অনেকগুলো বছর পার হয়ে গ্যাছে
ছুটি না চাঁদেও সাথে। রাজা-ফড়িঙ আর
বর্ণিল প্রজাপতির পেছন পেছন দিগবিদিগশুন্য চলি না আর ছুটে
অবাধ মধ্যাহ্ণ রৌদ্র-রুদ্র খোলা মাঠে।
কাদা মেখে সারা গায়ে, দুটো কি একটি মুরলা বঁইচা
ডানকিনি আর কৈয়াবান্দি পুঁটির আশায়
ভুলে গেছি ক্ষুধা-তৃষ্ণা মায়ের শাসন;
ত্রস্তে বাড়ি ফিরে বিড়ালের নৈঃশব্দে মায়ের বকুনি
বাবার ধমক খেয়ে ফের
ছুটেছি পুকুর ঘাটে। আরো কিছু জলকেলী সেরে
সুবোধ সন্তান নতুন চালের ততাভাত আর ছালুনের মিশ্র স্বাদে
কতদিন কত মাস কিংবা বছরের হিসেবে ভুলেছি ত্রাসন;
অমৃত বুঝি বা নিজে পেয়েছে শরম!
ছিন্নমূলের ধরনে পলাতক মন আজ গুঁজে আছে মাথা শহুরে বস্তিতে
যেন কোনো উটপাখি নিজেরে করেছে আড়াল;
পেছনে, পাখায় কিংবা পালকে অতীতের দিনগুলো
বাজায় শীতল শিস- এলামেলো ঘুর্ণি হাওয়ায়;
বিস্মৃত, ক্ষয়িষ্ণু কঙ্কালের ঠোঁটে। তবু ভেবে চলি
বিস্মৃতি ভেঙেছে কবে বিষাদের ঘর?
যে ছিলো একান্ত আপন, আজ সে পর!
এভাবেই সময়ের ধারাস্রোতে, স্মৃতির পলিতে
রেখে সাবধানী পদছাপ, পিঙ্গলাকাঠির শ্যামাঙ্গিনী বুবুজান
থামলেন। তারপর বড় বিষন্ন দৃষ্টিতে
ফিরে তাকালেন- বহুদূরে- ঝলমলে এক অতীতের দিকে;
যেখানে প্রতিটি দিন মুখরিত ছিলো
ভোরের শিশিরে আর ঘাস-মাটি-ফসলের অস্ফুট সঙ্গীতে।
(কবিতাটি ১৯৮৯-৯০এ অসম্পূর্ণ ছিলো। সম্পূর্ণ করতে চেষ্টা করেছি মাত্র।)
মন্তব্য
আমারও ছোটা হয় না অনেকদিন।
সময় আমাদের টেনে এনেছে বহুদূর।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
সব্যসাচী জুলিয়ান এগিয়ে যান।
কবিতায়ও রয়েছে দারুন হাত।
ভালো লাগলো।
---------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ কীর্তিনাশা।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
দারুন; অনেক গভীরের কথা বলল শব্দগুলো।
রাফি
ধন্যবাদ রাফি।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
নৈঃসর্গিক উপমাতে ভরপুর।
কবিতাটি খুব ভালো লেগেছে।
পাঁচ তারা।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ধন্যবাদ জলিল ভাই!
আপনার যতটুকু অবয়ব পরিদৃশ্যমান অবিকল স্থপতি শাহ্ আলম।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
নতুন মন্তব্য করুন