৪
পঞ্চবটি যাবার পথ খানিকটা ভিন্ন। সামনের ত্রিমোহিনী থেকে হাতের বাম দিকে যে খাড়িটা গেছে, সেটা এঁকেবেঁকে পঞ্চবটি গ্রাম ছুঁয়ে বিবির ছইয়াকে দু'ভাগ করে একটু বাঁক খেয়ে আবার ত্রিমোহিনীতে এসে পড়েছে। এখান থেকে নৌকা ঘুরিয়ে সোজা চালিয়ে যেতে হবে দক্ষিনে। পাকা সাড়ে তিন মাইল পথ। তারপর সে গিয়ে পুরোপুরি খালে পড়বে। তারপর নোয়াকান্দি আর গোলাকান্দি গ্রাম দু'টোকে দু'পাশে রেখে সোজা সিদ্ধেশ্বরী।
পুরুষ চড়নদারটি বলে, 'মাঝির কাছে বিড়ি থাকলি দেও দিনি একটা!'
রহিমুদ্দি কিছু না বলে একহাতে ট্যাক থেকে বিড়ি বের করে বাড়িয়ে দিয়ে বলে, 'সঙ্গে আগুন আছে না?'
'আছে!' বলে, চড়নদারটি বিড়ি নিয়ে পকেট থেকে দেশলাই বের করে আগুন জ্বালায়। তারপর বিড়িতে একটা দীর্ঘ টান দিয়ে বলে, 'বুঝছাও মাঝি, দুনিয়াডা এতই খারাপ অইয়ে গিয়েছে যে, কারু সঙ্গে ভালো থাহা যাবিনে!'
লগি ঠেলতে ঠেলতে রহিমুদ্দি বলে, 'দুনিয়ার আর দোষ কি বলেন! আসলে আমরাই দিন দিন খারাপ হইয়ে যাচ্ছি!'
'তাও কতা খারাপ কওনি!' রহিমুদ্দির কথায় যেন সায় দেয় সে।
তারপর আবার বলে, 'তয় কাউ যদি তোমার পায়ে ইচ্ছে কইরে পা চেপে ধরে, তালি তুমি কি তারে ছাইড়ে দেবা? অ্যাহেবারে চুপ মাইরে থাকবা?'
'তা কি আর অয়!'
'তো শালারা, মাইয়েডারে দিন-রাইত খাটায়ে খাটায়ে মারবি, তিন বেলা ঠিক মত খাতি দে! বছরে বেশি না হোক দুডো কাপুড় দে! না, তা করবে না! বলে, আমাগের বউ আমরা যেম্বা রাখবো এম্বাই থাকবে! এর আগের বার কলাম, মাইয়েডা যখন বেধবা অইয়েই গেছে, আমার সঙ্গে দিয়ে দেও- কয়ডাদিন থাইকে বেড়াইয়ে আসবেনে! শালারা তাও দিতি চায় না। বলে কি, সোয়ামী মইরেছে তো অইয়েছে কি, আমরাও কি মইরে গেছি! বউরে বাপের বাড়ি যাতি দেবো না!'
রহিমুদ্দি আনমনে বলে ওঠে, 'এযে দেখছি সাড়ে হারামজাদা!'
'কেবলি কি হারামজাদা! কও বেজন্মার বংশ!'
রহিমুদ্দি কিছুক্ষণ চুপচাপ লগি ঠেলে। তারপর বলে, 'আর কিছুক্ষণের মদ্যি আমরা ত্রিমোহিনী পৌঁছ্যা যাবো! তার বাদে হাতের বামে ঘুইরে নৌকা চালাতি হবি!'
চড়নদার বিড়ির শেষ অংশটা পানিতে ছুঁড়ে ফেলে রহিমুদ্দির দিকে মুখ তুলে বলে, 'মাঝির গিরামের নাম সুরেশ্বর না কি বইলেছিলা?'
'সিদ্দিশ্বরী!'
'কোন বাড়িডা তোমাগের কও দেহি!'
'জোড়া শহিদ বাড়ি!'
'ওই দুই শহিদ আমার মামুতো ভাই আর তার বউ!'
সঙ্গে সঙ্গে তার পরিচয় স্পষ্ট হয়ে যায় রহিমুদ্দির কাছে। সোৎসাহে বলে, 'তালি আপনে ছমেদ কাকা?'
'আমারে চেনলা কেম্বা?'
'আমি রহিমুদ্দি। তাই তো কই, আপনের গলা শুইনে কেম্বা জানি চিনা চিনা মনে হতিছিলো।'
'অ, রহিমুদ্দি! অন্ধকার বইলে তোরে চিনতে পারিনি বাপ! তা, তুই নৌকার কাজ আর ছাড়িসনি, লয়?'
'ছাড়বার সময় পালাম না কাকা! তা সঙ্গে ইডা কুলসুমি না ফাতুনি?'
'তুই কুলসুমিরে চিনতে পারিসনি!'
'এডা কুলসুমি?'
তারপরই রহিমুদ্দি হেসে ওঠে। তার মনে পড়ে যায় যে, ছোটো বেলা সবাই "কুলসুমি লো কুলসুমি, তোর কান দুডো ছিড়মুনি!" সুর করে বলে বলে তাকে ক্ষেপাতো। সে কুলসুমির দিকে তাকায় কিন্তু মুখটা স্পষ্ট দেখা যায় না। বলে, 'তোর কি মনে আছে কুলসুমি, তোরে কি বইলে ক্ষেপাতাম?'
কুলসুমি হেসে উঠে। 'তা কি ভুইলে যাবার কথা?'
সেই সাথে তার মুখর কৈশোর যেন একটু উঁকি মেরে যায়।
রহিমুদ্দি ছমেদ মিয়াকে বলে, 'তা কাকা, ফাতুনি কেম্বা আছে? ছাওয়াল-পাওয়াল কয়ডা?'
'ফাতুনি ভালই আছে। কিন্তু মেইয়েডার মনে অয় বাচ্চা-কাচ্চা হবেনানে! অনেক বছর তো হইয়ে গেল!'
রহিমুদ্দি এ কথার পিঠে কি বলতে পারে বুঝতে পারে না। সে চুপ চাপ লগি ঠেলে। দূর আকাশে চাঁদ মুখ বাড়ায়। বড়, গোল রূপার থালার মত চাঁদ। তবে এ থালার ছাল বাকল উঠে গেছে অনেকটা। যে কারণে একে দেখায় অনেক পুরোনো আর ক্ষয়ে যাওয়া।
ছমেদ মিয়া বলেন, 'তোগের বাড়ি যাই না পেরায় আঠার বিশ বছর হইয়ে গেল। বাড়ি গিয়ে তোর কহনো দ্যাহা পাইনে বলে আর যাবার গরজ হয় না। তা পরে বিয়ে করিছিলি কোহানে?'
'ওডা আর হইয়ে ওঠেনি!'
'তো এমন একলা একলা আর চলবি কতদিন?'
রহিমুদ্দি মনেমনে বলে, এমন কইরে চলতি তো আমারও মন চায় না। কিন্তু করবোডা কি? আমার এহন যা বয়স, এ বয়সে কাইরে কিছু কবার তো সাহস পাই না!
ছমেদ মিয়া নড়ে চড়ে বসে বললেন, 'এহনও সুমায় আছে ব্যাটা! বলতি গেইলে আমি ছাড়া তো তোর কাউ নাই! তাই বলতিছিলাম যে, আমি বাঁইচে থাকতি থাকতি কিছু একটা কর!'
ছমেদ মিয়ার শেষ দিকের কথাগুলো শুনতে পায় না রহিমুদ্দি। সে ভাবছিলো যে, যুদ্ধের বছরই বিয়ে হয়েছিলো কুলসুমির। ওর শ্বশুর বাড়ির দিকে পাকিরা যেতে পারেনি। তাই অনেকদিন ওরা যুদ্ধের খবর পায়নি। তাহলে কুলসুমি বিধবা হয়েছে বেশিদিন হয়নি। বছর পাঁচেক আগে একজন সরকারি লোক নিয়ে গিয়েছিলো সেদিকে। ফিরে আসবার সময় সে দেখা করেছিলো কুলসুমির সাথে। সে বলে, 'কাকা, তালি কুলসুমির সোয়ামী মইরেছে কতদিন?'
'তা ও তো পেরায় চাইর বছর হইয়ে গেল!'
'এর মদ্যি একবারও পঞ্চবটি আসেনি?'
'আসতি দেয়নি রে!'
ছমেদ মিয়ার কন্ঠে হাহাকার ফুটে উঠলো। 'আর এ জন্যিই তো ইবার মেইয়ে নিয়ে পলাইয়ে এয়েছি!'
রহিমুদ্দি মনে মনে ভাবে, এর চাইতে শরমের আর দু:খের কী থাকতি পারে! শ্বশুর বাড়ি নামের জেলখানা থেইকে মুক্তির জন্যি বাপের বাড়ি পলাইয়ে আসতি হয় যেই দেশে, সেই দেশের নাম কি? আর এই মুক্তির জন্যি অন্ধ-লুলা সমাজের সঙ্গে যে যুদ্ধ তারই বা কী নাম?
৫
ত্রিমোহিনী পেরোতে রহিমুদ্দি খানিকটা সময় নেয়। চাঁদের আলোয় চারদিক থৈথৈ করছে। আচমকা রহিমুদ্দির গান গেয়ে উঠতে মন চায়। কিন্তু সে তা করে না। একা থাকলে হয়তো গানে টান দিতে কোন সমস্যা হতো না। তবে এও ঠিক অন্য সময় হলে তার গান গাইবার ইচ্ছে হতো কি না কে জানে। জগতের যাবতীয় আনন্দের উৎস হচ্ছে নারী এবং শিশু। এ মুহূর্তে তার নৈাকায় পরিচিত একজন নারী রয়েছে। আর সেই নারীর উপস্থিতিই তার মনে দোলা লাগাবার হেতু বোধ হয়।
রাতের পথ বলে তেমন তাড়াহুড়ো করে না রহিমুদ্দি। যেহেতু দীর্ঘ একটা পথ পাড়ি দিতে হবে, সেই জন্য তাকে বেশি ক্লান্ত হওয়া চলবে না। এভাবে হালকা চালে নৌকা বেয়ে গেলে তার পরিশ্রমও কম হবে।
ত্রিমোহিনীর বাঁক পেরিয়ে রহিমুদ্দি বললো, 'কাকার বয়স তালি আশি পারাইল!'
'মনে তো হয়। আর তোর ও তো ষাট পেরোইছে লাগে।'
'ছাপ্পান্ন চলতিছে!'
'এ বয়সেও তুই নৌকা ঠেলতি পারছিস?'
রহিমুদ্দি ঝরঝরে কন্ঠে বলে, 'আমার তো কোন অসুবিধে হচ্ছে না কাকা! এহনো গায়ে যথেষ্ট বল রয়েছে! তা ছাড়া মানুষ তো দুর্বল হয় অসুখে আর না খাতি পেয়ে।'
'তাও কতা মিছে না!'
ছমেদ মিয়া যেন রহিমুদ্দির যুক্তি উপেক্ষা করতে পারেন না।
'ক্ষিদেরে আমার জব্বর ভয়! আমার খাওয়া ঠিক রাখতি যেইয়ে আইজও লগি ছাড়িনি! আপনেগের দোয়ায় গত তিরিশ বছরে তিনডে হাঁচি দিয়েছি বইলে তো মনে পড়ে না!'
'তালি বিয়েডা করলিনে ক্যান? সুমায় তো কম গড়ায়নি!'
ছমেদ মিয়ার কন্ঠে আক্ষেপের সুর বাজে।
'আমারে মেয়া দিয়ে কেডা বিপদে পড়তি চাবে কন কাকা! তা ছাড়া অনেক বছর ধইরে একলা একলা থাইকে কেমন জানি হইয়ে গেছি। বিয়ের কতা আর মনে অয় না!'
'পুরুষ মানুষ হইয়ে এডা একটা কতা কলি?'
ছমেদ মিয়ার হতাশ কন্ঠস্বরে যেন কোনো একটা প্রচ্ছন্ন ঈঙ্গিত থাকলেও রহিমুদ্দি তা ধরতে পারে না। বলে, 'ঠেকায় পড়লি মানুষের অনেক কিছুই মাইনে নিতি অয়। তা ছাড়া কোনোদিন খাটাখাটনি বেশি হইয়ে গেলে মাঝে মদ্যি গা-হাত-পা ব্যথা করে। তহন মনে অয় কেউ থাকলে...'
রহিমুদ্দি কথা শেষ করতে পারে না। তার আগেই ছমেদ মিয়া আবার বলে উঠেন, 'বিয়ে না করলি, তোরে শেষ কালে দেখবে কেডা? একলা ঘরে মইরে থাকবি, ইট্টু পানিও জোটবে না!'
'কাকা, বাপ মা তো দোকলা ছেলো, তাও তো তারা একই সময় চইলে গিয়েছে!'
'অমনডা আর কয় জনের ভাগ্যে জোটে! এই যে কুলসুমি বেধবা হইয়ে শ্বশুর বাড়ি ছেলো, তহন মনে কষ্ট পেয়েছি এক রহম, এহন বেধবা মেয়ে ঘরে তুইলেও আরেকটা কষ্ট মনে থাকবে! এর বিয়ে দিতি না পারলে মইরেও শান্তি পাবো নারে রহিমুদ্দি! বাপের কান্ধে বিয়ের মেয়ার বোঝা ছাওয়ালের লাশের চাইয়েও ভারি!'
'বাবা!'
কুলসুমি রহিমুদ্দির কান এড়িয়ে কন্ঠস্বর চেপে ছমেদ মিয়াকে সতর্ক করতে চায়। বলে, 'এত কথার কাজ কি?'
বাইরের একজন লোকের সামনে নিজের মাথা হেঁট হতে দেখে কুলসুমি। শোনে, কন্যা দায়গ্রস্ত নতজানু এক পিতার অন্তর্গত হাহাকার।
মেয়ের কথায় ছমেদ মিয়ার কষ্টের আগুনে যেনো তেল পড়ে। তিনি আরো অসহিষ্ণু কন্ঠে বলে উঠেন, 'মারে, তুই তো বাপ হইসনি, কী করে বুঝবি বাপের কষ্ট?'
চাঁদের পরিষ্কার আলোতে এখন কুলসুমির মুখ স্পষ্ট দেখতে পায় রহিমুদ্দি। গোলাকার, ভারাট মুখ। কিছুটা বুঝি চাঁদের মতও। হঠাৎ করেই তার বুকটা কেমন চিনচিন করে ওঠে। আর তখনি অসাবধানে লগিটা হাত ফসকে পানিতে পড়ে যায়। সাথে সাথে উবু হয়ে সে পানি থেকে লগিটা তুলে নেয়। ফের লগি ঠেলতে ঠেলতে সে চিন্তিত হয়ে পড়ে। হাত থেকে লগি ছুটে যাওয়া মানে তার ভষ্যিতের অন্নকষ্টের আভাস। এমন অলক্ষুনে কান্ড গত ত্রিশ বছরের ভেতর ঘটেনি। এ ভাবে নানা কথা ভাবতে ভাবতে রহিমুদ্দির কপালে চিকন ঘামের ফোঁটা বড় হতে থাকে। সে কুলসুমির দিকে তাকাতে সাহস পায় না।
(চলবে...)
মন্তব্য
ভালো লাগছে। বিশেষ করে সংলাপগুলো অতিরিক্ত সুন্দর!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
কতদিন আর ছেঁড়া স্যান্ডেল পিন্দা ঘুরবেন? (পরিবর্তনশীল নামটা তাইলে ফাও?) দেখলে তো মনে হয় আমার কপালেই ওইটা ছুঁইড়া মারতে তুলছেন।
পাঠোত্তর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
গুল্লি কইরা লই আগে ।
তা ভাই নিঃসঙ্গ রহিমুদ্দিরে দিয়া দেন কুলসুমির লগে বিয়া। আর কতকাল কষ্ট দিবেন বেচারারে।
-------------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বন্দুক ছাড়াই য্যামনে গুল্লি ছাড়েন ধারে কাছে কোনো ঘটক পাইতাসি না। নিজেরা নিজেরা করতে হইলেও কিছুটা প্রেম প্রেম ব্যাপার থাকতে হয়।
দেখি, তাদের মনের কোনো পরিবর্তন হয় কিনা। বিয়া হইলে অবশ্যই আপনের নেমন্তন্ন থাকবো।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আগেরবার গুল্লি হয় নাই তাই আবার গুল্লি করতে আইলাম।
-------------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এইবারও গুল্লি বাইর হয় নাই। বন্দুক ছাড়া গুল্লি? কীর্তি সবই নাশ কইরা দিলেন দেখতাসি!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
চমৎকার এগুচ্ছে লেখাটি। বাকিটুক পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বাকিটার সঙ্গে PDF সংযুক্ত হলো।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
- গুল্লি করতে চাইলে অক্সিজেনের জন্য কিছু জায়গা ছাড়তে হয় গুলি'র পরে নাশবাবু। নাইলে পরে গুল্লি আর বের হবেনানে।
অন্নকষ্টের আভাসটা ভালো লাগলো না। এটা আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি। গল্পের খাতিরে এটা আসতেই পারে। কিন্তু কেউ ভাতের কষ্ট পাবে, এটা মানতে পারি না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাইলে আরেকটু কষ্ট কইরা শুনেন ভাইজান।
মনে হয় ১৯৮৯। রামপুরা বাজারের কাছে মেসে থাকি। জগন্নাথে পড়ি। বাড়ি থাইক্যা বাবা মাসে মাসে টাকা পাঠায়। শর্ট পড়লে ভাইয়েগ কাছে যাই। একবার কোনো কারণে বাবা টাকা পাঠাইতে দেরি করলেন। আমার কাছে ছিলো একুশটাকা। এক রুমমেট ২০ টাকা ধার নিলো সকালে। কথা ছিলো দুপুরের আগে ফেরত দিবে। কিন্তু সময় মত ফেরত না দিয়ে সে বাইরে বাইরে ঘুরলো। দুপুর পার হয়ে গেল। একটাকা দিয়ে কি করি! একটি পুড়ি খাই। ক্ষূধা মিটে না। ক্ষুধার কষ্টে শরীর কাঁপে। বিকেলের দিকে জ্বর এসে গেল। সন্ধার দিকে বাবার পাঠানো টাকা হাতে পেলাম।
আরেকটা ক্ষুধার কষ্ট অন্য কোনোদিন বলবো।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
- সবারই এরকম কিছু কাহিনী আছে দেখি!
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আপনার কেবল দুইটা তাও গত শতাব্দীর। ভাইরে আমার গুলা সংখ্যায় কিঞ্চিৎ বেশী এবং অবশ্যই চলমান শতাব্দীর!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নিক্কণ তো আমার ডাক নাম!!
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
নিক্কণ তো আপনার বর্তমান নিকের চাইতে সহজ। মডারেটরদের ধরেন শাফক্বাতকে নিক্কণ করে দিতে। ভালো থাকেন।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
নতুন মন্তব্য করুন