উপন্যাস কিভাবে লিখবেন ( উৎসর্গ: এস এম মাহবুব মুর্শেদ)

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি
লিখেছেন জুলিয়ান সিদ্দিকী (তারিখ: রবি, ১৪/০৯/২০০৮ - ২:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সতর্কতা: প্রথিতযশা সাহিত্যিকগণের এ পোস্টে উঁকি মারা নিষেধ

কি এবং কেন? এ দুটি জিজ্ঞাসাই অনেক জিজ্ঞাসার জন্ম দিতেই যথেষ্ট বলে মনে করি। কিন্তু ডেল-কার্নেগি মার্কা কিভাবে করবেন-এর মত যদি লেখা হয় যে, একটি উপন্যাস কি ভাবে লিখবেন? তাহলে বোধ করি বেশ মজার একটি ব্যাপার ঘটতো।

যদিও এমন ধরনের কোনো বই ছাড়াই আমার মত স্বঘোষিত লাখ খানেক কিংবা তারও বেশি উপন্যাসিক বাংলাদেশে খোঁজ না করলেও পাওয়া যাবে হয়তো। যেমন, একটা সময় মজা করে লোকে বলতো- ঢাকা শহরে কাক বেশি না কবি বেশি? তেমনি এখন হয়তো সে প্রশ্নের সময় আসেনি। তবুও হয়তো কোনো একদিন প্রশ্ন উঠতে পারে যে, বাংলাদেশে উপন্যাস বেশি না উপন্যাসিক বেশি?

তো সচল বন্ধু এস এম মাহবুব মুর্শেদ যদিও মজা করতেই প্রশ্নটি আমার পোস্টে রেখে এসেছেন তার একটি মজাদার উত্তর আমি দিলেও ব্যাপারটি মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো বেশ। ভাবছিলাম উপন্যাস সম্পর্কিত প্রচলিত কথাবার্তা তো সচলের সবাই জানে। উইকির সাহায্যে বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট মন্থন করলেও সবই হয়তো পাওয়া যাওয়ার কথা। তবুও কেন তিনি এমন একটি প্রশ্নের জালে আমাকে ফাঁসালেন? যদিও বেশ কয়েকজন ডাকসাঁইটে সচলেরই প্রকাশিত উপন্যাস আছে বলেই সচলের মাধ্যমে জেনেছি। তবুও কেন এমন প্রশ্ন আমাকেই করা হয়? হয়তো বা আড়ালে আমাকে নিরুৎসাহিতই বুঝি করা হলো! তবুও মনে হলো দেই ঝেড়ে আমার যত উদ্ভট চিন্তা-ভাবনা। পরে মন্তব্যে মন্তব্যে বাকিটা পূরণ হবে। ব্লগরব্লগর হিসেবেও সচলের খাতায় লেখাটি জমা পড়বে। যাকে বলা যায় এক ঢিলে দুই পাখি। পাঠকেরও রসাস্বাদনে ঘাটতি পড়বে না হয়তো। এই সুযোগে আমার খানিকটা স্মৃতিচারণও হয়ে যাবে।

বলছিলাম, কী এমন ক্ষতি হতো যদি এমন একটি বই বাজারে পাওয়া যেতো আর তার শিরোনাম হতো ”কি ভাবে, কেমন করে উপন্যাস লিখবেন?” শুনেছি বৈদেশে (আরবদেশ ছাড়া) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়েটিভ রাইটিং কোর্স বলে অনেক কিছুই পড়ানো হয়। এস এম মাহবুব মুর্শেদের জন্য প্রথম পরামর্শ হচ্ছে তেমন একটি কোর্সে ভর্তি হয়ে যাওয়া। আর একান্তই যদি আমার কথা শুনতে ইচ্ছে হয় তাহলে অনুরোধ যে, পোস্টটি আপনি একাই পড়বেন। যাতে করে অন্য সচলের চোখে না পড়ে তেমন ব্যবস্থা থাকলে সে সুবিধাটুকুও এ পোস্টের জন্য প্রদান করা যেতে পারে। তবে আরেকটু বলে রাখি যে, এ লেখা কারো কাছে ধান ভানতে শিবের গীত বলেও প্রতীয়মান হতে পারে। মোর্শেদের কোনো উপকার না হলেও পাঠক হিসেবে হয়তো মজা পাবেন।

এই যে অত-শত উপন্যাস লেখা হচ্ছে সবগুলোই কি উপন্যাসের ছকে ফেলা যাবে? আর উপন্যাসই যদি লিখতে হবে তাহলে তাকে ছকে ফেলতে হবে কেন?

প্রথম উপন্যাসটি যিনি লিখেছিলেন- তিনি কোন ছকটি ব্যবহার করেছিলেন? আমি যখন উপন্যাস লেখা শুরু করি তখন কিন্তু জানতামই না যে উপন্যাস কি? বলতাম গল্প। খুবই বড় একটি গল্প। যাকে বেশ কয়েকটি পর্বে বা পরিচ্ছেদে ভাগ করে নিতে হয়। পরিচ্ছেদ বা পর্বসংখ্যা কম করে হলেও আটটি হতে হবে। তা ছাড়া আমার জ্ঞান ভান্ডারে কিছুই নেই।

ইন্টারমিডিয়েট পড়াকালীন দিস্তায় দিস্তায় নিউজপ্রিন্ট কিনি আর সস্তার বলপয়েন্ট পেন দিয়ে রাতভর লিখি উপন্যাস নামের হাবিজাবি। ভোরের দিকে হ্যারিকেনের তেল ফুরিয়ে সলতে পুড়ে গেলেই আমার লেখা বন্ধ। কখনো ভোর হয়ে যেতো। ক্লান্তি নিয়ে ঘুমোতাম। বাবা লুকিয়ে তা পড়তেন আমার অজ্ঞাতে। যখন মনে হতো যে হ্যাঁ তথাকথিত উপন্যাসটি শেষ হয়েছে। তখন নিজে ফের পড়তাম। ভালো লাগতো না। নতুন আরেকটি শুরু করতাম। মাঝে মাঝে বিড়ি(সত্যিকার বিড়ি। নাম ৫২নং সিগারেট বিড়ি।)র পয়সা না থাকলে গ্রামের মুদি দোকানদারের কাছে কেজি দরে বেচে দিতাম নিউজপ্রিন্টের খাতা হিসেবে। কেউ টের পেতো না আমার বিনিদ্র রাতের শ্রমগুলো বিফলতায় পর্যবসিত হয়ে উড়ে যাবে বিড়ির ধোঁয়া হয়ে।

মাঝে মধ্যে বাবা জিজ্ঞেস করতেন- কোনো একটি গল্পের কথা। সেটি লেখা শেষ হয়েছে কি না। তখন বাবাকে জানাতাম যে, ওমুকের দোকানে বিক্রি করে দিয়েছি। বাবা বলতেন- আরে গাধা বেচলি কিয়ারে? ভালাই তো হইতাসিলো!

মনে মনে হাসি। এমন করে করে পরীক্ষায় ডাব্বা মারলাম। ইংরেজিতে। পরের বছর আবার পরীক্ষা। কোনো রকমে মান বাঁচে। পাশ করে জগন্নাথে। লেখালেখি বন্ধ নেই। ততদিনে জেনে গেছি উপন্যাসের রকমফের ধরন-ধারনও আছে। পর্ব-পরিচ্ছেদের নিয়ম থাকলেও সব কিছু না মানলেও চলে। উদাহরণ হিসেবে জানি শ্রীকান্ত। আবার এও জানি পর্ব-পরিচ্ছেদ ছাড়া কিংবা দাড়িকমাসেমিকোলন কোলনড্যাশ ছাড়াও একটানা লিখে উপন্যাস শেষ করা যায়। (সম্ভবত: কমল মজুমদার)। সঙ্গে সঙ্গে জানা হয়- এক লাইনেও উপন্যাস শেষ হতে পারে। তারও পরে একদিন আবিষ্কার করি যে, একটি গল্প বড় করে লিখে উপন্যাস বললেও তা উপন্যাস হয়ে যায়। যদিও তখন জানা আছে শুরু ঘটনা পরম্পরা দ্বন্দ্ব সংঘাত জীবনবোধ উপমা উৎপ্রেক্ষা চিত্রকল্প আরো নানা হাবিজাবি নিয়ে একটি উপন্যাস হয়।

কিন্তু আমার আবিষ্কার হলো এই যে, একটি গল্প (তা যেমনই হোক) লেখা আরম্ভ করলে তাতে এমনি এমনিই অনেক ঘটনা এসে যায়। লেখকের অজান্তেই বিভিন্ন অলঙ্কার এসে যায়। ঘটনা পরম্পরা ঠিক থাকলেই হলো। ঠিক তখনই বলতে গেলে জানতে পারলাম শরৎ চাটুয্যে মশাই বলেছেন যে, তিনি একটি কাহিনী আর কয়েকটি চরিত্র ঠিক করে লেখা আরম্ভ করেন। কাহিনীর চরিত্রগুলোই ঘটনাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ভাবলাম, এই তো সহজ পন্থা পেয়ে গেছি। তখন আমরা সেশনজটের চিপায় প্রায় চ্যাপ্টা হওয়ার দশা।

মেসে থাকি মালিবাগ বাজারের কাছে। আমাদের রুমেই থাকতেন ময়মনসিংহের মান্নান ভাই। চাকরি করতেন ফজলুর রশিদ ঢালীর অফিসে। তো রুমটিতে আমার গ্রামের আরো দুজন ছাত্র থাকলেও মান্নান ভাই আমাকে খুব ভালোবাসতেন। লেখালেখি করি বলে, দু একটা আবোল-তাবোল কবিতা কোনো অখ্যাত পত্রিকায় ছাপা হলে খুব উৎসাহ দেন। সে সময় সংবাদ পত্রিকায় নাসরিন জাহান-এর ছোটগল্প দু’এক সপ্তাহ পরপরই দেখা যায়। কথায় কথায় মান্নান ভাই জানালেন যে, নাসরিন জাহান তাঁর গ্রামের মেয়ে। আমার কোনো লেখা দেখাতে চাইলে কোনো একদিন সঙ্গে করে নাসরিন জাহানের বাসায় নিয়ে যাবেন।

সময়টা ১৯৮৮ কিংবা ১৯৮৯ হবে। বিপর্যস্ত-বিপর্যয় নামে একটি উপন্যাস নিয়ে গেলাম নাসরিন জাহানের বাসায়। আমার লেখাটা দেখালে বললেন, এক সপ্তাহ পরে যেতে। গেলাম এক সপ্তাহ পরে। তিনি আমার পান্ডুলিপিটি ফেরত দিয়ে বললেন, কি বলবো? ভালোই। তবে লেখায় কিছু হালকা ব্যাপার আছে সেগুলো বাদ দিলে আরো ভালো হবে।

আমি বুঝলাম না যে হালকা ব্যাপারগুলো কি। খুবই চিন্তায় পড়ে গেলাম। সহসও পাচ্ছি না যে, জিজ্ঞেস করবো হালকা ব্যাপারগুলো বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন। তখন পাশে সোফায় উপবিষ্টা ছিলেন আপার ছোটোবোন ঝর্না। তিনি বললেন, আপনি মহিলা হলে লেখাটা ছেপে দেয়া যেতো।

তখন নাসরিন জাহান আমাকে বললেন, বেশি করে পড়তে হবে আকতারুজ্জামান ইলিয়াস, হাসান আজিজুল হক, আন্তন চেখভ এর লেখাগুলো।

পাবলিক লাইব্রেরি, ইন্ডিয়ান লাইব্রেরি, রামকৃষ্ণ মিশন পাঠাগার, মহানগর গ্রন্থাগার তন্নতন্ন করে খুঁজি। পাই না এমন কোনো বই- যেখানে এক লেখকের সব কিংবা বেশিরভাগ লেখাই পেয়ে যাবো। পরিচিত কারো কাছেও পাই না। এমন কি উপন্যাসটিতে কী এমন হালকা ব্যাপার দশ-পনেরবার পড়ার পরও চোখে পড়ে না। শেষে ঠিক করলাম যে, পান্ডুলিপিটি ডাস্টবিনে ফেলে দেবো। কিন্তু ফেলতে গিয়েও মায়া হলো এই ভেবে যে, কত রাতের নিদ্রা আর শ্রম দিয়েছি এর পেছনে। তাই আর ফেলিনি। পরে হতাশা পেয়ে বসলো আমাকে। বইগুলো কিনতে গেলে বেশ কিছু পয়সা খরচ হয়ে যাবে। ফলে আমার মত ফকিন্নির মেসে থেকে মাস কাবার করা খুবই কঠিন হয়ে যাবে। সেই থেকে নাসরিন জাহান-এর পরামর্শ মত বইগুলো আজও আমার পাঠ করা হয়ে ওঠেনি।

কিন্তু তাতে কি? সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করেছি নানা ভাবে। (পরে হঠাৎ বন্ধু শাহারুল ইসলাম চিঠি পাঠালো উপন্যাসের পান্ডুলিপি পাঠাতে। তখন বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রামে থাকি। বেকার। তবে ততদিনে উপন্যাসটির হালকা ব্যাপারগুলো আবিষ্কার করতে পেরে পুনরায় লিখেছিলাম। "মাসিক আকাশ" নামে একটি পত্রিকায় সেটির দুটো কি তিনটি পর্ব ছাপা হয়েছিলো।) তবে আন্তন চেখভের সমস্ত লেখা একদিন আবিষ্কার করলাম সামহোয়্যারিনে আরিফ জেবতিক এর পছন্দের লিঙ্কে।

(এই সুযোগে আরিফ জেবতিক আপনাকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা লিংকটি আপনার সংগ্রহে থাকার জন্য।)

তো ভাই মুর্শেদ, এই হচ্ছে উপন্যাসের বৃত্তান্ত। আসলে যুক্ত থাকতে হয় লেখালেখির সঙ্গে। আপনিও তো চমৎকার লেখেন। কিন্তু কেন এই অধমের উপর এই নির্যাতন- বুঝিনা।

বুঝি না আরো অনেক কিছুই। যেমন গল্পের ক্ষেত্রে কেন আমাকে মানতে হবে- ছোট ছোট প্রাণ... শেষ হইয়াও হইলো না শেষ? কেন মানতে হবে সৈয়দ শামসুল হক বাংলাদেশ সাহিত্যের অন্যতম নক্ষত্র রচিত লেখাজোকা বা লেখা লেখির কলকব্জার কথা। তিনি তাঁর বইতে লিখেছেন তাঁর নিজস্ব মতামত-ধ্যান ধারণাসমূহ। তাঁর নির্দেশিত পথই যে আমাকে অনুসরণ করতে হবে এমন দিব্যি হয়তো তিনি তাঁর বইতে দেননি। যদি তিনি জানতে পারেন যে, তাঁর সেই নির্দেশিকা না পড়েই উপন্যাস বিষয়ক বাতচিত করছি তাহলে নির্ঘাত আমাকে মারতে আসবেন। তার উপর যদি বলি তাঁর নির্দেশিত পথাপথ ছাড়া আমার নিজস্ব কিছু রাস্তাও তো থাকতে পারে। আমি যদি তাঁদের পথ অনুসরণ না করে উপন্যাস লিখতে পারি তো কার কী এমন ক্ষতি?

তবুও অভিজ্ঞতা বলে, অগ্রজের নির্দেশিত পথে কাঁটা কম থাকে। অগ্রজের পরামর্শ জীবনের কোনো কোনো না কোনো সময় কাজে আসবেই। তাই স্যালুট নাসরিন জাহান। ভালোবাসা জানাই আব্দুল মান্নান খান। কোনোদিন চাক্ষুষ না করে- কথাবার্তা না বলে, শুধু বিভিন্ন ঈদসংখ্যায় তাঁর লেখা পড়ে জীবনের প্রথমেই যাঁকে ঠাঁই দিয়েছি সাহিত্য গুরুর আসনে। সেই সৈয়দ শামসুল হককেও স্যালুট জানাই। ভালোবাসা জানাই এস এম মাহবুব মুর্শেদকে। তিনি যা কিছু মনে করেই উপন্যাস সম্পর্কিত পোস্ট দিতে বলে থাকেন না কেন। এতে করে আমার কিছু স্মৃতি রোমন্থনের সুযোগও তো পেয়ে গেলাম। যা হয়তো কখনো বলার সুযোগ নাও আসতে পারতো। ধন্যবাদ।


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হাসান আজিজুল হকের পাতালে হাসপাতালে গল্পটা একবার এক পাবলিক ৪৮ পয়েন্টে ছেপে ৯০ পৃষ্ঠার বই বানিয়েছিল
তারপর এক সাংবাদিক গিয়ে হাসান আজিজকে জিজ্ঞেস করেছিল- আপনার উপন্যাসটা নিয়ে কিছু বলেন

তিনি উত্তরে বলেছিলেন- বাবা তুমি আর তোমার প্রাকাশক মিলে প্রথমে আমাকে শেখাও কীভাবে না জেনে আমি একটা উপন্যাস লিখে ফেললাম

তারপরে বলছি

০২

সোজা পদ্ধতি
দুই পাতার গল্প ১২০ পয়েন্টে ছাপিয়ে ছাপিয়ে ৫৬ পৃষ্ঠা বানিয়ে দিন
(৫৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত নাকি জাতিসংঘের সংজ্ঞায় পুস্তক হয় না। পুস্তিকা বলে)

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

বাংলাবাজারের এক প্রকাশক অন্য এক লেখিকার প্রকাশিত বই থেকে লেখা থেকে মেরে দিয়ে এক নব্য লেখককে বই ছাপিয়ে দিয়েছিলো। পরে মামলা হওয়াতে ক্ষতিপূরণও দিতে বাধ্য হয়েছিলো।

আমার বইগুলো ১১.৫ সাইজ ফন্ট রাখলেও ৫ফর্মা হয়ে যায়। সে হিসেবে আমারগুলো পুস্তক না হয়ে গ্রন্থ হওয়া উচিত। দেঁতো হাসি
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

নিঝুম এর ছবি

লেখাটা খুব ভাল্লাগ্লো । সাহিত্যের প্রতি আর লেখার প্রতি আপনার মমতা আর সবকিছুর পেছনে আপনার সংগ্রামী জীবন আমাকে ছুঁয়ে গেলো ।
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

নিঝুম, আমার জন্য আপনার হৃদয়ে যে একটু কোমল স্থান রয়েছে, তা বরাবরই লক্ষ্য করে আসছি। বেশিরভাগ লেখককেই মোটামুটি সংগ্রামী একটা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আসতে হয়। পথ পরিক্রমা শেষে কেউ লুটিয়ে পড়েন ভূমিতে- ফের উঠে দাঁড়াতে পারে না। কেউ বা বেশ আস্থার সঙ্গেই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেন। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

খুব খুব বেশি ভালো লাগলো লেখাটা। আরো ঠিক করে বললে অনেক বেশি আপন মনে হইছে। লেখালেখির প্রতি এই ভালোবাসাটা কেমন জানি অদ্ভূত সুন্দর। বিশেষ করে নিজের লেখার প্রতি ভালোবাসা।

আমি সেই পিচ্চিকাল থেকেই কত উপন্যাস যে শুরু করে শেষ করতে পারিনি তার নির্দিষ্ট কোন পরিমাণ নেই।

কোনদিন হয়ত হবেও না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

লেখাকে ভালোবাসা থেকেই তো লেখালেখির শুরুটা হয়। আর লিখতে না পারার কষ্টটা কেবল যে লিখতে চাচ্ছে অথচ শুরুটা করতে পারছে না, তার কষ্টটা আরো বেশি।

কিন্তু এই কষ্টের ফসলই দিনকে দিন পড়ে থাকে সম্পাদকের টেবিলের তলায়, ড্রয়ারে কিংবা ওয়েস্টবাস্কেট হয়ে ডাস্টবিনে। আমার তো মনে হয় বাংলা ব্লগিঙের জন্ম হয়ে লেখকের মুক্তি ঘটিয়েছে। ছয়মাসের ভেতর ছাপা না হলে ধরে নিতে হবে লেখাটি মনোনীত হয়নি। সম্পাদকীয় এই নীতিটির এবং সম্পাদকদের মনোভাব আর উন্নাসিকতাও হয়তো পরিবর্তনের সময় এসেছে। অনেক লেখকই আমার মত নিজের লেখাটাকে কোথাও প্রকাশিত দেখতে চায়। কিছু পাঠক তা পড়ছে ভালো কিংবা খারাপ বলছে তা-ই জানতে চায়।

সচলে কম্পেন্ডার পোস্ট করার আগে সম্পূর্ণ উপন্যাসটি অর্থাৎ দু'পর্ব (কম্পেন্ডার ও আপন-পর) একটি ইলেক্ট্রনিক পত্রিকায় পাঠিয়েছিলাম ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশের জন্য। কিন্তু সম্পাদক জানালেন যে, অন্য একটি উপন্যাস প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। অথচ সেই পত্রিকায় আজও কোনো উপন্যাস ধারাবাহিকভাবে আসেনি।

আপনার কথাগুলোও খুব ভালো লাগলো। আসলে লেখালেখি একবার আরম্ভ করলে ছাড়াটা মনে হয় খুবই কঠিন!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সবজান্তা এর ছবি

০১

ব্যস্ত সময়, ব্যস্ত জীবন

সময়ের এই টানাটানিতে বই পড়ার ক্ষেত্রে খুব ছোটলোকের মত নীতি অবলম্বন করি। প্রথিতযশা লেখক কিংবা কিছু নির্ভরযোগ্য মুখের থেকে শোনা বইগুলিই শুধু কিনি আর পড়ি। অচেনা, অপরিচিত কিংবা রেফারেন্সবিহীন লেখকের লেখা পড়ার সময় কোথায় ?

ব্লগে এসেও অনেক লেখা পড়ি, তবে লেখার দৈর্ঘ্য একটা বড় ফ্যাক্টর। অনেক ভালো লেখাই দৈর্ঘ্য দেখে বাতিল করে দিয়েছি, আর পরবর্তীতে অনেকের ভূয়সী প্রশংসা দেখে আবার যেয়ে পড়েছি। তবু কেন জানি ব্লগে কোন উপন্যাসই পড়া কেন জানি পড়া হয় না। গন্দম আর ধুলিমাখা চাঁদের কয়েক কিস্তি ব্লগে পড়েছিলাম, অতোদূরই। আপনার তিতিক্ষার প্রথম কিস্তি আর নষ্ট সময়ের দু-তিন কিস্তি পড়েছিলাম।

০২

আপনার এই লেখাটা পড়ে একধরণের অপরাধবোধে আক্রান্ত হলাম। প্রতিদিন কত লেখাকে পাশ কাটিয়ে যাই, কত লেখা ওপেন করেও পড়ি না পুরোটা - কিন্তু এ লেখার পেছনে হয়তো লেখকের অনেক কষ্ট আর স্বপ্ন জড়িয়ে ছিলো।

আপনার লেখার ইতিহাস শুনে বেশ খারাপ লাগলো। যত যাই হোক, মানুষ শেষ পর্যন্ত নিজের জন্যই লিখে, কাজেই যে কোন পরিস্থিতিতেই আপনি লেখা থামাবেন না - এমনটাই আশা রাখি।


অলমিতি বিস্তারেণ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

দারুণ একটা মন্তব্য। ভেতরে বাসা বাঁধল।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আন্তরিক আর খুবই আপন মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সবজান্তা।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সবজান্তা এর ছবি

০১

ব্যস্ত সময়, ব্যস্ত জীবন

সময়ের এই টানাটানিতে বই পড়ার ক্ষেত্রে খুব ছোটলোকের মত নীতি অবলম্বন করি। প্রথিতযশা লেখক কিংবা কিছু নির্ভরযোগ্য মুখের থেকে শোনা বইগুলিই শুধু কিনি আর পড়ি। অচেনা, অপরিচিত কিংবা রেফারেন্সবিহীন লেখকের লেখা পড়ার সময় কোথায় ?

ব্লগে এসেও অনেক লেখা পড়ি, তবে লেখার দৈর্ঘ্য একটা বড় ফ্যাক্টর। অনেক ভালো লেখাই দৈর্ঘ্য দেখে বাতিল করে দিয়েছি, আর পরবর্তীতে অনেকের ভূয়সী প্রশংসা দেখে আবার যেয়ে পড়েছি। তবু কেন জানি ব্লগে কোন উপন্যাসই পড়া কেন জানি পড়া হয় না। গন্দম আর ধুলিমাখা চাঁদের কয়েক কিস্তি ব্লগে পড়েছিলাম, অতোদূরই। আপনার তিতিক্ষার প্রথম কিস্তি আর নষ্ট সময়ের দু-তিন কিস্তি পড়েছিলাম।

০২

আপনার এই লেখাটা পড়ে একধরণের অপরাধবোধে আক্রান্ত হলাম। প্রতিদিন কত লেখাকে পাশ কাটিয়ে যাই, কত লেখা ওপেন করেও পড়ি না পুরোটা - কিন্তু এ লেখার পেছনে হয়তো লেখকের অনেক কষ্ট আর স্বপ্ন জড়িয়ে ছিলো।

আপনার লেখার ইতিহাস শুনে বেশ খারাপ লাগলো। যত যাই হোক, মানুষ শেষ পর্যন্ত নিজের জন্যই লিখে, কাজেই যে কোন পরিস্থিতিতেই আপনি লেখা থামাবেন না - এমনটাই আশা রাখি।


অলমিতি বিস্তারেণ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এর আগেও দেখেছি, লেখালেখির প্রতি আপনার ভালবাসাটা অন্যরকম। ভীষন ছুঁয়ে যায় আপনার এই মমতা।
আপনি ভালো থাকুন, জুলিয়ান ভাই। আপনার লেখালেখি, এই ভালোলাগা বোধ, সবকিছু নিয়ে অনেক অনেক ভালো থাকুন।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আপনিও ভালো থাকুন শিমুল। আর আপনার শুভকামনাটুকু আমার সঙ্গেই থাক অনন্তকাল।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

পুতুল এর ছবি

মনে পরে আজ কোন সে জনমে বিদায় সন্ধ্যাবেলা
আমি দাড়ায়ে রহীনু এপারে (লেখা) তুমি ও পারে ভাসালে ভেলা

আমার লেখার অভিজ্ঞতা অনেকটা ঐ রকম। মনে হয় ক্লাস নাইনে পড়ি। খাইয়া দাইয়া কাম নাই। শুরু করলাম ঊপন্যাস লেখা। অমি কথা একটু বেশী বলিতো, তাই উপন্যাস। কম কথার অভ্যাস থাকলে ছোট গল্প দিয়া শুরু করতাম। যাই হোক এক দিস্তা কাগজের সেলাই করা উপন্যাস আমি গোপনে অনেকদিন পড়েছি। তারপর কিভাএ কোথায় যেন হারিয়ে গেল। মাঝে হলকী কোন এক সিনিয়ার বন্ধুকে প্রেম পত্র লিখে দিলাম একটা। সে বন্ধু সেটা নিজের হাতে লিখে কপি করে, আমারটা আমাকে ফেরৎ দিয়ে দিল। আমি সেটা ছিড়ে ফেললাম। সার্টের পকেটে মা সে চিঠি পেলে খবর আছে! কিছুদিন পরে বন্ধু আবার সে চিঠি চাইল। আমি বললাম; ফেলে দিয়েছিতো। সে খুব আফসোস করল। মানে আমি মনে মনে ধরে নিলাম, চিঠি বালইছে।
বাংলা রচনায় ১৭ পেলাম। খুব সাহস হল। দিলাম স্কুলের দেয়াল পত্রিকায় একটা কবিতা। সেটা বলে গোলাম মোস্তফার কোন কবিতার নকল। শুনে আমার পাঙখা গজাইছে। দিলাম আর একটা, সেটাও নকল দোষে বাতিল। কি আর করা লিখলাম তৃতীয় একটা। সেটা কোন ভাবে গৃহীত হল।
তার পর খেলা ঘরের কল্যানে বেশ কিছু লেখা ছাপা হয়, বিভিন্ন সাময়িকীতে, কলেজে কবিতা লিখে ১ম হলাম।
কিন্তু ঢাকায় এসে আমার মত কাউয়া কবি আর পাত্তা পায় না! আর লেখা লেখি নিয়ে ভাবিনি।
জার্মন ভাষাটা ভালই পারি। কত লেখক আর লেখার সাথে পরিচয় হল! এভাবে দ্যা লিটল প্রিন্সের প্রেমে পরে গেলাম। আমার বউ কত্ত লেখকের কথা বলে "দূরবীন" পড়াছিল কিন্তু তত ভাল লাগেনি! তাকে ছোট্ট রাজকুমারের গল্প শোনাই। তার কথায় তার জন্য ছোট্ট রাজ কুমার বাংলায় আমার অনুবাদে খোকা বাবু হয়ে যায়।
কিন্তু বই কিভাবে বের করব তা এখনো জানিনা। সচল তীরন্দাজ তখন সাম,ইনে লেখে। তার কাছ থেকে নাম শুনে একদিন পুতুল নিকে খোকা বাবু দিতে শুরু করি। ব্লগারদের উৎসাহে খুব আনন্দ পাই। কিন্তু সাতাশ পর্বতো এক মাসেই শেষ (পিডিএফ করে পুরোটা এখানে দেয়ার ইচ্ছা আছে)! শুরু করলাম একটা সিরিজ লেখা। অনেকে ধরে নিল সেটা উপন্যাস। এভাবে "শেরালী" উপন্যাস হয়ে গেল। এখন শেরালীর ছাব্বিশতম পর্ব লিখছি। কিন্তু পুরো উপন্যাস জুলিয়ান সিদ্দিকীর মত আগে লিখে তার পর পোস্ট করা আমার পক্ষে কখনো সম্ভব হতো না। আর গোটা দশেক পর্ব হলেই শেরালী শেষ হবে।
কিন্তু ব্লগিং না থাকলে আমার পক্ষে একটা গোটা উপন্যাস লেখা কখনিই সম্ভব হতো না। বাংলা ব্লগিং-এর জয় হোক। মানুষের মত প্রকাশের পথ সহজ হোক।

**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সবজান্তা এর ছবি

আরে সব্বোনাশ ! আপনি লিটেল প্রিন্সের অনুবাদ করছেন ?

জলদি ছাড়েন। এইটা পড়ার জন্য আমার খুব কাছের একজন আমার কানের পোকা নাড়ায়া দিলো। অনুবাদ পাইলে ভালো হয়, মূর্খ মানুষ, ইংরেজী বুঝি না।

আমার দাবিটা মাথায় রাইখেন।


অলমিতি বিস্তারেণ

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

সবজান্তার সঙ্গে আমিও অংশীদার পুতুল। সঙ্গে লেখকের পরিচিতিও।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই ঘটনা অনেক আগে কোন এক পোস্টে মন্তব্যে লিখেছিলাম। আবার লেখি-

একবার আমরা খুলনা গেলাম, সুন্দরবনে তিনদিন বেড়ানের উছিলায়। আমরা বলতে বেশিরভাগই আশির দশকের লিটল ম্যাগ আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিরা। সাথে দেশ সেরা পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকরা।
আর সাথে আমার মতো দুএকজন আজাইরা লোক। মোট বোধহয় জনা বিশেক।
ঈদের আগের রাতে খুলনার এক হোটেলে উঠলাম পরদিন লঞ্চে উঠবো বলে। হোটেলের নিচে মার্কেটে অনেক ভীড়। ততক্ষনে খবর হয়ে গেছে যে ঢাকা থেকে একদল বিশিষ্ট লোক আসছে। আমরা ভেতরে ঢোকার মুখে এক টেইলারিঙয়ের দোকান থেকে একজন ডাক দিলো... গেলাম... পাশে বেশ ভাব নিয়ে বসা একজনকে দেখিয়ে বললো উনাকে চেনেন? আমরা বললাম না... উনার এক্সপ্রেশন দেখে মনে হলো সেটা বিরাট অন্যায় কাজ। তখন জানা গেলো উনি একজন বিশিষ্ট কবি। তার একটা পুস্তক আছে। এবং তিনি স্রেফ ঢাকায় জন্মাইলেই দেশের সেরা কবি হইতেন। মফস্বলে বিধায় তার প্রচার হইতেছে না ঠিকঠাক।

আস্তে আস্তে আমরা কাইট্টা যাইতে শুরু করলাম একজন একজন কইরা। কিন্তু রয়ে গেলো একজন... মুনিরুল হাসান। তিনি প্রায় ঘন্টাখানেক তার সঙ্গে গল্প করলেন। বইটা থেকে বেশ কয়েকটা কবিতা পড়লেন। তারপর আসলেন।
আমরা ক্ষেপাইতে লাগলাম তারে...
তখন মনির ভাই একটা কথা বলছিলো... মনির ভাই আজ নাই, কিন্তু তার এই কথাটা আমি সবসময় মনে রাখি...
সে বলছিলো- দেখেন, একটা মানুষ সন্ত্রাসী হইতে চায় নাই, স্মাগলার হইতে চায় নাই, চোর বাটপার হইতে চায় নাই, স্রেফ কবি হইতে চাইছে, এবং এর জন্য সে শ্রম দিছে। বাপের বকুনি খাইছে, বন্ধুগো তিরষ্কার সইছে। তার বন্ধুদের চকচকে জীবনের পাশে দারিদ্রতায়ও কবিতারে সঙ্গে রাখছে। সে এখন আপনের কাছে কিছু সময় চাইছে। নাহয় সে খারাপ লেখে... কিন্তু আপনে কোন চেটের বাল যে এই লোকের জন্য একটু সময় বরাদ্ধ করতে পারেন না? সে ভালো লেখে না তারে ভালো লেখার পথ বাতলান... তারে অবহেলা করার আপনি কে?

কথাটা আজ আবার মনে পড়লো। মনে পড়লো আমার খুব প্রিয় বন্ধু মনির ভাইটাকে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

উদ্ধৃতি
...কিন্তু আপনে কোন চেটের বাল যে এই লোকের জন্য একটু সময় বরাদ্ধ করতে পারেন না? সে ভালো লেখে না তারে ভালো লেখার পথ বাতলান... তারে অবহেলা করার আপনি কে?

নজুরুল, আপনার মন্তব্য খুব ভালো লাগলো। প্রাণশান্তিদায়ক। ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ওনার জন্য শ্রদ্ধা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

জুলিয়ানভাই,
আপনার সবকটা লেখার মুগ্দহ পাঠক আমি,
তারপর এতোকিছু জেনে মানুষ জুলিয়ানভাইকে আমার শ্রদ্ধা
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

সব সৃষ্টির পেছনেইতো কিছু না কিছু যন্ত্রণার ইতিহাস থাকে। আমি বা আপনিই বা এর বাইরে যাবো কিভাবে? আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দেবোত্তম।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

জুলিয়ান ভাই,
আমি তো টাইটেলে আমার নাম দেখে আকাশ থেকে পড়লাম। ইদানীং টাইটেলে নাম দেখলে ভয় লাগে - ঘরপোড়া গরুতো। অনুরোধ করি নামটা সরিয়ে দিন। তাছাড়া আমার নাম মুর্শেদ, মোর্শেদ নয়।

আচ্ছা। এটুকু বলার পর প্রথমে এটা জানাই যে বিষয়টা ফোকাস করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমার যেটা জানার সেটা জানতে পারলাম না। আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে যেটা আবিষ্কার করলাম সেটা হল, বারবার চেষ্টা আর অল্প অল্প করে বিভিন্ন বিষয় আবিষ্কারের মাধ্যমে আপনার উপন্যাস লেখার হাত এসেছে। নিঃসন্দেহে সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি সেটা। এই কষ্ট স্বীকার করার জন্য সাধুবাদ জানাই।

কিন্তু আমরা হলাম, যাকে বলা যায় মোবাইল প্রজন্ম। ব্লগিং করে লেখালেখির শুরু। আমাদের এত ধৈর্য্য কোথায়? তাই খালি সহজ সরল ফর্মুলা খুঁজি। জানি এই অংশটুকু পড়ে হয়ত ভুরু কুঁচকাবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটা সত্যি।

তাই আমার হয়ত কখনোই সিরিয়াস কিছু লেখা হবে না। লেখা হবে না বড় কোন গল্প কিংবা কালজয়ী কোন উপন্যাস। যাকে পাই তাকে ধরে ঘ্যান ঘ্যান করতেই থাকব, দ্যান না ফর্মুলা, দ্যান না।

ভালো থাকবেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

জুলিয়ান সিদ্দিকী [অতিথি] এর ছবি

ভাই এস এম মাহবুব মুর্শেদ.
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু আমি তো বলেছিলাম উপন্যাস শুরু করতে। সব নিয়মই তো কেউ না কেউ বানিয়েছেন বা উদ্ভাবন করেছেন। কাজেই শুরু করুন।

তা ছাড়া মডেল হিসেবে যে কোনো একটি ভালো অথচ ছোট উপন্যাস বেছে নিতে পারেন। সেই ছক ধরে আপনার কল্পিত বা বাস্তব কাহিনী প্রথমবারের মত সাজান। ফর্মূলা আপনার চোখের সামনে ভাসতে থাকবে। তারপর পড়তে পড়তে সম্পাদনা করুন। প্রয়োজনে বাক্যাবলী অ্যাড-রিমুভ করুন। কামনা করি আপনি প্রথমবার আমার চেয়ে ভালো লিখবেন।

বিশেষ ভাবে দ্রষ্টব্য:
আপনার মুর্শেদ নামটা ঠিক করে লিখবার অধিকার আমার নেই। সম্পাদনা করার অধিকার এখনও পাইনি। তাই ভুলটা চোখে পড়লেও আমি কিছু করতে পারছি না। এ জন্য সত্যিই দুঃখিত আমি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

আমি যতদূর জানি সম্পাদনা করতে পারবেন। তবে সেটা আবার মডারেশন প্যানেল পার হয়ে আসবে। যাকগে, শিঘ্রী সম্পাদনার পূর্ণ অধিকার পেয়ে যান সে কামনা করছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

দুঃখিত। নামের বানান ঠিক করতে পারলাম না।

নিচের ম্যাসেজটি আসছে-
You do not have sufficient wrokflow permission to edit.

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

জুলিয়ান ভাইয়ের সতর্কীকরন বিজ্ঞপ্তি আমার জন্য প্রযোজ্য নয় বিধায় উঁকি দিয়ে গেলাম ।

আমি লিখি এমনি এমনিই । ইচ্ছে হলে লিখি, না হলে নাই, আমার মাঝে কোন শ্রম নাই, স্বপ্ন নাই,গল্প নাই, উপন্যাস নাই ।

এইবেশ ভালো আছি ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

হাসান মোরশেদ,
আপনি হয়তো জানেন না, অন্যান্য সচলদের মত আমিও আপনার অনুবাদের অপেক্ষায় থাকি। এই যে বললেন,
আমি লিখি এমনি এমনিই । ইচ্ছে হলে লিখি, না হলে নাই, আমার মাঝে কোন শ্রম নাই, স্বপ্ন নাই,গল্প নাই, উপন্যাস নাই ।

কিন্তু এই নাইয়ের ভেতর থেকেই আসছে এগুলো। কেন? অবচেতনে হলেও এগুলোর জন্য আপনার ভালোবাসা আছে। মমতা আছে। না হলে অরন্ধতীর যে অনুবাদ আপনি আমাদের দিচ্ছেন- এতটা সাবলীল হতো না। অন্যান্য অনুবাদগুলোও ঠিক তেমনি। ভালোবাসা থেকে উতসারিত।

একসময় আপনি যখন উপন্যাস অনুবাদ করবেন, তখনই তা ষোলোকলায় পূর্ণ হবে। ভালো থাকেন।

শ্রম নাই, স্বপ্ন নাই,গল্প নাই, উপন্যাস নাই

না থাকুক। কিন্তু অনুবাদের ইচ্ছেগুলো যেন আপনার খুব বেশিদিন নিরব না থাকে এই কামনায়। চলুক

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অমিত আহমেদ এর ছবি

লেখাটি ভালো লেগেছে। জুলিয়ান ভাইয়ের সাধনাকে শ্রদ্ধা।

নজরুল ভাইয়ের মন্তব্য ভাল্লাগলো। প্রনব ভট্টকে নিয়ে এই সচলায়তনেই এক আলোচনায় বলেছিলাম - একজন মানুষ অনেক কিছু ফেলে রেখে হতে চেয়েছে লেখক কিংবা কবি। শুধু এ'টুকুই একজনকে শ্রদ্ধা করার জন্য যথেষ্ঠ।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বস... পৃথিবীতে অনেক শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। বেশি খোলাসা করলাম না... আমি টাকার প্রয়োজনে মাঝে মাঝে বেনামে ক্ষেপ মারি... লেখতে লেখতে পত্রিকায় সাক্ষাত্কার পড়ি কেউ একজন বলতেছেন- আমি এই নাটকটা লিখেছি খুব যত্ন করে।

এদেশে একুশের বইমেলায় অনেক বই অনেকের নামে বাইর হয় যা তারা লেখে নাই। এদেশে অনেক নাটক প্রচার হয় অনেক নাট্যকারের নামে যা আসলে তাদের লেখা না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অমিত আহমেদ এর ছবি

বুঝেছি।
দুনিয়ারে ভাই, দুনিয়া!


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

নজরুলের অভিযোগ স্বীকার করি। কিন্তু প্রয়োজনের কাছে মনে হয় আমরা অনেকেই কিছুটা অসহায়।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

উদ্ধৃতি
একজন মানুষ অনেক কিছু ফেলে রেখে হতে চেয়েছে লেখক কিংবা কবি।
-আমিও জানাই তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অমিত আহমেদ।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

উদ্ধৃতি
একজন মানুষ অনেক কিছু ফেলে রেখে হতে চেয়েছে লেখক কিংবা কবি।
-তাঁদের জন্য আমারও শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অমিত।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

আকতার আহমেদ এর ছবি

কোন মন্তব্য নাই !
অনেক বেশী ভাল থাইকেন, লেখালেখি জারি রাইখেন !

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আপনার শুভকামনা যেন আজীবন আমার সঙ্গী হয়। ধন্যবাদ আকতার আহমেদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

শেখ জলিল এর ছবি

সে বলছিলো- দেখেন, একটা মানুষ সন্ত্রাসী হইতে চায় নাই, স্মাগলার হইতে চায় নাই, চোর বাটপার হইতে চায় নাই, স্রেফ কবি হইতে চাইছে, এবং এর জন্য সে শ্রম দিছে। বাপের বকুনি খাইছে, বন্ধুগো তিরষ্কার সইছে। তার বন্ধুদের চকচকে জীবনের পাশে দারিদ্রতায়ও কবিতারে সঙ্গে রাখছে। সে এখন আপনের কাছে কিছু সময় চাইছে। নাহয় সে খারাপ লেখে... কিন্তু আপনে কোন চেটের বাল যে এই লোকের জন্য একটু সময় বরাদ্ধ করতে পারেন না? সে ভালো লেখে না তারে ভালো লেখার পথ বাতলান... তারে অবহেলা করার আপনি কে?
...মুনিরুল হাসানের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

রায়হান আবীর এর ছবি

কেউ টের পেতো না আমার বিনিদ্র রাতের শ্রমগুলো বিফলতায় পর্যবসিত হয়ে উড়ে যাবে বিড়ির ধোঁয়া হয়ে।

আহারে!! ধুয়া জন্য মানুষ কি না করে। লেখাটির জন্য আপনারে স্যালুট।

=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

এই ধূঁয়ার জন্য আমারে অনেক মূল্য দিতে হইসে। তবু ধূঁয়া ছাড়ি নাই। আপস করি নাই। দেঁতো হাসি
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সবজান্তা আর নজরুল ভাইয়ের মন্তব্য খুব ভাল লাগল।
জুলিয়ান ভাই, আপনার নষ্ট সময় উপন্যাসটি পিডিএফ আকারে নামিয়ে রেখেছি। কিন্তু সময়াভাবে শুরু করা হচ্ছে না। আর কোন উপন্যাসই সাধারণত ব্লগে পড়া হয় না। এমনটা ঘটেছে জুবায়ের ভাই, পুতুল ভাইয়ের উপন্যাসের ক্ষেত্রেও। তবে আপনার লেখার প্রতি ভালবাসা, ধৈর্য, সংগ্রাম, জেদ, অধ্যবসায় সবই আমাকে ভীষণভাবে স্পর্শ করল। আপনার প্রতি অনেক অনেক শুভকামনা। জানি আমি তেমন কেউকেটা নই, আপনারও কিছু যাবে-আসবে না, তবুও নষ্ট সময় শেষ করে আমি আপনাকে জানাব আমার কেমন লাগল।
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

চলুক
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

Md Nazmul Hossin এর ছবি

অনেক সুন্দর লেখা।ভালো লাগল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।