বুড়ো বয়সে এসেও নৌকার লগি ঠেলতে এতটুকু হাত কাঁপে না রহিমুদ্দির। তবু কখনো কখনো ইচ্ছে হয় স্রোতের মুখে নৌকার লগি তুলে পাটাতনের উপর চিত হয়ে শুয়ে থাকতে। নৌকা ভেসে যেতো আপন গতিতে আর সেই বিশাল আকাশটাকে দেখতে দেখতে হারিয়ে যেতো দূরে কোথাও। নৌকা ভেসে যেতো সমুদ্রে। সে নৌকা নিয়ে যেখানেই যাক না কেন, সওয়ারি অথবা মাল আনা নেওয়ার কাজ সহজেই পেয়ে যাবে। তার শূন্য ঘর পড়ে আছে বিরান। যে কারণে তার ঘরে ফেরার তাড়া নেই। নেই দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে যাবার উৎকন্ঠাও। কিন্তু ছাপ্পান্নতে পা দিলেও তার শরীরের গঠন এখনও অটুট। একটি দিন বিনা কাজে বসে থাকবার কথা ভাবতে পারে না সে। কাজ করা মানেই পয়সা। আর পয়সা মানেই খাবারের নিশ্চয়তা। খাবারের নিশ্চয়তা না থাকলে তার হাত পা থামতে চায় না। চোখ থেকে উধাও হয়ে যায় ঘুম। যেহেতু তিন কূলে তার কেউ নেই যে তার জন্য খাবার নিয়ে আসবে বা খাবার নিয়ে অপেক্ষা করবে। এমন আশা সে করেও না। কোনোরকমে কাজে ঢিল পড়লেই তাকে না খেয়ে থাকতে হবে। কারণ ক্ষুধাকে তার দারুন ভয়। কিছুটা ঘৃণাও করে বুঝি। তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা বলে যে, ক্ষুধার মত কষ্ট আর ভাতের মত সুস্বাদু জগতে কিছু নেই। তার ভাত হলেই চলে। কখনো কখনো সাথে লবন মরিচ কিংবা তরিতরকারি থাকলে আরো উপাদেয়।
সেই ছোটবেলা থেকেই সে ক্ষুধাকে ভয় পায়। একদিন তার বাবা কাজের সন্ধানে শহরে গিয়েছিলেন। ফিরতে দেরি হচ্ছিল দেখে তার মা হায় আফসোস করছিলেন যে, ঘরে যে পরিমাণ ভাতের চাল আছে তাতে দুদিন ভাল মত চলবে না। মায়ের আশঙ্কার কথা শুনে রহিমুদ্দি ভয় পেয়েছিল। যদি তার বাবা ফিরে না আসে তাহলে দুদিন পর সে খেতে পাবে না। সেই ভয় পরদিন তাকে তাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল প্রায় পনের মাইল দূরে, চৌধুরীদের ইটের ভাটায়। কাঁচা বা পোড়া ইট মাথায় করে স্থানান্তরের কাজ।
ক্ষুধার ভয় তাকে এতটাই তাড়িত করেছিল যে, ঘরে যদি খাবার না থাকে, তাহলে তার মাও না খেয়ে থাকবে; কথাটা একবারের জন্যও মনে পড়েনি। কিন্তু দিন দশেক পরে যখন তার এ কথা মনে হয়, তখন সে বুঝতে পেরেছিল যে, বাবা ফিরে না এলে তার মাকেও ভাতের কষ্ট পেতে হবে। আর এ কথা মনে হতেই সে ম্যানেজারের কাছে ছুটে গিয়েছিল।
ম্যানেজার রহিমুদ্দির কথা শুনে অবাক হয়ে বলেছিল, তুই বাড়ি যাস না দশদিন হইয়ে গেছে?
হয়!
আরে, এহানে যারা কাজ করতি আসে তিন দিন পার হইয়ে গেলেই বাড়ি যাবার জন্যি পাগল হইয়ে ওঠে। বাড়ি যাতি না পারলে কাজকর্ম বন্ধ কইরে শুইয়ে থাকে!
মা মনে কয় ভাতের কষ্ট পাচ্ছে!
তালি তুই বাড়ি যাবি ক্যান? তুইও তো না খাতি পাইয়ে কষ্ট পাবি!
মায়েরে ট্যাহা-পয়সা দিয়েই চইলে আসবোনে!
এর পর আর যাওয়া হয়নি রহিমুদ্দির। বাবা মা দুজনেই তাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেঁদেছিলেন। শেষে তারা তাকে কিরে দিয়ে বলেছিলেন, আমাগেরে ফেলে কোনোদিন কুথাও যাবিনে! আমরা মইরে গেলে পরে যেহানে খুশি সেহানে যাইস!
এরপর বাবা মা যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন রহিমুদ্দি কোথাও যায়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধের বছর যেদিন গ্রামে মিলিটারি ঢুকে পড়েছিল সেদিন তার বাবা মা দুজনেই তাকে বাড়ি ছেড়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে বলেছিলেন।
সে এমন বিপদের দিনে বাপ মাকে ছেড়ে অন্ত্বসত্তা স্ত্রী আয়শাকে ছেড়ে যেতে না চাইলে মা বলেছিলেন, 'আমাগের সামনে যদি তুই গুল্লি খেয়ে মরিস তালি হাশরের দিনে ঠেকা থাকবি!'
রহিমুদ্দি আয়শার দিকে তাকিয়েছিল করুণ দৃষ্টিতে। আয়শাও তাকে বলেছিল, 'দেরি করবেন তো আমার মাথা খান!'
এর পর সে আর দেরি করেনি। একছুটে পালিয়ে গিয়েছিল বাড়ি থেকে। কিন্তু সেই পালানোটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাতের বেলা চুপি চুপি ফিরে এসে সে উঠোনে পড়ে থাকতে দেখেছিল গুলি খাওয়া বিকৃত দুটি লাশ। আয়শাকে পায়নি সে। তার লাশও পায়নি। পরে শুনেছে যে আয়শাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল পাকবাহিনির লোকেরা।
সে রাতে কেউ যে তাকে সাহায্য করবে এমন কাউকে পাওয়া যায়নি। জানোয়ারের বাচ্চারা প্রতিটা ঘরেই আগুন দিয়েছিল। আগুনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি কিছুই। পোড়া ঘরের বাঁশ, কাঠের খাম্বাগুলোকে ধিকি ধিকি জ্বলতে দেখেছিল। যেভাবে তার বুকের ভেতরও জ্বলছিল প্রতিশোধের আগুন।
অন্ধকারেই খুঁজে পেতে একটা কোদাল সংগ্রহ করে একা একাই রহিমুদ্দি উঠোনের পাশে বড় একটা গর্ত খোঁড়ে। পুকুর থেকে পানি এনে দু'টো মৃতদেহের রক্ত ধুয়ে দিয়েছিল। তাদের দু'জনের ভাগ্যে কাফন জোটেনি। জোটেনি একটুকরো পরিষ্কার কাপড়ও। মায়ের পরনে যে কাপড়টা ছিল, সেটা ছিঁড়ে দু'টুকরো করে দু'জনের গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিল ভাল মত। তারপর মাটি চাপা দেবার আগে সে অযু করে আসে। অযু বলতে কেবল হাত পা মুখ ধোয়া। কুলকুচা করা পর্যন্তই। ওযুর দোয়া তার জানা নেই। জানা নেই কিভাবে জানাজা দিতে হয়। তবু সে তার মৃত বাবা মাকে সামনে রেখে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে বলেছিল, 'পাক পরেয়ারদেগার, রহমানুর রাহিম! আমি জানি না কোন দোষে পাকিরা আমার বাবা মায়েরে খুন কইরেছে! বাড়ি ঘরে আগুন দেছে! কোন পাপের শাস্তি তুমি তাগেরে এম্বা দিলা! তাও শেষ কালে নিদানের বন্ধু তুমি আর তোমার হাবিবের কুদরতের কাছে আমার বাবা মায়েরে তুইলে দিলাম। আমার যতদিন সাধ্যে কুলোয়েছে তদ্দিন তাগের হেফাজত করতি চেষ্টা করেছি। এখন তোমরা তাগের হেফাজত কইরো! তাগের ভেস্ত নসিব কইরো!'
দু'জনকে একই গর্তে নামিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল রহিমুদ্দি। পরে ফিরে এসে যাতে চিহ্ণ খুঁজে বের করতে সমস্যা না হয় সেই জন্যে সে কবরের উপর একটি খেঁজুরের ডাল আর আট-দশটা জিগা গাছের ডাল পুঁতে দিয়েছিল। ক'দিন পর খেঁজুরের ডাল শুকিয়ে গেলেও বেঁচে উঠবে জিগার ডালগুলো। এখানে কাছাকাছি কোন জিগা গাছ নেই বলে, একটা গাছ বেঁচে উঠলেই কবরের নিশানা খুঁজে পাওয়া যাবে। সেই সাথে বালতি বালতি পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিয়েছিল পুরো কবরের মাটি।
বাবা মাকে সমাহিত করার পর সে আর গ্রামে থাকেনি। ভোর হওয়ার আগে আগে, অন্ধকার থাকতে থাকতে সে সরে গিয়েছিল আরো দূরে, গ্রামাঞ্চলের গভীরে; মুক্তিযোদ্ধাদের আস্তানায়। যেখানে পাকিরা পৌছতে পেরেছিল তারও অনেক পরে। ততদিনে অবশ্য রহিমুদ্দি বন্দুক চালাতে শিখে গিয়েছিল। শিখে গিয়েছিল কিভাবে দাঁতে কামড়ে গ্রেনেডের সেফটি পিন খুলে নিয়ে কতটা দ্রুত আর নিরাপদ কৌশলে শত্রুর দিকে ছুঁড়ে দেওয়া যায়।
যতদিন দেশে যুদ্ধ ছিলো ততদিন সে আসেনি তার পোড়া ভিটেতে। আসেনি বাবা মায়ের কবর দেখতেও। কিন্তু যুদ্ধ শেষে কাঁধে স্টেনগান নিয়ে সে বিজয়ীর বেশে গ্রামে ঢুকলেও তার ঝুঁকে পড়া মাথা আর উঁচু করতে পারেনি। কিছুদিন এর ওর কাছে জানতে চেয়েছে স্ত্রী আয়শার কথা। কিন্তু কেউ হদিস দিতে পারেনি। কেবল অখিল কবিরাজ বলেছিলো, 'আয়শারে ওরা ধইরে নিয়ে গিয়েছে। দুপাশ থেইকে দুজন পাকি তার দুহাতে ধইরে টেইনে হেঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিলো ইস্কুল ঘরের ক্যাম্পে। সঙ্গে চেয়ারম্যান ছিলো। এডাও অনেকে দেইখেছে।'
অখিল কবিরাজ কিছুক্ষণ কান্না দমনের চেষ্টা করে পরে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলো, 'গিরামের যে ক'জন মেয়েরে পাকিরা ধইরে নিয়ে গিয়েছিলো পরে তাগের কারো লাশও পাওয়া যায়নি। কেউ বলে যে, সঙ্গে কইরে নিয়ে গেছে। কেউ বলে ইস্কুল ঘরের মেঝে খুঁড়ে সেহানেই মাটি চাপা দিয়েছে। কিন্তু ইস্কুল ঘরের পুরো ভিটের মাটি উল্টে ফেইলেও মানুষের একটা হাঁড় পাওয়া যায়নি!'
নিখোঁজ আয়শার সঙ্গে অখিল কবিরাজের দু'মেয়ে কাকলি আর কাজলিও ছিলো। রহিমুদ্দি কী সান্ত্বনা দিতে পারতো সেদিন? চেষ্টা করলেও পারতো না হয়তো। কারণ দু'জনের হৃদয় যে একই রকম আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত। একই রকম আগুনে প্রজ্জ্বলিত।
চেয়ারম্যান ফজলুকে পাওয়া যায়নি। গ্রামের মানুষ বলেছে যে, মুক্তি যোদ্ধারা তার হাত পা কেটে খালের পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছিল। তারও অনেক পরে গোয়ালন্দ ঘাটে এমন হাত-পা কাটা একজনকে দেখেছে ভিক্ষে করতে। রহিমুদ্দির সন্দেহ হয়েছিল যে, চেয়ারম্যান পানিতে ডুবে মারা যায়নি। কোনভাবে বেঁচে গিয়েছিল। এখন ভিক্ষে করা ছাড়া যার ভিন্ন উপায় নেই।
(চলবে...)
মন্তব্য
ক্যাটেগরি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি স্বকীয়তা বজায় রেখে চলছেন দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু ক্যাটেগরির মূল উদ্দেশ্যটা তাতে মার খেয়ে যাচ্ছে। আমার স্বল্প আইকিউ সম্বল করে যা বুঝতে পারছি, গল্পটির নাম নিক্কন. এবং এটি সাতটি গল্পাংশের একটি সিরিজ হতে চলেছে। এক্ষেত্রে সাবক্যাটেগরি হিসেবে "নিক্কন" ব্যবহার করলে ভবিষ্যতের পাঠকের জন্যে অধিকতর উপযোগী হতো। নিক্কন ট্যাগের ওপর ক্লিক করলে পরবর্তীতে সাতটি গল্পাংশ একটি পৃষ্ঠায় দেখা যেতো। যে দীর্ঘ বাক্যটিকে আপনি প্রথম গল্পাংশে ব্যবহার করছেন, পরবর্তী ছ'টিতেও সেই একই বাক্য ব্যবহার করলেও অবশ্য একই উদ্দেশ্য সাধিত হবে।
অনধিকার চর্চা করে থাকলে দুঃখ প্রকাশ করছি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধন্যবাদ হিমু।
কিন্তু ব্যাপারটি চেষ্টা করেও পারছি না। সাহিত্য ক্যাটেগরিতে গল্প ও অন্যান্যগুলোও আছে। কিন্তু শিরোনামটিই নির্বাচন করতে পারছি না। কিংবা বুঝতে পারছি না। দয়া করে আর একটু সহযোগীতা করুন।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
"কাঠের খাম্বাগুলোকে ধিকি ধিকি জ্বলতে দেখেছিল। যেভাবে তার বুকের ভেতরও জ্বলছিল প্রতিশোধের আগুন।, পোড়া ঘরের বাঁশ" এর পরিবর্তে "নিক্কন" ব্যবহার করা হলো। এখন দেখুন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধন্যবাদ। গুরু মানলাম।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
বর্ণনা এত নিখুঁতভাবে বিস্তৃত; দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
মন্তব্য যথেষ্ট প্রেরণাদায়ক। ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
অসাধারণ!!
এই পর্বটা যে পড়বে সে আগামী ৭ পর্বের জন্য বাধা পড়ে যাবে। খুব ভাল লাগলো। এই গল্পের সবকিছুই।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। পরেরগুলো পড়ে দেখুন। একই রকম লাগতেও পারে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
অতন্দ্র প্রহরী, মনে হয় এই প্রথম আমার গদ্যে আপনার বিচরণ। ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
- ফজলু চেয়ারম্যানের অতীত জানলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূসর গোধূলি, আপনার লেখা কই? একটা গল্প ছাড়েন তাড়াতাড়ি!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
- গল্প আর ধুসর গোধূলি, একলগে কখনোই দুজনে দুজনার হয় না বস!
আমি খেয়ালি কথন, বাউলা কথন লেখি। দেখি আপনের জন্যও একটা লিখবো নে। আফটার অল, অন্তত একজন পাঠক তো আছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রতীক্ষা।
ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
চমত্কার শুরু। দারুন লিখেছেন গুরু!
অপেক্ষায় থাকলাম বাকি পর্বের।
-------------------------------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অপেক্ষার জন্য ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আমিও যোগদান করলাম। এই রকম টাটকা টাটকা লেখা পড়ার মজাই আলাদা... *****
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
মনে মনে পাঁচতারা? তাও খারাপ না। মজাদার আর টাটকা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্রস্তুত থাকেন। চলবে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
"এখন ভিক্ষে করা ছাড়া যার ভিন্ন উপায় নেই।"
বেবাক রাজাকারে গুষ্টি যদি আইজ ভিক্ষে করি খাতো!
আঞ্চলিক শব্দের ব্যবহার ঘটনার বর্ণনাকে বাস্তব করে তুলেছে। চমৎকার লাগলো, অধীর আগ্রহে পরের পর্বের অপেক্ষায়।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ও শালাগের তো আগেও পোয়া বারো ছেলো। এহন হইয়েছে পোয়া চৌদ্দ। লক্ষনে বোঝা যাচ্ছে উল্টো ভিক্ষে কইরে খাতি হবে আমাগেরই!
মন্তব্যর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
যোগ দিতে দেরি করে ফেললাম। পরের পর্ব পড়ি এবার....
কি মাঝি? ডরাইলা?
জেয়াফতের আগ, দরবারের শেষ। কিন্তু পড়ার ব্যাপারটা যে কোনো সময় শুরু করলেও পাঠকের অসুবিধা নাই। ধন্যবাদ বিদ্রোহী।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
শেষ হলে একসাথে পড়বো।
সিরিজ লেখা পড়তে গেলে পরের পর্বের জন্য কেমন জানি ব্যতিব্যস্ত লাগে।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
একটা উল্টো কাজ করেছি ইচ্ছে করেই। তিন নম্বর পর্ব থেকে পড়া শুরু করেছিলাম। শেষ করে অতঃপর প্রথম পর্বে এলাম। পরীক্ষামূলক ছিলো। তবে এর একটা মাজেজা আছে। ওটা বলবো না। শুধু এটুকু বলি, প্রথম দুপর্ব না পড়েও পুরোপুরি গল্পের মজা এতটুকু ক্ষুন্ন হয়নি আমার কাছে।
একটা দারুণ অভিনন্দন আপনাকে ! ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনাকেও।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
নতুন মন্তব্য করুন