আমার কিছু তুর্কি বন্ধু আছে। যাদের তুর্কিদের সাথে ঘনিষ্ঠ হবার অভিজ্ঞতা আছে তারা স্বীকার করবেন, তুর্কিদের মধ্যে ভয়াবহ হাগিং-কিসিংয়ের প্রবণতা আছে। এই হয়তো মাত্র এক সপ্তাহ পর কারো সাথে দেখা হলো, দুজনে ঝাঁপিয়ে পড়বে একে অন্যের ওপরে, ওরে বাবা কেমন আছিস তুই রে, কি ভালো লাগছে তোকে দেখে রে - বলে দুজনের চার গালে চকাস চকাস, ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে। আদিখ্যেতা যত্তোসব। তাদের সাথে বন্ধুত্ব হলে এই উদারতা অন্যের মধ্যেও সঞ্চালিত করে দিতে তাদের কোন আপত্তি নেই। বরং হঠাৎ দেখা হলে পর আমি যদি হাতটা বাড়িয়ে দেই শেক করার জন্য, বা জড়বস্তুর মত ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকি, ওরা বেশ আশ্চর্য হয়। এই খ্যাত জঙ্গুলে ব্যাটা এসেছে কোত্থেকে। ভুল বুঝবেন না। একটা তুর্কি মেয়ে আমাকে দেখে খুশী হয়ে জড়িয়ে ধরে গালে চকাস চকাস মারুক, আমার তাতে বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে ওই দামড়া ব্যাটাচ্ছেলেগুলিও! কাভি নেহি! আমার এ গাল শুধুই ললনাদের জন্য! এইজন্য আমি আমাদের পরিচিত তুর্কি ছেলেগুলিকে দেখলেই খুক খুক করে কাশি দিয়ে ঠাণ্ডা লেগেছে বোঝানোর চেষ্টা করি, তা নাহলে সাড়ে তিন ফুট দূরে দাঁড়িয়ে শরীরটা বাঁকিয়ে হাতটা লম্বা করে বাড়িয়ে দেই, যাতে ব্যাটা বোঝে তার বুকে লেগে যাবার কোন সদিচ্ছে আমার নেই। তারপরও একটা দামড়াকে কিছুতেই হটানো যায় না। ওই ব্যাটা শেক করার জন্য বাড়ানো হাতটা টেনে নিয়ে জোর করে ধরে গালে চকাস চকাস মেরে দেবে দুটো। প্রথম প্রথম ভাবতাম ব্যাটা কি আবার অন্য কিছু চায় নাকি! পরে দেখি নাহ, সে তো দিব্যি বিয়ে-শাদী করা সুখি মানুষ, দুই বাচ্চার বাবা। আজকাল ওর গভীর চুম্বনের ভয়ে আড্ডাগুলিতে যাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছি।
এবার অন্য দৃশ্যপট। আমি আমার আটমাসের মেয়েকে "বাবা" বলে ডাকি। এটা শুনে কিছু ভিনদেশী বন্ধুর তো ভিড়মি খাবার যোগার। বলে তুমি তোমার মেয়েকে বাবা ডাকবে কেনো! বলার চেষ্টা করলাম যে আসলে মেয়েকে আম্মু বা মামনি ডাকাটাই বেশি স্বাভাবিক হতো, তা বাবা ডাকটাও চলে। সেটা শুনে তারা আরও স্তম্ভিত। মেয়েকে মা বলে ডাকাটা স্বাভাবিক ব্যাপার কেনো! ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যখন বলতে গেলাম যে এটা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক যে ভাগ্নেকে মামা বলে ডাকা, দাদা-নানাকে ভাইয়া বলে ডাকা - শুনে ওরা ফ্যাকাসে মুখে কোন-পাগলের-পাল্লায়-পড়লাম জাতীয় দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষন। তারপর বিজ্ঞের মত হেসে বলে, বুঝছি - আমাগো ভোদাই পাইয়া মজা লইতাছো, তাই না?
এইগুলির নাম নাকি কালচার শক। ওদের জন্যও। আমার জন্যও। বারো বছর আগে যখন প্রথম পড়তে আসি এদেশে, নতুন ছাত্রদের ওরিয়েণ্টেশন ক্লাসে প্রথম এই টার্মটা শুনি। এলিফ নামের সুন্দরী এক সিনিয়ার ছাত্রী, সেও তুর্কী, সবাইকে বুঝিয়ে বলছিলো, এই জিনিস আবার নাকি দু'রকম হয়। টাইপ ওয়ান কালচার শক হলো, যখন আমি অন্যদের ব্যবহার দেখে বিস্মিত হই, এই যেমন ওই দামড়াটা আমাকে চুমু খায় ক্যান! আর টাইপ টু শক হলো যখন আমার ব্যবহার অন্যদের বিস্মিত করে, যেমন ওই দামড়াটা ভাবে ওই খ্যাত এশিয়ানটার তরকারীর গন্ধওয়ালা গালে চুমাইতে চাই, তাও দেয় না ক্যান!
হ্যাঁ, আমাদের ওই তরকারির গন্ধ কিন্তু এদেশে বেশ বড় একটা টাইপ টু কালচার শক। কি কারণে জানি না, একটু মনোযোগী না হলে আমাদের রান্নার মসলার গন্ধ গেঁথে যাবে আপনার কাপড়ে, চুলে, একেবারে রন্ধ্রে রন্ধ্রে। হয়তো দেশে আমরা জানলা দরজা সব খোলা রেখে রান্নাবান্না করি, তাই গন্ধটা এত লেগে থাকে না। আর নাহলে দেশে সবার গায়েই ওই গন্ধ, হয়তো সারা দেশেই, সব জায়গার আকাশে বাতাসে, তাই হয়তো জিনিসটা আলাদা করে টের পাই না। কিন্তু এখানে, ওরে বাবা রে। এখন তো অনেকদিন থাকতে থাকতে আমরা বুঝে গেছি কি করে ওই গন্ধ বাঁচিয়ে চলতে হয়। নতুন আসা ছাত্রদের কিন্তু পাশে দাঁড়ানো মুশকিল হয়ে যায়।
টাইপ টু আরও আছে। এই যে আমরা অপরিচিত লোকদের দেখলে হাসি না। আমার স্কুলের বার্গারের দোকানের মেয়েটা একবার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো হঠাৎ করে, তোমার কি সবসময়ই মেজাজ চড়ে থাকে? আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম। সবাই তো আমাকে নির্বিবাদী লেজবিশিষ্ট মানুষ হিসেবেই জানে! মেজাজ দেখালাম কখন আবার! পরে বুঝলাম ওই না হেসে গম্ভীর থাকাটাকে এখানে সবাই খেপচুরিয়াস হয়ে থাকার লক্ষণ হিসেবে ধরে নেয়। আরও উদাহরণ আছে, পুরুষ বন্ধুদের হাত ধরাধরি করে হাঁটা। অপরিচিত মানুষের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকা - এটা মেক্সিকানদের মধ্যেও দেখেছি। ডিওডোর্যাণ্টের ব্যবহার না জানা আর অতিরিক্ত কোলন মেরে সহকর্মীর নাক জ্বালিয়ে দেয়া।
টাইপ ওয়ানের তালিকাও ভালোই লম্বা হবে। ছেলেরা চুমু খেতে চায়, সেটা তো আছেই। ক্রেডিট কার্ডকে প্লাস্টিক বলে। মেরি ক্রিসমাস না বলে হ্যাপি হলিডে বলে। দেখা হলেই সবাই "উপরে কি আছে" জানতে চায়। দক্ষিণ ভারতের লোকেরা হ্যাঁ বলতে ডানে-বামে মাথা নাড়ে। রাশানদেরকে দেখেছি পার্সোনাল স্পেসের ব্যাপারে একেবারে উদাসীন হতে - কথা বলতে বলতে পারলে প্রায় গায়ের ওপরে চড়ে বসে। বাবা-মা'রা বিরক্ত হয় আঠারোর বেশি বয়সী ছেলে বা মেয়ে তাদের সঙ্গে এক বাসায় থাকলে, বন্ধুসমাজে তো মুখ দেখানো দায় হয়ে যায় এরকম কথা শুনলে।
ক্রেইগ স্টরটি বলে এক ভদ্রলোক এসব ব্যাপার নিয়ে কিছু কাজ করেছেন। তার মতে কালচার শক ঘটে কারণ আমরা অন্যদের থেকে আমাদের মত আচরন আশা করি। যে ঘটনাটা হয় এসব ক্ষেত্রে তা তিনটি ধাপে দেখানো যায়, ঘটনা (আশাভঙ্গ) > প্রতিক্রিয়া (দুঃখ, হতাশা ইত্যাদি) > গুটিয়ে যাওয়া (withdrawal) । টাইপ ওয়ান হোক টু হোক, এরকম ঘটনা ঘটলে আমরা প্রথমেই প্রতিক্রিয়া দেখাই, তারপর নিজেকে গুটিয়ে নেই। এতে কালচার শক বা দূরত্ব আরও বাড়ে। এই যে বাংলাদেশের কিছু কিছু অল্পধার্মিক মানুষেরা বিদেশে এসে হঠাৎ করে কঠিন মুসলিম বনে যাওয়ার চেষ্টা করেন, যিনি দেশে জুম্মার নামাজ ছাড়া আর কিছু পড়তেন না, তার বাসায় প্রতি শুক্রবার রাতে গম্ভীর মুখে হালাকা পার্টির আয়োজন চলতে থাকে - সেটা অনেক ক্ষেত্রেই ওই খোলসের ভেতরে গুটিয়ে যাওয়া আর তার পরিপ্রেক্ষিতে খোলসটাকে আরও মজবুত করার প্রচেষ্টা থেকে ঘটে। ঔপনিবেশিক আমলে যে ব্রিটিশরা উপমহাদেশে আস্তানা গেড়েছিলো, তারা নাকি ব্রিটেনের ব্রিটিশদের চেয়েও অনেক বেশি ব্রিটিশ ছিলো।
এটা থেকে বের হয়ে আসার একটা উপায় হিসেবে স্টরটি ওই তিন ধাপের প্রক্রিয়াটাকে একটু লম্বা করে সাত ধাপে নিয়ে যেতে বলেছেন: ঘটনা > প্রতিক্রিয়া > (গুটিয়ে না যেয়ে) নিজের সচেতনতা (সামাজিক আর আবেগিক বুদ্ধিবৃত্তি) বাড়ানো > ঘটনার মূল কারণ খোঁজা > প্রতিক্রিয়াগুলো স্বাভাবিক হয়ে আসা > পরিস্থিতির আরও নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ > তার ভিত্তিতে নিজের ব্যবহার আর প্রত্যাশাকে ভিন্ন সংস্কৃতির ঠিক মাপে ছেঁটে নেয়া।
আসল সময় কি আর এত কিছু মনে থাকে? এত খোলা মন নিয়ে আমার তো এই বারো বছর পরও কালচার শক হয়।
লরেন্স বারগ্রীনের মার্কো পোলো - ফ্রম ভেনিস টু জানাডু বইটা পড়তে শুরু করেছিলাম। আজব ব্যাপার। এই লোকটা পায়ে হেঁটে, ঘোড়া-গাধায় চেপে, কত দূর দূরান্তে ভ্রমন করেছিলো! সময়ও লাগতো এদের। বছর ঘুরে যেত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে। আমাদের এখন দেশে যাবার সময় ২২ ঘণ্টার প্লেন ভ্রমন শুনলেই কারো কারো জ্বর আসে। সময়ের এই তুলনাটা মনে করতেই একটা কথা মাথায় আসলো। কালচার শক জিনিসটা কি ভ্রমনের গতির উপরে নির্ভর করে? হতে পারে। মার্কো পোলোর দিক থেকে এই লম্বা ভ্রমনে আশ্চর্য হবার ব্যাপারটা তো ছিলোই, কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম পশ্চিম-মধ্য-পূর্ব এশিয়ায় মানুষেরা অনেক জায়গাতেই তাকে কত সহজে গ্রহন করে নিচ্ছে। মার্কোও অবাক হচ্ছে দেখলাম, কিন্তু দুটো সংস্কৃতির পার্থক্য নিয়ে অতটা চিন্তিত হচ্ছে না।
ভেবে দেখুন ব্যাপারটা, আমরা আজকে ২০/২২ ঘণ্টায় বারো হাজার মাইল পার করে ঢাকা থেকে শিকাগো চলে আসি। কালচার শক হবে না কেন? তার বদলে আমেরিকায় আসতে চাওয়া একটা মানুষ যদি একটা গাড়ি নিয়ে ভারত-পাকিস্থান-আফগানিস্থান পার হয়ে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, ধীরে ধীরে পারি দিয়ে, তারপর একটা জাহাজে চেপে তিন সপ্তাহ ধরে আটলাণ্টিক পারি দিয়ে তারপর আমেরিকাতে আসতো, এই যাত্রার দীর্ঘ সময়টা তাকে সংস্কৃতির বদলগুলোর মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে সাহায্য করতো।
দুঃখের ব্যাপার হলো, বারো বছরে প্রবাসে থেকে নিজের দেশও অপরিচিত হয়ে যেতে শুরু করে। তখন যেটা হয়, সেটার নাম হলো রিভার্স কালচার শক। আজকাল দেশে গিয়ে রাস্তায় অপরিচিত লোকের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে দেই নিজের অজান্তেই। পুরুষ হলে ভাবে পাগল-ছাগল, মেয়ে হলে ভাবে ছ্যাবলা। হেঁটে যেতে যেতে রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে উপরের দিকে তাকাই রাস্তার নাম লেখা একটা সাইন দেখবো মনে করে। মুদীর দোকান থেকে সিমকার্ড কিনে ক্রেডিট কার্ড বের করতে যাই। বাসায় পানি ঢেলে খেতে গিয়ে মেঝে ভাসিয়ে ফেলে নিজেই একটা তোয়ালে নিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে পরিস্কার করতে যাই, আর রহিমার মা হাউমাউ করে ছুটে আসে "হায় আল্লা ভাইজান করেন কি করেন কি" বলে।
যথাসম্ভব দেশি দেশি ভাব নিয়ে থাকি।
পারলে কথাই বলি না।
তারপরও বন্ধুরা মুখ টিপে হাসে, তুই আম্রিকান হইয়া গেছস। নিউ মার্কেটের দোকানী একগাল হেসে বলে, ছার কি বিদেশ থিক্কা আসছেন?
গভীর দীর্ঘশ্বাস চেপে বলি, হ্যাঁ রে ভাই। বিদেশ থিকা আসছি।
[আমাদের সচল স্পর্শ ভিনদেশে গিয়ে কালচার শকে ভুগছেন শুনলাম। তার কথা ভেবেই এই লেখা।]
মন্তব্য
হালাকা জিনিসটা বাংলাদেশে দেখিনা। এইটা যে আছে কালাপানি পার হইয়া জানলাম।
হ্যাঁ আমিও দেশে থাকতে এর নাম শুনিনি। এটাকে স্ব-আরোপিত কালচার শক বলা যেতে পারে। আমার কাছে একটা ব্যাপার বেশ মজার মনে হয়েছিলো যে, এই শব্দটা এসেছে হিব্রু ভাষা থেকে।
যুধিষ্ঠিরদা, আবছা আবছা জানতাম, আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু পরিষ্কার হল, সন্দেহও দুর হল।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ। সন্দেহটা ঠিক কি নিয়ে ছিলো বুঝতে পারিনি।
খুব ভালো লিখেছেন, যাকে বলে দুর্দান্ত। এই জাতীয় লেখা এমন অবলীলায়, এবং এতো দক্ষ হাতে, অনেক অনেক কাল পরে পড়লাম। আপনি কেন খুব কম লেখেন এইবার সে প্রশ্নটা করবো।
এবার বিষয়ে আসি। সময়ের ও দুরত্ব পারের ঐ গ্যাপটা শক সইতে নিতে সাহায্য করতো আগের যুগে, সত্যি কথা। একটা কনটিনিউয়াস মানব-বসতির মধ্যে দিয়ে যদি চলতে থাকি তো দেখা যাবে সেটা ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। এ যুগে দেশের নিশ্ছিদ্র সীমানা টেনে দেওয়ায় ঐ কন্টিনিউইটিটা বিঘ্নিত হয়, তারপর অনেক কাল কাটলে দু পাশে আলাদা জনগোষ্ঠি দেখা যায় যারা একে অন্যকে দেখে শকড হয়। এ তো আছেই। তাছাড়া আরেকটা ব্যাপার হলো কোনো দেশে বারোজাতের লোক বসবাস করলে (বা কেউ বারো দেশে গিয়ে ঘুরলে) শকড হবার মাত্রা ও সম্ভাবনা খানিকটা কমে। শকড হতে হতে নাম্ব/অবশ হয়ে যায় বোধ হয়। এই হলো গিয়ে আমার পর্যবেক্ষণ।
ওরে বাবা। আপনি এত প্রশংসা করলে তো ব্যাপক লজ্জিত হই! ধন্যবাদ!
কালচার শকের সাথে সময় আর দূরত্বের ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণটাই সঠিক মনে হচ্ছে। দেশের সীমানা টেনে দেয়ার ব্যাপারটা আগে ভাবিনি, এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
আমার বিয়ের ভিডিও আজকাল বিদেশি কাউকে দেখাই না। সবাই জিজ্ঞেস করে, তুমি রাগ কেনো? তুমি হাসছো না কেনো? পুরো অনুষ্ঠানে তুমি হাসো নাই। মনে মনে কই, হাসলে বিয়েই ভেঙ্গে যেতোরে ছাগল।
তারপর জিজ্ঞেস করে, বিয়েতে সবাই খেলো আরতো কিছু হলো না, নাচ নাই, গান নাই এটা আবার কেমন বিয়ে? হ তাইতো, আমারো আজকাল রিভার্স কালচারাল শক লাগে, আমাদের দেশের বিয়ে এতো বোরিং কেনো???? খাওয়া ছাড়া আর কিছু নাই কেনো???
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নাচে গানে ভরপুর দ্বিতীয় একটি বিবাহ করতে পারেন। না মানে, আমি বলছিলাম কি, ওই দুলাল সাহেবকেই।
আজকালকার বিয়েগুলিতে তো দেখি মেয়েরা বেশ দন্তবিকশিত হাসি দিচ্ছে। নাচ গানও হয় ভালোই। কি দিনকাল যে পড়লো!
লেখাটা বড়ই ঝরঝরে হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ।
দারুণ হয়েছে লেখাটা।
ধন্যবাদ।
বিভিন্ন দেশের কালচার এবং কালচার শক নিয়ে আরও জানতে চাই।
লেখা ভাল লেগেছে।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম। আরও কিছু উপাদান হাতে আছে বিভিন্ন দেশের কালচার আর তার শক নিয়ে। দেখি, সময় পেলে লিখবো আবার।
দারুন হয়েছে লেখাটা।
আমর নিজস্ব একটি কালচার শকের উদাহরণ দেই - ট্রেইনস্পটিং। একা অথবা দল বেঁধে কিছু মানুষ মহানন্দে, অতি ধৈর্য্য সহকারে ট্রেনের টাইমটেবিল সংগ্রহ করেন, তারপর ট্রেনে চড়ে অত্যন্ত মনযোগের সাথে ট্রেনটি কোন সময় কোন স্টেশনে পৌঁছালো, তা টাইমটেবিলে দেয়া সময়ের সাথে মিললো কী না, না মিললে ঠিক কতটা তফাৎ হলো সময়ে, ইত্যাদি টুকে রাখেন খাতায়। আবার অনেকে কোনো একটা স্টেশনে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে সেই স্টেশন দিয়ে যতগুলি ট্রেন আসা-যাওয়া করে তার সমস্ত ডিটেইল তাদের খাতায় লিখে নেন। এ কিন্তু আমাদের অপু-দুর্গার সেই আশ্চর্য সুন্দর নবীন চোখে কৌতুহলমাখা বিষ্ময় নিয়ে রেলগাড়ি দেখার মতো ব্যাপার না, ট্রেইনস্পটিং নানা বয়সের, নানা ধরনের মানুষই করে থাকেন, আমার দেখা মতে মাঝবয়সি থেকে শুরু করে প্রৌঢ়রাই এর মূল পৃষ্ঠপোষক।
কিছু মানুষ আবার আরও এক কাঠি সরেস। সচলদের কারো কারো হয়ত মনে থাকবে, ক'বছর আগে একদল বৃটিশ পর্যটক গ্রীক পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন গ্রীসে প্লেনস্পটিং করতে গিয়ে। এদেশে যেখানে ট্রেন অথবা প্লেনস্পটিং মোটামোটি স্বাভাবিক ব্যাপার, গ্রীসে মোটেই তেমন না। তারা তাই ধরেই নিয়েছিলো যে এই আজব বৃটিশরা নির্ঘাত স্পাই, তা না হলে কোন্ পাগলে এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্লেনের ওঠা-নামার ডিটেইল্স টুকে!
----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
ধন্যবাদ। ট্রেইনস্পটিং আর প্লেনস্পটিং মজার জিনিস। আমি একসময় দ্বিতীয়টি করেছি। এক সময় লেখার ইচ্ছে আছে সেটা নিয়ে।
এখানে আমার এক বন্ধুনি প্রথম পরিচয়ের পর বিদায়ের সময় জড়িয়ে ধরেছিলো। মেয়েরা আমাকে জড়িয়ে ধরলে আমার খারাপ লাগার প্রশ্নই ওঠে না, কিন্তু সমস্যা ছিলো, অভ্যাসবশত আমি হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম বিদায়ী করমর্দনের জন্য। মেয়ে ধরে নিয়েছে, এই জড়াজড়ি আমার সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না (তা তো পড়েই না, কিন্তু তোর এতো গবেষণার দরকার কী?), অতএব দ্বিতীয়বার সাক্ষাতের পর বিদায় নেবার জন্যে সে খুব তমিজ-তমদ্দুনের সাথে হাত বাড়িয়ে দিলো করমর্দনের জন্য, আমি ওদিকে দুই হাত বাড়িয়ে আছি কোলাকুলির জন্যে । এরপর এই জিনিসটা নিয়মিত বিরতিতে হচ্ছে, ও হাত বাড়ায় তো আমি জাপটে ধরি, আমি হাত বাড়াই তো সে জাপটে ধরে। ব্যাটেবলে হয় না সহজে।
হা হা, এই জিনিস আমারও প্রায়ই হয়।
ক্রিকেটের ব্যাটবলের চিন্তা বাদ দেন । সোজা হাডুডু তে চলে যান । সুযোগ পাইলেই কাউড়ঈ মাইরা ধরেন
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এটা একটা ক্লাসিক হইছে। যুধিষ্ঠিরদার সেরা।
পয়লা কয়েক প্যারা পড়েই বললাম,
পরে রসায়ে রসায়ে পড়ব।
ভাল কথা, তুর্কি যাওয়ার উপায় কি? যাইতে মঞ্চায়
অনেক ধন্যবাদ। শেষের প্যারাগুলো এইবেলা ডিলিট করে দেই, রসিয়ে রসিয়ে পুরোটা পড়ে যদি আপনি আবার মত পাল্টান!
তুরস্কে তো আমি কখনো যাইনি, তবে আপনার ওখান থেকে মনে হয় যাবার রাস্তা হবে দুবাই-টুবাই দিয়ে ট্রানজিট করে। আমারও যাইতে মঞ্চায়!
লেখাটা পড়ে অনেক মজা পাইলাম। আমার আরেকটা বিরক্ত লাগে মানে আমি পারিনা যখন দোকানে স্যালসম্যান 'তুমি কেমন আছো জিজ্ঞেস করে' ( চকলেট কিনতে গেলেও)আজিব...।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ধন্যবাদ। আমি এরকম সময়গুলোর জন্য খুব দ্রুত গতিতে একদম আবেগ না মিশিয়ে যন্ত্রের মত "নট ব্যাড, থ্যাঙ্কু" বলাটা প্রায় রপ্ত করে ফেলেছি।
লেখা ঝাক্কাস হয়েছে।
তাইওয়ানে একটা প্রচলিত ব্যাপার হলো কেউ আপনার সিগারেটে আগুন ধরিয়ে দেয়ার সময়, দুই হাতে তার লাইটার ধরা হাতটা জড়িয়ে ধরা, শুরুতে জানতাম না অনেকদিন, পরে একজন লাজ লজ্জা ভেঙ্গে আমার ভুলটা ধরিয়ে দিল। এখন আর ভুল হয়না।
ধন্যবাদ। বারো হাত কাকুড়ের তেরো হাত বিচির মত আট দিনে নয় আড্ডা দিলে কালচার শক বুঝতে দেয়ার সময় ক্যাম্নে হবে!
তাইওয়ানে মামুন হক অন্য এক ষণ্ডামার্কার হাত জড়িয়ে ধরে সিগ্রেট ধরাচ্ছে, এমন ছবি দেখতে মঞ্চায়।
ঝরঝরে লেখা! পড়ে মজা পেলাম
:-D
--------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
অনেক ধন্যবাদ!
ধর্ম্মপুত্র, যাক ঘুম ভাঙলো তাহলে। কালচারাল শক বা রিভার্স কালচারাল শকের কথা আপনি যা বললেন তার কিছু কিছু শুনেছি আপনিসহ প্রবাসী আত্মীয়-বন্ধুদের কাছ থেকে। কিন্তু এই লেখাটা পড়ে মনে হল খোদ দেশের ভেতরেও এলাকাভেদে এই বস্তু (কালচারাল শক) বিদ্যমান। আগে এভাবে ভেবে দেখিনি বলে মনে হয়নি। দীর্ঘদিন নিজের এলাকার বাইরে থেকে আবার নিজের এলাকায় ফিরলে রিভার্স কালচারাল শকও হয়। তবে সেগুলো কিছু ক্ষেত্রে খুব তীব্র না এবং কিছু ক্ষেত্রে অনভ্যাস মনে করে আমরা ঠিক গায়ে মাখিনা। ম্যালঅ্যাডজাস্টমেন্ট, বর্ণবাদ, অতিআঞ্চলিকতা ইত্যাকার সমস্যাগুলোর অনেক ক্ষেত্রে শুরু সম্ভবতঃ এই শকগুলো থেকে। এই রোগের অষুধ আছে বলে মনে হয়না।
রিভার্স কালচারাল শকের একটা কারণ সম্ভবতঃ খোদ ভিকটিমের মধ্যেই থাকে। ঠিক যুতসই না তবু একটা উদাহরণ দেই, ভিকটিমের মাথায় যদি সাবেক প্রেমিকা তন্বী-তরুণী থেকে যায় তাহলে বাস্তবে দুই বাচ্চার মা, মোটাসোটা গিন্নীকে দেখে একটা শকতো খাবারই কথা। সেই শক খাবার পরও আগের সেই প্রেমিক প্রেমিক ভাব নিয়ে তার সামনে হাজির হলে আরেকটা শকতো খাওয়ারই কথা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দেশের ভেতরেও এলাকাভেদে এই শক হতেই পারে। এই রোগের ওষুধ ওই যে ক্রেইগ স্টরটি বলেছেন যেটা, সোশ্যাল আর ইমোশনাল ইণ্টেলিজেন্স বাড়ানো, অ্যাওয়্যারনেস বাড়ানো, এসব।
আমার কোন সাবেক প্রেমিকার স্বাস্থ্য নিয়ে কটাক্ষ করলেন ঠিক বুঝলাম না।
কালচারাল শকের একটা মজার উদাহরণ পড়সিলাম মু জা ই এর 'আম্রিকা' বইতে, উনি গিয়া দেখেন সবাই ওই দেশে নাঙ্গা হইয়া জনসমক্ষে বাথ্রুমে যায়... !!
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
হ্যাঁ, এইটা ঘটে হইলো জিমের বাথরুমে গেলে। প্রথম দিন এ জিনিস দেখে বড়ই বেকুব বনে গিয়েছিলাম। আমার ইউনিভার্সিটির জিমের বাথরুমে ঢুকতেই দেখি আমার ডিপার্টমেণ্টের এক বিশালদেহী প্রফেসর পুরোপুরি নাঙ্গাসন্ন্যাসী হয়ে ভূড়ি চুলকাতে চুলকাতে এদিক সেদিক হাঁটাহাঁটি করছেন। সেই দৃশ্য দেখার পর বহুদিন আর জিমে যাইনি।
হিহি, এইটা নিয়া ভবিষ্যতে আরো মজার লেখা পাবার আশায় থাকলাম!!!
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
জাপানে পাবলিক বাথ (হট স্পিং) এ সবাই নাঙা হইয়াই ঢোকে।
প্রথম প্রথম লজ্জ্বায় পারতাম না। এখন পারি।
(ছেলে-মেয়ে আলাদা অবশ্য )
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এক্কেবারে ঠিক কথা। বড়ই বিপদে পড়ছিলাম প্রথম দিন সাঁতার কাটতে যাইয়া। কোন আড়াল নাই ড্রেসিং রুমে। যতদূর চোখ যায় সবই নাঙ্গা বাবা। এগো সামনে তোয়াইল্যা জড়াইয়া চেঞ্জ করতে আবার দ্বিধা হয়...পাছে লোকে কি ভাবে? শেষে ৫ সেকেন্ডের জন্য পুরা ফাঁকা পাইয়া কাম কইরা ফালাইছিলাম।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
পাঁচ সেকেণ্ডে কাজ সারা তো বোধহয় বিশ্বরেকর্ডের পর্যায়ে পড়ে
ক্যাডেট কলেজের অভ্যাস বস।
ফল-ইন এর ৫ মিনিট আগে ঘুম থেইকা উইঠা প্রাতঃক্রিয়াদি সম্পন্নসহ পোশাক পরিধান পূর্বক মাঠে গমন। তখনো মিনিটখানেক বাকী ...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
চমৎকার লাগলো
কোন স্টেটে আছেন?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ধন্যবাদ। ইলিনয়তে, ওবামার শহরে।
যাদের তুর্কিদের সাথে ঘনিষ্ঠ হবার অভিজ্ঞতা আছে তারা স্বীকার করবেন, তুর্কিদের মধ্যে ভয়াবহ হাগিং-কিসিংয়ের প্রবণতা আছে।
ছাত্রজীবনে আমার অনেক তুর্কি বন্ধু ছিল। তাদের মধ্যে কখনো এ প্রবণতা দেখি নি। তবে মনে হয় এলাকাভেদে তুর্কিদের ব্যবহারে ভিন্নতা আছে। তুলনামূলকভাবে ইউরোপিয়ান অংশের তুর্কিদের দেখতাম বেশ আধুনিক, খোলামেলা ও উদ্দাম জীবন-যাপনে অভ্যস্ত, অন্যদিকে এশীয় অংশের তুর্কিরা সহজ-সরল, ধার্মিক ও উদার মনোভাবাপন্ন। এদের বাকলাওয়া এতো খেয়েছি যে এখনো মিস করি।
মেরি ক্রিসমাস না বলে হ্যাপি হলিডে বলে।
আমার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী যারা রিলিজিয়াস খ্রিস্টান তারা আরেকজন খ্রিস্টানকে (অনেক সময় অন্যদেরও) 'মেরি ক্রিসমাস'ই বলে, কিন্তু যারা রিলিজিয়াস নন তারা বা রিলিজিয়াস কিন্তু অন্য ধর্মের আরেকজনকে শুভেচ্ছা জানাতে 'হ্যাপি হলিডে' বলে। এজন্য অফিসিয়াল সব কিছুতে 'হ্যাপি হলিডে'ই বলা হয়, যেহেতু খ্রিস্টান, অখ্রিস্টান সবাইকেই শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। আমার পর্যবেক্ষণ ভুলও হতে পারে। তবে শুরুতে অনেককে 'মেরি ক্রিসমাস' বলে উত্তরে যখন 'হ্যাপি হলিডে' শুনেছি, তারপর তাদের জীবনাচরণ দেখে বুঝেছি যে তারা নামে খ্রিস্টান হলেও আদতে নাস্তিক বা মোটেও ধার্মিক নন। অন্যদিকে কট্টর খ্রিস্টানদের মুখে সবসময় 'মেরি ক্রিসমাস'ই শুনে এসেছি।
টেক্সাসে যারা আসে, তাদের জন্য বাড়তি একটা ঝামেলা হলো কাউকে 'ধন্যবাদ' দিলে উত্তরে 'You bet' শোনা। আমি তো প্রথমে বুঝতামই না এর মানে কী! একদিন এক বুড়াকে খপ করে ধরলাম- আমারে আজকে তোমার বুঝায়ে দেয়া লাগবেই- এই যে তোমারে আমি থ্যাংকু দিলাম তুমি আমারে 'ইউ বেট' কইলা ক্যান? এইখানে বেট আইলো কই থেকে? আমি তো কিসু বাজী ধরি নাই! বুড়া তো প্রথমে ভ্যাবাচ্যাকা। তারপর হো হো করে হেসে বললো- 'অফ কোর্স, ইউ বেট!' তারপর বুঝায়ে কইলো এটা আসলে একটা বাক্যের সংক্ষেপ, পুরো বাক্যটা হতে পারে এমন-'ইউ ক্যান বেট দ্যাট আই উইল ডু ইট ফর ইউ থাউজেন্ড টাইমস'। আমরা যেমন ধন্যবাদের উত্তরে বলি 'তুমি স্বাগত'- এটা তারই টেক্সান বা সাউদার্ন ভার্শন আর কী; সংক্ষেপে 'ইউ বেট'। তারপর থিকা আমিও 'ইউ বেট' কপচানো শুরু করলাম- অন্তত 'ইউ আর ওয়েলকাম' কওয়ার চেয়ে শব্দ খরচ কম হয়
যাক, "ইউ বেট"-টা এতদিন পরে ক্লিয়ার হলো
আমারো
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এলাকাভেদে তুর্কিদের ব্যাবহারে ভিন্নতা আছে, এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণটি সঠিক। তবে ওদের যে কোন এলাকার বাকলাভাই বোধহয় মজার।
হ্যাপি হলিডে'র ব্যাপারটা আসলে কিছুটা সরকারের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র রক্ষার প্রয়াস। আর কিছুটা বাণিজ্যিক। মেরী ক্রিসমাস বললে একটা বিরাট জনগোষ্ঠীকে একটা পারিবারিক উৎসবের সময় থেকে বঞ্চিত করা হয়। এতে ব্যবসায়ীরাও তাদের বছরের সবচেয়ে বেশি বিক্রির সময়টাতে কিছু ক্রেতা হারানোর ঝুঁকিতে থাকেন। এই দুদলের যৌথ প্রচেষ্টায় এ বাক্যাংশটি উৎপন্ন করা হয়। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন যে কট্টর খ্রীস্টধর্মাবলম্বীরা মেরী ক্রিসমাসেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বেশি - আর তারা সবসময়ই সোচ্চার ছিলেন হ্যাপি হলিডে কথাটা উঠিয়ে দেয়ার ব্যাপারে।
You bet-এর ব্যাপারটা আমিও আপনার মত ঠেকে শিখেছিলাম। এরকম আরেকটা আছে, tell me about it! ওটা নিয়ে আরেক সময় লেখা যাবে।
ভাই আমি বিদেশে যাই নাই
কিন্তু এখনও ঢাকা শহরে রাস্তা পার হইতে গেলে ধুমা দৌড় দিয়া পার হবার পরে রিকশাওয়ালাদের গালি খাই
মানে এখনো ঢাকা শহরের রাস্তা পার হওয়া শিখতে পারি নাই
আমার মনে হয় ঢাকার ড্রাইভাররা গাড়ি চালাইতে জানে না
এইটার ব্যাখ্যাটা কী বলেন তো?
ব্যাখ্যা জানি না তবে আপনি এখন থেকে ধুমা দৌড় না দিয়ে রিকশা চড়ে রাস্তা পার হবেন।
আচ্ছা ধুমা দৌড় মানে কি?
দারুন লেখা, এক কথায় অসাধারন।
----------------------------------------------------------------------------
ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক
ধন্যবাদ।
আপনার দুর্ধর্ষ সব ছবি দেখে টাশকি খেয়েছি।
ডায়াস্পোরা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমার কিছু কথা মনে হয়েছে, কতটা বৈজ্ঞানিক জানিনা, তবু শেয়ার করিঃ
বাংলাদেশের মাইগ্রান্টরা নিজেদের স্বকীয়তা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টায় যে কাউন্টার কালচার তৈরী করে তা অনেকটাই ধর্মভিত্তিক হয়, সংস্কৃতি ভিত্তিক হয়না। আমরা সরকারী/বেসরকারী উদ্যোগে সেটা করতে পারিনি বলেই বোধ হয়, মসজিদ ভিত্তিক একটা আইডেনটিটি পাবার চেষ্টা করে। একারনেই হালাকা, নাসীদ ইত্যাদির ব্যাপক প্রভাব।
পাকিস্তানী ও বাংলাদেশীরা মসজিদ ভিত্তিক নেইবারহুড গড়ে তোলার চেষ্টা করে। প্রায়ই দুই কমিউনিটি পাশাপাশি থাকে, সেটা বিদেশে ধর্ম প্রবণতার প্রাবল্যের একটা কারন।
একদম ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন -অনেক সময়ই যোগ্য মেয়ের জন্য নিজের কমিউনিটিতে যোগ্য ছেলে পাওয়া যায়না। যার জন্য বাবা মায়েরা ভয়ে থাকেন, মেয়ে না অন্য ধর্মের কাউকে বিয়ে করে বসে, তাই ছেলেবেলা থেকেই তাদের পর্দা করার মাধ্যমে সংযত করার চেষ্টা করেন। যারা দেশে কখনো পর্দা করেন নি তারাও এরকম একটা ভীতি ঢোকানোর চেষ্টা করেন। ( আমি কিন্তু পর্দা বিরোধী নই, কারনটা বোঝার চেষ্টা করছি মাত্র)।
বাবা-মা অনেক ক্ষেত্রে বড় হয়ে উঠতে থাকা ছেলে মেয়েদের ইন্ট্যালেকচুয়াল গাইডেন্স দিতে পারেন না, পক্ষান্তরে ধার্মিক প্রচারকরা অনেক অর্গানাইজড। তাই গ্যাপ্টা তারা পুরণ করে ভালোভাবে।
বড়রা অনেক সময়ই দেশের পলিটিক্স নিয় বেশী মেতে থাকেন, ছোটদের কাছে তা খুবই অর্থহীন মনে হয়, আর তা থেকে এক ধরনের বিরাগ।
সমাধান মনে হয়, বাংলাদেশী কালচারাল সেন্টার গড়ে তোলা। আমাদের শক্তিশালী দিকগুলো তুলে ধরা, যা হোস্ট দেশের সংস্কৃতির সাথে সমানে পাল্লা দিতে পারে, এবং ছেলে মেয়েরা দুই ভালোর সিন্থসিস থেকে আরো ভালো কিছু শিখতে পারে।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
চমৎকার পর্যবেক্ষণ! এটা, আর ডায়াস্পোরা নিয়ে আপনার কাজ - এগুলো নিয়ে সময় করে আলাদা পোস্ট দিলে আমরা সবাই উপকৃত হতাম। একটু ভেবে দেখবেন?
আপনাদের দেশে শীত কমে গেছে? নাকি আপনারই অসময়ে নিদ্র টুটলো?
আমিও তুর্ক দেশে যাইতে চাই... তুর্কী বালিকাদের সঙ্গে পরিচিত হইতে চাই...
লেখাটা দূর্দান্ত... অনেক কিছুই শিখলাম। তবে ঢাকায় এখন অনেক কালচার চলে আসছে। ধরেন দোকান থেকে কিছু কিনে ধন্যবাদ দেওয়াটা আমারই একটা রীতি হয়া গেছে। সেলসগার্লদের দেখে হাসিটুকু সুন্দর করে দেই। রাস্তাস্থ বালিকাদের দিকেও হাসি দিতে চাই, কিন্তু দৌড়ানি খাওনের ভয়ে সাহস পাই না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কি যে বলেন! আমি সাত সাতটা পোস্ট দিয়ে ফেল্লাম! ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।
সেলসম্যানদের দেখলে সুন্দর হাসি দ্যান না? এটা তো ডিসক্রিমিনেশন হয়ে গ্যালো!
বিশেষ করে মেয়ে বন্ধু বা পরিচিতদের বেলায় কিভাবে মোলাকাত করতে হবে, সেটা আমার কাছে এত বছর পরেও পরিষ্কার হলো না। হ্যালো না হ্যান্ডশেক না হাগ্, কিছুই বুঝি না।
মেরিকা আর ইউকে'র মধ্যে একটা বিরাট পার্থক্য দেখি - রিটেইল দোকানের কর্মীদের ব্যবহার। ঐখানে রাস্তার ধারে গ্যাস স্টেশন থেকে শুরু করে বড় মল পর্যন্ত - সব কর্মচারীরাই 'হাউ ইউ ডুইং?' আর হাসিমুখে 'হ্যাভ আ নাইস ডে' বলা রপ্ত করে ফেলে। বহুকাল আগে টেক্সাসে তেমন একটা গ্যাস স্টেশনে কাজ করতাম, তখন বাঙালি মালিক প্রথমেই বলে দিয়েছিল সবার আগে কাস্টমারদের ভালোমত গ্রীট করতে। এমনকি মেক্সিকানদেরও - 'কে পাসো, আমিগো?' বলতে শিখেছিলাম।
এই দেশে আবার অত দেখানো ভদ্রতা চলে না। জিনিস কিনো, টাকা দেও - নেক্সট! মাঝে মাঝে মনে হয় হাসিখুশী গ্রিটিং-এর সংস্কৃতিটা খারাপ না, আবার মনে হয় এত মেকী ভদ্রতার কি দরকার।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
মোলাকাতের ওই সংশয়টা আমারও আছে, আর মাঝেমাঝেই এজন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এগুলো পার্মানেণ্ট শক - কিছু করার নেই বোধহয়।
ইউ এস আর ইউ কে-র এই পার্থক্যটা আমার চোখে পড়েছে। মজার ব্যাপার হলো, এই আমেরিকাতে যেটাকে বাড়াবাড়ি ভেবে আমার মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগতো, ইউকেতে গিয়ে সেটাই না পেয়ে আমি একটু আশাহত হয়েছিলাম।
"চকাস চকাস" চুম্মোময় মন্তব্যে নব্য কোন কালচারাল শকে ভোগছেন নাতো ভায়া।
যাক্কা-নাক্কা হয়েছে। সচলায়তনে আবারও চকাস মারেন !
অপেক্ষায় থাকলাম।
এস হোসাইন
-------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"
কি বলতে চাইলেন আর কিসের অপেক্ষায় থাকলেন ঠিক বুঝিনি।
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
দুর্দান্ত লাগলো লেখাটা। "জরুরী কাজে বাইরে যাচ্ছি" বলে আগে/বিস্তারিত লেখা হলো না। এক্কেবারে প্রিয় পোস্টে গেলো গিয়ে।
ধন্যবাদ। জরুরী কাজটা কি সেটা জাতি জান্তে চায়।
আপনি অনেএএএকদিন গ্যাপ না দিয়েই একটা আস্ত পোস্ট লিখে ফেললেন?! কী সাংঘাতিক শকিং!
আমার প্রবাসজীবনও আপনারটার মতনই লম্বা, দেশে গেলে আমিও টের পাই উভয়পাক্ষিক সেই 'শক'। মাঝে মাঝে খুব মজা লাগে যখন বিদেশে আসার আগের আমিকে মনে করি, আমার তখন দেশে বেড়াতে যাওয়া আত্মীয়স্বজনদের যা যা দেখে বিস্ময় বা 'শক' বোধ হতো, তার বলতে গেলে প্রত্যেকটাই এখন আমি করি। কীভাবে সব ঘুরে যায়!
আরেকটা ব্যাপার আর কারুর হয় কিনা জানি না - বিদেশ থেকে কেউ গেলে তার স্যুটকেস খুললে কেমন জানি একটা ঠান্ডা ঠান্ডা সুগন্ধ পাওয়া যেতো, আর আমার কেমন যেন অস্থির লাগতো। মনে হতো কেমন সে দেশ, খুব কি অন্যরকম, অদ্ভুত?
লেখা চমৎকার লাগলো। এতো বড় মন্তব্যের পর সেটা বলা অবশ্য বাহুল্যই
সেই ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা সুগন্ধ! আহা!
শক কাটানোর জন্য স্টরটির পদ্ধতির পাশাপাশি নিয়মিত পোস্ট দেয়া বেশ কাজে দেয়! একেবারে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি!
ভালো লেগেছে জেনে আহ্লাদিত হলাম
লেখার বিষয়টি খুব ভাল লাগল, তারচেয়ে ভাল লাগল বিষয়টির উপস্থাপনা। সত্যিই অসাধারণ লেখা।
আমি নিজ দেশেই ভিন্ন শহরে থাকি। তাতেই মাঝে মাঝে এই কালচার শকের শিকার হতে হয়। তবে এটা যে কালচার শক তা আমি বুঝতে পারলাম এই লেখা পড়ে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও! নিজ দেশের ভিন্ন শহরে থেকে কালচার শকের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটু লিখতে পারেন।
দুর্দান্ত একটা পোস্ট।
ধন্যবাদ। চায়না ভ্রমণ নিয়ে পাওনা পোস্ট কই?
মাক্ষী একটা লেখা। দেশে আসা এক ভাইয়ের তার রিভার্স কালচার শকের কথা মনে পড়ে গেলো। চায়ের দোকানে মানুষজন ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়ায়ে আড্ডা মারা দেখে উনি কন, ক্যাম্নে কী!!
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
ধন্যবাদ! মাক্ষী শব্দটা কি ঢাকায় আবার ফিরে এসেছে নাকি!
১) 'মাক্ষী' মানে কী?
২) এত কম লেখেন কেন?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটা খুবই ভাল লাগল...
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
ধন্যবাদ, শিক্ষানবিস!
লেখা, বিষয় আর উপস্থাপনা সবই ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে (আবার বইলেননা ইউ বেট)।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও সময় করে পড়া আর মন্তব্য করার জন্য।
আমি যে কী করি! এদের মানে পশ্চিমাদের ধন্যবাদ দেওয়াটা অনেক ছোট্টবেলা থেকেই আমাদের পরিবারে (মানে বৃহত্তর পরিবারে) ছিলো আর হয়তো আমার পরিবারে পশ্চিমা দেশে অভিবাসন আমার আগের প্রজন্ম থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিলো বলে খুব সহজেই ভালো লাগলো, অনেক মন খারাপের সময় অর্থহীন হাউ আর ইউ বলাটাও। নিঃসঙ্গ অবস্থায় এটা এত ভালো লাগে অনেকের সাথে কাউন্টারে দাঁড়িয়েই বেশ চমৎকার আলাপ হয়ে যায়। আর বাংলাদেশে বন্ধুরা আমার এই তৎকালীন ধন্যবাদপ্রিয়তা আর সমকালীন "পাশ্চাত্যমুখিতা" নিয়ে সবসময়ই কটাক্ষ করে। আসলে বলুন তো প্রিয় অগ্রজ সুহৃদ, একটু মেকী মনে হলেও ভদ্রতা বা ভালো ব্যবহারের নিশ্চয়ই একটা আবেদন আছে, আছে না? আমরা রিকশাওয়ালা ওয়েটার বা দোকানদারদের সাথে যেভাবে কথা বলি দেশে, ওটাতে আমার মা খুব বিরক্ত হতেন। তাই হয়তো আমাদের একেবারে পাখিপড়া ভদ্রতা শেখানো হয়েছিলো, কিন্তু সেটা গেঁথে গ্যাছে ভেতরে। আর একটু রেসিস্ট শোনাবে - এখানে তুর্কী আর আরবদের সাথে যতটুকু মিশেছি, ওরা খুব রুড আর অনেক চিৎকার করে কথা বলে, এটা সবাই নয়, একটা অংশের ব্যাপারে আমার পর্যবেক্ষণ। আর চুমু খায় যেমন ধামাধাম বাচ্চাদের পেটায়ও, এই দেশে যেটা খুবই বিরল অনেক তুর্কীদের দেখেছি, দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম! কিন্তু তুর্কী মেয়েরা দারুণ সুন্দরী আমার একটা বন্ধু ছিলো তাকে ঠাট্টা করে তরুণ তুর্কী বলতাম। আমার মনে হয় পশ্চিমা কিছু ভদ্রতা বাংলাদেশে আসলে খারাপ না, অন্ততঃ বেচারা রিকশাওয়ালারা চড়চাপাটি খাবার হাত থেকে বাঁচবে। ভদ্র -সভ্য আচরণ আমর ভালো লাগে, এটা হয়তো আমার "সাম্প্রদায়িক সীমাবদ্ধতা" হতে পারে , কী যে করি!!
না, সীমাবদ্ধতা তো অবশ্যই নয়। ভালো ব্যবহারের একটা আবেদন তো নিশ্চয়ই আছে। আমিও মনে করি আমাদের বাংলাদেশীদের মধ্যে এই ধন্যবাদ দেয়ার অভ্যাসের একটু ঘাটতি আছে। আর ওইটাও খুব সত্যি কথা, অর্থহীন হাও আর ইউ বলাটা নি:সঙ্গ প্রবাস জীবনে যখন দিনের পর দিনে কারো সাথে কথা হয় না - সেরকম সময়ে একজন আগন্তুকের সাথে সামান্য আলাপচারিতা শুরুতে দারুণ সাহায্য করে। সেটা অনেক দরকারী অভিবাসী জীবনে মিশে যাবার জন্য।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এখন আমি আপনাকে বলি - একটু কি নিয়মিত হওয়া যায়না?
অনেকদিন এমন লেখা পড়িনা, সত্যি বলছি। একটানে পড়ে গেলাম।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আসেন শান্তিচুক্তি করি। আপনে তিনটা চিকন চিকন ছড়া পোস্ট দিবেন, আমি একটা মোটা লেখা দিবো। রাজী?
লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগছে।
যুধিষ্ঠির'দা---করেছেন কী--!!!
ফাটাফাটি লেখা দিসেন দেখি বস----
এক্কেরে অসাধারণ পেরিয়ে পঞ্চাশ মাইল!!
খুব ভাল লেগেছে----আপনার লেখার মধ্যে এমন একটা হালকা হাসির আমেজ থাকে যে লেখাটা শেষ হবার পরেও অনেকখন মনটা হাসি-খুশি থাকে।
বেশি বেশি করে লিখবেন--তাতে আমাদের মত লোকেদের 'বিনা কারণে' সুখী হবার কিছু অজুহাত জোটে----
ভাল থাকবেন
ধন্যবাদ, অনিকেত! মনটা হাসিখুশি থাকতে থাকতে আরও কয়েকটা কম্পোজিশন নামিয়ে ফেলা যায় কি না দেখুন।
খুব মজা লেগেছে লেখাটা। আগে পড়া হয়নি বলে আফসোস হচ্ছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অনেক ধন্যবাদ!
লেখায় নুরুজ্জামানমানিকভাইয়ের-
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এই প্রথম আমার পোস্টে কেউ বামহাত ঢুকাইলো! অনেক ধন্যবাদ! আপনাকে দেখিনা যে আজকাল, কই থাকেন?
কিংকু'র জন্মদিনের পোস্টের লিঙ্ক ধরে এলাম। খুবই চমৎকার লাগলো লেখাটা...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ধন্যবাদ, বিপ্রতীপ।
দারুণ লেখা। এখানেও (আইভরি কোস্ট) কারো সাথে দেখা হলে বা রাস্তাঘাটে অপরিচিতদের কাছে কিছু জানতে চাইলেও বোঁজ়ু না বলা চূড়ান্ত অভদ্রতা। মে(র)সি তো আছেই। একবার এক খবরের কাগজ বিক্রেতার কাছে রাস্তার দিকনির্দেশনা জানতে চাওয়ার আগে বোঁজ়ু না বলায় কথা শুনতে হয়েছিল! এখন আর ভুল হয় না।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ধন্যবাদ। আপনার আইভরি কোস্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে আরও লেখার অপেক্ষায় আছি।
চমৎকার লাগলো। লেখাটা পড়ে অনেক মজা পাইলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
আমার এ গাল শুধুই ললনাদের জন্য!
হেহে!!
লেখাটা খুব ভাল লাগল।
আমাদের এইবারে ৩ ক্রেডিট এর সোসিওলজি আছে। এই খানে এই জিনিসটার কথা স্যার বলল। এমনিতেও দুই একবার শুনছিলাম। তবে আপনার লেখা পড়ে খুব মজা পাইলাম ।
বোহেমিয়ান
লেখাটা ভালো লেগেছে। একেবারে যুধিষ্ঠিরের সত্যকথন! কিছুটা সৈয়দ মুজতবা আলির মনোরম ভঙ্গির স্বাদ পেলাম। ভালো লাগল।
নতুন মন্তব্য করুন