লোকজন তাকে ডাকে কুড়াইল্যা বলে। প্রকৃত নাম কেউ জানে না। জানে না তার আসল ঠিকানা কি। হয়তো বা এসব ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেনি কেউ। কিংবা জিজ্ঞেস করলেও লোকটা কোনো জবাব দেয়নি। সেই কারণেই হয়তো তাকে ব্যক্তিগত প্রশ্নবাণে কেউ বিদ্ধ করতো না। এমন কি তার অতীত ইতিহাস নিয়েও মাথা ঘামাতো না কেউ।
যদিও তখন তার বয়স ছিলো পঞ্চাশ। চুল-দাড়ি সাদা হয়ে গিয়েছিলো। তবুও লোকজন অনুমান করতো যে, বয়সটা তার আরো বেশি। কিন্তু পেশীবহুল শরীরটা দেখলেই আর বিশ্বাস হতে চাইতো না যে, লোকটি বুড়ো হয়ে গেছে। সে যেই কুড়ালটি দিয়ে গাছ কাটে সেটির ওজন নাকি সাড়ে সাত সের। অনেক সময় নিজেরাও আগলে দেখেছি। তখন মনে হতো ওজন আরো বেশি হবে। শক্তিশালী মানুষ বলে সে ওজনটা ঠিক অনুমান করতে পারে না। সে কুড়াল কাঁধে হাঁটে। এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রাম। লোকজন তাকে ডেকে নিয়ে যায় কোনো গাছ কেটে জ্বালানীর লাকড়ি সংগ্রহের জন্য। চুক্তিতে সে মানুষের গাছ কেটে দেয়।
এখন অবশ্য গ্রাম এলাকায় আগের মত গাছ নেই। এমনও সময় গেছে একটি গাছ কেটে মাটিতে শোয়াতেই তার নাকি লেগে গেছে একসপ্তাহ। এখনকার মত মানুষজন অতটা হিসেবী ছিলো না। সকাল বিকাল রাতের খাবার ছিলো বিনা পয়সায়। কখনো দু বেলার ফাঁকে চিড়া অথবা মুড়ি মিলতো। কাজ শেষে পারিশ্রমিকের সঙ্গে উপরি হিসেবে মিলতো পাঁচ-দশসের চালও। এখনকার মানুষ যেমন অভাবী, তেমনি হিসাবীও। কেউ তিনবেলা খাওয়ানোর কথা রাজি হয় না। তাই চুক্তিতে কাজ করে সে। দিনরাত মিলিয়ে কাজ শেষ করে পাওনা টাকা নিয়ে চলে যায়।
অনেক বছর আগে সে এসেছিলো এই গ্রামে। গ্রামটির নামও তার নামের মতই অদ্ভূত। খাদঘর। এ গ্রামেই সে বিয়ে করেছে। থাকে শ্বশুরবাড়ি। গাছ কাটার কাজ করে যা আয় হয় মোটামুটি চলে যায় সংসার। এ নিয়ে স্ত্রী-সন্তানের অভিযোগের মুখে কখনো পড়তে হয়নি তাকে। অবশ্য সবই শোনা কথা।
তার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি কৌতুহলোদ্দীপক জনশ্রুতিটি হচ্ছে যে, বৃটিশ আমলে সে কোনো ইংরেজ সাহেবকে খুন করে পালিয়েছিলো। কিন্তু সেই কথা কুড়াইল্যা নিজেও কখনো স্বীকার করেনি। তবে আমরা যখন নিতান্তই কিশোর তখন তাকে মাঝে মাঝে কষে ধরতাম তার পালিয়ে আসার কাহিনী বলতে।
তখন সে একটি গল্পই আমাদের শোনাতো যে, সে বৃটিশ আমলে মিলিটারিতে চাকরি করতো। কিন্তু লেখাপড়া না জানার কারণে চাকরিটা তার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। সে আর চাকরি করতে চাইলো না। একদিন উপরের অফিসারকে কিছু না জানিয়েই সেনা ছাউনি ছেড়ে সে চলে গেল তার নিজ গ্রামের বাড়ি। আমরা গল্প শোনায় এতটাই মশগুল থাকতাম যে, তখন ভুল করেও মনে পড়তো না একবার জিজ্ঞেস করি তার গ্রামের নাম। এখন বুঝতে পারি যে, গল্পের তোড়ে হয়তো সে বলে ফেলতে পারতো তার গ্রামের নাম এমন কি থানা জেলার নামও। আমরা গল্প শোনায় মন দেই। সে আরো জানায়, একদিন রাতের বেলা পুলিশ আর মিলিটারি মিলে তাকে ধরে নিয়ে যেতে এলো। ঘর থেকে সে জানালো যে সে যাবে না। কিন্তু সরকারি হুকুম বলে কথা। তখন মিলিটারির চাকরি থেকে পালিয়ে আসা মানে ধরে নিয়ে গুলি করে মারবে। তখন তার বয়স আর কত হবে! বড় জোর বিশ-বাইশ। তেমন বয়সে কি কেউ বন্দুকের গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়াতে চায়?
কুড়াইল্য তখন একটি কাইল নিয়ে ঘুরিয়ে ঘরের পেছন দিককার বেড়ার উপর ছুঁড়ে দেয়। বেড়া ভেঙে গিয়ে সেই কাইল গড়িয়ে চলে যায় বাড়ির পেছনকার পাটক্ষেতের ভিতর। বর্ষাকাল বলে পাঠক্ষেতের পানিতে ছপছপ শব্দ হয়। পাটগাছ ভাঙার পটাপট শব্দ হয়। শব্দ হয় একটি গাছের সঙ্গে আরেকটি গাছের বিচিত্র ঘষ্টানির। দরজায় দাঁড়ানো পুলিশ মিলিটারিরা ভাবলো লোকটা বেড়া ভেঙে বাড়ির পেছনকার পাঠক্ষেতে আত্মগোপন করেছে। কিংবা পালাচ্ছে সেই পথেই। তারা সবাই ছুটলো পাটক্ষেতের দিকে। আর সেই অবসরে লোকটা ঘর থেকে বেরিয়ে এলো।
এলো তো এলো। সেই যে ঘর ছেড়ে এলো, লোকটি আর সেই মুখো হয়নি কোনো দিন। এখন তার গ্রাম বলতে খাদঘর। তার ঠিকানা বলতে এই খাদঘর গ্রাম।
কখনো তাকে জিজ্ঞেস করতাম, দেশে যখন মুক্তি যুদ্ধ শুরু হয় তখন কোথায় ছিলেন? আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, নাকি রাজাকার?
লোকটি তখন জানিয়েছিলো যুদ্ধ কি সে জানে না। তবে পাকিস্তানি মিলিটারি একজনকে সে মেরেছিলো কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে। রাজাকাররাও তাকে ভয়ে কিছু বলতো না। তখনও সে কাঁধে কুড়াল নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছে। ঘুরে বেরিয়েছে যুদ্ধ উত্তপ্ত গ্রামেও।
মোল্লা মৌলবিরা তাকে পছন্দ করতো না। সে নামাজ পড়তো না। মসজিদে যেতো না। আসলে সে তো নামাজ কি জিনিস তাই বুঝতো না। কিভাবে পড়তে হয় জানতোও না। অবশ্য অনেক পড়ে তাকে জুমার নামাজের সময় মাঝে মধ্যে মসজিদে দেখতে পেতাম। হয়তো শিখে নিয়েছিলো কিংবা মোল্লা মৌলবিদের ভয়ে সমাজে হেনস্থা হওয়ার ভয়ে এমনিই মাথায় টুপি দিয়ে মসজিদে চলে আসতো হাতমুখ ধূয়ে।
এই নামাজ পড়া নিয়েও সে একটি মজার গল্প বলতো। বলতো যে, কি হয় নামাজ পড়লে? কেন নামাজ? কার জন্য নামাজ? এসব কথা অবশ্য সে গল্পকরার সময়ই বলতো। অন্য সময় এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করতো না। নামাজের জন্য সে একবার বেদম পিটুনি খেয়েছিলো। পিটিয়েছিলেন একজন পিরসাহেব। হাতের ছড়ি দিয়ে। চরম আক্রোশে। হয়তো শয়তান কিংবা ইবলিসের কথা মনে করে। যে তার প্রভূর অবাধ্যতার কারণে বিতাড়িত হয়েছিলো ভেস্তখানা থেকে। যারা নামাজ পড়ে না তারা সেই বিতাড়িত শয়তান বা ইবলিসেরই সঙ্গী। পির সাহেব ভরা মজলিসে লোকজনের সামনে পিটিয়েছিলেন তাকে।
ওয়াজ মাহফিল করতে এসে পিরসাহেব উপস্থিত লোকজনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন কে কে নামাজ পড়ে? তখন সবাই হাত তুলেছিলো। পির সাহেবের বয়ান শোনার জন্য সেই সময় কুড়াইল্যাও উপস্থিত ছিলো সেই মজলিসে। কেবল সে একজনই হাত তুলেনি। হাত তুলেনি এ কারণে যে, সে নামাজ পড়ে না। কেন সে মিছেমিছি হাত তুলবে? তাই সে হাত তুলেনি অন্যের দেখাদেখি।
পির সাহেব অগ্নিমূর্তি হয়ে বলেছিলেন কেন সে নামাজ পড়ে না? আর সঙ্গে সঙ্গে পিটুনি আরম্ভ করেছিলেন হাতের ছড়ি দিয়ে।
পিটুনি খেয়ে সে বলেছিলো যে, সে নামাজ পড়তেই জানে না। পির সাহেব ক্ষান্ত দিয়েছিলেন একজন বে নামাজিকে নামাজি বানানোর চিকিৎসায়। সেই পির সাহেব পরে কখনো তাকে নামাজ পড়ানো শিখানোর কোনো ব্যবস্থা নিয়েছিলেন কিনা তা অবশ্য তার মুখনিসৃত গল্প থেকে আমরা জানতে পাই না। আমরা জানতে পাই না সে কোনো সুরা-কালাম শিখেছিলো কি না।
দিন দিন বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল। কুড়াইল্যার কাজও কমে এসেছে। লোকজন আগের মত আর ডাকে না তাকে। বয়সও হয়েছে। কিন্তু সে যে আর কোনো কাজ জানে না। কিছু একটা করে তো খেতে হবে। এমন তো না যে তার জন্য খাবার নিয়ে কেউ বসে আছে। কিংবা গাছকাটার আয় দিয়ে সে জুটিয়ে নিয়েছে অনেক সম্পদ! অভাবের কারণেই তাই তাকে ছাড়তে হয়েছিলো তার আদি পেশা। সে বাধ্য হয়েছিলো তার পেশা পরিবর্তনে। পরে দেখেছি সে ক্ষেতের কাজেও যেতো। ক্ষেত নিড়ানী বা ধানের চারা রোপনের কাজেও যেতো। সময়ের দুর্বিপাকে তাকে দীঘদিনের পেশা গাছকাটার কাজ ছেড়ে নতুন কাজ শিখতে হয়েছিলো।
এভাবেই একজন মানুষ, একজন প্রাক্তন বৃটিশ সেনা, একজন মুক্তিযোদ্ধা আশপাশের গ্রামের মানুষদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলো গল্পে গল্পে। মিশে গিয়েছিলো তার সারল্যে, কর্ম দক্ষতায় আর সততায়। মানুষ তাকে ভালোবাসতো।
হয়তো ভালোবাসতাম আমরাও। আমিও। নয়তো অনেক বছর পর যখন একদিন তার কথা হঠাৎ মনে পড়লো, তখন জানতে চেয়েছিলাম আমার গ্রামের দু একজনের কাছে। তারা জানিয়েছিলো যে লোকটি মারা গেছে। কথাটি শুনে ব্যথিত হয়েছিলাম। একবার ইচ্ছে হয়েছিলো যাই, তার কবরটা দেখে আসি। কিন্তু লোকজন কি ভাববে ভেবে আর যাওয়া হয়নি।
তারপরই মাসখানেক পর অকস্মাৎ খবর পাই যে লোকটি বেঁচে আছে। মরে যায়নি। তখন অনাস্বাদিত একভালোলাগা আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে। যে অনুভূতির কথা কাউকে ব্যক্ত করতে পারি না।
মন্তব্য
লেখা পড়ার আগে আপনাকে হাফ-সচল হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা।
আলমগীর। ধন্যবাদ আপনাকে।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
- অসাধারণ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূসর গোধূলী বারে অসাধারণ বললে, আমার মধ্যে কি হনুরে ভাব চইলা আসতে পারে। পরে আবার গেনুরে কাইয়া কানতে হয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ভাল লাগল ।। এটা কি সত্যি ঘটনা?
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
কেবল ছানা দিয়ে মিষ্টি হয় না। বড় জোর কাঁচাগোল্লা হতে পারে। ১০০% সত্য নয়। গল্প পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আলমগীর আর ধুসর গোধূলির মন্তব্যে ডিটো। *****
নু.তা আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আচ্ছা, পিটিয়ে কাউকে ধার্মিক বানানো যায়?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
বাহ্যিক ভাবে যায়। কেউ মসজিদে যাচ্ছে বা নামাজ পড়ছে দেখলে মোল্লা টাইপের মানুষগুলো খুশি হয়। সে ভেতরে ভেতরে কার গোষ্ঠী উদ্ধার করছে সেটা তো চোখে পড়ে না। কাজেই মসজিদ ভরে যাক মুসুল্লিতে। যাবতীয় ব্রথেল আর সিনেমা হল রূপান্তরিত হোক মসজিদে। লারায়ে তকবির!
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
না... তবে অধার্মিক প্রমাণিত কাউরে পিটাইলে নিজের ধর্ম পোক্ত হয়... নেকী হয়... জন্নাত নিশ্চিত হয়... নিজের অধার্মিকতাগুলারে জানান দিয়া ঢাইকা রাখা যায়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এক্কেরে হাসা কথা !
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অয়ও।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
কথায় আছে না- চোরের মায়ের বড় গলা! ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
জুলিয়ান ভাই খাসা লিখছেন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কীর্তিনাশা, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
খুব ভাল লাগল আপনার লেখা। আমাদের আটপৌড়ে জীবনে কাঠুরিয়াদের জন্য খুব কমই অনুভূতি অবশিষ্ট থাকে। আপনার লেখনিতে তা হৃদয়ে দোলা দেয়। মনে পড়ে আমাদের রমেশদার কথা।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এরা কখনো এমনভাবেই আমাদের জীবনে সম্পৃক্ত হয়ে যায় যে, অনেক সময় তার উপস্থিতিটাই চোখে পড়ে না। কিন্তু অনুপস্থিতিটা বড় হয়ে বাজে।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
নতুন মন্তব্য করুন