"What's in a name? That which we call a rose
By any other name would smell as sweet."
সকালে অফিস যাবার জন্য বের হবার সময় আমাদের কমপ্লেক্সের চারপাশ ঘিরে যে কাঠের বেড়া দেয়া তার একটা অংশে প্রতিদিন চোখ পড়ে। ছোট্ট একটা সাইনবোর্ডে নির্মাতার নাম লেখা - Fence Connection. নামের সাথে French Connection এর মিলটা ইচ্ছাকৃত। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো এরকম অনেক মজার নাম দিতে চেষ্টা করে সিনেমার নামের সাথে মিল রেখে। উইজার্ড অফ অজ এর সাথে মিল রেখে Wizard Of Paws হলো পেট গ্রুমিং এর জায়গা - যেখানে অভিজ্ঞ কর্মী দিয়ে পোষা কুকুর বা বিড়ালের নখ-টখ কাটা হয়। টেনিস খেলার সামগ্রীর দোকানের নাম The Marchent Of Tennis । একটা ফুলের দোকানের নাম Florist Gump । সিনেমার নাম ছাড়াও অন্য কোন প্রচলিত শব্দ বা বাক্যাংশের সাথে মিল রেখেও এই চটকগুলো তৈরী করা হয়। কাচের জানালা বিক্রি বা মেরামতের দোকানের নাম হলো Pane In The Glass - এটা কি ব্যাখ্যা করার দরকার আছে? যার হয় সেই বোঝে... তারপরও নাদান পাঠকের জন্য, শেষ শব্দটার প্রথম দুটো অক্ষর বাদ দিয়ে আবার পড়ুন। এরকম আরও কিছু নাম দেখেছি, EnTHAIsing একটা থাই রেস্তোরা, New York Stocking Exchange অবশ্যই স্টকিংএর দোকান। এই নামগুলোর চমক হলো শ্রুতিতে, আর Public Hair (চুল কাটানোর দোকান) -এর চমকটা মূলত: দৃষ্টিবিভ্রম ধরনের, পেচানো হাতে লেখা থাকলে অনেক সময় I এর পাশে L এর অস্তিত্বটা আলাদা করে বোঝা যায় না - আর Pu এর উচ্চারণ 'পা' হবে না কি 'পিউ' হবে সেটা নির্ভর করে L টা থাকা বা না থাকার ওপর।
*
আমার এক বন্ধু তার ছেলের নাম রেখেছে অমেয়। এখন তার জীবনের সবচেয়ে বড় দু:খ সবাই ওর ছেলেকে অমিয় ডাকে। নিজের নাম ঠিকভাবে কেউ ডাকতে না পারলে যে বিড়ম্বনা তা দেশের বাইরে থাকা অভাগাদের মত আর কেউ বুঝবে না। যারা ইরাক বা ইরানের মত সহজ নামগুলোকে আইরাক বা আইরান বানিয়ে ফেলে তারা খন্দকার বা চৌধুরী বলবে কি করে? আমেরিকাতে এসে প্রথমত: বাংলাদেশীদের একটা বিরাট অংশের নাম হয়ে যায় মোহাম্মদ। ফার্স্ট নেম - লাস্ট নেম বিভাজনের এর কারনে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আর মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম দুজনেই হয়ে যান মোহাম্মদ ইসলাম - রফিক বা মনির এক্ষেত্রে উধাও হয়ে যান চিরদিনের মত। খ, ঘ, ছ, ঝ, ত, ধ - এসব দিয়ে যাদের নাম, তাদের যথাক্রমে ক, গ, চ, জ, ট, দ -এ রুপান্তরিত হয়ে যেতে হয়, তাও কপাল ভালো থাকলে। এটা মানতে হবে যে ইংরেজীভাষীদের জন্য এই অক্ষরগুলোর উচ্চারণ শেখাটা অনেক পরিশ্রম আর সময়ের ব্যাপার - অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভবও। তাই তানিয়া হয়ে যান ঠানিয়া, তানভীর হয়ে যান ঠ্যানবীর বা ঠ্যানভীর। খায়রুল, ঝুনা বা ধীরাজদের অবস্থাও তথৈবচ। আমরা অনেক সময় আমাদের নামের বানানও ঠিকভাবে ইংরেজীতে লিখিনা, তাতে জটিলতা আরও বাড়ে। সুমনকে বেশিরভাগ সময়ই লেখা হয় Suman হিসেবে, তাই বিদেশিদের কাছে সে হয়ে যায় সুমান (স-এর উচ্চারণ এখানে "সাইবেরিয়া"র মত করে, "সভাপতি"র মত করে নয়)। নামটা হয়তো Shumon বা Shumawn লিখলে বিদেশিদের জন্য সঠিক উচ্চারণ করাটা হয়তো সহজ হত। একই রকম সমস্যা অমিতাভ (Amitabh/Aumitabh), অনামিকা (Anamika/Aunamika/Onamika) এরকম নামগুলো নিয়ে| এছাড়া আশফাক ইউনুস আর নিগার সুলতানাদের এদেশে কেমন যন্ত্রনায় পড়তে হয় সেটা আর নাই বা বললাম।
মুদ্রার অন্যদিকটা দেখলে আমরাও কিন্তু বিদেশীদের নাম অনেক সময়ই ঠিক ভাবে বলি না। রবি শাস্ত্রীর বাবা-মা তার নাম রেখেছিলেন রাভি, আমরা তাকে নির্দ্বিধায় রবি বানিয়েছি। সেইরকম ভিক্রামকে বিক্রম, গেঙ্গিজ খানকে চেঙ্গিস খান, স্যারা পেইলেন-কে সারা প্যালিন, ঠমাস-কে টমাস এরকম অনেক উদাহরণ আছে। বার্টোল্ট ব্রেখট, নাকি ব্রেশট, নাকি ব্রে খ্ শ্ ট? ডাচরা বলে ফিন্স ফ্যানহখ (অনেকটা এরকম শোনা যায়), আমরা ইংরেজ বা মার্কিনীদের অনুসরনে বানিয়েছি ভিনসেণ্ট ভ্যানগগ।
*
মানুষের নাম ছাড়াও অন্য কিছু শব্দ নিয়ে প্রথম প্রথম দেশ থেকে আসা অনেকেরই অসুবিধা হয়। আমার এক বন্ধু প্রথমবার আলু ছোলার যন্ত্র খুঁজতে গিয়ে "পটেটো পীলার" (ট-এর উচ্চারণটা দক্ষিণ ভারতীয় লোকদের মত কটমট করে পড়ুন) বলে অনেকক্ষন দোকানের সুন্দরী মেয়েটাকে বোঝাতে পারেনি। শেষে সেই মেয়ে যখন বললো "ওহ, পঠেইডো পীলার!" তখন বোঝা গেল গলদটা কোথায়! টমেটো নিয়েও একই যন্ত্রনা। এটা ঠমেঠো থেকে ঠমেইডো পর্যন্ত অনেক কিছুই হতে পারে অঞ্চলভেদে। প্রথম প্রথম রাগ হত, ভাবতাম যতসব উন্নাসিকের দল! নাক উঁচু যে নেই তা না। তবে সত্যি তো, আমাদের দেশের বাজারে গিয়ে যদি কেউ ঠমেইডো-র খোঁজ করে, আমরা কি খুব সহজে বুঝবো ব্যাটা কি চাচ্ছে?
*
কিছু কিছু নাম আছে যেগুলো আসলে আমাদের ভাষায় সঠিকভাবে লেখা যায় না, কিন্তু আমরা উচ্চারণ করতে পারি। এগুলোর ভুল উচ্চারণের দায়ভার আমাদের হয়তো না নিলেও চলবে। যেমন ধরুন Zachary-এর উচ্চারণ জ্যাকারি বা ঝ্যাকারি এর মাঝামাঝি। আমার এক ফরাসী বন্ধুর নাম Jacques - বাংলায় লিখলে হবে জাক। কিন্তু J এর উচ্চারণটা এখানে জ, ঝ আর শ এর একটা মিশ্রণ, যেটা বাংলায় লেখার কোন উপায় নেই। প্রায় একই রকম উদাহরণ Fiona বা Vivian এর ক্ষেত্রে। বাংলায় ফ বা ভ-এর সঠিক উচ্চারণ হলো অনেকটা ph আর bh এর কাছাকাছি। সঠিক করে বলতে গেলে এদের বাংলায় Phiওনা আর Bhibhiয়ান বলতে হবে। যে কারণে Java প্রোগ্রামারদের মনে দু:খ থাকতে পারে যে বাংলাতে সঠিকভাবে জাbha লেখার কোন উপায় নেই। এছাড়া এমনকি দেশী নামগুলোর ক্ষেত্রেও এমনটা হয় - আমরা কি ফারুক, ফয়সাল বা ফওজিয়া জাতীয় নামগুলো ঠিকভাবে উচ্চারণ করি?
অন্যান্য বিদেশী শব্দ আমরা উচ্চারণ করতে পারি বা না পারি, আমার মনে হয় মানুষের পিতৃপ্রদত্ত নামের উচ্চারণগুলি সঠিকভাবে করার অন্তত: চেষ্টা করা উচিৎ আমাদের। আর এদিক থেকে আমরা বাংলাভাষীরা একটা বিরাট সুবিধাজনক অবস্থানে আছি। মানুষের মুখ দিয়ে উচ্চারিত শব্দের একটা বিরাট অংশ বাংলায় অক্ষর দিয়ে উপস্থাপন করা যায়। বিদেশিরা হয়তো কোনদিন সঠিকভাবে "ছাগু" বলতে পারবে না, কিন্তু আমরা সহজেই থ্যাডিয়াস বা কালুভিথারানা ধরনের নামগুলো উচ্চারণ করতে পারি। তুমি অধম বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?
*
একবার অফিসে নতুন এক ম্যানেজার এসেছে। তার নাম পেগি উইলকক্স। আলাপ হবার পর সে বললো গ্লোবাল অ্যাড্রেস লিস্টে আমার সবগুলো ফোন নাম্বার আর ইমেইল ঠিকানা পেয়ে যাবে। প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করো। তো আমি আর কোম্পানীর অ্যাড্রেস বুকে তাকে খুঁজে পাই না - পেগি উইলকক্স বলে কেউ নেই। আরেকজনকে জিজ্ঞেস করলাম। সে বলল মার্গারেট উইলকক্স নামে খুঁজে দেখো পাও কি না। এবার পেলাম। এবং শিখলাম মার্গারেটকে সংক্ষেপে পেগি বলে। অমার্কিনীদের বিভ্রান্ত করার জন্য এর অবশ্যই ব্যতিক্রম আছে - অনেক সময় পেগির আসল নামও পেগি বা পেগ হতে পারে। আবার মার্গারেটকে ম্যাগি বা মার্জ হিসেবেও ডাকা হতে পারে। একইভাবে জেমস হলো জিম, চার্লস - চাক, ডরোথি - ডটি, উইলিয়াম - বিল, রিচার্ড - ডিক (হ্যাঁ, ডিক - এটা টাইপো না)। কদিন আগে আমার নামটাও "যুধিষ্ঠির [অতিথি]" থেকে শুধু যুধিষ্ঠির হয়ে গেছে। আরও কোন অক্ষর কাটছাট না হলেই বাঁচি।
*
কাজের সূত্রে এবং এখানে স্কুলে পড়ার সময় বেশ কিছু নামের মুখোমুখি হয়েছি যেগুলো সারাজীবন মনে থাকবে। খুব ব্যাখ্যায় না গিয়ে শুধু নামগুলো দেই: ডারবী হুকার, জেমস ককবার্ন, রন গে, শোফেং গু। শেষের জন আমার গ্রাজুয়েট স্কুলের অফিসমেট। ও সবসময় জোর করতো ওকে ওর শেষ নাম ধরে ডাকার জন্য। ওর সঙ্গে দু'বছর কাটিয়েছি। ওর ইচ্ছেমতন নামেই ওকে ডেকেছি - কখনো মুখ ফুটে আসল কথাটা বলতে পারিনি। সমস্যা হত কোন কোন সময়। ধরুন ওই ব্যাটা ক্যাম্পিং ট্রিপে গেছে, একমাস খাওয়া দাওয়া
ঠিকমত না করে জঙ্গলে কাটিয়ে এসেছে। আমার আরেক বন্ধু ফোনে জিজ্ঞেস করলো, কি রে তোর অফিসমেটের খবর কি? তার উত্তরে আমাকে বলতে হতো, "গু অনেক শুকিয়ে গেছে"। আবার ধরুন ওই ব্যাটা আমাকে ডিনার খাওয়াবে। তো আমার স্ত্রী ফোন করে জিজ্ঞেস করলো, আজ সন্ধ্যায় কি করছো। উত্তরটা হত এরকম, "ডিনারে যাবো, আজকে গু খাওয়াবে"। আরেকদিন হয়তো আমি ওকে বাসায় রান্না করে খাওয়াবো। সে শেষ মহূর্তে বেঁকে বসলো, ওর নাকি অনেক হোমওয়ার্ক আছে, আজ আর আসবে না। এমন সময়ে স্ত্রীর ফোন। কি ব্যাপার তুমি বাসায় একা কেন? উত্তর: "অনেক জোর করলাম, গু আসলো না"। এরকম সব অগুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আর কি। বেশী উদাহরণ দিলাম না, যার যার কল্পনাশক্তি নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
পুনশ্চ: লেখাটা শেষ করার পর মুহম্মদ জুবায়ের-এর নামের নামাবলী লেখাটা খুঁজে পেলাম। নাম নিয়ে যা কিছু লেখা সম্ভব, আর যতটা সুন্দর করে লেখা সম্ভব উনি তা অনেক আগেই লিখে ফেলেছেন। সবার জন্য অবশ্যপাঠ্য উনার এই লেখাটার সাথে ক'টা জায়গায় অনিচ্ছাকৃত কিছু মিল আছে আমার এই পোস্টে।
পুন-পুনশ্চ: মানুষের নামগুলো শুধু প্রাসঙ্গিক উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি। এই নামের অধিকারীরা মনোকষ্ট পেলে আন্তরিকভাবে দু:খিত।
মন্তব্য
পুরা উথাল-পাথাল লেখা। দম ফাটিয়ে হাসলাম কিছু জায়গায়! অসামান্য! বিশেষ ধন্যবাদ চা খেতে না যাওয়ার জন্য।
ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।
ধন্যবাদ হিমু।
ঠাকুর কিভাবে ট্যাগোর হয়ে গেলো সেটাও উদাহরণ হিসেবে আসতে পারতো। আমার দক্ষিণ ভারতীয় এক বন্ধু তো জানতোই না রবি ঠাকুরের নাম "ঠাকুর", ট্যাগোর নয়। সে প্রথমে বিশ্বাসই করেনা। অনেক কষ্টে তাকে বুঝিয়েছি।
আসলেই - এই ইতিহাসটা জানি না কিভাবে ঠাকুর নামটা ট্যাগোর হয়ে গেলো।
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চিন্তারই বিষয়!
:D
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
আমার কলেজ জীবনের এক বন্ধুর নাম শুনুনঃ
আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ তানভীর আলমগীর রুজভেল শওকত জাহান খান উজ্জ্বল আহমেদ চৌধুরী সাগর।
আড্ডায় বসে তার পুরো নাম বলার জন্য কুইজ হতো
রুজভেল নামটা কখনো শুনিনি।
এই নাম তো সিরাজুদ্দৌলার নামকেও হার মানায়। দেখি সেটা মনে করতে পারি কি না, সম্ভবত: "মনসুর-উল-মুলক নবাব সিরাজুদ্দৌলা শাহকুলি খান মীর্জা মোহাম্মদ হায়বৎ জং বাহাদুর"। সেই ক্লাস এইটের ইতিহাস বইতে পড়া।
গড়াগড়ি দিয়ে বেশিক্ষণ হাসবেন না, তাড়াতাড়ি উঠে নতুন কবিতা লেখা শুরু করুন।
যাক অবশেষে আপনার "রাইটার্স ব্লক" কাটলো। এই লেখাটার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ - এর দরকার বোধ করছিলাম অনেক দিন ধরে।
শেষ নবাবের নামটা সম্ভবতঃ "মনসুর-উল-মুলক নবাব সিরাজুদ্দৌলা মীর্জা মোহাম্মদ শাহকুলি খান হায়বৎ জং বাহাদুর" হবে। তার নামের সবগুলো অংশ যে ঠিকমতো মনে রেখেছেন সেটাই নবাব সাহেবের ভাগ্যি।
এক ভাষার মানুষ আরেক ভাষার নাম/শব্দ উচ্চারণ করলে ভুল হবে সেটাই স্বাভাবিক। সবকিছুরই স্থানীয়করণের একটা ব্যাপার আমাদের মধ্যে কাজ করে। সেটা বেশিরভাগ সময়েই ইচ্ছাকৃত নয়।
আমার ভাই তার ছেলেবেলায় রুশ বইগুলো পড়ার সময় জটিল নামগুলো নিজের মত করে একটা উচ্চারণ ঠিক করে নিতেন। এতে ওর পড়ার সুবিধা হত ঠিকই কিন্তু পরে ঐ বই নিয়ে কারো সাথে আর ঠিকমতো আলোচনা করতে পারতেন না।
আমাদের দেশে মুসলিমদের নাম সাধারণতঃ হয় আরবী। তাই বাংলায় বা ইংরেজীতে লেখার সময় তা বিচিত্ররূপ ধারণ করে। কী রকম একটু দেখুনঃ
মোঃ, মোহাঃ, মোহাং, মোহাম্মদ, মহাম্মদ, মহম্মদ, মুহম্মদ, মুহাম্মদ, মুহাম্মাদ, মহামেদ ........
Md. Mohd. M. Mohammad, Mohammed, Muhammad, Mohmed, Mehmet ........
কিন্তু আরবীর সঠিক উচ্চারণ করলে এটা "মুহাম্মাদ (Muhammad)" হওয়া উচিত। বাংলা নামের (তৎসম, তদ্ভব, দেশী) ক্ষেত্রে কিন্তু এই সমস্যা হয় না। "সমীর" কে "শমীর" বা "শমীড়" লেখার উপায় নেই। যেমন "জন" কে John-ই লিখতে হবে Jhon, Jon, Zon, Gon ইত্যাদি লেখার উপায় নেই। নাম/Noun-এর বানানে ভুল নেই, যা কিছু লেখা যায় - এই ধারণাটাই ভুল।
আপাত দৃষ্টিতে নামের বানান নিয়ে বা উচ্চারণ নিয়ে অরাজকতাকে নির্দোষ মনে হলেও কাজের ক্ষেত্রে এগুলো বড় বড় অসুবিধা সৃষ্টি করে। এখন আমরা জাতীয় ডাটাবেস তৈরির কথা বলি, তা নিয়ে নানা রকম কাজের কথা বলি, তখন কিন্তু নামের বানানের ক্ষেত্রে একটা প্রমিত নিয়মের দরকার হয়ে পড়ে। বাংলা একাডেমি এই ব্যাপারে একটা উদ্যোগ নিতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি রাইটারই না, তাই "ব্লক কেটে গেছে" জাতীয় বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলে আমাকে কমিটমেণ্টে ফেলার অপচেষ্টা বাদ দেন।
সিরাজুদ্দৌলার নাম বোধহয় আমি যেভাবে লিখেছি ওটাই ঠিক।
অনেক আগেই পড়েছি। এত ভালো লেগেছে যে চাইনিজ ভাষায় নাম আর শব্দ বিভ্রাট নিয়ে সচিত্র একটা লেখা প্রায় রেডী করে ফেলেছিলাম। কিন্তু শেষ মুহুর্তে ফ্লিকারের বেঈমানীতে সে প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখলনা। আরেকদিন আবার ট্রাই মারব। চমৎকার লেখার জন্য আবারো অভিনন্দন।
ধন্যবাদ। চাইনিজ ভাষায় নাম আর শব্দ বিভ্রাট নিয়ে সচিত্র একটা লেখা - শুনে তো জম্পেশ উপাদেয় মনে হচ্ছে! তাড়াতাড়ি লিখে ফ্যালেন আবার, নাহলে ভুলে যাবেন।
এইটা দেখুন ধর্মপুত্র , তাহলেই বুঝবেন কতোটা উপাদেয়
[img=auto][/img]
কস্কি মমিন! ব্যাখ্যা দ্যান তাড়াতাড়ি!
বস ব্যাখ্যা কি এখানে করতে বলেন নাকি আলাদা পোস্ট দিব? অনেক কথা , অনেক ব্যথা
অনেক কথা হইলে আলাদা পোস্টই দ্যান। ব্যথা-ট্যাথার কথা মন্তব্যে না বলাই ভালো।
জম্পেশ লেখা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
জেনে জম্পেশ খুশী হলাম। ধন্যবাদ।
স্যার
এমন লিখছেন কি আর কমু। নাম নিয়া আর কারোর কাম করা লাগবো না। পইড়া বেদম হাসা হাসছিলাম আগে , অহন আবার হাসতাছি।
শুভাশীষ দাশ
পুরনো লেখা খুঁজে খুঁজে পড়ছেন, আর ভালোও লাগছে – জেনে খুব খুশী হলাম!
জোশ লেখা ।
ডারবী হুকার, জেমস ককবার্ন, রন গে, শোফেং গু
মিস্টার গু কে কখনো বলেছিলেন তার নামের বাংলা অর্থ কি?!!
বোহেমিয়ান
নতুন মন্তব্য করুন