প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবারটায় আমেরিকার সভ্য মানুষেরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন দিবস পালন করে। এদেশে সারা বছর প্রতিটা দিনেই তো ধন্যবাদের বন্যা বয়ে যায়, তাই নামে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের দিন হলেও এ দিনটিকে প্রাথমিকভাবে সে অর্থে ব্যবহার হতে দেখা যায় না। এটাই আমেরিকাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক উৎসব, এমনকি বড়দিনের চেয়েও। সাধারণতঃ এই বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত সবকিছু বন্ধ থাকে। শনি-রবি মিলিয়ে চারদিনের এই লম্বা সপ্তাহান্ত মোটামুটিভাবে পেটপুজোর জন্য সুপরিচিত। খাওয়াদাওয়ার বহরটাকে অনেকটা কোরবানী ঈদের তিন-চার দিনের সাথে তুলনা করা যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃহত্তর পরিবারের সাথে ডিনার করাটা প্রায় সব বাড়িতেই প্রথা। ডিনারে টার্কির মাংস খাওয়াটা আবশ্যিক, সঙ্গে মিষ্টিকুমড়া'র পাই, ক্র্যানবেরীর চাটনী আর স্টাফিং বলে একটা স্বাদু কিন্তু অতিশয় অস্বাস্থ্যকর বস্তু, এবং আরও অনেক কিছু।
***
থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের সূচনা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। তবে ইতিহাসটা মোটামুটি এরকম, এর শুরুটা হয়েছিলো নবান্ন জাতীয় ফসল তোলার উৎসবের ধারায়, একসময়ে এটা হয়ে গিয়েছিলো ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য ধর্মীয় একটা দিন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে মূলধারার সংস্কৃতিতে মিশে গিয়ে এখন এটা একটা পারিবারিক মিলনমেলা। ব্রিটিশ, ফরাসী বা স্প্যানিশ অভিবাসীরা আমেরিকাতে আসার অনেক আগে থেকেই আদিবাসী অমেরিকানদের মধ্যে বছরের এ সময়টাতে ফসল তোলার উৎসব পালনের প্রচলন ছিলো। আদিবাসীদের মধ্যে এমনিতে সারা বছর ধরেই ধন্যবাদ জানানোর চর্চাটা ছিলো। নিয়ম করে ক'দিন পরপর তারা তাদের জীবনকে, প্রকৃতিকে ধন্যবাদ দিতো। আর অন্যদিকে ইউরোপীয় অভিবাসীদের থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের ব্যাপারটা ছিলো অনেকটা চার্চ ভিত্তিক। এ দুটো ঐতিহ্য মিলেই সম্ভবতঃ আনুষ্ঠানিক থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের শুরু।
প্রথম জানা ইতিহাসটা আমেরিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের। ইওরোপীয় অভিবাসীরা আমেরিকাতে এসে পৌঁছনোর পর প্রথম প্রথম এখানকার নতুন জল-বাতাসে একেবারেই মানিয়ে নিতে পারছিলো না, প্রায় নাভিশ্বাসই উঠে যাচ্ছিলো। নতুন সব জীবানুবাহিত রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয়ে, অপরিচিত মাটিতে ফসল ফলানোর ব্যর্থ চেষ্টায় আর পেটভরা খাবার খুঁজে না পেয়ে এরা সে সময় প্রায় মরতে বসে। এ সময় ওই এলাকার ওয়াম্পানোয়্যাগ আদিবাসী আমেরিকানরা তাদের নেতা মাসাসোয়াহ'র নেতৃত্বে ওদের সাহায্যে এগিয়ে আসে, নিজেদের গোলার ফসল তাদের খেতে দেয়, তাদের হাতে ধরে ধরে ফসল বুনতে আর মাছ ধরতে শেখায়, ক্ষেতে পানি দেয়া আর গরু-মুরগী পালন করার উপায় বাতলে দেয়, আর রোগবালাই সারানোর ওষুধের খোঁজ দেয়। এদের উদার আতিথেয়তায় অভিবাসীরা সামলে ওঠে, আর ১৬২১ সালের হেমন্তে তাদের গোলা ভরা ফসল ওঠে। সে বছর এখনকার ভার্জিনিয়ার প্লীমাথ প্ল্যাণ্টেশনে প্রথম বড় করে থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের ভোজের আয়োজন করে অভিবাসীরা। আমেরিকার ইতিহাসের পাঠ্যবইগুলোতে এটাকেই প্রথম থ্যাঙ্কসগিভিং বলে লেখা হয়। দেশ-অন্তপ্রান আমেরিকানরা অনেকেই দাবী করে এ ভোজের অনুষ্ঠানে আদিবাসীদের ধন্যবাদ প্রদানের জন্য দাওয়াত করে আনা হয়। ওয়াম্পানোয়্যাগ আদিবাসীদের কিছু মৌখিক বিবরণ অবশ্য অন্য কথা বলে। তবে দাওয়াত পেয়েই হোক, আর নিজেদের উৎসাহেই হোক, আদিবাসীরা এ উৎসবে যোগ দিয়েছিলো হরিণের মাংস, আর টার্কি (মতান্তরে, অন্য কোন বুনো মুরগী) আর শুকনো ফলমূল নিয়ে।
***
থ্যাঙ্কসগিভিংয়ে টার্কি খাওয়াটা কিভাবে প্রথায় পরিণত হলো সেটা নিয়ে অনেক রকম তত্ব আছে। আদিবাসী আমেরিকানদের দেখিয়ে দেয়া পথেই হোক, বা ওই জাতীয় কোন বুনো মুরগীর সহজলভ্যতার কারণেই হোক, টার্কি খাওয়াটা এখন থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের সাথে একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত। অনেকে তাই এটাকে টার্কি ডে-ও বলেন। এখানে টার্কির এতটা জনপ্রিয়তা, কিন্তু এটা কিন্তু আমেরিকার প্রানীও না। এটা আসলে কোন দেশের প্রানী সেটা জানা বেশ দুষ্কর। কারণ মজার ব্যাপার হলো, প্রায় প্রতিটা দেশেই এটাকে অন্য দেশের প্রানী হিসেবে ডাকা হয়। ইউরোপীয় বণিকেরা প্রথম আফ্রিকা থেকে এগুলো নিয়ে আসে তুরস্ক হয়ে, সে কারণে এটার ইংরেজী নাম টার্কি হতে পারে। কিন্তু খোদ তুরস্কে এই প্রানীর নাম হিন্দি, যার মানে দাঁড়ায় এটা এসেছে ইণ্ডিয়া থেকে। ইটালীতেও এটার নাম পয়ো দে'ইন্দিয়া, পোল্যাণ্ডে ইণ্ডিক – মানে ওই ভারত থেকে আসা পাখি। কিন্তু আরবরা এটাকে বলে রোমের পাখি, মিশরের লোকেরা বলে গ্রীসের পাখি, গ্রীসে এটার নাম হলো গালোপুলা বা ফ্রান্সের পাখী, ফরাসীরা ঘুরে ফিরে আবার একে বলে দিন্দ - মানে ভারতের পাখি। মালয়েশিয়ায় এটা ওলন্দাজ পাখি, ওলন্দাজদের কাছে এটা আবার ভারতের পাখি, আর পর্তুগীজদের কাছে এর নাম হলো পেরু! আমাদের দেশে এর কাছাকাছি প্রানীটার নাম তিতির। এরকম একটা বহুজাতিক বহু-সাংস্কৃতিক পাখির আমেরিকার মত একটা দেশে জনপ্রিয় হওয়াটা তাই হয়তো স্বাভাবিকই।
***
বাবা দিবস, মা দিবস, ভ্যালেণ্টাইন দিবসের মতই আধুনিক থ্যাঙ্কসগিভিং একটা বিরাট বাণিজ্য। থ্যাঙ্কসগিভিং সহ হানুকা, কোয়ানজা, নববর্ষ সব মিলিয়ে পাঁচ-ছয় সপ্তাহের হলিডে সীজন শুরু হয় এই উইকেণ্ড থেকে। বাসাবাড়ি আর অফিসগুলোতে আলোকসজ্জা শুরু হয়। কেনাকাটার সবচেয়ে ধুন্ধুমার সময় এটা, তাই ব্যবসায়ীদেরও পোয়াবারো। প্রতি পাউণ্ড গড়ে প্রায় ১.৩৫ ডলার দামে ২০০৯-এ পুরো বছর জুড়ে আমেরিকাতে যে ৪ বিলিয়ন ডলারের টার্কি বিক্রি হবে, তার সিংহভাগই হবে এ সপ্তাহান্তে। রেস্তোরাঁগুলোতেও টার্কি আর থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের থীম ভিত্তিক খাবারগুলো স্পেশাল আইটেম হিসেবে মেনুতে থাকবে। এই সপ্তাহান্তটা ভ্রমনের দিক থেকে বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত কয়েকটা দিন, সবাই বাসে-ট্রেনে-প্লেনে-গাড়িতে রওয়ানা দেয় পরিজন আর বন্ধু বান্ধবের সাথে সন্ধ্যাটা বা পুরো ছুটিটা কাটানোর জন্য। ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে জিনিসপত্র পানির দামে ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায়ীরা ক্রিসমাস সীজনের ব্যবসার বউনি করবে। সাইবার মানডেতে আবারও পানির দামে ছেড়ে দেয়া হবে অনেক কিছু, তবে সেটা শুধু ইণ্টারনেটের ক্রেতাদের জন্য। এই দিনে আমেরিকান ফুটবলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলা হবে যেগুলো পরিবারের সবাই মিলে সারাদিন ধরে টিভিতে দেখাটাও এখন ঐতিহ্যের অংশ। আরেকটা ব্যাপার বড় বুশের সময় থেকে ঘটে আসছে, ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশন থেকে যে টার্কিটা প্রেসিডেণ্টের জন্য হোয়াইট হাউজে পাঠানো হয়, সেটাকে আমেরিকার প্রেসিডেণ্ট প্রতি বছর ক্ষমা করে দেন। এটাকে তখন না মেরে পাঠিয়ে দেয়া হয় কোন চিড়িয়াখানায় বাকি জীবন সুখে শান্তিতে কাটানোর জন্য। প্রেসিডেনশিয়াল পার্ডন-এর এই ঘটনাটা রেডিও-টিভিতে ফলাও করে প্রচার হয়, সেটাও ঐতিহ্যের বড় একটা অংশ এখন।
***
আমেরিকার অনেক আদিবাসীও এখন থ্যাঙ্কসগিভিং দিবসটা "পালন" করেন। তবে অন্য নামে। তাদের কাছে এটা ধন্যবাদের দিন না, বরং ক্ষোভ আর অসহায়ত্ব আর হতাশার দিন, শোকের দিন। বিশাল সরল হৃদয় আর উদার আমন্ত্রন দিয়ে অভিবাসীদের সাদরে গ্রহন করে নেয়ার বিনিময়ে অভিবাসীরা তাদের উপহার দিয়েছে জরা, দাসত্ব, নির্মম মৃত্যু আর সগোত্রে বিলুপ্তি। ওদের কাছে এটা পাঁচশো বছরের নেমকহারামি মনে করিয়ে দেয়া একটা তিক্ত স্মৃতি ফিরে আসার দিন। প্রথম ধন্যবাদ দিবসের পনেরো বছরের মধ্যে ঈশ্বর বন্দুকধারী চার্চওয়ালাদের পক্ষ নিয়েছেন। ১৬৩৭ সালে পিকোওট আদিবাসীদের ৭০০ জন নারী-শিশু-পুরুষকে আগুনে পুরিয়ে মারে ব্রিটিশ সভ্য লোকেরা। ওয়াম্পানোয়্যাগরাও এ সময়ে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অসম এক যুদ্ধে নামে। যে মাসাসোয়াহ'র মহানুভবতায় অভিবাসীদের প্রান বাঁচে, ১৬৭৫-এ তারই এক ছেলে মেটাকম বর্তমানের নিউ ইংল্যাণ্ড এলাকার অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে। কিং ফিলিপের যুদ্ধ নামের এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শেষে আমেরিকার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের তাবৎ আদিবাসী ইনডিয়ানরা সমূলে বিলুপ্ত হয় – গুলিতে, আগুনে পুড়ে মরে, দাস হয়ে বেঁচে গিয়ে মরে, নাহলে পালায় জন্ম-জন্মান্তরের বসতি ছেড়ে। সে সময়ের কোন কোন ইওরোপীয় কলোনীর লিখিত ইতিহাস বলে এই বিজয়গুলো উদযাপনের জন্য তারা নাকি বিরাট বিরাট ভোজ দিত আর সেগুলোকে থ্যাঙ্কসগিভিং উৎসব বলতো। সভ্য মানুষের থ্যাঙ্কসগিভিং উৎসবের আসল শুরু হয়তো এই মহতী বিজয়ের আর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের দিনগুলো উদযাপন করার উদ্দেশ্যেই।
মন্তব্য
এই একটা লেখা পড়তে পড়তে আরো পনেরটা লিঙ্কের পেজ খুলে রাখতে হয়েছে। কারণ, বেশির ভাগ জিনিষই অন্য কালচারের - অজানা।
থ্যাঙ্কস গিভিং সম্পর্কে এই পর্যন্ত দেশি লেখক আর বিদেশী বন্ধুদের কাছ থেকে যা কিছু পড়েছি, শুনেছি, জেনেছি তার মধ্যে এই লেখাটাই সবচে' গোছানো, সবচে' সমৃদ্ধ মনে হয়েছে। ভাষার সাবলীলতা, তথ্যের সমৃদ্ধি, মানবিক স্পর্শ লেখাটিকে অনন্য করেছে। এমনকি এতে নাটকীয়তা পর্যন্ত আমদানী করতে পেরেছেন!
আচ্ছা "মে ফ্লাওয়ার" জাহাজের ঘটনা কি এই দিনের সাথে জড়িত? যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার থ্যাঙ্কস গিভিং-এ তারিখের আর আয়োজনের ভিন্নতাই বা কেন?
থ্যাঙ্কস গিভিং-এর সাথে জড়িত হোক বা না হোক, উত্তর আমেরিকায় এথনিক ক্লিনজিং নিয়ে আপনার কাছ থেকে অন্ততঃ একটা লেখা পাওনা হয়ে গেল। Algonquian আর Geronimo-দের গল্প তো শুনতেই হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাহ, ধন্যবাদ! আমি তো ভেবেছি তাড়াহুড়া করে লিখেছেন কেন জাতীয় সূক্ষ্ণ ঝাড়ি খাব একটা!
মে ফ্লাওয়ার জাহাজের যাত্রীদের কেউ কেউ হয়তো প্রথম থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের ভোজে থেকে থাকতে পারেন, সময়কালটা কাছাকাছিই, কিন্তু সেরকম সরাসরি কোন সংশ্লিষ্টতা পাইনি কোন রেফারেন্সে। ভালো প্রশ্ন। আরও খোঁজ খবর করে দেখবো।
ক্যানাডার জন্য তারিখটা ভিন্ন কেন সঠিক জানা নেই। তবে ধারণা করি যে সেরকম সুনির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। আমেরিকার দিনটার মত এটাও ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তারিখে পালন হতে হতে একসময় এখনকার তারিখে থিতু হয়েছে, হয়তো সে সময়ের কোন প্রয়োজনে, হয়তো শুধুই খেয়ালে।
এথনিক ক্লেনজিং নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে, কিন্তু গবেষনার পরিধিটা এত ব্যাপক, যে শুরু করতেই সাহস পাই না।
অনেক নতুন কিছু জানা হলো, ধন্যবাদ আপনাকে!
=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ধন্যবাদ আপনাকেও।
টার্কির মাংসের মতো স্বাদশূন্য বিখাউজ মাংস আমি আর খাইনি। সবরকমের মশলা প্রয়োগ করেও এর মানোন্নয়ন সম্ভব হয়নি আমার পক্ষে। আমাদের দেশী মুরগি বা বনমোরগের ওপরে আর কিছু নেই।
পোস্টটা খুব গোছানো হয়েছে, নতুন অনেক তথ্য জানলাম।
ধন্যবাদ।
স্বাদশূন্য বিখাউজ - টার্কির এর চেয়ে ভালো বর্ণনা হয়তো হয় না। দেশী মুরগীর ওপরে আর কিছু হয় না সেটাও সত্যি। আমি নিজে টার্কি রাঁধতে পারি না, তবে খুব দক্ষ হাতে রান্না টার্কি কিন্তু খেতে একেবারে খারাপ না। আর ওই রান্নার গুনটা যতদূর বুঝেছি মশলা বেশি না, কম দেয়ায়। আমরা সকালে নাস্তায় টার্কি সসেজ খাই, ওটাও কিন্তু বেশ মজার জিনিস একটা।
টার্কি সসেজের স্বাদ ভালো, আমিও বেশ পছন্দ করি। কিন্তু রান্নার পর টার্কির মাংস জিনিসটা এমন পানসে মেরে যায় ... কী বলবো ।
স্মোকড টার্কির সসেজ আমার ভালো লেগেছিলো, চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তাছাড়া দেশি কোর্মার স্টাইলে টক দই দিয়ে টার্কি ছোট ছোট কিউব করে রান্না করে দেখতে পারেন, সেটাও বেশ ভালো হয়।
=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
টার্কির আদিবাস আর নামকরণটা বেশ মজা পেলাম। কিন্তু ভারতে টার্কি আছে বলে শুনিনি। আমাদের তিতির তো অনেক ছোট। অনেক নতুনতথ্যও জানা হলো। তবে টার্কি কখনো খাইনি। দেখতেই মনে হয় স্বাদ হবেনা। হিমুর কথা শুনে মনে হচ্ছে ঠিকই।
বলেন কি! আপনি অনেকদিন দেশের বাইরে না? একবারও টার্কি খাননি!
হ্যাঁ, ভারতে টার্কি আছে বলে অমিও শুনিনি। কিন্তু বেশিরভাগ দেশেই ওটার নাম ভারতের পাখি, এটা একটু অস্বাভাবিক।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাগ্যিস এই লেখাটা মিস করিনি, আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটা লেখার জন্য
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
এটা আর এমন কী লেখা, বলুন! এখনই তো এর চেয়ে ভালো অনেকগুলো লেখা নীড়পাতায় ঝুলছে। তবুও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
জানা জিনিসও লেখার গুণে দিব্বি লাগল পড়তে৷
কিন্তু টার্কি একটি অতি অখাদ্য, অতি বিকট বিস্বাদ প্রাণী৷আর ক্র্যানবেরী সসও জঘন্য৷ :(
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য শুনলে টার্কিগুলো যারপরনাই অপমানিত হবে
বাহ, খাসা। পড়ে ভালো লাগলো। ভ্যালেন্টাইন/ মাদার/ফাদার/টিচার ডের মতো কবে এটা ঢাকায় মাইগ্রেট করবে সে ভাবনায় আছি।
হা হা, ভালো বলেছেন, বস। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর গুছানো লেখা। পড়ে ভালো লাগলো
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধন্যবাদ পথিক! আপনার এর পরের ফটোব্লগ কবে আসছে?
টার্কির নামকরণটা মজাদার আর শেষের প্যারাটা হতচকিত করে দিলো। লিঙ্ক দুটো খুলেও একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম।
... এই পোস্ট প্রিয়তে না নিয়ে উপায় নাই- প্রচুর তথ্যের রেফারেন্স হিসাবে কাজ করবে ভবিষ্যতে।
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ধন্যবাদ শব্দশিল্পী! এই সামান্য ব্লগরব্লগর যদি কাজে আসে কখনও, তাহলে তো ভালোই!
সুন্দর গুছানো লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। অনেক কিছুই জানা হল এই পোস্টটার সৌজন্যে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ, নিবিড়।
টার্কির আদি নিবাস মেসোআমেরিকায়, জ্যারেড ডায়মণ্ডের "গানস, জার্মস অ্যান্ড স্টিল"-এ সেরকমই পড়েছিলাম। এর বর্তমান আকারের পেছনে সম্ভবত ডোমেস্টিকেশন দায়ী। তিতিরগোত্রের বুনো নমুনাগুলি আকারে ছোটো হয়।
বইটা পড়িনি। মেসোআমেরিকা কোন জায়গাটা... মধ্য আমেরিকার কোথাও?
হ্যাঁ, আজকালকার টার্কিগুলোর খাসির মত সাইজ হবার কারণ মূলতঃ স্টেরয়েডের যথেচ্ছ ব্যবহার।
হ্যাঁ, দুই আমেরিকার মাঝের অঞ্চলটা।
অনেক ভালো লাগল লেখাটা। এবারই প্রথম এটা সম্পর্কে জানতে পেরে আরও জানার কৌতূহল হয়েছিল-- আপনার লেখা পড়ে যার অনেকটুকুই মিটল। তারা দেয়ার যোগ্যতা থাকলে আরেকটি পাঁচ তারা দিতাম।
তারা নিয়ে একদম ভাবার দরকার নেই, আপনার ভালো লেগেছে সেটা জানালেন, ওই যথেষ্ট। আর, নিবন্ধন না করে থাকলে করে নিন, মন্তব্য আর লেখা চালিয়ে যান, তারা দেবার ক্ষমতাও হয়ে যাবে শিগগিরই।
সময়াভাবে আগে পড়ে উঠতে পারিনি। এখন পড়লাম এবং মুগ্ধচিত্তে, বিনীত মস্তকে পাঁচখান তারা রেখে গেলাম।
অনেক ধন্যবাদ!
অনেক ভালো লাগল লেখাটা। পড়ার সময় আমাদের পার্বত্য চট্রগ্রামের আদিবাসীদের কথা খুব মনে পড়ল।
ধন্যবাদ, জুম্ম। মনে পড়াটাই স্বাভাবিক। আদিবাসীদের উপর অনাচারের কাহিনী তো স্থান-কাল-পাত্রভেদে কমবেশি একই রকম।
আদিবাসী আমেরিকানদের উপর ইউরোপীয়দের অত্যাচারের কথা মনে আসলেই ডিজনী'র পোকাহণ্টাসের সেই অপূর্ব গানটা মনে পড়ে, ভ্যানেসা উইলিয়ামস-এর গাওয়া Colors Of The Wind.
You think the only people who are people
Are the people who look and think like you
But if you walk the footsteps of a stranger
You'll learn things you never knew you never knew
Have you ever heard the wolf cry to the blue corn moon
Or asked the grinning bobcat why he grinned?
Can you sing with all the voices of the mountains?
Can you paint with all the colors of the wind?
আজকেই কাকে যেন জিজ্ঞাসা করছিলাম থ্যাংকসগিভিং এর ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে; আপনার লেখা পড়ে সব ফকফকা হয়ে গ্যালো!
"Life happens while we are busy planning it"
তাই নাকি! খুশী হলাম শুনে
গতকাল টার্কির মাংস খেলাম। ভালো না খেতে।
হুমম।
চমৎকার লাগলো, বিশেষত টার্কির নামকরণের গল্পটা।
আমাদের থ্যাঙ্কসগিভিং প্রতি বছরই টার্কিবিহীন কাটে। এতো সব খাসা খাসা মাংস থাকতে ঐ পাখি খাবো কেন তাই ভাবি। আমাদের থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের গল্প শোনানোর ইচ্ছা আছে (যে উৎসব রোববার অবধি চলবে), দৌড়ের ফাঁকে একটু সময় পেলেই নামিয়ে দেবো।
নামিয়ে দিন নামিয়ে দিন! আরেক রোববার আসার আগেই, যদি পারেন। আপনার দৌড়াদৌড়ির পরিমাণ তো বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে যাচ্ছে আপনার পাঠকদের জন্য।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
অফটপিক: আপনার মন্তব্যটা দেখার পরপরই পোস্টে আবার একটু দ্রুত চোখ বুলিয়ে নিলাম, দু-একটা বানান ভুল ছিলো, ঠিক করে দিলাম
মুলোপাঠুদা'রে তাইলে আপনেও ডরান !
এতোসব জানা-অজানা তথ্য ধারণ করে যে লেখা, সেটা কি ভালো না লেগে পারে ! খুব ভালো হয়েছে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
উনাকে ঠিক ডরাই না। তবে আমার ডিকশনারিগুলো খুব ভারী ভারী কি না...
ভালো লাগলো জেনে ভালো লাগলো।
ধর্ম্মপুত্র আপনি পারলে আপনি, নয়তো তুলিরেখাকে ধরেন। পোকাহন্তাসের গল্পটার একটা বিশ্লষনাত্মক পাঠ দরকার। আমার কাছে যা আছে সবই শিশুতোষ ভার্সান। তাই বিস্তারিত লিখতে পারছিনা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
উত্তম প্রস্তাব। তুলিরেখাকে ধরলাম।
যুধিষ্ঠিরদা, দারুন লেখা, আপনার রিসার্চ দেখে ডরাইলাম। তবে লেখা দক্ষ হাতে রাঁধা টার্কির মতন সুস্বাদু হয়েছে, টার্কির বুকের উপরের লেয়ারের মাংস খেতে আমার ভালোই লেগেছে। বেশি পুরুত্বের কারনের ভিতরের দিককার মাংস পানসে লাগে। অনেক কিছু জানা হল, এবছরের থ্যাংকসগিভিং এ অবশ্য বাসায় খেয়েছি, নিজে ছাইপাশ রেধে নিজেই খেয়েছি। নাকের নিচ দিয়ে কিছু দিতে পারলেই বাঁচি মার্কা অবস্থা ছিল। লেখায় ।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম, সাইফ। রিসার্চ তেমন কিছু করিনি আসলে। অনেকদিন ধরে এ দেশে থাকার কারণে ঘটনাগুলো জানা ছিলো, সঙ্গে শুধু বিভিন্ন লিঙ্কগুলো খুঁজে জুড়ে দিয়েছি প্রামাণ্য রেফারেন্স হিসেবে।
নতুন মন্তব্য করুন