মেয়েরা স্কুলে যায়। আমাদের বখাটে আর দুশ্চরিত্র পুত্ররা তাদের প্রতিনিয়ত বিরক্ত করে। প্রশ্রাব করতে গেলে যেমন দু’একটি ছিটে-ফোঁটা পায়ে এসে লাগে, তেমনি বখাটেদের উৎপাতগুলো মেয়েরা আজকাল তেমন গায়ে মাখে না বলেই ধরে নিতে পারি যদি সে বড়দের কাছ থেকে সহানুভূতি আর মনে সাহস রাখার মত ভরসা পায়। কিন্তু নড়াইল জেলার কালিয়া থানার খামারপারখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী তানিয়া নামের মেয়েটি যখন প্রতিদিনই রাস্তায় উত্যক্ত হচ্ছে, এ খবর তার স্কুলের শিক্ষক ও পাড়া-প্রতিবেশীরা অবশ্যই জানতেন। গু নাড়া দিলে দুর্গন্ধই ছড়ায় ভেবে হয়তো তারাও তেমন একটা উচ্চবাচ্য করেননি। কিন্তু তানিয়ার স্কুলের শিক্ষকটি যখন তাকে হুমকি দেয় স্কুল থেকে বের করে দেবার, তখন স্বাভাবিক ভাবেই মেয়েটির মনে ঘৃণা জন্ম নেবে আরো বেশি।
ছোটবেলা থেকে আমরা শিখেছি শিক্ষক পিতৃতুল্য। সেই পিতৃতুল্য শিক্ষকটি যখন মানসিক যন্ত্রণাকাতর ছাত্রীটিকে সাহস না জুগিয়ে, প্রতিবাদী হতে না শিখিয়ে যখন মূঢ়ের মত তাকে স্কুল থেকে বের করে দেবার হুমকি দেয় তখন অবশ্যই তা বখাটেদের আচরণের চাইতেও খারাপ কিছু বলে প্রতিয়মান হয়। যার পরিণতিতে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। আমার তো মনে হয় বখাটেদের কারণে নয়- মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে শিক্ষকটির মন্তব্যে। যে কারণে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অপরাধে শিক্ষকটি দন্ডিত হওয়া উচিত।
মন্তব্য
উপরে লিংকটি পরিষ্কার নয় বিধায় এখানে সংজোযিত হলো
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ঠিক...
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
আপনার মনে হওয়ার সাথে একমত।এই শিক্ষকদের কাছে কী আশা করা যায়? শিক্ষক হওয়ার ক্রমানুসার যদি এই রকম হয়........বি.এ,বি.এড।পিটিআই,‘খাইছিতরে’-‘করা(হবে কড়া)মাল’, ‘অপরাধ(জগত/কন্ঠ/ভূবন/বিচিত্রা)’,চটি,২০টাকার‘ভাবিরলীলা’,মকসুদুলমোমিনিন’,‘তোমাকে পারতেই হবে(খেরা)’,‘বড় হওয়ার উপায়’,রিটেন......ভাইভাভর্সি.....তারামসজিদখোচিতবান্ডিল....অত:পর মাষ্টের !!
এদের কাছে কী আশা করা যায় ? শুধু দন্ড ? জায়গামত আধলা ইঁট ঝুলিয়ে দেওয়া উচিৎ ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
"আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অপরাধে শিক্ষকটি দন্ডিত হওয়া উচিত।"
একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল!
এখানে (জার্মানী) একটা ডিপ্লমা স্কুলে পড়েছি। তো হেমাটোলজির শিক্ষিকা ভদ্রমহিলা খুব রাগী। ৬শ টাকা মাসে বেতন দিয়ে স্কুলে পড়তে এসে পোলাপান ঠিকমত না পড়লে খুব বকাঝকা করেন। একটা ছেলে পড়ালেখায় তেমন মনোযোগী ছিল না। কোন একটা বিষয়ে ছেলেটি পাস মার্ক পায়নি। ম্যাডামের ঝাড়ি।
পরে সুনেছি ছেলেটি সেদিন বাড়ী যাবার পথে ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে।
সে ম্যাডামের দোষ খুব বেশী ছিল না। ছেলেটির ডায়েরী পড়ে পুলিশ এবং মনোবিজ্ঞানীরা একমত হন যে; ছেলেটির পারিবারিক কহলই তার আত্মহননের কারন। পরিক্ষার ফলাফল এবং শিক্ষিকার সমালোচনা একটা উপলক্ষ্য মাত্র।
কিন্তু তাতেও সে ম্যাডামের অপরাধবোধ কমেনি। তিনি শিক্ষকতার চাকরী ছেড়ে দেন। মানুষের ভাল করতে গিয়ে এত কঠোর হওয়ার কোন মানে নেই।
আপনার সে শিক্ষক এখন কী করেন জানিনা। কিন্তু মেয়েটিকে রক্ষা তিনি করতে পারেননি। সামাজিক মানবিক কোন দায়ীত্বই তিনি পালন করেন নি। মেয়েটি যে মেয়ে হয়ে জন্মেছে এটাই তার দোষ।
আমাদের সমাজে মেয়েদের আশ্রয় খুব কম মেলে। অনেক সময় অভিবাবক চাইলেও একটা মেয়েকে যথাযথ সহযোগীতা করতে পারে না।
ছোট বোনের এস এস সি পরিক্ষার পরে তাকে নিয়ে ঢাকায় বেড়াতে গেলাম। তো বন্ধুরা সবাই মিলে বোনকে সব জায়গা ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে। আমি শুধু পিছে পিছে ঘুড়ছি। ভাবটা এমন যে বোন ওদেরই।
এক সপ্তাহ পর বাড়ীতে রটেগেল আমার বোন ভেগে গেছে। এই হল আমাদের সমাজ।
সে সমাজের শিক্ষক কেমন আর হবেন!
হায়রে সমাজ!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ঘটনা পড়ে হতাশ এবং ক্ষুব্ধ।
এসবের অবসান যে কবে ঘটবে.......কবে আমরা সভ্য হব?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
নতুন মন্তব্য করুন