ভ্যাট আদায় সংক্রান্ত ঘটনা

যুবরাজ এর ছবি
লিখেছেন যুবরাজ [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১২/০৯/২০১০ - ৬:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছর তিনেক আগে, ঢাকায় এক ছুটিতে এসে আমার বোনের বাসায় গেলাম। ভাগনা-ভাগনিরা আবদার করলো তাদের পিজা খাওয়াতে নিয়ে যেতে হবে। আমি তাদের সাথে কতক্ষন গাই-গুই করে না পেরে শেষে বসুন্ধরা সিটিতে নিয়ে গেলাম পিজা খেতে। আট তলায় একটা পিজার দোকানে পিজার অর্ডার দিলাম। প্রথমেই কাউন্টারে বিল দিতে হয়, তারপর তারা একটা টোকেন দেয় সেটা হাতে নিয়ে বসে থাকতে হয়। যখন তৈরী হয় খাবার তখন ডাক পড়ে এবং কাউণ্টার থেকে খাবার নিয়ে আসতে হয়। এটাই নিয়ম। আমি যখন বাচ্চাদেরকে বসিয়ে কাউণ্টারে অর্ডার দিলাম তখন আমাকে বলা হলো যে আমার ৯০০ টাকা বিল এবং ১৫% ভ্যাট হিসাবে ১৩৫ টাকা সর্বমোট ১০৩৫/- বিল হয়েছে। আমি মানিব্যাগ বের করে টাকা পরিশোধ করলাম, আমাকে উনি হাতে লেখা দোকানের একটা রিসিপ্ট কপি দিলেন। এর আগে বলি, আমি যেখানেই যাই, যদি ভ্যাট দেই তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাটের নীল রঙের ছাপানো কাগজ নিয়ে নেই, তাতে টাকাটা সরকারের কোষাগারে জমার নিশ্চয়তা থাকে। আমি যখন উনাকে প্রশ্ন করলাম ভ্যাটের নীল রঙ এর কাগজ কোথায়? উনি খুব বিরক্তির সাথে আমাকে বললেন, ভ্যাটের কাগজ দিয়ে আপনি কি করবেন? আমি বললাম, কাগজটা আমার দরকার, ওটা না নিলে সরকার ভ্যাট পাবেনা। উনি আমাকে বললেন, আপনাকে কে বললো সরকার ভ্যাট পাবেনা? আমরা সব টাকা এক করে রাতে জমা দেই। আমি বললাম, রাতে কারে জমা দেন? উনি বললেন, মালিকের কাছে। উনি পরের দিন বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে জমা দিয়ে আসেন। আমি বললাম উনি যত টাকা ভ্যাট পান, সেই একই পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা দেন তার নিশ্চয়তা কোথায়? উনি এই বার খুব বিরক্ত হলেন। ‘ধুর ভাই যান তো, কাউন্টারের সামনে আপনি ভীড় লাগাইয়া রাখছেন, পিছনে লোক আছে, আপনি সিটে যান’। আমি বললাম, ঠিক আছে আমি সিটে যাচ্ছি আপনি আমারে নীল কাগজটা দিবেন। সীটে গিয়ে বসলাম। দেখলাম, ধুমাইয়া লোক জন বিল দিচ্ছে কিন্তু কেউই ভ্যাটের কাগজ নিচ্ছে না। কিছুক্ষন পর পিজা রেডী হওয়ার ডাক পড়লো, আমি পিজা আনতে গিয়ে আবার এক ফাকে ভ্যাটের কাগজের খোঁজ় করলাম, লোকটা এমন খেপে গেলো আমার উপরে, পরিস্কার ভাবে শুনলাম উনি উনার সহকর্মীকে বলছেন, “ কই থাইকা এই বালডা আসছে, আর ঘ্যানঘ্যান করছে ভ্যাটের কাগজের জন্য” কথাটা শুনে আমার তড়াক করে মেজাজ গরম হয়ে গেল। পিজা টেবিলে রেখে পিচ্চিদের খেতে বলে আমি কাউণ্টারে গেলাম আবার, জিজ্ঞেস করলাম আপনি এইমাত্র কি বললেন? কারে বালডা বললেন? আবার বলেন? উনি এইবার বললো, ভাই আপনারে তো আমি কিছুই বলি নাই, আপনার কথা বলি নাই সকালে একটা লোক ভ্যাজাল করতে ছিল তার কথা বলছি। আমি বললাম আমার ভ্যাটের কাগজ দেন। সে বললো আপনি বসেন গিয়া, আমি কাগজ পাঠাচ্ছি। আমি এসে আবার খেতে বসলাম। একটু পর পর তাকাচ্ছি, যদি সে কাগজটা পাঠায়। পুরো পিজা খাওয়া শেষ আরো কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম কাগজের দেখা নাই। আমার মুখ কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে তখন। আমার ভাগনা-ভাগনিরা জিজ্ঞেস করছে, মামা কি হইসে তোমার। আমি বললাম, কিছু না, তোরা চুপ করে বস, মামা একটা কাজ করতেছি। অপেক্ষার পর আবার কাউণ্টারে গেলাম, লোকটা মহা ব্যস্ত, লাইন ধরে লোকজন পিজা কিনছে, বললাম ভ্যাটের কাগজ, এইবার সে বললো ভাই, আপনি এতো ছ্যাঁচড়া কেন? বুঝতে পারতেছেন আমি ব্যস্ত, এই কাগজ না নিলে আপনার কি ক্ষতি হয়? আমি বললাম, দিবেন কি দিবেন না সেটা বলেন, এতো কথার ত দরকার নাই। তিনি মুখের উপরে বললেন, দিতে পারবোনা, কি করতে পারেন গিয়া করেন। আমি বললাম, আপনি কিন্তু বিপদে পড়ে যাবেন সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাকে। আপনি কঠিন একটা অন্যায় করতেছেন আমার সাথে, সে বিন্দুমাত্র কর্নপাত করল না। আমি আবার গিয়ে সিটে বসলাম। আমার টেলিটক থেকে ফোন করলাম ০২-৯৬৬৬৬১৭। এই নাম্বারে সকল সরকারি কর্মকর্তাদের নাম্বার পাওয়া যায়। বললাম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের বাসার নাম্বার দিতে। উনার বাসার নাম্বারে ফোন দিলাম, দুই বার বাজার পর কাজের মেয়ে ফোন ধরলো। স্যার বাহিরে। বললাম জরুরী একটা ব্যাপার, স্যারের মোবাইল নাম্বার দরকার। নাম্বার নিয়ে ফোন দিলাম স্যারকে। সুন্দর করে সালাম দিয়ে স্যারকে আমার পরিচয় দিলাম, তারপর বললাম স্যার আমি এখানে পিজা খেতে এসে ভ্যাট দিয়েছি, কিন্তু আমাকে ভ্যাটের কোন কাগজ দেয় নাই। আমি কাগজ চাওয়ায় উলটা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে, আমার কি করণীয়? উনি বললেন এরকম বহু জায়গায় ওরা ভ্যাট নেয় কিন্তু সরকার কিছু পায়না। আপনি ভালো একটা কাজ করেছেন আমাকে জানিয়ে, আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। আপনি এখন কোথায়? বললাম, বসুন্ধরার আট তলায়। উনি বললেন, আপনি থাকেন ঐখানে আমি লোক পাঠাচ্ছি। আমি ফোন রেখে আরেক দফা কোকের অর্ডার দিলাম, চুপচাপ টেবিলে বসে কোক গিলছি। কাউণ্টারে লোকটা মহা ব্যস্ত, সে জানেই না একটু পর তার উপর কেয়ামতের গজব নামতেছে। আধা ঘণ্টা সময়ের ভেতরে দুজন পুলিশসহ একজন সাফারি পড়া কর্মকর্তা টাইপ লোকের আগমন ঘটলো, উনি এদিক-ওদিক খোঁজাখুজি করে তাকাতে আমি এগিয়ে গেলাম, হাত বাড়ালাম তার দিকে। পরিচয় দিলাম উনিও উনার পরিচয় দিলেন তেজগাঁও সার্কেলের ভ্যাট এণ্ড এক্সসাইজের উপ-কর কমিশনার । উনাকে দেখামাত্র চারিদিকে কেমন জানি একটা আতংক ছড়িয়ে পড়ল। আশেপাশের দোকানিরা তাড়াহুড়া করে দোকান বন্ধ করা আরম্ভ করলো। উনি কাউণ্টারে গেলেন। কাউণ্টারে আজকের দিনের সেলস এবং ভ্যাটের হিসাব চাইলেন। কাউণ্টারের সেই লোকটার চেহারা দেখলাম পুরা ফ্যাকাশে, সে মোবাইলে যেন কাকে জানাচ্ছিল উনার আগমনের কাহিনী। কমিশনার সাহেব ওদেরকে বললেন সব কাগজ এনে টেবিলে রাখতে, আর এসে বসলেন আমাদের টেবিলে। উনাকে পুরা ঘটনা বললাম। উনি বললেন, বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা সরকার ভ্যাট পায়না এদের কারনে, অথচ সাধারণ মানুষ টাকা দিয়েই যাচ্ছে। ভ্যাটের ঐ ফর্ম নাকি সবাইকে দেয়ার নিয়ম, এবং যে কেউ চাইলে দেখতে পারে রসিদে আজ কত টাকা জমা হয়েছে। ইতিমধ্যে জানা গেল আজ ভ্যাট জমা হয়েছে ১২00 টাকা আর সেল হয়েছে তখন পর্যন্ত চল্লিশ হাজার টাকার মত, ভ্যাট আসে ছয় হাজার, চার হাজার আটশত টাকা চুরামি হয়েছে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ইতিমধ্যে হন্তদন্ত হয়ে এক ভদ্রলোক দোকানে এসে ঢুকলেন, এসেই চিৎকার-চেঁচামেচি, কর্মচারীদের হারামজাদা কুত্তার বাচ্চা গালি দিয়ে আমাদের সামনে এসে আমাদের দুজনকে লম্বা একটা সালাম দিলেন। বললেন উনি দোকানের মালিক, বনানীতে ছিলেন আসতে দেরী হয়ে গেছে, আমাদের কোন অসুবিধা হয়েছে কিনা। আবার চিৎকার দিয়ে বললেন, এই এখানে কি খাবার দিস? স্যারদের পিজা দাও, একদম চিজ দিয়ে আর বিফ দিয়ে, কি জানি নাম ও একটা বললেন। আমি সাথে সাথে বললাম, আমার পিজা খাওয়া হয়ে গেছে আর খাবোনা। কমিশনার সাহেব ও নিষেধ করলেন। এরপর মালিক ঘটনার সব কিছু ব্যাখ্যা করে মাফ চাইলেন আমাদের দুজনের কাছে। আমি বললাম, আপনাকে আমি মাফ করে দিলাম, তবে আপনার প্রতিষ্টানকে মাফ করা গেলোনা বলে আমরা দুঃখিত। বলে আমি উঠে পড়লাম। উনি আমার হাত ধরে বসালেন এবং একটা ইঙ্গিত করলেন আমাদেরকে ‘কিছু গিফট’ দিলে আমরা নেবো কিনা, কমিশনার সাহেব ধমক দিয়ে বলে উঠলেন, “ গিফট মানে? আপনারে আমি কি আমার মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত দিয়ে আনছি না উনার(আমার দিকে ইঙ্গিত করে) বিয়েতে আপনি দাওয়াত খেতে এসেছেন যে গিফট দেবেন?’ ধমক খেয়ে মালিক চুপসে গেলেন। আমি কমিশনারকে বললাম আপনার কাগজপত্র সব ক্লোজ করেন আমরা এখান থেকে যাই। উনিও একমত হলেন যে এটা হিসাবের ব্যাপার, কাগজ-পত্র অফিসে নিয়ে যেতে হবে। উনিও উঠলেন আমিও উঠলাম, যাওয়ার সময় মোবাইল নাম্বার একচেঞ্জ করলাম। উনি বললেন দুইদিন পর ফোন করে জানাবেন এদের কি শাস্তি হলো। আমি পিচ্চি-পাচ্চি নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। আমার ছুটি শেষ তাই ইউনিটে ফিরে গেলাম। দুদিন পর ফোন করলাম, কমিশনার সাহেবকে। উনি সহাস্য বললেন, আপনি তো ভালো একটা কাজ করছেন। ওরা দোকানের জন্মের পর থেকে ভ্যাট ঠিক মত দেয় নাই, অথচ আদায় করে রেখেছে। আমি উদ্গ্রীব হয়ে জানতে চাইলাম, কত টাকা ফাইন হবে? উনি বললেন আঠার লক্ষ টাকা। আমার শুনে চোখ কপালে উঠল। বললাম, যদি না দেয়, বললেন না দিয়ে উপায় নাই, দিতেই হবে। এরপর চেয়ারম্যান একদিন ফোন করে বাহাবা দিলেন, বললেন এরকম সবাই সচেতন হলে সরকার অনেক টাকা পেত। আমি উনাকে প্রস্তাব দিলাম, উনার যেহেতু লোক-বল কম, উনার পক্ষ থেকে দেশের সকল প্রথম শ্রেণীর গেজেটেট কর্মকর্তা যদি ভ্যাট আদায়ের জন্য ক্ষমতা পায় তাহলে সরকারের নজরদারি অনেক বাড়বে আর আমাদের কে অতিরিক্ত কোন বেতন ও দিতে হবে না, আমরা শুধু নিজেদের প্রয়োজনে যখন যেখানে বাজার করবো, খাবার কিনব ভ্যাট দিব শুধু খেয়াল রাখব যে ঠিক মত ভ্যাট আদায় হচ্ছে কিনা বিনিময়ে আমরা আদায় করলে সরকার আমাদের কে ৫% দিতে পারে না ও দিতে পারে। আমার এই প্রস্তাবটা নাকি অর্থমন্ত্রনালয়ে বলা হয়েছিল কিন্তু তারা বাতিল করে দিয়েছে, তাতে নাকি দূর্নীতি সরকারি কর্মকর্তারা ও জড়িত হয়ে পড়বেন।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। আপনি না হয় জানেন, কাকে ফোন করতে হবে এবং আপনার ফোন পেয়ে তারা এসেছেন ও। কিন্তু আমরা যারা আমজনতা তাদের কি করণীয়? ভ্যাটের কাগজ চেয়ে দুই তিন ঘন্টা অপেক্ষা করার মতো সময়ই বা কয়জন মানুষের আছে? আপনার সামনে কর কমিশনার সাহেব হয়তো গিফ্ট নেননি, যত টুকু জানি তাঁরা গিফ্ট এর বিনিময়ে ভ্যাট চোর দের ছেড়ে দেন বলেই এরা চুরি করার সাহস পায়।

আকাশনীলা

রেজওয়ান এর ছবি

সবাই এভাবে সচেতন হলে দুর্নীতির পরিমাণ কমবে। তবে সরকারের আরও প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া উচিৎ - আয়কর কর্তৃপক্ষ দ্বারা ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার ব্যবহার করা হলে এবং কার্যকরী অডিটের ব্যবস্থা করলে সুযোগ পাবে না ব্যবসায়ীরা এবং অসৎ আয়কর কর্মচারীরা।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমাদের দেশে নিয়মও চলে আমজনতার চাপে বা ইচ্ছেমত। যেমন ধরা যাক ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টারের ব্যাপার। এটা যখন নিয়ম করা হলো যে সবাইকে এরকম ক্যাশ রেজিস্টার ব্যবহার করতে হবে তখন অনেকেই (হয়তো অধিকাংশই) এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিল। এটা নাকি হয়রানি!

আমার মনে পড়ছে কানাডায় এসে কিছুদিন একটা দোকানে কাজ করেছি। এখানে ছাত্রাবস্থায় মনে হয় সবাই টুকটাক কিছু করে। আমাকে ঠিকঠাক শিখিয়ে দিল কিভাবে ক্যাশ রেজিস্টার চালাতে হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দিন শেষে একটা ফাইনাল হিসাব প্রিন্ট করতে হয় আর মাসের শেষ দিনে আরেকটা চাবি ঘুরিয়ে মাসের হিসাবের সামারি প্রিন্ট করতে হয়। সেই কাগজগুলো আবার ঠিকমতো রাখতে হয় এবং সে অনুযায়ি সংগৃহীত ট্যাক্স কানাডা রেভিনিউ এজেন্সীতে পাঠাতে। হয়। একদিন আমি ভুলে মাসের হিসাবটা নেইনি। উনি পরের দিন এসে বলেন তুমি তো আমাকে জেলের ভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছ। জিজ্ঞেস করার পরে বিস্তারিত বললেন। যা বুঝলাম তা হলো ট্যাক্সের ব্যাপারে এটা খুবই সিরিয়াস এবং কেউ ট্রাক্স ফাঁকি দিলে জেল মোটামুটি নিশ্চিত। যাই হোক, উনি একদিন পরে সেই মাসের হিসাব প্রিন্ট করে ম্যানুয়ালি এ্যাডজাস্ট করলেন।

তখন কানাডায় নতুন ছিলাম। আস্তে আস্তে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। কানাডা রেভিনিউ এজেন্সীর সেই কথাটা আমার দারুণ লাগে-- Come to us before we come to you.

ইশ আমাদের দেশে কবে এরকম হবে! এত জনগন সবাই যদি ট্যাক্স দেয় তাহলে সরকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারে। আমরা শুধু সরকারের দোষ দেই, অথচ রিপাবলিকের সদস্য হিসেবে নিজেদের দায়িত্বটুকু পালন করতে চাই না। স্বয়ং সাংসদরাই যেখানে ট্যাক্স দিতে চায়না সেখানে আমজনতাকে দোষ দিয়েও বা লাভ কী?

বিপ্লব কুমার কর্মকার এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিষয়টা এখানে লেখার জন্য।
আমিও বসুন্ধরার আটতলায় ভ্যাটের কাগজ চাইতে গিয়ে দোকান কর্মচারীর কথার মাধ্যমে লাঞ্চিত হয়েছি।আপনার কাছে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের ফোন নম্বর ছিল, আমার কাছে ছিল না, তাই কিছু করা যায়নি।

ওখানে কোমল পানীয়ের দাম গায়ের দর থেকে ৫~১০ টাকা বেশি রাখা হয়। এরও কোন সদুত্তর নেই। যেহেতু ওই ক্যাচালে পড়ে কিছুই করতে পারিনি, তাই পরবর্তীতে কোথাও খেতে গেলে আর ভ্যাটের কাগজ চাইতাম না। আমার প্রায়ই বাইরে খাওয়া হয়। মতিঝিল আর গুলশানের হোটেল গুলোরও একই অবস্থা।

এই নাম্বারে ফোন করলে কি চেয়ারম্যান ধরবেন? ওনার মোবাইল নম্বরটা দেয়া যাবে? আমার মত সাধারন নাম-পরিচয় হীন লোকে ফোন করলে রেসপন্স করবে?

বিপ্লব কুমার কর্মকার

শিমুল এর ছবি

কাজের পোষ্ট এবং দরকারী পোষ্ট।

আমরা শুধু সরকারের দোষ দেই, অথচ রিপাবলিকের সদস্য হিসেবে নিজেদের দায়িত্বটুকু পালন করতে চাই না। স্বয়ং সাংসদরাই যেখানে ট্যাক্স দিতে চায়না সেখানে আমজনতাকে দোষ দিয়েও বা লাভ কী?

পিপিদা,আপনার প্রথম কথাটি খাঁটি।তবে দ্বীতিয় লাইনে খানিক দ্বিমত আছে।আমজনতাকে দোষারোপ করা উচিত।আমজনতা ভ্যাট ঠিকই দেয় কিন্তু সরকারী কোষাগারে জমা হওয়ার জন্য অর্ধমিনিটের সময়টুকু দিতে চায়না।

ট্যাক্স না দিলে তো তার টাকা কিছু বাড়ে কিন্তু ভ্যাট দিয়ে কাগজটা না নিয়ে তার আসলে কতটুকু ইয়ে হয় আমি বুঝিনা।

তবে সরকারের আরও প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া উচিৎ - আয়কর কর্তৃপক্ষ দ্বারা ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার ব্যবহার করা হলে এবং কার্যকরী অডিটের ব্যবস্থা করলে সুযোগ পাবে না ব্যবসায়ীরা এবং অসৎ আয়কর কর্মচারীরা।

প্রযুক্তির ব্যবহারে দূর্নীতি কমে তবে সেখানেও আমজনতার ভুমিকা প্রয়োজন।ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার আছে কিন্তু সেইটা ব্যবহার করে না দোকানিরা। উদাহরণ মিরপুর রোডে অলিয়স ফ্রঁসেস সংল্গন ইউসুফ বেকারি।আমি ২০০৩ থেকে ঐখানের খদ্দের কিন্তু কখনো তাদের ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিষ্টার ব্যবহার করতে দেখলাম না।২০-৩০টাকার খাবার খাই , তারপর মনোবল কম তাই এইটার প্রতিবাদও করিনা।

উত্তরার রাজলক্ষিতে আলীবাবা নামে এক মিষ্টির দোকান আছে।দৈনিক বিক্রি লাখটাকার উপরে।ট্যাক্স ঠিক নেই কিন্তু কাউকে ইলেক্ট্রনিক কাউন্টারের রিসিট দেয়না।আর পাব্লিকের এই ব্যাপার "গা" করেনা। আমি অবশ্য প্রতিবার কড়ায় গন্ডায় রিসিট আদায় করে ছাড়ি।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার কথা ঠিক, আমজনতা ভ্যাট ঠিকই দেয়, সেটা সরকারের কাছে হয়তো যায়না। কিন্তু ট্যাক্সের ব্যাপারে কি সেটা সত্যি? স্বনির্ধারণী ট্যাক্স কয়জন "সুনির্ধারণ" করে? হাসি

আমি অনেক বাড়িওয়ালা দেখেছি যারা হোল্ডিং ট্যাক্স না দেয়ার জন্য বাইরে প্লাস্টার করে না। বাইরে প্লাস্টার না করলে নাকি ঐ বাড়ি 'নির্মাণাধীন' হিসেবে গন্য হয়। সেক্ষেত্রে ট্যাক্স দিতে হয়না বা কম দিতে হয়। এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে সেটা আপনিও জানেন।

বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এরকম মন্তব্য পেলে আলোচনা করতে ভালো লাগে।

নোবেল [অতিথি] এর ছবি

গুড জব বস । এনিওয়ে, ইসিআর থাকলেও কি নীল কাগজে রিসিপ্ট কপি দেয় নাকি ?

সাইদ এর ছবি

যুবরাজ, আপনি খুব ভাল একটা কাজ করেছেন। তবে আমি একবার মার খেয়েছি এটা চাইতে যেয়ে। সে অনেক বড় কাহিনী। সাধারণ মানুষ হিসেবে কর কর্মকর্তাদের কোন সহযোগিতা পাইনি।
তাই এখন সহ্য করি । কি আর করব।

নীল [অতিথি] এর ছবি

আপনার এই কাজটা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।

রেজওয়ান এর ছবি

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

প্রকৃতিপ্রেমিক লিখেছেন:
আপনার কথা ঠিক, আমজনতা ভ্যাট ঠিকই দেয়, সেটা সরকারের কাছে হয়তো যায়না। কিন্তু ট্যাক্সের ব্যাপারে কি সেটা সত্যি? স্বনির্ধারণী ট্যাক্স কয়জন "সুনির্ধারণ" করে? :)।

আমার দেখা মতে কর্মজীবিরাই ট্যাক্স দেয়। ১২ হাজার টাকার উপরে আয় যারা করে (সঠিক হারটি বর্তমানে কি জানি না) তাদের জন্যে নূন্যতম ট্যাক্স ১৮০০ টাকা প্রতি বছরে দিতে হয় (ধরুন ৫০০ টাকা হলেও)। অথচ ব্যবসায়ীরা মাসে লাখ টাকা আয় করলেও ট্যাক্স ফাঁকি দেবার নানা আয়োজন করে। ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দুটি খাতা থাকে - আয়করের জন্যে ও আসল এবং আয়কর কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে তারা খুব কম ট্যাক্স দেয়। ব্যবসায়ীদের যুক্তি - লাভের এক তৃতীয়াংশ (বা আরও বেশী) ট্যাক্স কেন এমনি এমনি দেব? কোম্পানির এই আয়করের হার তুলনামূলকভাবে বেশীর দিকে - কিন্তু আয়কর বিভাগের যুক্তি এমনিতেই ট্যাক্স দেয় না তাই বেশী হার রাখলে কিছুটা হয়ত উদ্ধার করা যাবে। - যেমন সাইফুর রহমান সরকারী কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর সময় বলেছিলেন - এমনিতেই ঘুষ খায় তাহলে বেতন বাড়িয়ে কি লাভ। অর্থাৎ এভাবে ব্যবসায়ীদের ট্যাক্স ফাঁকি দিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।

চাকুরিজীবিদের ট্যাক্স দিতেই হয় কম বা বেশী - আয়কর বিভাগ আরও কর্মকর্তাদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে চান। কিন্তু তারা ভুলে যান একজন ব্যবসায়ী যে পরিমাণ ট্যাক্স বা ভ্যাট ফাঁকি দেয় তা হয়ত ৫০ জন চাকুরীজীবির ট্যাক্সের সমান।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আসলে প্রত্যেক নাগরিকেরই আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার নিয়ম থাকা উচিত। এমনকি শুন্য আয় থাকলেও রিটার্ন দাখিল করার নিয়ম থাকলে একধরনের ট্রেনিং যেমন হবে তেমনি অনেক রকম দুই নম্বরি ডিটেক্ট করা (ও ঠেকানো) সহজ হবে। চাকুরীজীবিদের আয়কর সোর্স থেকে নেয়া সবচেয়ে সহজ। তবে যারা আয়কর দেয় তাদের আরো উৎসাহ/সহযোগিতা দেয়ার জন্য ট্যাক্স বেনিফিট দেয়া যেতে পারে। (কানাডায় এরকম করে)।

রানা মেহের এর ছবি

লেখায় প্যারা ব্রেইক না থাকলে পড়তে কষ্ট হয়
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হিমু এর ছবি

রাজস্ব বিভাগের একটি অভিযোগকেন্দ্র খোলা যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা দিলে মানুষ যাতে বিনা হয়রানিতে রিপোর্ট করতে পারে, সে ব্যবস্থা থাকা উচিত।

পাশাপাশি ওয়েবসাইটও চালু করা যেতে পারে, যেখানে মানুষের অভিযোগগুলো দৃশ্যমান হবে। কারণ রাজস্ব বিভাগে ঘুষখোরের অভাব নেই, অভিযোগটা করার পর সেটার অস্তিত্ব কর্তৃপক্ষের কাছে আর না-ও থাকতে পারে। ওয়েবসাইটে অভিযোগ দেয়ার ব্যবস্থা করা গেলে সেটা রয়ে যাবে, এবং কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে কর্তাদের মন্তব্য জনগণ দেখতে পাবে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি একবার স্টারের নামে কমপ্লেন করতে রাজস্ব বিভাগের সাইটে ঢুকে মেইল করতে গেছিলাম, পরে সুবিধা করতে না পেরে মেইল না করেই বের হয়ে আসছিলাম। এখন আপগ্রেড করছে কিনা কে জানে!

সজল

জাহামজেদ এর ছবি

সিলেট একটা ক্লাব আছে, নাম গার্ডেন ক্লাব, যুবরাজ ভাইয়ের চেনার কথা। সিলেট যাওয়া হলে এই ক্লাবে আমি প্রায়ই যাই, ওদের পুল আর জিমনেশিয়াম ব্যবহার করি। সেখানে আমার এক ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় হয়, উনি কাস্টমস ( ভ্যাট ) এর সহকারী পরিচালক। উনিও ক্লাবে আসেন, জিম ও সুইমিংপুল ব্যবহার করেন। কথা প্রসঙ্গে আমি একদিন জানতে চাইলাম, আপনি এখানে কত টাকা দিয়ে সদস্যপদ নিয়েছেন, উনি আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে শুধু হেসেছিলেন। পরে আমার এক বন্ধু, যে ঐ প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক, তার কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম, ওদের প্রতিমাসে ক্লাব থেকে আয় হয় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা, আর ওরা প্রতিমাসে ভ্যাট দেয় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ! এত কম টাকা ভ্যাট দেয়ার পেছনেও নাকি আছে ঐ কর্মকর্তাকে খুশি করার বিষয়, ভ্যাটের সহকারী পরিচালক ও তার স্ত্রীকে ক্লাবে ফ্রি সদস্য করা হয়েছে, আর সদস্য ফি বাবদ এই ক্লাবে দিতে হয় ৫০ হাজার টাকা ! তার মানে, এক লাখ টাকার সদস্যপদের বিনিময়ে ভ্যাটের সহকারী পরিচালক প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা ভ্যাট থেকে সরকারকে বঞ্চিত করছে । এখন বলেন, আমরা কার কাছে যাব, কই যাব ?

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

সেপ্টেম্বর মাস চলছে। এ মাসে আমার উপলব্ধি 'ভরপেট নাও খাই, রাজকর দেয়া চাই'
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সাফি এর ছবি

মুসলিম সুইটস মিষ্টির দোকানে একবার মিষ্টি কেনার পরে চালানপত্র চেয়েছিলাম বলে দাম কেজিতে ১০টাকা কম রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল। পরে বেশী দাম দিয়েই চালান নিয়েছিলাম। অধিকাংশ সময়েই আমরা এ ব্যাপারে সচেতন থাকিনা। লেখাটা তাই ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। খোমাখাতায় শেয়ার করলাম

শিশিরকণা এর ছবি

আমার মতো আম জনতা সৎভাবে ট্যাক্স দিয়ে বাঁচতে চায়, কিন্তু কিভাবে? বরং এরপর থেকে নীল কাগজে রিসিপ্ট না দিলে ট্যাক্সের বাড়তি টাকা দিতে অস্বীকার করতে পারি। নিয়ম কানুন বিষয়ে জনগনের সচেতনতার বিকল্প নাই। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যেটা করে সেটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়, বাংলাদেশে আজ তাই অসততাই নিয়ম।

ভারতের একটা পরিসংখ্যান দেখলাম, যেখানে বলা হয়েছে, এক তৃতীয়াংশ ভারতীয় অসৎ, এবং বাকি এক তৃতীয়াংশের বেশি সুযোগ পেলে অসৎভাবে সুবিধা নিতে দ্বিধা করবেননা। কেবল ১০-১৫% আছেন যারা সব সময় সৎ থাকার চেষ্টা করেন। দূর্নীতির তালিকায় আমাদের অনেক পিছনে থাকা ভারতের অবস্থা যদি এমন হয়, তবে বাংলাদেশের চিত্র কতটুকু ভিন্ন হতে পারে?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

বোহেমিয়ান এর ছবি

ব্যাপক! স্যালুট!

কতটা অসচেতন! মন খারাপ
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে দোষ সরকার এবং আমজনতা দুই পক্ষেরই আছে।
জাতি হিসেবে আমরা অলস, তাই ভ্যাট নিয়ে ভেজাল করতে অনেকেরই ভালো লাগে না।
আর বিভিন্ন পানীয় এর যে মুল্য বৈষম্য সে ব্যাপারে আজও কর্তৃপক্ষ উদাসীন।
উদাসীন আমরাও।

আমি এমন এক জায়গায় চাকুরী করছি যারা ঠিক ভাবে পূর্ণ ভ্যাট ই দিতে চায়।কিন্তু ভ্যাট অফিস এর লোক এসে বলে আপনাদের ভ্যাট দেয়া লাগবে না।আমাদের খুশি করে দেন। এটাতো স্রেফ চাঁদাবাজি বাদে আর কিছু নয়।!

আনাম এর ছবি

ভাই দোকানের নামটা বলেন, এসব জনশত্রুদের চিনে রাখা দরকার।

বাউলিয়ানা এর ছবি

এবার ঈদে অনেক বাজার করতে হলো। দু একজন বাদে কোন দোকানী না চাইলে রসিদ দেয়না! আবার গিয়ে চাইলে এমন এক ভাব দেখায় যেন টাকা ধার করতে আসছি।

ট্যাক্স এর যে আলাদা রঙএর ছাপানো রসিদ আছে তাইতো জানতাম না।

রিজভী [অতিথি] এর ছবি

আশা করি এই লেখাটা অনেককেই সচেতন করবে। ফেইসবুকে ছড়িয়ে দিলাম...

-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

তানভীর [অতিথি] এর ছবি

খুবই ভালো লাগলো লিখাটা পড়ে। অশেষ ধন্যবাদ।

তায়েফ আহমাদ [অতিথি] এর ছবি

কঠিন ধরা......মজা পেলাম............এমন করে যদি সবাইকে ধরা যেত..........
লেখককে ধন্যবাদ.........

kabbo এর ছবি

vai pore khub valo laglo.

Sarwar Erfan এর ছবি

নীল কাগজের ব্যাপারটা আরেকটু বিস্তারিত বলবেন?

অনকেক ক্ষেত্রে যারা ই.সি.আর. ব্যবহার করে, তাদের ক্ষেত্রে তো আলাদা নীর চালানের দরকার হবে?

সুমন [অতিথি] এর ছবি

লেখাটি পড়ে উৎসাহিত হইলাম।

ওয়ান্ডার এর ছবি

চমৎকার কাজ করেছেন ভাই।
আপনাকে অভিনন্দন।

Sakib এর ছবি

ভিতরে সাহাস পেলাম। খুব ভালো লাগলো। খুব...

Md. Salauddin এর ছবি

ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।