহরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত। একজন ভি আই পি এর আগমন উপলক্ষ্যে SSF (Special Security Forces) এর আগমন।আমার এর আগে SSF এর সাথে Duty করার অভিজ্ঞতা ছিল না, কিন্তু আমার সিনিওর কর্মকর্তারা তাদের সম্পর্কে ভালোই জানতেন, তাই কিছু ব্যাপার reshuffle করলেন, এই যেমন SSF এর যানবাহনের তেলের হিসাব তদারকির দায়িত্ব দিলেন এন ডি সি এর বদলে আরেকজন সিনিওর কর্মকর্তার হাতে, সার্কিট হাউজের দেখাশুনার দায়িত্ব দেয়া হলো আরেকজন সিনিওর কে। এখানে বলে রাখা ভালো যে, এই সিনিওরদের দেয়া হয়েছিল এইজন্য না যে SSF এর সদস্যরা তাঁদের সমীহ করবে (বেশীরভাগ SSF এর সদস্যরা অহেতুক দুর্ব্যবহার করাকে credit মনে করে), বরং তাঁরা SSF এর সদস্যদের অযাচিত অন্যায় আব্দারকে যেন যুক্তি দিয়ে প্রতিহত করতে পারেন। VIP এঁর সফর শেষ হবার পর SSF এর কর্মকর্তা (সামরিক বাহিনীতে কর্মরত একজন অফিসার) এলেন তেলের হিসাব বুঝে নিতে।এসেই যে পরিমান পেট্রল দাবী করলেন তা দিয়ে তেজগাঁও থেকে উক্ত জেলা শহরে ৩ বার আসা যাওয়া করা যায়।তেলের দায়িত্বে থাকা আমাদের সিনিওর ওই পরিমান দিতে অস্বীকৃতি জানালে SSF এর উক্ত অফিসার শুরু করল হাইকোর্ট দেখানো। তখন আমাদের সিনিওর বললেন যে উনি ওই পরিমান তেল দিবেন কিন্তু তার আগে SSF এর ওই অফিসারকে লিখিত দিতে হবে। এই কথা শুনে SSF এর অফিসার নরম হয়ে বললেন "আমরা duty তে গেলে এরকম পেয়ে থাকি"। SSF এর অফিসার এই বক্তব্য আমাদের অফিসে অনেকদিন হিট ডায়ালগ ছিল।
লেখাটা ভাল লাগল না মূলত ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিশোধ নেয়ার কাহিনী বলে।
বাড়ীর কাছে ট্রেইন লাইন আছে, স্টেশন নাই, জোর করে থামালাম, টিটিরে পিটলাম।
বিশেষ অভিযান চলছে। হেলমেট ছাড়া মোটর বাইক আরোহীকে দুই ঘা লাগালাম, কান ধরে উঠবস করালাম, গায়ে পোশাক তো আছেই।
পার্থক্য নেই।
আপনার মন্তব্য ও আমার ভালো লাগলো না।
" বাড়ীর কাছে ট্রেইন লাইন আছে, স্টেশন নাই, জোর করে থামালাম, টিটিরে পিটলাম।বিশেষ অভিযান চলছে। হেলমেট ছাড়া মোটর বাইক আরোহীকে দুই ঘা লাগালাম, কান ধরে উঠবস করালাম, গায়ে পোশাক তো আছেই।" আমি এখানে কোথাও জোর-যার মুল্লুক তার টাইপের ব্যবহার করেছি বলে মনে হয়না।
আর্মি কাউকে রাস্তায় পিটিয়েছে বলে এখানে আপনি তার প্রতিশোধ মন বাঞ্চনায় ভোগে আমাকে এই কাতারে ফেলে পার্থক্য নাই বলে দিলেন? তাহলে আপনি আর
অসংলগ্ন বক্তব্য দাতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মধ্যে পার্থক্য কি হলো?
পার্থক্য নেই।
---------------------------------------------------------------------------- হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
ভালো লাগানোর আরেকটা চেষ্টা করি।
১. আপনি কী ভাবে পার্সেল করতে হয় তা জেনে একজনকে পোটলাটা দিলেন। নেহায়েৎ সাদা মনের মানুষ তাই ধারণাও করেননি লোকটা দালাল হতে পারে। সে টাকা দাবী করল, আপনি দিলেন না। নীল কাগজটাও ছিড়ে ফেললেন। এতটুক ভালই ছিলো। আপনার গাড়ী তাকে দেখানোর দরকারটা পড়ল কেন? আপনি তো আপনার বাহিনীর জোর দেখাতেই গেছেন তাহলে। লোকটা বোকা, তা না হলে আপনার চুলের ছাট দেখেই বুঝতে পারত।
২. ফ্র্যাংকিং এ কত টাকা ছাপা হলো তা না দেখে টাকা দিয়ে দিলেন, ভালো কথা। তার আগে ওজন করে কেন জানতে চাইলেন না কত টাকা লাগবে? সাধারণ নিয়ম হলো, ওজন করে আপনাকে বলবে কত টাকা লাগবে, আপনি রাজী হলে স্ট্যাম্প লাগাবে। আপনি প্রসেসটা জানতেন না।
৩. টাকা ফেরত পাবার অধিকার আপনার আছে। দুর্নীতির প্রতিবাদ করার অধিকারও আছে। তবে আপনি সেটা নিয়মের মধ্যে থেকে করলে ভালো হতো।
৪. কর্তব্যরত অফিসার আপনার কথা শুনল না, আপনি লিখিত অভিযোগও করলেন না। তার বসের সাথে আফটার আওয়ারে কথা বলতে চাইলেন। জিপিওর প্রধান আপানার সাথে মোবাইলে সন্ধ্যা বেলা কথা বলবে? একটু অস্বাভাবিক লাগে না?
৫. আপনি পুলিশ ডাকলেন, মিথ্যা কথা বলে। র্যাব ডাকলেন মিথ্যা কথা বলে। র্যাবের মতো ফোর্স কি ৭০০টাকার দুর্নীতি ধরার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে? আপনি কত টাকার রিসোর্স নষ্ট করলেন? নিয়মমতো সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে অভিযোগ করাটাই কি আইন সঙ্গত পদ্ধতি ছিলো না?
৬. আপনি কোন এক্তিয়ারে মুচলেকা নিয়েছেন? কোন আইনের কোন ধারা আপনাকে এ ক্ষমতাটা দিয়েছে? কোন যু্ক্তির প্রশ্ন না। আইনের ধারা উল্লেখ করবেন।
৭. আপনি আগাগোড়া আপনার অবস্থানের অপব্যবহার করেছেন। একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ আরেকটা অন্যায় দিয়ে হয় না। গত দুবছরে অনেক সামরিক কর্তা বিস্তর সম্পদের মালিক হয়েছে। একটার প্রতিবাদ করে এসে সচলে পোস্ট দেন।
নচিকেতার একটা গানের কথাই বড় মনে পড়ছে, অনেকের মন্তব্য দেখে:
ভীড় করে ইমারত আকাশটা ঢেকে দিয়ে
চুরি করে নিয়ে বিকেলের সোনা রোদ।
ছোট ছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে
গ্রন্থকীটের দল বানায় নির্বোধ।
এরপর চুরি গেলে বাবুদের ব্রিফকেস,
অথবা গৃহিনীদের সোনার নেকলেস।
সকলে সমস্বরে একরাশ ঘৃণাভরে চিৎকার দিয়ে বলে
চোর চোর চোর।
অ:ট:
আমাকে আপনি দেলোয়ারের সাথে তুলনা করতে পারেন সে জোর আপনার আছে। আমি যে কোন ধরনের তুলনা থেকে বিরত থাকি।
বাদ বাকি পয়েন্টের উত্তর যুবরাজের কনসার্ন, কিন্তু ৭ নাম্বারে এইটা কী বললেন আলমগীর ভাই?
মানে আমার এলাকার ভয়ঙ্কর 'অমুক সন্ত্রাসী'কে গলায় গামছা পেচিয়ে লাল দালানে নিয়ে যাওয়ার আগে তাহলে কোনো ছিনতাইকারীকে প্রতিরোধ করা, ধরে শাস্তির সামনে আনা আমার উচিৎ হবে না বলে মনে করছেন!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরেকটু যোগ করি:
সেনাবাহিনীর প্রথা/নিয়মের বাইরে গিয়ে এই যে আপনি সাধারণের সাথে মিশছেন, লিখছেন এ জন্য আপনার অনেক ধন্যবাদ প্রাপ্য। আপনার অনেক লেখা বিশেষত লাইবেরিয়া সিরিজ যথেষ্ট উপভোগ করেছি। এ লেখাটাও অনেক কষ্ট করে, ধৈর্য নিয়ে লিখেছেন। আমার কোন কথা ব্যক্তিগতভাবে না নিলে খুশী হই। পার্থক্য যা তা মতের।
ভালো থাকুন।
আপনার মন্তব্য গুলো পড়ে যার-পড় নাই বিরক্ত হচ্ছিলাম, কিন্তু এই কথাটা পড়ে খুশি হয়ে গেলাম আলমগীর ভাই। আমার আর কোন ক্ষোভ নাই আপনার উপরে।
আমার বাংলা লেখার স্পীড খুব কম, আপনাদের তীক্ষ মন্তব্য গুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করতে আমার জান বের হয়ে যাচ্ছে, একটা উত্তর দিতে না দিতে আরেকটা প্রশ্ন চলে আসে, আমি একা তাল মিলিয়ে চলতে পারছি না আপনাদের সাথে।
যাইহোক, ধারণা নিয়ে আমরা তর্ক করি, তবে ব্যক্তি আক্রমণ বা কাউকে ছোট যেন আমরা না করি সেটা খেয়াল করা আমাদের জরুরী।
----------------------------------------------------------------------------
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশের সব সেক্টরই (সরকারি-বেসরকারি উভয়ই) কমবেশি দুর্নীতিগ্রস্থ। তবে যেসব সেক্টর জনসেবার সাথে সম্পৃক্ত আমরা খুব সহজেই এবং সরাসরি তাদের দুর্নীতির ভোগান্তির শিকার হই, সহজেই জানাজানি হয়ে যায়। এছাড়া অন্যসব সেক্টরের দুর্নীতি আমরা সহজে দেখতে পাই না বা জানতে পারি না। কিন্তু পরোক্ষভাবে আমরা এবং প্রত্যক্ষভাবে গোটাদেশ সেইসব দুর্নীতির শিকার। সেটা ঘুনের মত কাজ করে, অজান্তে আমাদের ধ্বংস করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কি দুর্নীতিগ্রস্থ নয়? আমার জানামতে বাংলাদেশে এখনো সবচেয়ে বেশি (টাকার অংকে) ও বড় অডিট আপত্তি অনিস্পন্ন বা নিস্পত্তির অপেক্ষায় আমাদের গুরুত্বপূর্ন এই প্রতিষ্ঠানটিতে (দুঃখিত যে এর উপযুক্ত প্রমান দিতে পারছি না)। এই অডিট বিভাগ ছাড়া আর কোন সিভিল প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা নেই এই বিষয়ে জানার। অডিট বিভাগ তাও সব জানতে পারে না। আবার অডিট বিভাগের দুর্নীতির কারনেও পুরো চিত্র সরকার বা জনসাধারন জানতে পারে না। আমজনতা কিছুটা টের পায় যখন দেশে সামরিক শাসন জারি হয় বা সেনা সমরতথিত তত্বাবধায়কজাতিয় কোন ব্যবস্থা কায়েম হয়।
অন্যথায় যেহেতু সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা আমজনতার প্রবেশ নেই, এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশনের ও কোন ক্ষমতা নেই তাদের দুর্নীতি ধরার বা দেখার, অতএব আমরা তাদের দুর্নীতি জানতেও পারি না। অথবা তারা দেবদুত বা ফেরেস্তা। তারা দুর্নীতি করে না, করতে পারে না। অথবা তাদের দুর্নীতি ধরার স্পরদধা এ জাতির থাকতে পারে না।
যাই হোক, যুবরাজ, আপনি নিঃসন্দেহে একটি ভাল করেছেন ডাক বিভাগের কোন এক দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মচারীকে উচিত শিক্ষা দিয়ে। ব্যক্তি হিসেবে আপনি বাহবা পাবার যোগ্য। দয়া করে যদি নিজ প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেন আর তা দমনের পাশাপাশি আমজনতাকে জানানোর প্রয়াস নেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি শুধুই বাহবা পাবেন তা না, আপনি সত্যিকার দেশপ্রেমিক (তথাকথিত দেশপ্রেমিক নয়) হিসেবে শ্রদ্ধাও অর্জন করবেন।
আপনি নিজেই বলেছেন আপনার জেদ প্রচণ্ড। আপনি তিন বাহিনীর সম্মিলিত ফোর্স নিয়ে এসে পরে যেটা করেছেন সেটুকু জেদের বশেই করেছেন। আমাদের ক্ষমতা নাই তাই আমরা শুধু হয়তবা মুখ খিস্তি দিয়েই বেরিয়ে আসি। ক্ষমতাবান হয়ে ক্ষমতার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করাটাও একটা চ্যালেঞ্জ।
ভালো থাকুন।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
তারপরও বলতে হয়, এদের দুর্নীতি হয় শয়ে, পিডিবি, কাস্টমস, ট্যাক্স ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে হয় কোটিতে। শোনা যায় সেনাবাহিনীতে সেটা হয় শত কোটিতে এবং সর্বোচ্চ শৃংখলা ও সততার সাথে।
নীড় সন্ধানী-র সাথে সহমত।
ঘটনা দুঃখজনক। করাপ্ট সিভিলিয়ানের শায়েস্তা হোক। খুব ভালো। কিন্তু ঘটনাটা একজন সাধারণ নাগরিকের চোখ দিয়ে দেখা কি যেত না? একটু ভেবে দেখতেন।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
পরবর্তী মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য পড়ে নিজের মন্তব্যে টীকা যোগ করলাম।
অনেক মন্তব্যে (আমারটাসহ) হয়ত আর্মির প্রতি কনডিশনড রিফ্লেক্স দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘকাল সামরিক অত্যাচারে কাটানো মানুষের পক্ষে এটা প্রাকৃতিক (!)। কিন্তু তাই বলে ডাক বিভাগ ও ডাকবিভাগের ঐ কর্মচারির দুর্নীতিকে জায়েজ করার স্কোপ নাই। এখানে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে কি?
উপরন্তু সচলায়তনে যেহেতু কেবল কন্টেন্ট নিয়েই পাঠক মন্তব্য করেননা, বরং প্রকাশভঙ্গী, ভাষা এগুলো নিয়েও কথা বলেন, সেহেতুও কিছু মন্তব্য এসেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কন্টেন্টে বা বর্ণিত ঘটনায় আপত্তি না জানালেও, ঘটনাটা বলার ভঙ্গিটাতে বিরক্ত বোধ করেছি। সেটা লেখককে একজন সহসচল হিসেবেই জানিয়ে গেলাম।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অনিন্দ্য ভাই কি সাইকোলজির লোক নাকি? (একটা কৌতুহল)
নাহ ... সাইকোঅ্যানালিসিসের আগ্রহ ছিল, লাকাঁ-টাকা এইসব আরকি। সাইকোলোজি, সাইকিয়াট্রি বা ক্লিনিকাল সাইকোলজি ইত্যাদিতে আগ্রহ নাই।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মন্তব্যের একটা অংশ রিপিট করছি-
আমার মতে আপনার মোটেও 'মাফ করে দেয়া' উচিৎ হয় নি। আমাদের দেশের আম-পাব্লিক প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশিই কোমল হৃদয়ের অধিকারী। (না হলে নিজেদের ৩০ লাখ লোক হত্যার পরেও হত্যাকারীদের ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাতো না, মন্ত্রী বানাতো না।) এই হৃদয়বান আম-পাব্লিকের দাবী উপেক্ষা করে হলেও দায়ী মহিলা এবং তার ঊর্ধতনকে তাৎক্ষণিক শাস্তি দেয়াটা যুক্তিযুক্ত হতো। কারণ তাদের হাতে নিগৃহীত হওয়া শতকরা ৯৯ ভাগেরই সাধ্য নেই তাদের বিরুদ্ধে কিছু করার। আপনার ছিলো। এবং এই কিছু করাটা আপনার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশের দুর্নীতি যে পর্যায়ে পৌঁছে গেছে সেখান থেকে সরকারী ডেকোরাম, অমুক ধারা অনুসরণ করা, তমুক উপর ওয়ালাকে ওয়াকিবহাল করা- এইসবের দিন এখন শেষের পথে। কয়দিন পর এগুলো এমনিতেই জাদুঘরে গিয়ে জায়গা নিবে। এখন দরকার দোষী ব্যক্তিদের প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে ফেলে শাস্তির বিধান করা, নারী পুরুষ নির্বিশেষে। পিটায়ে পাছার ছাল তুলে নেয়া দরকার।
শুরুটা হোক রাজপথ থেকেই। দুই টাকা পর্যন্ত ঘুষ খাওয়া ট্রাফিক পুলিশ থেকে শুরু করে আগানো হোক। তারপর আস্তে আস্তে পৌঁছানো হোক সচিবালয় হয়ে, ক্যান্টমেন্ট দিয়ে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত। শুরুতেই "ক্যান্টনমেন্ট সাফ না হলে ক্যান্টনমেন্টের অধিবাসীরা অন্যকিছু করতে পারবে না"- এইসব যুক্তি দেখিয়ে বরং জিপিও'র দুর্নীতিকে আমরা পৃষ্ঠপোষকতা না দিই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো, এ উত্তরটা আপনার পছন্দ হবে না। রেস্ট্রিক্ট করে দিলাম।
উত্তর পছন্দ হয়েছে আলমগীর ভাই।
কিন্তু আমারটা হবে কি-না বুঝতে না পেরে আমিও আপনার রাস্তা কপি মেরে দিলাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি সেনাবাহিনীর পক্ষে বহু কথা বলছি। ঢাকা সেনানিবাস ওইখানে থাকবে কেন, ঢুকতে দিবে না কেন, এসব প্রসঙ্গেও সেনাবাহিনীর পক্ষে বলেছি। বিরোধটা সেখানে না। একটা অন্যায় দিয়ে আরেকটার প্রতিবাদ হয় না- এটা আমার নীতি।
ন্যায় জিনিসটাই যখন গোটা দেশে অন্যায় হয়ে দাঁড়ায় তখন আপনি অন্যায়'এর প্রতিবাদে কাকে কাজে লাগাবেনরে ভাই? 'ন্যায়' ও 'সুনীতি' তো পাওয়া যায় পুস্তকের ভেতরে, জিপিওতে না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রতিবাদে গায়ে আগুন দিয়ে জিপিওর সামনে সু্ইসাইড করতে কে রাজী আছে?
খবরে দেখি ভারতে অমন ঘটে।
কাউকে খোঁজার দরকার কী? জিপিও'র ঐ মহিলা আর তার ঊর্ধ্বতন আছেন না? ঐ মহিলা তো শুনলামই 'সুইস্যাইড খামু' বলে হুমকি দিয়েও ফেলেছেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গোপন:
ভরা মজলিশে কানাকানি করা পছন্দ হইলোনা
"এখন দরকার দোষী ব্যক্তিদের প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে ফেলে শাস্তির বিধান করা, নারী পুরুষ নির্বিশেষে। পিটায়ে পাছার ছাল তুলে নেয়া দরকার।"
বস, মনে করেন আমার লগে আপনের শত্রুতা হইসে। আপনে ১০ জন বন্ধু বান্ধব নিয়ে কোথাও যাইতেসেন হঠাৎ সামনে পড়লাম আমি। আপনে 'পকেটমার' বইলা একটা চিক্কুর পাইড়া ১০জন মিলে শুরু করলেন আমারে পিটানো - ১০ বন্ধু নিয়া। এর পরে কি হবে কন তো? আম পাবলিক আইসা আর মাইর একটাও মাটিতে রাখবেনা।
আর শুরু রাজপথ থেকে করা মুশকিল। ১৪ কোটি লোকের দেশে ছোট মাছের অভাব হবেনা কোনদিনই। আপনে কয়জনরে থামাবেন? ইস্কুলে একটা ক্লাশে স্যার যদি কড়া হয় সেই ক্লাশে কি কেউ তেড়িবেড়ি করার সাহস করে? শুরু উপর থেকেই করতে হবে। নিজে খাইতে না পারলে কেউ তার নিচের গুলারেও খাইতে দিবেনা। এইটাই নিয়ম বস।
বস, চুরি হয়ে যাবে, এই ভয়ে কি আমরা নিঃস্ব অবস্থায় চলাফেরা করি রাস্তাঘাটে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নিঃস্ব না বস তবে সাবধানে এবং যত কমে পারা যায় - আমি সেভাবেই চলতাম। রুমমেট একবার ঠেক খাবার পরে, জোনাকি হলের পিছনের রাস্তায় আর কোনদিন সন্ধ্যার পরে রিক্সা করে ঢুকিনাই
২০০৬ সালে সামান্য কয়েক দলা মাটি আর কয়েক বোতল পানি আমেরিকায় পাঠাতে গিয়ে জিপিওতে ৫০০ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমরা তিনজন ছিলাম। ঘুষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেদম মার খাবার পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছিলাম। পরে শহীদুল্লাহ হলে ফোন করে বন্ধুবান্ধবদের ডেকে এনে সে যাত্রা রক্ষা পেয়েছিলাম। জিপিওতে কর্মকর্তা/কর্মচারীরা সংঘবদ্ধভাবে সীমাহীন দুর্নীতি করে। শুধু জিপিওর দোষ দিয়ে লাভ নেই। দেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই একই অবস্থা।
আমাদের দেশে যেহেতু স্বাভাবিক নিয়মে সহজে কিছু হয় না তাই ক্ষমতা থাকলে মাঝে মাঝে একটু অন্যায় পথে গিয়ে হলেও একটা অন্যায়ের প্রতিকার করতে চাওয়া দোষের কিছু না। বেশি মানবতাবাদী হইলেই সমস্যা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গেলেও মানবতাবাদীরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয় দেখায়। আমাদের দেশের মানবতাবাদীরা বেশিরভাগই দুই নম্বর।
যুবরাজ সেনাবাহিনীতে চাকুরী করেন দেখে তার হাতে ক্ষমতা ছিল। তিনি সেই ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন। একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে খানিকটা অন্যায় তিনিও করেছেন। তবুও এধরনের অন্যায়ের দরকার আছে।
গান্ধীবাদী অহিংস আন্দোলনের দিন কোনকালেই ছিল না। ব্রিটিশরা নিজেরা ভারতবর্ষ ছেড়ে না গেলে নেংটি পরে, ছাগুর দুধ খেয়ে, দুর্গন্ধময় নিঃশ্বাস ফেলে গান্ধীজী জীবনেও ভারতবর্ষ স্বাধীন করতে পারতেন না।
কি মাঝি, ডরাইলা?
একদম সহমত।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই অনধিকার চর্চা বন্ধ হোক।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অধিকার চর্চা করলে কি দু্র্নীতি বন্ধ হবে? হয়েছে?
আর এই পোস্টে তো আমি একজন আর্মি অফিসারের "এই ব্যাটা ঘাড় পাত, চড়ে বসি" টাইপের মনোভাব দেখলাম না। আমি দেখলাম দুর্নীতির শিকার হওয়া একজন প্রতিকার না পেয়ে, উলটা "কী করবেন করেন" টাইপের হুমকি খেয়ে 'কী করতে পারে' সেটাই দেখাইছে। তার এই কী করতে পারার অনধিকার চর্চায় যদি জিপিওতে পাবলিক হয়রানি বন্ধের 'শুরু'টা হয়, আপনার কাছে এইটার চেয়ে গ্রহণযোগ্য আর কী উপায় আছে? নানা পুস্তকী পন্থা দেখিয়ে লাভ নাই, আপনি আমি দুইজনেই জানি এই পুস্তকী পন্থায় কাম হয় নাই, হবেও না কোনোদিন।
কখনো কখনো কেবল 'সমালোচনার কারণেই সমালোচনা' করা, এই ঘরানার বাইরে বেরিয়েও আমাদের ভাবার দরকার না হাসিব্বাই?
যুবরাজ জিপিওতে নিজের ক্ষমতা খাটিয়ে তিন বাহিনীর সম্মেলন ঘটিয়ে অন্যায় করেছেন বটে। কিন্তু সেইটাকে হাইলাইট করতে গিয়ে জিপিওতে হাজার হাজার মানুষের প্রতি বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা অন্যায়কে যেনো আমরা প্রশ্রয় না দিই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সহমত।
মনে হয় ভুক্তভোগী না হলে কোন কিছু অনুধাবন করা যায় না। আমি নিজেও জিপিওতে ঘুষ দিতে বাধ্য না হলে হয়তোবা যুবরাজের কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতাম।
যেখানে ঘুষের ভাগ আগাগোড়া সবাই পায় সেখানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করা কৌতুককর ব্যাপার নয় কি?
কি মাঝি, ডরাইলা?
এইখানে একটা বিষয় পরিস্কার করি। আমি বলি নাই নিয়মতান্ত্রিকভাবেই আমাদের সব আন্দোলন করতে হবে। আমি পোস্ট লেখক সেনাসদস্য এই বিবেচনায় ঐ নিয়মতান্ত্রিকতার কথা বলেছি। সেনাসদস্যরা নিয়মের বাইরে বেসামরিক প্রশাসনে নাক গলাতে গেলে কী পরিনতি হয় সেই বিষয়ে আমরা সবাই জানি। আমি শুধু ঐ ইতিহাসের দিকে আলোকপাত করেছি।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
লেখক একজন সেনা সদস্য নাকি বিডিআর সদস্য সেটা কেনো বিবেচিত হচ্ছে শুরুতেই? কেনো এটা বিবেচিত হচ্ছে না লেখক একজন ভুক্তভূগী! আর একজন ভুক্তভূগী হয়ে তথাকথিত নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কবে কোথায় কী করা গেছে আমাদের দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে? সামরিক হয়ে বেসামরিক প্রশাসনে নাক গলানো বলতে কি আপনি "সেনাসদস্য হইছো তো কী হৈছে, পোঙ্গামারা খাইছো এইবার কোনো টু শব্দ না কইরা ক্যান্টনমেন্টে ফেরৎ যাওগা। এইটা বেসামরিক প্রশাসন। এইটা আমরা দেখুম!"- এইটা বুঝাচ্ছেন?
এভাবেই কি আমরা দুর্নীতিকে লালন করছি আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে? অন্যায় দেখলে আমরা চুপ করে থাকবো! "আরে এর জন্য তো সরকার আছে, পুলিশ বাহিনী আছে, এই এলাকার চেয়ারম্যান আছে" বলে আমরা নাকে তেল ঢেলে ঘুমানোর ভান করবো! আর যারা 'উড়ে আমাদের মহল্লায় এসে' এর প্রতিবাদ করবে কোনো না কোনো কারণে তাদের সমালোচনা করবো? এই তো আমাদের কর্তব্য, নাকি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি যদি বলি আমি আর্মির হাতে পিটা খাইছি, আমি তাদের সাধারণ্যে দেখতে চাই না তাহলে আমার বিরুদ্ধ মতটা গ্রহণযোগ্য হবে?
আমি তো জিপিওর কর্মচারির সমর্থনে কিছু বলি নাই। সমালোচনার খাতিরে সমালোচনাও করি নাই।
এইরকম অনধিকার চর্চা জারি আছে বলেই সেনারা নিজের মতো জিনিসপাতি হাতে তুলে নেয়। সাথে অস্ত্র আর ক্ষমতা থাকলে শেষ বিচারে জিনিসটা নেগেটিভ হতে বাধ্য।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপনার উচিত ছিলো ঐ চুন্নিকে জেলের ভাত খাওয়ানো। উর্দিফুর্দি বুঝি না, পয়সা লুট করসে শাস্তি পেতে হবে।
সহমত
...........................
Every Picture Tells a Story
যুবোরাজের লিখাটা ভালো লেগেছে।
শুধু শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করার কোনো মানে হয় না। উনি যা করেছেন ঠিক ই করেছেন। আমার ক্ষমতা থাকলে আমিও তাই করতাম, যা উনি করেছেন। আমরা যারা দেশে থাকি তারা জানি যে প্রতিনিয়তো এইসব অন্যায় কাজে টাকা খুইয়ে কিভাবে বিবেকের কাছে অপমানিতো হতে হয়। খুশি হয়ে বকশিশ দেয়া আর প্রতারোনা করে টাকা আদায় সম্পুরনো ভিন্ন বিষয়।
কেউ ই প্রতারিতো হতে চায় না।
অরুপ
আমি সহজভাবে যা বুঝি, এইধরনের দূর্নীতিবাজ/চোরদের শাস্তি নিশ্চিত করতে একটু আধটু ক্ষমতার অপব্যবহার করা যেতেই পারে।
এইভাবেই শুরু
সহমত
পোস্ট হিসেবে পাঁচে পাঁচ তারা। যা ঘটেছে, সেটা সততার সাথে বর্ণনা করা হয়েছে বলেই মনে হয়। একজন আর্মি অফিসার এরকম পরিস্থিতিতে এরকম আচরণ করাই আমাদের দেশে স্বাভাবিক, ক্ষমতার ব্যবহারও এরকমই করা হয়। আর্মির নাক গলানোর এক্তিয়ার কতোটুকু, অফিসের গাড়ি কতো ঘন্টা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হলো, এগুলো ভিন্ন বিষয়, এগুলোর সাথে জিপিওর দুর্নীতি বিষয়ক বর্ণিত ঘটনার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই।
তবে পোস্টের ঘটনার নায়কের উচিত ছিলো এর শেষ দেখা। যেহেতু সেনাসদস্য হওয়ার কারণে তার হয়রানির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম ছিলো, সেহেতু তিনি শেষতক যেতে পারতেন, দোষী ব্যক্তির শাস্তির বিধান করা অসম্ভব ছিলো না। মহাপরিচালক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হওয়ায় তার কাছে বিচার চাওয়া এড়াতে ন্যায় বিচারের সম্ভাবনার অপমৃত্যুর জন্য তাকে দায়ী করা যায়। এই স্কেপটিক মানসিকতা তাকে হিরো থেকে জিরো করে দেয়। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা তার কাজের মোটিভকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পরিবর্তে নিজের ইগোকে সন্তুষ্ট করার পর্যায়ে নিয়ে যায়। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি নায়কের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলে তার ইগো সন্তুষ্ট হয় এবং তিনি সে পর্যায়েই ঘটনা থেকে হটে যান।
দুর্নীতি দমনে ব্যর্থতার একটা কারণও পোস্টে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। আমাদের সমাজের শিক্ষিত লোকদের মধ্যেও ঘটনার বিচার ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা কম। আমাদের সফটনেস যে কতোটা ক্ষতিকারক, এটা আমরা সহজে বুঝতে পারি না। যখন ক্ষতিটা হয়ে যায়, এমনকি তখনো কারণ বুঝতে অক্ষম হই। দুর্নীতিবাজ মহিলা বলে সে সহানুভূতি আদায় করেছে, তার দুর্নীতি নিয়ে যৎসামান্য চার্জ করায়ই নাকি তার অপমান যা হওয়ার হয়ে গেছে! - এটাই পাবলিক ওপিনিয়ন। অথচ এই পাবলিকই বছরের পর বছর ধরে এই দুর্নীতির শিকার, তাদের সব বঞ্চনার ইতিহাস কয়েক মিনিটেই গায়েব হয়ে গেছে!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনার মন্তব্য আমি পাঁচ তারা দাগালাম চমৎকার ভাবে বিশ্লেষন করেছেন, সাথে আমাকে দেখিয়ে দিয়েছেন কোথায় আমার দুর্ব্লতা। আমি এই লেখায় অনেক কিছু এড়িয়ে গিয়ে লিখতে পাড়তাম, তাতে বাহাবা কুড়ানো যেত কিন্তু সত্যের বিকৃতি ঘটতো, তাতে আমি নিজে নিজের কাছে ছোট হতাম। এখন এই যে আপনাদের মন্তব্য গুলো পড়ছি তখন নিজেই বুঝতে পেরেছি আমার অনেক কিছুতে শুধরানোর দরকার আছে। ভবিষ্যতে আরো সতর্ক হবো, তবে অন্যায়ের প্রতিরোধ থামবেনা।
আর আমি যে কিছুটা ইমোশনাল আপনি আমাকে না দেখেই বলে দিয়েছেন, যে আমি এতক্ষন লাফালাফি করেছি সেই আমি, কান্না দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারি নাই, যা অনেকের মতে উচিৎ হয়নি। যাইহোক, সব কিছু থেকে শিখার আছে অনেক কিছু, আপনাদের এই সব উপদেশ আমি মাথা পেতে নিলাম। ধন্যবাদ ।
---------------------------------------------------------------------------- হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ঠিক কাজটিই করেছেন, আপনার জায়গায় আমি থাকলেও এই কাজটিই করতাম...
পাব্লিক সেন্টিমেন্ট কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্জনযোগ্য, এই ঘটনায় সেটা আমার আবারো মনে হলো...
_________________________________________
সেরিওজা
ধূগোদার সাথে একমত। কেউ সোজা ভাবে কাজ করলেও আমরা বিরোধীতা করি...আর সোজাভাবে না করলে তো কথাই নাই! আমার ক্ষমতা থাকলে এরকম ক্ষেত্রে আমিও হয়তো করতাম তার ব্যবহার। যদি এক্সটার্নালিটি হিসেবে অন্যদের তাতে পরবর্তীতে কিছু উপকারও হয়, আমার তো তাতে কোন ক্ষতি নাই।
ভাই যুবরাজ, আপনি যা করেছেন ঠিক করেছেন। এত আদর্শ আর নিয়মনীতি দিয়ে বাংলাদেশে এই চুন্নীদের শায়েস্তা করা যায়না।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমার দৃষ্টিতে যুবরাজ ভাই ঠিকই করেছেন, কেবল শেষের মাফ করে দেয়ার বিষয়টুকু ছাড়া। যেকোনভাবেই হোক যদি তিনি সেনাকর্মকর্তা না হতেন তাহলে সাধারণ একজন পাবলিক হিসেবে অন্যদের অবস্থাই ঘটতো, কোন প্রতিকার বা প্রতিবাদের কিছু হতো না। ক্ষমতা ছিলো বলেই একটা অন্যায়কে প্রতিহত করার সাহস দেখিয়েছেন। এটাই স্বাভাবিক এবং উচিতও। নইলে প্রশ্ন আসতো, আপনি একজন সেনাকর্মকর্তা হয়েও কিছু করতে পারলেন না !
এখানে এই অন্তর্জালে আমরা অনেকেই অনেক সমস্যার কথা রাগে দুঃখে ক্ষোভে তুলে ধরি কেন ? প্রতিকার করতে পারি না বলে। প্রতিকারের ক্ষমতা থাকে না বলে সবাইকে সমস্যাটার কথা জানিয়ে প্রতিকারের সুপ্ত বাসনা থেকে না পারার কষ্টগুলো শেয়ার করে নেই। অবদমিত রাগগুলোর কিছুটা উপশম ঘটাই।
যুবরাজ ভাই তাঁর চেষ্টা করেছেন সাধ্যানুযায়ী। সেখানে অন্য কোথায় কী কুকীর্তি আছে, এর সাপেক্ষে এই অন্যায়টা কতগুণ হালকা, সিভিলিয়ান না আর্মি এসব বিষয় আমার মতে প্রযোজ্য হয় না। সেগুলো আলাদা বিষয়, আলাদাভাবে তার আলোচনা চলতে পারে।
ধন্যবাদ যুবরাজ ভাই, আপনার এই শুভ উদ্যম যাতে সবসময় থাকে এই আশা করবো।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি আমার অর্জন করা এসএসসি/এইচএসসির মূল সার্টিফিকেট তুলেছি ২০০ টাকা ঘুষ দিয়ে! চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে করে কুমিল্লা গিয়ে যখন বোর্ড অফিসে শুনলাম আমার নিজের সার্টিফিকেট পেতে মূল ফি ছাড়াও দুইশ টাকা বেশি দিতে হবে, তখন যে দাঁড়িওয়ালা ভদ্রলোকটি তার ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষমতা দেখিয়ে আমার কাছে মাত্র দুইশ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন তাকে আমার ইচ্ছে হয়েছিল স্রেফ খুন করে ফেলতে। কিন্তু আমি কিছুই করতে পারি নি; ‘ভালো বাংলায়’ বলতে গেলে কোনো বালই ছিঁড়তে পারি নি। আমি ভদ্রলোকের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কিছু সময় চেয়ে নিয়ে অসহায়ের মতো কিছুক্ষণ বোর্ড অফিসের বারান্দায় বসেছিলাম আর ভাবছিলাম আমি কি এখন পুলিশের কাছে যাবো, সেখানে গিয়ে কি নতুন কোনো খপ্পরে পড়ব? আমি কুমিল্লার স্থানীয় কেউ নই যে সেখানকার কোনো ক্ষমতাবান লোকের কাছে এর বিচার দেবো। তাছাড়া আমাকে দিনে দিনেই ফিরতে হবে আর পরদিনই সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। সাত-পাঁচ ভেবে কূল না পেয়ে আমি ফিরে গিয়ে লোকটিকে ২০০ টাকা দিয়ে ‘সিস্টেমমতো’ আমার সার্টিফিকেট নিয়ে আসলাম। অবশ্যই আমার যদি সেদিন যুবরাজের মতো ক্ষমতা থাকতো আমি তা ব্যবহার করতাম। ক্ষমতা ব্যবহার আর অপব্যবহার বোঝার পার্থক্য মনে হচ্ছে এখানে অনেক কমেন্টদাতার নেই। একজন দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর কীভাবে ‘সিভিলিয়ান’ হিসাবে সহানুভূতি পায়! সিভিক ডিউটির বরখেলাপ যে করে সে একজন ক্রিমিনাল ছাড়া কিছুই নয়।
ডুপ্লিকেট।
আমি SSC তে ব্যবহারিকে ১৭ আর ১৮ পেয়েছি। চেনাজানা বাকীরা ২৩-২৫ করে পেয়েছে। পরে জেনেছি, প্র্যাকটিক্যাল খাতায় সিগনেচার নেয়ার সময় টাকা দেইনি। দু'জন শিক্ষকই ছিল দাড়িঅলা এবং ধার্মিক। তারা টিফিন পিরিয়ডে খাবার আটকে রাখত নামাজে যাব এটা অঙ্গীকার না করা পর্যন্ত। তাদের খুন করতে ইচ্ছা হয় নাই কখনও। ঘটনাকাল ১৯৯০.
আপনে মহান । 'খুন করতে ইচ্ছা হওয়া'- এখানে রূপকার্থে বলা। তেমন ইচ্ছা আপনার না হলেও ক্ষুব্ধ নিশ্চয়ই হয়েছিলেন। তাও যদি না হয়ে থাকেন তেমন কিছু বলার নাই। হয়তো আপনিও শিক্ষক হিসেবে একই পথের পথিক। তাই এত সহানুভূতি
আলমগীর ভাই, আমার ঘটনা এইচ,এস, সি '৯৫-তে। পদার্থ, রসায়নে ১৭, ১৮।কারণ একই টাকা না দেয়া স্পষ্ট করে বললে টাকা দিলে পূর্ণ নম্বর সুনিশ্চিত হয় এ ধারণাই না থাকা।
আজিব দুনিয়া!! "ক" নিয়া আলোচনা কর্তে কইলে তা নিয়া তো কথা কয়ই না উল্টা ঝাড়ি মাইরা "খ..গ..ঘ..." ফালায়া এক লাফে "ভ" তে চইলা যায় !!
" উনি শুনে তাচ্ছিল্য টাইপের হাসি দিয়ে বললেন, যান আপনি কি করবেন করেন গিয়া"... ডাকবিভাগের ঘুষখোর বেটির পাওয়ার বেশ ভালু-সুন্দর মখমলীয় জিনিস কিন্তু যুবরাজ মিয়া আর্মি অফিসার বইলা তার পাওয়ার এপ্লাই কইরা "অন্যায়ের প্রতিবাদ" খ্রাপ... চ্রম খাপ!!!!
আপনি একদম ঠিক কাজটিই করেছেন, আমি হইলে পিটায়ে বেটির চামড়া ছাড়ায় নিতাম আর একদম শেষ দেখে ছাড়তাম...রাগে গা জ্বলতেছে। যেখানে যা অন্যায় দেখবেন য্যাম্নে পারেন প্রতিবাদ করবেন, শায়েস্তা করবেন...
"চৈত্রী"
ঈশপের গল্প বলি। এক ছেলে প্রতিদিন ইস্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মা এর কানে কানে কি যেন বলত। কিছুদিন পরে একদিন ছেলে ইস্কুল থেকে ফিরল পুলিশ টুলিশ নিয়ে - পুলিশ বলে ছেলে বিরাট চোর। মা শুনে ছি ছি করে বললেন - আমার ছেলে হয়ে তুই চুরি করলি? ছেলে তখন পুলিশের কাছে অনুমতি চায় মা'র কানে কানে শেষবার একটা কথা বলার। মুখের কাছে কান আনতেই মা'র কান কামড়ে ধরে। সবাই জানতে চাইলে বলে-আগে ইস্কুল থেকে পেন্সিল/কলম এনে মা'র কানে কানে বলত কিন্তু মা কখনওই নিষেধ করেনি। তখন যদি মা একবার নিষেধ করতেন তাহলে আজ হয়ত তার এই অবস্থা হতনা।
যারা লেখক ঠিক কাজ করেছেন বলে হাততালি দিচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি। এরকম ঠিক কাজ ক্ষমতারধররা হর হামেশাই করে থাকেন। এরকম ঘটনার ধারাবাহিকতায়ই হয়ত সামরিক বাহিনী নিজেকে দেশের অভিভাবক দাবী করে ক্ষমতা দখলের মধ্যে দিয়ে। সুশীল সমাজ অবশ্য তখনও হাততালি দেন। যারা মনে করেন 'শঠে শ্যাঠাং বা 'লাঠ্যাংশই মহৌষধ' তাঁরাই আবার ইস্কুলে স্যারের হাতে বেতের বাড়ি খেলে গোস্বা করেন। শারীরিক শাস্তির বিধান বাতিল হলে সাধুবাদ করেন। র্যাব যখন সন্ত্রাসী ধরে ভোর বেলায় মাঠের মধ্যে নিয়ে বলে - 'নে দৌড়া' তখন পরদিন পত্রিকায় 'ক্রস ফায়ার' এর কথা পড়ে আমারও এককালে ভাল লাগত আর ভাবতাম অবশেষে দেশে অবশেষে শান্তি ফিরে আসবে কিন্তু কিছুই হয়নি, যারা ছিল তাদের জায়গা নতুনরা দখল করেছে। এখন একদিন যদি র্যাব আমাকে তুলে নিয়ে যায় আর দাবী করে আমি সন্ত্রাসী যাকে বাঁচাতে কিনা তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা র্যাবের উপরে গুলি চালিয়েছে, তাহলে আমার আর বলার কোন উপায় থাকেনা। স্বেচ্ছাচারিতার শুরু এরকমভাবেই হয়।
এই লেখায় প্রতিবাদ করা মানেই দূর্নীতিবাজ জিপিও কর্মকর্তার সাফাই গাওয়া না, লেখাটা বা লেখকের এপ্রোচ দূর্নীতির বিরুদ্ধে থেকে শেষে নিজের ক্ষমতা জাহির করা বা ইগোতুষ্ট করাতেই পর্যুদষিত হয়েছে। আপত্তিটা সেখানেই।
সাফি তোমার প্রত্যেকটা কথা সত্য এবং মেনে নিলাম। কিন্তু আমাকে একটা উপায় বল আর কিভাবে ঐ মহিলাকে শায়েস্তা করা যেত ন্যায়সঙ্গত ভাবে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ ভাই, আপনি কি মনে করেন মহিলাকে শায়েস্তা করা গেছে? আপনি কালকে জিপিওতে যান, যদি ওই মহিলাকে পান দেখবেন উনি একই কাজ করছেন। যদি মহিলার চাকরি যেত, তাহলে ওনার জায়গায় নতুন যে আসত সেও হয়ত একই কাজ করত। বাকি উত্তর উপরে ধুগোর মন্তব্যের জবাবে দিয়েছি।
ভাল থাকবেন।
একটু অন্যভাবে দেখি।
আপনি মহিলাকে জেলে পাঠালেন। বিভাগীয় তদন্ত (এবং আরো কিছু, যেহেতু আমি ৭৯ এবং ৮৫ জানি না, তাই বলতে পারছি না)হওয়ার পরে সেটি আরো উপরের দিকে গেলো। তদন্তে শেষ পর্যন্ত রি-ইন্জিনিয়ারিং এর সুপারিশ হলো এবং পরে একজন বর্তমান বা অবঃ জেনারেল এসে ডিজি'র চেয়ারে বসলেন।
এরকম-ও তো হয়, তাই না?
আমাদের সকলের-ই ইচ্ছে হয় এমন কিছু করতে। উর্দি নাই, তাই পারি না। যে আর ব্যক্তি হিসাবে আমি খুব-ই আলসে, তাই বিভাগীয় পর্যায়ে অভিযোগ বা এ জাতীয় কিছু করতে পারি না। আমার সিভিলিয়ান 'আব্বু' বা 'মামু'দের দিয়ে তাই এজাতীয় কাজ করাই। ব্লগে বা জমায়েতে হাউকাউ করি, আর গালি দেই।
যুবরাজ, আপনি শেষ পর্যন্ত ইমোশনাল হয়ে গিয়ে ছেড়ে দিলেন, এবং ঘটনার এটাতেই ইতি। সাধুবাদ রইলো, সাথে কার্যসম্পাদন করতে না পারায় 'অভিনন্দন'। আপনার সিনিয়র রাও আশা করি ভবিষ্যতে শিখবেন, কোথায় থামতে হয়
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
শেষবেলা দু'পয়সা যোগ করি সবিনয়েঃ-
জিপিও'র মহিলা যা করেছেন সেটা ক্ষমতার অপব্যবহার। তার ক্ষমতা মানুষের চিঠি/পার্সেল জায়গামতো পৌঁছে দেয়া। এটাকে পুঁজি করে তিনি দুর্নীতি করেন।
যুবরাজ যা করেছেন সেটা কি ক্ষমতার অপব্যবহার? রিপাবলিকের যে কোন সার্ভেন্ট( সিভিল অথবা মিলিটারী) যদি ক্ষমতার যে কোন ধরনের অপব্যবহার করেন তাহলে এর প্রতিবাদকরা এবং প্রতিবিধান নিশ্চিত করা নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এই নাগরিক কিন্তু যে কেউ। মেথর মুচি কুলী কামিন সকলে। এখানে তার পেশা, শিক্ষা, অর্থ-বিত্ত ইত্যাদি একেবারে অপ্রয়োজনীয়।
কিন্তু আমরা পাবলিকরা আমাদের রিপাবলিককে সেরকম গড়ে তুলতে পারিনি বলে এখানে স্বাভাবিক ক্ষমতার চর্চা হয়না।
চর্চা হয়না বলেই সামরিক পরিচয়হীন একজন সাধারন যুবরাজের পক্ষে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদ কিংবা প্রতিবিধান করা সম্ভব নয়, উলটো হেনস্তা হওয়া ছাড়া। ব্লগার যুবরাজের বাড়তি ক্ষমতা আছে -সেনাকর্মকর্তার পরিচয়। তিনি ও ভালো করেই জানেন এই পরিচয়ের বাইরে স্রেফ নাগরিক হিসেবে তার যে ক্ষমতার চর্চা হওয়ার কথা সেটি এখানে হবার নয়, তাই তাকে ঐ বাড়তি ক্ষমতাচর্চাটুকু করতে হয়েছে, ঐ ক্ষমতার বলেই তিনি পুলিশ-র্যাব ডেকে আনতে পেরেছেন।
এই বাড়তি ক্ষমতাচর্চা যেহেতু কোন অসৎ উদ্দেশ্যে নয় বরং ক্ষমতার অপব্যবহার রোধের উদ্দেশ্যে সেহেতু একে ঠিক নিন্দনীয় বলতে পারছিনা। তবে যুবরাজ তার বাড়তি ক্ষমতার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেননি। তার উচিত ছিলো একজন অসৎ সিভিল সার্ভেন্টকে আইনের মুখোমুখি করানো। অহেতুক ক্ষমায় কোন লাভ হলোনা। এই মহিলা অবাধে দুই নাম্বারী করতেই থাকবে।
কথা বাড়ানো যেতে পারে- জিপিওর তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীটি যে অপরাধ করেছেন( ক্ষমতার অপব্যবহার) সেটি কি আমাদের রিপাবলিকে বিরল?
সেনাবাহিনীর জেনারেলরা যখন রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন সেটা ক্ষমতার অপব্যবহার নয়? এতো উপরে না যাই। ট্রাফিক জ্যামে এম্ব্যুলেন্স নড়েনা, আর্মির গাড়ী চলে যায়- ক্ষমতার অপব্যবহার নয়? আইন-শৃংখলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ডাকা হলে হেলমেট না পড়ার অপরাধে একজন বয়োবৃদ্ধকে যখন নর্দমায় দাড় করিয়ে রাখে অথবা কানধরে উঠবস করায়- সেটা ক্ষমতার অপব্যবহার নয়?
বছর দুয়েক আগে কক্সবাজার হিমছড়ী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তরমুজ খাচ্ছি। সেনাবাহিনীর গাড়ী এসে থামলো। সামনে বসা অফিসারের নির্দেশে পেছনে বসা সিপাই নেমে এসে তরমুজের দাম জিজ্ঞেস করলো। দাম পছন্দ না হওয়ায় অফিসার হুংকার দিয়ে জানালেন রাস্তার পাশে যে জায়গায় তরমুজ চাষ হয়েছে সেটা তাদের জায়গা( তাদের বলতে অফিসার সাহেবের বাহিনীর নাকি তার বাপের বুঝিয়েছিলেন জানিনা), তার বলে দেয়া দামে বিক্রেতাকে তরমুজ তুলে দিতে হলো গাড়িতে।
এটা ক্ষমতার অপব্যবহার নয়? নাগরিক হিসেবে এই অপব্যবহারের প্রতিবাদ ও প্রতিবিধান করার আমার যে ক্ষমতা আমি সেটা চর্চা করতে পারিনি- যেটা যুবরাজ পেরেছেন তার বাড়তি ক্ষমতার জোরে।
আমি তাকে অভিনন্দন জানাই।
সেই সাথে আশাবাদী হতে চাই- ক্ষমতার অপব্যবহার ধরনের অপরাধের প্রতিবাদ যেমন তিনি করছেন, নিজেকেও একই রকম অপরাধ থেকে মুক্ত রাখবেন। ক্ষমতার চরম অপব্যবহারের তিনযুগের কালো অধ্যায় থেকে অন্ততঃ সেনাবাহিনীর তরুন কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসুক।
এই পোষ্ট, পোষ্টের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের একটা অন্যরকম ইংগিত আছে কিন্তু। ব্লগমিডিয়ায় আজকেই আমরা আমাদের সেনাবাহিনীর মাঝারী পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করতে পারছি, তার কাজের প্রশংসা-সমালোচনা করতে পারছি, তার কাছ থেকে বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর এবং ব্যাখ্যা ও পাচ্ছি।
ভরসা রাখি আমাদের পরের প্রজন্মের ব্লগাররা স্বয়ং সেনাবাহিনী প্রধানকেই ব্লগে পাবেন, দৃঢ়তার সাথে তাকে প্রশ্ন করতে পারবেন- আপনার কর্মকর্তারা অবসর নিয়েই বাড়ি-গাড়ি-ব্যবসা-সংসদ নির্বাচন করার মতো টাকা কোথায় পায়? কয়টাকা বেতন পেতো মেজর অমুক তমুক?
সেনাবাহিনী প্রধানও উত্তর দেবেন বুদ্ধিদীপ্ত, সৎ।
ক্ষমতার অপব্যবহার নয় বরং প্রত্যেকের ক্ষমতার সঠিক চর্চার বাংলাদেশ- আমাদের হোক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
লাইক্স দিলাম
ইউটোপিয়াতে তো থাকি না তাই 'lesser of two evils' জিনিসটার সামনা সামনি প্রায়ই হতে হবে এ দেশে। কোনটা lesser, কে জানে?
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
লেখাটা প্রথম পড়ার পর কমেন্ট করব না বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু আজ ফেসবুকে একটা নোট পড়ে আপনার এই লেখার প্রতি শ্রদ্ধাই জেগে উঠলো মনে।
আমি ফেসবুকের লেখার প্রসঙ্গে যাচ্ছি না, এই লেখার প্রসঙ্গেও না। আমি কথা বলছি এই লেখায় বেশ কজনের কমেন্টকে উদ্দ্যেশ্য করে।
এই লেখা পড়ে অনেকেই সেনা কর্মকর্তা হিসেবে যুবরাজের ক্ষমতা দেখানোকে সহজ ভাবে নিতে পারেননি। অথচ আপনারা যেটাকে ক্ষমতা দেখানো বলছেন, সেই ক্ষমতা দেখাবার আগে যুবরাজ একজন কর্মকর্তার সাথে কিন্তু কথা বলেছিলেন। তারপর তিনি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে যুবরাজ পুলিশ আর রাবকে ডেকে আনতে বাধ্য হন। তার লেখা পড়ে আমার আরেকটা বিষয় মনে হলো, ভুল হলে যুবরাজ শুধরে দিবেন, যুদ্ধকালীন আর শান্তিকালীন যে শব্দ উনি ব্যবহার করেছেন, আমার ধারণা সেগুলো উনাদের মেসে অথবা ইউনিটে উনারা মজা করেই এসব শব্দ ব্যবহার করেন। অথচ আমরা এই শব্দগুলোকে নেগেটিভ হিসেবে গ্রহণ করেছি। অনেকে বলছেন, যে মানুষ এত ক্ষমতা দেখান তার সামনে নিজের আইডিতে আসতে সাহস পাচ্ছেন না, অন্য আইডি দিয়ে ( শক পাপেটিং ) তিনি প্রশ্ন করছেন। ভাই ভিতু, যে সেনা কর্মকর্তা নিজের ব্যক্তিগত কথা একটা ব্লগে এসে সিভিলিয়ানদের সাথে শেয়ার করছেন, আপনি কি করে মনে করলেন আপনার এমন প্রশ্ন শুনে তিনি আপনার বিরুদ্ধে কোনো ধরণের অ্যাটাকে যাবেন ? যেহেতু তিনি এখানে একটা পোস্ট দিয়েছেন সেক্ষেত্রে প্রশ্ন করার অধিকার তো অবশ্যই আমাদের আছে। আর একজন সেনা কর্মকর্তা কি ইচ্ছে করলেই একজন সাধারণ মানুষের সাথে যা ইচ্ছে করতে পারেন, যদি করতে পারতেন তাহলে কি পুলিশ আর রাব আনার প্রয়োজন হতো ?
মহিলাকে হয়তো আমাদের সমাজ ব্যবস্থার কথা চিন্তা করে যুবরাজ পুলিশে তুলে দেননি, কিন্তু এই তুলে না দেওয়াটা পুরো ঘটনার মধ্যে তার একমাত্র ভুল বলে ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি। এই মহিলাকে যদি তিনি সেদিন সত্যি সত্যি পুলিশে তুলে দিতেন, তাহলে ডাক বিভাগের অনেকেই সতর্ক হয়ে যেতো। এরপর হয়তো দেকা যেতো এরকম কিছু হওয়ার ভয়ে বেশ কিছুদিন দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যেত। যেহেতু আমরা ক্ষমতাহীনরা কিছুই করতে পারছি সেক্ষেত্রে ক্ষমতাবানরা যদি কিছু করেন, তাহলে সেটা তো আমাদেরই লাভ, এর সুফল তো আমরাই পাবো।
একজন ক্ষমতাবান যদি তার ক্ষমতা ব্যবহার করে এক ঘন্টার ভিতরে রাষ্ট্রের ২০ লাখ টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন, তাহলে সেই ক্ষমতাবানকে আমাদের নিজেদের স্বার্থেই শ্রদ্ধা করা উচিৎ।
যুবরাজ, আপনার প্রতি অনুরোধ, আপনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন, অভিযান পরিচালনা করুন। আপনাদের দেখাদেখি হয়তো সরকারি অন্যান্য সংস্থাগুলো এসব শিখতে পারবে।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
সরকারী অফিসে যারা একটু নিয়মিত যাতায়াত করে আরো নিয়মিত দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের ছ্যাঁচা খান, তাঁরা ছাড়া সম্ভবত কেউ বেচারা যুবরাজের মনোবেদনা বুঝবেন না। আপনাকে সেবা দেয়ার জন্য আপনাদেরই পয়সায় বেতন নিয়ে যখন আপনাকেই জিম্মি করে বাড়তি কয়েকগুণ টাকা আদায় করে, এবং তারপরেও যখন কাজ আদায় হয় না এবং সেটার প্রতিবাদ করতে গেলে "কী করবেন করেন" ধরণের হুমকি শুনতে হয়, সেটার পরেও যে যুবরাজ অন্তত ঊর্ধতন কর্মকর্তা পর্যন্ত যাবার এবং তারপরে পুলিশ ডেকে আনার নিয়মতান্ত্রিকতার ভেতর দিয়ে যাবার পরই শুধুমাত্র নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন, এজন্য তাঁকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারছি না। যাঁরা এই নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন, তারা ঠিক কয় জায়গায় এইটুকু সরকারী নিয়ম অনুসরণ করার ধৈর্য্য দেখাতে পেরেচেন এবং সেটা করে ঠিক কতটা ফল পেয়েছেন, সেটা আমাদের জানালে আমাদেরও কিছু জ্ঞান বৃদ্ধি ঘটতো, ভবিষ্যতে আমরাও সুযোগ থাকলেও কোন ক্ষমতা ব্যবহার না করে সেই নিয়মে ফলাফল আনার চেষ্টা করবো।
১. ক্ষমতার ব্যবহার বা অপব্যবহারে বিরক্তি লাগতেই পারে। কারনটা সহজ- এক কালা জাহাঙ্গীরের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আরেক ধলা জাহাঙ্গীর জন্মনেয়; সর্বহারার হাত থেকে বাঁচাবার কথা বলে জেএমবি আসে; রাজনীতিবিদদের দূর্নীতির কথা বলেই সামরিক শাসন আসে-- সবে দেশে, সব কালে। তারপর তো সেই লঙ্কায় গিয়ে রাবণ হয়ে ওঠার গল্প!
২. তবে ভিন্ন দৃষ্টিতেও এটা দেখা যায়। ঐদিন একজন ক্যাপ্টেন বা মেজর এর বদলে যদি একজন সাংবাদিক ওখানে থাকতেন, তাহলে তিনি কী করতেন? হয়তো বলতে পারেন, এটা নিয়ে রিপোর্ট করা সাংবাদিকের দ্বায়িত্ব। কিন্তু একজন সাধারন ভুক্তোভুগী আর একজন ক্ষমতাবান ভুক্তোভুগীর পার্থক্য থেকেই যাচ্ছে। আমি চাইলেই আমার সমস্যার কথা পত্রিকায় দিতে পারি না। ক্ষমতার অপব্যবহার এখানে সাবজেক্টিভ- সাংবাদিক অন্য এসাইনমেন্ট বাদ দিয়ে নিজের সমস্যা দেখছে কিনা; পত্রিকার ওই কলামে দেশের আরো বড় সমস্যা নিয়ে লেখা যেত কিনা, ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন তখন তৈরি হবে। আবার, আমি এর প্রতিবাদে ব্লগপোস্ট দিতে পারি, কিন্তু তখন আমার সাথে একজন সাধারন কৃষকের পার্থক্য তৈরি হয়।
৩. তাই, দিনের পর দিন এসব দূর্ণীতি সহ্য না করে, "যার যা আছে" তা নিয়েই দুর্ণীতির মোকাবেলা করা ভালো। এটুকু ধন্যবাদ যুবরাজের প্রাপ্য।
৪. আর্মি প্রশাসন আর জনপ্রশাসন এর দূর্ণীতি ভিন্ন। জনপ্রশাসনে দূর্ণীতি শুরু হয় নীচ থেকে- অধ:স্থন কর্মচারী ঘুষ না খেলে নাকি উপর ওয়ালার পকেটে কিছু যায় না। ট্রাফিকের চাদা নাকি গ্রাভিটি মানে না-- শুধুই উপরে যায়।
কিন্তু আর্মি প্রশাসনে দূর্ণীতি হয় উপর থেকে। এখানে একজন কর্ণেলের ব্যক্তগত দূর্ণীতির সুযোগ নেই অথবা সীমিত। র্যাঙ্ক আর ফাইলে দূর্ণীতি হলে বিনিসুতোর "আদেশমালা" ভেঙে পড়ে। মিলিটারি ইঙ্ক এর পথে তো বাংলাদেশও হাটছে।
৫. ভারসাম্য কঠিন জিনিস!
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
বাংলাদেশ থেকে আমার মা আমার জন্য একবার বই পাঠিয়েছিলেন কিছু । বেশিরভাগই গল্পের বই.. তবে কিছু অন্য বইও ছিলো... এগারোশো টাকা দেওয়ার পরেও একটা বইও পাইনাই।
আমার এক বন্ধুর জন্য ফেডেক্স এ করে গিফট হিসেবে একটা ডিভিডি পাঠিয়েছিলাম... বাসায় গিয়ে তারা জানিয়েছিলো আড়াই হাজার টাকা না দিলে প্যাকেট পাওয়া যাবে না।
আমি সাধারণ মানুষ। আর্মি না... বিপ্লবীও না .. অন্যায় দমনে সহিংসতার পথ ধারণ করার পক্ষপাতিও না।
নিয়মতান্ত্রিক ভাবে গিয়ে আমার কোনো উপকার হয়নাই.. মাঝখান থেকে যা হয়েছে তা হলো আমার কাছে অত্যন্ত মূল্যবান একটা বস্তু (আমার স্কুল জীবনের শেষ ইয়ারবুক, যাতে আমার লেখা ছিলো) আমার থেকে চিরকালের জন্য হারিয়ে গেছে।
ভাই, যারা মূল পোস্টের বিষয়বস্তু থেকে দূরে সরে গন্ধ শোঁকা প্রশ্ন করছেন তারা নিজেরাও আমার যায়গায় হলে "নিয়মতা্ন্ত্রিক" ভাবে কিছুই করতে পারতেন না... প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষ এভাবে অন্যায়ের শিকার হয়। এরা তাদের পক্ষে একটা কথাও "নিয়মতান্ত্রিক"ভাবে বলেনি আজ পর্যন্ত, কালকেও বলবে না। আপনার জন্য হয়তো এখন অন্তত: এই মহিলার হাতে অন্য কারো জীবনের মূলবান কোনো কিছু চিরতরে হারিয়ে যাবেনা।
পোস্টে পাঁচ তারা।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ঘটনার প্রেক্ষিতে যুবরাজ ঠিক কাজই করেছেন, এছাড়া আর কোনোভাবে মহিলাকে ''যান আপনি কি করবেন করেন গিয়া'' জাতীয় অন্যায়ের শাস্তি দেয়া যেত বলে আমার মনে হয়না। ট্রান্সক্রিপ্ট তুলতে গিয়ে প্রচন্ড পরিমাণে হেনস্থা হবার পর আমারো কিছু বিজাতীয় ইচ্ছা জেগেছিলো মনে! তবে শাস্তি অবশ্য হয়নাই মহিলার। দেখেন গিয়ে আজকেও হয়তো মহিলা আরেকজনের কাছ থেকে একইভাবে টাকা নিচ্ছে।
তবে যুবরাজ, আশা করবো শুধু আপনার এই ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রেই না, বরং যেখানে যেখানে দুর্নীতি দেখবেন একইরকমভাবে ব্যবস্থা নিবেন, আপনার তো ক্ষমতা আছে। যতটুকু ক্ষমতা আছে ততটুকু দিয়েই। আর আশা করব, আপনি নিজে অন্তত আপনার কর্মক্ষেত্রে ও বাইরে, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।
চোরদের শাস্তি নিশ্চিত করতে একটু আধটু ক্ষমতার অপব্যবহার করা যেতেই পারে আমি থাকলে যুবরাজ যেমন করেছে তেমনই করতাম।
লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল, চোখের সামনে দেশটা কিভাবে রসাতলে চলে যাচ্ছে, দেখার যেন কেই নেই।
অফটপিক: যুবরাজ, আপনি ক্যাপ্টেন,তাই বলছি,আমারও খুব কাছের কিছু বন্ধু আর্মিতে ক্যাপ্টেন হিসাবে আছে। ক্যাপ্টেন রিয়াজ ( ইন্জিনিয়ারিং),ক্যাপ্টেন কায়েস, ক্যাপ্টেন আশরাফ,ক্যাপ্টেন ইমাম, সবাই ইনফ্যান্ট্রিতে,চেনেন কি?
সাজিদ.
এতকিছু করার পরও ওই মহিলার তেমন কিছু হইল না, আর আমরা ম্যাংগো পিপল কিসের মধ্যে আছি বুঝেন...
--------------------------------------------
ধূসর স্বপ্ন, rupokc147 এট gmail ডট com
দুঃখজনক পরিস্থিতি। ইএমএস এ অবশ্য খানিকটা ভালো অবস্থা ছিল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
দেশ থেকে ইএমএস এর মাধ্যমে বেশ কিছু প্যাকেজ আসার পরে একটা যায়গায় খটকা লাগত। কারণ, প্যাকেটের গায়ে যদি লেখা থাকে ১৬০০ টাকা তবে ফ্র্যাকিং মেশিনের সিলে থাকত ৮০০/৯০০ টাকা। বাসায় ফোনে কত লাগল জিজ্ঞেস করলে বলত ১৬০০ টাকাই আর বকশিস ৫০/১০০ টাকা। যুবরাজের লেখ পরে কিছুটা আন্দাজ করতে পারতেছি ঘটনা কি হচ্ছে। বাসায় আর বলি নাই, কারণ নাতির জন্য অনেক শখ করে এটা/ওটা পাঠাচ্ছে উনারা হয়ত প্রতারিত হবার কষ্ট পাবেন, যেমন আমি পাচ্ছি।
ব্লাডি আরমিকে নিয়া সিভিলিয়ানদের প্রবলেমের শেষ নাই। সবথেকে ভুক্তভোগী মনে হয় যারা ঢাকা ক্যান্টের আশেপাশে থাকেন তাদেরই। অন্যায়ভাবে দক্ষিন কাফরুল (পুরানা এয়ারপোর্টের রানওয়ে থেকে এমপি চেকপোস্ট, মেস-বি) আস্তে আস্তে আপনাদের দখলে চলে যাচ্ছে, শুধুমাত্র আপনাদের জন্য উচা উচা বিল্ডিং বানানোর জন্য। কি পরিমান অত্যাচার যে আপনারা করতেছেন এই এলাকার মানুষদের সেইটা আপনারেই ভাল জানেন। যদি পারেন এই অন্যায়টারও প্রতিবাদ কইরেন!!
অমিও
স্রেফ দিনলিপি/অভিজ্ঞতা হিসাবে লেখাটি পড়লাম। বর্ণনা/স্টাইল ভালো লেগেছে। কমেন্টের ঘরে ন্যায়/অন্যায়ের যে আলাপ উঠেছে তাতে আমি দ্রোহী (১৪ নং কমেন্ট) ও মোরশেদ ভাই (২৯ নং কমেন্ট)এর সাথে একমত।
সেনাবাহিনীর অন্য আলোচনা এখানে না এনে যদি জিপিও'তে যুবরাজের ঘটনা দেখি, সাদাচোখে, আমি একটি সাহসী কাজ দেখতে পাই।
কোন পোষাক পরে, কোন পদবী নিয়ে করেছেন, সেটা বড় কথা নয়। কথা হচ্ছে, জিপিও'র ঐ অসৎ লোকগুলো অন্তত একটু হলেও ধাক্কা খাবে। এই ধাক্কাটা জরুরী। 'পাবলিক'এর লাভ। দু'সপ্তাহ আগে মিরপুর পোস্ট অফিসে একটা ফর্মের জন্য কাউন্টারে কাউন্টারে ঘুরেছি, কোন কাউন্টার থেকে ফরম দেয়া হয় সেটাও কেউ বলছিলো না। যারা নিয়মিত আসেন, তারা জানেন। কিন্তু আমার মতো নতুন যারা, খাবি খাচ্ছিলো। শেষে একজন বলল, ১ নম্বর কাউন্টারের লাইনে দাঁড়ান। সেখানে গিয়ে দেখি, টাকা তোলার/জমা দেয়ার বিশাল লাইন। গিয়ে আগের লোকটাকে বললাম, ওটা তো টাকা তোলার লাইন। তুচ্ছ করে আমাকে জানানো হলো, ওখানেই দাড়াতে হবে। এরপর পাশের কাউন্টারে বললাম, একটা ফর্মের জন্য টাকা তোলার/জমা দেয়ার লাইনে দাড়াবো? আপনি পারলে এখান থেকে দিয়ে দেন। সে পাশের জনের সাথে কথা বলে জানালো, ফর্ম নাই।
এই হলো অবস্থা।
জিপিও'তে অনেক 'পাবলিক' এরকম প্রতারণার শিকার হয়তো হয়... যুবরাজ একা নন। প্রতিবাদের জন্য (হোক ক্ষমতার ব্যবহার) তাকে অভিনন্দন।
আশা করছি সহসচলদের আগ্রহ-উৎসুক্যে্র প্রশ্নবানে যুবরাজ ক্লান্ত হবেন না। নিয়মিত লেখা চাই।
যুবরাজ ভাই কে স্যালুট। সরকারী বিভিন্ন অফিসে গিয়ে সবাইকেই কমবেশি এইসব ঝামেলা পোহাইতে হয়-কেউ প্রতিবাদ করে না। এইখানে যারা এই ঘটনার ভাল দিকগুলি না দেখে আগেভাগে 'ক্ষমতার অপব্যবহার' নিয়ে রচনা লিখা শুরু করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে সবিনয়ে বলি, "আপনি এই পরিস্থিতিতে কী করতেন?" যদি আপনার কিছু করার ক্ষমতা থাকত যুবরাজ ভাইএর মত তাহলে কি আপনি চুপ করে চলে আসতেন? নিজের বিবেককে জিজ্ঞেস করেন।
এখানে যারা বক্তব্য দি্যেছেন তাদের সিংহভাগই বিদেশে থাকেন এবং আমার মনে হয়েছে এ জাতীয় হয়রানির শিকার খুব একটা হননি এবং সেনাবাহিনী সম্পর্কে তাদের ব্যক্তিগত মূল্যায়ন প্রকাশ করতে চেয়েছেন। অনেকের কথা-বার্তায় মনে হয়েছে আসল জিপিও বিষয়ক কথা থেকে সেনাবাহিনীর বিষোদগার করাটাই এখানে আলোচনার মূলবিষয়।
জিপিওর হয়রানি, সরকারি ব্যাংকের হয়রানির শিকার না হলে অফটপিকের ক্যাচাল করাই যায়। আমি এখনে ১০০ ভাগ নিশ্চিত এসব হয়রানির শিকার হওয়ার সময় "চামে দিয়ে বামে ঠ্যালা" দেন নাই এমন পাপী খুব কম আছেন।মামু/চাচ্চু না থাকাতে কোন এক সময় এসব হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে আমিও ব্যাংকের কাউন্টরে গিয়ে চিল্লাইছি যে "কাম কইরা দেন, নাইলে খালুরে ডাকুম।খালু কিন্তু ব্যাংকের ডিজিএম। সাথে সাথে দেখতাম কাজ হাসিল হয়ে গেছে। এই থিওরি এখনো কাজ করে নাকি জানি না। কিন্তু ৩/৪ বছর আগে করত।
নীতির কথা দেশের বাইরে বসে কপচানো যায়। কিন্তু দেশে থেকে নীতির বুলি না কপচানোই ভালো। কারন যারা ননীর পুতুল নন, তাদের জানা থাকা উচিত নীতির মধ্যে থাকার চেষ্টা করলে বিআরটিএ তে কাগজ ঠিক করতে ৮ ঘন্টা আর জিপিওতে ৭০০ টাকা দিতে হয়। আম-জনতার কিছুই করার থাকে না। আর কাপ্তান সাহেব উর্দির ইজতেমাল করার পরও মহিলাকে শিক্ষা দিতে পেরেছেন বলেই মনে হয়। এরকম শিক্ষা দিলে আখেরে আমাদের আম-জনতারই লাভ। সেজন্য কাপ্তান সাহেবকে স্যালুট।
নীতি নিয়ে আমাদের বেশি কপচানো ঠিক না। যে দেশের দশ ক্লাস পাস দিয়েও একটা ছাত্র একজন সৎ শিক্ষক পায় না, সে দেশের ছাত্রদের নীতি শিখাবেন কে?
আমার ব্ন্ধু ২ বছর আগে বিদেশে ডিভিডি পাঠাতে জিপিও গেছিলো। তাকে বলা হয়েছিল "ইনফরমেশন মিনিস্ট্রি"র ক্লিয়ারেন্স লাগবে, তা নাহলে গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন নাকি পাচার হয়ে যেতে পারে!! বুঝেন ঠ্যালা।।।।
১/১১ পরবর্তী সময়টাতে অনেক সামরিক কর্তাই অনেক কিছুর মালিক হয়েছেন,উর্দী আর অস্ত্রের জোরে বলীয়ান জোশিলা সেপাই রা নাজেহাল করেছে হেলমেট ছাড়া বাইক চালাতে যাওয়া সাধারন অথবা সন্ধ্যার পর হাওয়া খেতে বের হওয়া দম্পতি কে।সবার কথায় যুক্তি আছে,সবাই আমরা অনেক ভালো, খারাপ শুধু যুবরাজ এর মত উর্দি ওয়ালারা।কেন ভাই? আমাদের অনেকেই অনেককিছু পছন্দ করি না।নাগালের বাইরে থাকা আংগুর ফল যেমন টক মনে হয়,ক্যান্টনমেন্টে অনেক জায়গা নিয়ে প্রায় রাজার হালে থাকা আর জলপাই রং এর গাড়ি দাবড়ানো যুবরাজ দের মত সেনা কেও অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। আমি হলফ করে বলতে পারি,সুযোগ পেলে এই সুশীল ভাইয়েরাই উর্দি পড়ে গাড়ী দাবড়াতেন।
যুবরাজ এর মত আর্মি অফিসার আরো ১০ টা আসুক,এরকম আরো ১০ টা ঘটনা দেখতে চাই,পড়তে চাই।
মানলাম,আর্মির এত দোষ। আমজনতা যদি এত ভালোই হয়ে থাকি তাহলে এখন বলুন,এখন তো আর দেশে সেনা শাসন নেই,আর্মির সততা মিস্রিত দুর্ণীতিও নেই,আমরা খুব কি ভালো আছি ?
আর এটা যে কেউই বুঝে যে আসল কাজের সময়ে,যখন একটা বিল্ডিং ধস্ খায় বা বন্যা/টর্নেডোতে মানুষ খোলা আকাশের নীচে থাকে,তখন কিন্তু আমার আপনার মত ব্লগ কাঁপানো লোকজনের আগে বাড়েনা,যুবরাজ দের মত আর্মি অফিসার রাই তাদের ব্যক্তিগত জীবন কে পেছনে রেখে,বউ ছেলে সংসার পেছনে রেখে দৌড়ায়। বাজে কথা বলে আর্মি কে আমজনতা থেকে দুরে রাখা কোনদিনও যায়নাই,যাবেওনা।
পুলিশ ডাকা, RAB ডাকা সবই ঠিক হতো যদি আপনি মহিলাকে ছেড়ে না দিয়ে এর শেষ পর্যন্ত দেখতেন। মাফ করায় আমার মনে হয়েছে এই ঘটনায় পুলিশ,RAB ডাকা সরকারী অর্থের অপচয়।
এই পোস্টটা আগে পড়িনি।
আপনি যা করেছেন ঠিকই করেছেন। এদেরকে বাড়তে দিয়ে দিয়েই এতদূর গেছে, এখন সুযোগ থাকলে এভাবেই সাইজ করা উচিত।
শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেয়াটা সমর্থন করতে পারলাম না। আপনার অবস্থানে থেকেই যদি এত ঝামেলা করতে হয়, তাহলে আমাদের আমজনতার অবস্থা কী বুঝতেই পারছেন। ছেড়ে দিয়ে ওই মহিলা পাল্টাননি একটুও, ছেড়ে না দিলে হয়তো পাল্টানোর একটা সম্ভাবনা থাকতো।
দেশের ডাক বিভাগ খুব অবহেলিত, এলাকার পোস্ট অফিসে গেলে মনে হয় টাইম মেশিনে চড়ে অতীতে চলে এসেছি। কিন্তু জিপিও অবহেলিত হওয়ার সুযোগ নাই, জিপিওর ফরেন সার্ভিসে কাজ করে এমন দুইজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীকে চিনি যাদের ৮/১০ তলা বাড়ি, কয়েকটা গাড়ি ভাড়া দেয়া।
প্রথম শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা চাচা এখনো ৩বেডের ভাড়া বাসায় থাকে আর এই লোকেরা কীভাবে এতো টাকার মালিক হয়ে গেলো ভাবতাম শুধু। এই লেখাটা পড়ে বুঝলাম রহস্য।
লেখকের কাজ ঠিকই হয়েছে, তবে থানা পর্যন্ত ঘুরিয়ে আনা দরকার ছিলো আর র্যান্ডমলি অন্য কাউন্টার/ কাস্টমারদের প্যাকেটগুলো চেক করা উচিত ছিলো সবার মাঝে একটা নাড়া দেয়ার জন্য।
সাধারণ মানুষ হিসেবে যে সার্ভিসগুলো আমাদের পাওয়ার ছিলো সেগুলো না পেতে পেতে এখন কাউকে পেতে দেখলে আমাদের অবাক লাগে। দালাল কাউকে ধরবে না, দরকারে ডাক্লে পুলিশের সাহায্য পাওয়া যাবে এইগুলোই হওয়া উচিত। দুর্ভাগ্য যে যা হওয়া উচিত তার জন্যও পোষাকের জোর খাটাতে হয়
নতুন মন্তব্য করুন